
০২ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৪
৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
অপসোনিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ শতাধিক কর্মচারীকে আকস্মিক চাকরিচ্যুৎ করা হয়েছে। তিনদিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে তাদের বাসায় চাকরিচ্যুতির নোটিস পৌছে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ চাকরি হারানোর ঘটনায় সংক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা টানা ৫দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। রোববার সকালেও চাকরিচ্যুৎ শ্রমিকেরা শহরের বগুড়া রোডস্থ প্রতিষ্ঠানটির সম্মুখ সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এতে প্রতিবাদস্বরুপ শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরাও অংশ নেয়। রোববারের এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেধে দেওয়া হয়েছে, যদি এর মধ্যে শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা না হয়, তাহলে মহাসড়ক অবরোধ করাসহ আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
চাকরিচ্যুৎ আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই স্টেরিপ্যাক বিভাগের শ্রমিকদের তিনদিনের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই ছুটির মধ্যে গত ২৮ অক্টোবর প্রত্যেক শ্রমিকের বাসা-বাড়িতে চাকরিচ্যুতির নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের এমন অমানবিক আচরণ শ্রমিকদের হতাশাগ্রস্ত করে তোলার পাশাপাশি সংক্ষুব্ধ করেছে।
চাকরিচ্যুতির নোটির প্রাপ্তির একদিনের মাথায় অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা প্রতিবাদস্বরুপ বগুড়া রোডস্থ অপসোনিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছেন।
একাধিক শ্রমিকের অভিযোগ, স্টেরিপ্যাক বিভাগে কর্মরত ৫ শতাধিক শ্রমিকের প্রত্যেকের বেতন ১২ থেকে ১৬ হাজার টাকা ছিল। কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরিচ্যুৎ করে কম বেতনে কর্মী নিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পুরানো এবং দক্ষ শ্রমিকদের বরখাস্ত করেছে।
ছুটির মধ্যে ডাকযোগে নোটিস পাঠিয়ে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুতির এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাসদ বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী ডা. মনিষা চক্রবর্তী। গত শনিবার এবং রোববার চাকরিচ্যুৎ শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি অংশগ্রহণ করেন।
বরিশালে দীর্ঘদিন শ্রমিকের অধিকার নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসা এই নারী নেত্রী বলেন, আকস্মিক চাকরিচ্যুতির নোটিস দিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করা অমানবিক আচরণের সামিল। এই ঘটনায় শ্রমিকেরা তাদের অধিকার রক্ষায় মাঠে নেমেছেন। এতে তিনিও সম্মতি জানিয়ে পাশে থাকার অভয় দিয়েছেন। যদি শিগগিরই শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল না করা হয়, তাহলে দাবি আদায়ে মহাসড়ক অবরোধ করাসহ আরও কঠোর কর্মসূচিতে দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে অপসোনিনকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।
আকস্মিক শ্রমিক ছাঁটাই এবং প্রতিবাদ আন্দোলন নিয়ে জানতে রোববার বিকেলে অপসোনিনের বরিশাল অফিসে ফোন করা হলে পারভেজ নামক জনৈক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করলেও তিনি মিডিয়ায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে বিভিন্ন মাধ্যম জানা গেছে, বরিশালের এই প্রতিষ্ঠানটি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আমির হোসেন আমুর স্বজন আবদুস সবুর খানের। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন সংকট দেখা দেয়। ধারনা করা হচ্ছে, আগামীদিনে প্রতিষ্ঠানটির খরচ কমাতে স্টেরিপ্যাক বিভাগের কর্মচারীদের বাদ দিয়ে কম বেতনে কর্মী নেওয়ার হতে পারে। অবশ্য এই এধরনের অভিযোগ চাকরিচ্যুৎ শ্রমিকেরাও মিডিয়ার কাছে তুলে ধরেছেন।’
৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
অপসোনিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ শতাধিক কর্মচারীকে আকস্মিক চাকরিচ্যুৎ করা হয়েছে। তিনদিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে তাদের বাসায় চাকরিচ্যুতির নোটিস পৌছে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ চাকরি হারানোর ঘটনায় সংক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা টানা ৫দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। রোববার সকালেও চাকরিচ্যুৎ শ্রমিকেরা শহরের বগুড়া রোডস্থ প্রতিষ্ঠানটির সম্মুখ সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এতে প্রতিবাদস্বরুপ শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরাও অংশ নেয়। রোববারের এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেধে দেওয়া হয়েছে, যদি এর মধ্যে শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা না হয়, তাহলে মহাসড়ক অবরোধ করাসহ আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
চাকরিচ্যুৎ আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই স্টেরিপ্যাক বিভাগের শ্রমিকদের তিনদিনের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় কর্তৃপক্ষ। সেই ছুটির মধ্যে গত ২৮ অক্টোবর প্রত্যেক শ্রমিকের বাসা-বাড়িতে চাকরিচ্যুতির নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের এমন অমানবিক আচরণ শ্রমিকদের হতাশাগ্রস্ত করে তোলার পাশাপাশি সংক্ষুব্ধ করেছে।
চাকরিচ্যুতির নোটির প্রাপ্তির একদিনের মাথায় অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা প্রতিবাদস্বরুপ বগুড়া রোডস্থ অপসোনিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছেন।
একাধিক শ্রমিকের অভিযোগ, স্টেরিপ্যাক বিভাগে কর্মরত ৫ শতাধিক শ্রমিকের প্রত্যেকের বেতন ১২ থেকে ১৬ হাজার টাকা ছিল। কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরিচ্যুৎ করে কম বেতনে কর্মী নিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পুরানো এবং দক্ষ শ্রমিকদের বরখাস্ত করেছে।
ছুটির মধ্যে ডাকযোগে নোটিস পাঠিয়ে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুতির এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাসদ বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী ডা. মনিষা চক্রবর্তী। গত শনিবার এবং রোববার চাকরিচ্যুৎ শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি অংশগ্রহণ করেন।
বরিশালে দীর্ঘদিন শ্রমিকের অধিকার নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসা এই নারী নেত্রী বলেন, আকস্মিক চাকরিচ্যুতির নোটিস দিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করা অমানবিক আচরণের সামিল। এই ঘটনায় শ্রমিকেরা তাদের অধিকার রক্ষায় মাঠে নেমেছেন। এতে তিনিও সম্মতি জানিয়ে পাশে থাকার অভয় দিয়েছেন। যদি শিগগিরই শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল না করা হয়, তাহলে দাবি আদায়ে মহাসড়ক অবরোধ করাসহ আরও কঠোর কর্মসূচিতে দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে অপসোনিনকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।
আকস্মিক শ্রমিক ছাঁটাই এবং প্রতিবাদ আন্দোলন নিয়ে জানতে রোববার বিকেলে অপসোনিনের বরিশাল অফিসে ফোন করা হলে পারভেজ নামক জনৈক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করলেও তিনি মিডিয়ায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে বিভিন্ন মাধ্যম জানা গেছে, বরিশালের এই প্রতিষ্ঠানটি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আমির হোসেন আমুর স্বজন আবদুস সবুর খানের। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন সংকট দেখা দেয়। ধারনা করা হচ্ছে, আগামীদিনে প্রতিষ্ঠানটির খরচ কমাতে স্টেরিপ্যাক বিভাগের কর্মচারীদের বাদ দিয়ে কম বেতনে কর্মী নেওয়ার হতে পারে। অবশ্য এই এধরনের অভিযোগ চাকরিচ্যুৎ শ্রমিকেরাও মিডিয়ার কাছে তুলে ধরেছেন।’
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৭
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৭
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুয়াকাটা মহাসড়কসহ পুরো শহরের সড়ক এখন বেহাল দশায়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অটোর চাকা আটকে যাচ্ছে খানাখন্দে, আবার কোথাও যাত্রীসহ অটো উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় যাত্রী, চালক ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছাড়াও ভোলা রোড, রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, বাংলাবাজার ও নতুন বাজার এলাকায় খানাখন্দ বেশি। সড়কের পিচ-পাথর উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সাময়িকভাবে ইট ফেলে ভরাট করা হলেও তা টেকসই হচ্ছে না। প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চাপ বেড়েছে আরও।
কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের বাসচালক কেরামত আলী বলেন, ‘সড়কের যে অবস্থা, তাতে বাস চালাতে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। যাত্রীরাও আতঙ্কে থাকেন। সময়ও বেশি লাগে। যে ধরনের সংস্কার করা হচ্ছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আগেও এভাবে সংস্কার হয়েছে, কিন্তু টেকেনি।’
সওজ বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান জানান, ‘আমরা সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়ককে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এটি মাত্র ২৪ ফিটের একটি সিঙ্গেল রোড। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আমরা ২০০ মিটার রাস্তায় পাঁচটি স্পিড ব্রেকার দিয়েছি, যা একটি হাইওয়ের জন্য উপযোগী নয়। এখানে ভারী যানবাহন চলাচল করে, ফলে হঠাৎ গতি কমে গেলে সড়কের ক্ষতি হয়।
ফিটনেসবিহীন বেপরোয়া যানবাহন এবং মোটরচালিত যানও রাস্তার ক্ষতির বড় কারণ। বরিশালে আদর্শ সড়ক মাত্র ১২ কিলোমিটার। জায়গার অভাবে রাস্তা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। জোড়া-তালি দিয়ে প্রশস্তকরণ করায় সড়কের লেভেল এক থাকে না, ফলে ত্রুটি থেকে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশ থেকে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলেপিংয়ের আওতায় আসবে। তাছাড়া ট্রাফিক কন্ট্রোল ও সিন্ডিকেট সমস্যার কারণে নতুন যানবাহন প্রবেশ করাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে এই সড়ক বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। তবে আসন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হলে দুর্ঘটনা ও সড়ক অব্যবস্থাপনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘বর্ষাকালে বিটুমিনের কাজ করা যায় না। বর্ষা শেষ না হলে রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতে টেন্ডার রাজনীতির কারণে দায়সারা কাজ হয়েছে, ফলে টেকসই হয়নি। হেভি লোড যানবাহন, স্পিড ব্রেকার ও লাইসেন্সবিহীন মোটরযানের কারণে রাস্তার ফ্লেক্সিবিলিটি নষ্ট হচ্ছে। আবার ফাইনান্সিয়াল সংকটের কারণে নতুন প্রজেক্টও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের এমন বেহাল অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। মাঝেমধ্যেই দেখি যাত্রীসহ অটো উল্টে যাচ্ছে। আমার নিজেরও চলাচলে ভোগান্তি হয়। কর্তৃপক্ষের যেমন গাফিলতি আছে, তেমনি আমাদের তাগিদের অভাবও রয়েছে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নূর লামিয়া তাবাসসুম (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ১১ ব্যাচ) বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয়, আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাই। আমার দুর্ঘটনার জন্য সড়কের অব্যবস্থাপনা, গাড়ির বেপরোয়া গতি এবং প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করি। নেই ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তা পার হতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা দুঃখজনক।’
এ পথের নিয়মিত যাত্রী ফয়সাল সাহেব জানায়, ‘প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় রাস্তাঘাটের খানাখন্দ আমার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁটার সময় ভয় থাকে কখন যে পা পিছলে যায়। কয়েকদিন আগে আমার পরিচিত একজন অটোতে উঠতে গিয়ে পড়ে পা মচকে ফেলেন। বয়স হয়েছে, তাই আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, পুরো দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। অথচ সড়কের এই বেহাল দশা প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুয়াকাটা মহাসড়কসহ পুরো শহরের সড়ক এখন বেহাল দশায়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অটোর চাকা আটকে যাচ্ছে খানাখন্দে, আবার কোথাও যাত্রীসহ অটো উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় যাত্রী, চালক ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছাড়াও ভোলা রোড, রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, বাংলাবাজার ও নতুন বাজার এলাকায় খানাখন্দ বেশি। সড়কের পিচ-পাথর উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সাময়িকভাবে ইট ফেলে ভরাট করা হলেও তা টেকসই হচ্ছে না। প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চাপ বেড়েছে আরও।
কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের বাসচালক কেরামত আলী বলেন, ‘সড়কের যে অবস্থা, তাতে বাস চালাতে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। যাত্রীরাও আতঙ্কে থাকেন। সময়ও বেশি লাগে। যে ধরনের সংস্কার করা হচ্ছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আগেও এভাবে সংস্কার হয়েছে, কিন্তু টেকেনি।’
সওজ বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান জানান, ‘আমরা সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়ককে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এটি মাত্র ২৪ ফিটের একটি সিঙ্গেল রোড। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আমরা ২০০ মিটার রাস্তায় পাঁচটি স্পিড ব্রেকার দিয়েছি, যা একটি হাইওয়ের জন্য উপযোগী নয়। এখানে ভারী যানবাহন চলাচল করে, ফলে হঠাৎ গতি কমে গেলে সড়কের ক্ষতি হয়।
ফিটনেসবিহীন বেপরোয়া যানবাহন এবং মোটরচালিত যানও রাস্তার ক্ষতির বড় কারণ। বরিশালে আদর্শ সড়ক মাত্র ১২ কিলোমিটার। জায়গার অভাবে রাস্তা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। জোড়া-তালি দিয়ে প্রশস্তকরণ করায় সড়কের লেভেল এক থাকে না, ফলে ত্রুটি থেকে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশ থেকে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলেপিংয়ের আওতায় আসবে। তাছাড়া ট্রাফিক কন্ট্রোল ও সিন্ডিকেট সমস্যার কারণে নতুন যানবাহন প্রবেশ করাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে এই সড়ক বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। তবে আসন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হলে দুর্ঘটনা ও সড়ক অব্যবস্থাপনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘বর্ষাকালে বিটুমিনের কাজ করা যায় না। বর্ষা শেষ না হলে রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতে টেন্ডার রাজনীতির কারণে দায়সারা কাজ হয়েছে, ফলে টেকসই হয়নি। হেভি লোড যানবাহন, স্পিড ব্রেকার ও লাইসেন্সবিহীন মোটরযানের কারণে রাস্তার ফ্লেক্সিবিলিটি নষ্ট হচ্ছে। আবার ফাইনান্সিয়াল সংকটের কারণে নতুন প্রজেক্টও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের এমন বেহাল অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। মাঝেমধ্যেই দেখি যাত্রীসহ অটো উল্টে যাচ্ছে। আমার নিজেরও চলাচলে ভোগান্তি হয়। কর্তৃপক্ষের যেমন গাফিলতি আছে, তেমনি আমাদের তাগিদের অভাবও রয়েছে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নূর লামিয়া তাবাসসুম (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ১১ ব্যাচ) বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয়, আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাই। আমার দুর্ঘটনার জন্য সড়কের অব্যবস্থাপনা, গাড়ির বেপরোয়া গতি এবং প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করি। নেই ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তা পার হতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা দুঃখজনক।’
এ পথের নিয়মিত যাত্রী ফয়সাল সাহেব জানায়, ‘প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় রাস্তাঘাটের খানাখন্দ আমার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁটার সময় ভয় থাকে কখন যে পা পিছলে যায়। কয়েকদিন আগে আমার পরিচিত একজন অটোতে উঠতে গিয়ে পড়ে পা মচকে ফেলেন। বয়স হয়েছে, তাই আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, পুরো দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। অথচ সড়কের এই বেহাল দশা প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।
বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে ২৭ বছরের গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মামলা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি থানার ওসিকে আসামির বিরুদ্ধে এজাহার করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া এলাকার আসমা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ হয় আসামীর।
বাদির আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। গত ১২ নভেম্বর বাদি বাস স্ট্যান্ড আসলে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়া বাদিসহ তার নবজাত শিশু সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যায়। এরপর ১২ ই নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাঁদিকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদি স্বামীকে জানালে স্বামী ১৯ নভেম্বর ঢাকা গিয়ে বাদিকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ২৭বছরের ওই গৃহবধূ বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে হাজির হয়ে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।
শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে ২৭ বছরের গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মামলা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি থানার ওসিকে আসামির বিরুদ্ধে এজাহার করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া এলাকার আসমা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ হয় আসামীর।
বাদির আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। গত ১২ নভেম্বর বাদি বাস স্ট্যান্ড আসলে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়া বাদিসহ তার নবজাত শিশু সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যায়। এরপর ১২ ই নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাঁদিকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদি স্বামীকে জানালে স্বামী ১৯ নভেম্বর ঢাকা গিয়ে বাদিকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ২৭বছরের ওই গৃহবধূ বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে হাজির হয়ে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.