
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

२१ জুলাই, २০२५ ০০:३३
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, আমরা সরকারের অভিলাষ নিয়ে শংকিত। বিদেশি সংস্থা এমনকি স্বয়ং জাতিসংঘের অফিসের জন্য প্রযোজ্য সুবিধার চেয়ে বেশি সুবিধা প্রদান করে কেন এই কমিশনকে অফিস দিতে হবে তা আমাদের বুঝে আসে না। এই অফিসের কর্মকৌশল কী? লক্ষ কী? কর্মনীতি কী? ইত্যাদির কোনো কিছুই আমাদের সামনে পরিস্কার না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে না। কোনো ধরনের জাতিগত হানাহানিও নেই। ফলে কোনো বিবেচনাতেই এই অফিসের প্রয়োজন নেই। তাই অবিলম্বে এই অভিশপ্ত কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় দেশকে বাঁচাতে আমাদের রাজপথে অবস্থান নিতে হতে পারে।
রোববার (২০ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, বিশ্ব বাস্তবতায় জাতিসংঘ একটি ব্যর্থ সংস্থায় পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনে লাখো মানুষের মৃত্যু রোধে জাতিসংঘের ব্যর্থতা এই সংস্থাকে অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলেছে। ইয়েমেনে, আরাকানে এবং আফ্রিকা অঞ্চলে মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন হয়েছে জাতিসংঘের চোখের সামনে। বাংলাদেশের মতো একটি শান্ত ও নিরাপদ দেশে এমন ব্যর্থ একটি সংগঠনের একটা কমিশনের কার্যালয় খোলার কোনো কারণও নেই, দরকারও না; বরং বিপদ আছে। তাই দেশ ও জাতির দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ বিবেচনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে ড. মুহাম্মাদ ইউনূস সরকারের প্রতি আমরা সমর্থন জানিয়েছি ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করা, সংস্কার কার্যক্রমে সমন্বয় করা এবং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করার জন্য। এই লক্ষ্যে আমরা সরকারকে প্রশ্নাতীত সমর্থন করেছি। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, সরকার তার মূলকাজ বাদ দিয়ে তার ম্যান্ডেটের সাথে সামঞ্জস্যহীন কাজ করে যাচ্ছে। বিচারে কোনো অগ্রগতি নেই, সংস্কারের কাজ থমকে আছে, আর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনের পরে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সরকার সেই দিকে নজর না দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের অফিস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, মানবাধিকারের সংজ্ঞা নিয়ে পশ্চিমাদের সাথে আমাদের ভিন্নমত আছে। আমাদের হাজার বছরের বোধ-বিশ্বাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চরিত্রের সাথে সাংঘর্ষিক অনেক বিষয়কে এরা মানবাধিকার বলে গণ্য করে। সমকামিতা, গর্ভপাত, ট্রান্সজেন্ডার, মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করার মতো বিষয়কে তারা মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে অথচ এগুলো আমাদের সমাজ বাস্তবতায় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আমাদের সমাজ-দর্শনে ও বিশ্বাসে অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া এই বিষয়গুলোকে তারা মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত করে সমাজে এগুলো স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা করবে। সমাজ থেকে কোনো বাধা আসলে তারা আমাদেরকে জাতি হিসেবে মানবাধিকারের বিরোধী বলে প্রতিবেদন করবে। ফলে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। বিদেশি পর্যাটক আসা কমে যাবে। আমাদের নাগরিকদের সারা বিশ্বে ভীতিকর হিসেবে দেখানো হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদেরকে বর্বর জাতি হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
মুফতি রেজাউল করিম এ পরিস্থিতিকে ‘ভয়ংকর বিষবৃক্ষ রোপণের’ সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, যার ভয়াবহ পরিণতি আমাদেরকে দীর্ঘ সময় ভোগ করতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, আমরা সরকারের অভিলাষ নিয়ে শংকিত। বিদেশি সংস্থা এমনকি স্বয়ং জাতিসংঘের অফিসের জন্য প্রযোজ্য সুবিধার চেয়ে বেশি সুবিধা প্রদান করে কেন এই কমিশনকে অফিস দিতে হবে তা আমাদের বুঝে আসে না। এই অফিসের কর্মকৌশল কী? লক্ষ কী? কর্মনীতি কী? ইত্যাদির কোনো কিছুই আমাদের সামনে পরিস্কার না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে না। কোনো ধরনের জাতিগত হানাহানিও নেই। ফলে কোনো বিবেচনাতেই এই অফিসের প্রয়োজন নেই। তাই অবিলম্বে এই অভিশপ্ত কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় দেশকে বাঁচাতে আমাদের রাজপথে অবস্থান নিতে হতে পারে।
রোববার (২০ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, বিশ্ব বাস্তবতায় জাতিসংঘ একটি ব্যর্থ সংস্থায় পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনে লাখো মানুষের মৃত্যু রোধে জাতিসংঘের ব্যর্থতা এই সংস্থাকে অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলেছে। ইয়েমেনে, আরাকানে এবং আফ্রিকা অঞ্চলে মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন হয়েছে জাতিসংঘের চোখের সামনে। বাংলাদেশের মতো একটি শান্ত ও নিরাপদ দেশে এমন ব্যর্থ একটি সংগঠনের একটা কমিশনের কার্যালয় খোলার কোনো কারণও নেই, দরকারও না; বরং বিপদ আছে। তাই দেশ ও জাতির দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ বিবেচনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে ড. মুহাম্মাদ ইউনূস সরকারের প্রতি আমরা সমর্থন জানিয়েছি ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করা, সংস্কার কার্যক্রমে সমন্বয় করা এবং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করার জন্য। এই লক্ষ্যে আমরা সরকারকে প্রশ্নাতীত সমর্থন করেছি। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, সরকার তার মূলকাজ বাদ দিয়ে তার ম্যান্ডেটের সাথে সামঞ্জস্যহীন কাজ করে যাচ্ছে। বিচারে কোনো অগ্রগতি নেই, সংস্কারের কাজ থমকে আছে, আর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনের পরে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সরকার সেই দিকে নজর না দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের অফিস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, মানবাধিকারের সংজ্ঞা নিয়ে পশ্চিমাদের সাথে আমাদের ভিন্নমত আছে। আমাদের হাজার বছরের বোধ-বিশ্বাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চরিত্রের সাথে সাংঘর্ষিক অনেক বিষয়কে এরা মানবাধিকার বলে গণ্য করে। সমকামিতা, গর্ভপাত, ট্রান্সজেন্ডার, মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করার মতো বিষয়কে তারা মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে অথচ এগুলো আমাদের সমাজ বাস্তবতায় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আমাদের সমাজ-দর্শনে ও বিশ্বাসে অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া এই বিষয়গুলোকে তারা মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত করে সমাজে এগুলো স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা করবে। সমাজ থেকে কোনো বাধা আসলে তারা আমাদেরকে জাতি হিসেবে মানবাধিকারের বিরোধী বলে প্রতিবেদন করবে। ফলে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। বিদেশি পর্যাটক আসা কমে যাবে। আমাদের নাগরিকদের সারা বিশ্বে ভীতিকর হিসেবে দেখানো হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদেরকে বর্বর জাতি হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
মুফতি রেজাউল করিম এ পরিস্থিতিকে ‘ভয়ংকর বিষবৃক্ষ রোপণের’ সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, যার ভয়াবহ পরিণতি আমাদেরকে দীর্ঘ সময় ভোগ করতে হবে।’

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १२:০९

१२ ডিসেম্বর, २০२५ १९:१६
পুলিশের সিসিটিভি ফুটেজ ও হাদির জনসংযোগ টিমের ছবি বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাইক থেকে গুলি ছোড়া দুই ব্যক্তি মতিঝিল ওয়াপদা মাদ্রাসা এলাকায় ওসমান হাদির জনসংযোগে মাস্ক পরা অবস্থায় অংশ নিয়েছিল। দ্য ডিসেন্ট তাদের অনুসন্ধানে এ তথ্য জানিয়েছে ।
দ্য ডিসেন্টের অনুসন্ধান বলছে, গুলিকারী দুইজনের মধ্যে একজনের গায়ে কালো পাঞ্জাবি, কালো মাস্ক, গলায় চাদর এবং পরণে আকাশি রঙের প্যান্ট ছিল। অন্যজনের গায়ে কালো ব্লেজার, কালো মাস্ক, চোখে চশমা, পায়ে চামড়া রঙের জুতা ছিল। জনসংযোগে অংশ নেয়া ওই দুই ব্যক্তির পোশাক হামলাকারী দুই বাইক আরোহীর পোশাকের সাথে হুবহু মিলে গেছে।
গুলিকারীদের চিহ্নিত করতে আজকের হাদির জনসংযোগের আরও ছবি ও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। নতুন আপডেট পেলেই তাদের পেইজে জানাবে দ্য ডিসেন্ট।

१२ ডিসেম্বর, २০२५ १५:४२
গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে তাকে গুলি করে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
ওসমান হাদিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মিসবাহ জানান, জুমার নামাজ পড়ে মতিঝিল বিজয়নগর কালভার্ট এলাকা দিয়ে রিকশায় যাওয়ার সময় দুইজন মোটরসাইকেলে এসে গুলি চালায়। এতে গুলিটি তার বাম কানের নিচে লাগে। গুলি করেই তারা পালিয়ে যায়। এরপর ওসমান হাদিকে রিকশায় করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার (ওসেক) চিকিৎসাধীন তিনি।
মিসবাহ আরও জানান, চিকিৎসক জানিয়েছেন তার শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, 'বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৭ বছরে আমাদের নেতাকর্মীরা মামলা খেয়ে জঙ্গলে ঘুমিয়েছে, ধানক্ষেতে ঘুমিয়েছে। অনেক অত্যাচার জুলুম সহ্য করেছে। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে আমরা কারো উপরে প্রতিশোধ নেব না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। তিনি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। আমরা সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে একসাথে কাজ করতে চাই।' শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশালের বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মোনাজাত পূর্ব এক বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৪ ডিসেম্বর বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন লাভ করেন তিনি। মনোনয়ন লাভের পরে বাবুগঞ্জে এটাই তার প্রথম সফর ছিল। এসময় অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আরো বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তরুণ-যুবকদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। বেকারত্বের অভিশাপ থাকবে না। প্রত্যেক পরিবারের জন্য ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন করা হবে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হবে।'
বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সুলতান আহমেদ খানের সভাপতিত্বে ওই দোয়ানুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী রবী, বরিশাল জেলা দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ.এম তসলিম উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স।
এসময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল করিম হাওলাদার, সামসুল আলম ফকির, নজরুল ইসলাম বাদশা, আরিফুর রহমান শিমুল সিকদার, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মালেক সিকদার, মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অহিদুল ইসলাম খান, দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফারুক, রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাজন সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন উদ্দিন শামীম, বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রকিবুল হাসান খান রাকিব, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রাফিল, সদস্য সচিব ওবায়দুল হক, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আজিজুল হক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আতিকুর রহমান আল-আমিন, সদস্য সচিব ইয়াসির আরাফাত মৃধা প্রমুখ নেতারা ছাড়াও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। #
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, 'বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৭ বছরে আমাদের নেতাকর্মীরা মামলা খেয়ে জঙ্গলে ঘুমিয়েছে, ধানক্ষেতে ঘুমিয়েছে। অনেক অত্যাচার জুলুম সহ্য করেছে। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে আমরা কারো উপরে প্রতিশোধ নেব না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। তিনি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। আমরা সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে একসাথে কাজ করতে চাই।' শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশালের বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মোনাজাত পূর্ব এক বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৪ ডিসেম্বর বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন লাভ করেন তিনি। মনোনয়ন লাভের পরে বাবুগঞ্জে এটাই তার প্রথম সফর ছিল। এসময় অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আরো বলেন, 'বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তরুণ-যুবকদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। বেকারত্বের অভিশাপ থাকবে না। প্রত্যেক পরিবারের জন্য ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন করা হবে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হবে।'
বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সুলতান আহমেদ খানের সভাপতিত্বে ওই দোয়ানুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী রবী, বরিশাল জেলা দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ.এম তসলিম উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স।
এসময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল করিম হাওলাদার, সামসুল আলম ফকির, নজরুল ইসলাম বাদশা, আরিফুর রহমান শিমুল সিকদার, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মালেক সিকদার, মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অহিদুল ইসলাম খান, দেহেরগতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফারুক, রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাজন সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন উদ্দিন শামীম, বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রকিবুল হাসান খান রাকিব, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রাফিল, সদস্য সচিব ওবায়দুল হক, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আজিজুল হক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আতিকুর রহমান আল-আমিন, সদস্য সচিব ইয়াসির আরাফাত মৃধা প্রমুখ নেতারা ছাড়াও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। #
পুলিশের সিসিটিভি ফুটেজ ও হাদির জনসংযোগ টিমের ছবি বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাইক থেকে গুলি ছোড়া দুই ব্যক্তি মতিঝিল ওয়াপদা মাদ্রাসা এলাকায় ওসমান হাদির জনসংযোগে মাস্ক পরা অবস্থায় অংশ নিয়েছিল। দ্য ডিসেন্ট তাদের অনুসন্ধানে এ তথ্য জানিয়েছে ।
দ্য ডিসেন্টের অনুসন্ধান বলছে, গুলিকারী দুইজনের মধ্যে একজনের গায়ে কালো পাঞ্জাবি, কালো মাস্ক, গলায় চাদর এবং পরণে আকাশি রঙের প্যান্ট ছিল। অন্যজনের গায়ে কালো ব্লেজার, কালো মাস্ক, চোখে চশমা, পায়ে চামড়া রঙের জুতা ছিল। জনসংযোগে অংশ নেয়া ওই দুই ব্যক্তির পোশাক হামলাকারী দুই বাইক আরোহীর পোশাকের সাথে হুবহু মিলে গেছে।
গুলিকারীদের চিহ্নিত করতে আজকের হাদির জনসংযোগের আরও ছবি ও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। নতুন আপডেট পেলেই তাদের পেইজে জানাবে দ্য ডিসেন্ট।
গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে তাকে গুলি করে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
ওসমান হাদিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মিসবাহ জানান, জুমার নামাজ পড়ে মতিঝিল বিজয়নগর কালভার্ট এলাকা দিয়ে রিকশায় যাওয়ার সময় দুইজন মোটরসাইকেলে এসে গুলি চালায়। এতে গুলিটি তার বাম কানের নিচে লাগে। গুলি করেই তারা পালিয়ে যায়। এরপর ওসমান হাদিকে রিকশায় করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার (ওসেক) চিকিৎসাধীন তিনি।
মিসবাহ আরও জানান, চিকিৎসক জানিয়েছেন তার শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০