
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৬
বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন মতিয়ার রহমান তালুকদার। স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসনে বিএনপির জয় পাওয়া কঠিন হবে।
জানা যায়, এই আসনে (তৎকালীন বরগুনা-৩) ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মতিয়ার রহমান তালুকদার। তিনি বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী মজিবুর রহমান তালুকদারের কাছে অল্প ভোটে হেরে যান। ২০০১ সালে সাড়ে তিন হাজার ভোটে মতিয়ারকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৩টি আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ায় এই আসনটি ছেড়ে দেন। ওই সময় বিএনপি সরকার গঠনের পর তিন মাসের মধ্যে এ আসনে উপনির্বাচন দেওয়া হয়। এ সময় মতিয়ার বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বরগুনার ৩টি আসনকে ভেঙে করেন ২টি। বর্তমানে বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৪ জন।
মাতিয়ার যুগান্তরকে বলেন, ১৯৮৮ থেকে আমি আমতলী ও তালতলী উপজেলাকে নিজের মতো করে সাজিয়েছি। তাই সাধারণ জনগণ আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। বরগুনা সদরের চেয়ে এ দুটি উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। তার দাবি, এ দুটি উপজেলার সাধারণ ভোটার তাকেই জয়যুক্ত করবেন।
বিএনপির জেলা কমিটির সাবেক সদস্য মতিয়ার জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি দলীয় মনোনয়নের অপেক্ষায় থাকবেন। এর মধ্যে অন্য দল থেকেও মনোনয়ন পেতে লবিং চালিয়ে যাবেন।
তিনি আরও জানান, দলীয় হাইকমান্ড কিছু আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করবে বলে তিনি জেনেছেন। তাই তিনি আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত নিজ দল থেকেই মনোনয়ন পাবেন।
বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন মতিয়ার রহমান তালুকদার। স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসনে বিএনপির জয় পাওয়া কঠিন হবে।
জানা যায়, এই আসনে (তৎকালীন বরগুনা-৩) ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মতিয়ার রহমান তালুকদার। তিনি বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী মজিবুর রহমান তালুকদারের কাছে অল্প ভোটে হেরে যান। ২০০১ সালে সাড়ে তিন হাজার ভোটে মতিয়ারকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৩টি আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ায় এই আসনটি ছেড়ে দেন। ওই সময় বিএনপি সরকার গঠনের পর তিন মাসের মধ্যে এ আসনে উপনির্বাচন দেওয়া হয়। এ সময় মতিয়ার বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বরগুনার ৩টি আসনকে ভেঙে করেন ২টি। বর্তমানে বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৪ জন।
মাতিয়ার যুগান্তরকে বলেন, ১৯৮৮ থেকে আমি আমতলী ও তালতলী উপজেলাকে নিজের মতো করে সাজিয়েছি। তাই সাধারণ জনগণ আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। বরগুনা সদরের চেয়ে এ দুটি উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। তার দাবি, এ দুটি উপজেলার সাধারণ ভোটার তাকেই জয়যুক্ত করবেন।
বিএনপির জেলা কমিটির সাবেক সদস্য মতিয়ার জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি দলীয় মনোনয়নের অপেক্ষায় থাকবেন। এর মধ্যে অন্য দল থেকেও মনোনয়ন পেতে লবিং চালিয়ে যাবেন।
তিনি আরও জানান, দলীয় হাইকমান্ড কিছু আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করবে বলে তিনি জেনেছেন। তাই তিনি আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত নিজ দল থেকেই মনোনয়ন পাবেন।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:২৫
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৫
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৪
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:০৩

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:১১
বরগুনার তালতলী উপজেলায় মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে মারধরের পর বাবার ছুরিকাঘাতে সফিক হাওলাদার (২৮) নামে এক মাদকাসক্ত ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর বাবা হারুন হাওলাদার আত্মগোপনে আছেন। তালতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ইদুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হারুন হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সফিক হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরেই মাদকাসক্ত ছিলেন। তাকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন সময় রিহ্যাবেও পাঠানো হয়। তবে সেখান থেকে ফিরে এসে পুনরায় মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। সব শেষ সফিক গত ৭ আক্টোবর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর ১০ ডিসেম্বর কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে বাড়িতে এসে বিভিন্ন সময় বাবা হারুনের কাছে মাদকের টাকা চেয়ে চাপ সৃষ্টি করতেন সফিক। তবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বাবা হারুন ছেলেকে একটি থাপ্পড় দেয়। পরে সফিক আরও উত্তেজিত হয়ে বাবকে মারধর করতে যাওয়ার একপর্যায়ে ঘরে থাকা কাঁচা মরিচ কাটার ছুরি দিয়ে ছেলের পিঠে আঘাত করেন হারুন হাওলাদার। পরে সফিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত সফিকের মা ও হারুন হাওলাদারের স্ত্রী রাসেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। বারবার রিহ্যাবে দিলেও সে ঠিক হয়নি। একবার জেলেও গেছে কিন্তু ছাড়া পেয়েও ভালো হয়নি। দুপুরে বাবা ছেলের মধ্যে বাকবিতন্ডায় একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওসি মো. আশাদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বাবার সঙ্গে ছেলের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে সফিক হাওলাদার নিহত হয়েছেন। তবে নিহত সফিক মাদকাসক্ত ছিল এবং বাবার সঙ্গে প্রায় সময়ই বাকবিতণ্ডা হতো। এ ঘটনায় বাবা হারুন হাওলাদার পলাতক রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
বরগুনার তালতলী উপজেলায় মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে মারধরের পর বাবার ছুরিকাঘাতে সফিক হাওলাদার (২৮) নামে এক মাদকাসক্ত ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর বাবা হারুন হাওলাদার আত্মগোপনে আছেন। তালতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ইদুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হারুন হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সফিক হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরেই মাদকাসক্ত ছিলেন। তাকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন সময় রিহ্যাবেও পাঠানো হয়। তবে সেখান থেকে ফিরে এসে পুনরায় মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। সব শেষ সফিক গত ৭ আক্টোবর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর ১০ ডিসেম্বর কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে বাড়িতে এসে বিভিন্ন সময় বাবা হারুনের কাছে মাদকের টাকা চেয়ে চাপ সৃষ্টি করতেন সফিক। তবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বাবা হারুন ছেলেকে একটি থাপ্পড় দেয়। পরে সফিক আরও উত্তেজিত হয়ে বাবকে মারধর করতে যাওয়ার একপর্যায়ে ঘরে থাকা কাঁচা মরিচ কাটার ছুরি দিয়ে ছেলের পিঠে আঘাত করেন হারুন হাওলাদার। পরে সফিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত সফিকের মা ও হারুন হাওলাদারের স্ত্রী রাসেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। বারবার রিহ্যাবে দিলেও সে ঠিক হয়নি। একবার জেলেও গেছে কিন্তু ছাড়া পেয়েও ভালো হয়নি। দুপুরে বাবা ছেলের মধ্যে বাকবিতন্ডায় একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওসি মো. আশাদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বাবার সঙ্গে ছেলের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে সফিক হাওলাদার নিহত হয়েছেন। তবে নিহত সফিক মাদকাসক্ত ছিল এবং বাবার সঙ্গে প্রায় সময়ই বাকবিতণ্ডা হতো। এ ঘটনায় বাবা হারুন হাওলাদার পলাতক রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:৫১
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের বিশেষ অভিযানে ১০২ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৩টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাঠালতলী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো. লিটন (৪৯)। তিনি মো. রুস্তম আলীর পুত্র এবং পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী এলাকার বাসিন্দা।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ রাত আনুমানিক তিনটার দিকে বিসিজি স্টেশন পাথরঘাটা একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে উক্ত এলাকা থেকে অবৈধভাবে শিকার করা হরিণের ১০২ কেজি মাংস উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য এক লাখ দুই হাজার টাকা।
অভিযানে হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত মো. লিটনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অবৈধভাবে হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ জানান, উপকূলীয় ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ শিকার ও পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডরোধে তাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জন্য উদ্ধারকৃত হরিণের মাংসসহ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের বিশেষ অভিযানে ১০২ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৩টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কাঠালতলী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মো. লিটন (৪৯)। তিনি মো. রুস্তম আলীর পুত্র এবং পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী এলাকার বাসিন্দা।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ রাত আনুমানিক তিনটার দিকে বিসিজি স্টেশন পাথরঘাটা একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে উক্ত এলাকা থেকে অবৈধভাবে শিকার করা হরিণের ১০২ কেজি মাংস উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য এক লাখ দুই হাজার টাকা।
অভিযানে হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত মো. লিটনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অবৈধভাবে হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ জানান, উপকূলীয় ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ শিকার ও পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডরোধে তাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জন্য উদ্ধারকৃত হরিণের মাংসসহ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:৪৪
রাত তখন প্রায় দেড়টা। বরগুনার তালতলী উপজেলার সাগরঘেঁষা তেঁতুলবাড়িয়া মাছঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়েছিল মাছবোঝাই একটি বাস। গভীর রাতে নথুল্লাবাদের কাছাকাছি পৌঁছাতেই থামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী পরিবহনটিকে।
এদিকে, গোপন তথ্যের সূত্র ধরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) অভিযান চালায় সেখানে। কাশিপুরের নিস্তব্ধতা ভেঙে তখন আলো ও মানুষের কোলাহল। বাসের বক্স খুলতেই মেলে জাটকার গন্ধ ভরা কয়েক ঝুড়ি। জব্দ করা হয় সবকিছু।
কিন্তু জাটকার সঙ্গে আরো অন্তত ১০০ কেজির মতো পোয়া আর সাগরের ফ্যাসা মাছ ছিল। এই মাছগুলো বৈধ। তবু সেগুলোও জব্দের তালিকায় চলে যায়। পরদিন সকালে বরিশালের সমাজসেবা অধিদপ্তরের আটটি শিশু পরিবারে মাছ বিতরণ হতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে মাত্র আট থেকে ১০ কেজি পোয়া মাছ বিতরণ করা হয়।
এছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আনুমানিক গড়ে ৩০০টি জাটকা পেয়েছেন। এসব তথ্য শিশু পারিবার ঘুরে নিশ্চিত হয়েছেন প্রতিবেদক।
জেলে সেলিম মাতুব্বরের গল্প এখানেই ঘুরে যায় অন্যদিকে। তেঁতুলবাড়িয়ার ঘাটের সেই পরিচিত মানুষটি বহু বছর ধরে ঢাকার বাড্ডার বাজারে মাছ পাঠান। ভোরের অন্ধকারে যখন জালের পানি এখনও দুই হাত ভিজিয়ে রাখে, তখনই তাঁর দিন শুরু হয়।
সেদিনও অন্য দিনের মতো বরফের ঠাণ্ডায় হাতে কাঁপুনি ধরে। সেই হাতে তিন ধরনের মাছ পলি ব্যাগে আলাদা করে সাজিয়েছিলেন তিনি।
প্রথমেই তুলে নেন ছোট-বড় আকারের পোয়া, যেগুলো পৃথক ১৭টি প্যাকেট করে রাখা ছিল। সেগুলোর ওজন দাঁড়ায় ৬৮ কেজি ৬০০ গ্রাম। এরপর আসে সাগর ফ্যাসা, যার ওজন মোটামুটি আট কেজি ৭০০ গ্রাম। সবশেষে মাথা-লেজ মিলে ১০ ইঞ্চি আকারের ইলিশ। সেগুলোর ওজন সামান্য হলেও ঢাকায় সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে বলে সুন্দরভাবে বরফে মুড়িয়ে ড্রামে রাখেন তিনি।
সব মিলিয়ে মাছগুলো সাজানো হয়েছিল একদম নিয়ম মেনে, যেমনটি তিনি বছরের পর বছর করে আসছেন। কিন্তু সেই পরিচ্ছন্ন প্রস্তুতি শেষ পর্যন্ত তাঁকে রক্ষা করতে পারেনি রাতের অভিযানের হাত থেকে। সব মিলিয়ে বরফজাত করে তুলে দিয়েছিলেন ইসলাম পরিবহনের বাসে। নথুল্লাবাদে পৌঁছাতেই ফোন আসে, এনএসআই ড্রামসহ পুরো মালামাল ‘ঝাটকা’ উল্লেখ করে জব্দ করেছে।
এরপর শুরু হয় ফেরত চাওয়ার দীর্ঘ চেষ্টা। সেলিম তাঁর এক আত্মীয়কে কাশিপুরে পাঠান বৈধ পোয়া আর ফ্যাসা ফেরত আনার জন্য। কিন্তু এনএসআই সদস্যরা জানিয়ে দেন, মাছ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। পরদিন শিশু পরিবারে গেলে সেখানেও একই সুর। সমাজসেবার কর্মকর্তারা বলেন, মাছ তারা ইতোমধ্যেই এনএসআই ও মৎস্য বিভাগের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছেন। ফেরতের প্রশ্নই আসে না।
অভিযোগ, এরপর ওই আত্মীয়ের কাছ থেকে নেওয়া হয় একটি সাদা কাগজে ‘স্বেচ্ছায় মাছ বিতরণের’ মুচলেকা। যেন মাছ তিনি স্বেচ্ছায় দান করেছেন, এমন স্বীকারোক্তির কাগজে সই করিয়ে তবেই বিদায় দেওয়া হয়। এত কিছু ঘটনার পরও সরকারি দপ্তরের বক্তব্যে কিন্তু মিল নেই।
বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, ‘অভিযানে শুধু জাটকা জব্দ করা হয়েছে, বৈধ কোনো মাছ ছিল না। সমাজসেবার আটটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিকে গড়ে ৩০০টি করে জাকটা বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম।’
কিন্তু বরিশাল সরকারি শিশু পরিবার (বালক)-এর তত্ত্বাবধায়ক মো. আসিফ চৌধুরী সরাসরি স্বীকার করছেন, জাটকার সঙ্গে আনুমানিক ১০ কেজি পোয়া আর ফ্যাসা ছিল। মালিক তা চাইতে এসেছিলেন। কিন্তু যেহেতু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাছ বুঝিয়ে দিয়েছে, তাই ফেরত দেওয়া যায়নি। জাটকা বিতরণের আগে তার শিশু পরিবারটিতে ভাগ করা হয়েছিল। তিনি শিশু পরিবারে আনুমানিক ৩০০টি জাটকা পেয়েছেন।
এনএসআইয়ের অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণত জাটকা রক্ষার অভিযানে তাঁরা থাকেন না। এই প্রথম এমন অভিযান পরিচালনা করলেন গোয়েন্দা সংস্থাটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, ‘জাটকা রক্ষা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব, প্রয়োজনে যে কোনো বাহিনী অভিযান চালাতে পারে।’ তবে এনএসআইয়ের নেতৃত্বে জাটকা জব্দের ঘটনাকে তিনি ‘নজিরবিহীন’ বলেই উল্লেখ করেন।
রাত তখন প্রায় দেড়টা। বরগুনার তালতলী উপজেলার সাগরঘেঁষা তেঁতুলবাড়িয়া মাছঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়েছিল মাছবোঝাই একটি বাস। গভীর রাতে নথুল্লাবাদের কাছাকাছি পৌঁছাতেই থামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী পরিবহনটিকে।
এদিকে, গোপন তথ্যের সূত্র ধরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) অভিযান চালায় সেখানে। কাশিপুরের নিস্তব্ধতা ভেঙে তখন আলো ও মানুষের কোলাহল। বাসের বক্স খুলতেই মেলে জাটকার গন্ধ ভরা কয়েক ঝুড়ি। জব্দ করা হয় সবকিছু।
কিন্তু জাটকার সঙ্গে আরো অন্তত ১০০ কেজির মতো পোয়া আর সাগরের ফ্যাসা মাছ ছিল। এই মাছগুলো বৈধ। তবু সেগুলোও জব্দের তালিকায় চলে যায়। পরদিন সকালে বরিশালের সমাজসেবা অধিদপ্তরের আটটি শিশু পরিবারে মাছ বিতরণ হতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে মাত্র আট থেকে ১০ কেজি পোয়া মাছ বিতরণ করা হয়।
এছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আনুমানিক গড়ে ৩০০টি জাটকা পেয়েছেন। এসব তথ্য শিশু পারিবার ঘুরে নিশ্চিত হয়েছেন প্রতিবেদক।
জেলে সেলিম মাতুব্বরের গল্প এখানেই ঘুরে যায় অন্যদিকে। তেঁতুলবাড়িয়ার ঘাটের সেই পরিচিত মানুষটি বহু বছর ধরে ঢাকার বাড্ডার বাজারে মাছ পাঠান। ভোরের অন্ধকারে যখন জালের পানি এখনও দুই হাত ভিজিয়ে রাখে, তখনই তাঁর দিন শুরু হয়।
সেদিনও অন্য দিনের মতো বরফের ঠাণ্ডায় হাতে কাঁপুনি ধরে। সেই হাতে তিন ধরনের মাছ পলি ব্যাগে আলাদা করে সাজিয়েছিলেন তিনি।
প্রথমেই তুলে নেন ছোট-বড় আকারের পোয়া, যেগুলো পৃথক ১৭টি প্যাকেট করে রাখা ছিল। সেগুলোর ওজন দাঁড়ায় ৬৮ কেজি ৬০০ গ্রাম। এরপর আসে সাগর ফ্যাসা, যার ওজন মোটামুটি আট কেজি ৭০০ গ্রাম। সবশেষে মাথা-লেজ মিলে ১০ ইঞ্চি আকারের ইলিশ। সেগুলোর ওজন সামান্য হলেও ঢাকায় সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে বলে সুন্দরভাবে বরফে মুড়িয়ে ড্রামে রাখেন তিনি।
সব মিলিয়ে মাছগুলো সাজানো হয়েছিল একদম নিয়ম মেনে, যেমনটি তিনি বছরের পর বছর করে আসছেন। কিন্তু সেই পরিচ্ছন্ন প্রস্তুতি শেষ পর্যন্ত তাঁকে রক্ষা করতে পারেনি রাতের অভিযানের হাত থেকে। সব মিলিয়ে বরফজাত করে তুলে দিয়েছিলেন ইসলাম পরিবহনের বাসে। নথুল্লাবাদে পৌঁছাতেই ফোন আসে, এনএসআই ড্রামসহ পুরো মালামাল ‘ঝাটকা’ উল্লেখ করে জব্দ করেছে।
এরপর শুরু হয় ফেরত চাওয়ার দীর্ঘ চেষ্টা। সেলিম তাঁর এক আত্মীয়কে কাশিপুরে পাঠান বৈধ পোয়া আর ফ্যাসা ফেরত আনার জন্য। কিন্তু এনএসআই সদস্যরা জানিয়ে দেন, মাছ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। পরদিন শিশু পরিবারে গেলে সেখানেও একই সুর। সমাজসেবার কর্মকর্তারা বলেন, মাছ তারা ইতোমধ্যেই এনএসআই ও মৎস্য বিভাগের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছেন। ফেরতের প্রশ্নই আসে না।
অভিযোগ, এরপর ওই আত্মীয়ের কাছ থেকে নেওয়া হয় একটি সাদা কাগজে ‘স্বেচ্ছায় মাছ বিতরণের’ মুচলেকা। যেন মাছ তিনি স্বেচ্ছায় দান করেছেন, এমন স্বীকারোক্তির কাগজে সই করিয়ে তবেই বিদায় দেওয়া হয়। এত কিছু ঘটনার পরও সরকারি দপ্তরের বক্তব্যে কিন্তু মিল নেই।
বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, ‘অভিযানে শুধু জাটকা জব্দ করা হয়েছে, বৈধ কোনো মাছ ছিল না। সমাজসেবার আটটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিকে গড়ে ৩০০টি করে জাকটা বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম।’
কিন্তু বরিশাল সরকারি শিশু পরিবার (বালক)-এর তত্ত্বাবধায়ক মো. আসিফ চৌধুরী সরাসরি স্বীকার করছেন, জাটকার সঙ্গে আনুমানিক ১০ কেজি পোয়া আর ফ্যাসা ছিল। মালিক তা চাইতে এসেছিলেন। কিন্তু যেহেতু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাছ বুঝিয়ে দিয়েছে, তাই ফেরত দেওয়া যায়নি। জাটকা বিতরণের আগে তার শিশু পরিবারটিতে ভাগ করা হয়েছিল। তিনি শিশু পরিবারে আনুমানিক ৩০০টি জাটকা পেয়েছেন।
এনএসআইয়ের অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণত জাটকা রক্ষার অভিযানে তাঁরা থাকেন না। এই প্রথম এমন অভিযান পরিচালনা করলেন গোয়েন্দা সংস্থাটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, ‘জাটকা রক্ষা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব, প্রয়োজনে যে কোনো বাহিনী অভিযান চালাতে পারে।’ তবে এনএসআইয়ের নেতৃত্বে জাটকা জব্দের ঘটনাকে তিনি ‘নজিরবিহীন’ বলেই উল্লেখ করেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.