
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:১০
বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি পাওয়া যাচ্ছে এখন দুবাইয়ে। এক কাপের দাম প্রায় ৯৮০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩ হাজার ৬০০ দিরহাম), বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ টাকারও বেশি।
পানামা থেকে আনা বিশেষ কফি বিন দিয়ে তৈরি এই পানীয়টি বিক্রি হচ্ছে ‘জুলিথ’ নামে একটি ক্যাফেতে। ক্যাফের সহপ্রতিষ্ঠাতা সারকান সাগসোজ সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিওতে বলেন, ‘অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো। বিশ্বের সবচেয়ে প্রশংসিত এবং সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত কফি এখন জুলিথে পাওয়া যাচ্ছে।’
দুবাইয়ের একটি শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত এই ক্যাফে প্রায় ৪০০ কাপ কফি পরিবেশন করবে বলে জানিয়েছেন সাগসোজ। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করেছি, দুবাই আমাদের এই বিনিয়োগের জন্য একদম উপযুক্ত জায়গা।’
এই বিলাসবহুল কফির স্বাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এতে আছে সাদা ফুলের মতো সুবাস, সাইট্রাস ফলের মতো ঝাঁঝালো স্বাদ—যেমন কমলা ও বার্গামট, সঙ্গে এপ্রিকট ও পিচের আভাস। এর মাধুর্য মধুর মতো, সূক্ষ্ম ও কোমল।’
পানামায় এক নিলাম থেকে এই কফির বিন কেনা হয়েছে। প্রায় ২০ কিলোগ্রাম ‘নিডো ৭ গেইশা’ নামে এই কফি বিনের জন্য জুলিথকে গুনতে হয়েছে প্রায় ২২ লাখ দিরহাম (৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা প্রায়)। এটি এখন পর্যন্ত কফি বিনের সর্বোচ্চ ক্রয়মূল্য বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
দুবাইয়ের আগের বিশ্বরেকর্ড ছিল এক কাপ কফির দাম ২ হাজার ৫০০ দিরহাম (প্রায় ৮৩ হাজার টাকা), যা গত মাসে ‘রোস্টার্স’ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান বিক্রি করেছিল। নতুন রেকর্ডকে শহরের বিলাসী জীবনযাপনের প্রতীক হিসেবেই দেখছেন স্থানীয়রা।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য, কিন্তু একই সঙ্গে, এটা তো দুবাই!’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘ধনীদের জন্য এটা শুধু আরেকটা নতুন অভিজ্ঞতা, যা তারা নিয়ে গর্ব করতে পারে।’
‘নিডো ৭ গেইশা’ বিন উৎপাদিত হয় পানামার বারু আগ্নেয়গিরির পাদদেশে একটি খামারে। জুলিথ জানিয়েছে, তারা এই কফি বিন কেবল সীমিত পরিমাণে পরিবেশন করবে। এর একটি ক্ষুদ্র অংশ সংরক্ষিত থাকবে দুবাইয়ের শাসক পরিবারের জন্য।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি পাওয়া যাচ্ছে এখন দুবাইয়ে। এক কাপের দাম প্রায় ৯৮০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩ হাজার ৬০০ দিরহাম), বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ টাকারও বেশি।
পানামা থেকে আনা বিশেষ কফি বিন দিয়ে তৈরি এই পানীয়টি বিক্রি হচ্ছে ‘জুলিথ’ নামে একটি ক্যাফেতে। ক্যাফের সহপ্রতিষ্ঠাতা সারকান সাগসোজ সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিওতে বলেন, ‘অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো। বিশ্বের সবচেয়ে প্রশংসিত এবং সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত কফি এখন জুলিথে পাওয়া যাচ্ছে।’
দুবাইয়ের একটি শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত এই ক্যাফে প্রায় ৪০০ কাপ কফি পরিবেশন করবে বলে জানিয়েছেন সাগসোজ। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করেছি, দুবাই আমাদের এই বিনিয়োগের জন্য একদম উপযুক্ত জায়গা।’
এই বিলাসবহুল কফির স্বাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এতে আছে সাদা ফুলের মতো সুবাস, সাইট্রাস ফলের মতো ঝাঁঝালো স্বাদ—যেমন কমলা ও বার্গামট, সঙ্গে এপ্রিকট ও পিচের আভাস। এর মাধুর্য মধুর মতো, সূক্ষ্ম ও কোমল।’
পানামায় এক নিলাম থেকে এই কফির বিন কেনা হয়েছে। প্রায় ২০ কিলোগ্রাম ‘নিডো ৭ গেইশা’ নামে এই কফি বিনের জন্য জুলিথকে গুনতে হয়েছে প্রায় ২২ লাখ দিরহাম (৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা প্রায়)। এটি এখন পর্যন্ত কফি বিনের সর্বোচ্চ ক্রয়মূল্য বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
দুবাইয়ের আগের বিশ্বরেকর্ড ছিল এক কাপ কফির দাম ২ হাজার ৫০০ দিরহাম (প্রায় ৮৩ হাজার টাকা), যা গত মাসে ‘রোস্টার্স’ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান বিক্রি করেছিল। নতুন রেকর্ডকে শহরের বিলাসী জীবনযাপনের প্রতীক হিসেবেই দেখছেন স্থানীয়রা।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য, কিন্তু একই সঙ্গে, এটা তো দুবাই!’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘ধনীদের জন্য এটা শুধু আরেকটা নতুন অভিজ্ঞতা, যা তারা নিয়ে গর্ব করতে পারে।’
‘নিডো ৭ গেইশা’ বিন উৎপাদিত হয় পানামার বারু আগ্নেয়গিরির পাদদেশে একটি খামারে। জুলিথ জানিয়েছে, তারা এই কফি বিন কেবল সীমিত পরিমাণে পরিবেশন করবে। এর একটি ক্ষুদ্র অংশ সংরক্ষিত থাকবে দুবাইয়ের শাসক পরিবারের জন্য।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২১:৪১
সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবকাঠামোত লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করা হবে বলে এর আগে কয়েকটি জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দখলদাররা। এরপর সিরিজ হামলা শুরু হয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের আয়তা আল-জাবাল, তায়বেহ এবং তায়ের দেব্বাতে তারা হামলা শুরু করেছে।
এর কিছুক্ষণ পর দক্ষিণ লেবাননেরই জাওতার-আল-শারকিয়া শহরের এক জায়গার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তারা। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে হামলা শুরু হয়।
২০২৪ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। তা সত্ত্বেও লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় হামলা অব্যাহত রাখে তারা। যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৩৫০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। গতকালও হিজবুল্লাহর এলিট রেদওয়ান ফোর্সের এক কমান্ডারকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় তারা।
হিজবুল্লাহ যেন সীমান্তে নিজেদের আর সংগঠিত করতে না পারে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে দখলদাররা। এছাড়া হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সমর্পণ করাতে লেবানন সরকারকে চাপ দিচ্ছে ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতির পর নিজেদের যোদ্ধাদের ওপর ইসরায়েল নিয়মিত হামলা চালিয়ে গেলেও হিজবুল্লাহ কোনো জবাব দেয়নি। তবে ইসরায়েল যেন চুক্তি মেনে চলে সেজন্য নিজ দেশের সরকারকে চাপ দিচ্ছে তারা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে এতে সংহতি জানিয়ে বিক্ষিপ্ত হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। কিন্তু ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ করে ইসরায়েল। এরপর গত বছরের শেষ দিকে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়।
সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবকাঠামোত লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করা হবে বলে এর আগে কয়েকটি জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দখলদাররা। এরপর সিরিজ হামলা শুরু হয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের আয়তা আল-জাবাল, তায়বেহ এবং তায়ের দেব্বাতে তারা হামলা শুরু করেছে।
এর কিছুক্ষণ পর দক্ষিণ লেবাননেরই জাওতার-আল-শারকিয়া শহরের এক জায়গার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তারা। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে হামলা শুরু হয়।
২০২৪ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। তা সত্ত্বেও লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় হামলা অব্যাহত রাখে তারা। যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ৩৫০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। গতকালও হিজবুল্লাহর এলিট রেদওয়ান ফোর্সের এক কমান্ডারকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় তারা।
হিজবুল্লাহ যেন সীমান্তে নিজেদের আর সংগঠিত করতে না পারে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে দখলদাররা। এছাড়া হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সমর্পণ করাতে লেবানন সরকারকে চাপ দিচ্ছে ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতির পর নিজেদের যোদ্ধাদের ওপর ইসরায়েল নিয়মিত হামলা চালিয়ে গেলেও হিজবুল্লাহ কোনো জবাব দেয়নি। তবে ইসরায়েল যেন চুক্তি মেনে চলে সেজন্য নিজ দেশের সরকারকে চাপ দিচ্ছে তারা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে এতে সংহতি জানিয়ে বিক্ষিপ্ত হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। কিন্তু ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ করে ইসরায়েল। এরপর গত বছরের শেষ দিকে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়।

০৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:০০
আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না হলে পরদিন থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে বলে জানিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান অবিনাশ অনুরাগ গত ৩১ অক্টোবর বিপিডিবির চেয়ারম্যানের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে জানানো হয়, বিপিডিবি এখনো ৪৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া পরিশোধ করেনি। যার মধ্যে ২৬২ মিলিয়ন ডলার বিপিডিবির নিজস্ব স্বীকৃত অপরিশোধিত বিল। যদি ১০ নভেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া পরিশোধ না করা হয়, তাহলে ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হব।
চিঠিতে বলা হয়, ধারাবাহিক যোগাযোগ ও একাধিক চিঠি পাঠানোর পরও (সর্বশেষ ২৭ অক্টোবরের চিঠিসহ) বিপিডিবি পাওনা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টের (পিপিএ) ১৩.২(i) (i) ও (ii) ধারার অধীনে এমন পরিস্থিতিতে সরবরাহ বন্ধ করার অধিকার কোম্পানির রয়েছে।
বিপিডিবি সূত্র বলছে, আদানির সঙ্গে তাদের বিদ্যুৎ কেনার চুক্তির প্রক্রিয়া তদন্ত করা হচ্ছে। পিডিবি বলছে, গত সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে একতরফা চুক্তির সুযোগ নিয়েছে আদানি। এ চুক্তির বৈধতা নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা বিচারাধীন। আদালতের আদেশে তদন্ত চলছে। এতে আদানিকে দেশি-বিদেশি আদালতে জবাবদিহি করার মতো তথ্য-প্রমাণ আসছে। এসব প্রমাণ আদালতে জমা দেওয়া হবে।
তারা বলছে, এ কারণে মধ্যস্থতার জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে অনুরোধ করে সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের রেজিস্ট্রারের কাছে ২ নভেম্বর একটি চিঠি পাঠিয়েছে পিডিবি। এর আগে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো চিঠিতে ৪৬৪ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানান।
বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিপিডিবি বর্তমানে সরকার গঠিত ন্যাশনাল রিভিউ কমিটি অন পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টস (পিপিএ)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে।
আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না হলে পরদিন থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে বলে জানিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান অবিনাশ অনুরাগ গত ৩১ অক্টোবর বিপিডিবির চেয়ারম্যানের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে জানানো হয়, বিপিডিবি এখনো ৪৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া পরিশোধ করেনি। যার মধ্যে ২৬২ মিলিয়ন ডলার বিপিডিবির নিজস্ব স্বীকৃত অপরিশোধিত বিল। যদি ১০ নভেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া পরিশোধ না করা হয়, তাহলে ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হব।
চিঠিতে বলা হয়, ধারাবাহিক যোগাযোগ ও একাধিক চিঠি পাঠানোর পরও (সর্বশেষ ২৭ অক্টোবরের চিঠিসহ) বিপিডিবি পাওনা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টের (পিপিএ) ১৩.২(i) (i) ও (ii) ধারার অধীনে এমন পরিস্থিতিতে সরবরাহ বন্ধ করার অধিকার কোম্পানির রয়েছে।
বিপিডিবি সূত্র বলছে, আদানির সঙ্গে তাদের বিদ্যুৎ কেনার চুক্তির প্রক্রিয়া তদন্ত করা হচ্ছে। পিডিবি বলছে, গত সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে একতরফা চুক্তির সুযোগ নিয়েছে আদানি। এ চুক্তির বৈধতা নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট মামলা বিচারাধীন। আদালতের আদেশে তদন্ত চলছে। এতে আদানিকে দেশি-বিদেশি আদালতে জবাবদিহি করার মতো তথ্য-প্রমাণ আসছে। এসব প্রমাণ আদালতে জমা দেওয়া হবে।
তারা বলছে, এ কারণে মধ্যস্থতার জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে অনুরোধ করে সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারের রেজিস্ট্রারের কাছে ২ নভেম্বর একটি চিঠি পাঠিয়েছে পিডিবি। এর আগে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো চিঠিতে ৪৬৪ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানান।
বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিপিডিবি বর্তমানে সরকার গঠিত ন্যাশনাল রিভিউ কমিটি অন পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টস (পিপিএ)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:৩৮
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লার নামের ওই আইপিএস কর্মকর্তাকে আটক করে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি ঘড়ি ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সিবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানিয়েছে, ভাল্লার একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মামলা নিষ্পত্তির কথা বলে ঘুষ দাবি করেন। তিনি কৃষ্ণা নামের এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে এ টাকা চেয়েছিলেন।
পাঞ্জাবের ফতেহগড় সাহিবের আকাশ বাট্টা নামের এক ব্যবসায়ী পাঁচ দিন আগে সিবিআইয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ডিআইজি ভাল্লার তাঁকে ব্যবসাসংক্রান্ত একটি ভুয়া মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ৮ লাখ রুপি দাবি করেছেন। সে সঙ্গে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও দাবি করেন ভাল্লার।
সিবিআইয়ের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ভাল্লার নির্দেশ দেন ঘুষের টাকা যেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা ফোনের কথোপকথনও রেকর্ড করেন। সেখানে কৃষ্ণাকে বলতে শোনা যায়—‘আগস্টের টাকা আসেনি, সেপ্টেম্বরের টাকাও আসেনি।’
এই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিবিআই চণ্ডীগড়ের সেক্টর-২১ এলাকায় একটি ফাঁদ পাতে। সেখানে কৃষ্ণাকে ৮ লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে সিবিআই। পরে ফোনকলে ডিআইজি ভাল্লার দুজনকে তাঁর অফিসে আসার নির্দেশ দেন। এর পরপরই সিবিআই দল মোহালিতে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ
গ্রেপ্তারের পর সিবিআই ভাল্লারের রোপার, মোহালি ও চণ্ডীগড়ে অবস্থিত বিভিন্ন বাসভবনে তল্লাশি চালায়। সেখানে তাঁর বিছানায় পাওয়া যায় প্রায় ৫ কোটি রুপি নগদ অর্থ, ১ দশমিক ৫ কেজি স্বর্ণ ও অলংকার, পাঞ্জাবজুড়ে একাধিক স্থাবর সম্পত্তির দলিল, মার্সিডিজ ও অডি গাড়ির চাবি, ২২টি বিলাসবহুল হাতঘড়ি, লকারের চাবি ও ৪০ লিটার আমদানি করা মদ। এ ছাড়া ডাবল ব্যারেল বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার, এয়ারগানসহ অস্ত্রভান্ডার।
অন্যদিকে কৃষ্ণার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত ২১ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে, দুজনকেই আগামীকাল শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। তদন্তকারীরা এখন সম্পদের পূর্ণ উৎস ও সম্ভাব্য মানি লন্ডারিংয়ের যোগসূত্র খুঁজে দেখছেন।
ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’।
২০০৯ ব্যাচের এই আইপিএস কর্মকর্তা এর আগে পাটিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি, ভিজিল্যান্স ব্যুরোর জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং মোহালি, সাঙ্গরুর, খান্না, হোশিয়ারপুর, ফতেহগড় সাহিব ও গুরদাসপুরে এসএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২১ সালে হরচরণ সিং ভাল্লার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি)। দলটি শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) নেতা বিক্রম সিং মজিঠিয়ার বিরুদ্ধে হাইপ্রোফাইল মাদক পাচার মামলা তদন্ত করেছিল। তিনি রাজ্য সরকারের ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নামে একটি অভিযানেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে হরচরণ সিং ভাল্লার রোপার রেঞ্জের ডিআইজি পদে যোগ দেন। তিনি মোহালি, রূপনগর ও ফতেহগড় সাহিব জেলার দায়িত্বে ছিলেন। ভাল্লার পাঞ্জাবের সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) এম এস ভাল্লারের ছেলে।
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লার নামের ওই আইপিএস কর্মকর্তাকে আটক করে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি ঘড়ি ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সিবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানিয়েছে, ভাল্লার একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মামলা নিষ্পত্তির কথা বলে ঘুষ দাবি করেন। তিনি কৃষ্ণা নামের এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে এ টাকা চেয়েছিলেন।
পাঞ্জাবের ফতেহগড় সাহিবের আকাশ বাট্টা নামের এক ব্যবসায়ী পাঁচ দিন আগে সিবিআইয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ডিআইজি ভাল্লার তাঁকে ব্যবসাসংক্রান্ত একটি ভুয়া মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ৮ লাখ রুপি দাবি করেছেন। সে সঙ্গে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও দাবি করেন ভাল্লার।
সিবিআইয়ের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ভাল্লার নির্দেশ দেন ঘুষের টাকা যেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা ফোনের কথোপকথনও রেকর্ড করেন। সেখানে কৃষ্ণাকে বলতে শোনা যায়—‘আগস্টের টাকা আসেনি, সেপ্টেম্বরের টাকাও আসেনি।’
এই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিবিআই চণ্ডীগড়ের সেক্টর-২১ এলাকায় একটি ফাঁদ পাতে। সেখানে কৃষ্ণাকে ৮ লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে সিবিআই। পরে ফোনকলে ডিআইজি ভাল্লার দুজনকে তাঁর অফিসে আসার নির্দেশ দেন। এর পরপরই সিবিআই দল মোহালিতে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ
গ্রেপ্তারের পর সিবিআই ভাল্লারের রোপার, মোহালি ও চণ্ডীগড়ে অবস্থিত বিভিন্ন বাসভবনে তল্লাশি চালায়। সেখানে তাঁর বিছানায় পাওয়া যায় প্রায় ৫ কোটি রুপি নগদ অর্থ, ১ দশমিক ৫ কেজি স্বর্ণ ও অলংকার, পাঞ্জাবজুড়ে একাধিক স্থাবর সম্পত্তির দলিল, মার্সিডিজ ও অডি গাড়ির চাবি, ২২টি বিলাসবহুল হাতঘড়ি, লকারের চাবি ও ৪০ লিটার আমদানি করা মদ। এ ছাড়া ডাবল ব্যারেল বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার, এয়ারগানসহ অস্ত্রভান্ডার।
অন্যদিকে কৃষ্ণার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত ২১ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে, দুজনকেই আগামীকাল শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। তদন্তকারীরা এখন সম্পদের পূর্ণ উৎস ও সম্ভাব্য মানি লন্ডারিংয়ের যোগসূত্র খুঁজে দেখছেন।
ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’।
২০০৯ ব্যাচের এই আইপিএস কর্মকর্তা এর আগে পাটিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি, ভিজিল্যান্স ব্যুরোর জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং মোহালি, সাঙ্গরুর, খান্না, হোশিয়ারপুর, ফতেহগড় সাহিব ও গুরদাসপুরে এসএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২১ সালে হরচরণ সিং ভাল্লার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি)। দলটি শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) নেতা বিক্রম সিং মজিঠিয়ার বিরুদ্ধে হাইপ্রোফাইল মাদক পাচার মামলা তদন্ত করেছিল। তিনি রাজ্য সরকারের ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নামে একটি অভিযানেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে হরচরণ সিং ভাল্লার রোপার রেঞ্জের ডিআইজি পদে যোগ দেন। তিনি মোহালি, রূপনগর ও ফতেহগড় সাহিব জেলার দায়িত্বে ছিলেন। ভাল্লার পাঞ্জাবের সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) এম এস ভাল্লারের ছেলে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.