২৪ জুলাই, ২০২৫ ০০:০৩
বরগুনায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ আওয়ামী লীগের ২৩১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বরগুনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাটি করেন বরগুনা জেলা বিএনপির সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য এডভোকেট মো. শহীদুল ইসলাম।
আদালতে দেওয়া অভিযোগে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৩০ মে বিকেল ৩টার দিকে বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৩১ জন নেতাকর্মী বিএনপির জেলা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ভেঙে ফেলেন।
বাদীর দাবি, সরকারদলীয়দের ভয়ে তিনি এতদিন মামলা করতে পারেননি। তবে এখন প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ হওয়া জরুরি।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে। ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে বরগুনা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুকে এবং ৩ নম্বরে আছেন ফুলঝুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার কবির।
তালিকায় আরও আছেন বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, সদ্য সাবেক নারী এমপি সুলতানা নাদিরা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, বরগুনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ওয়ালি অলি, বরগুনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান বাহাদুরসহ মোট ২৩১ জন।
তবে মামলার বিষয়ে বরগুনা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় আগেও একটি মামলা হয়েছিল। সেদিন আমার মেয়ে মারা যাওয়ায় বিষয়টি আমি জানতাম না। আজকের মামলার ব্যাপারেও আমি কিছু জানি না।’
এদিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরগুনা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, ‘আমি শুনেছি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম মামলা করেছেন। বিষয়টি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়নি। আমরা শিগগিরই ফোরামের সভা ডেকে আলোচনা করব।’
একই ঘটনার জন্য ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ তারিখ দেখিয়ে বরগুনার বাসিন্দা এসএম নঈমুল ইসলামও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ নেতা, আইনজীবী ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
বরগুনায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ আওয়ামী লীগের ২৩১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বরগুনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাটি করেন বরগুনা জেলা বিএনপির সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য এডভোকেট মো. শহীদুল ইসলাম।
আদালতে দেওয়া অভিযোগে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৩০ মে বিকেল ৩টার দিকে বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৩১ জন নেতাকর্মী বিএনপির জেলা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ভেঙে ফেলেন।
বাদীর দাবি, সরকারদলীয়দের ভয়ে তিনি এতদিন মামলা করতে পারেননি। তবে এখন প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ হওয়া জরুরি।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে। ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে বরগুনা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুকে এবং ৩ নম্বরে আছেন ফুলঝুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার কবির।
তালিকায় আরও আছেন বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন, সদ্য সাবেক নারী এমপি সুলতানা নাদিরা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, বরগুনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ওয়ালি অলি, বরগুনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান বাহাদুরসহ মোট ২৩১ জন।
তবে মামলার বিষয়ে বরগুনা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমাদের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় আগেও একটি মামলা হয়েছিল। সেদিন আমার মেয়ে মারা যাওয়ায় বিষয়টি আমি জানতাম না। আজকের মামলার ব্যাপারেও আমি কিছু জানি না।’
এদিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরগুনা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, ‘আমি শুনেছি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম মামলা করেছেন। বিষয়টি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়নি। আমরা শিগগিরই ফোরামের সভা ডেকে আলোচনা করব।’
একই ঘটনার জন্য ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ তারিখ দেখিয়ে বরগুনার বাসিন্দা এসএম নঈমুল ইসলামও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ নেতা, আইনজীবী ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
বরগুনার আমতলীতে কিশোরগ্যাং চক্রের ৩ সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তাররা হলেন- কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য মো. সাকিল (১৯), মো. রাকিবুল (১৯), মো. ওলি হাওলাদার (১৯) ও লাইজু আক্তার (২৪)।
জানা গেছে, ফরহাদ ইসলামের সঙ্গে তিন বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় মোসা. লাইজু আক্তারের। রোববার সন্ধ্যায় লাইজু আক্তার ফরহাদকে তাদের মেয়েকে দেখার জন্য আসতে বলেন। এ সংবাদে ফরহাদ চাওড়া ইউনিয়নস্থ উশ্যিতলা মূল রাস্তার পাশে আসে।
লাইজু পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে ভাড়া করে নিয়ে আসে। ফরহাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে মারধর করে মোবাইল এবং টাকা-পয়সা নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ফরহাদ আমতলী থানায় অভিযোগ দিলে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটকদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, গ্রেপ্তারদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনার আমতলীতে কিশোরগ্যাং চক্রের ৩ সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তাররা হলেন- কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য মো. সাকিল (১৯), মো. রাকিবুল (১৯), মো. ওলি হাওলাদার (১৯) ও লাইজু আক্তার (২৪)।
জানা গেছে, ফরহাদ ইসলামের সঙ্গে তিন বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় মোসা. লাইজু আক্তারের। রোববার সন্ধ্যায় লাইজু আক্তার ফরহাদকে তাদের মেয়েকে দেখার জন্য আসতে বলেন। এ সংবাদে ফরহাদ চাওড়া ইউনিয়নস্থ উশ্যিতলা মূল রাস্তার পাশে আসে।
লাইজু পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে ভাড়া করে নিয়ে আসে। ফরহাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে মারধর করে মোবাইল এবং টাকা-পয়সা নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ফরহাদ আমতলী থানায় অভিযোগ দিলে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটকদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, গ্রেপ্তারদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৬
বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ ইটবাড়িয়া গ্রাম থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত স্ত্রীর গলা কাটা ছিল এবং স্বামীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। বর্তমানে পুলিশের একাধিক দল এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে।
নিহতরা হলেন দক্ষিণ ইটবাড়িয়া গ্রামের আব্বাস মৃধার মেয়ে আকলিমা (২৭) এবং একই গ্রামের খালেক মোল্লার ছেলে দিনমজুর স্বপন মোল্লা (৩২)। এই দম্পতির দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে, যাদের বয়স ছয় বছর ও এক বছর।
নিহত স্বপনের চাচাতো বোন রাজিয়া বেগম জানান, ভোরে অজু করতে বের হলে তাদের বড় মেয়ে সাদিয়া দৌড়ে এসে বলে, ‘আম্মি মোগো ঘরে চলেন, মা কথা বলছে না। বাবাকেও দেখছি না।’ তিনি ঘরে গিয়ে মেঝেতে আকলিমার গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। স্বপনকে খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বিছানার ওপর মোবাইল ফোন পড়ে আছে এবং ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর মরদেহ ঝুলছে।
স্বপনের বড় ভাই কবির মোল্লা বলেন, তাঁর ভাইয়ের কোনো শত্রু নেই, তবে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক কলহ হতো। স্বপন নিয়মিত কাজ না করায় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। নিহত আকলিমার বাবা আব্বাস মৃধা জানান, এ ঘটনা পারিবারিক কলহের কারণেই ঘটতে পারে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসাইন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে। হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলকে ‘ক্রাইম সিন’ হিসেবে ঘিরে রাখা হয়েছে।’
বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ ইটবাড়িয়া গ্রাম থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত স্ত্রীর গলা কাটা ছিল এবং স্বামীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। বর্তমানে পুলিশের একাধিক দল এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে।
নিহতরা হলেন দক্ষিণ ইটবাড়িয়া গ্রামের আব্বাস মৃধার মেয়ে আকলিমা (২৭) এবং একই গ্রামের খালেক মোল্লার ছেলে দিনমজুর স্বপন মোল্লা (৩২)। এই দম্পতির দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে, যাদের বয়স ছয় বছর ও এক বছর।
নিহত স্বপনের চাচাতো বোন রাজিয়া বেগম জানান, ভোরে অজু করতে বের হলে তাদের বড় মেয়ে সাদিয়া দৌড়ে এসে বলে, ‘আম্মি মোগো ঘরে চলেন, মা কথা বলছে না। বাবাকেও দেখছি না।’ তিনি ঘরে গিয়ে মেঝেতে আকলিমার গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। স্বপনকে খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বিছানার ওপর মোবাইল ফোন পড়ে আছে এবং ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর মরদেহ ঝুলছে।
স্বপনের বড় ভাই কবির মোল্লা বলেন, তাঁর ভাইয়ের কোনো শত্রু নেই, তবে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই সাংসারিক কলহ হতো। স্বপন নিয়মিত কাজ না করায় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। নিহত আকলিমার বাবা আব্বাস মৃধা জানান, এ ঘটনা পারিবারিক কলহের কারণেই ঘটতে পারে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসাইন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে। হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলকে ‘ক্রাইম সিন’ হিসেবে ঘিরে রাখা হয়েছে।’
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৪
বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নে নতুন ভোটার নিবন্ধনের নামে ঘুষ নেয় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম (আরিফ)।বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোটবগীর নেছার উদ্দিন নতুন ভোটার হতে গেলে তার কাছে ৫০০ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে দিনের পর দিন নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়।
পরে গতকাল বুধবার দুপুরে ঐ নেছার উদ্দিন ভোটার করতে আসলে তখন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম (আরিফ) বলেন ৫'শ টাকা না দিলে আপনার ভোটর করানো হবে না এবং করলেও বাতিল হয়ে যাবে। ভোটার বাতিল করার ভয় দেখানো হলে তিনি বাধ্য হয়ে টাকা দেন।
তবে দেড় ঘণ্টা পর বিষয়টি জানাজানি হলে এবং স্থানীয়দের চাপের মুখে আরিফ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন। টাকা ফেরত দেওয়ার ভিডিওতে আরিফ বলেন আমাকে চা খেতে টাকা দিয়েছে ঐ লোক ।
এই টাকা নেওয়া আমার ভুল হয়েছে। টাকা ফেরত দিতেছি। তবে তিনি এই একজনের কাছ থেকে ৫'শ টাকা নিয়ে থেমে নেই। নতুন ভোটার করতে হলেই তাকে ৫'শ টাকা দিতে হবে এমন নিয়ম চালু আছে ওই নির্বাচন কমিশন অফিসে।
অভিযোগ রয়েছে, শামসুল আলম আরিফের বিরুদ্ধে এর আগেও টাকা নিয়ে বয়স সংশোধনসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষ নতুন ভোটার হতে গিয়ে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের দাবি, তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিস ‘দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত হয়েছে। দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ভুক্তভোগী নেছার উদ্দিন বলেন, “আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তখন স্থানীয়দের উপস্থিতিতে অপারেটর ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দেন।
টাকা ফেরত দিলেও শুরুতে যে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেওয়া হয়েছে, তা খুবই লজ্জাজনক। সাধারণ মানুষ যদি ন্যায্য প্রক্রিয়ায় ভোটার হতে না পারে, তবে দুর্নীতি আরও বেড়ে যাবে।”
স্থানীয় মোস্তাফিজ বলেন, “নতুন ভোটার করার ক্ষেত্রে নিয়মিত হয়রানি ও ঘুষের অভিযোগ বহুদিনের। প্রশাসন যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।” এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম আরিফ বলেন, “আমাকে শুধু চা খাওয়ার টাকা দিয়ে গেছেন। আমি ভুল করেছি, ক্ষমা চাই। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না।”
তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, “যেহেতু ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, তাই এ নিয়ে নিউজ করিয়েন না।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবদুল হাই আল হাদী বলেন, নতুন ভোটার হতে কোনো ধরনের টাকা দিতে হয় না। এই টাকা নিয়ে যারা ভোটার নিবন্ধন করেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নে নতুন ভোটার নিবন্ধনের নামে ঘুষ নেয় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম (আরিফ)।বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোটবগীর নেছার উদ্দিন নতুন ভোটার হতে গেলে তার কাছে ৫০০ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে দিনের পর দিন নানা অজুহাতে হয়রানি করা হয়।
পরে গতকাল বুধবার দুপুরে ঐ নেছার উদ্দিন ভোটার করতে আসলে তখন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম (আরিফ) বলেন ৫'শ টাকা না দিলে আপনার ভোটর করানো হবে না এবং করলেও বাতিল হয়ে যাবে। ভোটার বাতিল করার ভয় দেখানো হলে তিনি বাধ্য হয়ে টাকা দেন।
তবে দেড় ঘণ্টা পর বিষয়টি জানাজানি হলে এবং স্থানীয়দের চাপের মুখে আরিফ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন। টাকা ফেরত দেওয়ার ভিডিওতে আরিফ বলেন আমাকে চা খেতে টাকা দিয়েছে ঐ লোক ।
এই টাকা নেওয়া আমার ভুল হয়েছে। টাকা ফেরত দিতেছি। তবে তিনি এই একজনের কাছ থেকে ৫'শ টাকা নিয়ে থেমে নেই। নতুন ভোটার করতে হলেই তাকে ৫'শ টাকা দিতে হবে এমন নিয়ম চালু আছে ওই নির্বাচন কমিশন অফিসে।
অভিযোগ রয়েছে, শামসুল আলম আরিফের বিরুদ্ধে এর আগেও টাকা নিয়ে বয়স সংশোধনসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষ নতুন ভোটার হতে গিয়ে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের দাবি, তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিস ‘দুর্নীতির আখড়াতে পরিণত হয়েছে। দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ভুক্তভোগী নেছার উদ্দিন বলেন, “আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তখন স্থানীয়দের উপস্থিতিতে অপারেটর ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দেন।
টাকা ফেরত দিলেও শুরুতে যে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেওয়া হয়েছে, তা খুবই লজ্জাজনক। সাধারণ মানুষ যদি ন্যায্য প্রক্রিয়ায় ভোটার হতে না পারে, তবে দুর্নীতি আরও বেড়ে যাবে।”
স্থানীয় মোস্তাফিজ বলেন, “নতুন ভোটার করার ক্ষেত্রে নিয়মিত হয়রানি ও ঘুষের অভিযোগ বহুদিনের। প্রশাসন যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।” এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর শামসুল আলম আরিফ বলেন, “আমাকে শুধু চা খাওয়ার টাকা দিয়ে গেছেন। আমি ভুল করেছি, ক্ষমা চাই। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না।”
তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, “যেহেতু ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, তাই এ নিয়ে নিউজ করিয়েন না।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবদুল হাই আল হাদী বলেন, নতুন ভোটার হতে কোনো ধরনের টাকা দিতে হয় না। এই টাকা নিয়ে যারা ভোটার নিবন্ধন করেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.