https://joinnavy.navy.mil.bd/

রাজনীতি

দেশে ফিরতে চান শেখ হাসিনা, তবে...

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৩১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

দেশে ফিরতে চান শেখ হাসিনা, তবে...

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি এর সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন—তিনি শুধু ‘বৈধ’ সরকারের অধীনে দেশে ফিরতে চান।

আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত রয়টার্সের এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা তার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে এমন তথ্য জানান।

জুলাইয়ের অভ্যুত্থান, সহিংস দমন-পীড়ন ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুমসহ একাধিক অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলছে।

ট্রাইব্যুনাল গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ প্রকাশ বা প্রচার নিষিদ্ধ করেছে।

রয়টার্সকে ই-মেইলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত কোনো সরকারের অধীনে দেশে ফিরবেন না বলে জানান শেখ হাসিনা। আপাতত ভারতে থাকার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি রয়টার্সকে জানান, তিনি দেশে ফিরতে চান।

তবে তার শর্ত একটাই। বাংলাদেশে বৈধ সরকার থাকলেই দেশে ফিরবেন তিনি। একই সঙ্গে প্রকৃত আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকতে হবে।

ওদিকে লন্ডনের ইন্ডিপেন্ডেন্টকে আলাদাভাবে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি গত বছর ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভের সময় নিহতদের বিষয়ে ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

আলাদাভাবে তিনি বৃটেনের দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে গণআন্দোলনে নিহতদের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট তার এই বক্তব্যই তাদের শিরোনাম করেছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। ওই সময়ের ‘জুলাই গণহত্যা’র ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলমান। শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে ইতিমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:

এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক ফেনীর রিজভীকে অব্যাহতি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:১৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক ফেনীর রিজভীকে অব্যাহতি

এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ফেনীর আজিজুর রহমান রিজভীকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আজিজুর রহমান রিজভীর বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের একটি অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। ওই ঘটনায় তার আচরণ সংগঠনের নীতিবিরুদ্ধ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় তাকে দলের সব দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

একই সাথে তাকে কেন দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না; আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তার যথাযথ ব্যাখ্যা শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল-আমিন বরাবর দাখিলের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত রিজভী ফেনীর পৌর এলাকার ইমাম বাক্স হাজী বাড়ির সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ

বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ)। তিনি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর যমজ ভাই।

আজ মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির সদস্যপদ নেন স্নিগ্ধ। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের এক বার্তায় বলা হয়েছে, মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করে দলের নতুন সদস্য হয়েছেন। এ সময় স্নিগ্ধের বাবা মোস্তাফিজুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।

গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়। সে সময় ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল স্নিগ্ধকে। পরে তিনি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হন। গত ৮ মে তিনি এ পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটসের উপ- প্রধান জাতীয় কমিশনারের দায়িত্বে আছেন।

মনোনয়ন ঘোষণার পরই বাগমারায় প্রতিহিংসার শিকার বিএনপি নেতা!

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:৪৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মনোনয়ন ঘোষণার পরই বাগমারায় প্রতিহিংসার শিকার বিএনপি নেতা!

দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরই রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের বিএনপির প্রার্থী ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়ার সমর্থকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দীঘিতে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলা বিএনপির সদস্য ও গোবিন্দাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের দীঘিতে বিষ প্রয়োগ করা হয়।

গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন এলাকায় হাবিবুর রহমানের ওই দীঘি। ৩৫ বিঘা আয়তনের ওই দীঘিতে বিষ প্রয়োগের কারণে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি হাবিবুর রহমানের।

তার অভিযোগ, ডিএম জিয়াউর রহমানের অনুসারীরা দীঘিতে বিষ দিয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে ডিএম জিয়াউর রহমান বলেছেন, নিজে নিজে বিষ দিয়েছেন হাবিবুর। তাও দীঘির একটি মাছও মরেনি। মাছ মারা গেলে তিনি ক্ষতিপূরণ দেবেন।

সোমবার বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমানকে এ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেনও। হাবিবুর রহমান অধ্যাপক কামাল হোসেনের অনুসারী।

চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, আমি বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত অধ্যাপক কামাল হোসেনের অনুসারী। রাজনৈতিক কারণে আমার দীঘিতে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। মনোনয়ন ঘোষণার পর রাতেই বিষ প্রয়োগ করা হয়। সকালে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকলে পাহারাদার বিষয়টি লক্ষ্য করে আমাকে জানান।

তিনি দাবি করেন, দীঘির আয়তন ৩৫ বিঘা। তার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা।

হাবিবুর বলেন, আমার দীঘির পাশেই বিল। বিলের মাছচাষি খুরশেদ, রফিক, সাইফুল, সাইদুরসহ কয়েকজনকে জিয়ার সমর্থক আয়নাল, রেজাউল, শহিদুল মেম্বার ও আব্দুল হুমকি দিয়ে বলেছে- ‘আমাদের সঙ্গে থাকলে না, এখন যেন পুকুর থেকে মাছ মারা না হয়।’ এরপর রাতেই আমার দীঘিতে বিষ দেওয়া হয়েছে। বিলে তো আমার দীঘি না। আমার ক্ষতিটা করল কেন? এ বিষয়টা পুলিশকে জানিয়েছি। দেখি, পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয়।’

জানতে চাইলে ডিএম জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগ শুনে আমি লোক পাঠিয়েছিলাম। দীঘির মাছ মরেনি। হাবিবুর নিজে নিজে বিষ দিয়েছেন। এমন বিষ যে ছোট মাছ মারা যাবে, বড় মাছ মরবে না- সে রকম ছোট ছোট কিছু মাছ মরেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। মাছ যদি মারা যায় আমি নিজে তাকে ক্ষতিপূরণ দেব।

বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, হাবিবুর রহমান মৌখিকভাবে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ হলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.