০২ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:১২
আগামী ৫ আগস্ট বিকেল পাঁচটায় জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই পোস্টে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫ বিকেল ৫ টায় গণঅভ্যুত্থানের সকল পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত অবিলম্বে ঘোষণা করা হবে।
শনিবার (২ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে বলে জানান ন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
শুক্রবার (১ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টায় মাহফুজ আলম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান। মাহফুজ আলম লিখেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ আগস্টের মধ্যেই ঘোষিত হবে ঘোষণাপত্র।
ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণআকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটা বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আগস্টের ৫ তারিখের মধ্যে যে কোনো দিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এটি প্রকাশ করবেন। তবে, নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনো জানা যায়নি।
ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। খসড়ার একটি কপি প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) পাঠানো হয়েছে তাদের মতামত দেওয়ার জন্য।
যেকোনও ধরনের বিতর্ক এড়াতে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে প্রণীত, খসড়া ঘোষণাপত্রে ২৬ দফা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে। প্রথম খসড়ায় বলা হয়েছিল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান হয়েছে।
ঘোষণাপত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা আসার পর টানা তিন মেয়াদের ১৫ বছরের শাসনামলে বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, বিএনপির মতামতের ভিত্তিতে ৭৫-এর ৭ নভেম্বরের সিপাহী বিপ্লব, ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের করা সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার মূল ম্যান্ডেট হলো রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কার এবং জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা। এই প্রেক্ষাপটে জুলাই ঘোষণাপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আগামী ৫ আগস্ট বিকেল পাঁচটায় জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই পোস্টে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫ বিকেল ৫ টায় গণঅভ্যুত্থানের সকল পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত অবিলম্বে ঘোষণা করা হবে।
শনিবার (২ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে বলে জানান ন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
শুক্রবার (১ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টায় মাহফুজ আলম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান। মাহফুজ আলম লিখেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ আগস্টের মধ্যেই ঘোষিত হবে ঘোষণাপত্র।
ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণআকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটা বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আগস্টের ৫ তারিখের মধ্যে যে কোনো দিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এটি প্রকাশ করবেন। তবে, নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনো জানা যায়নি।
ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। খসড়ার একটি কপি প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) পাঠানো হয়েছে তাদের মতামত দেওয়ার জন্য।
যেকোনও ধরনের বিতর্ক এড়াতে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে প্রণীত, খসড়া ঘোষণাপত্রে ২৬ দফা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে। প্রথম খসড়ায় বলা হয়েছিল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান হয়েছে।
ঘোষণাপত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা আসার পর টানা তিন মেয়াদের ১৫ বছরের শাসনামলে বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, বিএনপির মতামতের ভিত্তিতে ৭৫-এর ৭ নভেম্বরের সিপাহী বিপ্লব, ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের করা সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার মূল ম্যান্ডেট হলো রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কার এবং জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা। এই প্রেক্ষাপটে জুলাই ঘোষণাপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৪
দুর্গাপূজায় সন্ধ্যা ৭টার আগেই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই। সন্ধ্যা ৭টার আগেরই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা মণ্ডপ পর্যবেক্ষণে থাকবে। আমাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে আশপাশের মেলায় মদ ও গাজার আসর বসে। এবার এসব মেলা হবে। পূজায় মাজা-মদের আসর বসানো যাবে না। এবার সারা দেশে ৩৩ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে
উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবিকে পূজামণ্ডপের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া সারা দেশেই আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে। ঢাকায় লাইন করে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। কার পরে কে বিসর্জন দেবে তার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজা ঘিরে সন্ত্রাসী হামলাসহ যে কোনো নাশকতা রোধে ১৮ দফা নির্দেশনা দেবে সরকার। কর্মকর্তারা জানান, দুর্গাপূজা নিয়ে ১৮ দফা নির্দেশনা প্রস্তুত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সভায় মাঠ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার জন্য বলা হবে। দফাগুলো হলো ১. দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার ও ভিডিপির দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে বলা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
২. যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ৩. দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করতে হবে।
৪. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ৫. সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার নিয়োজিত করতে হবে।
৬. প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭. পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক মোতায়ন করতে হবে।
৮. হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এরূপ কমিটি গঠন করবেন।
৯. পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সংশ্লিষ্ট পূজামণ্ডপে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করতে হবে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে। ১০. সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মোবাইল নম্বর মন্দির বা মণ্ডপ প্রাঙ্গণে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখার ও জেলা ও উপজেলা সব সরকারি ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
১১. পূজায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের ওপর কড়া নজরদারি অব্যাহত রাখাসহ পূজামণ্ডপের ভেতরে ব্যাগ বা সন্দেহজনক কোনো কিছু নিয়ে কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রতিমা তৈরি থেকে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মন্দির বা মণ্ডপে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
১২. প্রতিমা যেন ভাঙচুর না হয়, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৩. প্রতিমা বিসর্জনস্থল ও মণ্ডপগুলোয় পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করতে হবে। মণ্ডপে নারী দর্শণার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করতে হবে। ১৪. স্থানীয় বখাটেদের দ্বারা পূজামণ্ডপে আসা নারীদের উত্ত্যক্ত করা ও ইভটিজিং রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৫. পূজা চলাকালে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানো বন্ধসহ স্থায়ীভাবে আতশবাজির উপকরণ বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধকরণের লক্ষ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১৬. স্থানীয়ভাবে পূজামণ্ডপের পার্শ্বে উপযুক্ত স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করা এবং বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলো ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ১৭. প্রতিমা বিসর্জনের সময় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল স্ট্যান্ডবাই থাকা এবং ১৮. যেসব পূজামণ্ডপে যাতায়াতের রাস্তা ব্যবহারের অনুপেযোগী, সেসব রাস্তা সাময়িক মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে।
দুর্গাপূজায় সন্ধ্যা ৭টার আগেই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই। সন্ধ্যা ৭টার আগেরই প্রতিমা বিসর্জন শেষ করতে হবে। ২৪ ঘণ্টা মণ্ডপ পর্যবেক্ষণে থাকবে। আমাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে আশপাশের মেলায় মদ ও গাজার আসর বসে। এবার এসব মেলা হবে। পূজায় মাজা-মদের আসর বসানো যাবে না। এবার সারা দেশে ৩৩ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে
উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবিকে পূজামণ্ডপের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া সারা দেশেই আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে। ঢাকায় লাইন করে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। কার পরে কে বিসর্জন দেবে তার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পূজা ঘিরে সন্ত্রাসী হামলাসহ যে কোনো নাশকতা রোধে ১৮ দফা নির্দেশনা দেবে সরকার। কর্মকর্তারা জানান, দুর্গাপূজা নিয়ে ১৮ দফা নির্দেশনা প্রস্তুত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সভায় মাঠ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার জন্য বলা হবে। দফাগুলো হলো ১. দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার ও ভিডিপির দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে বলা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
২. যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ৩. দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করতে হবে।
৪. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ৫. সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার নিয়োজিত করতে হবে।
৬. প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭. পূজামণ্ডপে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক মোতায়ন করতে হবে।
৮. হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এরূপ কমিটি গঠন করবেন।
৯. পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সংশ্লিষ্ট পূজামণ্ডপে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করতে হবে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে। ১০. সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মোবাইল নম্বর মন্দির বা মণ্ডপ প্রাঙ্গণে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখার ও জেলা ও উপজেলা সব সরকারি ওয়েবসাইটে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
১১. পূজায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের ওপর কড়া নজরদারি অব্যাহত রাখাসহ পূজামণ্ডপের ভেতরে ব্যাগ বা সন্দেহজনক কোনো কিছু নিয়ে কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রতিমা তৈরি থেকে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মন্দির বা মণ্ডপে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
১২. প্রতিমা যেন ভাঙচুর না হয়, সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৩. প্রতিমা বিসর্জনস্থল ও মণ্ডপগুলোয় পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করতে হবে। মণ্ডপে নারী দর্শণার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করতে হবে। ১৪. স্থানীয় বখাটেদের দ্বারা পূজামণ্ডপে আসা নারীদের উত্ত্যক্ত করা ও ইভটিজিং রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৫. পূজা চলাকালে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানো বন্ধসহ স্থায়ীভাবে আতশবাজির উপকরণ বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধকরণের লক্ষ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১৬. স্থানীয়ভাবে পূজামণ্ডপের পার্শ্বে উপযুক্ত স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করা এবং বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলো ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ১৭. প্রতিমা বিসর্জনের সময় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল স্ট্যান্ডবাই থাকা এবং ১৮. যেসব পূজামণ্ডপে যাতায়াতের রাস্তা ব্যবহারের অনুপেযোগী, সেসব রাস্তা সাময়িক মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৩৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) দীর্ঘ ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই- বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্ৰীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না। এর আগেও সেনাবাহিনী কর্তৃক আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
এরপরও, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্রমাগত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা মাত্র, যা সার্বিক নির্বাচনী পরিবেশকে ব্যাহত করতে পারে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আশা করে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে। সবশেষ বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, ভোটার এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি সেনাবাহিনীর আন্তরিক শুভকামনা রইল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) দীর্ঘ ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই- বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্ৰীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না। এর আগেও সেনাবাহিনী কর্তৃক আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
এরপরও, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্রমাগত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা মাত্র, যা সার্বিক নির্বাচনী পরিবেশকে ব্যাহত করতে পারে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আশা করে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে। সবশেষ বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, ভোটার এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি সেনাবাহিনীর আন্তরিক শুভকামনা রইল।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০১:১২
বগুড়ায় পেট্রলপাম্পের এক কর্মকর্তাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাকিবুল ইসলাম ওরফে রতন (২৬) নামের এক কর্মচারীকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকা থেকে তাকে আটক করেন বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ইকবাল হাসান জানান, হত্যার ঘটনার পরপর রতন বগুড়া থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকা থেকে তাকে ডিবি টিম আটক করে। আটকের সময় তার কাছে নিহতের মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের অফিসকক্ষে ক্যাশিয়ার ইকবাল হাসান হেলালকে (৩৫) হাতুড়ির আঘাতে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। পরে সকালে পাম্পের অন্য লোকজন এলে হত্যার বিষয়টি টের পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন জানিয়েছে, ফিলিং স্টেশনে বেশ কিছুদিন ধরে তেল চুরি হচ্ছিল। এই তেল চুরির জন্য তাকে দায়ী করে ইকবাল। সেই ক্ষোভ থেকে তাকে হত্যা করে রতন।
ডিবি ইনচার্জ জানান, রতনকে বগুড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কাল এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে শতাব্দী ফিলিং স্টেশনে খুনের ঘটনাটির সিসি ফুটেজ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, রাত আড়াইটার দিকে রতন একটি হাতুড়ি দিয়ে ইকবালের মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে রতন পালিয়ে যায়।
নিহত ইকবাল হোসেন সিরাজগঞ্জ সদরের পিপুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে আটক রতন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
বগুড়ায় পেট্রলপাম্পের এক কর্মকর্তাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাকিবুল ইসলাম ওরফে রতন (২৬) নামের এক কর্মচারীকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকা থেকে তাকে আটক করেন বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ইকবাল হাসান জানান, হত্যার ঘটনার পরপর রতন বগুড়া থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকা থেকে তাকে ডিবি টিম আটক করে। আটকের সময় তার কাছে নিহতের মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের অফিসকক্ষে ক্যাশিয়ার ইকবাল হাসান হেলালকে (৩৫) হাতুড়ির আঘাতে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। পরে সকালে পাম্পের অন্য লোকজন এলে হত্যার বিষয়টি টের পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন জানিয়েছে, ফিলিং স্টেশনে বেশ কিছুদিন ধরে তেল চুরি হচ্ছিল। এই তেল চুরির জন্য তাকে দায়ী করে ইকবাল। সেই ক্ষোভ থেকে তাকে হত্যা করে রতন।
ডিবি ইনচার্জ জানান, রতনকে বগুড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কাল এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে শতাব্দী ফিলিং স্টেশনে খুনের ঘটনাটির সিসি ফুটেজ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, রাত আড়াইটার দিকে রতন একটি হাতুড়ি দিয়ে ইকবালের মাথায় একাধিকবার আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে রতন পালিয়ে যায়।
নিহত ইকবাল হোসেন সিরাজগঞ্জ সদরের পিপুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে আটক রতন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.