
০२ জুন, २০२५ १२:२८
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এইচআইভি (এইডস) পজেটিভ রোগীকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করে এবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. জেসমিন সুলতানা।
রোববার ১জুন দুপুর ১২ টার দিকে সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়। তিনি ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। মা ও নবজাতক সুস্থ আছে বলে চিকিৎসকরা জানান। অপারেশন কার্যক্রম শেষে গাইনী ওটি (অস্ত্রোপচার কক্ষ) ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট এইডস আক্রান্ত নারীকে সিজার করেছিলেন গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিলুফার ইসলাম এমিলি।
জানা গেছে, ৩ মাস আগে প্রসূতি এক নারী বর্হিবিভাগে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য আসেন। তখন তার গর্ভের সন্তানের বয়স ছিল ৬ মাস। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় টেস্ট রিপোর্টে ওই রোগীর শরীরে এইচআইভি পজেটিভ শনাক্ত হয়। পরে গাইনী বিভাগে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে তিনি ওই রোগীর চিকিৎসাসেবা শুরু করেন।
পরীক্ষা নিরীক্ষায় ওই নারীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়। রোববার (১ জুন) গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. জেসমিন সুলতানা তার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন।
অস্ত্রোপচার টিমে থাকা একজন চিকিৎসক জানান, এইচআইভি পজেটিভ কোনো রোগীকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করার সময় তার থাকাটা ছিল প্রথম। এর আগে এমন সিজারের টিমে তিনি অংশ নেয়ার সুযোগ পাননি। তার চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হলো নতুন এক অভিজ্ঞতা। নিজে ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও মানবিক কাজটি করতে তিনি মানসিকভাবে শান্তি পাচ্ছেন।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ড. নাজমুস সাদিক রাসেল জানান, এইচআইভি পজেটিভ রোগীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার ঝুঁকির কাজ। এরপরেও চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করেছেন। এটা খুবই ভালো খবর।
তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই রোগীর অস্ত্রোপচার পরবর্তী চিকিৎসাসেবার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। ডেপুটি সিভিল সার্জন আরও জানান, ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট দক্ষিণবঙ্গে প্রথমবারের মত এইডস রোগীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হয়েছিলো যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। তখন সিজার করার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। চিকিৎসকের প্রধান দায়িত্ব জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীর জীবন রক্ষা করা।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা জানান, এইচআইভি পজেটিভ ওই রোগীর বাড়ি যশোরে। জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারে তিনি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারটি সম্পন্ন করে হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসকরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, চিকিৎসকদের দায়িত্ব রোগীর সেবা করা। গাইনী কনসালটেন্ট ডা, জেসমিন সুলতানার নেতৃত্বে ৭ সদস্যের মেডিকেল টিম এইডস আক্রান্ত নারীর সিজার করেছেন।
সংক্রমণ এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থায় তারা অস্ত্রোপচারটি শেষ করেন। দীর্ঘ সময় পর্যবেক্ষণে রাখার পর প্রসূতি ও নবজাতককে একটি কেবিনে রেখে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে তারা সুস্থ আছে।
ডা. হুসাইন শাফায়াত আরও জানান, মায়ের থেকে সন্তানের শরীরে ভাইরাসটি সংক্রমণের (ভার্টিকাল ট্রান্সমিশন) সম্ভাবনা থাকে। ফলে ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে মাকে প্রতিষেধক চিকিৎসা দেয়া হয়েছিলো। তারপরও সন্তানের শরীরে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে কিনা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে পরীক্ষাটির জন্য কিছু দিন সময় লাগবে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এইচআইভি (এইডস) পজেটিভ রোগীকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করে এবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. জেসমিন সুলতানা।
রোববার ১জুন দুপুর ১২ টার দিকে সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়। তিনি ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। মা ও নবজাতক সুস্থ আছে বলে চিকিৎসকরা জানান। অপারেশন কার্যক্রম শেষে গাইনী ওটি (অস্ত্রোপচার কক্ষ) ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট এইডস আক্রান্ত নারীকে সিজার করেছিলেন গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিলুফার ইসলাম এমিলি।
জানা গেছে, ৩ মাস আগে প্রসূতি এক নারী বর্হিবিভাগে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য আসেন। তখন তার গর্ভের সন্তানের বয়স ছিল ৬ মাস। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় টেস্ট রিপোর্টে ওই রোগীর শরীরে এইচআইভি পজেটিভ শনাক্ত হয়। পরে গাইনী বিভাগে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে তিনি ওই রোগীর চিকিৎসাসেবা শুরু করেন।
পরীক্ষা নিরীক্ষায় ওই নারীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়। রোববার (১ জুন) গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. জেসমিন সুলতানা তার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন।
অস্ত্রোপচার টিমে থাকা একজন চিকিৎসক জানান, এইচআইভি পজেটিভ কোনো রোগীকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করার সময় তার থাকাটা ছিল প্রথম। এর আগে এমন সিজারের টিমে তিনি অংশ নেয়ার সুযোগ পাননি। তার চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হলো নতুন এক অভিজ্ঞতা। নিজে ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও মানবিক কাজটি করতে তিনি মানসিকভাবে শান্তি পাচ্ছেন।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ড. নাজমুস সাদিক রাসেল জানান, এইচআইভি পজেটিভ রোগীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার ঝুঁকির কাজ। এরপরেও চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করেছেন। এটা খুবই ভালো খবর।
তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই রোগীর অস্ত্রোপচার পরবর্তী চিকিৎসাসেবার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। ডেপুটি সিভিল সার্জন আরও জানান, ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট দক্ষিণবঙ্গে প্রথমবারের মত এইডস রোগীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হয়েছিলো যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। তখন সিজার করার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। চিকিৎসকের প্রধান দায়িত্ব জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীর জীবন রক্ষা করা।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা জানান, এইচআইভি পজেটিভ ওই রোগীর বাড়ি যশোরে। জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারে তিনি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারটি সম্পন্ন করে হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসকরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, চিকিৎসকদের দায়িত্ব রোগীর সেবা করা। গাইনী কনসালটেন্ট ডা, জেসমিন সুলতানার নেতৃত্বে ৭ সদস্যের মেডিকেল টিম এইডস আক্রান্ত নারীর সিজার করেছেন।
সংক্রমণ এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থায় তারা অস্ত্রোপচারটি শেষ করেন। দীর্ঘ সময় পর্যবেক্ষণে রাখার পর প্রসূতি ও নবজাতককে একটি কেবিনে রেখে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে তারা সুস্থ আছে।
ডা. হুসাইন শাফায়াত আরও জানান, মায়ের থেকে সন্তানের শরীরে ভাইরাসটি সংক্রমণের (ভার্টিকাল ট্রান্সমিশন) সম্ভাবনা থাকে। ফলে ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে মাকে প্রতিষেধক চিকিৎসা দেয়া হয়েছিলো। তারপরও সন্তানের শরীরে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে কিনা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে পরীক্ষাটির জন্য কিছু দিন সময় লাগবে।
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १५:३२
যেখানে সন্তান মায়ের ছায়া হয়ে দাঁড়ানোর কথা, সেখানে সেই মায়ের ওপর ওঠে সন্তানেরই নির্মম হাত। গাজীপুরের শ্রীপুরে এমন এক হৃদয়বিদারক ও ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন এলাকাবাসী, যা আগে কখনো দেখেনি তারা।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামে মাদকাসক্ত ছেলের দীর্ঘদিনের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে। নেশার টাকা না পেয়ে নিজের মা খোদেজা খাতুনকে ইট ও লাঠি দিয়ে মারধর করে পা থেঁতলে দেয় খলিল (৩২)। এতে গুরুতর আহত হন মা।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে।
মায়ের আর্তচিৎকারে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও অসহায়তা থেকে মায়ের সম্মতি নিয়েই এলাকাবাসী স্থানীয় একটি সড়কের পাশে বুকসমান গর্ত করে খলিলকে কোমর পর্যন্ত পুঁতে রাখেন।
প্রায় এক ঘণ্টা পর তিনি নিজে মাটি সরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে রাখে। স্থানীয়দের ভাষ্য, আগেও একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ ও মুচলেকা দেওয়া হলেও খলিলের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা ও নীরব আতঙ্ক বিরাজ করছে। নেশার ভয়াবহতা আর পারিবারিক ভাঙনের এমন দৃশ্য টেপিরবাড়িকে করে তুলেছে এক শিউরে ওঠা উদাহরণ।
যেখানে সন্তান মায়ের ছায়া হয়ে দাঁড়ানোর কথা, সেখানে সেই মায়ের ওপর ওঠে সন্তানেরই নির্মম হাত। গাজীপুরের শ্রীপুরে এমন এক হৃদয়বিদারক ও ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন এলাকাবাসী, যা আগে কখনো দেখেনি তারা।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামে মাদকাসক্ত ছেলের দীর্ঘদিনের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে। নেশার টাকা না পেয়ে নিজের মা খোদেজা খাতুনকে ইট ও লাঠি দিয়ে মারধর করে পা থেঁতলে দেয় খলিল (৩২)। এতে গুরুতর আহত হন মা।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে।
মায়ের আর্তচিৎকারে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও অসহায়তা থেকে মায়ের সম্মতি নিয়েই এলাকাবাসী স্থানীয় একটি সড়কের পাশে বুকসমান গর্ত করে খলিলকে কোমর পর্যন্ত পুঁতে রাখেন।
প্রায় এক ঘণ্টা পর তিনি নিজে মাটি সরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে রাখে। স্থানীয়দের ভাষ্য, আগেও একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ ও মুচলেকা দেওয়া হলেও খলিলের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা ও নীরব আতঙ্ক বিরাজ করছে। নেশার ভয়াবহতা আর পারিবারিক ভাঙনের এমন দৃশ্য টেপিরবাড়িকে করে তুলেছে এক শিউরে ওঠা উদাহরণ।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १२:४७
শরীয়তপুর সদরে শীত নিবারণের জন্য বিছানার পাশে মাটির পাত্রে রাখা জ্বলন্ত কয়লা থেকে অগ্নিকাণ্ডে এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আগুনে পুড়ে বিছানার ওপরই ছাই হয়ে গেছে তার মরদেহ। শনিবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের রুদ্রকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামরুন নাহার (৮০) রুদ্রকর এলাকার মৃত মোসলেম সরদারের স্ত্রী। একমাত্র মেয়ের বিয়ের পর থেকে বাড়িতে একাই বসবাস করতেন ওই বৃদ্ধা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনের খবর পেয়ে পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নেভার পর বিছানার ওপর বৃদ্ধার মরদেহ পাওয়া যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে আগুন রেখেছিলেন তিনি। ওই পাত্রে রাখা আগুনের কয়লা বিছানায় পড়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শীত থেকে রক্ষা পেতে মাটির পাত্রে রাখা কয়লার আগুন বিছানায় পড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার মেয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শরীয়তপুর সদরে শীত নিবারণের জন্য বিছানার পাশে মাটির পাত্রে রাখা জ্বলন্ত কয়লা থেকে অগ্নিকাণ্ডে এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আগুনে পুড়ে বিছানার ওপরই ছাই হয়ে গেছে তার মরদেহ। শনিবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের রুদ্রকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কামরুন নাহার (৮০) রুদ্রকর এলাকার মৃত মোসলেম সরদারের স্ত্রী। একমাত্র মেয়ের বিয়ের পর থেকে বাড়িতে একাই বসবাস করতেন ওই বৃদ্ধা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনের খবর পেয়ে পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নেভার পর বিছানার ওপর বৃদ্ধার মরদেহ পাওয়া যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শীত নিবারণের জন্য একটি মাটির পাত্রে আগুন রেখেছিলেন তিনি। ওই পাত্রে রাখা আগুনের কয়লা বিছানায় পড়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শীত থেকে রক্ষা পেতে মাটির পাত্রে রাখা কয়লার আগুন বিছানায় পড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার মেয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ ११:३६
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক তোসিকুর ইসলামের (৩২) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি পুলিশের নিকট তার মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
নিহত তোসিকুর বাখর আলী ইউনুস মণ্ডলের টোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ মরদেহ গ্রহণের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সদর উপজেলার জহুরপুরটেক সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। মরদেহ গ্রহণ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ। এর আগে মুখ দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন নিহতের বাবা ইব্রাহীম আলী।
পুলিশ কর্মকর্তা সুকোমল বলেন, ‘কফিনে মোড়ানো ময়নাতদন্ত করা মরদেহ প্রাথমিক পরীক্ষার পর তোসিকুরের বুকের ডান দিক থেকে ঘাড়ের নিচ পর্যন্ত ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এর আগে, গত বুধবার (১০ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতীয় পুলিশ নদীতে তোসিকুরের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে দাবি করে সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তোসিকুরের বাবা ইব্রাহীম আলী বাখর আলী বিওপিতে উপস্থিত হয়ে অবহিত করেন। এরপর বিজিবি পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার জহুরপুর সীমান্তে প্রথম দফা বিজিবি-বিএসএফ কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবি প্রতিপক্ষ ৭১ বিএসএফের বয়রাঘাট বিএসএফ ক্যাম্পকে তোসিকুরের ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করে।
বিএসএফ বৈঠকে এ ব্যাপারে দ্রুত বিজিবিকে জানানো হবে বলে জানায়। পরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিএসএফ এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হস্তান্তরের কথা জানায়। সে অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ২৩/৮ এস নিকট টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতাকা বৈঠকে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনা তদন্তের পর বিজিবি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে জানিয়ে অধিনায়ক মুস্তাফিজুর আরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তোসিকুরের মরদেহ সীমান্তে পদ্মার সমান্তরালে প্রবাহিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথপুর (সাবেক জঙ্গিপুর) থানার ভাগিরথী নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে। স্থানটি সীমান্ত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক তোসিকুর ইসলামের (৩২) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে বাংলাদেশি পুলিশের নিকট তার মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
নিহত তোসিকুর বাখর আলী ইউনুস মণ্ডলের টোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ মরদেহ গ্রহণের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সদর উপজেলার জহুরপুরটেক সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। মরদেহ গ্রহণ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ। এর আগে মুখ দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন নিহতের বাবা ইব্রাহীম আলী।
পুলিশ কর্মকর্তা সুকোমল বলেন, ‘কফিনে মোড়ানো ময়নাতদন্ত করা মরদেহ প্রাথমিক পরীক্ষার পর তোসিকুরের বুকের ডান দিক থেকে ঘাড়ের নিচ পর্যন্ত ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এর আগে, গত বুধবার (১০ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতীয় পুলিশ নদীতে তোসিকুরের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে দাবি করে সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তোসিকুরের বাবা ইব্রাহীম আলী বাখর আলী বিওপিতে উপস্থিত হয়ে অবহিত করেন। এরপর বিজিবি পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার জহুরপুর সীমান্তে প্রথম দফা বিজিবি-বিএসএফ কম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবি প্রতিপক্ষ ৭১ বিএসএফের বয়রাঘাট বিএসএফ ক্যাম্পকে তোসিকুরের ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করে।
বিএসএফ বৈঠকে এ ব্যাপারে দ্রুত বিজিবিকে জানানো হবে বলে জানায়। পরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিএসএফ এক বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হস্তান্তরের কথা জানায়। সে অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ২৩/৮ এস নিকট টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতাকা বৈঠকে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনা তদন্তের পর বিজিবি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে জানিয়ে অধিনায়ক মুস্তাফিজুর আরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তোসিকুরের মরদেহ সীমান্তে পদ্মার সমান্তরালে প্রবাহিত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথপুর (সাবেক জঙ্গিপুর) থানার ভাগিরথী নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে। স্থানটি সীমান্ত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.