
১১ জুন, ২০২৫ ১৬:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ঈদের পঞ্চম দিনেও ঢাকামুখী যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ নেই। রাজশাহী ছাড়া সব রুটের ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ঢাকা আসছে। ফলে প্রতিবছরের বিড়ম্বনার ঈদযাত্রায় এবার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ স্বস্তিতেই কর্মস্থলে ফিরতে পারছে। এদিকে ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় এখনো অনেকেই গ্রামেও যাচ্ছেন।
বুধবার (১১ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, এগারসিন্ধু এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, পর্যটন এক্সপ্রেসসহ প্রায় ১৫টি ট্রেন। এসব ট্রেনে বিগত সময়ের মতো যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়নি। প্রায় সব ট্রেনেই নির্ধারিত সময়ে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ছাড়াই ঢাকা এসে পৌঁছেছে।
এদিকে রাজশাহী থেকে খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা সাগরদাঁড়ি ট্রেন ও ঢাকাগামী মধুমতি, বনলতা, সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস অবরোধের মুখে প্রায় আড়াই ঘণ্টা থেমে থাকে। ফলে সারাদেশের সঙ্গে রাজশাহীর ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ। তবে এ ঘটনায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ঢাকা রেলওয়ে।
দেখা গেছে, আজ সকাল থেকে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে রংপুর এক্সপ্রেস, নারায়ণগঞ্জ কমিউটার, তিস্তা ঈদ স্পেশাল, তিস্তা কমিউটারসহ বেশ কিছু ট্রেন। ঈদ শেষ করে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের পাশাপাশি গ্রামেও যাচ্ছেন অনেকেই। পরিবার পরিজন নিয়ে যারা ঈদের ছুটি পাননি তারা এখন গ্রামের উদ্দেশ্য পাড়ি জমাচ্ছেন। অনেকে আবার জরুরি কাজেও ঢাকা ছাড়ছেন।
সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুরে পৌঁছানো জাহানাবাদ এক্সপ্রেসের যাত্রী মীর মো. আমিনুল বলেন, আসতে কোনো সমস্যা নেই। প্রতিবছর তো দেখি মাথার কাছে দশজন স্টান্ডিং টিকেটে দাঁড়িয়ে থাকে। এবার এমন সমস্যা হয়নি। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ একটা ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। এ কারণেই ছুটি শেষ হওয়ার আগেই স্ত্রী এবং সন্তানসহ ঢাকায় চলে এসেছি।
একই ট্রেনের আরেক যাত্রী মিজানুর রহমান বলেন, আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছেড়েছিল। প্রতিবারই তো ভোগান্তি হয়। এবার ভোগান্তি নেই বললেই চলে। তবে শুক্রবার এবং শনিবার মনে হয় সবাই ঢাকায় আসবে। সরকারি অফিস আদালত খুলেনি বলেই চাপ কিছুটা কম।
সকাল ১০ টায় জামালপুরগামী ট্রেন জামালপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী ফজলে রাব্বী বলেন, আমি একটি বেসরকারি আইটি ফার্মে কাজ করি। ঈদে ছুটি পাইনি বলে গ্রামে যেতে পারিনি। ঈদে সহকর্মীরা ছুটি শেষ করে ঢাকায় আসায় আজ থেকে ছুটি পেলাম। স্ত্রী সন্তানরা গ্রামেই আছে। আমি এখন ওদের সঙ্গে যোগ দেব। প্রতি বছর সবাই একসঙ্গে হওয়ার আনন্দই আলাদা।
এদিকে ঈদ যাত্রা নিয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নেই। সবকিছু ভালোভাবেই চলছে। শুধু রাজশাহী রুটের তিনটি ট্রেনে আন্দোলনের কারণে বিলম্ব হয়েছে। বাকি সব রুটেই ট্রেন যথাসময়ে এসেছে। রাজশাহীর ট্রেনে যে সমস্যা হয়েছিল সেটাও সমাধান হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সকাল থেকে ঢাকায় ১৫টি ট্রেন এসেছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে গেছে ১০টি ট্রেন। রাজশাহী থেকে যে ট্রেন কিছুটা বিলম্ব হয়েছে সেটা ঢাকা থেকে নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাবে।
সাজেদুল ইসলাম বলেন, ঈদ ফেরত যাত্রায় যাত্রীর চাপ কম এখনো। শেষের দিকে চাপ দেখা দিতে পারে। তবে শুক্র ও শনিবার চাপ বাড়তে পারে। মাস্ক পরা শুরু করা হয়েছে। আমরা যাত্রীদের সচেতন করছি। সবাইকে মাস্ক পরে ট্রেনে যাত্রা করার অনুরোধ করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ঈদের পঞ্চম দিনেও ঢাকামুখী যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ নেই। রাজশাহী ছাড়া সব রুটের ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ঢাকা আসছে। ফলে প্রতিবছরের বিড়ম্বনার ঈদযাত্রায় এবার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ স্বস্তিতেই কর্মস্থলে ফিরতে পারছে। এদিকে ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় এখনো অনেকেই গ্রামেও যাচ্ছেন।
বুধবার (১১ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, এগারসিন্ধু এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, পর্যটন এক্সপ্রেসসহ প্রায় ১৫টি ট্রেন। এসব ট্রেনে বিগত সময়ের মতো যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়নি। প্রায় সব ট্রেনেই নির্ধারিত সময়ে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ ছাড়াই ঢাকা এসে পৌঁছেছে।
এদিকে রাজশাহী থেকে খুলনা অভিমুখে ছেড়ে আসা সাগরদাঁড়ি ট্রেন ও ঢাকাগামী মধুমতি, বনলতা, সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস অবরোধের মুখে প্রায় আড়াই ঘণ্টা থেমে থাকে। ফলে সারাদেশের সঙ্গে রাজশাহীর ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ। তবে এ ঘটনায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ঢাকা রেলওয়ে।
দেখা গেছে, আজ সকাল থেকে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে রংপুর এক্সপ্রেস, নারায়ণগঞ্জ কমিউটার, তিস্তা ঈদ স্পেশাল, তিস্তা কমিউটারসহ বেশ কিছু ট্রেন। ঈদ শেষ করে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের পাশাপাশি গ্রামেও যাচ্ছেন অনেকেই। পরিবার পরিজন নিয়ে যারা ঈদের ছুটি পাননি তারা এখন গ্রামের উদ্দেশ্য পাড়ি জমাচ্ছেন। অনেকে আবার জরুরি কাজেও ঢাকা ছাড়ছেন।
সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুরে পৌঁছানো জাহানাবাদ এক্সপ্রেসের যাত্রী মীর মো. আমিনুল বলেন, আসতে কোনো সমস্যা নেই। প্রতিবছর তো দেখি মাথার কাছে দশজন স্টান্ডিং টিকেটে দাঁড়িয়ে থাকে। এবার এমন সমস্যা হয়নি। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ একটা ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। এ কারণেই ছুটি শেষ হওয়ার আগেই স্ত্রী এবং সন্তানসহ ঢাকায় চলে এসেছি।
একই ট্রেনের আরেক যাত্রী মিজানুর রহমান বলেন, আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছেড়েছিল। প্রতিবারই তো ভোগান্তি হয়। এবার ভোগান্তি নেই বললেই চলে। তবে শুক্রবার এবং শনিবার মনে হয় সবাই ঢাকায় আসবে। সরকারি অফিস আদালত খুলেনি বলেই চাপ কিছুটা কম।
সকাল ১০ টায় জামালপুরগামী ট্রেন জামালপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী ফজলে রাব্বী বলেন, আমি একটি বেসরকারি আইটি ফার্মে কাজ করি। ঈদে ছুটি পাইনি বলে গ্রামে যেতে পারিনি। ঈদে সহকর্মীরা ছুটি শেষ করে ঢাকায় আসায় আজ থেকে ছুটি পেলাম। স্ত্রী সন্তানরা গ্রামেই আছে। আমি এখন ওদের সঙ্গে যোগ দেব। প্রতি বছর সবাই একসঙ্গে হওয়ার আনন্দই আলাদা।
এদিকে ঈদ যাত্রা নিয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, কোনো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নেই। সবকিছু ভালোভাবেই চলছে। শুধু রাজশাহী রুটের তিনটি ট্রেনে আন্দোলনের কারণে বিলম্ব হয়েছে। বাকি সব রুটেই ট্রেন যথাসময়ে এসেছে। রাজশাহীর ট্রেনে যে সমস্যা হয়েছিল সেটাও সমাধান হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সকাল থেকে ঢাকায় ১৫টি ট্রেন এসেছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে গেছে ১০টি ট্রেন। রাজশাহী থেকে যে ট্রেন কিছুটা বিলম্ব হয়েছে সেটা ঢাকা থেকে নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাবে।
সাজেদুল ইসলাম বলেন, ঈদ ফেরত যাত্রায় যাত্রীর চাপ কম এখনো। শেষের দিকে চাপ দেখা দিতে পারে। তবে শুক্র ও শনিবার চাপ বাড়তে পারে। মাস্ক পরা শুরু করা হয়েছে। আমরা যাত্রীদের সচেতন করছি। সবাইকে মাস্ক পরে ট্রেনে যাত্রা করার অনুরোধ করা হয়েছে।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৯
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত হয়েছেন, সেহেতু তার বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আমরাও তার আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।
শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে ধারণা করা হয়। তাকে আগেও হাদির সঙ্গে দেখা গেছে।
তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে তিনি সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি।
গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, ফয়সাল করিম নামের ওই তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন।
এদিকে, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। মোটরসাইকেলটির মালিক সন্দেহে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) আব্দুল হান্নান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। তিনি জাতীয় সংসদের ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেদিন রাত থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হাদির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে থাকা শরিফ ওসমান হাদির সার্বিক পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।’
এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত হয়েছেন, সেহেতু তার বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আমরাও তার আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।
শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে ধারণা করা হয়। তাকে আগেও হাদির সঙ্গে দেখা গেছে।
তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে তিনি সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনো তথ্য মেলেনি।
গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, ফয়সাল করিম নামের ওই তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন।
এদিকে, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। মোটরসাইকেলটির মালিক সন্দেহে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) আব্দুল হান্নান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। তিনি জাতীয় সংসদের ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। সেদিন রাত থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হাদির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে থাকা শরিফ ওসমান হাদির সার্বিক পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।’

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও তার সহযোগী বাইকচালক আলমগীর হোসেন বর্তমানে আসামের গুয়াহাটিতে অবস্থান করছেন বলে দাবি করেছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেন।
পোস্টে সায়ের বলেন, তারা ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
জুলকারনাইনের দাবি, ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।
হাদির ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে- অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি হিট টিমের একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
সায়ের বলেন, এদিকে মূল শ্যুটার ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় তিনি কেবল একটি গুলি করতে সক্ষম হন। তার পরিকল্পনা ছিল চারটি গুলি করার।
সায়েরের পোস্ট অনুযায়ী, সূত্র দাবি করেছে ফয়সালের মতোই আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাজ্জাদ, যাকে গত ১৩ মে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায়।
তবে ২৯ জুলাই সাজ্জাদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন।
সাংবাদিক সায়ের বলেন, অনতিবিলম্বে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের যে সব অস্ত্রধারী ক্যাডারকে বিভিন্ন মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যকের বর্তমান অবস্থান যাচাই ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া জরুরি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও তার সহযোগী বাইকচালক আলমগীর হোসেন বর্তমানে আসামের গুয়াহাটিতে অবস্থান করছেন বলে দাবি করেছেন আল-জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেন।
পোস্টে সায়ের বলেন, তারা ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বর্তমান অবস্থান আসামের গুয়াহাটি শহরে।
জুলকারনাইনের দাবি, ভারতে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। বিপ্লবের তত্বাবধানে এই হত্যাকারীরা ভারতে অবস্থান করছে।
হাদির ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে- অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি হিট টিমের একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা রয়েছে।
সায়ের বলেন, এদিকে মূল শ্যুটার ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, ব্যবহৃত অস্ত্রটি জ্যাম হয়ে যাওয়ায় তিনি কেবল একটি গুলি করতে সক্ষম হন। তার পরিকল্পনা ছিল চারটি গুলি করার।
সায়েরের পোস্ট অনুযায়ী, সূত্র দাবি করেছে ফয়সালের মতোই আরেক অস্ত্রধারী ক্যাডার চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাজ্জাদ, যাকে গত ১৩ মে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায়।
তবে ২৯ জুলাই সাজ্জাদ সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হন।
সাংবাদিক সায়ের বলেন, অনতিবিলম্বে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের যে সব অস্ত্রধারী ক্যাডারকে বিভিন্ন মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যকের বর্তমান অবস্থান যাচাই ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া জরুরি।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৭
রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় হামলার এই ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক দৌড়ে এসে এক সাংবাদিককের হাত ধরে ঘুরিয়ে ফেলে দেন। পরে ওই যুবক দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
পরে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারী যুবক এবং হামলার শিকার সাংবাদিকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৭টায় রাষ্ট্রপতি মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় হামলার এই ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক দৌড়ে এসে এক সাংবাদিককের হাত ধরে ঘুরিয়ে ফেলে দেন। পরে ওই যুবক দৌড়ে পালানোর সময় পুলিশ তাকে আটক করে।
পরে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারী যুবক এবং হামলার শিকার সাংবাদিকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ৭টায় রাষ্ট্রপতি মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.