
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৩৪
এবার হানিট্র্যাপের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফ আলী হাওলাদার।
কুয়াকাটা পৌর এলাকার ফারজানা বেগম (২৪) নামের এক নারীর নেতৃত্বে হানিট্র্যাপের শিকার হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা করেন আশ্রাফ আলী হাওলাদার। রিমা (১৮) নামের অপর এক নারীসহ আরও ৪জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করা হয় এই মামলায়।
মামলার রেশ ধরে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে এজাহারভুক্ত আসামি ফারজানা বেগমকে কুয়াকাটা শাহীন মাস্টারের ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
মহিপুর থানাধীন কুয়াকাটার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত হাতেম দফাদারের কন্যা এবং মো. শাহিন হোসেনের স্ত্রী এই ফারজানা বেগম।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুইটি মোবাইল নম্বর দিয়ে অপরিচিত মহিলা কণ্ঠে আশ্রাফ হাওলাদারকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করা হতো। তিনি বাঁধা দিলেও শুনতেন না। গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) তাঁর নিজের মালিকাধীন গ্রীন পার্ক থেকে মোটরসাইকেল যোগে দুপুরে বাসার উদ্দেশে রওনা দিলে পথিমধ্যে ৪-৫ জন বোরকা পরিহিত মহিলা তাঁর পথরোধ করে। এবং তাঁরা কলেজ শিক্ষার্থী পরিচয় দেয় ও তাদের শিক্ষা সফরসহ বিভিন্ন শিক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বলে জানান। এত টাকা চাঁদা দিতে তিনি অসম্মতি জ্ঞাপন করলে ওই নারীরা তাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয় এবং তাকে টেনে হেঁচড়ে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে। এঅবস্থায় তাদের হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করতে থাকে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহযোগিতায় তৈরি করা তাঁর নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিবে বলে নারীরা ভয়-ভীতি দেখায়। এর ধারাবাহিকতায় তিনি বিকাশের মাধ্যমে ওই নারীদের টাকা পাঠান। দুইদিন পরে অর্থাৎ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মির্জাগঞ্জ থানাসংলগ্ন কপালভেড়া স্টিল ব্রিজের পশ্চিম পাশে পৌঁছলে ফারজানা এবং রিমাসহ অজ্ঞাতনামা একজন জন নারী ও দুইজন পুরুষ আশ্রাফ হাওলাদারের মােটরসাইকেল রোধ করে। দাবিকৃত টাকা কেন পাঠানো হয়নি বলে তাকে বিবস্ত্র করার ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইল করে তাৎক্ষণিক এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,সুগার ড্যাডি বানিয়ে আশ্রাফ হাওলাদারের নিকট থেকে হাতিয়ে নেওয়া পাঁচ হাজার টাকা, ফাঁদ তৈরির ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকৃত ইনফিনিক্স এক্স ৬৮৮০ মডেলের একটি মোবাইল এবং দুইটি সীম উদ্ধার করা হয় গ্রেফতারকৃত আসামি ফারজানা বেগমের নিকট থেকে।
এছাড়াও ট্র্যাপে ফেলে চাঁদা দাবির বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ মোবাইল থেকে জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আসামিরা হানিট্রাপের মাধ্যমে বয়স্ক বৃদ্ধ লোকদের সুগার ড্যাডি বানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, বয়স্ক বিত্তবানদের টার্গেট করে হানি ট্র্যাপে ফেলে অর্থ আত্মসাৎ করাই তাদের কাজ। এই গ্রুপের প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
এবার হানিট্র্যাপের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফ আলী হাওলাদার।
কুয়াকাটা পৌর এলাকার ফারজানা বেগম (২৪) নামের এক নারীর নেতৃত্বে হানিট্র্যাপের শিকার হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা করেন আশ্রাফ আলী হাওলাদার। রিমা (১৮) নামের অপর এক নারীসহ আরও ৪জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করা হয় এই মামলায়।
মামলার রেশ ধরে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে এজাহারভুক্ত আসামি ফারজানা বেগমকে কুয়াকাটা শাহীন মাস্টারের ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
মহিপুর থানাধীন কুয়াকাটার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত হাতেম দফাদারের কন্যা এবং মো. শাহিন হোসেনের স্ত্রী এই ফারজানা বেগম।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুইটি মোবাইল নম্বর দিয়ে অপরিচিত মহিলা কণ্ঠে আশ্রাফ হাওলাদারকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করা হতো। তিনি বাঁধা দিলেও শুনতেন না। গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) তাঁর নিজের মালিকাধীন গ্রীন পার্ক থেকে মোটরসাইকেল যোগে দুপুরে বাসার উদ্দেশে রওনা দিলে পথিমধ্যে ৪-৫ জন বোরকা পরিহিত মহিলা তাঁর পথরোধ করে। এবং তাঁরা কলেজ শিক্ষার্থী পরিচয় দেয় ও তাদের শিক্ষা সফরসহ বিভিন্ন শিক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বলে জানান। এত টাকা চাঁদা দিতে তিনি অসম্মতি জ্ঞাপন করলে ওই নারীরা তাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয় এবং তাকে টেনে হেঁচড়ে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে। এঅবস্থায় তাদের হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করতে থাকে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহযোগিতায় তৈরি করা তাঁর নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিবে বলে নারীরা ভয়-ভীতি দেখায়। এর ধারাবাহিকতায় তিনি বিকাশের মাধ্যমে ওই নারীদের টাকা পাঠান। দুইদিন পরে অর্থাৎ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মির্জাগঞ্জ থানাসংলগ্ন কপালভেড়া স্টিল ব্রিজের পশ্চিম পাশে পৌঁছলে ফারজানা এবং রিমাসহ অজ্ঞাতনামা একজন জন নারী ও দুইজন পুরুষ আশ্রাফ হাওলাদারের মােটরসাইকেল রোধ করে। দাবিকৃত টাকা কেন পাঠানো হয়নি বলে তাকে বিবস্ত্র করার ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইল করে তাৎক্ষণিক এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,সুগার ড্যাডি বানিয়ে আশ্রাফ হাওলাদারের নিকট থেকে হাতিয়ে নেওয়া পাঁচ হাজার টাকা, ফাঁদ তৈরির ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকৃত ইনফিনিক্স এক্স ৬৮৮০ মডেলের একটি মোবাইল এবং দুইটি সীম উদ্ধার করা হয় গ্রেফতারকৃত আসামি ফারজানা বেগমের নিকট থেকে।
এছাড়াও ট্র্যাপে ফেলে চাঁদা দাবির বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ মোবাইল থেকে জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আসামিরা হানিট্রাপের মাধ্যমে বয়স্ক বৃদ্ধ লোকদের সুগার ড্যাডি বানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, বয়স্ক বিত্তবানদের টার্গেট করে হানি ট্র্যাপে ফেলে অর্থ আত্মসাৎ করাই তাদের কাজ। এই গ্রুপের প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৬
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জন্য দুই দলের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করছে। তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কপালভেড়া বাজারে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা না করা এবং এখান থেকে গণধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নূর নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গলাচিপা থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, কপালভেড়া বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো পুরোপুরি জানি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। সবাইকে শান্ত ও শৃঙ্খলাপূর্ণ থাকতে হবে।
এর আগেও দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারাও ঘোষণা করা হয়।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জন্য দুই দলের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করছে। তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কপালভেড়া বাজারে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা না করা এবং এখান থেকে গণধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নূর নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গলাচিপা থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, কপালভেড়া বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো পুরোপুরি জানি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। সবাইকে শান্ত ও শৃঙ্খলাপূর্ণ থাকতে হবে।
এর আগেও দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারাও ঘোষণা করা হয়।

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৬
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ও বিএসসি ইন অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি (অনার্স) দুটি পৃথক ডিগ্রি বাতিল করে ‘বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি’ নামে নতুন এক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
জানা যায়, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি ফওজে আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চে গত বুধবার (৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেওয়া হয়। আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগামী রবিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য রুল জারি করেছেন। আগামী রবিবার রিট খারিজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে যাচ্ছে।
রিট আবেদন করেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আমির হামজা আসিফসহ ক্ষতিগ্রস্ত আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. বদরুদ্দোজা (বাদল)। আদালত প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীদের যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
রিটকারীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ‘পবিপ্রবি আইন, ২০০১’-এর ধারা ২০(ডি) অমান্য করে নতুন ডিগ্রি প্রবর্তন করেছে।
আইনে বলা আছে, নতুন কোনো বিভাগ বা প্রোগ্রাম চালুর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রিট খারিজের জন্য আগামী রবিবার আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।
ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হবে না। দুটি বিভাগের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীই কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে আন্দোলন করেছিল। লিখিত দাবির প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা চাইলে পুরাতন বা নতুন, যে কোনো ডিগ্রি নিতে পারবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ‘কয়েকজন শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থে তিন শিক্ষার্থীকে ভুল বোঝিয়ে রিট করিয়েছেন। পিটিশনাররাও বিষয়টি এখন বুঝে রিট খারিচের জন্য উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন।’
এদিকে, রিট দায়ের করা এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অপর এক শিক্ষার্থীর কথোপকথনের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে। সেখানে রিটকারী শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে রিট করেছি, বিষয়টা ঠিক বুঝিনি।’ তবে সেই বড় ভাইয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক জানান, আদালতের রুল জারির পরও কর্তৃপক্ষ কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশ দেয়নি। ফলে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। তাদের মতে, অধিকাংশ শিক্ষক নতুন ডিগ্রির বিপক্ষে। তবে তারা সরাসরি অবস্থান নিচ্ছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, ‘আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল যে, কেউ চাইলে ডিভিএম বা এএইচ ডিগ্রি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছয় মাস পড়তে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো চাপ দেওয়া হবে না।’
শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের গত ৩ সেপ্টেম্বরে একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৪তম সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রি অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি এবং আদালতের আশ্রয় নেয়। এখন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পুরোনো নিয়মেই আগামী তিন মাস পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে ।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ও বিএসসি ইন অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি (অনার্স) দুটি পৃথক ডিগ্রি বাতিল করে ‘বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি’ নামে নতুন এক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
জানা যায়, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি ফওজে আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চে গত বুধবার (৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেওয়া হয়। আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগামী রবিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য রুল জারি করেছেন। আগামী রবিবার রিট খারিজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে যাচ্ছে।
রিট আবেদন করেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আমির হামজা আসিফসহ ক্ষতিগ্রস্ত আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. বদরুদ্দোজা (বাদল)। আদালত প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীদের যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
রিটকারীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ‘পবিপ্রবি আইন, ২০০১’-এর ধারা ২০(ডি) অমান্য করে নতুন ডিগ্রি প্রবর্তন করেছে।
আইনে বলা আছে, নতুন কোনো বিভাগ বা প্রোগ্রাম চালুর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রিট খারিজের জন্য আগামী রবিবার আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।
ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হবে না। দুটি বিভাগের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীই কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে আন্দোলন করেছিল। লিখিত দাবির প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা চাইলে পুরাতন বা নতুন, যে কোনো ডিগ্রি নিতে পারবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ‘কয়েকজন শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থে তিন শিক্ষার্থীকে ভুল বোঝিয়ে রিট করিয়েছেন। পিটিশনাররাও বিষয়টি এখন বুঝে রিট খারিচের জন্য উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন।’
এদিকে, রিট দায়ের করা এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অপর এক শিক্ষার্থীর কথোপকথনের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে। সেখানে রিটকারী শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে রিট করেছি, বিষয়টা ঠিক বুঝিনি।’ তবে সেই বড় ভাইয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক জানান, আদালতের রুল জারির পরও কর্তৃপক্ষ কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশ দেয়নি। ফলে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। তাদের মতে, অধিকাংশ শিক্ষক নতুন ডিগ্রির বিপক্ষে। তবে তারা সরাসরি অবস্থান নিচ্ছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, ‘আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল যে, কেউ চাইলে ডিভিএম বা এএইচ ডিগ্রি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছয় মাস পড়তে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো চাপ দেওয়া হবে না।’
শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের গত ৩ সেপ্টেম্বরে একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৪তম সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রি অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি এবং আদালতের আশ্রয় নেয়। এখন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পুরোনো নিয়মেই আগামী তিন মাস পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে ।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৫
পটুয়াখালী বাউফলের প্রধান সড়কে চলাচলকারী অবৈধ ট্রলি সিএনজি হোন্ডা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার সময় বাউফল থানার সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ মিলু এ জরিমানা করেন।
ওই সময় ৯জন গাড়িচালককে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ১ মাস করে জেল প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলু বলেন, বেপরোয়া যান চলাচলে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনায় বাউফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চলমান থাকবে। এ ছাড়া আইন অমান্য করে সড়কে পার্কিংরত গাড়িচালকদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালী বাউফলের প্রধান সড়কে চলাচলকারী অবৈধ ট্রলি সিএনজি হোন্ডা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার সময় বাউফল থানার সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ মিলু এ জরিমানা করেন।
ওই সময় ৯জন গাড়িচালককে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ১ মাস করে জেল প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলু বলেন, বেপরোয়া যান চলাচলে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনায় বাউফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চলমান থাকবে। এ ছাড়া আইন অমান্য করে সড়কে পার্কিংরত গাড়িচালকদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.