
০४ জুন, २০२५ १४:০३
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদসহ মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৩ জুন) রাতে সরকারের জারিকৃত অধ্যাদেশের উল্লেখ করে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারীদের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি বাতিলের কথা বলা হয়। যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। পরে বুধবার (০৪ জুন) সকালে সরকারের পক্ষ থেকে খবরটি সঠিক নয় বলে জানানো হয়।
আজ সচিবালয়ে এই নিয়ে কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি জানান বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের খবরটি সঠিক নয়।
এর আগে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যসহ অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সংবাদধ্যমের প্রকাশিত খবরে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ-এমপিএ) মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ-সংক্রান্ত এক অধ্যাদেশ জারির বরাত দিয়ে তাদেরকে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবে। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
তিনি আরও বলেছেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এ নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
ফারুক-ই-আজম বলেন, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করেছেন। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে। জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না করলে আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না। মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে গৌরব আমাদের জাতির ইতিহাসে আর কিছু হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদসহ মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৩ জুন) রাতে সরকারের জারিকৃত অধ্যাদেশের উল্লেখ করে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারীদের মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি বাতিলের কথা বলা হয়। যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। পরে বুধবার (০৪ জুন) সকালে সরকারের পক্ষ থেকে খবরটি সঠিক নয় বলে জানানো হয়।
আজ সচিবালয়ে এই নিয়ে কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। তিনি জানান বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের খবরটি সঠিক নয়।
এর আগে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যসহ অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সংবাদধ্যমের প্রকাশিত খবরে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ-এমপিএ) মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ-সংক্রান্ত এক অধ্যাদেশ জারির বরাত দিয়ে তাদেরকে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে ফারুক-ই-আজম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবে। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
তিনি আরও বলেছেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এ নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
ফারুক-ই-আজম বলেন, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করেছেন। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে। জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না করলে আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না। মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে গৌরব আমাদের জাতির ইতিহাসে আর কিছু হয়নি।
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १८:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १७:০८
१३ ডিসেম্বর, २০२५ १६:০০

१३ ডিসেম্বর, २০२५ १९:२५
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) পরিপত্র-২ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট পেতে হবে। অন্যথায় জামানত বাবদ জমা দেওয়া ৫০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ পরিপত্রে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল ও গ্রহণ, জামানত, প্রস্তাবকারী-সমর্থনকারীর যোগ্যতা, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন, মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের তথ্য প্রদান, মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
ইসির জারি করা পরিপত্রে দেখা যায়, কোনো প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট পেতে হবে। অন্যথায় জামানত বাবদ জমা দেওয়া ৫০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জামানত জমা দিতে হবে। এ অর্থ নগদ, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ইসির অনুকূলে জমা দেওয়া যাবে।
একই নির্বাচনী এলাকায় একাধিক মনোনয়নপত্র দিলে একটি জামানতই যথেষ্ট হবে। অন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে চালানের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে হবে। জামানতের বাইরে কোনো অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ বা প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জামানতের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক, যেকোনো ব্যাংক বা সরকারি ট্রেজারি বা সাব ট্রেজারিতে ১০৯০৩০২১০১৪৪৩-৮১১৩৫০১ কোড নম্বরে জমা দিতে হবে।
নগদে প্রাপ্ত জামানতের অর্থ রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার সরকারি খাতে জমা দেবেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল : পরিপত্রে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে সরাসরি দাখিলের জন্য মনোনয়ন ফরম (ফরম-১) সংগ্রহ করবেন। ইতিমধ্যে এসব ফরম ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ফরম বিতরণের জন্য আলাদা রেজিস্টার সংরক্ষণ করতে হবে।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যোগ্য ব্যক্তিরা যথাযথভাবে পূরণ করা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেবেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল বা জমা দেওয়া যাবে।
মনোনয়নপত্র জমাদান : ইসির নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন। ওই দিন বা তার আগের যেকোনো দিনে প্রার্থী, প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারী মনোনয়নপত্র দাখিল করলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুচ্ছেদ ১২ এর (৩) অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার তা গ্রহণ করবেন।
অফিসারগণ মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় নির্ধারিত স্থানে ক্রমিক নম্বর দেবেন। রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় ‘রিঅ-’ এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার ‘সরিঅ-’ লিখে নম্বর দেবেন। এক প্রার্থী একাধিক মনোনয়নপত্র জমা দিলে প্রথমটিতে পূর্ণ নম্বর এবং অন্যগুলোর ক্ষেত্রে বন্ধনীতে (ক), (খ) বা (১), (২) ব্যবহার করা যাবে।
প্রাপ্তি রসিদ ও বাছাইয়ের নোটিশ : মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় প্রতিটি মনোনয়নপত্রের তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্রের তৃতীয় অংশে দাখিলকারীর নাম, জমাদানের তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া, নির্বাচনি এলাকার নাম ও নম্বর, প্রার্থীর নাম, মনোনয়নপত্র জমার তারিখ ও সময় এবং বাছাইয়ের নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ করে মনোনয়নপত্রের পঞ্চম অংশে যুক্ত থাকা প্রাপ্তিস্বীকার রসিদ তাৎক্ষণিকভাবে প্রার্থী বা প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারীকে দিতে হবে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার থেকে মনোনয়নপত্র প্রেরণ : ইসির জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের ক্ষমতা রিটার্নিং অফিসারের ওপর ন্যস্ত। তাই সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিলকৃত সব মনোনয়নপত্র ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার পরপরই নিরাপত্তার সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে।
প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর যোগ্যতা : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার যে কোনো ভোটার সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে প্রস্তাব বা সমর্থন করতে পারবেন। তবে প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারী হিসেবে কেউ একাধিক মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। প্রতিটি মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর সম্মতি, অযোগ্যতা না থাকার ঘোষণা এবং তিনটির বেশি নির্বাচনি এলাকায় মনোনয়ন জমা না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।
রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন : রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলের নিজস্ব প্যাডে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারীর স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। একটি নির্বাচনি এলাকায় যদি কোনো রাজনৈতিক দল একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়, তবে আগামী ২০ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম লিখিতভাবে রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে হবে। চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রতীক পাবেন, যদি না তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। প্রতীক বরাদ্দ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরে আলাদা পরিপত্রে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) পরিপত্র-২ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট পেতে হবে। অন্যথায় জামানত বাবদ জমা দেওয়া ৫০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ পরিপত্রে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল ও গ্রহণ, জামানত, প্রস্তাবকারী-সমর্থনকারীর যোগ্যতা, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন, মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের তথ্য প্রদান, মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
ইসির জারি করা পরিপত্রে দেখা যায়, কোনো প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট পেতে হবে। অন্যথায় জামানত বাবদ জমা দেওয়া ৫০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জামানত জমা দিতে হবে। এ অর্থ নগদ, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ইসির অনুকূলে জমা দেওয়া যাবে।
একই নির্বাচনী এলাকায় একাধিক মনোনয়নপত্র দিলে একটি জামানতই যথেষ্ট হবে। অন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে চালানের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে হবে। জামানতের বাইরে কোনো অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ বা প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জামানতের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক, যেকোনো ব্যাংক বা সরকারি ট্রেজারি বা সাব ট্রেজারিতে ১০৯০৩০২১০১৪৪৩-৮১১৩৫০১ কোড নম্বরে জমা দিতে হবে।
নগদে প্রাপ্ত জামানতের অর্থ রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার সরকারি খাতে জমা দেবেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল : পরিপত্রে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীরা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে সরাসরি দাখিলের জন্য মনোনয়ন ফরম (ফরম-১) সংগ্রহ করবেন। ইতিমধ্যে এসব ফরম ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ফরম বিতরণের জন্য আলাদা রেজিস্টার সংরক্ষণ করতে হবে।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যোগ্য ব্যক্তিরা যথাযথভাবে পূরণ করা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেবেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল বা জমা দেওয়া যাবে।
মনোনয়নপত্র জমাদান : ইসির নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন। ওই দিন বা তার আগের যেকোনো দিনে প্রার্থী, প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারী মনোনয়নপত্র দাখিল করলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুচ্ছেদ ১২ এর (৩) অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার তা গ্রহণ করবেন।
অফিসারগণ মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় নির্ধারিত স্থানে ক্রমিক নম্বর দেবেন। রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় ‘রিঅ-’ এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার ‘সরিঅ-’ লিখে নম্বর দেবেন। এক প্রার্থী একাধিক মনোনয়নপত্র জমা দিলে প্রথমটিতে পূর্ণ নম্বর এবং অন্যগুলোর ক্ষেত্রে বন্ধনীতে (ক), (খ) বা (১), (২) ব্যবহার করা যাবে।
প্রাপ্তি রসিদ ও বাছাইয়ের নোটিশ : মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সময় প্রতিটি মনোনয়নপত্রের তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্রের তৃতীয় অংশে দাখিলকারীর নাম, জমাদানের তারিখ ও সময় উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া, নির্বাচনি এলাকার নাম ও নম্বর, প্রার্থীর নাম, মনোনয়নপত্র জমার তারিখ ও সময় এবং বাছাইয়ের নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ করে মনোনয়নপত্রের পঞ্চম অংশে যুক্ত থাকা প্রাপ্তিস্বীকার রসিদ তাৎক্ষণিকভাবে প্রার্থী বা প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারীকে দিতে হবে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার থেকে মনোনয়নপত্র প্রেরণ : ইসির জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের ক্ষমতা রিটার্নিং অফিসারের ওপর ন্যস্ত। তাই সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিলকৃত সব মনোনয়নপত্র ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার পরপরই নিরাপত্তার সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে।
প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর যোগ্যতা : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার যে কোনো ভোটার সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে প্রস্তাব বা সমর্থন করতে পারবেন। তবে প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারী হিসেবে কেউ একাধিক মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। প্রতিটি মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর সম্মতি, অযোগ্যতা না থাকার ঘোষণা এবং তিনটির বেশি নির্বাচনি এলাকায় মনোনয়ন জমা না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।
রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন : রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলের নিজস্ব প্যাডে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারীর স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। একটি নির্বাচনি এলাকায় যদি কোনো রাজনৈতিক দল একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়, তবে আগামী ২০ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম লিখিতভাবে রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে হবে। চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রতীক পাবেন, যদি না তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। প্রতীক বরাদ্দ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরে আলাদা পরিপত্রে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসি।

१३ ডিসেম্বর, २০२५ ११:४९
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়েছিলেন। গত ৯ ডিসেম্বর কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনাও শুনছিলেন।
ডিজিটাল ইনভেস্টিগেটিভ মিডিয়া দ্য ডিসেন্ট হাদিকে গুলি করা করা ব্যক্তি, হাদির নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তি ও ৯ ডিসেম্বর ইনকিবাল কালচারাল সেন্টারে যাওয়া ব্যক্তির একাধিক ছবি তুলনামূলকভাবে যাচাই করে এই দাবি করেছে।
দ্য ডিসেন্ট জানিয়েছে, তিন ঘটনায় যে ব্যক্তি সামনে আসছে, তার সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান নামক এক ব্যক্তির চেহারা মিলে যাচ্ছে।
দ্য ডিসেন্টের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ইনকিলাব কালাচারাল সেন্টার থেকে সংগৃহীত ৯ ডিসেম্বরের সিসিটিভি ফুটেজ, পুলিশের সংগৃহীত ১২ ডিসেম্বরের হামলার সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ফয়সাল করিম মাসুদ নামক অ্যাকাউন্ট এবং আওয়ামীপন্থি বিভিন্ন পেজ ও ব্যক্তির প্রোফাইলে পোস্ট করা ৫০টিও বেশি ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ওসমান হাদির ওপর বাইকের পেছন থেকে গুলি করা ব্যক্তিটির চেহারার সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান নামের এক ব্যক্তির চেহারা মিলে যাচ্ছে। তিনি রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমে পুরোনো খবর থেকে জানা গেছে।
দুটি ফেইস ডিটেকশন অ্যাপে ফয়সাল করিমের একাধিক ছবি তুলনামূলকভাবে যাচাই করেও ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের সিসি ফুটেজে দৃশ্যমান ব্যক্তির মিল পাওয়া গেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, গুলি করা ব্যক্তির বাম হাতে থাকা বিশেষ ডিজাইনের ঘড়িটির সঙ্গে একই ডিজাইনের ঘড়ি পরা একাধিক ছবি ফয়সাল করিম মাসুদের ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক প্রোফাইলে পাওয়া গেছে।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে একাধিক মূলধারার সংবাদমাধ্যমে ফয়সাল করিমের ছবিসহ খবর প্রকাশিত হয়েছিল। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকায় একটি অফিসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট ও ডাকাতির মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে ফয়সাল করিম র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। যদিও পরে কীভাবে তিনি ছাড়া পান, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ফয়সাল করিম মাসুদ (ছদ্মনাম দাউদ বিন ফয়সাল) নামের এই ব্যক্তি সাবেক ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং আদাবর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
সায়ের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন, যেটি ৯ ডিসেম্বর ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে তোলা। ছবিটির কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ছবিতে লালবৃত্তে চিহ্নিত ফয়সাল গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ওসমান হাদির ঠিক পাশে বসে ছিলেন একটি বৈঠকে। তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের বিশ্বস্ত অনুসারী বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে দুই দুর্বৃত্ত গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওসমান হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাদিলে গুলি করা ব্যক্তিদের ধরতে এরইমধ্যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাপিড অ্যানকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) যৌথ বাহিনী।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়েছিলেন। গত ৯ ডিসেম্বর কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনাও শুনছিলেন।
ডিজিটাল ইনভেস্টিগেটিভ মিডিয়া দ্য ডিসেন্ট হাদিকে গুলি করা করা ব্যক্তি, হাদির নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তি ও ৯ ডিসেম্বর ইনকিবাল কালচারাল সেন্টারে যাওয়া ব্যক্তির একাধিক ছবি তুলনামূলকভাবে যাচাই করে এই দাবি করেছে।
দ্য ডিসেন্ট জানিয়েছে, তিন ঘটনায় যে ব্যক্তি সামনে আসছে, তার সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান নামক এক ব্যক্তির চেহারা মিলে যাচ্ছে।
দ্য ডিসেন্টের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ইনকিলাব কালাচারাল সেন্টার থেকে সংগৃহীত ৯ ডিসেম্বরের সিসিটিভি ফুটেজ, পুলিশের সংগৃহীত ১২ ডিসেম্বরের হামলার সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ফয়সাল করিম মাসুদ নামক অ্যাকাউন্ট এবং আওয়ামীপন্থি বিভিন্ন পেজ ও ব্যক্তির প্রোফাইলে পোস্ট করা ৫০টিও বেশি ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ওসমান হাদির ওপর বাইকের পেছন থেকে গুলি করা ব্যক্তিটির চেহারার সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান নামের এক ব্যক্তির চেহারা মিলে যাচ্ছে। তিনি রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমে পুরোনো খবর থেকে জানা গেছে।
দুটি ফেইস ডিটেকশন অ্যাপে ফয়সাল করিমের একাধিক ছবি তুলনামূলকভাবে যাচাই করেও ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের সিসি ফুটেজে দৃশ্যমান ব্যক্তির মিল পাওয়া গেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, গুলি করা ব্যক্তির বাম হাতে থাকা বিশেষ ডিজাইনের ঘড়িটির সঙ্গে একই ডিজাইনের ঘড়ি পরা একাধিক ছবি ফয়সাল করিম মাসুদের ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক প্রোফাইলে পাওয়া গেছে।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে একাধিক মূলধারার সংবাদমাধ্যমে ফয়সাল করিমের ছবিসহ খবর প্রকাশিত হয়েছিল। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকায় একটি অফিসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট ও ডাকাতির মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে ফয়সাল করিম র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। যদিও পরে কীভাবে তিনি ছাড়া পান, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ফয়সাল করিম মাসুদ (ছদ্মনাম দাউদ বিন ফয়সাল) নামের এই ব্যক্তি সাবেক ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং আদাবর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
সায়ের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন, যেটি ৯ ডিসেম্বর ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে তোলা। ছবিটির কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ছবিতে লালবৃত্তে চিহ্নিত ফয়সাল গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ওসমান হাদির ঠিক পাশে বসে ছিলেন একটি বৈঠকে। তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের বিশ্বস্ত অনুসারী বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে রাজধানীর পল্টনের বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলে এসে দুই দুর্বৃত্ত গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওসমান হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাদিলে গুলি করা ব্যক্তিদের ধরতে এরইমধ্যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাপিড অ্যানকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) যৌথ বাহিনী।

१२ ডিসেম্বর, २০२५ ११:४२
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে মাঠে নামছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন এসংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান।
তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের দুদিন পর পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট আইনের আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতি উপজেলা-থানায় ন্যূনতম দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ জন্য আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতি উপজেলা-থানায় ন্যূনতম দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে মাঠে নামছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন এসংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান।
তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের দুদিন পর পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট আইনের আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতি উপজেলা-থানায় ন্যূনতম দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ জন্য আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রতি উপজেলা-থানায় ন্যূনতম দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.