২৩ আগস্ট, ২০২৫ ০৯:১৬
বাবুগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বর্ণাঢ্য নানান আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসব। এ উৎসবে দিনভর বিভিন্ন জমকালো অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিশেষ আয়োজন হিসেবে থাকছে বিদ্যালয়ের সকল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত যতজন শিক্ষক অবসরগ্রহণ করেছেন তাদের সবাইকে দেওয়া হবে রাজসিক সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক। জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে মহতী এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ওই পুনর্মিলনী উৎসব-২০২৫ সফল করতে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ১৯৯৩ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও আয়োজক কমিটির আহবায়ক রাকিবুল হাসান খান রাকিব। প্রস্তুতি সভাটি সঞ্চালনা করেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আসাদ মোল্লা। এসময় দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান, সরকারি আবুল কালাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেল, জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, পুনর্মিলনী উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান লিমন, এইচ.এম রিয়াজ মাহমুদ, মিলন খানসহ সর্বদলীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং পুনর্মিলনী উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুনর্মিলনী উৎসব-২০২৫ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক রাকিবুল হাসান খান রাকিব বলেন, 'আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ওই পুনর্মিলনী উৎসব সফল করতে আজ শুক্রবার বাবুগঞ্জে প্রথম প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী সোমবার দ্বিতীয় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার সেগুনবাগিচায়। জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত যতজন শিক্ষক অবসরগ্রহণ করেছেন তাদের সবাইকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মধ্যাহ্নভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্টসহ বিভিন্ন বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে ওই পুনর্মিলনী উৎসবে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ওই অনুষ্ঠানে গর্বিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। আসন্ন পুনর্মিলনী উৎসবটি অনন্য এবং ঐতিহাসিক এক মিলনমেলায় পরিণত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।'
আয়োজক কমিটির আহবায়ক রাকিবুল হাসান খান রাকিব আরো বলেন, 'আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ওই পুনর্মিলনী উৎসবটি সকাল থেকে রাত অবধি চলবে। দুটি ভাগে সাজানো হয়েছে বর্ণিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা। প্রথমভাগে সকাল ৯টায় এক বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হবে। এরপরে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের পরে শুরু হবে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। এতে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী এবং সঙ্গীত সন্ধ্যায় বিখ্যাত ব্যান্ড দলের পরিবেশনায় ওপেন কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।'
উল্লেখ্য, বাবুগঞ্জ উপজেলার জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ওই পুনর্মিলনী উৎসবে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সকলকে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের মোবাইল 01862-356818 নম্বরে অথবা আয়োজক কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক আলমগীর হোসেনের মোবাইল 01712-060467 নম্বরে যোগাযোগ করে প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। জমকালো ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য ওই পুনর্মিলনী উৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচি; বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মধ্যাহ্নভোজন, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কনসার্ট সফল করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯৯৩ ব্যাচের স্বনামধন্য ছাত্র রাকিবুল হাসান খান রাকিব। #
বাবুগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বর্ণাঢ্য নানান আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসব। এ উৎসবে দিনভর বিভিন্ন জমকালো অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিশেষ আয়োজন হিসেবে থাকছে বিদ্যালয়ের সকল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত যতজন শিক্ষক অবসরগ্রহণ করেছেন তাদের সবাইকে দেওয়া হবে রাজসিক সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক। জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে মহতী এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ওই পুনর্মিলনী উৎসব-২০২৫ সফল করতে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ১৯৯৩ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও আয়োজক কমিটির আহবায়ক রাকিবুল হাসান খান রাকিব। প্রস্তুতি সভাটি সঞ্চালনা করেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আসাদ মোল্লা। এসময় দেহেরগতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান, সরকারি আবুল কালাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুন্নবী রাসেল, জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, পুনর্মিলনী উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান লিমন, এইচ.এম রিয়াজ মাহমুদ, মিলন খানসহ সর্বদলীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং পুনর্মিলনী উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুনর্মিলনী উৎসব-২০২৫ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক রাকিবুল হাসান খান রাকিব বলেন, 'আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ওই পুনর্মিলনী উৎসব সফল করতে আজ শুক্রবার বাবুগঞ্জে প্রথম প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী সোমবার দ্বিতীয় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার সেগুনবাগিচায়। জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত যতজন শিক্ষক অবসরগ্রহণ করেছেন তাদের সবাইকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হবে। এর পাশাপাশি শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মধ্যাহ্নভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্টসহ বিভিন্ন বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে ওই পুনর্মিলনী উৎসবে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ওই অনুষ্ঠানে গর্বিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। আসন্ন পুনর্মিলনী উৎসবটি অনন্য এবং ঐতিহাসিক এক মিলনমেলায় পরিণত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।'
আয়োজক কমিটির আহবায়ক রাকিবুল হাসান খান রাকিব আরো বলেন, 'আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ওই পুনর্মিলনী উৎসবটি সকাল থেকে রাত অবধি চলবে। দুটি ভাগে সাজানো হয়েছে বর্ণিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা। প্রথমভাগে সকাল ৯টায় এক বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হবে। এরপরে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের পরে শুরু হবে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। এতে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণী এবং সঙ্গীত সন্ধ্যায় বিখ্যাত ব্যান্ড দলের পরিবেশনায় ওপেন কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।'
উল্লেখ্য, বাবুগঞ্জ উপজেলার জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ওই পুনর্মিলনী উৎসবে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সকলকে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের মোবাইল 01862-356818 নম্বরে অথবা আয়োজক কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক আলমগীর হোসেনের মোবাইল 01712-060467 নম্বরে যোগাযোগ করে প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। জমকালো ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য ওই পুনর্মিলনী উৎসবের বিভিন্ন কর্মসূচি; বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মধ্যাহ্নভোজন, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কনসার্ট সফল করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯৯৩ ব্যাচের স্বনামধন্য ছাত্র রাকিবুল হাসান খান রাকিব। #
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪১
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.