dreamliferupatolibarisal

সারাদেশ

বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে ককটেল উদ্ধার, ১৮ দিনেও হয়নি মামলা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৪০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে ককটেল উদ্ধার, ১৮ দিনেও হয়নি মামলা

নওগাঁয় ককটেল ও রাবার বুলেট উদ্ধারের ঘটনায় ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা এন্ট্রি হয়নি থানায়। যৌথবাহিনীর সদস্যরা গত ২৭ আগস্ট রাতে সদর উপজেলার হাঁপানিয়া এলাকায় একটি টিনের বাড়ি থেকে ৩টি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে। এরপর সেগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাড়িটির মালিক পাথরঘাটা এলাকার শফির উদ্দীনের ছেলে আফাজ উদ্দীন। তিনি হাঁপানিয়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক।

টিনের ওই বাড়িটির মালিক বিএনপি নেতা হওয়ায় এখনো মামলা হিসেবে এন্ট্রি হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ এর আগে হাঁপানিয়া এলাকা থেকে ৩ দফা ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত ছাড়াই মামলা এন্ট্রি করে। সদর থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলা রেকর্ড করতে পারত বলেও অনেকের মন্তব্য।

এদিকে বাড়িটি পরিত্যক্তের অজুহাত দিয়ে ওসি বলছেন, জিডি হিসেবে রাখা হয়েছে। তদন্ত চলমান এবং মামলা হওয়ার সুযোগ আছে। আর স্থানীয়রা বলছেন, টিনের ওই বাড়িটিতে বসবাস করা যায় এবং সেটি ভাড়াও দেওয়া হয়েছিল। গত প্রায় দুই মাস আগে ভাড়াটিয়া চলে যাওয়ায় আফাজ উদ্দীনের দখলে আছে।

জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত সদস্যরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওইদিন রাত সোয়া ১০টায় উপজেলার হাঁপানিয়া বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালায়। এই অভিযানে আফাজ উদ্দীনের টিনের বাড়ি থেকে দুটি ছোট ও একটি বড় ককটেল, একটি গ্রিল কাটার, দুটি চাপাতি এবং দুটি তাজা রাবার বুলেট উদ্ধার করা হয়।

পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধার করা জিনিসগুলো এসআই আব্দুল্লাহ আল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু আজও মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়নি। দায় এড়ানোর জন্য শুধু জিডি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে দায়িত্বরত পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।

স্থানীয়রা বলছেন, এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হাঁপানিয়া বাজার এলাকায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আব্দুল বাকিদ পবেল নামের এক ব্যক্তির অফিস ঘর থেকে ৩টি ককটেল সদৃশ বস্তুসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে এবং গত ২২ মে রাতে একই ব্যক্তির দাফালিয়া গ্রামের ফার্ম হাউজ থেকে ৩টি ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। সেই ঘটনায় দীর্ঘ তদন্ত ছাড়াই পুলিশ মামলা এন্ট্রি করে এবং সম্প্রতি মামলার প্রধান আসামি পবেলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

এ ছাড়া গত ২৫ জুন রাতে লক্ষ্মণপুর এলাকায় একটি বাগানের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেল উদ্ধার করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। সেই ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে জাইফুল নামের একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ এবং মামলা রেকর্ড করে জাইফুলকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে সূত্রে জানা যায়।

কিন্তু বিএনপি নেতার টিনের বাড়ি থেকে ককটেল ও রাবার বুলেট উদ্ধারের এই ঘটনায় দেখা যায়, পুরো উল্টো চিত্র। পরিত্যক্তের অজুহাতে মামলা এন্ট্রি করেনি। একই এলাকা থেকে ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষপাতমূলক আইনগত পদক্ষেপ নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ককটেল উদ্ধারের ঘটনা জানতে চাইলে বাড়ির মালিক আফাজ উদ্দীন কালবেলাকে বলেন, ‘ভাই ওটা আমার অফসাইড জায়গা, ওইভাবে আমি কিছু দেখিনি, আমি জানি না, আমাকে ডাকেনি, তাই বলতে পারব না।

ভাড়া দিয়েছিলাম, কিন্তু কেউ থাকে আবার কেউ থাকে না। ভাড়াটিয়া দুই মাস আগে চলে যাওয়ার পর আমার দখলে থাকলেও আমি সেখানে থাকি না।’ আর মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই বিষয়ে আমি কিছু জানি না, বলতে পারব না।’

জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহ আল ইসলাম বলেন, ‘এখনো মামলা রেকর্ড হয়নি। এ নিয়ে একই এলাকা থেকে ৪ বার ককটেল উদ্ধার হলো। তাই তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত করে যার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে।’

আগের ঘটনায় এতো নিয়ম বা তদন্তের প্রয়োজন হয়নি, এটার ব্যাপারে এতো সময় লাগছে কেন জবাবে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে সেদিন ওসি স্যার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আর মামলা রেকর্ড করার ক্ষমতা ওসি স্যারের। এরপরও কিছু জানার থাকলে ওসি স্যারের কাছে জানতে পারেন।’

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এখনো মামলা এন্ট্রি হয়নি। পরিত্যক্ত ঘর হওয়ায় জিডি করা হয়েছে। তদন্ত চলমান আছে। কে বা কারা জড়িত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তদন্তে যদি আফাজের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন:

ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় কথাকাটাকাটির জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে সরোয়ার আলম (২৫) নামে এ যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত সরোয়ার আলম কক্সবাজার পৌরসভার লাইট হাউজ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক এক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সরোয়ারের সাথে তার ফুফাতো ভাই রায়হানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে সরোয়ারের বুকে আঘাত করে।

পরে গুরুতর অবস্থায় সরোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন।

প্রতিবেশী মো. আলম বলেন, শান্ত-ভদ্র স্বভাবের সরোয়ার ছিল সবার প্রিয়। ওর উপার্জনে পরিবারটা চলতো। শুধু এক মুহূর্তের রাগে রায়হান ওকে মেরে ফেলল। এটা আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত সরোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় আব্দুল কাদের (৫৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাইকান কুঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী কিশোরী শুক্রবার নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।

তবে বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক আব্দুল কাদের কিশোরীটির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি কাবিননামা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে শিক্ষক আব্দুল কাদের ওই কিশোরীকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখেন ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।

গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবু হানিফ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।

খানাখন্দে ভরা পিরোজপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, দুর্ভোগে হাজারো যাত্রী

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

খানাখন্দে ভরা পিরোজপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, দুর্ভোগে হাজারো যাত্রী

খানাখন্দ, কাদা-পানি আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় পুরো টার্মিনাল, ডুবে যায় বড় বড় গর্ত।

প্রতিদিনই বাস, রিকশা, অটোরিকশা থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে এই গর্তে। যাত্রীদের নামতে হচ্ছে কাদা-পানিতে, অনেক সময় পড়তে হচ্ছে আহত হওয়ার ঝুঁকিতেও। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক এবং চালকরা।

‎২০০৬ সালে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে মাছিমপুর এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ টার্মিনাল নির্মাণ করে। তখন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে পড়ে অপ্রতুল।

প্রতিদিন প্রায় ১৪টি রুটে ৬ শতাধিকের বেশি বাস ও মিনিবাস এখান থেকে ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। কিন্তু ধারণক্ষমতার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে টার্মিনালে।

‎বাস রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার দুই পাশে সারি সারি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে, এতে যানজট ও চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে নতুন নতুন বাস চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অযাচিত চাপ পড়ছে টার্মিনালের ওপর।

‎সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্মিনালে ঢোকার মুখেই রয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথায় গর্ত তা বোঝা যায় না। এতে প্রায়ই বাস আটকে যায়। ছোট যানবাহন যেমন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ছে বিপদে। যাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে কেউ নামতে গিয়ে কাদা-পানিতে ভিজে যাচ্ছেন, আবার কেউ খানাখন্দে পড়ে আহত হচ্ছেন।

‎স্থানীয় যাত্রী সজল শেখ বলেন, পিরোজপুরের বাইরে কোথাও যেতে গেলে এই টার্মিনালে আসতে হয়, কিন্তু অবস্থা এত খারাপ যে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় বাস থেকে নামলেই কাদা-পানিতে নেমে যেতে হয়। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।

‎বাসচালক আবুল হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলা বাস টার্মিনাল এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে বাস রাখার ব্যবস্থা নেই, গর্তে পড়লে ক্রেন দিয়ে বা অন্য বাস দিয়ে টেনে তুলতে হয়। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের টার্মিনালটি ঠিক করে দেওয়া হোক, না হলে এখানে আর বাস রাখা যাবে না।

‎শ্রমিক মাহাতাব আলী বলেন, এই টার্মিনালে বাস নিয়ে ঢুকতে এবং বের হতে গেলে প্রায়ই বাসের বিভিন্ন সমস্যা হয়। চাকার ক্ষতি হয়, নিচের পাতির ক্ষতি হয়, ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় এগুলো আবার মেরামত করতে অনেক সময় লাগে। ফলে বাস বন্ধ হয়ে গেলে ইনকামও বন্ধ হয়ে যায়।

‎পরিবহন মালিক আব্দুস সালাম খান বলেন, টার্মিনাল দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মালিক, যাত্রী ও চালকদের জন্য এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই দ্রুতই এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।

‎১৯ বছর আগে নির্মিত হলেও এ টার্মিনালে এখনো কোনো বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। ফলে এখন এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের একটাই দাবি—দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হোক পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত হয়।

‎তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া শুধু খানাখন্দ মেরামত করে সমস্যার সমাধান হবে না। টার্মিনালটিকে আধুনিকায়ন, বাস পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জোন তৈরি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অতিরিক্ত বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প হিসেবে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা দরকার। নইলে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়বে।

‎পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছি, বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। বর্ষাকালে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পানি পেরিয়ে সড়কে ওঠে। আমরা পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি গর্তগুলো ভরাট করার জন্য। আশা করছি, দ্রুতই কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করবে।

‎এ বিষয়ে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, আমরা এ বিষয়ে গত বছরে খুব স্বল্প পরিসরে কিছুটা মেরামত করেছি। পাশাপাশি কয়েকটি প্রজেক্টের জন্য স্কিম প্রেরন করেছি। আশা করি, বরাদ্দ পেলে দ্রুতই এটি মেরামতের কাজ করা হবে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.