https://jamunabankbd.com/

সারাদেশ

ডেঙ্গু টিকা কেন ব্যবহার করছে না বাংলাদেশ

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

 ডেঙ্গু টিকা কেন ব্যবহার করছে না বাংলাদেশ

চলতি বছরের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৭ জনে। একই সময়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৬ হাজার ৫১৪ জন। এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কা কাটছে না সাধারণ মানুষের। ডেঙ্গু মোকাবিলা করার উপায় নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা। ডেঙ্গুর কি কোনো ভ্যাকসিন বা টিকা আছে? বাংলাদেশে এই টিকা কেন ব্যবহার করা হয় না?

সাধারণত বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ে চিন্তায় থাকতো মানুষ। কিন্তু এখন আর কোনো মৌসুম নেই। বছরের যেকোনো সময়ই হতে পারে ডেঙ্গু জ্বর।

কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নগরায়নসহ নানা কারণে এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। আর এ কারণেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যাও আরও বাড়বে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একদিকে যেমন ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশার বিস্তার ঠেকাতে হবে আবার ভ্যাকসিন বা টিকার ব্যবহারও বাড়ানোর কথা বলছেন তারা।

তবে, ডেঙ্গুর কার্যকর ভ্যাকসিন আছে কি না এমন প্রশ্ন এখনো রয়ে গেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, টিকা আবিষ্কার হলেও সেগুলো সবার উপযোগী নয়।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোশতাক হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর জন্য দুটি টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে, সেগুলো ব্যবহারেও রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা।

আর এ কারণেই বিশ্বের অনেক দেশ ডেঙ্গু টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিলেও বাংলাদেশ এখনো এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এছাড়া টিকা ব্যবহারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে রাজনৈতিক লাভ-ক্ষতির বিষয়টিও জড়িত বলে মনে করেন কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, টিকার অনুমোদন দিতে আগে এই রোগকে এপিডেমিক ডিক্লেয়ার করতে হবে। কিন্তু সেটা করলে তো সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে।

এছাড়া এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক আরও বেড়ে যেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। ডেঙ্গু মোকাবিলায় টিকার থেকে মানুষের সচেতনতা বেশি জরুরি বলেও মনে করেন অধ্যাপক বাশার।

ভ্যাকসিন নিয়ে যা জানা যাচ্ছে

কেবল বাংলাদেশ নয় ডেঙ্গুর প্রভাব রয়েছে বিশ্বজুড়েই। বিশেষ করে আফ্রিকা ও মধ্য আমেরিকার দেশগুলোতে এর ব্যাপ্তি ভয়াবহ। ইউরোপ-আমেরিকার নানা উন্নত দেশও ডেঙ্গুমুক্ত নয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় চারশ কোটি মানুষ ডেঙ্গু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করে।

বিশ্ব পরিসরে ডেঙ্গুর এমন প্রভাব থাকলেও এর ভ্যাকসিন বা টিকা খুব একটা বিস্তার লাভ করেনি। ডেঙ্গু মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত ‘ডেঙ্গাভেক্সিয়া’ এবং ‘কিউডেঙ্গা’ নামে দুই ধরনের টিকা পৌঁছেছে মানুষের হাতে।

ফ্রান্সের বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান সানোফি-অ্যাভেন্টিজের ডেঙ্গু টিকা ‘ডেঙ্গাভেক্সিয়া’ অনুমোদন দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।

এছাড়া ২০২৩ সালে জাপানের তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালসের ডেঙ্গু টিকা ‘কিউডেঙ্গা’র অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দুই ডোজের এই টিকা শুধু ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।

তবে এর কোনোটিই ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি বাংলাদেশ সরকার। অর্থাৎ বাংলাদেশে ডেঙ্গু টিকা ব্যবহারের সুযোগ নেই। এর কারণ হিসেবে দুই ধরনের টিকারই নানা সীমাবদ্ধতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলছেন কীটতত্ত্ববিদ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ডেঙ্গুর ভ্যাক্সিনের কিছু লিমিটেশনস আছে, একটা নির্দিষ্ট বয়সের মানুষকে ছাড়া দেওয়া যায় না, ১৬ বছরের নিচে বয়স হতে হয়।

এছাড়া ‘ডেঙ্গাভেক্সিয়া’ দিতে হলে আগে একবার ডেঙ্গু হতে হবে। ডেঙ্গু যার জীবনে কখনো হয়নি তাকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না, বলেন তিনি।

বাংলাদেশে ডেঙ্গু টিকার ট্রায়াল

এখনো ডেঙ্গু টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি বাংলাদেশ। তবে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের আবিষ্কার করা ডেঙ্গু টিকার দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বা আইসিডিডিআরবির গবেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের লার্নার কলেজ অব মেডিসিন এবং বাংলাদেশের আইসিডিডিআরবির গবেষকরা যৌথভাবে এটি পরিচালনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথ বা এনআইএই আবিষ্কৃত ওই টিকার নাম দেয়া হয়েছিল টিভি০০৫।

ওই সময় বলা হয়েছিল, ভারতে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা সফল হলে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। তবে পরবর্তী সময় এ নিয়ে আর আলোচনা এগোয়নি বলে জানান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোশতাক হোসেন।

তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে ডেঙ্গু যে পর্যায়ে যাচ্ছে এবং এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে খুব একটা সফলতাও আমরা দেখাতে পারছি না তাতে ভ্যাকসিন আনা যায় কি না এটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার সময় এসেছে’।

ডেঙ্গু ভ্যাসকিনের পাশাপাশি কমিউনিটি অ্যাওয়ারনেস বা সাধারণ মানুষের সচেতনতার কথা বলছেন কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন ব্যবহার করার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশে। এটি নিতেও আমাদের সময় লাগবে কারণ এখানে সরকারি সিদ্ধান্ত, বিশেষজ্ঞ মতামত, ট্রায়ালসহ নানা বিষয় জড়িত’।

‘তবে মানুষ যদি নিজে থেকেই পরিচ্ছন্ন থাকা, পানি জমতে না দেওয়া, মশারি টাঙানো এমন পদক্ষেপগুলো নেয় তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব’, বলেন তিনি।

আরও পড়ুন:

দেশে ফিরলো ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪ বাংলাদেশি তরুণী

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

দেশে ফিরলো ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪ বাংলাদেশি তরুণী

দালালের খপ্পরে পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়া চার তরুণীকে আটক করার পর বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (২৬ ন‌ভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটার কেদার সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

এই চার তরুণী হলেন— পাবনা সদর থানার মালিগাছা গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার মেয়ের আঁখি খাতুন (২০), ব্রাহ্মনবাড়িয়ার মিরপুর থানার বাঞ্চারামপুর গ্রামের হাবিব মিয়ার মেয়ে আদিবা আকতার (২৩),নেত্রকোনার দূর্গাপুর থানার বাওয়ই পাড়ার নাছির উদ্দিনের মেয়ে শিরিনা আকতার (২৬), শরিয়তপুরের নড়িয়া থানার লুংসিং গ্রামের হিরু সরদারের মেয়ে তাসমিয়া আকতার (১৮)।

পতাকা বৈঠক এবং তরুণীদের হস্তান্তরের তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী।

এই চার তরুণী ঢাকার বাড্ডা থানার নুতুন বাজার এলাকায় একটি বাসায় ভারা থাকতেন। তাদের তিনজন একটি বিউটি পার্লারে এবং অপর একজন একটি তৈরি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন।

আঁখি আকতার জানান, তাদের পূর্বপরিচিত জান্নাত নামের এক নারীর প্রলোভনে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর সিলেটের জাফলং সীমান্ত পার হন। সীমান্তের ওপারে তাদের জন্য একটি প্রাইভেট কার অপেক্ষা করছিলো। সেই কারে উঠে তারা আসামের রাজধানী গুয়াহাটি পৌছান। ২৩ নভেম্বর পুলিশ তাদের আটক করে।

আঁখি বলেন, “আমরা উন্নত জীবন আর ভালো কাজ লোভে পড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলাম। আমরা ভুল করেছিলাম।”

পরে বুধবার (২৬ নভেম্বর) কচাকাটা সীমান্তের মেইন পিলার ১০১৫-এর কাছে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন হাবিলদার শাহজাহান আলী, আর বিএসএফের পক্ষ থেকে ছিলেন ইনস্পেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চার যুবতীকে বিজিবির জিম্মায় নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় তাদেরকে কচাকাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) লুৎফর রহমান বলেন, “চারজন বাংলাদেশি নারী ভারতে আটক হওয়ার পর ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা কেদার বিওপির বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে তাদের ফেরত পাঠায়। পরে বিজিবি সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের থানায় হস্তান্তর করেছেন। আমরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বজনরা এসে নিয়ম মেনে জিম্মায় নিয়ে যাবেন।”

প্রাথমিকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু, বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে সংশয়

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

প্রাথমিকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু, বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে সংশয়

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না করায় এবার ‘লাগাতার’ কর্মবিরতির শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে বার্ষিক পরীক্ষাও বর্জন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ লাগাতার এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির পাঁচজন আহ্বায়কের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আহ্বায়করা হলেন- মো. আবুল কাশেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি, মু. মাহবুবুর রহমান, মো. আনোয়ার উল্যা।

পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আজ থেকে আমাদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না করে শিক্ষকরা কেউ কাজে যোগ দেবেন না। আমরা মনে করি, এ আন্দোলন প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদার লড়াই। আমরা চাই, সরকার গত ১২ নভেম্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা দ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হোক।

দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। কিন্তু সরকার আপাতত আমাদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার আশ্বাস দিয়েছে৷ পরবর্তীতে তা দশম গ্রেডে উন্নীত করা হবে। এছাড়া পদোন্নতি ও স্কেল বিষয়ে আমাদের দুটি দাবি রয়েছে। সেগুলোও পূরণ করতেই হবে।

এর আগে গত ২৫ নভেম্বর থেকে তিনদিনের কর্মবিরতির ডাক দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’। তাদের ডাকা কর্মবিরতি চলছে। এর মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিলো।

এদিকে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। শিক্ষকদের এ কর্মবিরতিতে বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১ কোটি শিশুশিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। আর শিক্ষক রয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সম্প্রতি দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। আর সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেড পাচ্ছেন। এ নিয়ে অসন্তুষ্ট সহকারী শিক্ষকরা।

বাজারে মিলছে কাঁচা আম, কেজি ৫০০

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাজারে মিলছে কাঁচা আম, কেজি ৫০০

বছরের গ্রীষ্ম শুরু হলেই সাধারণত বাজারে কাঁচা আমের দেখা মেলে। তবে এবারে ব্যতিক্রম। শীতের শুরুতেই কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে কাঁচা আম। বাজারে নতুন মৌসুমি ফলের প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি আকর্ষণের কারণে দামও চড়া।

মানভেদে কাঁচা আমের কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত জুন মাসের শুরুতে টেকনাফে কাঁচা আম বাজারে আসে। কিন্তু এবার কয়েক মাস আগেই বাজারে আম পাওয়া যাচ্ছে। সরবরাহ কম ও আগাম মৌসুম হওয়ায় দামে কিছুটা বৃদ্ধি দেখা গেছে।

তাদের মতে, নতুন কোনো ফল বা পণ্য বাজারে এলে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি থাকে। কাঁচা আমের ক্ষেত্রেও তেমনটাই দেখা যাচ্ছে। চাহিদা বেশি থাকলেও সরবরাহ কম হওয়ায় দাম স্বাভাবিকভাবেই বেশি।

টেকনাফের আম ব্যবসায়ী আব্দুল মোনাফ বলেন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে আনা এসব আম আগাম জাতের।

বাড়তি দাম পাওয়ার আশায় আঁটি হওয়ার আগেই আম পাড়ছেন চাষিরা। তিনি বলেন, বৈশাখের পর সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) টেকনাফ পৌরসভার বাজারে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা কাঁচা আম কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। দরদাম করলে কিছু দোকানে ৪৫০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা আম বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এখন যে আম বাজারে আছে, তা সবার জন্য নয়। এক শ্রেণির ক্রেতা শখ করে কিনছেন। বেশির ভাগই মেয়েদের জন্য নিচ্ছেন কেউ স্ত্রী, কেউ বোন বা বান্ধবীর জন্য। এখন বাজারে যে আম এসেছে তা বিশেষভাবে কাঁচা বিক্রির জন্যই চাষ করা হয়েছে। শিগগিরই সব ধরনের কাঁচা আম আসবে এবং দামও কমবে।’

ক্রেতা আব্দুল রায়হান শখ করে আম কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এত আগে কাঁচা আম দেখে অবাক হয়েছি, তাই ছবি তুলে স্ত্রীকে পাঠালাম। সঙ্গে সঙ্গে সে বলল, দাম যা-ই হোক নিয়ে আসতে। আসলে মেয়েদের আমের প্রতি আকর্ষণ একটু আলাদা।’

তবে সবার পক্ষে এখন এই দাম বহন করা সম্ভব নয়। এনজিওকর্মী রাফিয়া সোলতানা মিম বলেন, ‘আগাম আম দেখে ভালো লাগল। কিন্তু দাম এত বেশি যে এখন কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। যাদের সামর্থ্য আছে তারাই কিনছে। কয়েক দিন পর দাম কমলে খাব।’

কৃষিবিদদের মতে, দেশের মধ্যে টেকনাফই একমাত্র এলাকা যেখানে বিশেষ আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে আগাম আম আসে। তারা জানান, টেকনাফের কয়েকটি গ্রামে এমন জলবায়ু আছে, যা শীতের শুরুতেই আম আসতে সহায়তা করে। তাদের গবেষণায় দেখা যায়, একই জাতের বীজ গাজীপুরে রোপণ করার পরও একই ফলন পাওয়া যায়নি। গাজীপুরে আম স্বাভাবিক মৌসুমেই ধরেছে, তবে টেকনাফে এসেছে আগাম।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, ‘দুই বছর আগে আগাম আম ফলন নিয়ে গবেষণা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, টেকনাফের কিছু এলাকার আবহাওয়ার কারণেই আম আগেভাগে ফল দিতে পারে। অন্যত্র একই ফলন পাওয়া যায় না।’

আগাম কাঁচা আমের আগমনে টেকনাফের বাজারে এখন উৎসবের আমেজ, তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতাই অপেক্ষায় রয়েছেন সরবরাহ বাড়লেই তারা উপভোগ করবেন মৌসুমের প্রথম আমের স্বাদ।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.