
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৮
ফরিদপুরের মধুখালীতে ছাগল চোরের হেদায়েতের জন্য চুরির দুই মাস পর মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন এক ছাগলের মালিক। চোরকে খুঁজে বের করা বা আইনি ব্যবস্থার চেষ্টা না করে চোরের হেদায়েতের জন্য গতকাল শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি।
চুরি যাওয়া ওই ছাগলের মালিকের নাম আলামিন জমাদ্দার ওরফে সবুজ (৩৬)। তিনি মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম জমাদ্দারের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা আলামিন জমাদ্দারের দুটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। এখনো ছাগল দুটি উদ্ধার হয়নি। তবে এ ব্যাপারে তিনি মধুখালী থানায় কোন অভিযোগ না করে নিজে চুরি যাওয়া ছাগল খোঁজাখুঁজি করেন। চুরি যাওয়া ছাগলের খোঁজ না পেয়ে আজ শুক্রবার তিনি চোরের হেদায়েতের জন্য মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে এলাকার আলামিন জমাদ্দার বাড়ির পাশের মসজিদে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ছাগল দুটি চুরির পর ছাগলের মালিক দুশ্চিন্তায় পড়লেও পরে তিনি ভিন্নধর্মী চিন্তা করেন।
তার বিশ্বাস, মানুষ কখনো অভাবে আবার কখনো লোভের কারণে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাই চোরের প্রতি শত্রুতা না করে বরং আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত, যাতে সে তার ভুল বুঝতে পারে এবং সঠিক পথে ফিরে আসে।
চোরের হেদায়েতের জন্য এ মিলাদ মাহফিল আয়োজন উপলক্ষে এলাকায় মাইকিং করে গ্রামবাসীকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, মাদরাসার শিক্ষার্থী ও অসংখ্য মুসল্লি অংশ নেন। পরে উপস্থিতিদের তোবারক হিসেবে তেহারি পরিবেশন করা হয়।
ছাগলের মালিক আলামিন জমাদ্দার বলেন, চোর হয়তো অভাবে কিংবা লোভের বশবর্তী হয়ে চুরির মতো অপরাধে জড়িয়েছে। আমি যদি তাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করি তবে আমার আর তার মধ্যে পার্থক্য থাকলো কোথায়। আমি চাই সে তার ভুল বুঝতে পেরে এই চুরির পথ থেকে ফিরে আসুক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মিয়া বলেন, আলামিন ঢাকায় নাটক করে। দুই মাস আগে তার ছাগল চুরি হয়েছিল। আজ কি মনে করে সে ছাগল চোরের হেদায়েতের জন্য মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করলো তা জানি না।
ফরিদপুরের মধুখালীতে ছাগল চোরের হেদায়েতের জন্য চুরির দুই মাস পর মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন এক ছাগলের মালিক। চোরকে খুঁজে বের করা বা আইনি ব্যবস্থার চেষ্টা না করে চোরের হেদায়েতের জন্য গতকাল শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি।
চুরি যাওয়া ওই ছাগলের মালিকের নাম আলামিন জমাদ্দার ওরফে সবুজ (৩৬)। তিনি মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম জমাদ্দারের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা আলামিন জমাদ্দারের দুটি ছাগল চুরি হয়ে যায়। এখনো ছাগল দুটি উদ্ধার হয়নি। তবে এ ব্যাপারে তিনি মধুখালী থানায় কোন অভিযোগ না করে নিজে চুরি যাওয়া ছাগল খোঁজাখুঁজি করেন। চুরি যাওয়া ছাগলের খোঁজ না পেয়ে আজ শুক্রবার তিনি চোরের হেদায়েতের জন্য মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।
শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে এলাকার আলামিন জমাদ্দার বাড়ির পাশের মসজিদে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ছাগল দুটি চুরির পর ছাগলের মালিক দুশ্চিন্তায় পড়লেও পরে তিনি ভিন্নধর্মী চিন্তা করেন।
তার বিশ্বাস, মানুষ কখনো অভাবে আবার কখনো লোভের কারণে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। তাই চোরের প্রতি শত্রুতা না করে বরং আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত, যাতে সে তার ভুল বুঝতে পারে এবং সঠিক পথে ফিরে আসে।
চোরের হেদায়েতের জন্য এ মিলাদ মাহফিল আয়োজন উপলক্ষে এলাকায় মাইকিং করে গ্রামবাসীকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, মাদরাসার শিক্ষার্থী ও অসংখ্য মুসল্লি অংশ নেন। পরে উপস্থিতিদের তোবারক হিসেবে তেহারি পরিবেশন করা হয়।
ছাগলের মালিক আলামিন জমাদ্দার বলেন, চোর হয়তো অভাবে কিংবা লোভের বশবর্তী হয়ে চুরির মতো অপরাধে জড়িয়েছে। আমি যদি তাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করি তবে আমার আর তার মধ্যে পার্থক্য থাকলো কোথায়। আমি চাই সে তার ভুল বুঝতে পেরে এই চুরির পথ থেকে ফিরে আসুক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মিয়া বলেন, আলামিন ঢাকায় নাটক করে। দুই মাস আগে তার ছাগল চুরি হয়েছিল। আজ কি মনে করে সে ছাগল চোরের হেদায়েতের জন্য মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করলো তা জানি না।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৭
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৫
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৯
দালালের খপ্পরে পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়া চার তরুণীকে আটক করার পর বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটার কেদার সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
এই চার তরুণী হলেন— পাবনা সদর থানার মালিগাছা গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার মেয়ের আঁখি খাতুন (২০), ব্রাহ্মনবাড়িয়ার মিরপুর থানার বাঞ্চারামপুর গ্রামের হাবিব মিয়ার মেয়ে আদিবা আকতার (২৩),নেত্রকোনার দূর্গাপুর থানার বাওয়ই পাড়ার নাছির উদ্দিনের মেয়ে শিরিনা আকতার (২৬), শরিয়তপুরের নড়িয়া থানার লুংসিং গ্রামের হিরু সরদারের মেয়ে তাসমিয়া আকতার (১৮)।
পতাকা বৈঠক এবং তরুণীদের হস্তান্তরের তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী।
এই চার তরুণী ঢাকার বাড্ডা থানার নুতুন বাজার এলাকায় একটি বাসায় ভারা থাকতেন। তাদের তিনজন একটি বিউটি পার্লারে এবং অপর একজন একটি তৈরি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন।
আঁখি আকতার জানান, তাদের পূর্বপরিচিত জান্নাত নামের এক নারীর প্রলোভনে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর সিলেটের জাফলং সীমান্ত পার হন। সীমান্তের ওপারে তাদের জন্য একটি প্রাইভেট কার অপেক্ষা করছিলো। সেই কারে উঠে তারা আসামের রাজধানী গুয়াহাটি পৌছান। ২৩ নভেম্বর পুলিশ তাদের আটক করে।
আঁখি বলেন, “আমরা উন্নত জীবন আর ভালো কাজ লোভে পড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলাম। আমরা ভুল করেছিলাম।”
পরে বুধবার (২৬ নভেম্বর) কচাকাটা সীমান্তের মেইন পিলার ১০১৫-এর কাছে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন হাবিলদার শাহজাহান আলী, আর বিএসএফের পক্ষ থেকে ছিলেন ইনস্পেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চার যুবতীকে বিজিবির জিম্মায় নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় তাদেরকে কচাকাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, “চারজন বাংলাদেশি নারী ভারতে আটক হওয়ার পর ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা কেদার বিওপির বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে তাদের ফেরত পাঠায়। পরে বিজিবি সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের থানায় হস্তান্তর করেছেন। আমরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বজনরা এসে নিয়ম মেনে জিম্মায় নিয়ে যাবেন।”
দালালের খপ্পরে পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়া চার তরুণীকে আটক করার পর বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটার কেদার সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
এই চার তরুণী হলেন— পাবনা সদর থানার মালিগাছা গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার মেয়ের আঁখি খাতুন (২০), ব্রাহ্মনবাড়িয়ার মিরপুর থানার বাঞ্চারামপুর গ্রামের হাবিব মিয়ার মেয়ে আদিবা আকতার (২৩),নেত্রকোনার দূর্গাপুর থানার বাওয়ই পাড়ার নাছির উদ্দিনের মেয়ে শিরিনা আকতার (২৬), শরিয়তপুরের নড়িয়া থানার লুংসিং গ্রামের হিরু সরদারের মেয়ে তাসমিয়া আকতার (১৮)।
পতাকা বৈঠক এবং তরুণীদের হস্তান্তরের তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী।
এই চার তরুণী ঢাকার বাড্ডা থানার নুতুন বাজার এলাকায় একটি বাসায় ভারা থাকতেন। তাদের তিনজন একটি বিউটি পার্লারে এবং অপর একজন একটি তৈরি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন।
আঁখি আকতার জানান, তাদের পূর্বপরিচিত জান্নাত নামের এক নারীর প্রলোভনে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর সিলেটের জাফলং সীমান্ত পার হন। সীমান্তের ওপারে তাদের জন্য একটি প্রাইভেট কার অপেক্ষা করছিলো। সেই কারে উঠে তারা আসামের রাজধানী গুয়াহাটি পৌছান। ২৩ নভেম্বর পুলিশ তাদের আটক করে।
আঁখি বলেন, “আমরা উন্নত জীবন আর ভালো কাজ লোভে পড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলাম। আমরা ভুল করেছিলাম।”
পরে বুধবার (২৬ নভেম্বর) কচাকাটা সীমান্তের মেইন পিলার ১০১৫-এর কাছে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন হাবিলদার শাহজাহান আলী, আর বিএসএফের পক্ষ থেকে ছিলেন ইনস্পেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চার যুবতীকে বিজিবির জিম্মায় নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় তাদেরকে কচাকাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, “চারজন বাংলাদেশি নারী ভারতে আটক হওয়ার পর ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা কেদার বিওপির বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে তাদের ফেরত পাঠায়। পরে বিজিবি সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের থানায় হস্তান্তর করেছেন। আমরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বজনরা এসে নিয়ম মেনে জিম্মায় নিয়ে যাবেন।”

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৫
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না করায় এবার ‘লাগাতার’ কর্মবিরতির শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে বার্ষিক পরীক্ষাও বর্জন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ লাগাতার এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির পাঁচজন আহ্বায়কের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আহ্বায়করা হলেন- মো. আবুল কাশেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি, মু. মাহবুবুর রহমান, মো. আনোয়ার উল্যা।
পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আজ থেকে আমাদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না করে শিক্ষকরা কেউ কাজে যোগ দেবেন না। আমরা মনে করি, এ আন্দোলন প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদার লড়াই। আমরা চাই, সরকার গত ১২ নভেম্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা দ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হোক।
দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। কিন্তু সরকার আপাতত আমাদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার আশ্বাস দিয়েছে৷ পরবর্তীতে তা দশম গ্রেডে উন্নীত করা হবে। এছাড়া পদোন্নতি ও স্কেল বিষয়ে আমাদের দুটি দাবি রয়েছে। সেগুলোও পূরণ করতেই হবে।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর থেকে তিনদিনের কর্মবিরতির ডাক দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’। তাদের ডাকা কর্মবিরতি চলছে। এর মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিলো।
এদিকে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। শিক্ষকদের এ কর্মবিরতিতে বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১ কোটি শিশুশিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। আর শিক্ষক রয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সম্প্রতি দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। আর সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেড পাচ্ছেন। এ নিয়ে অসন্তুষ্ট সহকারী শিক্ষকরা।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না করায় এবার ‘লাগাতার’ কর্মবিরতির শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে বার্ষিক পরীক্ষাও বর্জন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ লাগাতার এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির পাঁচজন আহ্বায়কের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আহ্বায়করা হলেন- মো. আবুল কাশেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি, মু. মাহবুবুর রহমান, মো. আনোয়ার উল্যা।
পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আজ থেকে আমাদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না করে শিক্ষকরা কেউ কাজে যোগ দেবেন না। আমরা মনে করি, এ আন্দোলন প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদার লড়াই। আমরা চাই, সরকার গত ১২ নভেম্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা দ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হোক।
দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। কিন্তু সরকার আপাতত আমাদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার আশ্বাস দিয়েছে৷ পরবর্তীতে তা দশম গ্রেডে উন্নীত করা হবে। এছাড়া পদোন্নতি ও স্কেল বিষয়ে আমাদের দুটি দাবি রয়েছে। সেগুলোও পূরণ করতেই হবে।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর থেকে তিনদিনের কর্মবিরতির ডাক দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’। তাদের ডাকা কর্মবিরতি চলছে। এর মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিলো।
এদিকে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। শিক্ষকদের এ কর্মবিরতিতে বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১ কোটি শিশুশিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। আর শিক্ষক রয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সম্প্রতি দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। আর সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেড পাচ্ছেন। এ নিয়ে অসন্তুষ্ট সহকারী শিক্ষকরা।

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৯
বছরের গ্রীষ্ম শুরু হলেই সাধারণত বাজারে কাঁচা আমের দেখা মেলে। তবে এবারে ব্যতিক্রম। শীতের শুরুতেই কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে কাঁচা আম। বাজারে নতুন মৌসুমি ফলের প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি আকর্ষণের কারণে দামও চড়া।
মানভেদে কাঁচা আমের কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত জুন মাসের শুরুতে টেকনাফে কাঁচা আম বাজারে আসে। কিন্তু এবার কয়েক মাস আগেই বাজারে আম পাওয়া যাচ্ছে। সরবরাহ কম ও আগাম মৌসুম হওয়ায় দামে কিছুটা বৃদ্ধি দেখা গেছে।
তাদের মতে, নতুন কোনো ফল বা পণ্য বাজারে এলে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি থাকে। কাঁচা আমের ক্ষেত্রেও তেমনটাই দেখা যাচ্ছে। চাহিদা বেশি থাকলেও সরবরাহ কম হওয়ায় দাম স্বাভাবিকভাবেই বেশি।
টেকনাফের আম ব্যবসায়ী আব্দুল মোনাফ বলেন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে আনা এসব আম আগাম জাতের।
বাড়তি দাম পাওয়ার আশায় আঁটি হওয়ার আগেই আম পাড়ছেন চাষিরা। তিনি বলেন, বৈশাখের পর সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) টেকনাফ পৌরসভার বাজারে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা কাঁচা আম কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। দরদাম করলে কিছু দোকানে ৪৫০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা আম বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এখন যে আম বাজারে আছে, তা সবার জন্য নয়। এক শ্রেণির ক্রেতা শখ করে কিনছেন। বেশির ভাগই মেয়েদের জন্য নিচ্ছেন কেউ স্ত্রী, কেউ বোন বা বান্ধবীর জন্য। এখন বাজারে যে আম এসেছে তা বিশেষভাবে কাঁচা বিক্রির জন্যই চাষ করা হয়েছে। শিগগিরই সব ধরনের কাঁচা আম আসবে এবং দামও কমবে।’
ক্রেতা আব্দুল রায়হান শখ করে আম কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এত আগে কাঁচা আম দেখে অবাক হয়েছি, তাই ছবি তুলে স্ত্রীকে পাঠালাম। সঙ্গে সঙ্গে সে বলল, দাম যা-ই হোক নিয়ে আসতে। আসলে মেয়েদের আমের প্রতি আকর্ষণ একটু আলাদা।’
তবে সবার পক্ষে এখন এই দাম বহন করা সম্ভব নয়। এনজিওকর্মী রাফিয়া সোলতানা মিম বলেন, ‘আগাম আম দেখে ভালো লাগল। কিন্তু দাম এত বেশি যে এখন কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। যাদের সামর্থ্য আছে তারাই কিনছে। কয়েক দিন পর দাম কমলে খাব।’
কৃষিবিদদের মতে, দেশের মধ্যে টেকনাফই একমাত্র এলাকা যেখানে বিশেষ আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে আগাম আম আসে। তারা জানান, টেকনাফের কয়েকটি গ্রামে এমন জলবায়ু আছে, যা শীতের শুরুতেই আম আসতে সহায়তা করে। তাদের গবেষণায় দেখা যায়, একই জাতের বীজ গাজীপুরে রোপণ করার পরও একই ফলন পাওয়া যায়নি। গাজীপুরে আম স্বাভাবিক মৌসুমেই ধরেছে, তবে টেকনাফে এসেছে আগাম।
টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, ‘দুই বছর আগে আগাম আম ফলন নিয়ে গবেষণা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, টেকনাফের কিছু এলাকার আবহাওয়ার কারণেই আম আগেভাগে ফল দিতে পারে। অন্যত্র একই ফলন পাওয়া যায় না।’
আগাম কাঁচা আমের আগমনে টেকনাফের বাজারে এখন উৎসবের আমেজ, তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতাই অপেক্ষায় রয়েছেন সরবরাহ বাড়লেই তারা উপভোগ করবেন মৌসুমের প্রথম আমের স্বাদ।
বছরের গ্রীষ্ম শুরু হলেই সাধারণত বাজারে কাঁচা আমের দেখা মেলে। তবে এবারে ব্যতিক্রম। শীতের শুরুতেই কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে কাঁচা আম। বাজারে নতুন মৌসুমি ফলের প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি আকর্ষণের কারণে দামও চড়া।
মানভেদে কাঁচা আমের কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত জুন মাসের শুরুতে টেকনাফে কাঁচা আম বাজারে আসে। কিন্তু এবার কয়েক মাস আগেই বাজারে আম পাওয়া যাচ্ছে। সরবরাহ কম ও আগাম মৌসুম হওয়ায় দামে কিছুটা বৃদ্ধি দেখা গেছে।
তাদের মতে, নতুন কোনো ফল বা পণ্য বাজারে এলে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি থাকে। কাঁচা আমের ক্ষেত্রেও তেমনটাই দেখা যাচ্ছে। চাহিদা বেশি থাকলেও সরবরাহ কম হওয়ায় দাম স্বাভাবিকভাবেই বেশি।
টেকনাফের আম ব্যবসায়ী আব্দুল মোনাফ বলেন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে আনা এসব আম আগাম জাতের।
বাড়তি দাম পাওয়ার আশায় আঁটি হওয়ার আগেই আম পাড়ছেন চাষিরা। তিনি বলেন, বৈশাখের পর সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) টেকনাফ পৌরসভার বাজারে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা কাঁচা আম কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। দরদাম করলে কিছু দোকানে ৪৫০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা আম বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এখন যে আম বাজারে আছে, তা সবার জন্য নয়। এক শ্রেণির ক্রেতা শখ করে কিনছেন। বেশির ভাগই মেয়েদের জন্য নিচ্ছেন কেউ স্ত্রী, কেউ বোন বা বান্ধবীর জন্য। এখন বাজারে যে আম এসেছে তা বিশেষভাবে কাঁচা বিক্রির জন্যই চাষ করা হয়েছে। শিগগিরই সব ধরনের কাঁচা আম আসবে এবং দামও কমবে।’
ক্রেতা আব্দুল রায়হান শখ করে আম কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এত আগে কাঁচা আম দেখে অবাক হয়েছি, তাই ছবি তুলে স্ত্রীকে পাঠালাম। সঙ্গে সঙ্গে সে বলল, দাম যা-ই হোক নিয়ে আসতে। আসলে মেয়েদের আমের প্রতি আকর্ষণ একটু আলাদা।’
তবে সবার পক্ষে এখন এই দাম বহন করা সম্ভব নয়। এনজিওকর্মী রাফিয়া সোলতানা মিম বলেন, ‘আগাম আম দেখে ভালো লাগল। কিন্তু দাম এত বেশি যে এখন কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। যাদের সামর্থ্য আছে তারাই কিনছে। কয়েক দিন পর দাম কমলে খাব।’
কৃষিবিদদের মতে, দেশের মধ্যে টেকনাফই একমাত্র এলাকা যেখানে বিশেষ আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে আগাম আম আসে। তারা জানান, টেকনাফের কয়েকটি গ্রামে এমন জলবায়ু আছে, যা শীতের শুরুতেই আম আসতে সহায়তা করে। তাদের গবেষণায় দেখা যায়, একই জাতের বীজ গাজীপুরে রোপণ করার পরও একই ফলন পাওয়া যায়নি। গাজীপুরে আম স্বাভাবিক মৌসুমেই ধরেছে, তবে টেকনাফে এসেছে আগাম।
টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, ‘দুই বছর আগে আগাম আম ফলন নিয়ে গবেষণা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, টেকনাফের কিছু এলাকার আবহাওয়ার কারণেই আম আগেভাগে ফল দিতে পারে। অন্যত্র একই ফলন পাওয়া যায় না।’
আগাম কাঁচা আমের আগমনে টেকনাফের বাজারে এখন উৎসবের আমেজ, তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতাই অপেক্ষায় রয়েছেন সরবরাহ বাড়লেই তারা উপভোগ করবেন মৌসুমের প্রথম আমের স্বাদ।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.