
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ০২:৫২
সকলকে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা
কয়েক ভাগে বিভক্ত বরিশাল বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছে দলটির হাইকমান্ড। রাজধানী ঢাকার গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বরিশালের নেতাকর্মীদের মধ্যেকার বিভাজনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনা করেন। এবং ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বরিশালের নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করাসহ শহীদ জিয়াউর রহমানের ধানের শীষের পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতা এই তথ্য গভীর রাতে বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
বিএনপি সূত্র জানায়, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল সদর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। বরিশাল সদর উপজেলার কমিটি ভাঙা এবং নতুন কমিটিতে মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা স্থান পাওয়া নিয়ে একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়। এনিয়ে বরিশাল সদর আসনের সাবেক এমপি সরোয়ারকে দোষারোপ করাসহ তাকে বিষাদগার করে নানান বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি নেতারা। সর্বশেষ এনিয়ে তাদের অনুসারীদের পাল্টাপাল্টি লেখালেখিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সমাজমাধ্যম ফেসবুক।
সূত্রগুলো জানায়, নির্বাচনপূর্ব বরিশালে নিজেদের মধ্যেকার এই বিরোধ পত্র-পত্রিকায় প্রচার হলে বিষয়টি বিএনপি হাইকমান্ডের নজরে আসে। এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একাধিক মাধ্যম বিষয়টি অবগত হয়ে এই রাজনৈতিক বিবাদ নিরসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য এম জেড এ জাহিদ হোসেনকে নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনার আলোকে বরিশাল সদর আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মজিবর রহমান সরোয়ার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনকে বৃহস্পতিবার হাইকমান্ড তলব করে।
জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বরিশালের নেতাদের নিয়ে এম জেড এ জাহিদ হোসেনের বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় গুলশান বিএনপির কার্যালয়ে বসার সিদ্ধান্ত থাকলেও তা দুই ঘণ্টা বিলম্বে শুরু হয়। এই বৈঠকে সরোয়ার-জিয়াদের সাথে বিএনপি বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নুও অংশগ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদের সাথে বরিশালের নেতাদের ফটোশেসনের একটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ পেয়েছে। এই ছবি বৈঠকে অংশ নেওয়া বরিশাল বিএনপি নেতারা তাদের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।
বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বরিশালটাইমসকে জানান, নিজেদের মধ্যকার বিরোধ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্বাচনের আগেই অভ্যন্তরীণ সকল বিবাদ মেটাতে চাইছে বিএনপির হাইকমান্ড।
বরিশাল সদর ০৫ আসনে প্রার্থিতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে কী না জানতে চাইলে জিয়া সিকদার বলেন, এ নিয়ে হাইকমান্ড কোনো আলোচনা করেনি। তবে ধানের শীষের মনোনয়ন যিনি পাবেন, তার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে।
মজিবর রহমান সরোয়ারও একই কথা জানিয়েছেন বরিশালটাইমসকে। বর্ষীয়ান এই নেতা জানান, অন্তর্কোন্দল ভুলে সকলকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বরিশাল সদর আসনে কাউকে গ্রিনসিগনাল দেওয়া হয়েছে কী না জানতে সরোয়ার বরিশালটাইমসকে বলেন, বিষয়টি এখনও হাইকমান্ড চূড়ান্ত করেনি বা ঘোষণা দেয়নি।’
সকলকে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা
কয়েক ভাগে বিভক্ত বরিশাল বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছে দলটির হাইকমান্ড। রাজধানী ঢাকার গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বরিশালের নেতাকর্মীদের মধ্যেকার বিভাজনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনা করেন। এবং ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বরিশালের নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করাসহ শহীদ জিয়াউর রহমানের ধানের শীষের পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতা এই তথ্য গভীর রাতে বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
বিএনপি সূত্র জানায়, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল সদর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। বরিশাল সদর উপজেলার কমিটি ভাঙা এবং নতুন কমিটিতে মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা স্থান পাওয়া নিয়ে একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়। এনিয়ে বরিশাল সদর আসনের সাবেক এমপি সরোয়ারকে দোষারোপ করাসহ তাকে বিষাদগার করে নানান বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি নেতারা। সর্বশেষ এনিয়ে তাদের অনুসারীদের পাল্টাপাল্টি লেখালেখিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সমাজমাধ্যম ফেসবুক।
সূত্রগুলো জানায়, নির্বাচনপূর্ব বরিশালে নিজেদের মধ্যেকার এই বিরোধ পত্র-পত্রিকায় প্রচার হলে বিষয়টি বিএনপি হাইকমান্ডের নজরে আসে। এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একাধিক মাধ্যম বিষয়টি অবগত হয়ে এই রাজনৈতিক বিবাদ নিরসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য এম জেড এ জাহিদ হোসেনকে নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনার আলোকে বরিশাল সদর আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মজিবর রহমান সরোয়ার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনকে বৃহস্পতিবার হাইকমান্ড তলব করে।
জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বরিশালের নেতাদের নিয়ে এম জেড এ জাহিদ হোসেনের বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় গুলশান বিএনপির কার্যালয়ে বসার সিদ্ধান্ত থাকলেও তা দুই ঘণ্টা বিলম্বে শুরু হয়। এই বৈঠকে সরোয়ার-জিয়াদের সাথে বিএনপি বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নুও অংশগ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদের সাথে বরিশালের নেতাদের ফটোশেসনের একটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ পেয়েছে। এই ছবি বৈঠকে অংশ নেওয়া বরিশাল বিএনপি নেতারা তাদের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।
বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বরিশালটাইমসকে জানান, নিজেদের মধ্যকার বিরোধ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্বাচনের আগেই অভ্যন্তরীণ সকল বিবাদ মেটাতে চাইছে বিএনপির হাইকমান্ড।
বরিশাল সদর ০৫ আসনে প্রার্থিতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে কী না জানতে চাইলে জিয়া সিকদার বলেন, এ নিয়ে হাইকমান্ড কোনো আলোচনা করেনি। তবে ধানের শীষের মনোনয়ন যিনি পাবেন, তার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে।
মজিবর রহমান সরোয়ারও একই কথা জানিয়েছেন বরিশালটাইমসকে। বর্ষীয়ান এই নেতা জানান, অন্তর্কোন্দল ভুলে সকলকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বরিশাল সদর আসনে কাউকে গ্রিনসিগনাল দেওয়া হয়েছে কী না জানতে সরোয়ার বরিশালটাইমসকে বলেন, বিষয়টি এখনও হাইকমান্ড চূড়ান্ত করেনি বা ঘোষণা দেয়নি।’
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৭
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৭
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুয়াকাটা মহাসড়কসহ পুরো শহরের সড়ক এখন বেহাল দশায়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অটোর চাকা আটকে যাচ্ছে খানাখন্দে, আবার কোথাও যাত্রীসহ অটো উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় যাত্রী, চালক ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছাড়াও ভোলা রোড, রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, বাংলাবাজার ও নতুন বাজার এলাকায় খানাখন্দ বেশি। সড়কের পিচ-পাথর উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সাময়িকভাবে ইট ফেলে ভরাট করা হলেও তা টেকসই হচ্ছে না। প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চাপ বেড়েছে আরও।
কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের বাসচালক কেরামত আলী বলেন, ‘সড়কের যে অবস্থা, তাতে বাস চালাতে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। যাত্রীরাও আতঙ্কে থাকেন। সময়ও বেশি লাগে। যে ধরনের সংস্কার করা হচ্ছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আগেও এভাবে সংস্কার হয়েছে, কিন্তু টেকেনি।’
সওজ বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান জানান, ‘আমরা সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়ককে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এটি মাত্র ২৪ ফিটের একটি সিঙ্গেল রোড। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আমরা ২০০ মিটার রাস্তায় পাঁচটি স্পিড ব্রেকার দিয়েছি, যা একটি হাইওয়ের জন্য উপযোগী নয়। এখানে ভারী যানবাহন চলাচল করে, ফলে হঠাৎ গতি কমে গেলে সড়কের ক্ষতি হয়।
ফিটনেসবিহীন বেপরোয়া যানবাহন এবং মোটরচালিত যানও রাস্তার ক্ষতির বড় কারণ। বরিশালে আদর্শ সড়ক মাত্র ১২ কিলোমিটার। জায়গার অভাবে রাস্তা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। জোড়া-তালি দিয়ে প্রশস্তকরণ করায় সড়কের লেভেল এক থাকে না, ফলে ত্রুটি থেকে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশ থেকে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলেপিংয়ের আওতায় আসবে। তাছাড়া ট্রাফিক কন্ট্রোল ও সিন্ডিকেট সমস্যার কারণে নতুন যানবাহন প্রবেশ করাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে এই সড়ক বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। তবে আসন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হলে দুর্ঘটনা ও সড়ক অব্যবস্থাপনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘বর্ষাকালে বিটুমিনের কাজ করা যায় না। বর্ষা শেষ না হলে রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতে টেন্ডার রাজনীতির কারণে দায়সারা কাজ হয়েছে, ফলে টেকসই হয়নি। হেভি লোড যানবাহন, স্পিড ব্রেকার ও লাইসেন্সবিহীন মোটরযানের কারণে রাস্তার ফ্লেক্সিবিলিটি নষ্ট হচ্ছে। আবার ফাইনান্সিয়াল সংকটের কারণে নতুন প্রজেক্টও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের এমন বেহাল অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। মাঝেমধ্যেই দেখি যাত্রীসহ অটো উল্টে যাচ্ছে। আমার নিজেরও চলাচলে ভোগান্তি হয়। কর্তৃপক্ষের যেমন গাফিলতি আছে, তেমনি আমাদের তাগিদের অভাবও রয়েছে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নূর লামিয়া তাবাসসুম (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ১১ ব্যাচ) বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয়, আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাই। আমার দুর্ঘটনার জন্য সড়কের অব্যবস্থাপনা, গাড়ির বেপরোয়া গতি এবং প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করি। নেই ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তা পার হতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা দুঃখজনক।’
এ পথের নিয়মিত যাত্রী ফয়সাল সাহেব জানায়, ‘প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় রাস্তাঘাটের খানাখন্দ আমার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁটার সময় ভয় থাকে কখন যে পা পিছলে যায়। কয়েকদিন আগে আমার পরিচিত একজন অটোতে উঠতে গিয়ে পড়ে পা মচকে ফেলেন। বয়স হয়েছে, তাই আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, পুরো দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। অথচ সড়কের এই বেহাল দশা প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের কুয়াকাটা মহাসড়কসহ পুরো শহরের সড়ক এখন বেহাল দশায়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও অটোর চাকা আটকে যাচ্ছে খানাখন্দে, আবার কোথাও যাত্রীসহ অটো উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় যাত্রী, চালক ও পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছাড়াও ভোলা রোড, রুপাতলী, নথুল্লাবাদ, বাংলাবাজার ও নতুন বাজার এলাকায় খানাখন্দ বেশি। সড়কের পিচ-পাথর উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সাময়িকভাবে ইট ফেলে ভরাট করা হলেও তা টেকসই হচ্ছে না। প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পদ্মা সেতু চালুর পর কুয়াকাটাগামী যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় চাপ বেড়েছে আরও।
কুয়াকাটা-ঢাকা রুটের বাসচালক কেরামত আলী বলেন, ‘সড়কের যে অবস্থা, তাতে বাস চালাতে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। যাত্রীরাও আতঙ্কে থাকেন। সময়ও বেশি লাগে। যে ধরনের সংস্কার করা হচ্ছে, তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। আগেও এভাবে সংস্কার হয়েছে, কিন্তু টেকেনি।’
সওজ বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান জানান, ‘আমরা সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়ককে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এটি মাত্র ২৪ ফিটের একটি সিঙ্গেল রোড। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আমরা ২০০ মিটার রাস্তায় পাঁচটি স্পিড ব্রেকার দিয়েছি, যা একটি হাইওয়ের জন্য উপযোগী নয়। এখানে ভারী যানবাহন চলাচল করে, ফলে হঠাৎ গতি কমে গেলে সড়কের ক্ষতি হয়।
ফিটনেসবিহীন বেপরোয়া যানবাহন এবং মোটরচালিত যানও রাস্তার ক্ষতির বড় কারণ। বরিশালে আদর্শ সড়ক মাত্র ১২ কিলোমিটার। জায়গার অভাবে রাস্তা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। জোড়া-তালি দিয়ে প্রশস্তকরণ করায় সড়কের লেভেল এক থাকে না, ফলে ত্রুটি থেকে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশ থেকে ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলেপিংয়ের আওতায় আসবে। তাছাড়া ট্রাফিক কন্ট্রোল ও সিন্ডিকেট সমস্যার কারণে নতুন যানবাহন প্রবেশ করাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে এই সড়ক বছরের পর বছর এভাবেই চলছে। তবে আসন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হলে দুর্ঘটনা ও সড়ক অব্যবস্থাপনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার বলেন, ‘বর্ষাকালে বিটুমিনের কাজ করা যায় না। বর্ষা শেষ না হলে রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয়। অতীতে টেন্ডার রাজনীতির কারণে দায়সারা কাজ হয়েছে, ফলে টেকসই হয়নি। হেভি লোড যানবাহন, স্পিড ব্রেকার ও লাইসেন্সবিহীন মোটরযানের কারণে রাস্তার ফ্লেক্সিবিলিটি নষ্ট হচ্ছে। আবার ফাইনান্সিয়াল সংকটের কারণে নতুন প্রজেক্টও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, ‘একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কের এমন বেহাল অবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। মাঝেমধ্যেই দেখি যাত্রীসহ অটো উল্টে যাচ্ছে। আমার নিজেরও চলাচলে ভোগান্তি হয়। কর্তৃপক্ষের যেমন গাফিলতি আছে, তেমনি আমাদের তাগিদের অভাবও রয়েছে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নূর লামিয়া তাবাসসুম (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, ১১ ব্যাচ) বলেন, ‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয়, আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাই। আমার দুর্ঘটনার জন্য সড়কের অব্যবস্থাপনা, গাড়ির বেপরোয়া গতি এবং প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করি। নেই ফুটওভার ব্রিজ, রাস্তা পার হতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা দুঃখজনক।’
এ পথের নিয়মিত যাত্রী ফয়সাল সাহেব জানায়, ‘প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় রাস্তাঘাটের খানাখন্দ আমার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁটার সময় ভয় থাকে কখন যে পা পিছলে যায়। কয়েকদিন আগে আমার পরিচিত একজন অটোতে উঠতে গিয়ে পড়ে পা মচকে ফেলেন। বয়স হয়েছে, তাই আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, পুরো দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। অথচ সড়কের এই বেহাল দশা প্রতিদিনই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।
বরিশালে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা ও পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি লাইটার ভেসেলসহ ১২ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের একটি দল। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কোস্ট গার্ড স্টেশন বরিশাল কোতোয়ালি থানাধীন চরমোনাই আনন্দ ঘাট-সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে একটি সন্দেহজনক লাইটার ভেসেল তল্লাশি করা হয়। তল্লাশির পর ভেসেলটি থেকে ১ হাজার ১০০ টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ সময় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোংলা হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে এই কয়লা অসদুপায় অবলম্বন করে অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিল।
জব্দ করা কয়লা, পাচারকাজে ব্যবহৃত লাইটার ভেসেল এবং আটক ১২ চোরাকারবারিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা।

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে ২৭ বছরের গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মামলা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি থানার ওসিকে আসামির বিরুদ্ধে এজাহার করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া এলাকার আসমা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ হয় আসামীর।
বাদির আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। গত ১২ নভেম্বর বাদি বাস স্ট্যান্ড আসলে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়া বাদিসহ তার নবজাত শিশু সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যায়। এরপর ১২ ই নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাঁদিকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদি স্বামীকে জানালে স্বামী ১৯ নভেম্বর ঢাকা গিয়ে বাদিকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ২৭বছরের ওই গৃহবধূ বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে হাজির হয়ে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।
শয়তানের নিঃশ্বাসের খপ্পরে পড়ে ২৭ বছরের গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মামলা হলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি থানার ওসিকে আসামির বিরুদ্ধে এজাহার করার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপরোক্ত নির্দেশ দেন।
নগরের ২৬ নং ওয়ার্ডের হরিনাফুলিয়া এলাকার আসমা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ হয় আসামীর।
বাদির আইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়ার কথা বলে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। গত ১২ নভেম্বর বাদি বাস স্ট্যান্ড আসলে শয়তানের নিঃশ্বাস দিয়া বাদিসহ তার নবজাত শিশু সন্তানকে ঢাকা নিয়ে যায়। এরপর ১২ ই নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাঁদিকে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাদি স্বামীকে জানালে স্বামী ১৯ নভেম্বর ঢাকা গিয়ে বাদিকে উদ্ধার করে বরিশাল নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ২৭বছরের ওই গৃহবধূ বৃহস্পতিবার বরিশাল আদালতে হাজির হয়ে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.