
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৮
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুরে অবতরণ করছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের সেলেতার বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে, এদিন বেলা ১১টা ২২ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় পৌঁছে। পরবর্তীতে দুপুরের দিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওসমান হাদিকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। দুপুর দেড়টার কিছু আগে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে দেড়টার দিকে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।
ওসমান হাদির সঙ্গে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন তার ভাই ওমর বিন হাদি এবং বন্ধু আমিনুল হাসান ফয়সাল। তিনি হাদির রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলেন।
জানা গেছে, ৪ ঘণ্টা উড্ডয়নের পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার এয়ারকেয়ার হাসপাতাল ও সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তার দীর্ঘ এই সফরে সম্মত হয়েছেন।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। তারপর থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওসমান হাদি।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুরে অবতরণ করছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরের সেলেতার বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে, এদিন বেলা ১১টা ২২ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় পৌঁছে। পরবর্তীতে দুপুরের দিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওসমান হাদিকে বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। দুপুর দেড়টার কিছু আগে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে দেড়টার দিকে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।
ওসমান হাদির সঙ্গে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন তার ভাই ওমর বিন হাদি এবং বন্ধু আমিনুল হাসান ফয়সাল। তিনি হাদির রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ছিলেন।
জানা গেছে, ৪ ঘণ্টা উড্ডয়নের পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার এয়ারকেয়ার হাসপাতাল ও সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তার দীর্ঘ এই সফরে সম্মত হয়েছেন।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। তারপর থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওসমান হাদি।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:১১
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:৫২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৫
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:৪৫

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:১১
বরগুনার তালতলী উপজেলায় মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে মারধরের পর বাবার ছুরিকাঘাতে সফিক হাওলাদার (২৮) নামে এক মাদকাসক্ত ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর বাবা হারুন হাওলাদার আত্মগোপনে আছেন। তালতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ইদুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হারুন হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সফিক হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরেই মাদকাসক্ত ছিলেন। তাকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন সময় রিহ্যাবেও পাঠানো হয়। তবে সেখান থেকে ফিরে এসে পুনরায় মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। সব শেষ সফিক গত ৭ আক্টোবর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর ১০ ডিসেম্বর কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে বাড়িতে এসে বিভিন্ন সময় বাবা হারুনের কাছে মাদকের টাকা চেয়ে চাপ সৃষ্টি করতেন সফিক। তবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বাবা হারুন ছেলেকে একটি থাপ্পড় দেয়। পরে সফিক আরও উত্তেজিত হয়ে বাবকে মারধর করতে যাওয়ার একপর্যায়ে ঘরে থাকা কাঁচা মরিচ কাটার ছুরি দিয়ে ছেলের পিঠে আঘাত করেন হারুন হাওলাদার। পরে সফিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত সফিকের মা ও হারুন হাওলাদারের স্ত্রী রাসেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। বারবার রিহ্যাবে দিলেও সে ঠিক হয়নি। একবার জেলেও গেছে কিন্তু ছাড়া পেয়েও ভালো হয়নি। দুপুরে বাবা ছেলের মধ্যে বাকবিতন্ডায় একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওসি মো. আশাদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বাবার সঙ্গে ছেলের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে সফিক হাওলাদার নিহত হয়েছেন। তবে নিহত সফিক মাদকাসক্ত ছিল এবং বাবার সঙ্গে প্রায় সময়ই বাকবিতণ্ডা হতো। এ ঘটনায় বাবা হারুন হাওলাদার পলাতক রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
বরগুনার তালতলী উপজেলায় মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে মারধরের পর বাবার ছুরিকাঘাতে সফিক হাওলাদার (২৮) নামে এক মাদকাসক্ত ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর বাবা হারুন হাওলাদার আত্মগোপনে আছেন। তালতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ইদুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হারুন হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সফিক হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরেই মাদকাসক্ত ছিলেন। তাকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন সময় রিহ্যাবেও পাঠানো হয়। তবে সেখান থেকে ফিরে এসে পুনরায় মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। সব শেষ সফিক গত ৭ আক্টোবর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর ১০ ডিসেম্বর কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে বাড়িতে এসে বিভিন্ন সময় বাবা হারুনের কাছে মাদকের টাকা চেয়ে চাপ সৃষ্টি করতেন সফিক। তবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বাবা হারুন ছেলেকে একটি থাপ্পড় দেয়। পরে সফিক আরও উত্তেজিত হয়ে বাবকে মারধর করতে যাওয়ার একপর্যায়ে ঘরে থাকা কাঁচা মরিচ কাটার ছুরি দিয়ে ছেলের পিঠে আঘাত করেন হারুন হাওলাদার। পরে সফিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত সফিকের মা ও হারুন হাওলাদারের স্ত্রী রাসেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাদকাসক্ত ছিল। বারবার রিহ্যাবে দিলেও সে ঠিক হয়নি। একবার জেলেও গেছে কিন্তু ছাড়া পেয়েও ভালো হয়নি। দুপুরে বাবা ছেলের মধ্যে বাকবিতন্ডায় একপর্যায়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওসি মো. আশাদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বাবার সঙ্গে ছেলের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে সফিক হাওলাদার নিহত হয়েছেন। তবে নিহত সফিক মাদকাসক্ত ছিল এবং বাবার সঙ্গে প্রায় সময়ই বাকবিতণ্ডা হতো। এ ঘটনায় বাবা হারুন হাওলাদার পলাতক রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:৫২
‘আর একটি লাশ পড়লে আমরাও লাশ নেব’ এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চের সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে। একটি লাশ পড়লে আমরাও লাশ নেব। অনেক ধৈর্য ধরা হয়েছে, আর না। আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে ভাইদের ওপর হামলা করবেন, এটা আমরা বরদাশত করব না।
‘অভ্যুত্থানের পর লড়াইয়ে পরাস্ত হয়েছি বলেই হাদি গুলিবিদ্ধ’ মন্তব্য করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘এই লড়াই দীর্ঘ, এর জন্য আমার প্রথমে বলেছি মুজিববাদের মূল উৎখাত করতে হবে। কিন্তু সেই চেষ্টা কমই দেখছি। এখনো মুজিববাদবিরোধী লড়াইয়ে আমরা পিছিয়ে আছি।’
‘বাংলাদেশে থেকে দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা বজায় রাখছে একদল’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা চাইলে এদের সব ধ্বংস করে দিতে পারতাম, করিনি। আমরা ক্ষমা করে ভুল করে থাকলে প্রতিজ্ঞা করি, আর ক্ষমা করব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপদ না থাকলে, দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকতে পারবে না। জুলাই শক্তি গঠনমূলকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে সব লড়াই রুখে দেওয়া যাবে।’
প্রতিরোধ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, বারবার হাদির জীবন শঙ্কা দেখা দেওয়ার পরও আপনারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? এই উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত যাওয়া যাবে না। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার মধ্যে রয়েছে। হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এ দেশে থেকে আওয়ামী লীগের দালালদের বিতাড়িত করতে হবে।’
এর আগে, সোমবার বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এই সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সমাবেশস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা একের পর এক প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানে স্লোগানে তারা বলেন, ‘আমরা সবাই হাদি হব, ভুলের মুখে কথা বলব’, ‘এক হাদি রক্ত দেবে, লক্ষ হাদি জন্ম নেবে’। পাশাপাশি শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি তোলেন।
‘আর একটি লাশ পড়লে আমরাও লাশ নেব’ এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চের সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে। একটি লাশ পড়লে আমরাও লাশ নেব। অনেক ধৈর্য ধরা হয়েছে, আর না। আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে ভাইদের ওপর হামলা করবেন, এটা আমরা বরদাশত করব না।
‘অভ্যুত্থানের পর লড়াইয়ে পরাস্ত হয়েছি বলেই হাদি গুলিবিদ্ধ’ মন্তব্য করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘এই লড়াই দীর্ঘ, এর জন্য আমার প্রথমে বলেছি মুজিববাদের মূল উৎখাত করতে হবে। কিন্তু সেই চেষ্টা কমই দেখছি। এখনো মুজিববাদবিরোধী লড়াইয়ে আমরা পিছিয়ে আছি।’
‘বাংলাদেশে থেকে দেশের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা বজায় রাখছে একদল’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা চাইলে এদের সব ধ্বংস করে দিতে পারতাম, করিনি। আমরা ক্ষমা করে ভুল করে থাকলে প্রতিজ্ঞা করি, আর ক্ষমা করব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপদ না থাকলে, দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকতে পারবে না। জুলাই শক্তি গঠনমূলকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে সব লড়াই রুখে দেওয়া যাবে।’
প্রতিরোধ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, বারবার হাদির জীবন শঙ্কা দেখা দেওয়ার পরও আপনারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? এই উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত যাওয়া যাবে না। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘হাদি আমাদের সবার মধ্যে রয়েছে। হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এ দেশে থেকে আওয়ামী লীগের দালালদের বিতাড়িত করতে হবে।’
এর আগে, সোমবার বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এই সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সমাবেশস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা একের পর এক প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানে স্লোগানে তারা বলেন, ‘আমরা সবাই হাদি হব, ভুলের মুখে কথা বলব’, ‘এক হাদি রক্ত দেবে, লক্ষ হাদি জন্ম নেবে’। পাশাপাশি শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি তোলেন।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৫
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরেবাংলা হলে গভীর রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) সমন্বয়কসহ দুই আবাসিক শিক্ষার্থীকে হলরুম থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে শারীরিক হেনস্তা, মানসিক নির্যাতন এবং এমনকি হত্যার হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী সোমবার (১৫ নভেম্বর) পৃথকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর এবং হল প্রভোস্ট বরাবর তিনটি আলাদা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আইন বিভাগের এস. এম. ওয়াহিদুর রহমান এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল বাদশাকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হল থেকে ডেকে ও জোরপূর্বক ধরে নিচে নিয়ে শারীরিক হেনস্তা, মানসিক নির্যাতনসহ হত্যার হুমকি দেয়।
বৈছাআ সমন্বয়ক এস. এম. ওয়াহিদুর রহমান তার অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, তাকে হলের মূল ফটকের সামনে নিয়ে ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, আহসান উল্লাহ্, আকিবুর রহমান, সোহানুর রহমান সিফাত, রবিন মিয়াসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মী ঘিরে ধরেন। তার দেহ তল্লাশি করা হয় এবং হলে বৈধভাবে থাকার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকে ‘ছাত্রলীগ ট্যাগ’ দিয়ে আওয়ামী লীগের আমলে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে হলে থাকার অভিযোগ আনা হয়। পূর্বের একটি ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে রবিন মিয়া তাকে হত্যার হুমকি দেন এবং ভবিষ্যতে “বাঁচতে দেওয়া হবে না” বলে ভয় দেখান। এ সময় তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং সংঘবদ্ধভাবে মানসিকভাবে হেয় করা হয়।
ফয়সাল বাদশার অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, একই রাতে মুক্তমঞ্চে উচ্চশব্দে কনসার্টের প্রতিবাদ করা হলে ফেরার পর রাত ১ টার দিকে তাকে রুমের সামনে থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে লুঙ্গি ছাড়া অন্য কোনো পোশাক পরার সুযোগ দেওয়া হয়নি। খালি গায়েই শীতের মধ্যে টেনে-হিঁচড়ে হলের নিচে নেওয়া হয়। তাকে প্রায় এক ঘণ্টা যাবত হলের নিচের বেঞ্চ ও গেস্টরুমে বসিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়। “অবৈধ শিক্ষার্থী” এবং “শিবির সংশ্লিষ্টতার” অভিযোগ তুলে তাকে জোরপূর্বক ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় যে, তাকে খালি গায়ের ভিডিও ধারণ করে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।
দুই শিক্ষার্থীই অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, চারুকলা সংসদ আয়োজিত ‘মাঘমল্লার’ অনুষ্ঠানে গভীর রাত পর্যন্ত শব্দদূষণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের ক্ষোভের দায় তাদের ওপর চাপানো হয়। তাদের হুমকি দেওয়া হয় যে ভবিষ্যতে ছাত্রদলের নির্দেশ না মানলে “চরম পরিণতি” ভোগ করতে হবে।
ভুক্তভোগীরা জানান, এই ঘটনার পর তারা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং হলে স্বাভাবিকভাবে বসবাস ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতাকর্মী সোহানুর রহমান সিফাত ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, “এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার তো কোনো প্রাসঙ্গিকতা নাই। হল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে কিন্তু তারাও তো আমাদের এখনো কিছু জানাননি।”
অপর অভিযুক্ত ববি ছাত্রদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, “এবিষয়ে আমি প্রথম শুনলাম। এমন কোনো ঘটনার কথা জানি না। আমি কিংবা মিজান কেউ সেখানে ছিলাম না। তবে ছাত্রদলের অন্য কেউ ছিল কিনা সেটা জানি না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সাল (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, “এ বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে।”
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরেবাংলা হলে গভীর রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) সমন্বয়কসহ দুই আবাসিক শিক্ষার্থীকে হলরুম থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে শারীরিক হেনস্তা, মানসিক নির্যাতন এবং এমনকি হত্যার হুমকি দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী সোমবার (১৫ নভেম্বর) পৃথকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর এবং হল প্রভোস্ট বরাবর তিনটি আলাদা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আইন বিভাগের এস. এম. ওয়াহিদুর রহমান এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল বাদশাকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হল থেকে ডেকে ও জোরপূর্বক ধরে নিচে নিয়ে শারীরিক হেনস্তা, মানসিক নির্যাতনসহ হত্যার হুমকি দেয়।
বৈছাআ সমন্বয়ক এস. এম. ওয়াহিদুর রহমান তার অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, তাকে হলের মূল ফটকের সামনে নিয়ে ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, আহসান উল্লাহ্, আকিবুর রহমান, সোহানুর রহমান সিফাত, রবিন মিয়াসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মী ঘিরে ধরেন। তার দেহ তল্লাশি করা হয় এবং হলে বৈধভাবে থাকার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকে ‘ছাত্রলীগ ট্যাগ’ দিয়ে আওয়ামী লীগের আমলে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে হলে থাকার অভিযোগ আনা হয়। পূর্বের একটি ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে রবিন মিয়া তাকে হত্যার হুমকি দেন এবং ভবিষ্যতে “বাঁচতে দেওয়া হবে না” বলে ভয় দেখান। এ সময় তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ এবং সংঘবদ্ধভাবে মানসিকভাবে হেয় করা হয়।
ফয়সাল বাদশার অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, একই রাতে মুক্তমঞ্চে উচ্চশব্দে কনসার্টের প্রতিবাদ করা হলে ফেরার পর রাত ১ টার দিকে তাকে রুমের সামনে থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে লুঙ্গি ছাড়া অন্য কোনো পোশাক পরার সুযোগ দেওয়া হয়নি। খালি গায়েই শীতের মধ্যে টেনে-হিঁচড়ে হলের নিচে নেওয়া হয়। তাকে প্রায় এক ঘণ্টা যাবত হলের নিচের বেঞ্চ ও গেস্টরুমে বসিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়। “অবৈধ শিক্ষার্থী” এবং “শিবির সংশ্লিষ্টতার” অভিযোগ তুলে তাকে জোরপূর্বক ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় যে, তাকে খালি গায়ের ভিডিও ধারণ করে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে।
দুই শিক্ষার্থীই অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, চারুকলা সংসদ আয়োজিত ‘মাঘমল্লার’ অনুষ্ঠানে গভীর রাত পর্যন্ত শব্দদূষণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের ক্ষোভের দায় তাদের ওপর চাপানো হয়। তাদের হুমকি দেওয়া হয় যে ভবিষ্যতে ছাত্রদলের নির্দেশ না মানলে “চরম পরিণতি” ভোগ করতে হবে।
ভুক্তভোগীরা জানান, এই ঘটনার পর তারা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং হলে স্বাভাবিকভাবে বসবাস ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতাকর্মী সোহানুর রহমান সিফাত ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, “এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার তো কোনো প্রাসঙ্গিকতা নাই। হল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছে কিন্তু তারাও তো আমাদের এখনো কিছু জানাননি।”
অপর অভিযুক্ত ববি ছাত্রদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, “এবিষয়ে আমি প্রথম শুনলাম। এমন কোনো ঘটনার কথা জানি না। আমি কিংবা মিজান কেউ সেখানে ছিলাম না। তবে ছাত্রদলের অন্য কেউ ছিল কিনা সেটা জানি না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সাল (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, “এ বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে।”

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.