১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৪৭
বরিশালের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী একাধিক মামলার আসামি বরিশাল সদর উপজেলা ৩নং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রাসেল হালদার কে আটক করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে চরবাড়িয়া গাজীর খেয়াঘাট সংলগ্ন রাসেলের বাসার পাশে বিল থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। এসময় তার নিকট থেকে বেশ কয়েকটি দেশি অস্ত্র ও ৩৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাও একাধিক মামলার আসামি চরবাড়িয়ার রাসেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরেই অভিযোগ রয়েছে।
তাকে আটকের জন্য বরিশাল পুলিশের সকল ইউনিট তৎপর ছিল। দীর্ঘদিন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য থাকার পরে সকালে রাসেলকে আটকের উদ্দেশ্যে তার বাসার আশপাশে অবস্থান নেয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
রাসেল বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করে বাড়ির পাশে বিলের ভিতর থেকে পালাতে গেলে গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সগীরের নেতৃত্বে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে।
আটকের সময় রাসেলের সাথে অনেক ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে তবে রাসেলের সহযোগী ল্যাপটপ বাবু থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের কেও আইনের আওতায় আনা হতে পারে বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য বলছে রাসেল হাওলাদার দেড় যুগ যাবৎ মাদকের ব্যবসা করে আসছে। তার নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তিনি গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারপর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (পলাতক) মোঃ মাহাতাব হোসেন সুরুজ অনুসারী হয়ে মাদক বিক্রির টাকা গরিবের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের পদটি বাগিয়ে নেয়।
কিন্তু ইউপি মেম্বার হবার পর তার মাদক বিক্রি চেহারা ও ক্ষমতা আরো পাল্টে যায়। এর কারণ পূর্বে পালিয়ে পালিয়ে মাদক বিক্রি করলেও ইউপি সদস্য হবার পরে চেয়ারম্যান সুরুজের ঘনিষ্ঠজন ভাবার কারণে ওপেনে মাদক বিক্রি শুরু করে।
যেহেতু রাসেল আওয়ামী লীগের প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনবল ও অর্থ সরবরাহ করতো তাই তিনি ওই এলাকার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের কাছে। ফলে তার মাদক বিক্রি যে বাধা গুলো ছিল এগুলো তিনি কাটিয়ে ওঠে তবে বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জুলাই আগস্ট বিপ্লবের পরে বরিশালে যোগদান করলে চরবাড়ীয়ার মাদক সম্রাট রাসেল ও কাশিপুরের অপর মাদক ডিলার একাধিক মামলার আসামি রাসেলের বিরুদ্ধে তার কাছে অভিযোগ আসতে শুরু করে।
এরপরই তিনি কঠোর হস্তে দমন করার লক্ষ্যে স্থানীয় থানা পুলিশ সহ তার গোটা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ টিম গঠন করে এবং গোয়েন্দা পুলিশের নেতৃত্বে দুই রাসেল কে আটকের জন্য জোরে সোরে মাঠ চষে বেড়ায়।
এক পর্যায়ে গত রোজার মধ্যে কাশীপুরের রাসেলকেও তিনি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কাউনিয়া থানার সহযোগিতায় সরাসরি পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে আজ সকালে দেশীয় আধুনিক একাধিক অস্ত্র সহ তাকে আটক করা হয়।
তার নিকট থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলছেন রাসেলের কাছে একটি অবৈধ রিভাল বার থাকে যেটি উদ্ধারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযান অব্যহত রয়েছে। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে আরো অনুরোধ জানিয়ে বলেন সমাজের অসঙ্গতি ও মাদক বিক্রেতাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে এতে পুলিশের সহযোগিতা শতভাগ অব্যাহত থাকবে।
বরিশালের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী একাধিক মামলার আসামি বরিশাল সদর উপজেলা ৩নং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রাসেল হালদার কে আটক করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে চরবাড়িয়া গাজীর খেয়াঘাট সংলগ্ন রাসেলের বাসার পাশে বিল থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। এসময় তার নিকট থেকে বেশ কয়েকটি দেশি অস্ত্র ও ৩৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাও একাধিক মামলার আসামি চরবাড়িয়ার রাসেল হাওলাদারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরেই অভিযোগ রয়েছে।
তাকে আটকের জন্য বরিশাল পুলিশের সকল ইউনিট তৎপর ছিল। দীর্ঘদিন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য থাকার পরে সকালে রাসেলকে আটকের উদ্দেশ্যে তার বাসার আশপাশে অবস্থান নেয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
রাসেল বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করে বাড়ির পাশে বিলের ভিতর থেকে পালাতে গেলে গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সগীরের নেতৃত্বে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে।
আটকের সময় রাসেলের সাথে অনেক ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে তবে রাসেলের সহযোগী ল্যাপটপ বাবু থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের কেও আইনের আওতায় আনা হতে পারে বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য বলছে রাসেল হাওলাদার দেড় যুগ যাবৎ মাদকের ব্যবসা করে আসছে। তার নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তিনি গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারপর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (পলাতক) মোঃ মাহাতাব হোসেন সুরুজ অনুসারী হয়ে মাদক বিক্রির টাকা গরিবের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের পদটি বাগিয়ে নেয়।
কিন্তু ইউপি মেম্বার হবার পর তার মাদক বিক্রি চেহারা ও ক্ষমতা আরো পাল্টে যায়। এর কারণ পূর্বে পালিয়ে পালিয়ে মাদক বিক্রি করলেও ইউপি সদস্য হবার পরে চেয়ারম্যান সুরুজের ঘনিষ্ঠজন ভাবার কারণে ওপেনে মাদক বিক্রি শুরু করে।
যেহেতু রাসেল আওয়ামী লীগের প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনবল ও অর্থ সরবরাহ করতো তাই তিনি ওই এলাকার একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের কাছে। ফলে তার মাদক বিক্রি যে বাধা গুলো ছিল এগুলো তিনি কাটিয়ে ওঠে তবে বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জুলাই আগস্ট বিপ্লবের পরে বরিশালে যোগদান করলে চরবাড়ীয়ার মাদক সম্রাট রাসেল ও কাশিপুরের অপর মাদক ডিলার একাধিক মামলার আসামি রাসেলের বিরুদ্ধে তার কাছে অভিযোগ আসতে শুরু করে।
এরপরই তিনি কঠোর হস্তে দমন করার লক্ষ্যে স্থানীয় থানা পুলিশ সহ তার গোটা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ টিম গঠন করে এবং গোয়েন্দা পুলিশের নেতৃত্বে দুই রাসেল কে আটকের জন্য জোরে সোরে মাঠ চষে বেড়ায়।
এক পর্যায়ে গত রোজার মধ্যে কাশীপুরের রাসেলকেও তিনি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কাউনিয়া থানার সহযোগিতায় সরাসরি পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে আজ সকালে দেশীয় আধুনিক একাধিক অস্ত্র সহ তাকে আটক করা হয়।
তার নিকট থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলছেন রাসেলের কাছে একটি অবৈধ রিভাল বার থাকে যেটি উদ্ধারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযান অব্যহত রয়েছে। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে আরো অনুরোধ জানিয়ে বলেন সমাজের অসঙ্গতি ও মাদক বিক্রেতাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে এতে পুলিশের সহযোগিতা শতভাগ অব্যাহত থাকবে।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪১
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.