dreamliferupatolibarisal

সারাদেশ

সড়কের মাঝখানে গাছ রেখেই ঢালাই সম্পন্ন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৫ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৫৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

সড়কের মাঝখানে গাছ রেখেই ঢালাই সম্পন্ন

সিলেটের গোয়াইনঘাটে সড়কের মধ্যে তিনটি গাছ রেখেই সিসি ঢালাই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত সড়কের মধ্য থেকে গাছগুলো কেটে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নের হাদারপার থেকে দমদমিয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিভাগের বাস্তবায়নে ভোলাগঞ্জ আরএইচডি দয়ারবাজার ভাটরাই হাদারপার জিসি সড়কে দমদমিয়া লামার বাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। এতে এলাকাবাসীর ক্ষোভ ও সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সিলেটে আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের কাজ হিসেবে ভোলাগঞ্জ (আরএইচডি) দয়ারবাজার ভাটরাই হাদারপার জিসি সড়কে হাদারপার টু দমদমীয়া পর্যন্ত ৭টি কালভার্ট নির্মাণ ও সাড়ে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক প্রশস্ত করা ও আরসিসি ঢালাই কাজ শুরু হয়েছে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর। এটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৬ সালের ২৮ জুনের মধ্যে।

এ কাজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৮১ টাকা। চুক্তি মূল্য সড়কের কাজ পায় এসএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড এমএস কামরুল অ্যান্ড ব্রাদার্স (এন) নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

তবে কাজটির বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছেন রবিউল হাসান নামে একজন ঠিকাদার। কাজের এক পর্যায়ে এসে দমদমিয়া লামার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে ১৬ ফুট সড়কের ৫-৬ ফুট মাঝখানে বড় বড় তিনটি রেন্টি কড়ই গাছ রেখেই সিসি ঢালাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা আলা উদ্দিন জানান, সড়কের মাঝখানে গাছ রেখে ঢালাই—এমন কাজ কখনো দেখিনি। এই গাছগুলো রেখেই ঢালাই দেওয়ায় নতুন করে দুর্ভোগ পোহাতে হবে হাজার হাজার পথচারীর। এসব গাছের কারণে সড়কটি সরু হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এই গাছগুলো কেটে সড়কের গুণগত মান ঠিক রেখে আরসিসি ঢালাই দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, সড়কের মধ্যে তিনটি গাছ রেখেই ঢালাই দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সড়কের পাশে ২০ থেকে ২৫টি গাছের শিকড় কেটে ও গাছের অর্ধেক অংশ রেখে আরসিসি ঢালাই কাজ করা হয়েছে। এতে বৈরী আবহাওয়া বা ঘূর্ণিঝড় এলে সেসব গাছ ভেঙে দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। জনস্বার্থে সড়ক থেকে দ্রুত এই গাছ কেটে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

এ বিষয়ে ঠিকাদার রবিউল হাসান বলেন, কাজের শুরুতেই এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আমিও চেষ্টা করেছি গাছগুলো কাটার জন্য। রাস্তার স্বার্থে জনগণের স্বার্থে এ তিনটি গাছ কাটা প্রয়োজন। ইউএনও আছে, পরিবেশের ব্যাপার আছে, উনারা যদি দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নিয়ে গাছগুলা কাটিয়ে দেয় তাহলে কাজটা সঠিক ও সুন্দরভাবে করা যাবে।

তিনি বলেন, আজ যে সিসি ঢালাই হয়েছে মূলত মিস্ত্রিদের ভুল বোঝাবুঝিতে ঢালাইটা হয়েছে। তবে ঢালাইটা সরাইয়া ফেলা হয়েছে যাতে পরে গাছ কাটলে কোনো সমস্যা না হয়। সড়কের মধ্যে গাছ থাকায় সড়কের কাজে বিঘ্ন হচ্ছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) হাসিব আহামেদ বলেন, কাজের শুরু থেকেই গাছ ইউএনও স্যারকে বলতেছি সরেজমিন একদিন চলেন গাছ কাটতে হবে। মিটিংয়ে আলোচনা করেছি এবং গাছ কাটার সিদ্ধান্তও হয়েছে। কিন্তু গাছ কাটতে হলে ফরেস্টের স্টিমেট লাগবে। কিন্তু এগুলো কোন প্রজাতির গাছ, মূল্য কত এটা নির্ধারণ করবে বন অধিদপ্তর। বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার ও বিট অফিসার কেউ মিটিংয়ে আসে না।

তিনি আরও বলেন, ফরেস্ট অফিস তো আমার কথা শুনবে না। ইউএনও স্যারকে বলেছি তিনি চিঠিও দেননি। এমনকি পদক্ষেপ নেননি। তা ছাড়া ওই জায়গার আগে এবং পরে আরসিসি ঢালাই হয়েছে। শুধু এই জায়গাটায় সিসি করা হয়েছে, আরসিসি এখন হবে না। এখনো এ অবস্থায় গাছ কাটা যাবে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে এসেছে। অনেকেই অবগত করেছেন। এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় কথাকাটাকাটির জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে সরোয়ার আলম (২৫) নামে এ যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত সরোয়ার আলম কক্সবাজার পৌরসভার লাইট হাউজ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক এক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সরোয়ারের সাথে তার ফুফাতো ভাই রায়হানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে সরোয়ারের বুকে আঘাত করে।

পরে গুরুতর অবস্থায় সরোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন।

প্রতিবেশী মো. আলম বলেন, শান্ত-ভদ্র স্বভাবের সরোয়ার ছিল সবার প্রিয়। ওর উপার্জনে পরিবারটা চলতো। শুধু এক মুহূর্তের রাগে রায়হান ওকে মেরে ফেলল। এটা আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত সরোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় আব্দুল কাদের (৫৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাইকান কুঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী কিশোরী শুক্রবার নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।

তবে বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক আব্দুল কাদের কিশোরীটির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি কাবিননামা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে শিক্ষক আব্দুল কাদের ওই কিশোরীকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখেন ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।

গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবু হানিফ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।

খানাখন্দে ভরা পিরোজপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, দুর্ভোগে হাজারো যাত্রী

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

খানাখন্দে ভরা পিরোজপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, দুর্ভোগে হাজারো যাত্রী

খানাখন্দ, কাদা-পানি আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় পুরো টার্মিনাল, ডুবে যায় বড় বড় গর্ত।

প্রতিদিনই বাস, রিকশা, অটোরিকশা থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে এই গর্তে। যাত্রীদের নামতে হচ্ছে কাদা-পানিতে, অনেক সময় পড়তে হচ্ছে আহত হওয়ার ঝুঁকিতেও। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক এবং চালকরা।

‎২০০৬ সালে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে মাছিমপুর এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ টার্মিনাল নির্মাণ করে। তখন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে পড়ে অপ্রতুল।

প্রতিদিন প্রায় ১৪টি রুটে ৬ শতাধিকের বেশি বাস ও মিনিবাস এখান থেকে ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। কিন্তু ধারণক্ষমতার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে টার্মিনালে।

‎বাস রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার দুই পাশে সারি সারি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে, এতে যানজট ও চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে নতুন নতুন বাস চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অযাচিত চাপ পড়ছে টার্মিনালের ওপর।

‎সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্মিনালে ঢোকার মুখেই রয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথায় গর্ত তা বোঝা যায় না। এতে প্রায়ই বাস আটকে যায়। ছোট যানবাহন যেমন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ছে বিপদে। যাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে কেউ নামতে গিয়ে কাদা-পানিতে ভিজে যাচ্ছেন, আবার কেউ খানাখন্দে পড়ে আহত হচ্ছেন।

‎স্থানীয় যাত্রী সজল শেখ বলেন, পিরোজপুরের বাইরে কোথাও যেতে গেলে এই টার্মিনালে আসতে হয়, কিন্তু অবস্থা এত খারাপ যে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় বাস থেকে নামলেই কাদা-পানিতে নেমে যেতে হয়। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।

‎বাসচালক আবুল হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলা বাস টার্মিনাল এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে বাস রাখার ব্যবস্থা নেই, গর্তে পড়লে ক্রেন দিয়ে বা অন্য বাস দিয়ে টেনে তুলতে হয়। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের টার্মিনালটি ঠিক করে দেওয়া হোক, না হলে এখানে আর বাস রাখা যাবে না।

‎শ্রমিক মাহাতাব আলী বলেন, এই টার্মিনালে বাস নিয়ে ঢুকতে এবং বের হতে গেলে প্রায়ই বাসের বিভিন্ন সমস্যা হয়। চাকার ক্ষতি হয়, নিচের পাতির ক্ষতি হয়, ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় এগুলো আবার মেরামত করতে অনেক সময় লাগে। ফলে বাস বন্ধ হয়ে গেলে ইনকামও বন্ধ হয়ে যায়।

‎পরিবহন মালিক আব্দুস সালাম খান বলেন, টার্মিনাল দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মালিক, যাত্রী ও চালকদের জন্য এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই দ্রুতই এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।

‎১৯ বছর আগে নির্মিত হলেও এ টার্মিনালে এখনো কোনো বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। ফলে এখন এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের একটাই দাবি—দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হোক পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত হয়।

‎তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া শুধু খানাখন্দ মেরামত করে সমস্যার সমাধান হবে না। টার্মিনালটিকে আধুনিকায়ন, বাস পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জোন তৈরি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অতিরিক্ত বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প হিসেবে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা দরকার। নইলে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়বে।

‎পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছি, বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। বর্ষাকালে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পানি পেরিয়ে সড়কে ওঠে। আমরা পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি গর্তগুলো ভরাট করার জন্য। আশা করছি, দ্রুতই কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করবে।

‎এ বিষয়ে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, আমরা এ বিষয়ে গত বছরে খুব স্বল্প পরিসরে কিছুটা মেরামত করেছি। পাশাপাশি কয়েকটি প্রজেক্টের জন্য স্কিম প্রেরন করেছি। আশা করি, বরাদ্দ পেলে দ্রুতই এটি মেরামতের কাজ করা হবে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.