
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:৪৮
পিরোজপুরে আবুল কালাম শরীফ নামে একজনকে হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একজনকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত এবং মামলা চলাকালীন একজনের মৃত্যু হয়। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মজিবুর রহমান দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওয়াহিদ হাসান বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের মো. হানিফ শরীফের ছেলে এজাজা শরীফ (৩৮), একই গ্রামের হাবিব শরীফের ছেলে মো. আক্কাস শরীফ (৬৩), জবেদ আলী শরীফের ছেলে সাখায়েত শরীফ (৫১), আক্কাস শরীফের স্ত্রী শেফালী বেগম (৫৬), সাখায়েত শরীফের স্ত্রী হ্যাপি বেগম (৩৯), এজাজ শরীফের স্ত্রী লিমা বেগম (৩১) হানিফ শরীফের ছেলে মো. এমরান (৩৯)। এর মধ্যে মো. এমরানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত সাইজ উদ্দিন শরীফের নামে জেয়াফত খাওয়ানোর বিষয় নিয়ে সাইজ উদ্দিন শরীফের সন্তানদের সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলছিল।
ওই বিরোধের জেরে ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাতে ভুক্তভোগী আবুল কালাম শরীফ আসামি আক্কাস শরীফের বাড়ির সামনে থেকে আসার সময় আসামিরা তার ওপর হামলা চালান। এ সময় আসামিরা আবুল কালাম শরীফকে খুনের উদ্দেশে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ভুক্তভোগী আবুল কালাম শরীফকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন ২০১৪ সালের ১১ জুলাই নিহতের ভাই হাকিম শরীফ বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরের বছর ২০১৫ সালের ৪ মে পিরোজপুর সদর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুল্লাহ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওয়াহিদ হাসান বাবু বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস প্রদান করেন।
পিরোজপুরে আবুল কালাম শরীফ নামে একজনকে হত্যার দায়ে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একজনকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত এবং মামলা চলাকালীন একজনের মৃত্যু হয়। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মজিবুর রহমান দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওয়াহিদ হাসান বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের মো. হানিফ শরীফের ছেলে এজাজা শরীফ (৩৮), একই গ্রামের হাবিব শরীফের ছেলে মো. আক্কাস শরীফ (৬৩), জবেদ আলী শরীফের ছেলে সাখায়েত শরীফ (৫১), আক্কাস শরীফের স্ত্রী শেফালী বেগম (৫৬), সাখায়েত শরীফের স্ত্রী হ্যাপি বেগম (৩৯), এজাজ শরীফের স্ত্রী লিমা বেগম (৩১) হানিফ শরীফের ছেলে মো. এমরান (৩৯)। এর মধ্যে মো. এমরানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত সাইজ উদ্দিন শরীফের নামে জেয়াফত খাওয়ানোর বিষয় নিয়ে সাইজ উদ্দিন শরীফের সন্তানদের সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলছিল।
ওই বিরোধের জেরে ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাতে ভুক্তভোগী আবুল কালাম শরীফ আসামি আক্কাস শরীফের বাড়ির সামনে থেকে আসার সময় আসামিরা তার ওপর হামলা চালান। এ সময় আসামিরা আবুল কালাম শরীফকে খুনের উদ্দেশে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ভুক্তভোগী আবুল কালাম শরীফকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন ২০১৪ সালের ১১ জুলাই নিহতের ভাই হাকিম শরীফ বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরের বছর ২০১৫ সালের ৪ মে পিরোজপুর সদর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুল্লাহ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওয়াহিদ হাসান বাবু বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস প্রদান করেন।

০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:৪৫
নেছারাবাদে সহকারী শিক্ষক ও এক অভিভাবকের মধ্যে দুই দফায় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ঘিরে স্থানীয় শিক্ষক সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সারাদেশে চলমান কর্মবিরতির অংশ হিসেবে নেছারাবাদ উপজেলার সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। ২ ডিসেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হলেও সহকারী শিক্ষক না থাকায় পরীক্ষা পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় কমিটির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ১৬৯টি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক একযোগে উপজেলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিলে কয়েকজন অভিভাবক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় অভিভাবক মো. রুহুল আমীন ও সহকারী শিক্ষক আদনান হোসাইনের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা এবং পরে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক আদনান হোসনাইন বলেন, “আমরা কোনো বাধা দেইনি। নিরাপত্তার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদে অবস্থান করছিলাম। এমন সময় রুহুল আমীন এসে শিক্ষিকাদের গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করতেই তিনি আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালান।”
অভিভাবক মো. রুহুল আমীন দাবি করেন,“পরীক্ষার সময় শিক্ষকরা স্কুল ফেলে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তাতে বাচ্চাদের ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি জানতে চাইলে শিক্ষক আদনান হোসেন আমার ওপর চড়াও হয়।” উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার জসিম আহমেদ বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি দু:খজনক।
নেছারাবাদে সহকারী শিক্ষক ও এক অভিভাবকের মধ্যে দুই দফায় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ঘিরে স্থানীয় শিক্ষক সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সারাদেশে চলমান কর্মবিরতির অংশ হিসেবে নেছারাবাদ উপজেলার সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। ২ ডিসেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হলেও সহকারী শিক্ষক না থাকায় পরীক্ষা পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় কমিটির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ১৬৯টি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক একযোগে উপজেলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিলে কয়েকজন অভিভাবক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। এ সময় অভিভাবক মো. রুহুল আমীন ও সহকারী শিক্ষক আদনান হোসাইনের মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা এবং পরে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক আদনান হোসনাইন বলেন, “আমরা কোনো বাধা দেইনি। নিরাপত্তার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদে অবস্থান করছিলাম। এমন সময় রুহুল আমীন এসে শিক্ষিকাদের গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করতেই তিনি আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালান।”
অভিভাবক মো. রুহুল আমীন দাবি করেন,“পরীক্ষার সময় শিক্ষকরা স্কুল ফেলে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তাতে বাচ্চাদের ক্ষতি হচ্ছে। বিষয়টি জানতে চাইলে শিক্ষক আদনান হোসেন আমার ওপর চড়াও হয়।” উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার জসিম আহমেদ বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি দু:খজনক।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:০০
পিরোজপুরের নাজিরপুরে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত হেলাল সিকদারসহ পাঁচজনের একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এ সময় ভিডিও ধারণ করে চাঁদাও দাবি করেন তারা।
উপজেলার ২ নং মালিখালী ইউনিয়নের মিঠারকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক গৃহবধূ ও এক ব্যক্তিকে বিবস্ত্র করে বুকের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে নির্মম নির্যাতন করছেন কয়েকজন। এ সময় তারা বাঁচার তাগিদে চিৎকার করলেও নির্যাতন চালিয়ে যান অভিযুক্তরা।
এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী নারীর ভাসুরের ছেলে টুটুল সিকদার (৩২) বাদী হয়ে হেলাল সিকদারসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন হেলাল সিকদার (৩৫), মিলন সিকদার (৩৮), দেলোয়ার ওরফে দেলাল সিকদার (৩০), নান্নু সিকদার (৩৪), মামুন সিকদার (২৭)। তারা সবাই নাজিরপুর উপজেলার মিঠারকুল গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় ফোরকান মোল্লার ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকার সুবাদে গত ৬ আগস্ট রাতে তিনি ভুক্তভোগীর বাড়িতে যান। এ সময় অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তার স্বামী ঘরে না থাকায় পরকীয়ার আখ্যা দিয়ে বেঁধে উভয়কে বিবস্ত্র করে বেধরক মারধর করে তার ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে আরো বলেন, টাকা না থাকায় ঘরে থাকা আনুমানিক ২ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা এবং হুমকি দিয়ে বলে আগামী ২ দিনের মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ না করলে তাদের এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়া হবে। তাদের দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে মোবাইল ফোন থেকে আপত্তিকর ভিডিওটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে ভুক্তভোগীর ব্যাপক মানসম্মানের ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী মোবাইল ফোনে জানান, তারা ষড়যন্ত্র করে আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ন করেছে। জায়গা-জমি নিয়ে ঝামেলা থাকায় আমার সঙ্গে এমন ঘটনা করেছে। আমি এখন বাড়িছাড়া আছি। আপনারা একটু দেখেন আমি যেন বাড়ি এসে শান্তি-শৃঙ্খলাভাবে বসবাস করতে পারি ও ন্যায়বিচার পেতে পারি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হেলাল সিকদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
পিরোজপুরের নাজিরপুরে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত হেলাল সিকদারসহ পাঁচজনের একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এ সময় ভিডিও ধারণ করে চাঁদাও দাবি করেন তারা।
উপজেলার ২ নং মালিখালী ইউনিয়নের মিঠারকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক গৃহবধূ ও এক ব্যক্তিকে বিবস্ত্র করে বুকের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে নির্মম নির্যাতন করছেন কয়েকজন। এ সময় তারা বাঁচার তাগিদে চিৎকার করলেও নির্যাতন চালিয়ে যান অভিযুক্তরা।
এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী নারীর ভাসুরের ছেলে টুটুল সিকদার (৩২) বাদী হয়ে হেলাল সিকদারসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন হেলাল সিকদার (৩৫), মিলন সিকদার (৩৮), দেলোয়ার ওরফে দেলাল সিকদার (৩০), নান্নু সিকদার (৩৪), মামুন সিকদার (২৭)। তারা সবাই নাজিরপুর উপজেলার মিঠারকুল গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় ফোরকান মোল্লার ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকার সুবাদে গত ৬ আগস্ট রাতে তিনি ভুক্তভোগীর বাড়িতে যান। এ সময় অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তার স্বামী ঘরে না থাকায় পরকীয়ার আখ্যা দিয়ে বেঁধে উভয়কে বিবস্ত্র করে বেধরক মারধর করে তার ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে আরো বলেন, টাকা না থাকায় ঘরে থাকা আনুমানিক ২ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা এবং হুমকি দিয়ে বলে আগামী ২ দিনের মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ না করলে তাদের এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়া হবে। তাদের দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে মোবাইল ফোন থেকে আপত্তিকর ভিডিওটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে ভুক্তভোগীর ব্যাপক মানসম্মানের ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী মোবাইল ফোনে জানান, তারা ষড়যন্ত্র করে আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ন করেছে। জায়গা-জমি নিয়ে ঝামেলা থাকায় আমার সঙ্গে এমন ঘটনা করেছে। আমি এখন বাড়িছাড়া আছি। আপনারা একটু দেখেন আমি যেন বাড়ি এসে শান্তি-শৃঙ্খলাভাবে বসবাস করতে পারি ও ন্যায়বিচার পেতে পারি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হেলাল সিকদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩২
পিরোজপুরে মাদক মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় বাকি দুই আসামিকে আলাদা আলাদা সাজা দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমানের আদালতে এ রায় দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শারমীন আক্তারকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অনাদায় বিশ হাজার টাকা জরিমান, মেহেদী হাসান মুন্নাকে (১৯) ১ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড অনাদায় ৩ হাজার টাকা জরিমান, ইকতার জাহান তিশাকে (২২) ১ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড অনাদায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কাউখালী উপজেলা শিয়ালকাঠি এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ৮ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ও ২ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকাসহ তিনজন আসামিকে আটক করে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বদরুল হাসান বাদী হয়ে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে একটি মাদক মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ দুইজনকে দণ্ডাদেশ দেন। রায় প্রদানকালে তিন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আকন জানান, একটি মাদক মামলায় প্রধান আসামি মো. শারমীন আক্তারকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অনাদায় বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাকি দুই আসামিকে আলাদা আলাদা দণ্ডাদেশ দেন। একজন আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। আদালতের এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করছে।
পিরোজপুরে মাদক মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় বাকি দুই আসামিকে আলাদা আলাদা সাজা দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমানের আদালতে এ রায় দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শারমীন আক্তারকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অনাদায় বিশ হাজার টাকা জরিমান, মেহেদী হাসান মুন্নাকে (১৯) ১ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড অনাদায় ৩ হাজার টাকা জরিমান, ইকতার জাহান তিশাকে (২২) ১ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড অনাদায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কাউখালী উপজেলা শিয়ালকাঠি এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে ৮ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ও ২ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকাসহ তিনজন আসামিকে আটক করে। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বদরুল হাসান বাদী হয়ে ২০২২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে একটি মাদক মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ দুইজনকে দণ্ডাদেশ দেন। রায় প্রদানকালে তিন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আকন জানান, একটি মাদক মামলায় প্রধান আসামি মো. শারমীন আক্তারকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অনাদায় বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাকি দুই আসামিকে আলাদা আলাদা দণ্ডাদেশ দেন। একজন আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। আদালতের এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.