২৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:২৩
নরসিংদীর লাইফ কেয়ার হাসপাতালে টনসিল অপারেশনের সময় রাহা মনি (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে পৌরশহরের হেমেন্দ্র সাহা মোড় এলাকার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাহা মনি রায়পুরা উপজেলার হাঁটুভাঙা এলাকার নিজামুল হক ও তানিয়া আক্তার দম্পতির একমাত্র সন্তান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাহা মনি এক মাস ধরে গলায় টনসিলের সমস্যায় ভুগছেন। স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নাক-কান-গলার চিকিৎসক ডা. তন্ময় করের চিকিৎসাপত্রে ওষুধ খেয়েও ভালো হচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ডা. তন্ময় করের কাছে রাহা মনিকে নিয়ে গেলে তিনি অপারেশনের কথা বলেন।
পরে ডাক্তারের পরামর্শে টনসিল অপারেশনের জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাহা মনিকে। রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময় অ্যানেস্থেশিয়া দেন নরসিংদী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুদীপ্ত সাহা এবং অপারেশন করেন নাক-কান-গলার চিকিৎসক ডা. তন্ময় কর। কিন্তু অপারেশনের প্রায় এক ঘণ্টা পরই মারা যায় রাহা মনি। পরিবারের দাবি ভুল চিকিৎসায় তাদের একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছেন।
এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা ক্ষুব্ধ হয়ে দুই চিকিৎসককে মারধর করে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুই চিকিৎসককে হেফাজতে নিয়ে নরসিংদী মডেল থানায় নিয়ে যায়।
শিশুটির বাবা নিজামুল হক বলেন, অপারেশন করার পর আমাদের বলেছে ১৫ মিনিট পর জ্ঞান ফিরবে। কিন্তু অনেক সময় পার হলেও মেয়ের জ্ঞান ফিরছে না। পরে ডাক্তারকে ফোন দিলে ডাক্তার এসে আমার মেয়েকে আবার ওটিতে নিচ্ছে, আমি বারবার যাওয়ার চেষ্টা করলেও আমাকে যেতে দেয়নি তারা।
অনেকক্ষণ পর আমি জোর করে ওটিতে গিয়ে আমার মেয়ের পায়ে হাত দিয়ে দেখি পা ঠান্ডা, তখনি আমি বুঝতে পারি আমার মেয়ে আর নেই। আমার মরা মেয়েকে ঢাকায় নিতে হবে, আইসিউতে রাখতে হবে বলে আমাদের সঙ্গে তারা ছলচাতুরি করে। আমার মেয়েকে তারা মেরে ফেলেছে।
লাইফ কেয়ার হাসপাতালের পরিচালক ফজলুল কাদের বলেন, অপারেশন করার পর বেডে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর শিশুর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরে তাকে আবার ডাক্তাররা চিকিৎসা দেয়। শিশুটিকে ঢাকার জন্য রেফার্ড করা হয়েছিল। এর মধ্যেই মারা যায়।
শিশুটির অপারেশনে সহায়তাকারী অ্যানেস্থেলজিস্ট ডা. সুদীপ্ত সাহা বলেন, ৭টার দিকে শিশুটির টনসিলের অপারেশন সফলভাবে শেষ হওয়ার পর সাড়ে ৭টার দিকে শিশুটিকে বেডে দেওয়া হয়। পরে আমরা অপারেশন থিয়েটার থেকে চলে যাই। সাড়ে ৮টার দিকে নার্স ফোন দেয় বাচ্চা শ্বাস নিচ্ছে না এবং কালো হয়ে যাচ্ছে। পরে সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাসপাতালে এসে বাচ্চাটিকে জীবন রক্ষাকারী সব ওষুধপত্র দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ডাক্তার হিসেবে আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে বাচ্চাটির জীবন বাঁচানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি । অ্যানেসথেসিয়া, অপারেশন সবকিছুই সফলভাবে করা হয়েছিল, তাতে কোনো গাফিলতি ছিল না।
এ বিষয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, লাইফ কেয়ার হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে এসে দুই চিকিৎসককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নরসিংদীর লাইফ কেয়ার হাসপাতালে টনসিল অপারেশনের সময় রাহা মনি (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে পৌরশহরের হেমেন্দ্র সাহা মোড় এলাকার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাহা মনি রায়পুরা উপজেলার হাঁটুভাঙা এলাকার নিজামুল হক ও তানিয়া আক্তার দম্পতির একমাত্র সন্তান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাহা মনি এক মাস ধরে গলায় টনসিলের সমস্যায় ভুগছেন। স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নাক-কান-গলার চিকিৎসক ডা. তন্ময় করের চিকিৎসাপত্রে ওষুধ খেয়েও ভালো হচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ডা. তন্ময় করের কাছে রাহা মনিকে নিয়ে গেলে তিনি অপারেশনের কথা বলেন।
পরে ডাক্তারের পরামর্শে টনসিল অপারেশনের জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাহা মনিকে। রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময় অ্যানেস্থেশিয়া দেন নরসিংদী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুদীপ্ত সাহা এবং অপারেশন করেন নাক-কান-গলার চিকিৎসক ডা. তন্ময় কর। কিন্তু অপারেশনের প্রায় এক ঘণ্টা পরই মারা যায় রাহা মনি। পরিবারের দাবি ভুল চিকিৎসায় তাদের একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছেন।
এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তারা ক্ষুব্ধ হয়ে দুই চিকিৎসককে মারধর করে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুই চিকিৎসককে হেফাজতে নিয়ে নরসিংদী মডেল থানায় নিয়ে যায়।
শিশুটির বাবা নিজামুল হক বলেন, অপারেশন করার পর আমাদের বলেছে ১৫ মিনিট পর জ্ঞান ফিরবে। কিন্তু অনেক সময় পার হলেও মেয়ের জ্ঞান ফিরছে না। পরে ডাক্তারকে ফোন দিলে ডাক্তার এসে আমার মেয়েকে আবার ওটিতে নিচ্ছে, আমি বারবার যাওয়ার চেষ্টা করলেও আমাকে যেতে দেয়নি তারা।
অনেকক্ষণ পর আমি জোর করে ওটিতে গিয়ে আমার মেয়ের পায়ে হাত দিয়ে দেখি পা ঠান্ডা, তখনি আমি বুঝতে পারি আমার মেয়ে আর নেই। আমার মরা মেয়েকে ঢাকায় নিতে হবে, আইসিউতে রাখতে হবে বলে আমাদের সঙ্গে তারা ছলচাতুরি করে। আমার মেয়েকে তারা মেরে ফেলেছে।
লাইফ কেয়ার হাসপাতালের পরিচালক ফজলুল কাদের বলেন, অপারেশন করার পর বেডে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর শিশুর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরে তাকে আবার ডাক্তাররা চিকিৎসা দেয়। শিশুটিকে ঢাকার জন্য রেফার্ড করা হয়েছিল। এর মধ্যেই মারা যায়।
শিশুটির অপারেশনে সহায়তাকারী অ্যানেস্থেলজিস্ট ডা. সুদীপ্ত সাহা বলেন, ৭টার দিকে শিশুটির টনসিলের অপারেশন সফলভাবে শেষ হওয়ার পর সাড়ে ৭টার দিকে শিশুটিকে বেডে দেওয়া হয়। পরে আমরা অপারেশন থিয়েটার থেকে চলে যাই। সাড়ে ৮টার দিকে নার্স ফোন দেয় বাচ্চা শ্বাস নিচ্ছে না এবং কালো হয়ে যাচ্ছে। পরে সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাসপাতালে এসে বাচ্চাটিকে জীবন রক্ষাকারী সব ওষুধপত্র দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ডাক্তার হিসেবে আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে বাচ্চাটির জীবন বাঁচানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি । অ্যানেসথেসিয়া, অপারেশন সবকিছুই সফলভাবে করা হয়েছিল, তাতে কোনো গাফিলতি ছিল না।
এ বিষয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, লাইফ কেয়ার হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে এসে দুই চিকিৎসককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:১৬
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৩০
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:২৫
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:০৮
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:১৪
কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় কথাকাটাকাটির জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে সরোয়ার আলম (২৫) নামে এ যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত সরোয়ার আলম কক্সবাজার পৌরসভার লাইট হাউজ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক এক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সরোয়ারের সাথে তার ফুফাতো ভাই রায়হানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে সরোয়ারের বুকে আঘাত করে।
পরে গুরুতর অবস্থায় সরোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন।
প্রতিবেশী মো. আলম বলেন, শান্ত-ভদ্র স্বভাবের সরোয়ার ছিল সবার প্রিয়। ওর উপার্জনে পরিবারটা চলতো। শুধু এক মুহূর্তের রাগে রায়হান ওকে মেরে ফেলল। এটা আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত সরোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় কথাকাটাকাটির জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে সরোয়ার আলম (২৫) নামে এ যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত সরোয়ার আলম কক্সবাজার পৌরসভার লাইট হাউজ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক এক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সরোয়ারের সাথে তার ফুফাতো ভাই রায়হানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে সরোয়ারের বুকে আঘাত করে।
পরে গুরুতর অবস্থায় সরোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন।
প্রতিবেশী মো. আলম বলেন, শান্ত-ভদ্র স্বভাবের সরোয়ার ছিল সবার প্রিয়। ওর উপার্জনে পরিবারটা চলতো। শুধু এক মুহূর্তের রাগে রায়হান ওকে মেরে ফেলল। এটা আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত সরোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:০৫
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় আব্দুল কাদের (৫৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাইকান কুঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী শুক্রবার নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।
তবে বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক আব্দুল কাদের কিশোরীটির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি কাবিননামা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে শিক্ষক আব্দুল কাদের ওই কিশোরীকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখেন ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবু হানিফ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় আব্দুল কাদের (৫৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাইকান কুঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী শুক্রবার নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।
তবে বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক আব্দুল কাদের কিশোরীটির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি কাবিননামা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে শিক্ষক আব্দুল কাদের ওই কিশোরীকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখেন ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবু হানিফ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:১৪
খানাখন্দ, কাদা-পানি আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় পুরো টার্মিনাল, ডুবে যায় বড় বড় গর্ত।
প্রতিদিনই বাস, রিকশা, অটোরিকশা থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে এই গর্তে। যাত্রীদের নামতে হচ্ছে কাদা-পানিতে, অনেক সময় পড়তে হচ্ছে আহত হওয়ার ঝুঁকিতেও। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক এবং চালকরা।
২০০৬ সালে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে মাছিমপুর এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ টার্মিনাল নির্মাণ করে। তখন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে পড়ে অপ্রতুল।
প্রতিদিন প্রায় ১৪টি রুটে ৬ শতাধিকের বেশি বাস ও মিনিবাস এখান থেকে ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। কিন্তু ধারণক্ষমতার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে টার্মিনালে।
বাস রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার দুই পাশে সারি সারি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে, এতে যানজট ও চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে নতুন নতুন বাস চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অযাচিত চাপ পড়ছে টার্মিনালের ওপর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্মিনালে ঢোকার মুখেই রয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথায় গর্ত তা বোঝা যায় না। এতে প্রায়ই বাস আটকে যায়। ছোট যানবাহন যেমন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ছে বিপদে। যাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে কেউ নামতে গিয়ে কাদা-পানিতে ভিজে যাচ্ছেন, আবার কেউ খানাখন্দে পড়ে আহত হচ্ছেন।
স্থানীয় যাত্রী সজল শেখ বলেন, পিরোজপুরের বাইরে কোথাও যেতে গেলে এই টার্মিনালে আসতে হয়, কিন্তু অবস্থা এত খারাপ যে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় বাস থেকে নামলেই কাদা-পানিতে নেমে যেতে হয়। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
বাসচালক আবুল হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলা বাস টার্মিনাল এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে বাস রাখার ব্যবস্থা নেই, গর্তে পড়লে ক্রেন দিয়ে বা অন্য বাস দিয়ে টেনে তুলতে হয়। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের টার্মিনালটি ঠিক করে দেওয়া হোক, না হলে এখানে আর বাস রাখা যাবে না।
শ্রমিক মাহাতাব আলী বলেন, এই টার্মিনালে বাস নিয়ে ঢুকতে এবং বের হতে গেলে প্রায়ই বাসের বিভিন্ন সমস্যা হয়। চাকার ক্ষতি হয়, নিচের পাতির ক্ষতি হয়, ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় এগুলো আবার মেরামত করতে অনেক সময় লাগে। ফলে বাস বন্ধ হয়ে গেলে ইনকামও বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবহন মালিক আব্দুস সালাম খান বলেন, টার্মিনাল দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মালিক, যাত্রী ও চালকদের জন্য এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই দ্রুতই এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
১৯ বছর আগে নির্মিত হলেও এ টার্মিনালে এখনো কোনো বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। ফলে এখন এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের একটাই দাবি—দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হোক পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া শুধু খানাখন্দ মেরামত করে সমস্যার সমাধান হবে না। টার্মিনালটিকে আধুনিকায়ন, বাস পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জোন তৈরি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অতিরিক্ত বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প হিসেবে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা দরকার। নইলে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়বে।
পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছি, বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। বর্ষাকালে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পানি পেরিয়ে সড়কে ওঠে। আমরা পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি গর্তগুলো ভরাট করার জন্য। আশা করছি, দ্রুতই কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করবে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, আমরা এ বিষয়ে গত বছরে খুব স্বল্প পরিসরে কিছুটা মেরামত করেছি। পাশাপাশি কয়েকটি প্রজেক্টের জন্য স্কিম প্রেরন করেছি। আশা করি, বরাদ্দ পেলে দ্রুতই এটি মেরামতের কাজ করা হবে।
খানাখন্দ, কাদা-পানি আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় পুরো টার্মিনাল, ডুবে যায় বড় বড় গর্ত।
প্রতিদিনই বাস, রিকশা, অটোরিকশা থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে এই গর্তে। যাত্রীদের নামতে হচ্ছে কাদা-পানিতে, অনেক সময় পড়তে হচ্ছে আহত হওয়ার ঝুঁকিতেও। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক এবং চালকরা।
২০০৬ সালে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে মাছিমপুর এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ টার্মিনাল নির্মাণ করে। তখন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে পড়ে অপ্রতুল।
প্রতিদিন প্রায় ১৪টি রুটে ৬ শতাধিকের বেশি বাস ও মিনিবাস এখান থেকে ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। কিন্তু ধারণক্ষমতার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে টার্মিনালে।
বাস রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার দুই পাশে সারি সারি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে, এতে যানজট ও চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে নতুন নতুন বাস চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অযাচিত চাপ পড়ছে টার্মিনালের ওপর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্মিনালে ঢোকার মুখেই রয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথায় গর্ত তা বোঝা যায় না। এতে প্রায়ই বাস আটকে যায়। ছোট যানবাহন যেমন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ছে বিপদে। যাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে কেউ নামতে গিয়ে কাদা-পানিতে ভিজে যাচ্ছেন, আবার কেউ খানাখন্দে পড়ে আহত হচ্ছেন।
স্থানীয় যাত্রী সজল শেখ বলেন, পিরোজপুরের বাইরে কোথাও যেতে গেলে এই টার্মিনালে আসতে হয়, কিন্তু অবস্থা এত খারাপ যে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় বাস থেকে নামলেই কাদা-পানিতে নেমে যেতে হয়। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
বাসচালক আবুল হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলা বাস টার্মিনাল এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে বাস রাখার ব্যবস্থা নেই, গর্তে পড়লে ক্রেন দিয়ে বা অন্য বাস দিয়ে টেনে তুলতে হয়। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের টার্মিনালটি ঠিক করে দেওয়া হোক, না হলে এখানে আর বাস রাখা যাবে না।
শ্রমিক মাহাতাব আলী বলেন, এই টার্মিনালে বাস নিয়ে ঢুকতে এবং বের হতে গেলে প্রায়ই বাসের বিভিন্ন সমস্যা হয়। চাকার ক্ষতি হয়, নিচের পাতির ক্ষতি হয়, ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় এগুলো আবার মেরামত করতে অনেক সময় লাগে। ফলে বাস বন্ধ হয়ে গেলে ইনকামও বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবহন মালিক আব্দুস সালাম খান বলেন, টার্মিনাল দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মালিক, যাত্রী ও চালকদের জন্য এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই দ্রুতই এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
১৯ বছর আগে নির্মিত হলেও এ টার্মিনালে এখনো কোনো বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। ফলে এখন এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের একটাই দাবি—দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হোক পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া শুধু খানাখন্দ মেরামত করে সমস্যার সমাধান হবে না। টার্মিনালটিকে আধুনিকায়ন, বাস পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জোন তৈরি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অতিরিক্ত বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প হিসেবে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা দরকার। নইলে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়বে।
পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছি, বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। বর্ষাকালে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পানি পেরিয়ে সড়কে ওঠে। আমরা পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি গর্তগুলো ভরাট করার জন্য। আশা করছি, দ্রুতই কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করবে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, আমরা এ বিষয়ে গত বছরে খুব স্বল্প পরিসরে কিছুটা মেরামত করেছি। পাশাপাশি কয়েকটি প্রজেক্টের জন্য স্কিম প্রেরন করেছি। আশা করি, বরাদ্দ পেলে দ্রুতই এটি মেরামতের কাজ করা হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.