
१२ ডিসেম্বর, २০२५ १९:০९
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে তার নিজ জেলা ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল চারটার দিকে ঝালকাঠি–বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের কলেজ মোড় এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে তারা অবরোধ শুরু করে।
এতে মুহূর্তেই মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এক ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধে বরিশাল ও খুলনাগামী রুটের দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
অবরোধকারীরা জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে না পারলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের দাবি, হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত, এবং দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
বিকাল পাঁচটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। আশ্বাস পাওয়ার পর তারা অবরোধ তুলে নেন। এরপর ধীরে ধীরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে তার নিজ জেলা ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল চারটার দিকে ঝালকাঠি–বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের কলেজ মোড় এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে তারা অবরোধ শুরু করে।
এতে মুহূর্তেই মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এক ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধে বরিশাল ও খুলনাগামী রুটের দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
অবরোধকারীরা জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে না পারলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের দাবি, হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত, এবং দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
বিকাল পাঁচটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। আশ্বাস পাওয়ার পর তারা অবরোধ তুলে নেন। এরপর ধীরে ধীরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০

१२ ডিসেম্বর, २০२५ १२:४८
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মোহাম্মদ রোমান (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের সঙ্গে থাকা আরও দুইজন।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সড়কের ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রোমান ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব চরকুমিরা গ্রামের জমাদার বাড়ির মো. জসিম জমাদারের ছেলে। আহতরা হলেন- চরকুমিরা গ্রামের রফিকুল হকের ছেলে বাপ্পি (১৮) ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. সোহাগ (১৭)।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে চরকুমিরা চিশতিয়া জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের পরে ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তায় মাছ কেনার জন্য হেঁটে রওনা দেন রোমান ও তার সঙ্গীরা। ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা সংলগ্ন শীতল পাটোয়ারি বাড়ির সামনে আসলে পেছন থেকে একটি কার্ভাড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৩১২৪) তাদের চাপা দেয়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত বাপ্পি ও সোহাগকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সদর হাসপাতালে পাঠান। তারা দুজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা কার্ভাড ভ্যানসহ চালক মো. ইমরান (২৬) ও তার সহযোগী মো. ইকরামকে (২৩) আটক করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
পুলিশ জানায়, আটক ইমরান ও ইকরাম সহোদর। তাদের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার উত্তমাবাদ গ্রামে। তাদের বাবার নাম আনসার হাওলাদার। কাভার্ড ভ্যান নিয়ে তারা চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর হয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কাভার্ড ভ্যানসহ চালক ও চালকের সহযোগী থানায় আটক রয়েছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মোহাম্মদ রোমান (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের সঙ্গে থাকা আরও দুইজন।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সড়কের ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রোমান ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব চরকুমিরা গ্রামের জমাদার বাড়ির মো. জসিম জমাদারের ছেলে। আহতরা হলেন- চরকুমিরা গ্রামের রফিকুল হকের ছেলে বাপ্পি (১৮) ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. সোহাগ (১৭)।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে চরকুমিরা চিশতিয়া জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের পরে ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তায় মাছ কেনার জন্য হেঁটে রওনা দেন রোমান ও তার সঙ্গীরা। ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা সংলগ্ন শীতল পাটোয়ারি বাড়ির সামনে আসলে পেছন থেকে একটি কার্ভাড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৩১২৪) তাদের চাপা দেয়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত বাপ্পি ও সোহাগকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সদর হাসপাতালে পাঠান। তারা দুজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা কার্ভাড ভ্যানসহ চালক মো. ইমরান (২৬) ও তার সহযোগী মো. ইকরামকে (২৩) আটক করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
পুলিশ জানায়, আটক ইমরান ও ইকরাম সহোদর। তাদের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার উত্তমাবাদ গ্রামে। তাদের বাবার নাম আনসার হাওলাদার। কাভার্ড ভ্যান নিয়ে তারা চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর হয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কাভার্ড ভ্যানসহ চালক ও চালকের সহযোগী থানায় আটক রয়েছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

११ ডিসেম্বর, २০२५ १३:০१
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গৃহকর্মী কর্তৃক মা-মেয়েকে খুনের ঘটনায় স্বামীসহ গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই হাজার টাকা চুরির জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
ডিএমপি জানিয়েছে, দুই হাজার টাকা চুরি করে ধরা পড়ায় গৃহকর্মী আয়েশার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় গৃহকর্তী লায়লা ফিরোজের।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পর দিন পরিকল্পিতভাবে বাসা থেকে ছুরি নিয়ে এসে লায়লাকে হত্যা করে। এসময় মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ ঘুমে ছিল। গৃহকর্মীর সঙ্গে মায়ের ধস্তাধস্তিতে তার ঘুম ভেঙে যায়। সে ইন্টারকমে দারোয়ানকে ঘটনা জানাতে গেলে তাকেও হত্যা করেন আয়েশা।
এ ঘটনায় আয়েশার স্বামী রাব্বীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, স্বামী রাব্বী হত্যাকাণ্ডের পরে আয়েশাকে ঢাকা থেকে পালাতে সাহায্য করে।
গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে লায়লা ফিরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জোড়া হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে গৃহকর্মী আয়েশাকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গৃহকর্মী কর্তৃক মা-মেয়েকে খুনের ঘটনায় স্বামীসহ গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই হাজার টাকা চুরির জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
ডিএমপি জানিয়েছে, দুই হাজার টাকা চুরি করে ধরা পড়ায় গৃহকর্মী আয়েশার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় গৃহকর্তী লায়লা ফিরোজের।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পর দিন পরিকল্পিতভাবে বাসা থেকে ছুরি নিয়ে এসে লায়লাকে হত্যা করে। এসময় মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ ঘুমে ছিল। গৃহকর্মীর সঙ্গে মায়ের ধস্তাধস্তিতে তার ঘুম ভেঙে যায়। সে ইন্টারকমে দারোয়ানকে ঘটনা জানাতে গেলে তাকেও হত্যা করেন আয়েশা।
এ ঘটনায় আয়েশার স্বামী রাব্বীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, স্বামী রাব্বী হত্যাকাণ্ডের পরে আয়েশাকে ঢাকা থেকে পালাতে সাহায্য করে।
গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে লায়লা ফিরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জোড়া হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে গৃহকর্মী আয়েশাকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম।

१০ ডিসেম্বর, २০२५ २१:२५
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী? এই প্রশ্ন যখন সবখানে তখনই আয়েশার স্বামী জানালেন চুরি করে ধরা পড়ার কারণেই মা-মেয়েকে খুন করেন আয়েশা।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর আয়েশার স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সে মনে করছে কিছু জিনিস চুরি করে আইনা আমারে দিব, কিছু টাকা-পয়সা পাইবো। ল্যাপটপ, মোবাইল চুরি কইরা সে আহনের সময় তার ম্যাডাম দেইখা ফেলায়।
পেছন থিকা ম্যাডাম ধইরা ফেলায়। তখন সে চাকু দিয়া মারছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ধইরা ছিল, ততক্ষণ পর্যন্তই চাকু দিয়া মারছে। এরপর তার মেয়ে আইলে তারেও মারছে।
কিছু মালামাল চুরি করে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজ তাকে ধরে ফেলেন। তখন হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তাকে। এ সময় লায়লা আফরোজের মেয়ে নাফিসা এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন।
এর আগে আজ দুপুরে নলছিটির কয়ার চর গ্রাম থেকে গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। এ সময় তার স্বামী রবিউল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর থানার ৯ জনের একটি টিম এ অভিযান চালায়।
গত সোমবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজের বাসায় খুন হন মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বাসার গৃহকর্মী আয়েশা ওই দিন বোরকা পরে ঢুকে স্কুল ড্রেস ও মাস্ক পরে বেরিয়ে যান। এ ঘটনায় গৃহকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন গৃহকর্তা এম জেড আজিজুল ইসলাম।
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার চার দিন আগে মোহাম্মদপুর শাজাহান রোডের ৩২/২/এ নম্বর বাসার সাততলার বাসায় কাজ নেন ওই গৃহকর্মী। নিজেকে আয়েশা নামে পরিচয় দেন। মা ও মেয়েকে হত্যার পর নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যান আয়েশা।
নিহত লায়লা আফরোজ ছিলেন গৃহিণী, আর মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ মোহাম্মদপুরের প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাফিসার বাবা এম জেড আজিজুল ইসলাম উত্তরায় সানবীমস স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক।
ভবনের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নাফিসার বাবা স্কুলের উদ্দেশে সকাল ৭টার দিকে বের হয়ে যান। এর ঘণ্টাখানেক পর ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরে ওই বাসায় প্রবেশ করেন গৃহকর্মী আয়েশা। দেড় ঘণ্টা পর ৯টা ৩৬ মিনিটে স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ওই স্কুল ড্রেস নাফিসার। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নাফিসার বাবা বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, মাকে হত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়ে নাফিসা ডাইনিং রুমে রাখা ইন্টারকম থেকে কাউকে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হলে সেখানেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ওই সময় ধস্তাধস্তিতে ইন্টারকমের লাইন খুলে যায়। বাসায় তল্লাশি করে বাথরুমে একটি সুইচ গিয়ার চাকু ও একটি ফল কাটা ছুরি পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ছুরি দুটি দিয়েই মা-মেয়েকে হত্যা করেন গৃহকর্মী আয়েশা। এই ঘটনায় ওই বাসার দারোয়ান মালেককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা-মেয়ে খুনের ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী? এই প্রশ্ন যখন সবখানে তখনই আয়েশার স্বামী জানালেন চুরি করে ধরা পড়ার কারণেই মা-মেয়েকে খুন করেন আয়েশা।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর আয়েশার স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সে মনে করছে কিছু জিনিস চুরি করে আইনা আমারে দিব, কিছু টাকা-পয়সা পাইবো। ল্যাপটপ, মোবাইল চুরি কইরা সে আহনের সময় তার ম্যাডাম দেইখা ফেলায়।
পেছন থিকা ম্যাডাম ধইরা ফেলায়। তখন সে চাকু দিয়া মারছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ধইরা ছিল, ততক্ষণ পর্যন্তই চাকু দিয়া মারছে। এরপর তার মেয়ে আইলে তারেও মারছে।
কিছু মালামাল চুরি করে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গৃহকর্ত্রী লায়লা আফরোজ তাকে ধরে ফেলেন। তখন হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করেন তাকে। এ সময় লায়লা আফরোজের মেয়ে নাফিসা এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন।
এর আগে আজ দুপুরে নলছিটির কয়ার চর গ্রাম থেকে গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। এ সময় তার স্বামী রবিউল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর থানার ৯ জনের একটি টিম এ অভিযান চালায়।
গত সোমবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজের বাসায় খুন হন মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বাসার গৃহকর্মী আয়েশা ওই দিন বোরকা পরে ঢুকে স্কুল ড্রেস ও মাস্ক পরে বেরিয়ে যান। এ ঘটনায় গৃহকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন গৃহকর্তা এম জেড আজিজুল ইসলাম।
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার চার দিন আগে মোহাম্মদপুর শাজাহান রোডের ৩২/২/এ নম্বর বাসার সাততলার বাসায় কাজ নেন ওই গৃহকর্মী। নিজেকে আয়েশা নামে পরিচয় দেন। মা ও মেয়েকে হত্যার পর নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যান আয়েশা।
নিহত লায়লা আফরোজ ছিলেন গৃহিণী, আর মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজ মোহাম্মদপুরের প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাফিসার বাবা এম জেড আজিজুল ইসলাম উত্তরায় সানবীমস স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক।
ভবনের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নাফিসার বাবা স্কুলের উদ্দেশে সকাল ৭টার দিকে বের হয়ে যান। এর ঘণ্টাখানেক পর ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরে ওই বাসায় প্রবেশ করেন গৃহকর্মী আয়েশা। দেড় ঘণ্টা পর ৯টা ৩৬ মিনিটে স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ওই স্কুল ড্রেস নাফিসার। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নাফিসার বাবা বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, মাকে হত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়ে নাফিসা ডাইনিং রুমে রাখা ইন্টারকম থেকে কাউকে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হলে সেখানেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ওই সময় ধস্তাধস্তিতে ইন্টারকমের লাইন খুলে যায়। বাসায় তল্লাশি করে বাথরুমে একটি সুইচ গিয়ার চাকু ও একটি ফল কাটা ছুরি পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ছুরি দুটি দিয়েই মা-মেয়েকে হত্যা করেন গৃহকর্মী আয়েশা। এই ঘটনায় ওই বাসার দারোয়ান মালেককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.