
০৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:৩০
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ জনগণের কল্যাণে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছে করে যাবে। মাদক, খাসজমি বন্দোবস্ত ও সামাজিক ব্যাধির বিষয়ে আমরা আইনানুগভাবে মোকাবিলা করবো। সুন্দর, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সমাজ পরিচালনার জন্য আমরা একসাথে কাজ করছি।”
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর ) দুপুর ১টায় বাউফল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহামুদ ফিরোজ, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শাহজাহান হাওলাদার উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুর রউফ, বাউফল প্রেসক্লাব সভাপতি জলিলুর রহমান,জুলাই যোদ্ধা মোঃ কাওসার আহম্মেদ, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ,মাধ্যমিক শিক্ষকদের পক্ষে আবু ইউসুফ, কলেজ শিক্ষকদের পক্ষে অধ্যক্ষ ( ভারপ্রাপ্ত) মোঃ এনায়েত হোসেন,উপজেলা জমিয়াতুল মোদারেসিন সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসেন ও কারখানা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান সহ প্রমুখ।
সভায় বাউফলের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে মাঠ প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রশাসনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের আস্থা অর্জন করে সেবা প্রদান। সমাজের প্রতিটি অসঙ্গতির বিরুদ্ধে আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।”
অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী আহত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন, দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণের টিন বিতরণ করেন এবং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সহযোগিতায় আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অতিথিরা পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে অন্তত একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ জনগণের কল্যাণে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছে করে যাবে। মাদক, খাসজমি বন্দোবস্ত ও সামাজিক ব্যাধির বিষয়ে আমরা আইনানুগভাবে মোকাবিলা করবো। সুন্দর, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সমাজ পরিচালনার জন্য আমরা একসাথে কাজ করছি।”
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর ) দুপুর ১টায় বাউফল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহামুদ ফিরোজ, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শাহজাহান হাওলাদার উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুর রউফ, বাউফল প্রেসক্লাব সভাপতি জলিলুর রহমান,জুলাই যোদ্ধা মোঃ কাওসার আহম্মেদ, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ,মাধ্যমিক শিক্ষকদের পক্ষে আবু ইউসুফ, কলেজ শিক্ষকদের পক্ষে অধ্যক্ষ ( ভারপ্রাপ্ত) মোঃ এনায়েত হোসেন,উপজেলা জমিয়াতুল মোদারেসিন সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা ফারুক হোসেন ও কারখানা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান সহ প্রমুখ।
সভায় বাউফলের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে মাঠ প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করছে। প্রশাসনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের আস্থা অর্জন করে সেবা প্রদান। সমাজের প্রতিটি অসঙ্গতির বিরুদ্ধে আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।”
অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী আহত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন, দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণের টিন বিতরণ করেন এবং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সহযোগিতায় আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অতিথিরা পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে অন্তত একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৯
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৮

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২২
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য সচিব বশির কাজির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কৃষক দলের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের আয়োজনে বগা বাজার সড়কে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মাসুদ শিকদার বলেন, “গত ২৩ নভেম্বর, রোববার বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্যসচিব বশির কাজির ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বগা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান (আনিস ফকির) বশির কাজীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন।”
অভিযুক্ত বগা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনিস ফকির বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে বলে জেনেছি। এর বাইরে ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদারের রাজনীতি করি, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ঘটনায় জড়ানো হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য সচিব বশির কাজির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কৃষক দলের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের আয়োজনে বগা বাজার সড়কে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মাসুদ শিকদার বলেন, “গত ২৩ নভেম্বর, রোববার বগা ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্যসচিব বশির কাজির ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বগা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনিসুর রহমান (আনিস ফকির) বশির কাজীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন।”
অভিযুক্ত বগা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনিস ফকির বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে বলে জেনেছি। এর বাইরে ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদারের রাজনীতি করি, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ঘটনায় জড়ানো হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:৩৪
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত এক অনন্য সম্ভাবনার নাম। মৌডুবী ইউনিয়নের জাহাজমারা এলাকাজুরে বিস্তৃত এই সৈকত প্রকৃতির অপর সৌন্দর্য ঘেরা হলেও এখনও রয়ে গেছে প্রায় অনাবিষ্কৃত।
জাহাজমারা নামটির পেছনে রয়েছে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রায় একশত বছর আগে এ এলাকার উপকূলে একটি বিদেশী জাহাজ ডুবে যায়। সেই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে আজকের জাহাজমারা নামকরণ। ইতিহাস ও প্রকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব মেলবন্ধন গড়া সৈকতটি স্থানীয়দের মাঝে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেও পর্যটনের দিক দিয়ে যথাযথ গুরুত্ব পায়নি এখনো।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা, জনমানবহীন শান্ত সৈকতটি ইতোমধ্যেই স্থানীয় পর্যটকদের মাঝে আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এর পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
এই সৈকতের বালুচরে দাড়িয়ে সূর্যস্ত দেখার মুহূর্তটা যেন হৃদয় ছুয়ে যায়। লাল কাকড়ায় আচ্ছাদিত পুরো সৈকতটি অনেকটা কল্পনার লাল কাকড়ার রাজ্য মনে হয়, যেখানে প্রকৃতি নিজ হাতে সাজিয়েছে তার অনুপম সৌন্দর্য। সাগরের ঢেউ, বেলাভূমির এক স্বর্গীয় অনুভূতির স্থান। লালচে রঙ যখন ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে যায়, তখন প্রকৃতি উপহার দেয় এক অভাবনীয় দৃশ্য।
মৌডুবী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত অপার সৌন্দর্যে ঘেরা হলেও নেই পর্যাপ্ত যাতায়াত ব্যবস্থা, মানসম্মত আবাসন সুবিধা বা স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের দোকান। এছাড়া নেই পর্যটকদের তথ্য সহায়তা কেন্দ্র বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ফলে অনেকেই উৎসাহ নিয়ে আসলেও হতাশ হয়ে ফিরে যান। আমি একজন শিক্ষক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, যেন পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে জাহাজমারাকে একটি নিরাপদ ও আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রে হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, পর্যটকদের জন্য যদি হোটেল, রেস্তোরা, তথ্যকেন্দ্র ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়, তাহলে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত। শুধু সৌন্দর্য নয় - এটি হতে পারে অর্থনীতির নতুন খোরাক। রাঙ্গাবালীর মতো প্রত্যন্ত এলাকার এমন একটি সম্ভাবনাময় জায়গাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘমেয়াদি পর্যটন পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে জাহাজমারাকে উন্নয়ন করলে এটি কক্সবাজার বা কুয়াকাটার বিকল্প পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
হোটেল, রেস্ট হাউজ, ওয়াচ টাওয়ার, নিরাপত্তা চৌকি এবং শিশু বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা গেলে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বাড়বে, যা একদিকে স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করবে, অন্যদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
সরকারি পর্যটন সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত ও কার্যকর উদ্যোগই পারে জাহাজমারা সমুদ্র সৈকতের দক্ষিণ উপকূলের একটি দৃষ্টিনন্দন ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে। সঠিক পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এই সম্ভাবনাময় স্থানে সৃষ্টি হতে পারে নতুন কর্মসংস্থান, বাড়তে পারে স্থানীয় আয় এবং দেশের পর্যটন শিল্পে যুক্ত হতে পারে এক নতুন মাত্রা।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত এক অনন্য সম্ভাবনার নাম। মৌডুবী ইউনিয়নের জাহাজমারা এলাকাজুরে বিস্তৃত এই সৈকত প্রকৃতির অপর সৌন্দর্য ঘেরা হলেও এখনও রয়ে গেছে প্রায় অনাবিষ্কৃত।
জাহাজমারা নামটির পেছনে রয়েছে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রায় একশত বছর আগে এ এলাকার উপকূলে একটি বিদেশী জাহাজ ডুবে যায়। সেই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে আজকের জাহাজমারা নামকরণ। ইতিহাস ও প্রকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব মেলবন্ধন গড়া সৈকতটি স্থানীয়দের মাঝে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেও পর্যটনের দিক দিয়ে যথাযথ গুরুত্ব পায়নি এখনো।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা, জনমানবহীন শান্ত সৈকতটি ইতোমধ্যেই স্থানীয় পর্যটকদের মাঝে আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। তবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এর পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
এই সৈকতের বালুচরে দাড়িয়ে সূর্যস্ত দেখার মুহূর্তটা যেন হৃদয় ছুয়ে যায়। লাল কাকড়ায় আচ্ছাদিত পুরো সৈকতটি অনেকটা কল্পনার লাল কাকড়ার রাজ্য মনে হয়, যেখানে প্রকৃতি নিজ হাতে সাজিয়েছে তার অনুপম সৌন্দর্য। সাগরের ঢেউ, বেলাভূমির এক স্বর্গীয় অনুভূতির স্থান। লালচে রঙ যখন ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে যায়, তখন প্রকৃতি উপহার দেয় এক অভাবনীয় দৃশ্য।
মৌডুবী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত অপার সৌন্দর্যে ঘেরা হলেও নেই পর্যাপ্ত যাতায়াত ব্যবস্থা, মানসম্মত আবাসন সুবিধা বা স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের দোকান। এছাড়া নেই পর্যটকদের তথ্য সহায়তা কেন্দ্র বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ফলে অনেকেই উৎসাহ নিয়ে আসলেও হতাশ হয়ে ফিরে যান। আমি একজন শিক্ষক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, যেন পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে জাহাজমারাকে একটি নিরাপদ ও আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রে হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, পর্যটকদের জন্য যদি হোটেল, রেস্তোরা, তথ্যকেন্দ্র ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়, তাহলে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত। শুধু সৌন্দর্য নয় - এটি হতে পারে অর্থনীতির নতুন খোরাক। রাঙ্গাবালীর মতো প্রত্যন্ত এলাকার এমন একটি সম্ভাবনাময় জায়গাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘমেয়াদি পর্যটন পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে জাহাজমারাকে উন্নয়ন করলে এটি কক্সবাজার বা কুয়াকাটার বিকল্প পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
হোটেল, রেস্ট হাউজ, ওয়াচ টাওয়ার, নিরাপত্তা চৌকি এবং শিশু বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা গেলে পর্যটকদের আনাগোনা আরও বাড়বে, যা একদিকে স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করবে, অন্যদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
সরকারি পর্যটন সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত ও কার্যকর উদ্যোগই পারে জাহাজমারা সমুদ্র সৈকতের দক্ষিণ উপকূলের একটি দৃষ্টিনন্দন ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে। সঠিক পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এই সম্ভাবনাময় স্থানে সৃষ্টি হতে পারে নতুন কর্মসংস্থান, বাড়তে পারে স্থানীয় আয় এবং দেশের পর্যটন শিল্পে যুক্ত হতে পারে এক নতুন মাত্রা।

২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:১৬
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক সেতুর ফুটপাতের অন্তত ১২টি স্লাব ভেঙে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়কে চলাচল করতে হয়। ফলে দ্রুত গতির যানবাহন চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পথচারীরা বিশেষ করে রাতের বেলা নিরাপত্তাহীনভাবে চলাচল করছেন। তারা বিধ্বস্ত স্লাব দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের দ্রুত মেরামতের আশ্বাস বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। বরং আরও নতুন নতুন স্লাব ভেঙে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির ফুটপাতের বেশ কয়েকটি স্লাব বিধ্বস্ত হয়ে আছে। দুই পাশেই একই অবস্থা। ইতিপূর্বে কয়েকটি স্লাব বিধ্বস্ত হলে তা মেরামত করা হয়। কিন্তু ফের নতুন করে অসংখ্য স্লাব বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে আছে। ফলে পথচারীরা ফুটপাত বাদ দিয়ে মূল সড়ক ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ ছাড়া ওই সেতুতে সন্ধ্যার পরে বহু ভ্রমণকারীর আনাগোনা থাকে। প্রতিদিন এই সেতু হয়ে কুয়াকাটাগামী শত শত দূরপাল্লার দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসসহ পণ্যবাহী ট্রাক–ট্রলি চলাচল করছে। এতে মানুষ চলাচলের সময় চরম ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।
পথচারী ইসমাইল হোসেন জানান, “আমি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করি। ফুটপাতের স্লাব ভাঙা থাকায় চলাচলে খুব সমস্যা হয়।”
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা কলাপাড়াবাসী’-এর সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, “জনস্বার্থে দ্রুত এই স্লাবগুলো মেরামত করা প্রয়োজন।” স্থানীয়রাও একই দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বহুবার মোবাইল করা হয়েছে, খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো উত্তর মেলেনি। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেরামত করা হবে। কিন্তু এখনও তা করা হয়নি।
তবে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ জানান, তিনি বিষয়টি নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক সেতুর ফুটপাতের অন্তত ১২টি স্লাব ভেঙে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়কে চলাচল করতে হয়। ফলে দ্রুত গতির যানবাহন চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পথচারীরা বিশেষ করে রাতের বেলা নিরাপত্তাহীনভাবে চলাচল করছেন। তারা বিধ্বস্ত স্লাব দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের দ্রুত মেরামতের আশ্বাস বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। বরং আরও নতুন নতুন স্লাব ভেঙে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির ফুটপাতের বেশ কয়েকটি স্লাব বিধ্বস্ত হয়ে আছে। দুই পাশেই একই অবস্থা। ইতিপূর্বে কয়েকটি স্লাব বিধ্বস্ত হলে তা মেরামত করা হয়। কিন্তু ফের নতুন করে অসংখ্য স্লাব বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে আছে। ফলে পথচারীরা ফুটপাত বাদ দিয়ে মূল সড়ক ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ ছাড়া ওই সেতুতে সন্ধ্যার পরে বহু ভ্রমণকারীর আনাগোনা থাকে। প্রতিদিন এই সেতু হয়ে কুয়াকাটাগামী শত শত দূরপাল্লার দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসসহ পণ্যবাহী ট্রাক–ট্রলি চলাচল করছে। এতে মানুষ চলাচলের সময় চরম ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।
পথচারী ইসমাইল হোসেন জানান, “আমি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করি। ফুটপাতের স্লাব ভাঙা থাকায় চলাচলে খুব সমস্যা হয়।”
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা কলাপাড়াবাসী’-এর সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, “জনস্বার্থে দ্রুত এই স্লাবগুলো মেরামত করা প্রয়োজন।” স্থানীয়রাও একই দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বহুবার মোবাইল করা হয়েছে, খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো উত্তর মেলেনি। প্রায় দেড় বছর আগে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেরামত করা হবে। কিন্তু এখনও তা করা হয়নি।
তবে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ জানান, তিনি বিষয়টি নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.