২১ জুলাই, ২০২৫ ২০:৫১
বরিশালের হিজলা উপজেলার তৎকালীন কুচাই পট্টি ইউনিয়নের এক ভূমি খেকো চক্রের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে ভুক্তভোগী কৃষকদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১২ টায় হিজলা উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষে, হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মোঃ মাহফুজ মাতাব্বর।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মোঃ মাহফুজ মাতাব্বর বলেন, হিজলা উপজেলার তৎকালীন হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের চরবিশকাঠালী মৌজার যাহার সিট নং ৪,জে এল নং ১৯ বর্তমানে যাহার অবস্থান তৎকালীন হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নে বর্তমান শরিয়তপুরের কুচাইপট্টি ইউনিয়নে। এই জমিটি ১৯৯১-১৯৯৩ সালে বিভিন্ন অসহায় শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে তৎকালীন বরিশাল জেলা প্রশাসক বন্দোবস্ত ব্যবস্থা করে দেন। সে সময় থেকে আমরা সরকারের সেলামি ও খাজনা প্রদান করে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে কুচাইপট্টি ইউনিয়নের কিছু ভাসমান ভূমিদস্যু জোর জবরদস্তি ভোগদখল করে আসছে।
কৃষকদের দাবি, তারা ২০০৮ সাল আগ পর্যন্ত ওই জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুরা তাদের জমি দখল করে নেয়।
বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ক্ষমতা প্রভাব ও প্রতিপত্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে মোঃ আবুল হাশেম বেপারীর ছেলে,কুচাইপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ভূমিদস্যু খোকন (খোকা)বেপারী, যিনি কচাইপট্টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, শরিয়তপুর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন স্বপন'র ভাই।
এই ভূমিদস্যু তার ভাইয়ের ক্ষমতায় আওয়ামী আমলে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত আমাদের প্রায় ৬০০ একর মত জমি ভোগ দখল করেছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে ২৪ এর জুলাই বিপ্লব আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরও স্থানীয় প্রভাবশালী সুমন মৃধা এর কারনে আমরা ভুক্তভোগী কৃষকরা আমাদের স্বীয় জমি ভোগ দখল করতে পারছি না। জমি থেকে প্রায় রাতেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এই প্রভাবশালীরা।
হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া গ্রামের আবুল হাসেম দাবি করেন, “পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, কিন্তু ১৭ বছরেও কোন সমাধান পাইনি।”
তার মতে, খোকা বেপারী সাথে কথাবার্তার সময়, রহস্যজনক কারণে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরেক ভুক্তভোগী কৃষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত জমির কাছে যেতে পারিনি। জমির কাছে গেলে আমাদের প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে।"
বর্তমানে খোকা বেপারী জমির কিছু অংশ ছাড়তে চাইলেও স্থানীয় প্রভাবশালী সুমন মৃধা সেই জমি নিজের কব্জায় নিতে চাইছেন।"
ভুক্তভোগী কৃষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাজাহান সরদার, নান্নু খান, সেকান্দার সরদার, রাহেলা বেগম, মন্নান খান সহ অন্যান্যরা।ভুক্তভোগী কৃষকরা তাদের জমি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসন ও সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বরিশালের হিজলা উপজেলার তৎকালীন কুচাই পট্টি ইউনিয়নের এক ভূমি খেকো চক্রের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে ভুক্তভোগী কৃষকদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১২ টায় হিজলা উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষে, হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মোঃ মাহফুজ মাতাব্বর।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মোঃ মাহফুজ মাতাব্বর বলেন, হিজলা উপজেলার তৎকালীন হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের চরবিশকাঠালী মৌজার যাহার সিট নং ৪,জে এল নং ১৯ বর্তমানে যাহার অবস্থান তৎকালীন হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নে বর্তমান শরিয়তপুরের কুচাইপট্টি ইউনিয়নে। এই জমিটি ১৯৯১-১৯৯৩ সালে বিভিন্ন অসহায় শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে তৎকালীন বরিশাল জেলা প্রশাসক বন্দোবস্ত ব্যবস্থা করে দেন। সে সময় থেকে আমরা সরকারের সেলামি ও খাজনা প্রদান করে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে কুচাইপট্টি ইউনিয়নের কিছু ভাসমান ভূমিদস্যু জোর জবরদস্তি ভোগদখল করে আসছে।
কৃষকদের দাবি, তারা ২০০৮ সাল আগ পর্যন্ত ওই জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুরা তাদের জমি দখল করে নেয়।
বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ক্ষমতা প্রভাব ও প্রতিপত্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে মোঃ আবুল হাশেম বেপারীর ছেলে,কুচাইপট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ভূমিদস্যু খোকন (খোকা)বেপারী, যিনি কচাইপট্টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, শরিয়তপুর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন স্বপন'র ভাই।
এই ভূমিদস্যু তার ভাইয়ের ক্ষমতায় আওয়ামী আমলে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত আমাদের প্রায় ৬০০ একর মত জমি ভোগ দখল করেছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে ২৪ এর জুলাই বিপ্লব আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরও স্থানীয় প্রভাবশালী সুমন মৃধা এর কারনে আমরা ভুক্তভোগী কৃষকরা আমাদের স্বীয় জমি ভোগ দখল করতে পারছি না। জমি থেকে প্রায় রাতেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এই প্রভাবশালীরা।
হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া গ্রামের আবুল হাসেম দাবি করেন, “পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, কিন্তু ১৭ বছরেও কোন সমাধান পাইনি।”
তার মতে, খোকা বেপারী সাথে কথাবার্তার সময়, রহস্যজনক কারণে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আরেক ভুক্তভোগী কৃষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত জমির কাছে যেতে পারিনি। জমির কাছে গেলে আমাদের প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে।"
বর্তমানে খোকা বেপারী জমির কিছু অংশ ছাড়তে চাইলেও স্থানীয় প্রভাবশালী সুমন মৃধা সেই জমি নিজের কব্জায় নিতে চাইছেন।"
ভুক্তভোগী কৃষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাজাহান সরদার, নান্নু খান, সেকান্দার সরদার, রাহেলা বেগম, মন্নান খান সহ অন্যান্যরা।ভুক্তভোগী কৃষকরা তাদের জমি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসন ও সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪১
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.