১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৪৭
বরিশালের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী একাধিক মামলার আসামি বরিশাল সদর উপজেলা ৩নং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রাসেল হালদার কে আটক করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে চরবাড়িয়া গাজীর খেয়াঘাট সংলগ্ন রাসেলের বাসার পাশে বিল থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। এসময় তার নিকট থেকে বেশ কয়েকটি দেশি অস্ত্র ও ৩৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাও একাধিক মামলার আসামি চরবাড়িয়ার রাসেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরেই অভিযোগ রয়েছে।
তাকে আটকের জন্য বরিশাল পুলিশের সকল ইউনিট তৎপর ছিল। দীর্ঘদিন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য থাকার পরে সকালে রাসেলকে আটকের উদ্দেশ্যে তার বাসার আশপাশে অবস্থান নেয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
রাসেল বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করে বাড়ির পাশে বিলের ভিতর থেকে পালাতে গেলে গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সগীরের নেতৃত্বে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে।
আটকের সময় রাসেলের সাথে অনেক ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে তবে রাসেলের সহযোগী ল্যাপটপ বাবু থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের কেও আইনের আওতায় আনা হতে পারে বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য বলছে রাসেল হাওলাদার দেড় যুগ যাবৎ মাদকের ব্যবসা করে আসছে। তার নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তিনি গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারপর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (পলাতক) মোঃ মাহাতাব হোসেন সুরুজ অনুসারী হয়ে মাদক বিক্রির টাকা গরিবের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের পদটি বাগিয়ে নেয়।
কিন্তু ইউপি মেম্বার হবার পর তার মাদক বিক্রি চেহারা ও ক্ষমতা আরো পাল্টে যায়। এর কারণ পূর্বে পালিয়ে পালিয়ে মাদক বিক্রি করলেও ইউপি সদস্য হবার পরে চেয়ারম্যান সুরুজের ঘনিষ্ঠজন ভাবার কারণে ওপেনে মাদক বিক্রি শুরু করে।
যেহেতু রাসেল আওয়ামী লীগের প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনবল ও অর্থ সরবরাহ করতো তাই তিনি ওই এলাকার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের কাছে। ফলে তার মাদক বিক্রি যে বাধা গুলো ছিল এগুলো তিনি কাটিয়ে ওঠে তবে বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জুলাই আগস্ট বিপ্লবের পরে বরিশালে যোগদান করলে চরবাড়ীয়ার মাদক সম্রাট রাসেল ও কাশিপুরের অপর মাদক ডিলার একাধিক মামলার আসামি রাসেলের বিরুদ্ধে তার কাছে অভিযোগ আসতে শুরু করে।
এরপরই তিনি কঠোর হস্তে দমন করার লক্ষ্যে স্থানীয় থানা পুলিশ সহ তার গোটা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ টিম গঠন করে এবং গোয়েন্দা পুলিশের নেতৃত্বে দুই রাসেল কে আটকের জন্য জোরে সোরে মাঠ চষে বেড়ায়।
এক পর্যায়ে গত রোজার মধ্যে কাশীপুরের রাসেলকেও তিনি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কাউনিয়া থানার সহযোগিতায় সরাসরি পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে আজ সকালে দেশীয় আধুনিক একাধিক অস্ত্র সহ তাকে আটক করা হয়।
তার নিকট থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলছেন রাসেলের কাছে একটি অবৈধ রিভাল বার থাকে যেটি উদ্ধারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযান অব্যহত রয়েছে। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে আরো অনুরোধ জানিয়ে বলেন সমাজের অসঙ্গতি ও মাদক বিক্রেতাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে এতে পুলিশের সহযোগিতা শতভাগ অব্যাহত থাকবে।
বরিশালের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী একাধিক মামলার আসামি বরিশাল সদর উপজেলা ৩নং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রাসেল হালদার কে আটক করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে চরবাড়িয়া গাজীর খেয়াঘাট সংলগ্ন রাসেলের বাসার পাশে বিল থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। এসময় তার নিকট থেকে বেশ কয়েকটি দেশি অস্ত্র ও ৩৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাও একাধিক মামলার আসামি চরবাড়িয়ার রাসেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরেই অভিযোগ রয়েছে।
তাকে আটকের জন্য বরিশাল পুলিশের সকল ইউনিট তৎপর ছিল। দীর্ঘদিন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য থাকার পরে সকালে রাসেলকে আটকের উদ্দেশ্যে তার বাসার আশপাশে অবস্থান নেয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
রাসেল বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করে বাড়ির পাশে বিলের ভিতর থেকে পালাতে গেলে গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সগীরের নেতৃত্বে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে।
আটকের সময় রাসেলের সাথে অনেক ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে তবে রাসেলের সহযোগী ল্যাপটপ বাবু থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের কেও আইনের আওতায় আনা হতে পারে বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য বলছে রাসেল হাওলাদার দেড় যুগ যাবৎ মাদকের ব্যবসা করে আসছে। তার নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তিনি গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারপর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (পলাতক) মোঃ মাহাতাব হোসেন সুরুজ অনুসারী হয়ে মাদক বিক্রির টাকা গরিবের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের পদটি বাগিয়ে নেয়।
কিন্তু ইউপি মেম্বার হবার পর তার মাদক বিক্রি চেহারা ও ক্ষমতা আরো পাল্টে যায়। এর কারণ পূর্বে পালিয়ে পালিয়ে মাদক বিক্রি করলেও ইউপি সদস্য হবার পরে চেয়ারম্যান সুরুজের ঘনিষ্ঠজন ভাবার কারণে ওপেনে মাদক বিক্রি শুরু করে।
যেহেতু রাসেল আওয়ামী লীগের প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনবল ও অর্থ সরবরাহ করতো তাই তিনি ওই এলাকার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের কাছে। ফলে তার মাদক বিক্রি যে বাধা গুলো ছিল এগুলো তিনি কাটিয়ে ওঠে তবে বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জুলাই আগস্ট বিপ্লবের পরে বরিশালে যোগদান করলে চরবাড়ীয়ার মাদক সম্রাট রাসেল ও কাশিপুরের অপর মাদক ডিলার একাধিক মামলার আসামি রাসেলের বিরুদ্ধে তার কাছে অভিযোগ আসতে শুরু করে।
এরপরই তিনি কঠোর হস্তে দমন করার লক্ষ্যে স্থানীয় থানা পুলিশ সহ তার গোটা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ টিম গঠন করে এবং গোয়েন্দা পুলিশের নেতৃত্বে দুই রাসেল কে আটকের জন্য জোরে সোরে মাঠ চষে বেড়ায়।
এক পর্যায়ে গত রোজার মধ্যে কাশীপুরের রাসেলকেও তিনি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কাউনিয়া থানার সহযোগিতায় সরাসরি পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে আজ সকালে দেশীয় আধুনিক একাধিক অস্ত্র সহ তাকে আটক করা হয়।
তার নিকট থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলছেন রাসেলের কাছে একটি অবৈধ রিভাল বার থাকে যেটি উদ্ধারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযান অব্যহত রয়েছে। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে আরো অনুরোধ জানিয়ে বলেন সমাজের অসঙ্গতি ও মাদক বিক্রেতাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে এতে পুলিশের সহযোগিতা শতভাগ অব্যাহত থাকবে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তার পাশের লাখ টাকা মূল্যের একাধিক গাছ কেটে নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেছে।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন গাছ কাটার শ্রমিকদের নিয়ে এসব গাছ কাটছিলেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার টরকী বন্দরের ছাগলহাট সংলগ্ন হাজী বাবুল হোসেনের বাড়ির সামনের সরকারি সড়কের পাশের বিভিন্ন প্রজাতের সাতটি গাছ লোকজন নিয়ে কাটতে থাকেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন।
স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন। বাড়ির মালিক হাজী বাবুল হোসেন বলেন, গাছগুলো উপড়ে আমার বাড়ির ক্ষতি হতে পারে ভেবে গাছগুলো কেটে নেয়ার জন্য অতিসম্প্রতি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে কেবা কারা গাছ কাটছে তা আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি।
পরে জানতে পারি, আমার আত্মীয় রোকনুজ্জামান রোকন লোকজন নিয়ে গাছ কাটছে। তিনি (রোকন) নাকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরি বলেন, আমার কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। যার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবেদনপত্রটি উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অনুমতি ছাড়া রাতের আধাঁরে গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ইউএনও স্যারের ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ ও কর্তনকৃত গাছের অংশ জব্দ করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ঘটনায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আমার নিকট আত্মীয় হাজী বাবুল হোসেন গাছ কাটার জন্য আবেদন করেছেন। আমি ভেবেছি তিনি অনুমতি পেয়েছেন। যেকারণেই শ্রমিক নিয়ে গাছগুলো কাটা হচ্ছিলো।
পরবর্তীতে ইউএনও স্যারের নির্দেশে থানা পুলিশ বাঁধা দেয়ার পর থেকে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। এখন ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা সেই অনুযায়ী অগ্রসর হবো।
রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তার পাশের লাখ টাকা মূল্যের একাধিক গাছ কেটে নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেছে।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন গাছ কাটার শ্রমিকদের নিয়ে এসব গাছ কাটছিলেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার টরকী বন্দরের ছাগলহাট সংলগ্ন হাজী বাবুল হোসেনের বাড়ির সামনের সরকারি সড়কের পাশের বিভিন্ন প্রজাতের সাতটি গাছ লোকজন নিয়ে কাটতে থাকেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন।
স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন। বাড়ির মালিক হাজী বাবুল হোসেন বলেন, গাছগুলো উপড়ে আমার বাড়ির ক্ষতি হতে পারে ভেবে গাছগুলো কেটে নেয়ার জন্য অতিসম্প্রতি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে কেবা কারা গাছ কাটছে তা আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি।
পরে জানতে পারি, আমার আত্মীয় রোকনুজ্জামান রোকন লোকজন নিয়ে গাছ কাটছে। তিনি (রোকন) নাকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরি বলেন, আমার কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। যার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবেদনপত্রটি উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অনুমতি ছাড়া রাতের আধাঁরে গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ইউএনও স্যারের ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ ও কর্তনকৃত গাছের অংশ জব্দ করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ঘটনায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আমার নিকট আত্মীয় হাজী বাবুল হোসেন গাছ কাটার জন্য আবেদন করেছেন। আমি ভেবেছি তিনি অনুমতি পেয়েছেন। যেকারণেই শ্রমিক নিয়ে গাছগুলো কাটা হচ্ছিলো।
পরবর্তীতে ইউএনও স্যারের নির্দেশে থানা পুলিশ বাঁধা দেয়ার পর থেকে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। এখন ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা সেই অনুযায়ী অগ্রসর হবো।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
ঢাকা বার কাউন্সিলের সেকশন অফিসার ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর হোসেন (৫২) আর নেই। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন ( ইন্না.....রাজিউন)।
সম্প্রতি তার দাঁত তোলার পরে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে টনসিলে সমস্যা হওয়াসহ তিনি ডায়বেটিস রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি মা,স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়নের উদয়কাঠী গ্রামের প্রয়াত পল্লী চিকিৎসক মো. জয়নুল আবেদীনের ছেলে। ওই দিন (শনিবার) বাদ আসর ঢাকার মধ্য বাড্ডা আদর্শনগর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে পূর্ব বাড্ডা গোরস্থানে তার মরদেহ চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়।
এদিকে সদালপী,মিষ্টভাষী, হাসোজ্জ্বল মেধাবী আইনজীবী আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ,সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ঢাকা বার কাউন্সিলের সেকশন অফিসার ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর হোসেন (৫২) আর নেই। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন ( ইন্না.....রাজিউন)।
সম্প্রতি তার দাঁত তোলার পরে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে টনসিলে সমস্যা হওয়াসহ তিনি ডায়বেটিস রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি মা,স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুম অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়নের উদয়কাঠী গ্রামের প্রয়াত পল্লী চিকিৎসক মো. জয়নুল আবেদীনের ছেলে। ওই দিন (শনিবার) বাদ আসর ঢাকার মধ্য বাড্ডা আদর্শনগর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে পূর্ব বাড্ডা গোরস্থানে তার মরদেহ চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়।
এদিকে সদালপী,মিষ্টভাষী, হাসোজ্জ্বল মেধাবী আইনজীবী আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ,সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৩
বরিশালের বাকেরগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি মো. ইমরান খান সালাম। ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিকেলে উপজেলা চত্বরের কৃষি অফিসের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওএমএস (খোলা বাজারে চাল বিক্রি) ডিলার রুহুল নিকারী সরকারি নিয়ম মেনে চাল বিতরণ না করে গোপনে তা বাজারজাত করে আসছিলেন।
এই অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিতে সাংবাদিক ইমরান খান সালামের ওপর হামলা চালায় এবং তাকে বেধড়ক মারধর করে। এসময় স্থানীয় লোকজন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে রুহুল নিকারী, সবুজ নিকারী ও আবুবক্কর নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে সকল হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি মো. ইমরান খান সালাম। ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিকেলে উপজেলা চত্বরের কৃষি অফিসের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওএমএস (খোলা বাজারে চাল বিক্রি) ডিলার রুহুল নিকারী সরকারি নিয়ম মেনে চাল বিতরণ না করে গোপনে তা বাজারজাত করে আসছিলেন।
এই অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিতে সাংবাদিক ইমরান খান সালামের ওপর হামলা চালায় এবং তাকে বেধড়ক মারধর করে। এসময় স্থানীয় লোকজন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে রুহুল নিকারী, সবুজ নিকারী ও আবুবক্কর নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে সকল হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.