
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৪০
নওগাঁয় ককটেল ও রাবার বুলেট উদ্ধারের ঘটনায় ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা এন্ট্রি হয়নি থানায়। যৌথবাহিনীর সদস্যরা গত ২৭ আগস্ট রাতে সদর উপজেলার হাঁপানিয়া এলাকায় একটি টিনের বাড়ি থেকে ৩টি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে। এরপর সেগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাড়িটির মালিক পাথরঘাটা এলাকার শফির উদ্দীনের ছেলে আফাজ উদ্দীন। তিনি হাঁপানিয়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক।
টিনের ওই বাড়িটির মালিক বিএনপি নেতা হওয়ায় এখনো মামলা হিসেবে এন্ট্রি হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ এর আগে হাঁপানিয়া এলাকা থেকে ৩ দফা ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত ছাড়াই মামলা এন্ট্রি করে। সদর থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলা রেকর্ড করতে পারত বলেও অনেকের মন্তব্য।
এদিকে বাড়িটি পরিত্যক্তের অজুহাত দিয়ে ওসি বলছেন, জিডি হিসেবে রাখা হয়েছে। তদন্ত চলমান এবং মামলা হওয়ার সুযোগ আছে। আর স্থানীয়রা বলছেন, টিনের ওই বাড়িটিতে বসবাস করা যায় এবং সেটি ভাড়াও দেওয়া হয়েছিল। গত প্রায় দুই মাস আগে ভাড়াটিয়া চলে যাওয়ায় আফাজ উদ্দীনের দখলে আছে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত সদস্যরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওইদিন রাত সোয়া ১০টায় উপজেলার হাঁপানিয়া বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালায়। এই অভিযানে আফাজ উদ্দীনের টিনের বাড়ি থেকে দুটি ছোট ও একটি বড় ককটেল, একটি গ্রিল কাটার, দুটি চাপাতি এবং দুটি তাজা রাবার বুলেট উদ্ধার করা হয়।
পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধার করা জিনিসগুলো এসআই আব্দুল্লাহ আল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু আজও মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়নি। দায় এড়ানোর জন্য শুধু জিডি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে দায়িত্বরত পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
স্থানীয়রা বলছেন, এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হাঁপানিয়া বাজার এলাকায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আব্দুল বাকিদ পবেল নামের এক ব্যক্তির অফিস ঘর থেকে ৩টি ককটেল সদৃশ বস্তুসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে এবং গত ২২ মে রাতে একই ব্যক্তির দাফালিয়া গ্রামের ফার্ম হাউজ থেকে ৩টি ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। সেই ঘটনায় দীর্ঘ তদন্ত ছাড়াই পুলিশ মামলা এন্ট্রি করে এবং সম্প্রতি মামলার প্রধান আসামি পবেলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এ ছাড়া গত ২৫ জুন রাতে লক্ষ্মণপুর এলাকায় একটি বাগানের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেল উদ্ধার করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। সেই ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে জাইফুল নামের একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ এবং মামলা রেকর্ড করে জাইফুলকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে সূত্রে জানা যায়।
কিন্তু বিএনপি নেতার টিনের বাড়ি থেকে ককটেল ও রাবার বুলেট উদ্ধারের এই ঘটনায় দেখা যায়, পুরো উল্টো চিত্র। পরিত্যক্তের অজুহাতে মামলা এন্ট্রি করেনি। একই এলাকা থেকে ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষপাতমূলক আইনগত পদক্ষেপ নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ককটেল উদ্ধারের ঘটনা জানতে চাইলে বাড়ির মালিক আফাজ উদ্দীন কালবেলাকে বলেন, ‘ভাই ওটা আমার অফসাইড জায়গা, ওইভাবে আমি কিছু দেখিনি, আমি জানি না, আমাকে ডাকেনি, তাই বলতে পারব না।
ভাড়া দিয়েছিলাম, কিন্তু কেউ থাকে আবার কেউ থাকে না। ভাড়াটিয়া দুই মাস আগে চলে যাওয়ার পর আমার দখলে থাকলেও আমি সেখানে থাকি না।’ আর মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই বিষয়ে আমি কিছু জানি না, বলতে পারব না।’
জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহ আল ইসলাম বলেন, ‘এখনো মামলা রেকর্ড হয়নি। এ নিয়ে একই এলাকা থেকে ৪ বার ককটেল উদ্ধার হলো। তাই তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত করে যার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে।’
আগের ঘটনায় এতো নিয়ম বা তদন্তের প্রয়োজন হয়নি, এটার ব্যাপারে এতো সময় লাগছে কেন জবাবে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে সেদিন ওসি স্যার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আর মামলা রেকর্ড করার ক্ষমতা ওসি স্যারের। এরপরও কিছু জানার থাকলে ওসি স্যারের কাছে জানতে পারেন।’
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এখনো মামলা এন্ট্রি হয়নি। পরিত্যক্ত ঘর হওয়ায় জিডি করা হয়েছে। তদন্ত চলমান আছে। কে বা কারা জড়িত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তদন্তে যদি আফাজের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নওগাঁয় ককটেল ও রাবার বুলেট উদ্ধারের ঘটনায় ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা এন্ট্রি হয়নি থানায়। যৌথবাহিনীর সদস্যরা গত ২৭ আগস্ট রাতে সদর উপজেলার হাঁপানিয়া এলাকায় একটি টিনের বাড়ি থেকে ৩টি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে। এরপর সেগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাড়িটির মালিক পাথরঘাটা এলাকার শফির উদ্দীনের ছেলে আফাজ উদ্দীন। তিনি হাঁপানিয়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক।
টিনের ওই বাড়িটির মালিক বিএনপি নেতা হওয়ায় এখনো মামলা হিসেবে এন্ট্রি হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ এর আগে হাঁপানিয়া এলাকা থেকে ৩ দফা ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত ছাড়াই মামলা এন্ট্রি করে। সদর থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলা রেকর্ড করতে পারত বলেও অনেকের মন্তব্য।
এদিকে বাড়িটি পরিত্যক্তের অজুহাত দিয়ে ওসি বলছেন, জিডি হিসেবে রাখা হয়েছে। তদন্ত চলমান এবং মামলা হওয়ার সুযোগ আছে। আর স্থানীয়রা বলছেন, টিনের ওই বাড়িটিতে বসবাস করা যায় এবং সেটি ভাড়াও দেওয়া হয়েছিল। গত প্রায় দুই মাস আগে ভাড়াটিয়া চলে যাওয়ায় আফাজ উদ্দীনের দখলে আছে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত সদস্যরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওইদিন রাত সোয়া ১০টায় উপজেলার হাঁপানিয়া বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালায়। এই অভিযানে আফাজ উদ্দীনের টিনের বাড়ি থেকে দুটি ছোট ও একটি বড় ককটেল, একটি গ্রিল কাটার, দুটি চাপাতি এবং দুটি তাজা রাবার বুলেট উদ্ধার করা হয়।
পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধার করা জিনিসগুলো এসআই আব্দুল্লাহ আল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু আজও মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়নি। দায় এড়ানোর জন্য শুধু জিডি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে দায়িত্বরত পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
স্থানীয়রা বলছেন, এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হাঁপানিয়া বাজার এলাকায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আব্দুল বাকিদ পবেল নামের এক ব্যক্তির অফিস ঘর থেকে ৩টি ককটেল সদৃশ বস্তুসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে এবং গত ২২ মে রাতে একই ব্যক্তির দাফালিয়া গ্রামের ফার্ম হাউজ থেকে ৩টি ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। সেই ঘটনায় দীর্ঘ তদন্ত ছাড়াই পুলিশ মামলা এন্ট্রি করে এবং সম্প্রতি মামলার প্রধান আসামি পবেলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এ ছাড়া গত ২৫ জুন রাতে লক্ষ্মণপুর এলাকায় একটি বাগানের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেল উদ্ধার করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। সেই ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে জাইফুল নামের একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ এবং মামলা রেকর্ড করে জাইফুলকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে সূত্রে জানা যায়।
কিন্তু বিএনপি নেতার টিনের বাড়ি থেকে ককটেল ও রাবার বুলেট উদ্ধারের এই ঘটনায় দেখা যায়, পুরো উল্টো চিত্র। পরিত্যক্তের অজুহাতে মামলা এন্ট্রি করেনি। একই এলাকা থেকে ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষপাতমূলক আইনগত পদক্ষেপ নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ককটেল উদ্ধারের ঘটনা জানতে চাইলে বাড়ির মালিক আফাজ উদ্দীন কালবেলাকে বলেন, ‘ভাই ওটা আমার অফসাইড জায়গা, ওইভাবে আমি কিছু দেখিনি, আমি জানি না, আমাকে ডাকেনি, তাই বলতে পারব না।
ভাড়া দিয়েছিলাম, কিন্তু কেউ থাকে আবার কেউ থাকে না। ভাড়াটিয়া দুই মাস আগে চলে যাওয়ার পর আমার দখলে থাকলেও আমি সেখানে থাকি না।’ আর মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই বিষয়ে আমি কিছু জানি না, বলতে পারব না।’
জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহ আল ইসলাম বলেন, ‘এখনো মামলা রেকর্ড হয়নি। এ নিয়ে একই এলাকা থেকে ৪ বার ককটেল উদ্ধার হলো। তাই তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত করে যার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে।’
আগের ঘটনায় এতো নিয়ম বা তদন্তের প্রয়োজন হয়নি, এটার ব্যাপারে এতো সময় লাগছে কেন জবাবে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে সেদিন ওসি স্যার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আর মামলা রেকর্ড করার ক্ষমতা ওসি স্যারের। এরপরও কিছু জানার থাকলে ওসি স্যারের কাছে জানতে পারেন।’
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এখনো মামলা এন্ট্রি হয়নি। পরিত্যক্ত ঘর হওয়ায় জিডি করা হয়েছে। তদন্ত চলমান আছে। কে বা কারা জড়িত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তদন্তে যদি আফাজের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:৫৫
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চললেও প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরীক্ষা চলছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পস্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন এক গ্রামপুলিশ সদস্য।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার, পৌরসভা-ইউনিয়নের কর্মচারী, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চেয়ারম্যান-মেম্বার ও গ্রামপুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পস্তাইল স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত গ্রামপুলিশ মো. রাজ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার চাকরি জীবনের ২২ বছরে কখনো ভাবতেই পারিনি পরীক্ষার হলে ডিউটি করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামপুলিশ পরীক্ষার হলে ডিউটি করবেন এটা খুবই দুঃখজনক; কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য গ্রামপুলিশের প্রতি ইউএনওর নির্দেশনা রয়েছে। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আমার জানা নেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চললেও প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরীক্ষা চলছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পস্তাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্ব পালন করছেন এক গ্রামপুলিশ সদস্য।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসার, পৌরসভা-ইউনিয়নের কর্মচারী, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চেয়ারম্যান-মেম্বার ও গ্রামপুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পস্তাইল স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত গ্রামপুলিশ মো. রাজ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার চাকরি জীবনের ২২ বছরে কখনো ভাবতেই পারিনি পরীক্ষার হলে ডিউটি করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সালাউদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামপুলিশ পরীক্ষার হলে ডিউটি করবেন এটা খুবই দুঃখজনক; কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য গ্রামপুলিশের প্রতি ইউএনওর নির্দেশনা রয়েছে। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আমার জানা নেই।

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হলে চৌকা সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়।
ওইদিন জিরো লাইনের কাছে মাটির বাঙ্কারে বিজিবি সদস্যদের পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল আলী। মুহূর্তেই সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এবার সেই সাহসী কৃষককে সংবর্ধনা দিয়েছে বিজিবি।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় কৃষক বাবুল আক্তারের হাতে সংবর্ধনা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বাবুল আক্তার বলেন, বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই বছরের জানুয়ারিতে আমিসহ অন্যান্যরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। আগামীতেও এমন ঘটনা ঘটলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। এ ছাড়া, অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত ও সংবর্ধনা দেওয়ায় আমি অনেক খুশি।
বিজিবির ৫৯ ব্যাটলিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কামাল হোসেন।
এ ছাড়া, আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. শাহাদাৎ হোসেন মাসুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল আসিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিজিবি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে সীমান্ত আইন অমান্য করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করে বিএসএফ। বিজিবির পক্ষ থেকে এ কাজে বাধা দেওয়া হলে চৌকা সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় মাটির বাঙ্কারে অবস্থান নেওয়া বিজিবি সদস্যদের পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল আলী। মুহূর্তেই ওই কৃষকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হলে চৌকা সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়।
ওইদিন জিরো লাইনের কাছে মাটির বাঙ্কারে বিজিবি সদস্যদের পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল আলী। মুহূর্তেই সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এবার সেই সাহসী কৃষককে সংবর্ধনা দিয়েছে বিজিবি।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় কৃষক বাবুল আক্তারের হাতে সংবর্ধনা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বাবুল আক্তার বলেন, বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই বছরের জানুয়ারিতে আমিসহ অন্যান্যরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। আগামীতেও এমন ঘটনা ঘটলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। এ ছাড়া, অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত ও সংবর্ধনা দেওয়ায় আমি অনেক খুশি।
বিজিবির ৫৯ ব্যাটলিয়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল কামাল হোসেন।
এ ছাড়া, আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. শাহাদাৎ হোসেন মাসুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল আসিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিজিবি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে সীমান্ত আইন অমান্য করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করে বিএসএফ। বিজিবির পক্ষ থেকে এ কাজে বাধা দেওয়া হলে চৌকা সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় মাটির বাঙ্কারে অবস্থান নেওয়া বিজিবি সদস্যদের পেছনে কাস্তে হাতে অবস্থান নেন স্থানীয় কৃষক বাবুল আলী। মুহূর্তেই ওই কৃষকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৫২
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা যশোর সদরের মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই কোটি ১১ লাখ দামের দুটি সোনার বারসহ দুজনকে আটক করেছেন। যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী সোনাসহ দুই যুবককে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ওইসময় ফরিদুল ইসলাম (২৮) ও মাহাফুজ আলম (৩১) নামে দুই যুবককে আটক করা হয়।
এরপর তল্লাশি করে তাদের প্যান্টের পকেটে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা সোনার ওজন ১ দশমিক ১৬৪ কেজি, যার বাজারমূল্য দুই কোটি ১১ লাখ লাখ ১৯ হাজার ২৪৪ টাকা।
আটক দুই যুবক বিজিবিকে জানান, ঢাকা থেকে যশোর ও চৌগাছা হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে সোনার বারগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকার চোরাকারবারিদের কাছ থেকে এগুলো সংগ্রহ করে চৌগাছার দিকে যাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, আটক ফরিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এবং মাহাফুজ আলম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে যশোর কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা যশোর সদরের মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই কোটি ১১ লাখ দামের দুটি সোনার বারসহ দুজনকে আটক করেছেন। যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী সোনাসহ দুই যুবককে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুরাদগড় বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ওইসময় ফরিদুল ইসলাম (২৮) ও মাহাফুজ আলম (৩১) নামে দুই যুবককে আটক করা হয়।
এরপর তল্লাশি করে তাদের প্যান্টের পকেটে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা সোনার ওজন ১ দশমিক ১৬৪ কেজি, যার বাজারমূল্য দুই কোটি ১১ লাখ লাখ ১৯ হাজার ২৪৪ টাকা।
আটক দুই যুবক বিজিবিকে জানান, ঢাকা থেকে যশোর ও চৌগাছা হয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে সোনার বারগুলো নিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকার চোরাকারবারিদের কাছ থেকে এগুলো সংগ্রহ করে চৌগাছার দিকে যাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, আটক ফরিদুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এবং মাহাফুজ আলম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে যশোর কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.