
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৩
কক্সবাজার শহরে আলোচিত এক আওয়ামী লীগ নেত্রীকে রক্ষার আশ্বাস দিয়ে দুই লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা নুরউদ্দিন খাঁন কোম্পানির বিরুদ্ধে। শুধু টাকা নেওয়াই নয়, পবিত্র কুরআন শরীফ মাথায় রেখে এই টাকা গ্রহণ করতে দেখা গেছে তাকে।
বহু অপরাধের হোতা হিসেবে অভিযুক্ত নুরউদ্দিন খাঁন শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির পূর্ব শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। গোপনে ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়ার আওয়ামী লীগ নেত্রী রোজিনা আক্তারকে রাজনৈতিক ও পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা করার আশ্বাস দিতে মাথায় কুরআন তুলেছেন নুরউদ্দিন খাঁন।
একই সঙ্গে তার হাত থেকে নগদ দুই লাখ টাকাও নিতেও দেখা গেছে তাকে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আওয়ামী লীগ নেত্রী রোজিনা আক্তারের অভিযোগ, রাজনৈতিক আশ্রয় ও পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষার কথা বলে প্রথমে দুই লাখ টাকা নেন নুরউদ্দিন। কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি, টাকা নেওয়ার পরও তিনি আরও অর্থ দাবি করেন।
রোজিনা বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম তিনি আমাকে বিপদ থেকে বাঁচাবেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও আরও টাকার জন্য চাপ দেন। আমি রাজি না হলে হত্যার পর ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এখন আমি ভয়ে আছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি নেতা নুরউদ্দিনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের অভিযোগ বহু বছর ধরে প্রচলিত রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব অপকর্মের পরও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তিনি বারবার আইনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। শহরের এক ব্যবসায়ী বলেন, নুরউদ্দিনের নাম শুনলেই মানুষ আতঙ্কিত হয়ে যায়। অথচ আজ তিনি কুরআন মাথায় রেখে টাকা নিচ্ছেন; এটা শুধু প্রতারণা নয়, ভয়ঙ্কর রসিকতাও।
ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভের ঝড় ওঠে। অনেকে লিখেছেন, পবিত্র কুরআনকে সামনে রেখে এভাবে প্রতারণা ধর্মীয় অবমাননার সামিল। কেউ কটাক্ষ করে লিখেছেন, এবার বুঝি কুরআন দিয়ে টাকা তোলার নতুন ব্যবসা শুরু হলো।
এক বিএনপি কর্মী লিখেছেন, যে মানুষ কুরআনকে হাতিয়ার বানায়, সে সমাজের নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। ঘটনাটি জেলায় তোলপাড় সৃষ্টি করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাকআপ থাকায় নুরউদ্দিন সবসময় পার পেয়ে যান।
বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, কুরআন ছুঁয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার ঘটনা শুধু কক্সবাজার নয়, দেশজুড়ে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিব্রতকর আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নুরউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়, তবে এবার ভিডিও প্রমাণে হাতে-নাতে ধরা পড়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা কেবল ব্যক্তিগত দুর্নীতি নয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতির নগ্ন প্রতিফলন। যেখানে মানুষকে বাঁচানো বা ফাঁসানো নির্ভর করছে টাকার লেনদেনের ওপর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা নুরউদ্দিন খাঁন বলেন, আমি এলাকার সমাজপতি, বিচার-শালিশ সব আমি করি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এটার প্রতিবাদও দিয়েছি।
কেনো কুরআন মাথায় তুলে টাকা নিলেন- এমন প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে ফোন কেটে দেন এবং পরে প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন। এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, এমন একটি ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে। তবে এখনো কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হতো। তারপরও আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি।
কক্সবাজার পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি আমাদের নজরে আসার পর থেকে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। প্রথমে তাকে শোকজ করা হবে। যদি যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার শহরে আলোচিত এক আওয়ামী লীগ নেত্রীকে রক্ষার আশ্বাস দিয়ে দুই লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা নুরউদ্দিন খাঁন কোম্পানির বিরুদ্ধে। শুধু টাকা নেওয়াই নয়, পবিত্র কুরআন শরীফ মাথায় রেখে এই টাকা গ্রহণ করতে দেখা গেছে তাকে।
বহু অপরাধের হোতা হিসেবে অভিযুক্ত নুরউদ্দিন খাঁন শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির পূর্ব শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। গোপনে ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতি পাড়ার আওয়ামী লীগ নেত্রী রোজিনা আক্তারকে রাজনৈতিক ও পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা করার আশ্বাস দিতে মাথায় কুরআন তুলেছেন নুরউদ্দিন খাঁন।
একই সঙ্গে তার হাত থেকে নগদ দুই লাখ টাকাও নিতেও দেখা গেছে তাকে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আওয়ামী লীগ নেত্রী রোজিনা আক্তারের অভিযোগ, রাজনৈতিক আশ্রয় ও পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষার কথা বলে প্রথমে দুই লাখ টাকা নেন নুরউদ্দিন। কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি, টাকা নেওয়ার পরও তিনি আরও অর্থ দাবি করেন।
রোজিনা বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম তিনি আমাকে বিপদ থেকে বাঁচাবেন। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও আরও টাকার জন্য চাপ দেন। আমি রাজি না হলে হত্যার পর ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এখন আমি ভয়ে আছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি নেতা নুরউদ্দিনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের অভিযোগ বহু বছর ধরে প্রচলিত রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব অপকর্মের পরও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তিনি বারবার আইনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। শহরের এক ব্যবসায়ী বলেন, নুরউদ্দিনের নাম শুনলেই মানুষ আতঙ্কিত হয়ে যায়। অথচ আজ তিনি কুরআন মাথায় রেখে টাকা নিচ্ছেন; এটা শুধু প্রতারণা নয়, ভয়ঙ্কর রসিকতাও।
ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভের ঝড় ওঠে। অনেকে লিখেছেন, পবিত্র কুরআনকে সামনে রেখে এভাবে প্রতারণা ধর্মীয় অবমাননার সামিল। কেউ কটাক্ষ করে লিখেছেন, এবার বুঝি কুরআন দিয়ে টাকা তোলার নতুন ব্যবসা শুরু হলো।
এক বিএনপি কর্মী লিখেছেন, যে মানুষ কুরআনকে হাতিয়ার বানায়, সে সমাজের নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। ঘটনাটি জেলায় তোলপাড় সৃষ্টি করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাকআপ থাকায় নুরউদ্দিন সবসময় পার পেয়ে যান।
বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, কুরআন ছুঁয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার ঘটনা শুধু কক্সবাজার নয়, দেশজুড়ে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিব্রতকর আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নুরউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়, তবে এবার ভিডিও প্রমাণে হাতে-নাতে ধরা পড়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা কেবল ব্যক্তিগত দুর্নীতি নয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতির নগ্ন প্রতিফলন। যেখানে মানুষকে বাঁচানো বা ফাঁসানো নির্ভর করছে টাকার লেনদেনের ওপর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা নুরউদ্দিন খাঁন বলেন, আমি এলাকার সমাজপতি, বিচার-শালিশ সব আমি করি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এটার প্রতিবাদও দিয়েছি।
কেনো কুরআন মাথায় তুলে টাকা নিলেন- এমন প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে ফোন কেটে দেন এবং পরে প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন। এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, এমন একটি ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে। তবে এখনো কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হতো। তারপরও আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি।
কক্সবাজার পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি আমাদের নজরে আসার পর থেকে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। প্রথমে তাকে শোকজ করা হবে। যদি যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৮
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.