https://joinnavy.navy.mil.bd/

সারাদেশ

বাল্যবিয়ে করতে এসে কারাগারে গেলেন বর

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:০৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাল্যবিয়ে করতে এসে কারাগারে গেলেন বর

প্যান্ডেল ঘেরা বাড়িতে চলছিল বাল্যবিয়ের আয়োজন। বাজছিল বিয়ের গান। কেউ কেউ টেবিলে বসে ভোজও সারছিলেন। অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া ইতি খাতুনকে ঘটা করে বিয়ে করতে এসেছিলেন বরও। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযানে মুহূর্তেই বদলে যায় বিয়েবাড়ির সেই চিত্র।

বাল্যবিয়ে করতে আসার অপরাধে বর বাহারুল ইসলামকে (২৫) দুই মাসের জেল দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ। একই সঙ্গে বরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর নতুনপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করা হয়। শিক্ষার্থী ইতি খাতুন ওই গ্রামের শামসুল হকের মেয়ে।

নাজিরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইতি খাতুনকে বুধবার (০১ অক্টোবর) বিয়ের সাজে সাজানো হয়েছিল। বাল্যবিয়ের কবল থেকে রক্ষা পেয়ে ইতি জানায়, অনেক দূর পর্যন্ত লেখা-পড়ার ইচ্ছে আমার।

কিন্তু পিতামাতা আর প্রতিবেশীর চাপে পড়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল। সময় মতো এসে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করায় ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা। এখন আবার বিদ্যালয়ে যেতে পারব, সহপাঠীদের সঙ্গে খেলা করতে পারব ভেবে আনন্দ হচ্ছে।

বাল্যবিয়ে করতে আসা বর বাহারুল ইসলাম গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের নবির উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। মেয়ে দেখতে ভালো হওয়ায় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব আলী।

তিনি বলেন, ‘বার বার বাধা নিষেধ করলেও কন্যার পিতা সামসুল তা মানেননি।’ নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, দূরন্ত ও চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে ইতি শিক্ষার্থী হিসেবে খুব ভালো। শুধু পড়াশোনা নয়, খেলাধুলাতেও পারদর্শী। অথচ খেলাপড়া বন্ধ করে জোর করে বিয়ে দিচ্ছিল পরিবারের লোকজন।

শিক্ষক হিসেবে তিনি বাল্য বিয়েটি বন্ধের জন্য চেষ্টা করেছেন। বিয়ে বন্ধ করে বরের জেল-জরিমানায় তিনিও খুশি। বরের জেল-জরিমানার বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আলোচনা করা হবে। যাতে বাল্যবিয়ের সম্পর্কে জেনে নারী শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে আরও সাহসী হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালান তিনি। এ সময় বরকে হাতেনাতে ধরা হয়। বাল্যবিয়ের শাস্তি হিসেবে ২ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে মেয়ের পরিবারকেও।

তিনি বলেন, বাল্যবিয়ের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে অল্প বয়সে মা হওয়া। মা হতে গিয়ে অনেক সময় জরায়ু ছিঁড়ে যাওয়াসহ জরায়ুতে ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে। জেনে না জেনে কিশোরীদেরকে ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে পরিবারগুলো।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ও এর কুফল নিয়ে বিদ্যালয়গুলোতে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করবেন তিনি। কিশোরীরা নিজের বাল্যবিয়ে রোধ করলে পুরস্কারও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:

যুবদল নেতার বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

যুবদল নেতার বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার

পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।

‎জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।

শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

‎‎উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‎পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা, দালালের ৩ মাসের জেল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা, দালালের ৩ মাসের জেল

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ১৯৪

দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।

এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.