২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:১০
ফেনীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি মামলায় মো. হাসান (২২) নামে এক আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জুলাই যোদ্ধাসহ এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে মাথিয়ারা এলাকায় হারুনের পিংকি স্টোরে এলাকার কিশোর-যুবকরা টেলিভিশনে খেলা দেখে হৈ-হুল্লোড় করে। এতে বিরক্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী পল্লী চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম ভূঞা যুবকদেরকে হৈ-হুল্লোড় করতে বারণ করেন।
যুবকরা তার কথা না শোনায় তিনি ওই এলাকার ৪ যুবকের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের পর ১৮ আগস্ট রাতে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরেফিন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ কিশোর-যুবককে আটক করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৬ জনকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে সিএনজি অটোরিকশা চালক হানিফের ছেলে হাসানকে আগস্ট অভ্যুত্থানের আহতের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ১৮ আগস্ট আটকরা সবাই ক্রীড়াপ্রেমী। তারা ওই দোকানে সব সময় টিভিতে খেলা দেখে হৈ-হুল্লোড় করে, এটা ঠিক আছে। কিন্তু তারা কেউ এলাকার খারাপ ছেলে নয়। তাদেরকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হলেও শুধুমাত্র হাসানকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর ঘটনায় আমরা হতবাক।
হাসান আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিল। ২ আগস্ট সে তার ফেসবুক প্রোফাইল লাল করায় তাকে স্থানীয় যুবলীগ কর্মীরা মারধরের চেষ্টাও করেছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ও সে নানাভাবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছিল।
পার্শ্ববর্তী ধোনসাহাদ্দা এলাকার গ্যাজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা আদনান হোসেন অতুল জানান, হাসান আমার সঙ্গে বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন আন্দোলনে যুক্ত ছিল। ওই সময়ে আমরা নানা কর্মসূচিতে একসঙ্গে অংশ নিয়েছি। এলাকার সন্ত্রাসীদের ভয়ে তখন এগুলো আমরা কোথাও প্রচার করতাম না।
আমার সহযোদ্ধা হাসানকে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটি জুলাই আহত ব্যক্তির মামলার মেরিট নষ্ট করার ষড়যন্ত্র। এ মামলার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধাদের হয়রানি কোনোভাবে কাম্য নয়।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল হক বলেন, হাসানসহ যাদেরকে আটক করা হয়েছে; তারাতো খারাপ ছেলে নয়। তারা দোকানে খেলা দেখে চিৎকার; চেঁচামেছি করতো। এ ঘটনায় আটক করে অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানো দুঃখজনক।
ভুক্তভোগী হাসানের বাবা হানিফ বলেন, আমার ছেলেকে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চলতে দেখিনি। কোর্ট থেকে মামলার কাগজ তুলে দেখি, সেখানে আমার ছেলেকে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য বলে উল্লেখ করেছে। আমার ছেলে নাকি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় তাকিয়া রোডে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে।
এসব নাকি আমার ছেলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। সবই আমার ছেলেকে জেলে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের মিথ্যাচার। আমার অসুস্থ ছেলের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার করে হয়রানি করেছে, আমি তাদের বিচার চাই। আমার ছেলের মুক্তি চাই।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকালে আহত এক ব্যক্তির মামলার তদন্তে গ্রেফতার হাসানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ফলে তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এখানে কাউকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়নি।
ফেনীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি মামলায় মো. হাসান (২২) নামে এক আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জুলাই যোদ্ধাসহ এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে মাথিয়ারা এলাকায় হারুনের পিংকি স্টোরে এলাকার কিশোর-যুবকরা টেলিভিশনে খেলা দেখে হৈ-হুল্লোড় করে। এতে বিরক্ত হয়ে পার্শ্ববর্তী পল্লী চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম ভূঞা যুবকদেরকে হৈ-হুল্লোড় করতে বারণ করেন।
যুবকরা তার কথা না শোনায় তিনি ওই এলাকার ৪ যুবকের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের পর ১৮ আগস্ট রাতে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরেফিন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ কিশোর-যুবককে আটক করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৬ জনকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে সিএনজি অটোরিকশা চালক হানিফের ছেলে হাসানকে আগস্ট অভ্যুত্থানের আহতের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ১৮ আগস্ট আটকরা সবাই ক্রীড়াপ্রেমী। তারা ওই দোকানে সব সময় টিভিতে খেলা দেখে হৈ-হুল্লোড় করে, এটা ঠিক আছে। কিন্তু তারা কেউ এলাকার খারাপ ছেলে নয়। তাদেরকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হলেও শুধুমাত্র হাসানকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর ঘটনায় আমরা হতবাক।
হাসান আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপি ও ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিল। ২ আগস্ট সে তার ফেসবুক প্রোফাইল লাল করায় তাকে স্থানীয় যুবলীগ কর্মীরা মারধরের চেষ্টাও করেছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ও সে নানাভাবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছিল।
পার্শ্ববর্তী ধোনসাহাদ্দা এলাকার গ্যাজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা আদনান হোসেন অতুল জানান, হাসান আমার সঙ্গে বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন আন্দোলনে যুক্ত ছিল। ওই সময়ে আমরা নানা কর্মসূচিতে একসঙ্গে অংশ নিয়েছি। এলাকার সন্ত্রাসীদের ভয়ে তখন এগুলো আমরা কোথাও প্রচার করতাম না।
আমার সহযোদ্ধা হাসানকে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটি জুলাই আহত ব্যক্তির মামলার মেরিট নষ্ট করার ষড়যন্ত্র। এ মামলার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধাদের হয়রানি কোনোভাবে কাম্য নয়।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল হক বলেন, হাসানসহ যাদেরকে আটক করা হয়েছে; তারাতো খারাপ ছেলে নয়। তারা দোকানে খেলা দেখে চিৎকার; চেঁচামেছি করতো। এ ঘটনায় আটক করে অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানো দুঃখজনক।
ভুক্তভোগী হাসানের বাবা হানিফ বলেন, আমার ছেলেকে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চলতে দেখিনি। কোর্ট থেকে মামলার কাগজ তুলে দেখি, সেখানে আমার ছেলেকে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য বলে উল্লেখ করেছে। আমার ছেলে নাকি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় তাকিয়া রোডে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে।
এসব নাকি আমার ছেলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। সবই আমার ছেলেকে জেলে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের মিথ্যাচার। আমার অসুস্থ ছেলের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার করে হয়রানি করেছে, আমি তাদের বিচার চাই। আমার ছেলের মুক্তি চাই।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকালে আহত এক ব্যক্তির মামলার তদন্তে গ্রেফতার হাসানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ফলে তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এখানে কাউকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়নি।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩৮
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৫
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ আসার আগেই কোনোরকমে ঝটিকা মিছিল দিয়ে সটকে পড়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঝটিকা মিছিল করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শুরুর আগে কয়েকশ ব্যক্তি মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ছত্রভঙ্গ হয়ে অবস্থান নেন। পরে হঠাৎ স্লোগান দিতে দিতে তারা মহাসড়কে মিছিল শুরু করেন। কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিল থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এরপর মিছিলকারীরা প্রায় ২০-৩০ মিনিট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা সটকে পড়েন।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ আসার আগেই কোনোরকমে ঝটিকা মিছিল দিয়ে সটকে পড়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঝটিকা মিছিল করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শুরুর আগে কয়েকশ ব্যক্তি মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ছত্রভঙ্গ হয়ে অবস্থান নেন। পরে হঠাৎ স্লোগান দিতে দিতে তারা মহাসড়কে মিছিল শুরু করেন। কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিল থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এরপর মিছিলকারীরা প্রায় ২০-৩০ মিনিট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা সটকে পড়েন।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৪৮
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় কাঁচা মরিচবাহী ট্রাক থেকে একটি এয়ার পিস্তল ও ৯৩ রাউন্ড এয়ার পেলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেনাপোল আইসিপির মেইন গেটে ভারতীয় ট্রাকে তল্লাশি শেষে তাদের আটক করা হয়। আটক দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন, ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিতুল জেলার চন্দ্রশিকড় ওয়ার্ডের জাস পাল সালুজার ছেলে ট্রাকচালক গুরজীত সালুজা (৩১) ও ট্রাকের হেল্পার ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিতুল জেলার চন্দ্রশিকড় ওয়ার্ডের মালকিয়া নাওয়াদির ছেলে রাম দাস নাওয়াদি (২৪)।
বিজিবি জানায়, সীমান্ত মেইন পিলার ১৮/৩ এস থেকে প্রায় ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি ভারতীয় ট্রাক তল্লাশি করে বিজিবি। এ সময় কাঁচা মরিচবাহী ওই ট্রাক থেকে অস্ত্র সাদৃশ্য এয়ার পিস্তল ও পেলেট উদ্ধার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে যশোর ঝুমঝুমপুর বিজিবির সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় ট্রাকটি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে একটি এয়ার পিস্তল ও কিছু গুলি জব্দ করা হয়েছে।
বেনাপোল আইসিপিতে নিয়মিত টহল ও তল্লাশির অংশ হিসেবে ভারতীয় ট্রাক থেকে এয়ার পিস্তল ও পেলেট জব্দসহ দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র বা এ ধরনের পণ্য আনার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। আটক ব্যক্তিদের ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় কাঁচা মরিচবাহী ট্রাক থেকে একটি এয়ার পিস্তল ও ৯৩ রাউন্ড এয়ার পেলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেনাপোল আইসিপির মেইন গেটে ভারতীয় ট্রাকে তল্লাশি শেষে তাদের আটক করা হয়। আটক দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন, ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিতুল জেলার চন্দ্রশিকড় ওয়ার্ডের জাস পাল সালুজার ছেলে ট্রাকচালক গুরজীত সালুজা (৩১) ও ট্রাকের হেল্পার ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিতুল জেলার চন্দ্রশিকড় ওয়ার্ডের মালকিয়া নাওয়াদির ছেলে রাম দাস নাওয়াদি (২৪)।
বিজিবি জানায়, সীমান্ত মেইন পিলার ১৮/৩ এস থেকে প্রায় ১০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি ভারতীয় ট্রাক তল্লাশি করে বিজিবি। এ সময় কাঁচা মরিচবাহী ওই ট্রাক থেকে অস্ত্র সাদৃশ্য এয়ার পিস্তল ও পেলেট উদ্ধার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে যশোর ঝুমঝুমপুর বিজিবির সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় ট্রাকটি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে একটি এয়ার পিস্তল ও কিছু গুলি জব্দ করা হয়েছে।
বেনাপোল আইসিপিতে নিয়মিত টহল ও তল্লাশির অংশ হিসেবে ভারতীয় ট্রাক থেকে এয়ার পিস্তল ও পেলেট জব্দসহ দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র বা এ ধরনের পণ্য আনার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। আটক ব্যক্তিদের ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:১৯
রাজবাড়ীর কালুখালীতে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল রেসিং করতে গিয়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাংলাদেশ হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের ঘিকমলা এলাকার মো. বক্কারের ছেলে আরিফ ওরফে কাজল (২২) ও পাংশা পৌরসভার পালপাড়া এলাকার অসিত বিশ্বাসের ছেলে স্বাধীন বিশ্বাস (১৭)।
এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে পাংশা পৌরসভার পালপাড়া এলাকার মৃত- মজিবর রহমানের ছেলে শাওন (২১)। তবে পালপাড়ার জয়পদেবের ছেলে দীপ (২১) অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে চার বন্ধু পাংশা থেকে রাজবাড়ী এবং রাজবাড়ী থেকে পাংশা পর্যন্ত রেসিং করছিল। শেষবার তারা কালুখালীর দিক থেকে পাংশা আশার পথে বাংলাদেশ হাট নামক এলাকায় আসলে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ লাগে। এ সময় তারা সড়কে ছিটকে পড়লে অজ্ঞাত গাড়ির নিয়ে তিনজন চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয়। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে পাংশা হাইওয়ে থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে। এ সময় অজ্ঞাত দ্রুত গতির গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাজবাড়ীর কালুখালীতে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল রেসিং করতে গিয়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাংলাদেশ হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের ঘিকমলা এলাকার মো. বক্কারের ছেলে আরিফ ওরফে কাজল (২২) ও পাংশা পৌরসভার পালপাড়া এলাকার অসিত বিশ্বাসের ছেলে স্বাধীন বিশ্বাস (১৭)।
এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে পাংশা পৌরসভার পালপাড়া এলাকার মৃত- মজিবর রহমানের ছেলে শাওন (২১)। তবে পালপাড়ার জয়পদেবের ছেলে দীপ (২১) অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে চার বন্ধু পাংশা থেকে রাজবাড়ী এবং রাজবাড়ী থেকে পাংশা পর্যন্ত রেসিং করছিল। শেষবার তারা কালুখালীর দিক থেকে পাংশা আশার পথে বাংলাদেশ হাট নামক এলাকায় আসলে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ লাগে। এ সময় তারা সড়কে ছিটকে পড়লে অজ্ঞাত গাড়ির নিয়ে তিনজন চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয়। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে পাংশা হাইওয়ে থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে। এ সময় অজ্ঞাত দ্রুত গতির গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.