১৭ জুলাই, ২০২৫ ১৩:৩২
বরিশাল নগরের কাউনিয়ার সেকশন খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে এলাকাবাসী। বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারক লিপি দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন স্মারকলিপিটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারু কবিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও শুভংকর চক্রবর্তি; সুজনের জেলার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত; বেলার বরিশালের সমন্বয়ক লিকংন বায়েন; নাগরিক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সুভাষ দাস; শুকতারা খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি কাজী সেলিনা ও মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, কাউনিয়া সেকশন রোডের একমাত্র খেলার মাঠটির জেলা পুলিশ বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
কিন্তু নগরীর ৭নং ও ২নং ওয়ার্ডের শিশু-কিশোররা নিয়মিত খেলাধুলার জন্য একটিমাত্র মাঠ রয়েছে। এই দুই ওয়ার্ডে বসবাসকারী নাগরিকদের অন্য কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। ফলে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মৃত ব্যক্তির জানাজা নামাজ পর্যন্ত এ মাঠকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়।
এ ছাড়া মাঠকে কেন্দ্র করে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও যাবতীয় অনুষ্ঠান, একটি মসজিদ ও মাদ্রাসার নিয়মিত বার্ষিক মাহফিলসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘরের একটি শাখা আসরের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ মাঠ দখল হয়ে গেলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিশু-কিশোরদের ওপরে। তাই আমরা লিজ বাতিলসহ খেলার মাঠটি শিশু কিশোরদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। যার অনুলিপি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারুল কবির বলেন, ‘এই মাঠ ৭নং ওয়ার্ডের প্রাণ। এ ওয়ার্ডে অন্যকোনো মাঠ কিংবা খালি জায়গা নেই। যেখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করবে। এটিই একমাত্র ভরসা। এই মাঠ আমরা কিছুতেই ছাড়ব না।’
তিনি জানান, এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দোকান/গোডাউন বরাদ্দ চলছে লেখা একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছিল। ওই সময়ে মাঠে গোডাউন নির্মাণের উদ্যোগ নিলে স্থানীয়রা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল। পাশাপাশি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছিল স্থানীয়রা। এর প্রেক্ষিতে ওই সাইনবোর্ড মাঠ থেকে অপসারণ করে মাঠটি উন্মুখ রাখা হয়।
বরিশা্ল জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ‘১৯৬৪ সাল থেকে ওই সম্পত্তির মালিক জেলা পুলিশ। জমির একাংশের ওপর স্থানীয়রা মসজিদ ও মাদ্রাসা করেছেন। অবশিষ্ট মাঠ বছরের বেশিরভাগ সময় পানিতে তলিয়ে থাকে। বছরে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পুলিশকে খাজনা দিতে হয় এ মাঠের জন্য। সেজন্যই মাঠে জেলা পুলিশ স্টল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর অংশ হিসেবে মাঠটি চারদিক থেকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীনের সরকারি মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তার হোয়াটসঅ্যাপে মাসেজ দেওয়া হলে তিনি সিন করলেও কোনো উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা সেকশনের মাঠ রক্ষার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি আমার কাছে দিয়েছেন। সেটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বরিশাল নগরের কাউনিয়ার সেকশন খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে এলাকাবাসী। বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারক লিপি দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন স্মারকলিপিটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ সময় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারু কবিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও শুভংকর চক্রবর্তি; সুজনের জেলার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত; বেলার বরিশালের সমন্বয়ক লিকংন বায়েন; নাগরিক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সুভাষ দাস; শুকতারা খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি কাজী সেলিনা ও মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, কাউনিয়া সেকশন রোডের একমাত্র খেলার মাঠটির জেলা পুলিশ বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
কিন্তু নগরীর ৭নং ও ২নং ওয়ার্ডের শিশু-কিশোররা নিয়মিত খেলাধুলার জন্য একটিমাত্র মাঠ রয়েছে। এই দুই ওয়ার্ডে বসবাসকারী নাগরিকদের অন্য কোনো উন্মুক্ত স্থান নেই। ফলে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও মৃত ব্যক্তির জানাজা নামাজ পর্যন্ত এ মাঠকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়।
এ ছাড়া মাঠকে কেন্দ্র করে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও যাবতীয় অনুষ্ঠান, একটি মসজিদ ও মাদ্রাসার নিয়মিত বার্ষিক মাহফিলসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘরের একটি শাখা আসরের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ মাঠ দখল হয়ে গেলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে শিশু-কিশোরদের ওপরে। তাই আমরা লিজ বাতিলসহ খেলার মাঠটি শিশু কিশোরদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। যার অনুলিপি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারুল কবির বলেন, ‘এই মাঠ ৭নং ওয়ার্ডের প্রাণ। এ ওয়ার্ডে অন্যকোনো মাঠ কিংবা খালি জায়গা নেই। যেখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করবে। এটিই একমাত্র ভরসা। এই মাঠ আমরা কিছুতেই ছাড়ব না।’
তিনি জানান, এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দোকান/গোডাউন বরাদ্দ চলছে লেখা একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছিল। ওই সময়ে মাঠে গোডাউন নির্মাণের উদ্যোগ নিলে স্থানীয়রা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল। পাশাপাশি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছিল স্থানীয়রা। এর প্রেক্ষিতে ওই সাইনবোর্ড মাঠ থেকে অপসারণ করে মাঠটি উন্মুখ রাখা হয়।
বরিশা্ল জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ‘১৯৬৪ সাল থেকে ওই সম্পত্তির মালিক জেলা পুলিশ। জমির একাংশের ওপর স্থানীয়রা মসজিদ ও মাদ্রাসা করেছেন। অবশিষ্ট মাঠ বছরের বেশিরভাগ সময় পানিতে তলিয়ে থাকে। বছরে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পুলিশকে খাজনা দিতে হয় এ মাঠের জন্য। সেজন্যই মাঠে জেলা পুলিশ স্টল করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর অংশ হিসেবে মাঠটি চারদিক থেকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীনের সরকারি মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তার হোয়াটসঅ্যাপে মাসেজ দেওয়া হলে তিনি সিন করলেও কোনো উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা সেকশনের মাঠ রক্ষার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি আমার কাছে দিয়েছেন। সেটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪১
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.