২৮ জুলাই, ২০২৫ ১৮:১৩
পিতৃহারা ভাতিজিদের মারধর করাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা
বরিশাল বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির বিরুদ্ধে এবার আপন ভাতিজির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই দখলসন্ত্রাসে তিনি ব্যর্থ হয়ে পিতৃহারা ত্রিশোর্ধ্ব সুরমা আক্তারসহ স্বজনদের মারধর করা এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। এবং সর্বশেষ বরিশাল সদর রোডস্থ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়ার চেষ্টাসহ ভাড়াটিয়াদের হুমকি-ধামকি দেন, দিচ্ছেন। নির্দয় বিএনপির নেতার সন্ত্রাসে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ভাইয়ের মেয়েরা সোমবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অবশ্য এর আগে বিএনপি নেতা মন্টির বিরুদ্ধে ভাতিজি সুরমা আদালতে একটি নালিশি করেছেন।
আলোচিত সাগর উদ্দিন মন্টি বরিশাল মহানগর বিএনপির ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থ্যানে আওয়ামী লীগ শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটলে তিনি ক্ষমতার ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে তিনি
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ গোলাম মাসউদ বাবলুকে মারধরসহ অপহরণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলেও বিষয়টি তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করে। এবং
ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে মানববন্ধন হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মন্টিকে দল থেকে বহিস্কার করতে বাধ্য হয় বরিশাল মহানগর বিএনপি।
সেই বিতর্কিত বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এবার আপন বড় ভাইয়ের মেয়েদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল এবং তাদের মারধরের ঘটনা খোদ সংবাদকর্মীদের হতবাক করে দিয়েছে। সোমবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভাতিজিদের একজন সুরমা আক্তার মিডিয়াকর্মীদের কাছে ছোট চাচার কুকীর্তি তুলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পৈত্রিক সূত্রেপ্রাপ্ত ১ শতাংশ ভূমিতে যমুনা ব্যাকের শাখাসহ একটি ‘জুস বার’ রয়েছে, যা থেকে উপার্জিত অর্থ দুই বোন ভাগাভাগি করে নেন। এবং এ থেকে একটি অংশ ফরায়েজ আইন মোতাবেক ছোট চাচা বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টিও পেয়ে থাকেন। আরও তিন ফুফুর ছেলেসন্তান না থাকায় তারাও মন্টিকে ফরায়েজ দিয়ে যাচ্ছেন। প্রত্যাশিত টাকা নেওয়ার পরেও তিনি প্রতিমাসে ভাড়াটিয়াদের গালিগালাস করাসহ ভাইয়ের মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে আসছেন।
অভিযোগ আছে, বিএনপি নেতার নির্যাতনে ওষ্ঠাগত হয়ে বছর দুয়েক পূর্বে তার বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা করতে বাধ্য হন ভাইয়ের মেয়ে সুরমা আক্তার। তখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে মন্টি কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে আত্মীয়-স্বজনদের হাতে-পায়ে ধরে ভাতিজিকে ম্যানেজ করেন। এবং আগামীতে কোনো প্রকার হয়রানি বা চাঁদাবাজি করবেন না মুচলেকা দিলে চাচাকে ক্ষমা করে দিয়ে মামলাটি তুলে নেন সুরমা।
সুরমা আক্তারের অভিযোগ, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে চাচা সাগর উদ্দিন মন্টি ফের চোখ রাঙানো শুরু করেন এবং তাদের দুই বোনকে ভয়ভীতি দেখানোসহ ভাড়াটিয়া অভিজিৎ দত্তের কাছে প্রায় সময়ই অর্থ দাবি করেন। প্রথম প্রথম তার চাহিদা ১০ হাজার, ২০ হাজার থাকলেও এখন জুসবারের পুরো ভাড়া কব্জা করতে চাইছেন। এনিয়ে গত ২৬ জুলাই দোকান মালিক অভিজিৎ দত্তের সাথে তর্কে জড়িয়ে তাকে হেনস্থাও করেন। খবর পেয়ে সুরমা আক্তার ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকেও গালাগালি করাসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টি। এই তথ্যের সত্যতা জুসবার মালিক অভিজিৎ দত্ত বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
সুরমা আক্তারের ওই সংবাদ সম্মেলেন তার মৃত চাচা কবির উদ্দিনের স্ত্রী মহসিনা কবিরও উপস্থিত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ছেলেসন্তান না থাকায় মন্টিকে তিনিও আইন মোতাবেক ফরায়েজ দিচ্ছেন। কিন্তু এতেও মন্টি তুষ্ট নন, প্রতিনিয়ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঝামেলা করছেন এবং তাদের হুমকি-ধামকি দেন।
বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির সন্ত্রাস থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলনের আগে সেমাবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল আদালতে একটি নালিশি করেন ভাতিজি সুরমা আক্তার। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক নালিশি অভিযোগটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পিতৃহারা ভাতিজিদের মারধর এবং হয়রানি করার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিতর্কিত মন্টি সোমবারও সদর রোডের বাসায় অবস্থান করেন। এবং তার বিরুদ্ধে ভাতিজিদের করা সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সংবাদ সম্মেলনের তার বিরুদ্ধে আনীত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে সাংবাদিকেরা তাকে প্রশ্ন করতে পারেন এমনটা ভেবেই তিনি কারও ফোন ধরছেন না।’
তবে দলের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আত্মীয়-স্বজনদের হয়রানি করাসহ কোনো প্রকার অবৈধ কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার। এই বিএনপি নেতা জানান, বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে তাকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষান্তে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এরপরে বিএনপির নাম ব্যবহার করে তার কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। যদি এরপরেও করে থাকে এর প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’
পিতৃহারা ভাতিজিদের মারধর করাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা
বরিশাল বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির বিরুদ্ধে এবার আপন ভাতিজির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই দখলসন্ত্রাসে তিনি ব্যর্থ হয়ে পিতৃহারা ত্রিশোর্ধ্ব সুরমা আক্তারসহ স্বজনদের মারধর করা এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। এবং সর্বশেষ বরিশাল সদর রোডস্থ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়ার চেষ্টাসহ ভাড়াটিয়াদের হুমকি-ধামকি দেন, দিচ্ছেন। নির্দয় বিএনপির নেতার সন্ত্রাসে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ভাইয়ের মেয়েরা সোমবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অবশ্য এর আগে বিএনপি নেতা মন্টির বিরুদ্ধে ভাতিজি সুরমা আদালতে একটি নালিশি করেছেন।
আলোচিত সাগর উদ্দিন মন্টি বরিশাল মহানগর বিএনপির ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থ্যানে আওয়ামী লীগ শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটলে তিনি ক্ষমতার ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে তিনি
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ গোলাম মাসউদ বাবলুকে মারধরসহ অপহরণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলেও বিষয়টি তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করে। এবং
ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে মানববন্ধন হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মন্টিকে দল থেকে বহিস্কার করতে বাধ্য হয় বরিশাল মহানগর বিএনপি।
সেই বিতর্কিত বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এবার আপন বড় ভাইয়ের মেয়েদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল এবং তাদের মারধরের ঘটনা খোদ সংবাদকর্মীদের হতবাক করে দিয়েছে। সোমবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভাতিজিদের একজন সুরমা আক্তার মিডিয়াকর্মীদের কাছে ছোট চাচার কুকীর্তি তুলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পৈত্রিক সূত্রেপ্রাপ্ত ১ শতাংশ ভূমিতে যমুনা ব্যাকের শাখাসহ একটি ‘জুস বার’ রয়েছে, যা থেকে উপার্জিত অর্থ দুই বোন ভাগাভাগি করে নেন। এবং এ থেকে একটি অংশ ফরায়েজ আইন মোতাবেক ছোট চাচা বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টিও পেয়ে থাকেন। আরও তিন ফুফুর ছেলেসন্তান না থাকায় তারাও মন্টিকে ফরায়েজ দিয়ে যাচ্ছেন। প্রত্যাশিত টাকা নেওয়ার পরেও তিনি প্রতিমাসে ভাড়াটিয়াদের গালিগালাস করাসহ ভাইয়ের মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে আসছেন।
অভিযোগ আছে, বিএনপি নেতার নির্যাতনে ওষ্ঠাগত হয়ে বছর দুয়েক পূর্বে তার বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা করতে বাধ্য হন ভাইয়ের মেয়ে সুরমা আক্তার। তখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে মন্টি কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে আত্মীয়-স্বজনদের হাতে-পায়ে ধরে ভাতিজিকে ম্যানেজ করেন। এবং আগামীতে কোনো প্রকার হয়রানি বা চাঁদাবাজি করবেন না মুচলেকা দিলে চাচাকে ক্ষমা করে দিয়ে মামলাটি তুলে নেন সুরমা।
সুরমা আক্তারের অভিযোগ, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে চাচা সাগর উদ্দিন মন্টি ফের চোখ রাঙানো শুরু করেন এবং তাদের দুই বোনকে ভয়ভীতি দেখানোসহ ভাড়াটিয়া অভিজিৎ দত্তের কাছে প্রায় সময়ই অর্থ দাবি করেন। প্রথম প্রথম তার চাহিদা ১০ হাজার, ২০ হাজার থাকলেও এখন জুসবারের পুরো ভাড়া কব্জা করতে চাইছেন। এনিয়ে গত ২৬ জুলাই দোকান মালিক অভিজিৎ দত্তের সাথে তর্কে জড়িয়ে তাকে হেনস্থাও করেন। খবর পেয়ে সুরমা আক্তার ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকেও গালাগালি করাসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টি। এই তথ্যের সত্যতা জুসবার মালিক অভিজিৎ দত্ত বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
সুরমা আক্তারের ওই সংবাদ সম্মেলেন তার মৃত চাচা কবির উদ্দিনের স্ত্রী মহসিনা কবিরও উপস্থিত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ছেলেসন্তান না থাকায় মন্টিকে তিনিও আইন মোতাবেক ফরায়েজ দিচ্ছেন। কিন্তু এতেও মন্টি তুষ্ট নন, প্রতিনিয়ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঝামেলা করছেন এবং তাদের হুমকি-ধামকি দেন।
বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির সন্ত্রাস থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলনের আগে সেমাবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল আদালতে একটি নালিশি করেন ভাতিজি সুরমা আক্তার। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক নালিশি অভিযোগটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পিতৃহারা ভাতিজিদের মারধর এবং হয়রানি করার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিতর্কিত মন্টি সোমবারও সদর রোডের বাসায় অবস্থান করেন। এবং তার বিরুদ্ধে ভাতিজিদের করা সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সংবাদ সম্মেলনের তার বিরুদ্ধে আনীত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে সাংবাদিকেরা তাকে প্রশ্ন করতে পারেন এমনটা ভেবেই তিনি কারও ফোন ধরছেন না।’
তবে দলের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আত্মীয়-স্বজনদের হয়রানি করাসহ কোনো প্রকার অবৈধ কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার। এই বিএনপি নেতা জানান, বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে তাকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষান্তে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এরপরে বিএনপির নাম ব্যবহার করে তার কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। যদি এরপরেও করে থাকে এর প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪১
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.