
२४ জুলাই, २০२५ ০০:০३
বরগুনায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ আওয়ামী লীগের ২৩১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বরগুনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাটি করেন বরগুনা জেলা বিএনপির সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য এডভোকেট মো. শহীদুল ইসলাম।
আদালতে দেওয়া অভিযোগে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৩০ মে বিকেল ৩টার দিকে বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৩১ জন নেতাকর্মী বিএনপির জেলা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ভেঙে ফেলেন।
বাদীর দাবি, সরকারদলীয়দের ভয়ে তিনি এতদিন মামলা করতে পারেননি। তবে এখন প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ হওয়া জরুরি।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে। ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে বরগুনা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুকে এবং ৩ নম্বরে আছেন ফুলঝুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার কবির।
তালিকায় আরও আছেন বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, সদ্য সাবেক নারী এমপি সুলতানা নাদিরা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, বরগুনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ওয়ালি অলি, বরগুনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান বাহাদুরসহ মোট ২৩১ জন।
তবে মামলার বিষয়ে বরগুনা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় আগেও একটি মামলা হয়েছিল। সেদিন আমার মেয়ে মারা যাওয়ায় বিষয়টি আমি জানতাম না। আজকের মামলার ব্যাপারেও আমি কিছু জানি না।’
এদিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরগুনা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, ‘আমি শুনেছি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম মামলা করেছেন। বিষয়টি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়নি। আমরা শিগগিরই ফোরামের সভা ডেকে আলোচনা করব।’
একই ঘটনার জন্য ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ তারিখ দেখিয়ে বরগুনার বাসিন্দা এসএম নঈমুল ইসলামও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ নেতা, আইনজীবী ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
বরগুনায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ আওয়ামী লীগের ২৩১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বরগুনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাটি করেন বরগুনা জেলা বিএনপির সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য এডভোকেট মো. শহীদুল ইসলাম।
আদালতে দেওয়া অভিযোগে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৩০ মে বিকেল ৩টার দিকে বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৩১ জন নেতাকর্মী বিএনপির জেলা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ভেঙে ফেলেন।
বাদীর দাবি, সরকারদলীয়দের ভয়ে তিনি এতদিন মামলা করতে পারেননি। তবে এখন প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ হওয়া জরুরি।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে। ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে বরগুনা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুকে এবং ৩ নম্বরে আছেন ফুলঝুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার কবির।
তালিকায় আরও আছেন বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, সদ্য সাবেক নারী এমপি সুলতানা নাদিরা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, বরগুনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ওয়ালি অলি, বরগুনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান বাহাদুরসহ মোট ২৩১ জন।
তবে মামলার বিষয়ে বরগুনা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় আগেও একটি মামলা হয়েছিল। সেদিন আমার মেয়ে মারা যাওয়ায় বিষয়টি আমি জানতাম না। আজকের মামলার ব্যাপারেও আমি কিছু জানি না।’
এদিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরগুনা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, ‘আমি শুনেছি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম মামলা করেছেন। বিষয়টি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়নি। আমরা শিগগিরই ফোরামের সভা ডেকে আলোচনা করব।’
একই ঘটনার জন্য ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ তারিখ দেখিয়ে বরগুনার বাসিন্দা এসএম নঈমুল ইসলামও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ নেতা, আইনজীবী ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।

२९ নভেম্বর, २০२५ १३:४४
রাত তখন প্রায় দেড়টা। বরগুনার তালতলী উপজেলার সাগরঘেঁষা তেঁতুলবাড়িয়া মাছঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়েছিল মাছবোঝাই একটি বাস। গভীর রাতে নথুল্লাবাদের কাছাকাছি পৌঁছাতেই থামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী পরিবহনটিকে।
এদিকে, গোপন তথ্যের সূত্র ধরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) অভিযান চালায় সেখানে। কাশিপুরের নিস্তব্ধতা ভেঙে তখন আলো ও মানুষের কোলাহল। বাসের বক্স খুলতেই মেলে জাটকার গন্ধ ভরা কয়েক ঝুড়ি। জব্দ করা হয় সবকিছু।
কিন্তু জাটকার সঙ্গে আরো অন্তত ১০০ কেজির মতো পোয়া আর সাগরের ফ্যাসা মাছ ছিল। এই মাছগুলো বৈধ। তবু সেগুলোও জব্দের তালিকায় চলে যায়। পরদিন সকালে বরিশালের সমাজসেবা অধিদপ্তরের আটটি শিশু পরিবারে মাছ বিতরণ হতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে মাত্র আট থেকে ১০ কেজি পোয়া মাছ বিতরণ করা হয়।
এছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আনুমানিক গড়ে ৩০০টি জাটকা পেয়েছেন। এসব তথ্য শিশু পারিবার ঘুরে নিশ্চিত হয়েছেন প্রতিবেদক।
জেলে সেলিম মাতুব্বরের গল্প এখানেই ঘুরে যায় অন্যদিকে। তেঁতুলবাড়িয়ার ঘাটের সেই পরিচিত মানুষটি বহু বছর ধরে ঢাকার বাড্ডার বাজারে মাছ পাঠান। ভোরের অন্ধকারে যখন জালের পানি এখনও দুই হাত ভিজিয়ে রাখে, তখনই তাঁর দিন শুরু হয়।
সেদিনও অন্য দিনের মতো বরফের ঠাণ্ডায় হাতে কাঁপুনি ধরে। সেই হাতে তিন ধরনের মাছ পলি ব্যাগে আলাদা করে সাজিয়েছিলেন তিনি।
প্রথমেই তুলে নেন ছোট-বড় আকারের পোয়া, যেগুলো পৃথক ১৭টি প্যাকেট করে রাখা ছিল। সেগুলোর ওজন দাঁড়ায় ৬৮ কেজি ৬০০ গ্রাম। এরপর আসে সাগর ফ্যাসা, যার ওজন মোটামুটি আট কেজি ৭০০ গ্রাম। সবশেষে মাথা-লেজ মিলে ১০ ইঞ্চি আকারের ইলিশ। সেগুলোর ওজন সামান্য হলেও ঢাকায় সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে বলে সুন্দরভাবে বরফে মুড়িয়ে ড্রামে রাখেন তিনি।
সব মিলিয়ে মাছগুলো সাজানো হয়েছিল একদম নিয়ম মেনে, যেমনটি তিনি বছরের পর বছর করে আসছেন। কিন্তু সেই পরিচ্ছন্ন প্রস্তুতি শেষ পর্যন্ত তাঁকে রক্ষা করতে পারেনি রাতের অভিযানের হাত থেকে। সব মিলিয়ে বরফজাত করে তুলে দিয়েছিলেন ইসলাম পরিবহনের বাসে। নথুল্লাবাদে পৌঁছাতেই ফোন আসে, এনএসআই ড্রামসহ পুরো মালামাল ‘ঝাটকা’ উল্লেখ করে জব্দ করেছে।
এরপর শুরু হয় ফেরত চাওয়ার দীর্ঘ চেষ্টা। সেলিম তাঁর এক আত্মীয়কে কাশিপুরে পাঠান বৈধ পোয়া আর ফ্যাসা ফেরত আনার জন্য। কিন্তু এনএসআই সদস্যরা জানিয়ে দেন, মাছ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। পরদিন শিশু পরিবারে গেলে সেখানেও একই সুর। সমাজসেবার কর্মকর্তারা বলেন, মাছ তারা ইতোমধ্যেই এনএসআই ও মৎস্য বিভাগের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছেন। ফেরতের প্রশ্নই আসে না।
অভিযোগ, এরপর ওই আত্মীয়ের কাছ থেকে নেওয়া হয় একটি সাদা কাগজে ‘স্বেচ্ছায় মাছ বিতরণের’ মুচলেকা। যেন মাছ তিনি স্বেচ্ছায় দান করেছেন, এমন স্বীকারোক্তির কাগজে সই করিয়ে তবেই বিদায় দেওয়া হয়। এত কিছু ঘটনার পরও সরকারি দপ্তরের বক্তব্যে কিন্তু মিল নেই।
বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, ‘অভিযানে শুধু জাটকা জব্দ করা হয়েছে, বৈধ কোনো মাছ ছিল না। সমাজসেবার আটটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিকে গড়ে ৩০০টি করে জাকটা বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম।’
কিন্তু বরিশাল সরকারি শিশু পরিবার (বালক)-এর তত্ত্বাবধায়ক মো. আসিফ চৌধুরী সরাসরি স্বীকার করছেন, জাটকার সঙ্গে আনুমানিক ১০ কেজি পোয়া আর ফ্যাসা ছিল। মালিক তা চাইতে এসেছিলেন। কিন্তু যেহেতু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাছ বুঝিয়ে দিয়েছে, তাই ফেরত দেওয়া যায়নি। জাটকা বিতরণের আগে তার শিশু পরিবারটিতে ভাগ করা হয়েছিল। তিনি শিশু পরিবারে আনুমানিক ৩০০টি জাটকা পেয়েছেন।
এনএসআইয়ের অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণত জাটকা রক্ষার অভিযানে তাঁরা থাকেন না। এই প্রথম এমন অভিযান পরিচালনা করলেন গোয়েন্দা সংস্থাটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, ‘জাটকা রক্ষা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব, প্রয়োজনে যে কোনো বাহিনী অভিযান চালাতে পারে।’ তবে এনএসআইয়ের নেতৃত্বে জাটকা জব্দের ঘটনাকে তিনি ‘নজিরবিহীন’ বলেই উল্লেখ করেন।
রাত তখন প্রায় দেড়টা। বরগুনার তালতলী উপজেলার সাগরঘেঁষা তেঁতুলবাড়িয়া মাছঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়েছিল মাছবোঝাই একটি বাস। গভীর রাতে নথুল্লাবাদের কাছাকাছি পৌঁছাতেই থামিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী পরিবহনটিকে।
এদিকে, গোপন তথ্যের সূত্র ধরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) অভিযান চালায় সেখানে। কাশিপুরের নিস্তব্ধতা ভেঙে তখন আলো ও মানুষের কোলাহল। বাসের বক্স খুলতেই মেলে জাটকার গন্ধ ভরা কয়েক ঝুড়ি। জব্দ করা হয় সবকিছু।
কিন্তু জাটকার সঙ্গে আরো অন্তত ১০০ কেজির মতো পোয়া আর সাগরের ফ্যাসা মাছ ছিল। এই মাছগুলো বৈধ। তবু সেগুলোও জব্দের তালিকায় চলে যায়। পরদিন সকালে বরিশালের সমাজসেবা অধিদপ্তরের আটটি শিশু পরিবারে মাছ বিতরণ হতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে মাত্র আট থেকে ১০ কেজি পোয়া মাছ বিতরণ করা হয়।
এছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আনুমানিক গড়ে ৩০০টি জাটকা পেয়েছেন। এসব তথ্য শিশু পারিবার ঘুরে নিশ্চিত হয়েছেন প্রতিবেদক।
জেলে সেলিম মাতুব্বরের গল্প এখানেই ঘুরে যায় অন্যদিকে। তেঁতুলবাড়িয়ার ঘাটের সেই পরিচিত মানুষটি বহু বছর ধরে ঢাকার বাড্ডার বাজারে মাছ পাঠান। ভোরের অন্ধকারে যখন জালের পানি এখনও দুই হাত ভিজিয়ে রাখে, তখনই তাঁর দিন শুরু হয়।
সেদিনও অন্য দিনের মতো বরফের ঠাণ্ডায় হাতে কাঁপুনি ধরে। সেই হাতে তিন ধরনের মাছ পলি ব্যাগে আলাদা করে সাজিয়েছিলেন তিনি।
প্রথমেই তুলে নেন ছোট-বড় আকারের পোয়া, যেগুলো পৃথক ১৭টি প্যাকেট করে রাখা ছিল। সেগুলোর ওজন দাঁড়ায় ৬৮ কেজি ৬০০ গ্রাম। এরপর আসে সাগর ফ্যাসা, যার ওজন মোটামুটি আট কেজি ৭০০ গ্রাম। সবশেষে মাথা-লেজ মিলে ১০ ইঞ্চি আকারের ইলিশ। সেগুলোর ওজন সামান্য হলেও ঢাকায় সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে বলে সুন্দরভাবে বরফে মুড়িয়ে ড্রামে রাখেন তিনি।
সব মিলিয়ে মাছগুলো সাজানো হয়েছিল একদম নিয়ম মেনে, যেমনটি তিনি বছরের পর বছর করে আসছেন। কিন্তু সেই পরিচ্ছন্ন প্রস্তুতি শেষ পর্যন্ত তাঁকে রক্ষা করতে পারেনি রাতের অভিযানের হাত থেকে। সব মিলিয়ে বরফজাত করে তুলে দিয়েছিলেন ইসলাম পরিবহনের বাসে। নথুল্লাবাদে পৌঁছাতেই ফোন আসে, এনএসআই ড্রামসহ পুরো মালামাল ‘ঝাটকা’ উল্লেখ করে জব্দ করেছে।
এরপর শুরু হয় ফেরত চাওয়ার দীর্ঘ চেষ্টা। সেলিম তাঁর এক আত্মীয়কে কাশিপুরে পাঠান বৈধ পোয়া আর ফ্যাসা ফেরত আনার জন্য। কিন্তু এনএসআই সদস্যরা জানিয়ে দেন, মাছ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। পরদিন শিশু পরিবারে গেলে সেখানেও একই সুর। সমাজসেবার কর্মকর্তারা বলেন, মাছ তারা ইতোমধ্যেই এনএসআই ও মৎস্য বিভাগের কাছ থেকে বুঝে নিয়েছেন। ফেরতের প্রশ্নই আসে না।
অভিযোগ, এরপর ওই আত্মীয়ের কাছ থেকে নেওয়া হয় একটি সাদা কাগজে ‘স্বেচ্ছায় মাছ বিতরণের’ মুচলেকা। যেন মাছ তিনি স্বেচ্ছায় দান করেছেন, এমন স্বীকারোক্তির কাগজে সই করিয়ে তবেই বিদায় দেওয়া হয়। এত কিছু ঘটনার পরও সরকারি দপ্তরের বক্তব্যে কিন্তু মিল নেই।
বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জামাল হোসেন বলেন, ‘অভিযানে শুধু জাটকা জব্দ করা হয়েছে, বৈধ কোনো মাছ ছিল না। সমাজসেবার আটটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিকে গড়ে ৩০০টি করে জাকটা বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম।’
কিন্তু বরিশাল সরকারি শিশু পরিবার (বালক)-এর তত্ত্বাবধায়ক মো. আসিফ চৌধুরী সরাসরি স্বীকার করছেন, জাটকার সঙ্গে আনুমানিক ১০ কেজি পোয়া আর ফ্যাসা ছিল। মালিক তা চাইতে এসেছিলেন। কিন্তু যেহেতু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাছ বুঝিয়ে দিয়েছে, তাই ফেরত দেওয়া যায়নি। জাটকা বিতরণের আগে তার শিশু পরিবারটিতে ভাগ করা হয়েছিল। তিনি শিশু পরিবারে আনুমানিক ৩০০টি জাটকা পেয়েছেন।
এনএসআইয়ের অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণত জাটকা রক্ষার অভিযানে তাঁরা থাকেন না। এই প্রথম এমন অভিযান পরিচালনা করলেন গোয়েন্দা সংস্থাটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, ‘জাটকা রক্ষা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব, প্রয়োজনে যে কোনো বাহিনী অভিযান চালাতে পারে।’ তবে এনএসআইয়ের নেতৃত্বে জাটকা জব্দের ঘটনাকে তিনি ‘নজিরবিহীন’ বলেই উল্লেখ করেন।

२८ নভেম্বর, २০२५ १८:३५
একসময় শীতকাল এলেই বাংলাদেশের উপকূলীয় বরগুনার বামনা উপজেলার গ্রামগঞ্জে যে উৎসবের আমেজ বইত, তার প্রধান আকর্ষণ ছিল সুস্বাদু খেজুরের রস ও গুড়। হেমন্তের মাঝামাঝি থেকে শীতের ভরা মৌসুম পর্যন্ত পুরো জনপদে চলত নবান্নের উৎসব।
কিন্তু কালের বিবর্তন এবং প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট তিন কারণে সেই চিরচেনা দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছ আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। উপজেলার গ্রামে-গ্রামে শীতের সকালে মিষ্টি রোদের তাপ নিতে নিতে মাটির ভাঁড়ে খেজুরের সুস্বাদু রস পান করার স্মৃতি আজও অমলিন। শুধু পানীয় হিসাবে নয়, এই রস দিয়ে তৈরি হতো নানান ধরনের পিঠা, পায়েস, ক্ষীর এবং লোভনীয় পাটালি ও নালি গুড়। এটি ছিল বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নবান্নের সেরা উপহার ও আবহমান বাংলার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। খেজুর গুড় ছাড়া এই অঞ্চলের শীতকালীন উৎসব ভাবাই যেত না। খেজুরের রস ছিল গ্রামীণ জীবনের শীতের উৎসবের মূল সূচনা।
এখন চোখে পড়ে না রস আহরণে গাছিদের সেই ব্যস্ততা। কোমরে দড়ির সঙ্গে ঝুড়ি বেঁধে ধারালো দা দিয়ে গাছ চাঁচাছোলা ও নলি বসানোর কাজ। এখন শুধু ক্যালেন্ডার ও ছবিতেই সেই দৃশ্য দেখা যায়। সাতসকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাঁকডাক দিতেন, সেই দৃশ্যও এখন বিরল। ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস ও গুড় দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠায় হতাশ এ অঞ্চলের গাছিরা। যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে অচিরেই এই ঐতিহ্য চিরতরে হারিয়ে যাবে। তবে অল্পকিছু নিবেদিতপ্রাণ গাছি এখনো সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
বামনা উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন সিডর, আইলার আঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খেজুর গাছ কমে গেছে। গত ৯-১০ বছর ধরে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে খেজুর গাছের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। একসময় শীতকালে এই অঞ্চলের সর্বত্র শীত উদ্যাপনের আয়োজন শুরু হয়ে যেত এবং অতিথিদের রসের তৈরি পায়েস দিয়ে আপ্যায়ন করার প্রচলন ছিল। এখন রস না পাওয়ায় নবান্নের সেই আনন্দ থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।
বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের বলইবুনিয়া গ্রামের গাছি মো. ফিরোজ মিয়া জানান, আগে তাদের দারুণ কদর ছিল। মৌসুম শুরুর আগে থেকেই কথাবার্তা পাকা হতো কার কটি খেজুর গাছ কাটতে হবে। কিন্তু এখন আর আগের মতো গাছও নেই, আর গ্রামের লোকরাও তেমন খেজুর রস সংগ্রহ করতে চান না। তারা অল্পকিছু গাছ কেটে নিজেদের চাহিদা মেটান।
উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের গাছি আব্দুল খালেক দফাদার এখনো রস সংগ্রহ করছেন। প্রতিদিন ভোরে গাছিদের কাছে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যায়। রস সংগ্রহের জন্য তিনি বাদুড়ের সংস্পর্শ এড়াতে বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। গাছি খালেক দফাদার বলেন, শীত মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত রসের সন্ধান পাচ্ছি না। গ্রামে দিনদিন কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। গাছ কম থাকায় এখন শুধু রস বিক্রি করা হয়। প্রতি গ্লাস রসের দাম ২০ টাকা এবং প্রতি লিটার ৮০ টাকা। তিনি বলেন, অনেক গাছ কেটে ফেলেছে। এজন্য রসের দাম বেশি।
বামনা উপজেলাজুড়ে খেজুর গাছ কমে যাওয়ার পেছনে প্রধানত তিনটি কারণ দায়ী। এর মধ্যে রয়েছে-ইটভাটার জ্বালানি হিসাবে খেজুর গাছের ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, গাছিদের অভাব ও পেশার অনিশ্চয়তা।
পরিবেশ রক্ষা এবং রসের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে রাস্তার পাশে খেজুর গাছ লাগানোর দাবি উঠেছে। বামনার বাসিন্দারা বলছেন, এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা শুধু অর্থনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত দিক থেকেও জরুরি। এখনই যদি খেজুর গাছ লাগানো ও রক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধু স্মৃতিতেই খুঁজে পাবে এই ঐতিহ্যকে।
একসময় শীতকাল এলেই বাংলাদেশের উপকূলীয় বরগুনার বামনা উপজেলার গ্রামগঞ্জে যে উৎসবের আমেজ বইত, তার প্রধান আকর্ষণ ছিল সুস্বাদু খেজুরের রস ও গুড়। হেমন্তের মাঝামাঝি থেকে শীতের ভরা মৌসুম পর্যন্ত পুরো জনপদে চলত নবান্নের উৎসব।
কিন্তু কালের বিবর্তন এবং প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট তিন কারণে সেই চিরচেনা দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। ঐতিহ্যের প্রতীক খেজুর গাছ আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। উপজেলার গ্রামে-গ্রামে শীতের সকালে মিষ্টি রোদের তাপ নিতে নিতে মাটির ভাঁড়ে খেজুরের সুস্বাদু রস পান করার স্মৃতি আজও অমলিন। শুধু পানীয় হিসাবে নয়, এই রস দিয়ে তৈরি হতো নানান ধরনের পিঠা, পায়েস, ক্ষীর এবং লোভনীয় পাটালি ও নালি গুড়। এটি ছিল বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নবান্নের সেরা উপহার ও আবহমান বাংলার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। খেজুর গুড় ছাড়া এই অঞ্চলের শীতকালীন উৎসব ভাবাই যেত না। খেজুরের রস ছিল গ্রামীণ জীবনের শীতের উৎসবের মূল সূচনা।
এখন চোখে পড়ে না রস আহরণে গাছিদের সেই ব্যস্ততা। কোমরে দড়ির সঙ্গে ঝুড়ি বেঁধে ধারালো দা দিয়ে গাছ চাঁচাছোলা ও নলি বসানোর কাজ। এখন শুধু ক্যালেন্ডার ও ছবিতেই সেই দৃশ্য দেখা যায়। সাতসকালে খেজুরের রস নিয়ে গাছিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাঁকডাক দিতেন, সেই দৃশ্যও এখন বিরল। ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস ও গুড় দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠায় হতাশ এ অঞ্চলের গাছিরা। যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে অচিরেই এই ঐতিহ্য চিরতরে হারিয়ে যাবে। তবে অল্পকিছু নিবেদিতপ্রাণ গাছি এখনো সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
বামনা উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন সিডর, আইলার আঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খেজুর গাছ কমে গেছে। গত ৯-১০ বছর ধরে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে খেজুর গাছের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। একসময় শীতকালে এই অঞ্চলের সর্বত্র শীত উদ্যাপনের আয়োজন শুরু হয়ে যেত এবং অতিথিদের রসের তৈরি পায়েস দিয়ে আপ্যায়ন করার প্রচলন ছিল। এখন রস না পাওয়ায় নবান্নের সেই আনন্দ থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।
বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের বলইবুনিয়া গ্রামের গাছি মো. ফিরোজ মিয়া জানান, আগে তাদের দারুণ কদর ছিল। মৌসুম শুরুর আগে থেকেই কথাবার্তা পাকা হতো কার কটি খেজুর গাছ কাটতে হবে। কিন্তু এখন আর আগের মতো গাছও নেই, আর গ্রামের লোকরাও তেমন খেজুর রস সংগ্রহ করতে চান না। তারা অল্পকিছু গাছ কেটে নিজেদের চাহিদা মেটান।
উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের গাছি আব্দুল খালেক দফাদার এখনো রস সংগ্রহ করছেন। প্রতিদিন ভোরে গাছিদের কাছে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যায়। রস সংগ্রহের জন্য তিনি বাদুড়ের সংস্পর্শ এড়াতে বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। গাছি খালেক দফাদার বলেন, শীত মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত রসের সন্ধান পাচ্ছি না। গ্রামে দিনদিন কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। গাছ কম থাকায় এখন শুধু রস বিক্রি করা হয়। প্রতি গ্লাস রসের দাম ২০ টাকা এবং প্রতি লিটার ৮০ টাকা। তিনি বলেন, অনেক গাছ কেটে ফেলেছে। এজন্য রসের দাম বেশি।
বামনা উপজেলাজুড়ে খেজুর গাছ কমে যাওয়ার পেছনে প্রধানত তিনটি কারণ দায়ী। এর মধ্যে রয়েছে-ইটভাটার জ্বালানি হিসাবে খেজুর গাছের ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, গাছিদের অভাব ও পেশার অনিশ্চয়তা।
পরিবেশ রক্ষা এবং রসের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে রাস্তার পাশে খেজুর গাছ লাগানোর দাবি উঠেছে। বামনার বাসিন্দারা বলছেন, এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা শুধু অর্থনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত দিক থেকেও জরুরি। এখনই যদি খেজুর গাছ লাগানো ও রক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধু স্মৃতিতেই খুঁজে পাবে এই ঐতিহ্যকে।

२७ নভেম্বর, २০२५ २३:০९
বরগুনার তালতলীতে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তার নাম হায়দার আলী। তিনি উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া বিটের দায়িত্বে রয়েছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন। এমনকি তাদের অর্থের প্রলোভনও দেখান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর যোগসাজশে প্রায়শই বনের গাছ কাটা হয়। তিনি যোগদানের পর থেকেই বনাঞ্চলে গাছ কাটার প্রবণতা বেড়েছে। গাছচোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ যোগসাজশ রয়েছে। সম্প্রতি নিশানবাড়িয়া বিটের বনাঞ্চল থেকে বড় আকারের পাঁচটি কেওড়াগাছ কাটা হয়েছে।
কাটা গাছের শিকড় ও পাশের গাছ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিটির দাম ২০ হাজার টাকা করে হবে। সে হিসাবে এক লাখ টাকার গাছ কাটা হয়েছে। বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই সুযোগবুঝে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে বনের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই গাছ কাটা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
হায়দার আলীর বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রতি বছর বনের চরের জমি স্থানীয় জেলেদের কাছে ইজারা দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এমনকি আটক করা জেলের ট্রলার বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কার্যালয়ে যেতে বলেন। পরে কার্যালয়ে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করেন। তিনি অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন।
উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলীর ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) সেবক মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। রেঞ্জ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’
বরগুনার তালতলীতে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক বিট কর্মকর্তার যোগসাজশে গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তার নাম হায়দার আলী। তিনি উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া বিটের দায়িত্বে রয়েছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন। এমনকি তাদের অর্থের প্রলোভনও দেখান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর যোগসাজশে প্রায়শই বনের গাছ কাটা হয়। তিনি যোগদানের পর থেকেই বনাঞ্চলে গাছ কাটার প্রবণতা বেড়েছে। গাছচোর সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ যোগসাজশ রয়েছে। সম্প্রতি নিশানবাড়িয়া বিটের বনাঞ্চল থেকে বড় আকারের পাঁচটি কেওড়াগাছ কাটা হয়েছে।
কাটা গাছের শিকড় ও পাশের গাছ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিটির দাম ২০ হাজার টাকা করে হবে। সে হিসাবে এক লাখ টাকার গাছ কাটা হয়েছে। বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই সুযোগবুঝে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এভাবে লোকচক্ষুর আড়ালে বনের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই গাছ কাটা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
হায়দার আলীর বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রতি বছর বনের চরের জমি স্থানীয় জেলেদের কাছে ইজারা দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এমনকি আটক করা জেলের ট্রলার বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কার্যালয়ে যেতে বলেন। পরে কার্যালয়ে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করেন। তিনি অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন।
উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। গাছ কাটার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলীর ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) সেবক মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, বিট কর্মকর্তা হায়দার আলীর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ পেয়েছি। রেঞ্জ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০