
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:১৯
আইনজীবী সমাজকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ইমন।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর বিকেলে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুরে বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ।
সেখানে তিনি আইনজীবী সমাজ সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে বলেন;“ওকালতি যারা করেন, তারা টাউট-বাটপার হয়।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আইনজীবী সমাজের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এ ঘটনার পরদিন (৬ নভেম্বর) বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন।
সমিতির সভাপতি এডভোকেট সাদিকুর রহমান লিংকন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গোলাম সরোয়ারসহ সিনিয়র সদস্যরা বলেন, ফরহাদ একজন রাজনীতিবিদ হয়েও আইনজীবীদের মানহানি করেছেন। তাকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
বিতর্কিত বক্তব্য ঘিরে সমালোচনার মুখে পরলে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ ৭ নভেম্বর বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সেখানে তিনি ভুল স্বীকার করে বলেন, “আমি কারও প্রতি অবমাননাকর কিছু বলতে চাইনি, ভুলবশত ওই শব্দটি ব্যবহার করেছি, আমি আইনজীবী সমাজের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
তবে আইনজীবীরা তার এই ক্ষমা প্রার্থনা অসত্য ও কৌশলী বলে দাবি করে মামলার পথে হাঁটেন।
বাদী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ইমন বলেন, একজন সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে ফরহাদের এমন মন্তব্য শুধু আইনজীবী সমাজ নয়, পুরো দেশের পেশাজীবী সম্প্রদায়কে অপমানিত করেছে। তার বক্তব্যে আমরা ক্ষুব্ধ ও মানহানিকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
তিনি আরও জানান, এ মামলার মাধ্যমে সমাজে আইন পেশার মর্যাদা ও শৃঙ্খলা রক্ষার বার্তা যাবে।
উল্লেখ্য, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদিকুর রহমান লিংকন বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন। ওই মামলাটি আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
আইনজীবী সমাজকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বরিশাল-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ইমন।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চৌধুরী আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর বিকেলে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুরে বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ।
সেখানে তিনি আইনজীবী সমাজ সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে বলেন;“ওকালতি যারা করেন, তারা টাউট-বাটপার হয়।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আইনজীবী সমাজের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এ ঘটনার পরদিন (৬ নভেম্বর) বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলন করে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন।
সমিতির সভাপতি এডভোকেট সাদিকুর রহমান লিংকন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গোলাম সরোয়ারসহ সিনিয়র সদস্যরা বলেন, ফরহাদ একজন রাজনীতিবিদ হয়েও আইনজীবীদের মানহানি করেছেন। তাকে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
বিতর্কিত বক্তব্য ঘিরে সমালোচনার মুখে পরলে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ ৭ নভেম্বর বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সেখানে তিনি ভুল স্বীকার করে বলেন, “আমি কারও প্রতি অবমাননাকর কিছু বলতে চাইনি, ভুলবশত ওই শব্দটি ব্যবহার করেছি, আমি আইনজীবী সমাজের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
তবে আইনজীবীরা তার এই ক্ষমা প্রার্থনা অসত্য ও কৌশলী বলে দাবি করে মামলার পথে হাঁটেন।
বাদী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ইমন বলেন, একজন সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে ফরহাদের এমন মন্তব্য শুধু আইনজীবী সমাজ নয়, পুরো দেশের পেশাজীবী সম্প্রদায়কে অপমানিত করেছে। তার বক্তব্যে আমরা ক্ষুব্ধ ও মানহানিকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
তিনি আরও জানান, এ মামলার মাধ্যমে সমাজে আইন পেশার মর্যাদা ও শৃঙ্খলা রক্ষার বার্তা যাবে।
উল্লেখ্য, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদিকুর রহমান লিংকন বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন। ওই মামলাটি আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:০৩
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি মজিবর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় কি মামলা রয়েছে সে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:৪৮
মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি, বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শহরের বিএম কলেজের অদূরে জিয়াউলের পৈতৃক নিবাস। সীমানা প্রাচীরঘেরা বাড়িতে তার বাবার পুরোনো ভবন ছাড়াও ভাই-বোনদের যৌথ একটি বহুতল ভবন রয়েছে। এ বাড়িতে আগে থাকতেন জিয়াউল আহসানের বড় ভাই বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও ছোট ভাই সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব। জিয়াউল আহসান ছাড়া অন্য দুই ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে দুটি ভবনেই ভাড়াটিয়ারা বাস করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রথম দফায় ১০/১৫ জন যুবক গিয়েছিল। বাড়িতে প্রবেশের প্রধান গেট তালা দেওয়া থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও বেশি যুবক এসে দ্বিতীয় দফায় ওই বাসায় যায়। তখন একদল যুবক দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে যায় এবং আরেক দল গেটের বাইরে ছিল। তবে ভবনের প্রধান ফটক আটকানো থাকায় যুবকেরা ভবনের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করতে পেরেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভবনের ভাড়াটিয়াদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওই যুবকেরা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়, কিন্তু এরআগেই হামলাকারীরা চলে গেছে। তারা বাড়ির মধ্যে ইটপাটকেল এবং জানালার কাচ ভাঙচুরের আলামত পেয়েছেন।
এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:৪৫
বরিশালের রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যুবলীগের দুই নেতাকে ধরে পুলিশের সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন তালুকদার এবং যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানকে শনিবার সকালে স্থানীয় বৌসেরহাট বাজারে আটক করে পুলিশের খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানা পুলিশের টিম গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলার আসামি আ’লীগ নেতা মিজান এবং যুবলীগ নেতা লিটন এলাকায় অবস্থান করাসহ সরকারবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন। এতে তাদের ওপর সংক্ষুব্ধ ছিল এলাকাবাসী, শনিবার বৌসেরহাট বাজারে দুজনকে ধরে রাখা হয়। এবং পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নিয়ে যায়।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজাদী হাসানাত ফিরোজ বরিশালটাইমসকে জানান, মিজান এবং লিটন ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে আওয়ামী লীগের শাসনামলে রায়পাশা-কড়াপুরে ব্যাপক ত্রাস চালিয়েছেন। এবং ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছেন, সেই ঘটনায় মামলার আসামিও এই দুজন। কিছুদিন ধরে তারা দুজন সরকারবিরোধী নানা তৎপরতা চালাচ্ছিলেন, শনিবার তাদের ধরে রাখে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি, জানান আজাদী।
আ’লীগ এবং যুবলীগের ইউনিয়নপর্যায়ের দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান। তিনি বরিশালটাইমসকে জানান, দুজনকে স্থানীয়রা শনিবার আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।’
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি মজিবর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় কি মামলা রয়েছে সে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’
মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি, বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শহরের বিএম কলেজের অদূরে জিয়াউলের পৈতৃক নিবাস। সীমানা প্রাচীরঘেরা বাড়িতে তার বাবার পুরোনো ভবন ছাড়াও ভাই-বোনদের যৌথ একটি বহুতল ভবন রয়েছে। এ বাড়িতে আগে থাকতেন জিয়াউল আহসানের বড় ভাই বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও ছোট ভাই সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব। জিয়াউল আহসান ছাড়া অন্য দুই ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে দুটি ভবনেই ভাড়াটিয়ারা বাস করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রথম দফায় ১০/১৫ জন যুবক গিয়েছিল। বাড়িতে প্রবেশের প্রধান গেট তালা দেওয়া থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও বেশি যুবক এসে দ্বিতীয় দফায় ওই বাসায় যায়। তখন একদল যুবক দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে যায় এবং আরেক দল গেটের বাইরে ছিল। তবে ভবনের প্রধান ফটক আটকানো থাকায় যুবকেরা ভবনের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করতে পেরেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভবনের ভাড়াটিয়াদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওই যুবকেরা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়, কিন্তু এরআগেই হামলাকারীরা চলে গেছে। তারা বাড়ির মধ্যে ইটপাটকেল এবং জানালার কাচ ভাঙচুরের আলামত পেয়েছেন।
এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’
বরিশালের রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যুবলীগের দুই নেতাকে ধরে পুলিশের সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান লিটন তালুকদার এবং যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানকে শনিবার সকালে স্থানীয় বৌসেরহাট বাজারে আটক করে পুলিশের খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানা পুলিশের টিম গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলার আসামি আ’লীগ নেতা মিজান এবং যুবলীগ নেতা লিটন এলাকায় অবস্থান করাসহ সরকারবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন। এতে তাদের ওপর সংক্ষুব্ধ ছিল এলাকাবাসী, শনিবার বৌসেরহাট বাজারে দুজনকে ধরে রাখা হয়। এবং পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নিয়ে যায়।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজাদী হাসানাত ফিরোজ বরিশালটাইমসকে জানান, মিজান এবং লিটন ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে আওয়ামী লীগের শাসনামলে রায়পাশা-কড়াপুরে ব্যাপক ত্রাস চালিয়েছেন। এবং ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছেন, সেই ঘটনায় মামলার আসামিও এই দুজন। কিছুদিন ধরে তারা দুজন সরকারবিরোধী নানা তৎপরতা চালাচ্ছিলেন, শনিবার তাদের ধরে রাখে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি, জানান আজাদী।
আ’লীগ এবং যুবলীগের ইউনিয়নপর্যায়ের দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান। তিনি বরিশালটাইমসকে জানান, দুজনকে স্থানীয়রা শনিবার আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।’
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:০৩
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:৪৮
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৩৪
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৬