https://joinnavy.navy.mil.bd/

বরিশাল

ডাকসু নির্বাচন বিএনপির জন্য এক সতর্কবাণীঃ সেলিমা রহমান

আরিফ আহমেদ মুন্না

আরিফ আহমেদ মুন্না

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২২:৫০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ডাকসু নির্বাচন বিএনপির জন্য এক সতর্কবাণীঃ সেলিমা রহমান

বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশায় অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।

বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে গেছে। সেই আওয়ামী দোসরদের সাথে হাত মিলিয়েই ডাকসু নির্বাচন জয়লাভ করেছে শিবির প্রার্থীরা। সেখানে তাদের ভোট ছিল না। পতিত আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসরদের ভোটে তারা জয়ী হয়েছে। ডাকসুতে একটি আশ্চর্যজনক নির্বাচন হয়েছে। এটা বিএনপির জন্য অবশ্যই এক সতর্কবাণী।' বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির ৩১ দফার সমর্থনে বরিশালের বাবুগঞ্জে আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বেগম সেলিমা রহমান আরও বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে। কাউকে আয়নাঘরে যেতে হবে না। নারীর উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়ন হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশে গণতন্ত্র এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে।' বাবুগঞ্জের মাধবপাশা তিনমঠ এলাকায় অনুষ্ঠিত ওই পথসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইসরাত হোসেন কচি তালুকদার।

মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক মাহবুব তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির ১নং সহ-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, বরিশাল জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মহসিন আলম, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আওলাদ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম লিপন ও মুলাদীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার খান। পথসভাটি সঞ্চলনা করেন মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব সেলিম সরদার ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক রিয়াজ হোসেন।

এসময় মুলাদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রব খান, বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আরিফুর রহমান রতন তালুকদার, মাধবপাশা ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি মান্নান হাওলাদার, যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা আরিফ রবীনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পথসভার আগে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বিএনপির একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মাধবপাশা বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মাধবপাশার তিনমঠ এলাকায় অনুষ্ঠিত ওই পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির ১নং সহ-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ বলেন, 'বিএনপিতে ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। দলের দুঃসময়ে যারা দলের জন্য কাজ করেছে, বিভিন্ন মামলা-হামলার শিকার হয়েছে, তাদেরকে বাদ দিয়ে কমিটি করা হলে তা বিএনপির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। সকল দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং ভুলে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।'

পথসভার আগে মাধবপাশা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বেগম সেলিমা রহমান। পরে সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লেকার্ড সম্বলিত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে তিনি মাধবপাশা বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন এবং রাষ্ট্র মেরামতে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার সমর্থনে লিফলেট বিতরণ করেন। এসময় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের মিলনমেলার পরিনত হয় গোটা মাধবপাশা এলাকা। #

আরও পড়ুন:

আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা!

হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল

হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা!

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নোটিস। চাপের মুখে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা প্রার্থনা।

আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন বরিশাল বিএনপি নেতা সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত এই নেতা গত ৫ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জে বিএনপির একাংশ আয়োজিত বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইনজীবীদের টাউট-বাটপার বলে অভিহিত করেন। এনিয়ে পত্র-পত্রিকায় নেতিবাচক লেখালেখিসহ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের সেই বক্তব্যের ভিডিওটি সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিতর্ক। আইনজীবীদের নিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়ে ০৬ নভেম্বর তাকে চিঠি দিয়ে তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান রাখে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এতে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে বিএনপি নেতা মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) সকালে বরিশালে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করাসহ আইনজীবী সমাজের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পরিস্থিতি সামাল দেন।

বরিশাল-০৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ আসছে ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু এই আসনে এবার বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ রাজিব আহসানকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের অনুসারী।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল ৩ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এই আসনে বিএনপি এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনীত না করলেও উভয় নেতার কর্মী-সমর্থকেরা পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশ করে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠ সরগরম করে রেখেছে। এমন বাস্তবতায় গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জের কেদারপুরে স্থানীয় বিএনপির একাংশ আয়োজিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমানের সাথে সেখানে অংশ নেন বরিশাল ৪ আসনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সেলিমা রহমানের আগে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বরিশাল ৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। বক্তব্যে রাখতে গিয়ে একপর্যায়ে তিনি বাবুগঞ্জ-মুলাদী আসনে বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে ইঙ্গিত করে বলেন, আইনজীবীরা টাউট-বাটপার! আইনজীবীদের নিয়ে বিএনপি নেতার এই বেফাঁস মন্তব্যের ভিডিও দলীয় ঘরনার প্রতিপক্ষ অর্থাৎ জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কমেন্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন।

সূত্র জানিয়েছে, সাবেক এমপি ফরহাদের এই বেসামাল মন্তব্যের ভিডিওটিকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক জয়নুল আবেদীন। এক্ষেত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাদের দিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদকে চাপে ফেলে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সাবেক এমপি ফরহাদের ভিডিওটি ভাইরাল এবং তাকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নোটিস করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে তিনি মনস্তাত্বিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এবং একদিন বাদে শুক্রবার বরিশাল প্রেসক্লাবে তিনি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করা ব্যাখ্যা খন্ডন করার পাশাপাশি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এসময় বিএনপি নেতাকে কিছুটা বিমর্ষ দেখা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করেন। এবং সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে শব্দচয়নে ভুলের কারণে তিনি আইনজীবী সম্প্রদায় সম্পর্কে একটি মন্তব্য করে ফেলেন, যা পরবর্তীতে তার কাছেও অনুতাপের কারণ হয়। এবং তিনি উপলব্ধি করেন, এটি তার পক্ষ থেকে একটি ভুল ছিল।

আইনজীবী পেশাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখেন জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের আইন-আদালত ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং মর্যাদাপূর্ণ। তার বক্তব্যে কারও মনে কষ্ট বা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়ে থাকলে, তিনি সমস্ত আইনজীবী সমাজের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশসহ ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি, আইনজীবী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ বিভিন্নস্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের আনুষ্ঠানিক এই ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিও শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সেলিমা রহমানকে শত্রুভাবাপন্ন জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি ট্রল করে যাচ্ছেন। এনিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তার কর্মী-সমর্থকেরা বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করছেন না।

সাবেক এমপি মেজবাহর সমর্থক মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার বাসিন্দা একাধিক বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, জয়নুল আবেদীনের লোকজন বিষয়টি নিয়ে বেশি মাত্রায় বাড়াবাড়ি করছেন। তাদের ভাষায়, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বিএনপির একজন ত্যাগি নেতা, তিনি ওয়ান ইলেভেনের শাসনামলে নবম জাতীয় সংবাদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে ভোট করে জয়ী হয়েছিলেন। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি একাধিক মামলা, এমনকি হামলার শিকারও হয়েছিলেন।’

বরিশালে ডেঙ্গুর মৃত্যুর মিছিলে ৪২ জন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ডেঙ্গুর মৃত্যুর মিছিলে ৪২ জন

অক্টোবর মাসে প্রায় ৪ হাজার ডেঙ্গু রোগী বরিশালের সরকারি হাসপাতালে ভর্তির পরে, চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে আরও প্রায় ১ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে মারা গেছেন আরও ১ জন। সরকারি হাসপাতালগুলোতে গত মাসে ৮ জনসহ এ পর্যন্ত ডেঙ্গুর মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে ৪২ জনের নাম। শুক্রবারও দুপুর পর্যন্ত বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় সাড়ে ৪শ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে গত কয়েক মাসে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন সাড়ে ১৮ হাজার ডেঙ্গু রোগী।

অথচ নভেম্বর শুরু হলেও বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতির পরিবর্তে আরও অবনতি ঘটছে। হাসপাতালের বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কত, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, “মানুষ তার শরীর ও মনের অত্যন্ত দুর্বলতম ও নাজুক পর্যায় ছাড়া সরকারি হাসপাতালের কাছে যান না।” ফলে সরকারি হাসপাতালসমূহে ভর্তির অন্তত ১০ গুণ রোগী এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অক্টোবরের মধ্যভাগ থেকেই বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর ভিড় নতুন করে বাড়তে শুরু করে। অক্টোবর মাসজুড়ে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা প্রায় ৪ হাজারে পৌঁছে। সেপ্টেম্বর মাসেও ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা প্রায় একই ছিল। কিন্তু নভেম্বরের প্রথম ৭ দিনের পরিসংখ্যানও পরিস্থিতির উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৬৭ জন রোগীকে ঘরে ফেরত পাঠানোর পরেও হাসপাতালসমূহে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৩১ জন। এর মধ্যে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ৮০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। বরিশালের জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্য হাসপাতালগুলোতেও আরও ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ফলে চলতি মাসে বরিশাল অঞ্চলে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা বিগত মাসগুলোর তুলনায় বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকগণ। অথচ বিগত বছরগুলোতে আগস্টের পরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা কমতে দেখা গেছে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে চলতি বছরের সর্বাধিক সংখ্যক, প্রায় ৪ হাজার ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হলেও অক্টোবর শুরু থেকে পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে শুরু করে। যা মধ্য অক্টোবরেই আরও নাজুক আকার ধারণ করে এবং এখনো অব্যাহত রয়েছে। সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরেও অধিকসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে আসার পরে নভেম্বরেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন না চিকিৎসকগণ।

তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সরকারি হাসপাতালের আরও কয়েক গুণ ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ঘরে বসেই চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। ফলে প্রকৃত ডেঙ্গু রোগীর পরিসংখ্যান জানার কোনো সুযোগ নেই।

স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল বারবারই বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং বিভিন্ন পৌরসভাসহ সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এডিস মশা নিধনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিলেও সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরের পরে নভেম্বরেও বরিশাল অঞ্চলে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে।

বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় অসুস্থ বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব, রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় অসুস্থ বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব, রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা

বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি হোটেল রেস্তোরার সামনে অসুস্থ রোগাক্রান্ত কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। যা জনজীবনে রোগ জীবাণু রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এসব কুকুর দমনের পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোন তৎপরতা।

বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বন্দর, বাস স্ট্যান্ড, চৌমাথা, কালিগঞ্জ বাজার, বোয়ালিয়া এলাকায় এসব অসুস্থ কুকুরের আনাগোনা চোখে পড়ার মত। বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেলের সামনে এদের বিচারণ লক্ষ্য করা যায়।

অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত এসব কুকুরের মাধ্যমে জনজীবনে রোগ ছড়ানো সহ স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে, কারণ এদের সংস্পর্শ বা কামড়ে জলাতঙ্কসহ বিভিন্ন ঘাতক ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তাঘাটে দল বেঁধে এসব কুকুর চলাফেরা করার ফলে মানুষের ব্যবহার যোগ্য কোন জিনিসে অনায়াসে সংস্পর্শ হতে পারে। ফলে সংক্রমিত হতে পারে রোগ জীবাণু।

বর্তমানে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কয়েকটি অসুস্থ কুকুর লক্ষ্য করা গেছে, যাদের শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের স্পটে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে, যার বিশ্রী গন্ধে হাঁটাচলা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এসব অসুস্থ কুকুর হোটেল রেস্তোরাঁ র সামনে অবস্থান করে খাবারের পরিবেশকে মানহীন করে তুলছে।

বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার সুশীল সমাজের দাবি জনগণের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বিবেচনা করে বেওয়ারিশ কুকুর দমনে পৌর কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা।

এসব রোগাক্রান্ত কুকুরের শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে যার দুর্গন্ধে পরিবেশ ভারী হয়ে যাচ্ছে। গন্ধে তাদের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া দুষ্কর। এসব কুকুর দমনে পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোন তৎপরতা।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.