
२७ মে, २০२५ १५:५९
ভুটানের উইমেন্স ন্যাশনাল লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পারো এফসির ২৮-০ ব্যবধানের জয়ে বাংলাদেশের সাবিনা খাতুনের গোল ছিল ৯টি। সাবিনা খাতুনকে জর্ডান সফরের দলে না রাখার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পারো এফসির ওই ম্যাচটি সামনে এনে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার ভুটানের লিগের মান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
শুধু প্রশ্নই তোলেননি পিটার বাটলার, ভুটানের লিগ নিয়ে রসিকতাও করেছেন তিনি। নারী ফুটবল দল নিয়ে জর্ডান যাওয়ার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণকে দেখিয়ে পিটার মন্তব্য করেছেন, ‘ভুটানের নারী ফুটবল লিগ কোনো লিগের মধ্যেই পড়ে না। ওই লিগে মিস কিরণও সেন্টার পজিশনে খেলার যোগ্যতা রাখেন।’
ভুটানের উইমেন্স ন্যাশনাল লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পারো এফসির ২৮-০ ব্যবধানের জয়ে বাংলাদেশের সাবিনা খাতুনের গোল ছিল ৯টি। সাবিনা খাতুনকে জর্ডান সফরের দলে না রাখার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পারো এফসির ওই ম্যাচটি সামনে এনে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার ভুটানের লিগের মান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
শুধু প্রশ্নই তোলেননি পিটার বাটলার, ভুটানের লিগ নিয়ে রসিকতাও করেছেন তিনি। নারী ফুটবল দল নিয়ে জর্ডান যাওয়ার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণকে দেখিয়ে পিটার মন্তব্য করেছেন, ‘ভুটানের নারী ফুটবল লিগ কোনো লিগের মধ্যেই পড়ে না। ওই লিগে মিস কিরণও সেন্টার পজিশনে খেলার যোগ্যতা রাখেন।’

१२ ডিসেম্বর, २০२५ १२:३५
আর্শদিপের লজ্জার রেকর্ড; এক ওভারে ১৩ বল, ৭টিই ওয়াইড
ভারতকে ৫১ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেই ম্যাচে অস্বস্তিকর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভারতের পেসার আর্শদিপ সিং। নিউ চান্ডিগাড়ে বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি করেন এক অবিশ্বাস্য ১৩ বলের ওভার, যেখানে দেন ৭টি ওয়াইড।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের একাদশ ওভারে প্রথম বলেই ছক্কা খান আর্শদিপ। স্লট পাওয়া বলটি লং অফের ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান কুইন্টন ডি কক। এরপর যেন লাইন-লেন্থই হারিয়ে ফেলেন ২৬ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার। ছক্কার পর টানা দুটি ওয়াইড, একটি লিগ্যাল ডেলিভারির পর আবার টানা চারটি ওয়াইড। মোট সাতটি ওয়াইডে জর্জরিত হতে থাকে ওভারটি।
এরপর পরের তিন বলে আসে চার রান। শেষ দুই বল—একটি ওয়াইড ও একটি সিঙ্গলে—শেষ হয় ১৩ বলে গড়া ওভার। এক ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরকার্ডে যোগ হয় ১৮ রান।
এই ওভার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ওভারে সর্বাধিক বল করার যৌথ রেকর্ড। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩ বলের ওভার করেছিলেন আফগানিস্তানের নাভিন উল হক। তাদের পরেই আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সিসান্ডা মাগালা, যিনি ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১২ বলের এক ওভার।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এতদিন দীর্ঘ ওভারের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে হার্দিক পান্ডিয়া ও খালিল আহমেদের (১১ বল)। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আর্শদিপের নাম। এর আগে তার সর্বোচ্চ ছিল ১০ বলের ওভার—২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ২০২৪ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
পাওয়ার প্লেতে দুই ওভারে ২০ রান দেওয়া আর্শদিপ এই এক ওভারেই খরচ করেন ১৮ রান। শেষ পর্যন্ত চার ওভারে ৫৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।
ডি ককের ৪৬ বলে ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, সঙ্গে ডনোভান ফেরেইরা (১৬ বলে ৩০*) ও ডেভিড মিলারের (১২ বলে ২০*) সংক্ষিপ্ত ঝড়ে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৩ রানের বড় স্কোর তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

२५ নভেম্বর, २০२५ १२:२६
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অদ্ভুত এক ঘটনার জন্ম দিলেন এভারটনের ইদ্রিসা গুয়ে। ম্যাচের মাত্র ১৩তম মিনিটে নিজ দলের সঙ্গী মাইকেল কিনের মুখে চড় মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সেনেগালের এই মিডফিল্ডার।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি তখনো গোলশূন্য। ব্রুনো ফার্নান্দেসের একটি প্রচেষ্টা বাইরে যাওয়ার পরই হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এভারটন শিবিরে।
‘সম্ভবত’ রক্ষণে বল ক্লিয়ার করতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কিতে জড়ান কিন ও গুয়ে। কিন দু’বার গুয়েকে সরিয়ে দেওয়ার পরই তাকে চড় মেরে বসেন গুয়ে।
ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দুজনকে আলাদা করেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। রেফারি টনি হ্যারিংটনও ছিলেন পুরো ঘটনার সরাসরি সামনে।
তাই সিদ্ধান্তে খুব একটা দ্বিধা দেখা যায়নি—সরাসরি লাল কার্ড। পরে ভিএআরের নিশ্চিতকরণও আসে, এ আচরণ স্পষ্টই ‘সহিংসতা’।
ঘটনার পর ম্যাচশেষে ড্রেসিংরুমে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চান গুয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ক্ষমাপ্রার্থনা করে লেখেন, ‘এটা আমার চরিত্র নয়… আর কখনো এমন হবে না।
’ ডেভিড মোয়েস জানিয়েছেন, সতীর্থদের সামনে দাঁড়িয়ে দুঃখ প্রকাশ করায় গুয়েকে হাততালি দিয়ে সমর্থন দিয়েছে দল।
তবে ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিমের মতে, বিষয়টি লাল কার্ডের মতো গুরুতর ছিল না। ‘সতীর্থদের সঙ্গে ঝগড়া হতেই পারে,’ মন্তব্য তার।
অপটা জানায়, ২০০০–০১ মৌসুমের পর এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার কোনো খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগে নিজের সহখেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে লাল কার্ড দেখলেন। এর আগে বিখ্যাত বাউয়ার–ডায়ার (২০০৫) ও ফুলার–গ্রিফিন (২০০৮) ঘটনার নজির রয়েছে।
১০ জনের দল নিয়েও শেষ পর্যন্ত ১–০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এভারটন। ২৯তম মিনিটে দলের একমাত্র গোল করেন কিয়ারনান ডিউসবেরি-হল। ম্যাচের নায়কও ঘটনাটিকে ‘এক মুহূর্তের উন্মাদনা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২তম স্থানে উঠে এসেছে এভারটন। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট ও গোল ব্যাবধান নিয়ে ১১তম স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

२२ নভেম্বর, २০२५ १३:१३
ম্যাচের শুরুতে উজ্জ্বল ছিল থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ছিল কিছুটা মন্থর। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গুছিয়ে উঠল স্বাগতিকরা। লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করা বাংলাদেশ উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে নিশ্চিত করল নারী কাবাডি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের টিকিট, নিশ্চিত হল নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসে দেশের প্রথম পদকও।
ঢাকায় চলমান আসরের শুরু থেকেই পদকের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের মাধ্যমে সেমিফাইনাল এবং পদক নিশ্চিত করার পর লাল-সবুজ শিবিরে ছিল উচ্ছ্বাস। দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিলেন লাল-সবুজ পতাকা নেড়ে।
থাইল্যান্ড টস জিতে রেইড বেছে নেয়। থানিয়ালাক বেনরিথ বোনাস পয়েন্ট নিয়ে শুরু করেন।
দ্বিতীয় রেইড থেকে শ্রাবণী মল্লিক বাংলাদেশকে প্রথম পয়েন্ট এনে দেন—ওটা ছিল বোনাস পয়েন্ট। পরের রেইডে শ্রাবণী একজনকে আউট করেন। শুরু থেকে এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমবারের মতো লিড এনে দেন মেইবি চাকমা। ম্যাচ চলতে থাকে সমান তালে—রেখা আক্তারি ট্যাকল করতে গিয়ে পয়েন্ট দেন, ফিরতি রেইড থেকে পয়েন্ট নিয়ে আসেন বৃষ্টি বিশ্বাস।
নবম মিনিটে ইনজুরি নিয়ে ম্যাট ছাড়েন বাংলাদেশি রেইডার শ্রাবণী মল্লিক। ১১-১১ সমতা থেকে বৃষ্টি এক রেইডে দুইজনকে আউট করেন, লিড পায় বাংলাদেশ। ১৪-১২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতির পর দ্রুতই প্রতিপক্ষকে অলআউট করে বাংলাদেশ, এগিয়ে যায় ১৮-১৩ পয়েন্টে। সময়ের সঙ্গে অধিপত্য বাড়তে থাকে বাংলাদেশের।
এই সময় রেইড এবং ট্যাকল—দুই বিভাগেই দারুণ নৈপুণ্য দেখায় লাল-সবুজরা। দ্বিতীয়বারের মতো থাইল্যান্ডকে অলআউট করে ৩১-১৮ পয়েন্টে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। শেষদিকে থাইল্যান্ড মরিয়া হয়ে লড়াই করেছে বটে, তা হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে। ৪০-৩১ পয়েন্টের জয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো পদক নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
আর্শদিপের লজ্জার রেকর্ড; এক ওভারে ১৩ বল, ৭টিই ওয়াইড
ভারতকে ৫১ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেই ম্যাচে অস্বস্তিকর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভারতের পেসার আর্শদিপ সিং। নিউ চান্ডিগাড়ে বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি করেন এক অবিশ্বাস্য ১৩ বলের ওভার, যেখানে দেন ৭টি ওয়াইড।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের একাদশ ওভারে প্রথম বলেই ছক্কা খান আর্শদিপ। স্লট পাওয়া বলটি লং অফের ওপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান কুইন্টন ডি কক। এরপর যেন লাইন-লেন্থই হারিয়ে ফেলেন ২৬ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার। ছক্কার পর টানা দুটি ওয়াইড, একটি লিগ্যাল ডেলিভারির পর আবার টানা চারটি ওয়াইড। মোট সাতটি ওয়াইডে জর্জরিত হতে থাকে ওভারটি।
এরপর পরের তিন বলে আসে চার রান। শেষ দুই বল—একটি ওয়াইড ও একটি সিঙ্গলে—শেষ হয় ১৩ বলে গড়া ওভার। এক ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরকার্ডে যোগ হয় ১৮ রান।
এই ওভার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ওভারে সর্বাধিক বল করার যৌথ রেকর্ড। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩ বলের ওভার করেছিলেন আফগানিস্তানের নাভিন উল হক। তাদের পরেই আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সিসান্ডা মাগালা, যিনি ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১২ বলের এক ওভার।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এতদিন দীর্ঘ ওভারের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে হার্দিক পান্ডিয়া ও খালিল আহমেদের (১১ বল)। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আর্শদিপের নাম। এর আগে তার সর্বোচ্চ ছিল ১০ বলের ওভার—২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ২০২৪ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
পাওয়ার প্লেতে দুই ওভারে ২০ রান দেওয়া আর্শদিপ এই এক ওভারেই খরচ করেন ১৮ রান। শেষ পর্যন্ত চার ওভারে ৫৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।
ডি ককের ৪৬ বলে ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস, সঙ্গে ডনোভান ফেরেইরা (১৬ বলে ৩০*) ও ডেভিড মিলারের (১২ বলে ২০*) সংক্ষিপ্ত ঝড়ে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৩ রানের বড় স্কোর তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অদ্ভুত এক ঘটনার জন্ম দিলেন এভারটনের ইদ্রিসা গুয়ে। ম্যাচের মাত্র ১৩তম মিনিটে নিজ দলের সঙ্গী মাইকেল কিনের মুখে চড় মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সেনেগালের এই মিডফিল্ডার।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি তখনো গোলশূন্য। ব্রুনো ফার্নান্দেসের একটি প্রচেষ্টা বাইরে যাওয়ার পরই হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এভারটন শিবিরে।
‘সম্ভবত’ রক্ষণে বল ক্লিয়ার করতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কিতে জড়ান কিন ও গুয়ে। কিন দু’বার গুয়েকে সরিয়ে দেওয়ার পরই তাকে চড় মেরে বসেন গুয়ে।
ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দুজনকে আলাদা করেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। রেফারি টনি হ্যারিংটনও ছিলেন পুরো ঘটনার সরাসরি সামনে।
তাই সিদ্ধান্তে খুব একটা দ্বিধা দেখা যায়নি—সরাসরি লাল কার্ড। পরে ভিএআরের নিশ্চিতকরণও আসে, এ আচরণ স্পষ্টই ‘সহিংসতা’।
ঘটনার পর ম্যাচশেষে ড্রেসিংরুমে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চান গুয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ক্ষমাপ্রার্থনা করে লেখেন, ‘এটা আমার চরিত্র নয়… আর কখনো এমন হবে না।
’ ডেভিড মোয়েস জানিয়েছেন, সতীর্থদের সামনে দাঁড়িয়ে দুঃখ প্রকাশ করায় গুয়েকে হাততালি দিয়ে সমর্থন দিয়েছে দল।
তবে ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিমের মতে, বিষয়টি লাল কার্ডের মতো গুরুতর ছিল না। ‘সতীর্থদের সঙ্গে ঝগড়া হতেই পারে,’ মন্তব্য তার।
অপটা জানায়, ২০০০–০১ মৌসুমের পর এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার কোনো খেলোয়াড় প্রিমিয়ার লিগে নিজের সহখেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে লাল কার্ড দেখলেন। এর আগে বিখ্যাত বাউয়ার–ডায়ার (২০০৫) ও ফুলার–গ্রিফিন (২০০৮) ঘটনার নজির রয়েছে।
১০ জনের দল নিয়েও শেষ পর্যন্ত ১–০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এভারটন। ২৯তম মিনিটে দলের একমাত্র গোল করেন কিয়ারনান ডিউসবেরি-হল। ম্যাচের নায়কও ঘটনাটিকে ‘এক মুহূর্তের উন্মাদনা’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২তম স্থানে উঠে এসেছে এভারটন। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট ও গোল ব্যাবধান নিয়ে ১১তম স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ম্যাচের শুরুতে উজ্জ্বল ছিল থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ছিল কিছুটা মন্থর। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গুছিয়ে উঠল স্বাগতিকরা। লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করা বাংলাদেশ উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে নিশ্চিত করল নারী কাবাডি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের টিকিট, নিশ্চিত হল নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসে দেশের প্রথম পদকও।
ঢাকায় চলমান আসরের শুরু থেকেই পদকের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের মাধ্যমে সেমিফাইনাল এবং পদক নিশ্চিত করার পর লাল-সবুজ শিবিরে ছিল উচ্ছ্বাস। দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিলেন লাল-সবুজ পতাকা নেড়ে।
থাইল্যান্ড টস জিতে রেইড বেছে নেয়। থানিয়ালাক বেনরিথ বোনাস পয়েন্ট নিয়ে শুরু করেন।
দ্বিতীয় রেইড থেকে শ্রাবণী মল্লিক বাংলাদেশকে প্রথম পয়েন্ট এনে দেন—ওটা ছিল বোনাস পয়েন্ট। পরের রেইডে শ্রাবণী একজনকে আউট করেন। শুরু থেকে এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমবারের মতো লিড এনে দেন মেইবি চাকমা। ম্যাচ চলতে থাকে সমান তালে—রেখা আক্তারি ট্যাকল করতে গিয়ে পয়েন্ট দেন, ফিরতি রেইড থেকে পয়েন্ট নিয়ে আসেন বৃষ্টি বিশ্বাস।
নবম মিনিটে ইনজুরি নিয়ে ম্যাট ছাড়েন বাংলাদেশি রেইডার শ্রাবণী মল্লিক। ১১-১১ সমতা থেকে বৃষ্টি এক রেইডে দুইজনকে আউট করেন, লিড পায় বাংলাদেশ। ১৪-১২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতির পর দ্রুতই প্রতিপক্ষকে অলআউট করে বাংলাদেশ, এগিয়ে যায় ১৮-১৩ পয়েন্টে। সময়ের সঙ্গে অধিপত্য বাড়তে থাকে বাংলাদেশের।
এই সময় রেইড এবং ট্যাকল—দুই বিভাগেই দারুণ নৈপুণ্য দেখায় লাল-সবুজরা। দ্বিতীয়বারের মতো থাইল্যান্ডকে অলআউট করে ৩১-১৮ পয়েন্টে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। শেষদিকে থাইল্যান্ড মরিয়া হয়ে লড়াই করেছে বটে, তা হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে। ৪০-৩১ পয়েন্টের জয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো পদক নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০