
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৩৩
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপির বিবাদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও বাবু মালিথা (৫০) নামে বিএনপির এক কর্মীকে কুপিয়ে যখন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া মাস্টার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত বাবু মালিথা ওই ইউনিয়নের মৃত রশিদ মালিথার ছেলে। তিনি সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয় কর্মী এবং ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থক।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে , শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় একটি মাজারে নেতৃত্ব দেওয়াকে কেন্দ্র বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থক বাবু মালিথা ও তার ছেলে রাব্বি মালিথার সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসান ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সুমনের সমর্থক পলাশ, হাসান, সবুজ সহ স্থানীয় যুবদল কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় রোববার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে ঈশ্বরদীর থানায় উভয়পক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।
ওই ঘটনার সূত্র ধরে সোমবার সন্ধ্যায় আবারো সংঘর্ষে জড়ায় বিবাদমান দুগ্রুপ। এসময় যুবদল কর্মী হাসান ও সবুজের নেতৃত্বে বাবু মালিথার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার বাড়ি ভাঙচুর রা হয়। এসময় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও পটকা ফোটায় হামলাকারীরা। হামলায় ধরালো অস্ত্রের আঘাতে বাবু মালিথা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার পরপরই ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ও পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ঘটনাস্থলে যৌথ অভিযান চালায়। রাত সাড়ে আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার জের ধরে এলাকায় বিরাজ করছিল। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর নূর জানান, বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপির বিবাদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও বাবু মালিথা (৫০) নামে বিএনপির এক কর্মীকে কুপিয়ে যখন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া মাস্টার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত বাবু মালিথা ওই ইউনিয়নের মৃত রশিদ মালিথার ছেলে। তিনি সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয় কর্মী এবং ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থক।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে , শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় একটি মাজারে নেতৃত্ব দেওয়াকে কেন্দ্র বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থক বাবু মালিথা ও তার ছেলে রাব্বি মালিথার সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসান ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সুমনের সমর্থক পলাশ, হাসান, সবুজ সহ স্থানীয় যুবদল কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় রোববার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে ঈশ্বরদীর থানায় উভয়পক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।
ওই ঘটনার সূত্র ধরে সোমবার সন্ধ্যায় আবারো সংঘর্ষে জড়ায় বিবাদমান দুগ্রুপ। এসময় যুবদল কর্মী হাসান ও সবুজের নেতৃত্বে বাবু মালিথার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার বাড়ি ভাঙচুর রা হয়। এসময় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও পটকা ফোটায় হামলাকারীরা। হামলায় ধরালো অস্ত্রের আঘাতে বাবু মালিথা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার পরপরই ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ও পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ঘটনাস্থলে যৌথ অভিযান চালায়। রাত সাড়ে আটটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার জের ধরে এলাকায় বিরাজ করছিল। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর নূর জানান, বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:০৩
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি মজিবর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় কি মামলা রয়েছে সে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:৪৮
মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি, বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শহরের বিএম কলেজের অদূরে জিয়াউলের পৈতৃক নিবাস। সীমানা প্রাচীরঘেরা বাড়িতে তার বাবার পুরোনো ভবন ছাড়াও ভাই-বোনদের যৌথ একটি বহুতল ভবন রয়েছে। এ বাড়িতে আগে থাকতেন জিয়াউল আহসানের বড় ভাই বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও ছোট ভাই সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব। জিয়াউল আহসান ছাড়া অন্য দুই ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে দুটি ভবনেই ভাড়াটিয়ারা বাস করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রথম দফায় ১০/১৫ জন যুবক গিয়েছিল। বাড়িতে প্রবেশের প্রধান গেট তালা দেওয়া থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও বেশি যুবক এসে দ্বিতীয় দফায় ওই বাসায় যায়। তখন একদল যুবক দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে যায় এবং আরেক দল গেটের বাইরে ছিল। তবে ভবনের প্রধান ফটক আটকানো থাকায় যুবকেরা ভবনের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করতে পেরেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভবনের ভাড়াটিয়াদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওই যুবকেরা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়, কিন্তু এরআগেই হামলাকারীরা চলে গেছে। তারা বাড়ির মধ্যে ইটপাটকেল এবং জানালার কাচ ভাঙচুরের আলামত পেয়েছেন।
এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৩৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ইসরাত রায়হান অমি জনৈক এনসিপি কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে চরম উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ ও তানভীরসহ অন্যান্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তর অঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও বলা হয়, ‘সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে আমাদের নেতাকর্মীরা।’
এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ‘রুপক নন্দী’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে দেখা যায়, রুপক নন্দী সরাসরি হান্নান মাসউদকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘হান্নান, আগুন নিয়ে খেলা করো না। পরে পস্তাতে হবে—বলে দিলাম।’ পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদকে (পিচ্চি আজাদ) যারা ভালোবাসেন, তারা হান্নান মাসউদকে ছাড় দেবেন না। এমনকি হালিম আজাদকে গ্রেপ্তার করা হলে হান্নান মাসউদকে হাতিয়ায় নিষিদ্ধ করার ঘোষণাও দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বাকপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
বানারীপাড়া থানা পুলিশের ওসি মজিবর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা এম মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটকের বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ডেভিল হ্যান্ট ফেজ-২ অপারেশনের অংশ হিসেবে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন থানায় কি মামলা রয়েছে সে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।’
মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি, বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শহরের বিএম কলেজের অদূরে জিয়াউলের পৈতৃক নিবাস। সীমানা প্রাচীরঘেরা বাড়িতে তার বাবার পুরোনো ভবন ছাড়াও ভাই-বোনদের যৌথ একটি বহুতল ভবন রয়েছে। এ বাড়িতে আগে থাকতেন জিয়াউল আহসানের বড় ভাই বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও ছোট ভাই সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব। জিয়াউল আহসান ছাড়া অন্য দুই ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে দুটি ভবনেই ভাড়াটিয়ারা বাস করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রথম দফায় ১০/১৫ জন যুবক গিয়েছিল। বাড়িতে প্রবেশের প্রধান গেট তালা দেওয়া থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও বেশি যুবক এসে দ্বিতীয় দফায় ওই বাসায় যায়। তখন একদল যুবক দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে যায় এবং আরেক দল গেটের বাইরে ছিল। তবে ভবনের প্রধান ফটক আটকানো থাকায় যুবকেরা ভবনের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করতে পেরেছে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভবনের ভাড়াটিয়াদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওই যুবকেরা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়, কিন্তু এরআগেই হামলাকারীরা চলে গেছে। তারা বাড়ির মধ্যে ইটপাটকেল এবং জানালার কাচ ভাঙচুরের আলামত পেয়েছেন।
এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ইসরাত রায়হান অমি জনৈক এনসিপি কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে চরম উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ ও তানভীরসহ অন্যান্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তর অঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও বলা হয়, ‘সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে আমাদের নেতাকর্মীরা।’
এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ‘রুপক নন্দী’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে দেখা যায়, রুপক নন্দী সরাসরি হান্নান মাসউদকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘হান্নান, আগুন নিয়ে খেলা করো না। পরে পস্তাতে হবে—বলে দিলাম।’ পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদকে (পিচ্চি আজাদ) যারা ভালোবাসেন, তারা হান্নান মাসউদকে ছাড় দেবেন না। এমনকি হালিম আজাদকে গ্রেপ্তার করা হলে হান্নান মাসউদকে হাতিয়ায় নিষিদ্ধ করার ঘোষণাও দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০২:০৩
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:৪৮
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৩৪
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৬