
११ আগস্ট, २০२५ ০९:१६
গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব ও বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের যৌথ আয়োজনে রোববার (১০ আগস্ট) বেলা ১১ থেকে বাবুগঞ্জের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর ব্রিজ এলাকায় ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বাবুগঞ্জে কর্মরত সকল পেশাদার সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
এসময় সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করাসহ সাংবাদিকদের ৩ দফা দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াত ইসলামের বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হাফেজ মোঃ রহমতউল্লাহ মাতুব্বর, বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রাকিবুল হাসান খান রাকিব, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ ফরিদ হোসেন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব প্রকৌশলী জি.এম রাব্বি প্রমুখ।
সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক সাইফুর রহিম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন নয়ন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মামুন, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রোকন মিয়া, উজিরপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাসুম, উজিরপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল সরদার, উজিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মুন্না প্রমুখ।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আরিফুর রহমান রতন, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিন্টু, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, খানপুরা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক রুবেল সরদার, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক শাহিন মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক মহিউদ্দিন খাঁন রানা, কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির, নবীন দাস, আলিফ হাসান সাব্বির, মাসুদ হাওলাদার, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য শফিকুল ইসলাম, নুরে আলম, রফিকুল ইসলাম ছোটন, ওবায়দুল ইসলাম উজ্জ্বল, সুমন আকন, ফাহিম আহমেদ প্রমুখ। সাংবাদিকদের ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'খুলনার সাংবাদিক মানিক সাহা, যশোরের সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালু, ফরিদপুরের সাংবাদিক গৌতম দাস, সিরাজগঞ্জের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল, ঢাকার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির পরে সর্বশেষ নৃশংস হত্যার শিকার হলেন গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। তাকে প্রকাশ্য চৌরাস্তায় জনসম্মুখে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পেশাদার সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করলেও রাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ। সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের বিচার হচ্ছে না বলে একের পর এক নিষ্ঠাবান সাহসী সাংবাদিকরা খুন হচ্ছেন। এই ক্ষতি রাষ্ট্রের, এই লজ্জা, এই ব্যর্থতা ক্ষমতাসীন সরকারের।'
এসময় বক্তারা আরো বলেন, 'রাষ্ট্রের অপরাধ দমনে পুলিশের মতো সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও তাদের আত্মরক্ষার কোনো হাতিয়ার নেই। তাই সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা জরুরি। কোনো সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হত্যা-নির্যাতনের শিকার হলে সেই মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করতে হবে। সাংবাদিক তুহিনের খুনিদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। এছাড়াও সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করতে হবে। সাংবাদিকদের উপস্থাপন করা এই ৩ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন বক্তারা।' #
গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব ও বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের যৌথ আয়োজনে রোববার (১০ আগস্ট) বেলা ১১ থেকে বাবুগঞ্জের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর ব্রিজ এলাকায় ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বাবুগঞ্জে কর্মরত সকল পেশাদার সাংবাদিক ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
এসময় সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করাসহ সাংবাদিকদের ৩ দফা দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াত ইসলামের বাবুগঞ্জ উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হাফেজ মোঃ রহমতউল্লাহ মাতুব্বর, বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রাকিবুল হাসান খান রাকিব, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ ফরিদ হোসেন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের সদস্য সচিব প্রকৌশলী জি.এম রাব্বি প্রমুখ।
সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক আরিফ আহমেদ মুন্না, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক সাইফুর রহিম, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন বাচ্চু, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন নয়ন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মামুন, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রোকন মিয়া, উজিরপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাসুম, উজিরপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল সরদার, উজিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মুন্না প্রমুখ।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি আরিফুর রহমান রতন, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিন্টু, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, খানপুরা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক রুবেল সরদার, বিমানবন্দর প্রেসক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক শাহিন মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক মহিউদ্দিন খাঁন রানা, কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হানিফ ফকির, নবীন দাস, আলিফ হাসান সাব্বির, মাসুদ হাওলাদার, বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য শফিকুল ইসলাম, নুরে আলম, রফিকুল ইসলাম ছোটন, ওবায়দুল ইসলাম উজ্জ্বল, সুমন আকন, ফাহিম আহমেদ প্রমুখ। সাংবাদিকদের ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'খুলনার সাংবাদিক মানিক সাহা, যশোরের সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালু, ফরিদপুরের সাংবাদিক গৌতম দাস, সিরাজগঞ্জের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল, ঢাকার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির পরে সর্বশেষ নৃশংস হত্যার শিকার হলেন গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। তাকে প্রকাশ্য চৌরাস্তায় জনসম্মুখে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পেশাদার সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করলেও রাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ। সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের বিচার হচ্ছে না বলে একের পর এক নিষ্ঠাবান সাহসী সাংবাদিকরা খুন হচ্ছেন। এই ক্ষতি রাষ্ট্রের, এই লজ্জা, এই ব্যর্থতা ক্ষমতাসীন সরকারের।'
এসময় বক্তারা আরো বলেন, 'রাষ্ট্রের অপরাধ দমনে পুলিশের মতো সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও তাদের আত্মরক্ষার কোনো হাতিয়ার নেই। তাই সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা জরুরি। কোনো সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হত্যা-নির্যাতনের শিকার হলে সেই মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করতে হবে। সাংবাদিক তুহিনের খুনিদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। এছাড়াও সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করতে হবে। সাংবাদিকদের উপস্থাপন করা এই ৩ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন বক্তারা।' #

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १२:५७
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা এলাকার মোল্লার বাজারের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধার মরদেহ এবং দুজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনই একই পরিবারের সদস্য।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বৃদ্ধার মরদেহসহ অচেতন দুজনকে উদ্ধার করে।
মৃত অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) ওই বাড়ির মালিক মরণ সাহার মা। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার সংলগ্ন ওই বাড়িতে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তার মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন প্রতিবেশীরা। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ ११:२१

१२ ডিসেম্বর, २০२५ १९:০३
বরিশাল-৫ (সদর) আসনে দাঁড়িপাল্লা মার্কার প্রার্থী ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় নিজ হাতে নিজের বিলবোর্ড নামিয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় জিলা স্কুল মোড়ে থাকা নিজের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড নিজেই নামিয়ে ফেলেন। এ সময় মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য শামীম কবিরসহ বেশ কয়েকজন কর্মীসমর্থক সাথে ছিলেন।
বিলবোর্ড নামিয়ে সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট হেলাল বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা নিজেরাই আমাদের পোস্টার ও ফেস্টুনগুলো সরিয়ে কার্যক্রম শুরু করলাম। নির্বাচনী আচরণবিধি মানা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা নিজেরা আচরণবিধি না মানলে অন্যকে উপদেশ দিয়ে কোনো লাভ নেই। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আজ এই অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলাম’।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিদের তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা এলাকার মোল্লার বাজারের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধার মরদেহ এবং দুজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনই একই পরিবারের সদস্য।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বৃদ্ধার মরদেহসহ অচেতন দুজনকে উদ্ধার করে।
মৃত অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) ওই বাড়ির মালিক মরণ সাহার মা। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার সংলগ্ন ওই বাড়িতে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তার মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন প্রতিবেশীরা। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
বরিশালের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি ও পাকিস্তানি বাহিনীর টর্চার সেল কমপ্লেক্স অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। গত বছরের ৫ আগস্ট একদল লোক ভাঙচুর করার পর দেড় বছর ধরে এটির সংস্কারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে দেড় একর জমির ওপর সংরক্ষণ করা হয়েছে নির্যাতন ক্যাম্প, বাংকার, বধ্যভূমি ও সেতু। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেতুর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ‘স্মৃতিস্তম্ভ ৭১’। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গানবোট ও হেলিকপ্টারে বরিশালে ঢুকে ওয়াপদা কলোনি দখল করে নেয়। সেখানে সেনাক্যাম্প ও টর্চার সেল স্থাপন করে তারা। কীর্তনখোলার তীরবর্তী এই ক্যাম্প থেকে ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলায় অপারেশন চালানো হতো। টর্চার সেলে বন্দী মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে খুন করে লাশ কীর্তনখোলা–সংলগ্ন সাগরদী খালের তীরে ফেলা হতো। কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি।
স্বাধীনতার পর এলাকাটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে ওয়াপদা কলোনি ও কীর্তনখোলা খালের তীরবর্তী প্রায় দেড় একর জায়গাজুড়ে বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু হয়। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। উদ্বোধনের পর প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি
সম্প্রতি বধ্যভূমি কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা আগের মতো সহজে ঢুকতে পারেন না। মূল সড়ক থেকে খালপাড় ঘেঁষে সিটি করপোরেশন একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করলেও তা এখনো অসম্পূর্ণ। ফলে কয়েক ফুট নিচে লাফিয়ে নেমে বধ্যভূমিতে ঢুকতে হয়।
এক নিরাপত্তাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৫ আগস্টের ঘটনার পর সেপ্টেম্বরের এক গভীর রাতে একদল লোক গিয়ে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ভেতরে ঢুকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করে দেয়ালে বিভিন্ন শব্দ লেখে। পরে অবশ্য লেখাগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।
এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্পে বরিশাল সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বিশ্ববিদ্যালয় অব এশিয়া প্যাসিফিক, বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ।
বধ্যভূমির সংস্কারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না জানিয়ে বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, ৫ আগস্টের ভাঙচুরে বধ্যভূমির অনেক নিদর্শন নষ্ট হয়েছে, যা আর সংস্কার করা হয়নি। ভেতরে এখনো সেই ভাঙচুরের ক্ষত, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, ‘ত্রিশ গোডাউনের এলাকা সংস্কারের বিষয়ে আমাদের বিবেচনা চলছে। শিগগিরই এর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
বরিশালের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি ও পাকিস্তানি বাহিনীর টর্চার সেল কমপ্লেক্স অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। গত বছরের ৫ আগস্ট একদল লোক ভাঙচুর করার পর দেড় বছর ধরে এটির সংস্কারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে দেড় একর জমির ওপর সংরক্ষণ করা হয়েছে নির্যাতন ক্যাম্প, বাংকার, বধ্যভূমি ও সেতু। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেতুর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ‘স্মৃতিস্তম্ভ ৭১’। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গানবোট ও হেলিকপ্টারে বরিশালে ঢুকে ওয়াপদা কলোনি দখল করে নেয়। সেখানে সেনাক্যাম্প ও টর্চার সেল স্থাপন করে তারা। কীর্তনখোলার তীরবর্তী এই ক্যাম্প থেকে ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলায় অপারেশন চালানো হতো। টর্চার সেলে বন্দী মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে খুন করে লাশ কীর্তনখোলা–সংলগ্ন সাগরদী খালের তীরে ফেলা হতো। কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি।
স্বাধীনতার পর এলাকাটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে ওয়াপদা কলোনি ও কীর্তনখোলা খালের তীরবর্তী প্রায় দেড় একর জায়গাজুড়ে বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু হয়। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। উদ্বোধনের পর প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি
সম্প্রতি বধ্যভূমি কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা আগের মতো সহজে ঢুকতে পারেন না। মূল সড়ক থেকে খালপাড় ঘেঁষে সিটি করপোরেশন একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করলেও তা এখনো অসম্পূর্ণ। ফলে কয়েক ফুট নিচে লাফিয়ে নেমে বধ্যভূমিতে ঢুকতে হয়।
এক নিরাপত্তাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৫ আগস্টের ঘটনার পর সেপ্টেম্বরের এক গভীর রাতে একদল লোক গিয়ে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ভেতরে ঢুকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করে দেয়ালে বিভিন্ন শব্দ লেখে। পরে অবশ্য লেখাগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।
এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্পে বরিশাল সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বিশ্ববিদ্যালয় অব এশিয়া প্যাসিফিক, বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ।
বধ্যভূমির সংস্কারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না জানিয়ে বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, ৫ আগস্টের ভাঙচুরে বধ্যভূমির অনেক নিদর্শন নষ্ট হয়েছে, যা আর সংস্কার করা হয়নি। ভেতরে এখনো সেই ভাঙচুরের ক্ষত, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, ‘ত্রিশ গোডাউনের এলাকা সংস্কারের বিষয়ে আমাদের বিবেচনা চলছে। শিগগিরই এর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
বরিশাল-৫ (সদর) আসনে দাঁড়িপাল্লা মার্কার প্রার্থী ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় নিজ হাতে নিজের বিলবোর্ড নামিয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় জিলা স্কুল মোড়ে থাকা নিজের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড নিজেই নামিয়ে ফেলেন। এ সময় মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য শামীম কবিরসহ বেশ কয়েকজন কর্মীসমর্থক সাথে ছিলেন।
বিলবোর্ড নামিয়ে সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট হেলাল বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা নিজেরাই আমাদের পোস্টার ও ফেস্টুনগুলো সরিয়ে কার্যক্রম শুরু করলাম। নির্বাচনী আচরণবিধি মানা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা নিজেরা আচরণবিধি না মানলে অন্যকে উপদেশ দিয়ে কোনো লাভ নেই। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আজ এই অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলাম’।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিদের তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
१४ ডিসেম্বর, २০२५ ११:४७
१४ ডিসেম্বর, २০२५ ११:३६
१४ ডিসেম্বর, २০२५ ११:০६
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५