
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৬
ফরিদপুরের সদরপুরে মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিতরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন মাওলানা রায়হান জামিল নামের এক স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী। তবে ইলিশের চেয়ে মানুষ বেশি হওয়ায় সস্তায় মাছ নিতে আসা উপস্থিত জনতার মধ্যে শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। একপর্যায়ে জনতার চাপে ইলিশ রেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন রায়হান জামিল।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই ইলিশ বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মুফতি রায়হান জামিল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সদরপুরে মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ বিতরণের ঘোষণা দেন মুফতি রায়হান জামিল।
মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ! এমন খবরে বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত মানুষ সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। কিন্তু পর্যাপ্ত ইলিশ না থাকায় উপস্থিত জনতার মধ্যে তুমুল আকারে হট্টগোল শুরু হয়।
একপর্যায়ে উপস্থিত জনতার চাপে ইলিশ রেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন রায়হান জামিল। এরপর তিনি ভাষণচর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পৌঁছালে মাছ না পাওয়া ক্ষুব্ধ জনতা তার গাড়ি আটকে দেয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের সহায়তায় কোনোমতে তিনি সেখান থেকে রক্ষা পান।
ইলিশ নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা নুরু শেখ বলেন, ‘মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে ইলিশ মাছ দেওয়া হবে খবর শুনে সকাল থেকে স্কুল মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু মাছের চেয়ে মানুষ বেশি। তাই মাছ না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হলো। মানুষে মানেুষে ধাক্কাধাক্কি, মারামারি লেগে যায়। পরে দেখি স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী নিজেই পালিয়ে যাচ্ছেন।’
জোহরা বেগম নামে এক বৃদ্ধা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। হাজার টাকা খরচ করে ইলিশ কেনার সাধ্য নেই। তাই ১০ টাকায় ইলিশ মাছ দেওয়ার খবর শুনে সকালে স্কুল মাঠে আসি। রোদ আর গরমের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছি। কিন্তু মাছ পাইনি। মাছ দিতি পারবি না তো খবর দেওয়ার দরকার কী?’
স্থানীয় বাসিন্দা টিটু ইসলাম বলেন, ‘উনি কত মানুষকে ইলিশ মাছ দেবেন তার কোনো নির্দিষ্ট ঘোষণা দেননি। তবে তিনি ৬০০ পিস ইলিশ বিতরণের জন্য আনেন। কিন্তু মানুষের সংখ্যা ছিল কমপক্ষে দুই হাজার। মানুষ ইলিশ না পেয়ে হট্টগোল শুরু করে।’
জানতে চাইলে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিল বলেন, ‘আমি মানুষের উপকারের চেষ্টা করি। আর এজন্যই ইলিশ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত ভিড় ও বিশৃঙ্খলার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে মাছ রেখে নিরাপত্তাজনিত কারণে আমাকে দ্রুত সেখান থেকে সরে আসতে হয়েছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে আমি আগেই রায়হান জামিলকে সতর্ক করেছিলাম। তিনি আমাদের কোনো কথা না শুনে নিজের মতো ইলিশ বিতরণ কার্যক্রম চালান। পরে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
ফরিদপুরের সদরপুরে মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ মাছ বিতরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন মাওলানা রায়হান জামিল নামের এক স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী। তবে ইলিশের চেয়ে মানুষ বেশি হওয়ায় সস্তায় মাছ নিতে আসা উপস্থিত জনতার মধ্যে শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। একপর্যায়ে জনতার চাপে ইলিশ রেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন রায়হান জামিল।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই ইলিশ বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মুফতি রায়হান জামিল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সদরপুরে মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ বিতরণের ঘোষণা দেন মুফতি রায়হান জামিল।
মাত্র ১০ টাকায় ইলিশ! এমন খবরে বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত মানুষ সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। কিন্তু পর্যাপ্ত ইলিশ না থাকায় উপস্থিত জনতার মধ্যে তুমুল আকারে হট্টগোল শুরু হয়।
একপর্যায়ে উপস্থিত জনতার চাপে ইলিশ রেখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন রায়হান জামিল। এরপর তিনি ভাষণচর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পৌঁছালে মাছ না পাওয়া ক্ষুব্ধ জনতা তার গাড়ি আটকে দেয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে স্থানীয়দের সহায়তায় কোনোমতে তিনি সেখান থেকে রক্ষা পান।
ইলিশ নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা নুরু শেখ বলেন, ‘মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে ইলিশ মাছ দেওয়া হবে খবর শুনে সকাল থেকে স্কুল মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু মাছের চেয়ে মানুষ বেশি। তাই মাছ না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হলো। মানুষে মানেুষে ধাক্কাধাক্কি, মারামারি লেগে যায়। পরে দেখি স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী নিজেই পালিয়ে যাচ্ছেন।’
জোহরা বেগম নামে এক বৃদ্ধা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। হাজার টাকা খরচ করে ইলিশ কেনার সাধ্য নেই। তাই ১০ টাকায় ইলিশ মাছ দেওয়ার খবর শুনে সকালে স্কুল মাঠে আসি। রোদ আর গরমের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছি। কিন্তু মাছ পাইনি। মাছ দিতি পারবি না তো খবর দেওয়ার দরকার কী?’
স্থানীয় বাসিন্দা টিটু ইসলাম বলেন, ‘উনি কত মানুষকে ইলিশ মাছ দেবেন তার কোনো নির্দিষ্ট ঘোষণা দেননি। তবে তিনি ৬০০ পিস ইলিশ বিতরণের জন্য আনেন। কিন্তু মানুষের সংখ্যা ছিল কমপক্ষে দুই হাজার। মানুষ ইলিশ না পেয়ে হট্টগোল শুরু করে।’
জানতে চাইলে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুফতি রায়হান জামিল বলেন, ‘আমি মানুষের উপকারের চেষ্টা করি। আর এজন্যই ইলিশ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত ভিড় ও বিশৃঙ্খলার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে মাছ রেখে নিরাপত্তাজনিত কারণে আমাকে দ্রুত সেখান থেকে সরে আসতে হয়েছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে আমি আগেই রায়হান জামিলকে সতর্ক করেছিলাম। তিনি আমাদের কোনো কথা না শুনে নিজের মতো ইলিশ বিতরণ কার্যক্রম চালান। পরে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:৫৫
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চললেও প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরীক্ষা চলছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পস্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন এক গ্রামপুলিশ সদস্য।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার, পৌরসভা-ইউনিয়নের কর্মচারী, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চেয়ারম্যান-মেম্বার ও গ্রামপুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পস্তাইল স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত গ্রামপুলিশ মো. রাজ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার চাকরি জীবনের ২২ বছরে কখনো ভাবতেই পারিনি পরীক্ষার হলে ডিউটি করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামপুলিশ পরীক্ষার হলে ডিউটি করবেন এটা খুবই দুঃখজনক; কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য গ্রামপুলিশের প্রতি ইউএনওর নির্দেশনা রয়েছে। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আমার জানা নেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চললেও প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরীক্ষা চলছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পস্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন এক গ্রামপুলিশ সদস্য।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার, পৌরসভা-ইউনিয়নের কর্মচারী, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চেয়ারম্যান-মেম্বার ও গ্রামপুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পস্তাইল স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত গ্রামপুলিশ মো. রাজ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার চাকরি জীবনের ২২ বছরে কখনো ভাবতেই পারিনি পরীক্ষার হলে ডিউটি করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামপুলিশ পরীক্ষার হলে ডিউটি করবেন এটা খুবই দুঃখজনক; কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য গ্রামপুলিশের প্রতি ইউএনওর নির্দেশনা রয়েছে। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আমার জানা নেই।

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হলে চৌকা সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়।
ওইদিন জিরো লাইনের কাছে মাটির বাঙ্কারে বিজিবি সদস্যদের পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল আলী। মুহূর্তেই সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এবার সেই সাহসী কৃষককে সংবর্ধনা দিয়েছে বিজিবি।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় কৃষক বাবুল আক্তারের হাতে সংবর্ধনা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বাবুল আক্তার বলেন, বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই বছরের জানুয়ারিতে আমিসহ অন্যান্যরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। আগামীতেও এমন ঘটনা ঘটলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। এ ছাড়া, অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত ও সংবর্ধনা দেওয়ায় আমি অনেক খুশি।
বিজিবির ৫৯ ব্যাটলিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কামাল হোসেন।
এ ছাড়া, আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. শাহাদাৎ হোসেন মাসুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল আসিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিজিবি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে সীমান্ত আইন অমান্য করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করে বিএসএফ। বিজিবির পক্ষ থেকে এ কাজে বাধা দেওয়া হলে চৌকা সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় মাটির বাঙ্কারে অবস্থান নেওয়া বিজিবি সদস্যদের পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল আলী। মুহূর্তেই ওই কৃষকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হলে চৌকা সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়।
ওইদিন জিরো লাইনের কাছে মাটির বাঙ্কারে বিজিবি সদস্যদের পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল আলী। মুহূর্তেই সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এবার সেই সাহসী কৃষককে সংবর্ধনা দিয়েছে বিজিবি।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় কৃষক বাবুল আক্তারের হাতে সংবর্ধনা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বাবুল আক্তার বলেন, বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই বছরের জানুয়ারিতে আমিসহ অন্যান্যরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। আগামীতেও এমন ঘটনা ঘটলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। এ ছাড়া, অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত ও সংবর্ধনা দেওয়ায় আমি অনেক খুশি।
বিজিবির ৫৯ ব্যাটলিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কামাল হোসেন।
এ ছাড়া, আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. শাহাদাৎ হোসেন মাসুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল আসিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিজিবি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে সীমান্ত আইন অমান্য করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করে বিএসএফ। বিজিবির পক্ষ থেকে এ কাজে বাধা দেওয়া হলে চৌকা সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় মাটির বাঙ্কারে অবস্থান নেওয়া বিজিবি সদস্যদের পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল আলী। মুহূর্তেই ওই কৃষকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৫২
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা যশোর সদরের মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই কোটি ১১ লাখ দামের দুটি সোনার বারসহ দুজনকে আটক করেছেন। যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী সোনাসহ দুই যুবককে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ওইসময় ফরিদুল ইসলাম (২৮) ও মাহাফুজ আলম (৩১) নামে দুই যুবককে আটক করা হয়।
এরপর তল্লাশি করে তাদের প্যান্টের পকেটে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা সোনার ওজন ১ দশমিক ১৬৪ কেজি, যার বাজারমূল্য দুই কোটি ১১ লাখ লাখ ১৯ হাজার ২৪৪ টাকা।
আটক দুই যুবক বিজিবিকে জানান, ঢাকা থেকে যশোর ও চৌগাছা হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে সোনার বারগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকার চোরাকারবারিদের কাছ থেকে এগুলো সংগ্রহ করে চৌগাছার দিকে যাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, আটক ফরিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এবং মাহাফুজ আলম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে যশোর কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা যশোর সদরের মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই কোটি ১১ লাখ দামের দুটি সোনার বারসহ দুজনকে আটক করেছেন। যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী সোনাসহ দুই যুবককে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ওইসময় ফরিদুল ইসলাম (২৮) ও মাহাফুজ আলম (৩১) নামে দুই যুবককে আটক করা হয়।
এরপর তল্লাশি করে তাদের প্যান্টের পকেটে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা সোনার ওজন ১ দশমিক ১৬৪ কেজি, যার বাজারমূল্য দুই কোটি ১১ লাখ লাখ ১৯ হাজার ২৪৪ টাকা।
আটক দুই যুবক বিজিবিকে জানান, ঢাকা থেকে যশোর ও চৌগাছা হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে সোনার বারগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকার চোরাকারবারিদের কাছ থেকে এগুলো সংগ্রহ করে চৌগাছার দিকে যাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, আটক ফরিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এবং মাহাফুজ আলম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে যশোর কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.