२८ জুলাই, २০२५ १८:१३
পিতৃহারা ভাতিজিদের মারধর করাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা
বরিশাল বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির বিরুদ্ধে এবার আপন ভাতিজির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই দখলসন্ত্রাসে তিনি ব্যর্থ হয়ে পিতৃহারা ত্রিশোর্ধ্ব সুরমা আক্তারসহ স্বজনদের মারধর করা এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। এবং সর্বশেষ বরিশাল সদর রোডস্থ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়ার চেষ্টাসহ ভাড়াটিয়াদের হুমকি-ধামকি দেন, দিচ্ছেন। নির্দয় বিএনপির নেতার সন্ত্রাসে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ভাইয়ের মেয়েরা সোমবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অবশ্য এর আগে বিএনপি নেতা মন্টির বিরুদ্ধে ভাতিজি সুরমা আদালতে একটি নালিশি করেছেন।
আলোচিত সাগর উদ্দিন মন্টি বরিশাল মহানগর বিএনপির ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থ্যানে আওয়ামী লীগ শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটলে তিনি ক্ষমতার ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে তিনি
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ গোলাম মাসউদ বাবলুকে মারধরসহ অপহরণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলেও বিষয়টি তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করে। এবং
ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে মানববন্ধন হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মন্টিকে দল থেকে বহিস্কার করতে বাধ্য হয় বরিশাল মহানগর বিএনপি।
সেই বিতর্কিত বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এবার আপন বড় ভাইয়ের মেয়েদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল এবং তাদের মারধরের ঘটনা খোদ সংবাদকর্মীদের হতবাক করে দিয়েছে। সোমবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভাতিজিদের একজন সুরমা আক্তার মিডিয়াকর্মীদের কাছে ছোট চাচার কুকীর্তি তুলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পৈত্রিক সূত্রেপ্রাপ্ত ১ শতাংশ ভূমিতে যমুনা ব্যাকের শাখাসহ একটি ‘জুস বার’ রয়েছে, যা থেকে উপার্জিত অর্থ দুই বোন ভাগাভাগি করে নেন। এবং এ থেকে একটি অংশ ফরায়েজ আইন মোতাবেক ছোট চাচা বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টিও পেয়ে থাকেন। আরও তিন ফুফুর ছেলেসন্তান না থাকায় তারাও মন্টিকে ফরায়েজ দিয়ে যাচ্ছেন। প্রত্যাশিত টাকা নেওয়ার পরেও তিনি প্রতিমাসে ভাড়াটিয়াদের গালিগালাস করাসহ ভাইয়ের মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে আসছেন।
অভিযোগ আছে, বিএনপি নেতার নির্যাতনে ওষ্ঠাগত হয়ে বছর দুয়েক পূর্বে তার বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা করতে বাধ্য হন ভাইয়ের মেয়ে সুরমা আক্তার। তখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে মন্টি কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে আত্মীয়-স্বজনদের হাতে-পায়ে ধরে ভাতিজিকে ম্যানেজ করেন। এবং আগামীতে কোনো প্রকার হয়রানি বা চাঁদাবাজি করবেন না মুচলেকা দিলে চাচাকে ক্ষমা করে দিয়ে মামলাটি তুলে নেন সুরমা।
সুরমা আক্তারের অভিযোগ, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে চাচা সাগর উদ্দিন মন্টি ফের চোখ রাঙানো শুরু করেন এবং তাদের দুই বোনকে ভয়ভীতি দেখানোসহ ভাড়াটিয়া অভিজিৎ দত্তের কাছে প্রায় সময়ই অর্থ দাবি করেন। প্রথম প্রথম তার চাহিদা ১০ হাজার, ২০ হাজার থাকলেও এখন জুসবারের পুরো ভাড়া কব্জা করতে চাইছেন। এনিয়ে গত ২৬ জুলাই দোকান মালিক অভিজিৎ দত্তের সাথে তর্কে জড়িয়ে তাকে হেনস্থাও করেন। খবর পেয়ে সুরমা আক্তার ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকেও গালাগালি করাসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টি। এই তথ্যের সত্যতা জুসবার মালিক অভিজিৎ দত্ত বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
সুরমা আক্তারের ওই সংবাদ সম্মেলেন তার মৃত চাচা কবির উদ্দিনের স্ত্রী মহসিনা কবিরও উপস্থিত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ছেলেসন্তান না থাকায় মন্টিকে তিনিও আইন মোতাবেক ফরায়েজ দিচ্ছেন। কিন্তু এতেও মন্টি তুষ্ট নন, প্রতিনিয়ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঝামেলা করছেন এবং তাদের হুমকি-ধামকি দেন।
বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির সন্ত্রাস থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলনের আগে সেমাবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল আদালতে একটি নালিশি করেন ভাতিজি সুরমা আক্তার। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক নালিশি অভিযোগটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পিতৃহারা ভাতিজিদের মারধর এবং হয়রানি করার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিতর্কিত মন্টি সোমবারও সদর রোডের বাসায় অবস্থান করেন। এবং তার বিরুদ্ধে ভাতিজিদের করা সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সংবাদ সম্মেলনের তার বিরুদ্ধে আনীত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে সাংবাদিকেরা তাকে প্রশ্ন করতে পারেন এমনটা ভেবেই তিনি কারও ফোন ধরছেন না।’
তবে দলের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আত্মীয়-স্বজনদের হয়রানি করাসহ কোনো প্রকার অবৈধ কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার। এই বিএনপি নেতা জানান, বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে তাকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষান্তে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এরপরে বিএনপির নাম ব্যবহার করে তার কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। যদি এরপরেও করে থাকে এর প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’
পিতৃহারা ভাতিজিদের মারধর করাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের চেষ্টা
বরিশাল বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির বিরুদ্ধে এবার আপন ভাতিজির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই দখলসন্ত্রাসে তিনি ব্যর্থ হয়ে পিতৃহারা ত্রিশোর্ধ্ব সুরমা আক্তারসহ স্বজনদের মারধর করা এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। এবং সর্বশেষ বরিশাল সদর রোডস্থ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়ার চেষ্টাসহ ভাড়াটিয়াদের হুমকি-ধামকি দেন, দিচ্ছেন। নির্দয় বিএনপির নেতার সন্ত্রাসে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ভাইয়ের মেয়েরা সোমবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অবশ্য এর আগে বিএনপি নেতা মন্টির বিরুদ্ধে ভাতিজি সুরমা আদালতে একটি নালিশি করেছেন।
আলোচিত সাগর উদ্দিন মন্টি বরিশাল মহানগর বিএনপির ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থ্যানে আওয়ামী লীগ শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটলে তিনি ক্ষমতার ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে তিনি
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সৈয়দ গোলাম মাসউদ বাবলুকে মারধরসহ অপহরণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলেও বিষয়টি তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করে। এবং
ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পাশাপাশি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে মানববন্ধন হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মন্টিকে দল থেকে বহিস্কার করতে বাধ্য হয় বরিশাল মহানগর বিএনপি।
সেই বিতর্কিত বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এবার আপন বড় ভাইয়ের মেয়েদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল এবং তাদের মারধরের ঘটনা খোদ সংবাদকর্মীদের হতবাক করে দিয়েছে। সোমবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভাতিজিদের একজন সুরমা আক্তার মিডিয়াকর্মীদের কাছে ছোট চাচার কুকীর্তি তুলে ধরেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পৈত্রিক সূত্রেপ্রাপ্ত ১ শতাংশ ভূমিতে যমুনা ব্যাকের শাখাসহ একটি ‘জুস বার’ রয়েছে, যা থেকে উপার্জিত অর্থ দুই বোন ভাগাভাগি করে নেন। এবং এ থেকে একটি অংশ ফরায়েজ আইন মোতাবেক ছোট চাচা বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টিও পেয়ে থাকেন। আরও তিন ফুফুর ছেলেসন্তান না থাকায় তারাও মন্টিকে ফরায়েজ দিয়ে যাচ্ছেন। প্রত্যাশিত টাকা নেওয়ার পরেও তিনি প্রতিমাসে ভাড়াটিয়াদের গালিগালাস করাসহ ভাইয়ের মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে আসছেন।
অভিযোগ আছে, বিএনপি নেতার নির্যাতনে ওষ্ঠাগত হয়ে বছর দুয়েক পূর্বে তার বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় চাঁদাবাজি মামলা করতে বাধ্য হন ভাইয়ের মেয়ে সুরমা আক্তার। তখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে মন্টি কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে আত্মীয়-স্বজনদের হাতে-পায়ে ধরে ভাতিজিকে ম্যানেজ করেন। এবং আগামীতে কোনো প্রকার হয়রানি বা চাঁদাবাজি করবেন না মুচলেকা দিলে চাচাকে ক্ষমা করে দিয়ে মামলাটি তুলে নেন সুরমা।
সুরমা আক্তারের অভিযোগ, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হলে চাচা সাগর উদ্দিন মন্টি ফের চোখ রাঙানো শুরু করেন এবং তাদের দুই বোনকে ভয়ভীতি দেখানোসহ ভাড়াটিয়া অভিজিৎ দত্তের কাছে প্রায় সময়ই অর্থ দাবি করেন। প্রথম প্রথম তার চাহিদা ১০ হাজার, ২০ হাজার থাকলেও এখন জুসবারের পুরো ভাড়া কব্জা করতে চাইছেন। এনিয়ে গত ২৬ জুলাই দোকান মালিক অভিজিৎ দত্তের সাথে তর্কে জড়িয়ে তাকে হেনস্থাও করেন। খবর পেয়ে সুরমা আক্তার ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকেও গালাগালি করাসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টি। এই তথ্যের সত্যতা জুসবার মালিক অভিজিৎ দত্ত বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।
সুরমা আক্তারের ওই সংবাদ সম্মেলেন তার মৃত চাচা কবির উদ্দিনের স্ত্রী মহসিনা কবিরও উপস্থিত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ছেলেসন্তান না থাকায় মন্টিকে তিনিও আইন মোতাবেক ফরায়েজ দিচ্ছেন। কিন্তু এতেও মন্টি তুষ্ট নন, প্রতিনিয়ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঝামেলা করছেন এবং তাদের হুমকি-ধামকি দেন।
বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির সন্ত্রাস থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলনের আগে সেমাবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল আদালতে একটি নালিশি করেন ভাতিজি সুরমা আক্তার। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক নালিশি অভিযোগটি আমলে নিয়ে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পিতৃহারা ভাতিজিদের মারধর এবং হয়রানি করার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বহিস্কৃত বিএনপি নেতা সাগর উদ্দিন মন্টির ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বিতর্কিত মন্টি সোমবারও সদর রোডের বাসায় অবস্থান করেন। এবং তার বিরুদ্ধে ভাতিজিদের করা সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সংবাদ সম্মেলনের তার বিরুদ্ধে আনীত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে সাংবাদিকেরা তাকে প্রশ্ন করতে পারেন এমনটা ভেবেই তিনি কারও ফোন ধরছেন না।’
তবে দলের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আত্মীয়-স্বজনদের হয়রানি করাসহ কোনো প্রকার অবৈধ কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার। এই বিএনপি নেতা জানান, বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে তাকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শেষান্তে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এরপরে বিএনপির নাম ব্যবহার করে তার কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। যদি এরপরেও করে থাকে এর প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १२:५७
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা এলাকার মোল্লার বাজারের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধার মরদেহ এবং দুজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনই একই পরিবারের সদস্য।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বৃদ্ধার মরদেহসহ অচেতন দুজনকে উদ্ধার করে।
মৃত অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) ওই বাড়ির মালিক মরণ সাহার মা। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার সংলগ্ন ওই বাড়িতে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তার মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন প্রতিবেশীরা। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ ११:२१

१२ ডিসেম্বর, २০२५ १९:০३
বরিশাল-৫ (সদর) আসনে দাঁড়িপাল্লা মার্কার প্রার্থী ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় নিজ হাতে নিজের বিলবোর্ড নামিয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় জিলা স্কুল মোড়ে থাকা নিজের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড নিজেই নামিয়ে ফেলেন। এ সময় মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য শামীম কবিরসহ বেশ কয়েকজন কর্মীসমর্থক সাথে ছিলেন।
বিলবোর্ড নামিয়ে সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট হেলাল বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা নিজেরাই আমাদের পোস্টার ও ফেস্টুনগুলো সরিয়ে কার্যক্রম শুরু করলাম। নির্বাচনী আচরণবিধি মানা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা নিজেরা আচরণবিধি না মানলে অন্যকে উপদেশ দিয়ে কোনো লাভ নেই। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আজ এই অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলাম’।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিদের তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা এলাকার মোল্লার বাজারের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধার মরদেহ এবং দুজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনই একই পরিবারের সদস্য।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বৃদ্ধার মরদেহসহ অচেতন দুজনকে উদ্ধার করে।
মৃত অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) ওই বাড়ির মালিক মরণ সাহার মা। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার সংলগ্ন ওই বাড়িতে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তার মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন প্রতিবেশীরা। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
বরিশালের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি ও পাকিস্তানি বাহিনীর টর্চার সেল কমপ্লেক্স অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। গত বছরের ৫ আগস্ট একদল লোক ভাঙচুর করার পর দেড় বছর ধরে এটির সংস্কারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে দেড় একর জমির ওপর সংরক্ষণ করা হয়েছে নির্যাতন ক্যাম্প, বাংকার, বধ্যভূমি ও সেতু। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেতুর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ‘স্মৃতিস্তম্ভ ৭১’। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গানবোট ও হেলিকপ্টারে বরিশালে ঢুকে ওয়াপদা কলোনি দখল করে নেয়। সেখানে সেনাক্যাম্প ও টর্চার সেল স্থাপন করে তারা। কীর্তনখোলার তীরবর্তী এই ক্যাম্প থেকে ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলায় অপারেশন চালানো হতো। টর্চার সেলে বন্দী মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে খুন করে লাশ কীর্তনখোলা–সংলগ্ন সাগরদী খালের তীরে ফেলা হতো। কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি।
স্বাধীনতার পর এলাকাটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে ওয়াপদা কলোনি ও কীর্তনখোলা খালের তীরবর্তী প্রায় দেড় একর জায়গাজুড়ে বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু হয়। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। উদ্বোধনের পর প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি
সম্প্রতি বধ্যভূমি কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা আগের মতো সহজে ঢুকতে পারেন না। মূল সড়ক থেকে খালপাড় ঘেঁষে সিটি করপোরেশন একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করলেও তা এখনো অসম্পূর্ণ। ফলে কয়েক ফুট নিচে লাফিয়ে নেমে বধ্যভূমিতে ঢুকতে হয়।
এক নিরাপত্তাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৫ আগস্টের ঘটনার পর সেপ্টেম্বরের এক গভীর রাতে একদল লোক গিয়ে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ভেতরে ঢুকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করে দেয়ালে বিভিন্ন শব্দ লেখে। পরে অবশ্য লেখাগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।
এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্পে বরিশাল সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বিশ্ববিদ্যালয় অব এশিয়া প্যাসিফিক, বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ।
বধ্যভূমির সংস্কারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না জানিয়ে বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, ৫ আগস্টের ভাঙচুরে বধ্যভূমির অনেক নিদর্শন নষ্ট হয়েছে, যা আর সংস্কার করা হয়নি। ভেতরে এখনো সেই ভাঙচুরের ক্ষত, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, ‘ত্রিশ গোডাউনের এলাকা সংস্কারের বিষয়ে আমাদের বিবেচনা চলছে। শিগগিরই এর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
বরিশালের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি ও পাকিস্তানি বাহিনীর টর্চার সেল কমপ্লেক্স অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। গত বছরের ৫ আগস্ট একদল লোক ভাঙচুর করার পর দেড় বছর ধরে এটির সংস্কারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে দেড় একর জমির ওপর সংরক্ষণ করা হয়েছে নির্যাতন ক্যাম্প, বাংকার, বধ্যভূমি ও সেতু। শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সেতুর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ‘স্মৃতিস্তম্ভ ৭১’। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গানবোট ও হেলিকপ্টারে বরিশালে ঢুকে ওয়াপদা কলোনি দখল করে নেয়। সেখানে সেনাক্যাম্প ও টর্চার সেল স্থাপন করে তারা। কীর্তনখোলার তীরবর্তী এই ক্যাম্প থেকে ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও ভোলায় অপারেশন চালানো হতো। টর্চার সেলে বন্দী মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে খুন করে লাশ কীর্তনখোলা–সংলগ্ন সাগরদী খালের তীরে ফেলা হতো। কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি।
স্বাধীনতার পর এলাকাটি রাষ্ট্রীয়ভাবে বধ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে ওয়াপদা কলোনি ও কীর্তনখোলা খালের তীরবর্তী প্রায় দেড় একর জায়গাজুড়ে বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু হয়। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। উদ্বোধনের পর প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
কীর্তনখোলার তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন কম্পাউন্ডের এলাকা থেকে নদীর ঘাট পর্যন্ত ধানের জমির পুরো এলাকা ছিল বরিশালের মূল গণকবর ও বধ্যভূমি
সম্প্রতি বধ্যভূমি কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা আগের মতো সহজে ঢুকতে পারেন না। মূল সড়ক থেকে খালপাড় ঘেঁষে সিটি করপোরেশন একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করলেও তা এখনো অসম্পূর্ণ। ফলে কয়েক ফুট নিচে লাফিয়ে নেমে বধ্যভূমিতে ঢুকতে হয়।
এক নিরাপত্তাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৫ আগস্টের ঘটনার পর সেপ্টেম্বরের এক গভীর রাতে একদল লোক গিয়ে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ভেতরে ঢুকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করে দেয়ালে বিভিন্ন শব্দ লেখে। পরে অবশ্য লেখাগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।
এই বধ্যভূমি ও টর্চার সেল সংরক্ষণ প্রকল্পে বরিশাল সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বিশ্ববিদ্যালয় অব এশিয়া প্যাসিফিক, বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ।
বধ্যভূমির সংস্কারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না জানিয়ে বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, ৫ আগস্টের ভাঙচুরে বধ্যভূমির অনেক নিদর্শন নষ্ট হয়েছে, যা আর সংস্কার করা হয়নি। ভেতরে এখনো সেই ভাঙচুরের ক্ষত, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, ‘ত্রিশ গোডাউনের এলাকা সংস্কারের বিষয়ে আমাদের বিবেচনা চলছে। শিগগিরই এর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
বরিশাল-৫ (সদর) আসনে দাঁড়িপাল্লা মার্কার প্রার্থী ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় নিজ হাতে নিজের বিলবোর্ড নামিয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় জিলা স্কুল মোড়ে থাকা নিজের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড নিজেই নামিয়ে ফেলেন। এ সময় মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য শামীম কবিরসহ বেশ কয়েকজন কর্মীসমর্থক সাথে ছিলেন।
বিলবোর্ড নামিয়ে সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট হেলাল বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা নিজেরাই আমাদের পোস্টার ও ফেস্টুনগুলো সরিয়ে কার্যক্রম শুরু করলাম। নির্বাচনী আচরণবিধি মানা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা নিজেরা আচরণবিধি না মানলে অন্যকে উপদেশ দিয়ে কোনো লাভ নেই। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আজ এই অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলাম’।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিদের তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।