
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় দেশের মানুষ যেখানে সমব্যথী, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) মন্তব্য গভীরভাবে নিন্দনীয়। তিনি বলেন, সিইসিকে তার বক্তব্য ও অবস্থান নিয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, একজন বিপ্লবী আহত হলে সরকার সর্তকভাবে পদক্ষেপ নেবে—এমন সরকার আমরা চাই। ৫৪ বছরের বেশি সময় ধরে জাতির ভাগ্য চোরাবালির মধ্যে আটকে ছিল। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে ঐক্য গঠিত হয়েছে, সেটিকে ধরে রেখে দেশের সামনে এগিয়ে
তিনি আরও বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করবে এবং জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নেবে। ফ্যাসিবাদে অনেকেই আপস করেছে, কিন্তু জামায়াত কখনও আপস করেনি এবং ভবিষ্যতেও কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করবে না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সমালোচনা করা যায়, কিন্তু খণ্ডিত বা বিভ্রান্তিকরভাবে বক্তব্য প্রচার করে আমাদের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়ানো যাবে না। ন্যায্য ও সত্য সমালোচনা আমরা গ্রহণ করব, তবে জাতির ক্ষতি হবে এমন সাংবাদিকতা করা উচিত নয়।
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখনও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ভাগ্য বদলাতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান।
অন্য সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম বলেন, গত ৫৪ বছরেও দেশের মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। শাসকদের কারণে জাতি বারবার বিভক্ত হয়েছে এবং অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত ঐক্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় হাদির ওপর হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় দেশের মানুষ যেখানে সমব্যথী, সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) মন্তব্য গভীরভাবে নিন্দনীয়। তিনি বলেন, সিইসিকে তার বক্তব্য ও অবস্থান নিয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, একজন বিপ্লবী আহত হলে সরকার সর্তকভাবে পদক্ষেপ নেবে—এমন সরকার আমরা চাই। ৫৪ বছরের বেশি সময় ধরে জাতির ভাগ্য চোরাবালির মধ্যে আটকে ছিল। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে ঐক্য গঠিত হয়েছে, সেটিকে ধরে রেখে দেশের সামনে এগিয়ে
তিনি আরও বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করবে এবং জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নেবে। ফ্যাসিবাদে অনেকেই আপস করেছে, কিন্তু জামায়াত কখনও আপস করেনি এবং ভবিষ্যতেও কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করবে না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সমালোচনা করা যায়, কিন্তু খণ্ডিত বা বিভ্রান্তিকরভাবে বক্তব্য প্রচার করে আমাদের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়ানো যাবে না। ন্যায্য ও সত্য সমালোচনা আমরা গ্রহণ করব, তবে জাতির ক্ষতি হবে এমন সাংবাদিকতা করা উচিত নয়।
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখনও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ভাগ্য বদলাতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান।
অন্য সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম বলেন, গত ৫৪ বছরেও দেশের মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। শাসকদের কারণে জাতি বারবার বিভক্ত হয়েছে এবং অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত ঐক্য রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় হাদির ওপর হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:৫২
‘আর একটি লাশ পড়লে আমরাও লাশ নেব’ এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চের সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে। একটি লাশ পড়লে আমরাও লাশ নেব। অনেক ধৈর্য ধরা হয়েছে, আর না। আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে ভাইদের ওপর হামলা করবেন, এটা আমরা বরদাশত করব না।
‘অভ্যুত্থানের পর লড়াইয়ে পরাস্ত হয়েছি বলেই হাদি গুলিবিদ্ধ’ মন্তব্য করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘এই লড়াই দীর্ঘ, এর জন্য আমার প্রথমে বলেছি মুজিববাদের মূল উৎখাত করতে হবে। কিন্তু সেই চেষ্টা কমই দেখছি। এখনো মুজিববাদবিরোধী লড়াইয়ে আমরা পিছিয়ে আছি।’
‘বাংলাদেশে থেকে দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা বজায় রাখছে একদল’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা চাইলে এদের সব ধ্বংস করে দিতে পারতাম, করিনি। আমরা ক্ষমা করে ভুল করে থাকলে প্রতিজ্ঞা করি, আর ক্ষমা করব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপদ না থাকলে, দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকতে পারবে না। জুলাই শক্তি গঠনমূলকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে সব লড়াই রুখে দেওয়া যাবে।’
প্রতিরোধ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, বারবার হাদির জীবন শঙ্কা দেখা দেওয়ার পরও আপনারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? এই উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত যাওয়া যাবে না। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার মধ্যে রয়েছে। হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এ দেশে থেকে আওয়ামী লীগের দালালদের বিতাড়িত করতে হবে।’
এর আগে, সোমবার বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এই সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সমাবেশস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা একের পর এক প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানে স্লোগানে তারা বলেন, ‘আমরা সবাই হাদি হব, ভুলের মুখে কথা বলব’, ‘এক হাদি রক্ত দেবে, লক্ষ হাদি জন্ম নেবে’। পাশাপাশি শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি তোলেন।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:৪৫
এদেশে যারা ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে তাদেরও নিরাপদ থাকতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, আমরা যদি নিরাপদ না থাকি, এদেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকবে না। সোমবার বিকেলে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বানে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
মাহফুজ বলেন, ভারতীয় আধিপত্য বজায় রাখার লক্ষে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক অঙ্গন, বুদ্ধিজীবী মহল ও আইন অঙ্গনের একটি অংশকে কব্জা করা হয়েছে। এদের একটি অংশ নিজেদের স্বার্থে দেশবিরোধী ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, একটি অংশ নিজেদের বিবেক ও চিন্তা বিক্রি করে দিয়েছে, আরেকটি অংশ সচেতনভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করেও দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
এসব ব্যক্তিকে ভিনদেশি ‘এসেট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মাহফুজ বলেন, ‘এই ভিনদেশি এসেটদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওসমান হাদি। ওসমান হাদি বাংলাদেশের সম্পদ হলেও বিদেশি স্বার্থরক্ষাকারীরা তাকে হত্যার জন্য নানা যুক্তি তৈরি করেছে।’
ওসমান হাদিকে যখন গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, তখন তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টা।
মাহফুজ আলম বলেন, তাকে আক্রমণ করার সময় কেউ কথা বলেনি, কেউ প্রতিবাদ করেনি। কোনো শব্দ নেই, কোনো কথা নেই। সবাই যেন আমাদের সঙ্গে নাটক করছে।’ এই নীরবতাকেও তিনি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। ৫ আগস্টের পর যখন মুজিববাদী আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের বাড়িঘর চোরমারের ক্ষমতা ছিল, তখন আমরা সংবরণ করেছিলাম। ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, আর ক্ষমা করব না।
যদি এদেশের লড়াই দেশের বাইরে যায়, মুক্তির লড়াই যাবে উল্লেখ করে মাহফুজ বলেন, খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে। আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরা কিন্তু লাশ নেব। অত সুশীলতা করে লাভ নেই। অনেক ধৈর্য্য হয়েছে, অনেক রিকনসিলিয়েশনের কথা হয়েছে।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩১

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
‘আর একটি লাশ পড়লে আমরাও লাশ নেব’ এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চের সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে। একটি লাশ পড়লে আমরাও লাশ নেব। অনেক ধৈর্য ধরা হয়েছে, আর না। আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে ভাইদের ওপর হামলা করবেন, এটা আমরা বরদাশত করব না।
‘অভ্যুত্থানের পর লড়াইয়ে পরাস্ত হয়েছি বলেই হাদি গুলিবিদ্ধ’ মন্তব্য করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘এই লড়াই দীর্ঘ, এর জন্য আমার প্রথমে বলেছি মুজিববাদের মূল উৎখাত করতে হবে। কিন্তু সেই চেষ্টা কমই দেখছি। এখনো মুজিববাদবিরোধী লড়াইয়ে আমরা পিছিয়ে আছি।’
‘বাংলাদেশে থেকে দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা বজায় রাখছে একদল’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা চাইলে এদের সব ধ্বংস করে দিতে পারতাম, করিনি। আমরা ক্ষমা করে ভুল করে থাকলে প্রতিজ্ঞা করি, আর ক্ষমা করব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপদ না থাকলে, দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকতে পারবে না। জুলাই শক্তি গঠনমূলকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে সব লড়াই রুখে দেওয়া যাবে।’
প্রতিরোধ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, বারবার হাদির জীবন শঙ্কা দেখা দেওয়ার পরও আপনারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? এই উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত যাওয়া যাবে না। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার মধ্যে রয়েছে। হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এ দেশে থেকে আওয়ামী লীগের দালালদের বিতাড়িত করতে হবে।’
এর আগে, সোমবার বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এই সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সমাবেশস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা একের পর এক প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানে স্লোগানে তারা বলেন, ‘আমরা সবাই হাদি হব, ভুলের মুখে কথা বলব’, ‘এক হাদি রক্ত দেবে, লক্ষ হাদি জন্ম নেবে’। পাশাপাশি শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি তোলেন।
এদেশে যারা ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে তাদেরও নিরাপদ থাকতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, আমরা যদি নিরাপদ না থাকি, এদেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকবে না। সোমবার বিকেলে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বানে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
মাহফুজ বলেন, ভারতীয় আধিপত্য বজায় রাখার লক্ষে বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে সাংস্কৃতিক অঙ্গন, বুদ্ধিজীবী মহল ও আইন অঙ্গনের একটি অংশকে কব্জা করা হয়েছে। এদের একটি অংশ নিজেদের স্বার্থে দেশবিরোধী ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, একটি অংশ নিজেদের বিবেক ও চিন্তা বিক্রি করে দিয়েছে, আরেকটি অংশ সচেতনভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করেও দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
এসব ব্যক্তিকে ভিনদেশি ‘এসেট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মাহফুজ বলেন, ‘এই ভিনদেশি এসেটদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওসমান হাদি। ওসমান হাদি বাংলাদেশের সম্পদ হলেও বিদেশি স্বার্থরক্ষাকারীরা তাকে হত্যার জন্য নানা যুক্তি তৈরি করেছে।’
ওসমান হাদিকে যখন গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, তখন তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক এ উপদেষ্টা।
মাহফুজ আলম বলেন, তাকে আক্রমণ করার সময় কেউ কথা বলেনি, কেউ প্রতিবাদ করেনি। কোনো শব্দ নেই, কোনো কথা নেই। সবাই যেন আমাদের সঙ্গে নাটক করছে।’ এই নীরবতাকেও তিনি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। ৫ আগস্টের পর যখন মুজিববাদী আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের বাড়িঘর চোরমারের ক্ষমতা ছিল, তখন আমরা সংবরণ করেছিলাম। ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, আর ক্ষমা করব না।
যদি এদেশের লড়াই দেশের বাইরে যায়, মুক্তির লড়াই যাবে উল্লেখ করে মাহফুজ বলেন, খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে। আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরা কিন্তু লাশ নেব। অত সুশীলতা করে লাভ নেই। অনেক ধৈর্য্য হয়েছে, অনেক রিকনসিলিয়েশনের কথা হয়েছে।
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, ওসমান হাদিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত, এমনকি সীমান্তে বাংলাদেশি ভাই–বোনদের ঝুলিয়ে রাখছে—তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ভারত।
তিনি বলেন, ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই— যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সম্ভাবনা, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এ দেশের সন্তানদের ওপর আস্থা রাখে না, আপনারা যেহেতু তাদের আশ্রয়–প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের সেপারেটিস্টদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করলে তার জবাব দেওয়া হবে এবং সেই বিদ্রোহের আগুন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে।
ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও শকুনদের হাত থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। আবারও শকুনেরা বাংলাদেশের মানচিত্রে থাবা বসানোর চেষ্টা করছে। ভারত বাংলাদেশকে আরেকটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পৃষ্ঠপোষকেরা অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মানুষ দাঁড় করাচ্ছে। ক্ষমতা, গদি ও মন্ত্রণালয়ের লোভে যারা দিল্লিকে ‘কেবলা’ বানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা তৃতীয়বারের মতো বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন। একজন ইলেকশন কমিশনার ওসমান হাদির মৃত্যুকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন—এটি অমানবিক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কোনো প্রেসক্রিপশনে ইলেকশন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়? যোগ্য ইলেকশন কমিশনারের অভাব হবে না। শাহবাগ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত বহু যোগ্য মানুষ পাওয়া যাবে। কিন্তু যে হাদি অনন্তকালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে, তাকে আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন নিয়েও তীব্র বক্তব্য দেন এই এনসিপি নেতা। তিনি বলেন, এখনও এক শ্রেণির আওয়ামী লীগ শিক্ষক পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কার্যক্রম চালাচ্ছে। টকশোর নামে টেলিভিশনে হত্যার বৈধতা উৎপাদন করা হচ্ছে। নাটক ও সিনেমার মাধ্যমে সংগ্রামী মানুষের মৃত্যুকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নীল দলের আওয়ামী ‘পা-চাটা’ শিক্ষকদের ধরে ধরে বের করে দিতে হবে। একইভাবে নাটক–সিনেমা থেকে আওয়ামী ও মুজিবপন্থি শিল্পীদের স্টেজ থেকে নামিয়ে বাড়িতে পাঠাতে হবে।
টকশোজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভারতের আধিপত্যে বসে এসব টকশো তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে ফ্যাসিস্টদের মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হলেও মজলুমের মানবাধিকারকে উপেক্ষা করা হয়।
জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, মঞ্চে এক কথা বলে গোপনে সমঝোতা করে জাতীয় ঐক্য হয় না—এগুলো ‘মেকিং’ ঐক্য। আরপিও সংশোধনের পর ফ্যাসিবাদীরা অন্য দলের মার্কায় নির্বাচন করতে পারবে না বলে নিজের দলের মার্কা বিলীন করতেও প্রস্তুত। এসব দিয়ে সত্যিকারের জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে না।
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, ওসমান হাদিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত, এমনকি সীমান্তে বাংলাদেশি ভাই–বোনদের ঝুলিয়ে রাখছে—তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ভারত।
তিনি বলেন, ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই— যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, সম্ভাবনা, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এ দেশের সন্তানদের ওপর আস্থা রাখে না, আপনারা যেহেতু তাদের আশ্রয়–প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের সেপারেটিস্টদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করলে তার জবাব দেওয়া হবে এবং সেই বিদ্রোহের আগুন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে।
ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও শকুনদের হাত থেকে মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। আবারও শকুনেরা বাংলাদেশের মানচিত্রে থাবা বসানোর চেষ্টা করছে। ভারত বাংলাদেশকে আরেকটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পৃষ্ঠপোষকেরা অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মানুষ দাঁড় করাচ্ছে। ক্ষমতা, গদি ও মন্ত্রণালয়ের লোভে যারা দিল্লিকে ‘কেবলা’ বানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা তৃতীয়বারের মতো বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন। একজন ইলেকশন কমিশনার ওসমান হাদির মৃত্যুকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন—এটি অমানবিক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কোনো প্রেসক্রিপশনে ইলেকশন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়? যোগ্য ইলেকশন কমিশনারের অভাব হবে না। শাহবাগ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত বহু যোগ্য মানুষ পাওয়া যাবে। কিন্তু যে হাদি অনন্তকালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে, তাকে আর কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন নিয়েও তীব্র বক্তব্য দেন এই এনসিপি নেতা। তিনি বলেন, এখনও এক শ্রেণির আওয়ামী লীগ শিক্ষক পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কার্যক্রম চালাচ্ছে। টকশোর নামে টেলিভিশনে হত্যার বৈধতা উৎপাদন করা হচ্ছে। নাটক ও সিনেমার মাধ্যমে সংগ্রামী মানুষের মৃত্যুকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নীল দলের আওয়ামী ‘পা-চাটা’ শিক্ষকদের ধরে ধরে বের করে দিতে হবে। একইভাবে নাটক–সিনেমা থেকে আওয়ামী ও মুজিবপন্থি শিল্পীদের স্টেজ থেকে নামিয়ে বাড়িতে পাঠাতে হবে।
টকশোজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভারতের আধিপত্যে বসে এসব টকশো তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে ফ্যাসিস্টদের মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হলেও মজলুমের মানবাধিকারকে উপেক্ষা করা হয়।
জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, মঞ্চে এক কথা বলে গোপনে সমঝোতা করে জাতীয় ঐক্য হয় না—এগুলো ‘মেকিং’ ঐক্য। আরপিও সংশোধনের পর ফ্যাসিবাদীরা অন্য দলের মার্কায় নির্বাচন করতে পারবে না বলে নিজের দলের মার্কা বিলীন করতেও প্রস্তুত। এসব দিয়ে সত্যিকারের জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে না।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:১১
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:৫২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৫
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:৪৫