https://jamunabankbd.com/

জাতীয়

বিটিভির দুর্নীতি নিয়ে ভয়ংকর প্রতিবেদন প্রকাশ

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিটিভির দুর্নীতি নিয়ে ভয়ংকর প্রতিবেদন প্রকাশ

ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের ১৫ মাস পরও বিটিভিতে তার দোসর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা বহাল রয়ে গেছেন। তাদের টিকিটি পর্যন্ত স্পর্শ করা হয়নি। কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরও আওয়ামী দোসর ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বিটিভিতে এখনো সবচেয়ে ক্ষমতাধর হয়ে রয়েছেন। বিভাগীয় ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে দুর্নীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা ও চট্টগ্রাম কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনো তারা বহাল তবিয়তে আছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এতে বিটিভিতে দুর্নীতির পাশাপাশি পতিত সরকারের পলাতক প্রভাবশালীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের ভয়ংকর ঝুঁকি রয়েই গেছে।

অভিযোগ আছে-তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিটিভির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) ও বিটিভির নিজস্ব একাধিক তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য। এসব প্রতিবেদন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও তা ‘লালফিতায় বন্দি’ করে রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো সচিব বা উপদেষ্টার টেবিলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় উপস্থাপন করা হয়নি। মন্ত্রণালয় ও বিটিভির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের একটি চক্র এ কাজে জড়িত।

এ বিষয়ে জানতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানার মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার একই নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপে বক্তব্য নেওয়ার সময় চেয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি জবাব দেননি। এক সপ্তাহ অপেক্ষার পরও সাড়া না পেয়ে সচিবের বক্তব্যের জন্য রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এ প্রতিবেদক। তিনি সচিবের একান্ত সচিব মো. রিফাতুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। মোবাইল ফোনে রিফাতুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন বিষয়ে সচিবের বক্তব্য নিতে প্রয়োজন তা জানতে চান। তার মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে সুনির্দিষ্ট বিষয় লিখে পাঠানোর পরদিন সোমবার তিনি জানান এ বিষয়ে সচিব কোনো বক্তব্য দেবেন না।

এ বিষয়ে জানতে সম্প্রতি অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। পরে কয়েক দফা তাকে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। সবশেষ রোববার বিকালে তিনি এই প্রতিবেদকের কল রিসিভ করলেও মিটিংয়ে আছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সম্প্রতি বিটিভির বেশকিছু দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর হিসাবে পরিচিত কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এদের বিষয়ে মতামত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। যাচাই-বাছাই শেষে ৬ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় সংস্থাটি। প্রতিবেদনের কপি সংগ্রহ করেছেন এ প্রতিবেদক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মনিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ মতাদর্শী কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত। তিনি বিটিভির সিগন্যাল সিস্টেম ডিজিটাল করার প্রকল্পের কাজ কারচুপির মাধ্যমে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্টুডিওটেককে প্রদান করেন। তিনি সরকারি প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই ঘুসের বিনিময়ে ঠিকাদারকে পূর্ণাঙ্গ বিল প্রদান করতেন। এসব অনিয়মের কারণে গত বছরের ৪ নভেম্বর দুদক তার সম্পদের হিসাব তলব করে।’ মনিরুলের পারিবারিক রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ঘরে লেখা আছে-‘তার পিতা ও আপন দুই চাচা বিএনপি মতাদর্শী।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পতিত সরকারের দোসর মনিরুল এখন বাবা-চাচার রাজনৈতিক মতামর্শ পুঁজি করে জার্সি পালটে বিএনপির পরিচয়ে দাপট দেখাচ্ছেন।

জানা গেছে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও ফ্যাসিস্টের চিহ্নিত দোসর কর্মকর্তারা এখনো দাপটে আছেন বিটিভিতে। জুলাই আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে এলেও বিটিভিকে দুর্নীতি ও আওয়ামী দোসরমুক্ত করা যায়নি। এখনো বিটিভির ভেতরে-বাইরে ফ্যাসিস্ট দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্য থাকায় শিল্পী, কলাকুশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ ও পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি বিটিভি সদর দপ্তরের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের (চলতি দায়িত্ব) পদে বহাল তবিয়তে আছেন। তার বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান। এরপরও তিনি অদৃশ্য ক্ষমতার বলে পদোন্নতি বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। টানা ছয় বছর ধরে উচ্চপদে চলতি দায়িত্বে আছেন মনিরুল।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নির্বাহী প্রযোজক সফির হোসাইনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তে নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই সফির নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। এরপরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। একই কেন্দ্রের উপমহাপরিচালক বার্তা ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ ও অনুষ্ঠান নির্বাহী মাহবুবা ফেরদৌসকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রেখে লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিটিভির ঢাকা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রক বা মুখ্য শিল্প নির্দেশক মোহাম্মাদ সেলিমও আছেন বহাল তবিয়তে। এদের সবার বিরুদ্ধেই বিভাগীয় তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনেক অপরাধের পরও তারা এখনো চাকরিতে বহাল। ন্যূনতম শাস্তিও পেতে হয়নি তাদের। এদের বিরুদ্ধে দুদক ও মন্ত্রণালয়ে আরও কিছু তদন্ত চলমান আছে। কিন্তু চাকরিতে বহাল থাকায় নানাভাবে তদবির করে তারা তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত করছেন বলে অভিযোগ আছে।

দুদকের তদন্ত ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য আমার জানা নেই। ফিরতি প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়েই তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকা কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রক মোহাম্মাদ সেলিম সম্পর্কে এনএসআইর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সেলিম আওয়ামী লীগ মতাদর্শী কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি ঢাকা কেন্দ্রের বহুল আলোচিত সাবেক জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার ও বিটিভির সাবেক মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। বিটিভির অনুষ্ঠান নির্মাণের নামে অনুমোদন ছাড়াই অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া-বিল ভাউচার তৈরি করে অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলনসহ নানা ধরনের আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন।’ দুদক থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মনিরুল ইসলাম, জিল্লুর রশিদ ও আফিফা আফরোজের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এদিকে বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নির্বাহী প্রযোজক, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. সফির হোসাইন ওরফে ইলনের জালিয়াতি, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগের ভয়ংকর তথ্য পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তথ্য প্রকাশ করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর বিটিভি সদর দপ্তর থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে সাত পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়।

প্রতিবেদনের মতামতের অংশে ভয়ংকর তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, ‘সরকারি আদেশ ছাড়া তিনি (সফির হোসাইন) পূর্ববর্তী কর্মস্থলে অবস্থানপূর্বক বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান প্রযোজনা করেছেন, সরকারি অর্থ ব্যয়ের সঙ্গে নিজেকে সংশ্লিষ্ট রেখেছেন এবং অনুষ্ঠানের প্রযোজক হিসাবে অনুষ্ঠান বাজেটে স্বাক্ষর করেছেন। তার প্রযোজিত ‘অনুষ্ঠান ব্যয় প্রস্তাবনামা’ পর্যালোচনায় দেখা যায়, কোনো সরকারি আদেশ ব্যতিরেকে তিনি স্বীয়পদের চেয়ে উচ্চতর পদের কর্মকর্তার স্বাক্ষরের জন্য নির্ধারিত স্থানে নিজেই স্বাক্ষর করেছেন এবং এর ভিত্তিতে সরকারি অর্থ ব্যয় হয়েছে। ফলে তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ প্রমাণিত।’

আরও বলা হয়েছে, ‘সরেজমিন তদন্তকালে তিনি তার চেয়ে উচ্চ পদের কর্মকর্তাদের সম্পর্কে দাপ্তরিক শিষ্টাচারবহির্ভূত ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে সরকারি চাকরি শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালার ২০১৮-এর অনুছেদ-২(খ) এর পরিপন্থি কাজ করেছেন-যা তদন্তে প্রমাণিত। এছাড়া তার প্রযোজিত ও পরিশোধিত ‘অনুষ্ঠান ব্যয় প্রস্তাবনামার’ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার পরম্পরা পাওয়া যায়-যা তদন্তে প্রমাণিত।’

অভিযোগ আছে, এই প্রতিবেদন তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দুষ্টচক্র চাপা দিয়ে রেখেছে। এ কারণে এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে জানতে সফির হোসাইন ইলনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার একই নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপে বক্তব্য চেয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি জবাব দেননি।

আরও পড়ুন:

দুদকের সব কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:০১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

দুদকের সব কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক সম্পত্তির হিসাব দাখিল করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া দুর্নীতি দমন কমিশন সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫-এ কথা বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বৈঠকের এ তথ্য জানান প্রেস সচিব।

সিসিইউতে বেগম খালেদা জিয়া

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৪৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

সিসিইউতে বেগম খালেদা জিয়া

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১টায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।

জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন খালেদা জিয়া।

এ সময় দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

এর আগে গতকাল রোববার (২৩ নভেম্বর) রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয় খালেদা জিয়াকে। এরপর মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার শারীরিক সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।

এদিকে খালেদা জিয়া তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান জাহিদ।

প্লট দুর্নীতি মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

প্লট দুর্নীতি মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড

ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজধানীর পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগের একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাত বছর ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জয়ের এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করছেন।

একই আদালত গত ২৩ নভেম্বর প্লট বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলার রায়ের জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

এর মধ্যে তিন মামলায় সাত বছর করে শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৫ বছরের সাজা পাওয়া জয় দ্বিতীয় মামলার আসামি ছিলেন। এ মামলায় শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আসামি ১৭ জন। তৃতীয় মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ৫ বছরের সাজা হয়েছে। এ মামলায় শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ আসামি ১৮ জন।

পৃথক তিনটি মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৪৭ জন। তবে এক ব্যক্তি একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় ব্যক্তি হিসেবে মোট আসামির সংখ্যা ২৩ জন। এরমধ্যে প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামি ১২ জন; দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও জয়সহ আসামি ১৭ জন এবং তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ আসামি ১৮ জন।

তিন মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছাড়াও অন্য ২০ আসামি হলেন—সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউকের সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন।

গত ৩১ জুলাই আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত তিনটি মামলাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলাগুলোর বিচারকাজ চলাকালে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৭ নভেম্বর পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক ৬টি মামলা করে। এসব মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ অন্যদের আসামি করা হয়। সেই ৬ মামলার মধ্যে আজ তিনটির রায় দিলো আদালত।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.