১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:২৩
জীবনের সবচেয়ে নির্মম বাস্তবতা তখনই সামনে আসে, যখন একজন বাবা নিজের অঙ্গ বিক্রির কথা ভাবেন শুধু সন্তানের প্রাণ বাঁচানোর জন্য। এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে মনিরুজ্জামান লিটনের জীবনে।
পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। সারা জীবন জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন শত শত শিক্ষার্থীর মাঝে। কিন্তু আজ নিজেই ডুবে যাচ্ছেন এক অসহায় লড়াইয়ে ছেলের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে।
নীলফামারী সদর উপজেলার চড়চড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান লিটনের বড় ছেলে রাফিউজ্জামান রাসিক পড়াশোনা করছে পঞ্চম শ্রেণিতে। বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল, একদিন ছেলে বড় হয়ে বাবার মতো মানুষের সেবায় কাজ করবে।
কিন্তু সেই আশা এখনো অধরা। রাসিক এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া (এক ধরনের ক্যান্সার) রোগে আক্রান্ত। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলছে তার চিকিৎসা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হবে, যার জন্য প্রয়োজন প্রায় ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকা। বিপুল এই অর্থ একজন স্কুলশিক্ষকের পক্ষে জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব।
২০২০ সালেই রাসিকের শরীরে এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া ধরা পড়ে। তখন থেকেই চিকিৎসা চালাতে চালাতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন লিটন। বর্তমানে ছেলের চিকিৎসা ব্যয় দৈনিক প্রায় দুই হাজার টাকা, অর্থাৎ মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, এমনকি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে এবং নিজের সহায়-সম্পদ বিক্রি করে এতদিন ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বা এ রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার জন্য শেষ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক হৃদয়বিদারক পোস্ট দেন তিনি ‘আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য আমি আমার কিডনি বিক্রি করতে চাই। দয়া করে কেউ সাহায্য করুন।’ এই কয়েকটি লাইনের মধ্যেই যেন এক বাবার বুকফাটা আহাজারি, সমাজের প্রতি নিঃশব্দ আর্তনাদ ফুটে ওঠে।
পোস্টটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই মন্তব্য করেন, একজন বাবার ভালোবাসা কতটা গভীর হলে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন! কেউ সামান্য সাহায্যের হাত বাড়ান, কেউ বা শুধু সহানুভূতি প্রকাশ করেন। কিন্তু লিটনের মুখে তখন একটাই কথা, আমার ছেলে বাঁচুক, আমি না থাকলেও সমস্যা নেই।
ভেজা চোখে মনিরুজ্জামান লিটন জানান তার সংগ্রামের কথা। তিনি বলেন, আমি ২০২০ সাল থেকে আমার ছেলের জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছি। আমি শুধু আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে চাই, আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।
আমার যতটুকু সম্পদ ছিল, সব বিক্রি করে চিকিৎসা করেছি। এখন শুধু আমার বাড়িটাই আছে। সকলের কাছে অনুরোধ, আমার ছেলেকে বাঁচান। নতুবা আমার একটি কিডনি কেউ কিনে নিক, আমি আমার ছেলেকে বাঁচাতে চাই।
ছেলের পাশেই বসে ছিলেন মনিরুজ্জামান লিটনের স্ত্রী রিপা বেগম। তিনি বলেন, আমরা সবাই শুধু আমাদের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করছি। আমার স্বামী কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উনি (স্বামী লিটন) বলেছেন, আমি না থাকলে তুমি ছেলেদের দেখে রেখো।
লিটনের মা ও রাসিকের দাদি মেরিনা বেগম বলেন, আমি আমার নাতিকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতাম। করোনার (Covid-19) সময় ওর একদিন জ্বর আসে। তখন তো কেউ ঘর থেকে বের হতে দিত না, তারপরও আমার ছেলে ওকে রংপুরে নিয়ে যায়।
১০ দিন পর রিপোর্টে জানা যায়, নাতির ক্যান্সার হয়েছে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা করেই যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, আল্লাহ যদি হায়াত দেন, তাহলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। সবকিছু এখন আল্লাহর হাতে।
স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, আমরা জানি লিটন মাস্টার তার ছেলের চিকিৎসার জন্য সবকিছু শেষ করে ফেলেছেন। শুনেছি, এখন তিনি কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একজন বাবা সবসময় চায় তার সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখতে। হয়তো লিটন তার সন্তানের জন্য শেষ চেষ্টা করতে চায়।
রাফিউজ্জামান রাসিক বলেন, আমার বাবা আমার পেছনে সব কিছু শেষ করে দিয়েছেন। আমি সুস্থ হয়ে ডাক্তার হব। আমার মত অবহেলিত মানুষদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিতে চাই, যারা অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারে না। আমি জানি কষ্টটা কেমন। যখন আমার সমস্যা বেশি হয়, শরীরে দাগ পড়ে, শরীর এত দুর্বল লাগে যে বই পড়তেও পারি না, হাঁটতেও পারি না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রশিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকার সকলেই জানে মনিরুজ্জামান লিটন অনেকদিন ধরে ছেলের চিকিৎসার জন্য সব কিছু শেষ করে দিয়েছেন। এখন কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে শুনেছি। সন্তানের জন্য বাবার এমন ত্যাগ খুবই বিরল।
জীবনের সবচেয়ে নির্মম বাস্তবতা তখনই সামনে আসে, যখন একজন বাবা নিজের অঙ্গ বিক্রির কথা ভাবেন শুধু সন্তানের প্রাণ বাঁচানোর জন্য। এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে মনিরুজ্জামান লিটনের জীবনে।
পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। সারা জীবন জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন শত শত শিক্ষার্থীর মাঝে। কিন্তু আজ নিজেই ডুবে যাচ্ছেন এক অসহায় লড়াইয়ে ছেলের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে।
নীলফামারী সদর উপজেলার চড়চড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান লিটনের বড় ছেলে রাফিউজ্জামান রাসিক পড়াশোনা করছে পঞ্চম শ্রেণিতে। বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল, একদিন ছেলে বড় হয়ে বাবার মতো মানুষের সেবায় কাজ করবে।
কিন্তু সেই আশা এখনো অধরা। রাসিক এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া (এক ধরনের ক্যান্সার) রোগে আক্রান্ত। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলছে তার চিকিৎসা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হবে, যার জন্য প্রয়োজন প্রায় ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকা। বিপুল এই অর্থ একজন স্কুলশিক্ষকের পক্ষে জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব।
২০২০ সালেই রাসিকের শরীরে এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া ধরা পড়ে। তখন থেকেই চিকিৎসা চালাতে চালাতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন লিটন। বর্তমানে ছেলের চিকিৎসা ব্যয় দৈনিক প্রায় দুই হাজার টাকা, অর্থাৎ মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, এমনকি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে এবং নিজের সহায়-সম্পদ বিক্রি করে এতদিন ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বা এ রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার জন্য শেষ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক হৃদয়বিদারক পোস্ট দেন তিনি ‘আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য আমি আমার কিডনি বিক্রি করতে চাই। দয়া করে কেউ সাহায্য করুন।’ এই কয়েকটি লাইনের মধ্যেই যেন এক বাবার বুকফাটা আহাজারি, সমাজের প্রতি নিঃশব্দ আর্তনাদ ফুটে ওঠে।
পোস্টটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই মন্তব্য করেন, একজন বাবার ভালোবাসা কতটা গভীর হলে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন! কেউ সামান্য সাহায্যের হাত বাড়ান, কেউ বা শুধু সহানুভূতি প্রকাশ করেন। কিন্তু লিটনের মুখে তখন একটাই কথা, আমার ছেলে বাঁচুক, আমি না থাকলেও সমস্যা নেই।
ভেজা চোখে মনিরুজ্জামান লিটন জানান তার সংগ্রামের কথা। তিনি বলেন, আমি ২০২০ সাল থেকে আমার ছেলের জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছি। আমি শুধু আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে চাই, আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।
আমার যতটুকু সম্পদ ছিল, সব বিক্রি করে চিকিৎসা করেছি। এখন শুধু আমার বাড়িটাই আছে। সকলের কাছে অনুরোধ, আমার ছেলেকে বাঁচান। নতুবা আমার একটি কিডনি কেউ কিনে নিক, আমি আমার ছেলেকে বাঁচাতে চাই।
ছেলের পাশেই বসে ছিলেন মনিরুজ্জামান লিটনের স্ত্রী রিপা বেগম। তিনি বলেন, আমরা সবাই শুধু আমাদের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করছি। আমার স্বামী কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উনি (স্বামী লিটন) বলেছেন, আমি না থাকলে তুমি ছেলেদের দেখে রেখো।
লিটনের মা ও রাসিকের দাদি মেরিনা বেগম বলেন, আমি আমার নাতিকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতাম। করোনার (Covid-19) সময় ওর একদিন জ্বর আসে। তখন তো কেউ ঘর থেকে বের হতে দিত না, তারপরও আমার ছেলে ওকে রংপুরে নিয়ে যায়।
১০ দিন পর রিপোর্টে জানা যায়, নাতির ক্যান্সার হয়েছে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা করেই যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, আল্লাহ যদি হায়াত দেন, তাহলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। সবকিছু এখন আল্লাহর হাতে।
স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, আমরা জানি লিটন মাস্টার তার ছেলের চিকিৎসার জন্য সবকিছু শেষ করে ফেলেছেন। শুনেছি, এখন তিনি কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একজন বাবা সবসময় চায় তার সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখতে। হয়তো লিটন তার সন্তানের জন্য শেষ চেষ্টা করতে চায়।
রাফিউজ্জামান রাসিক বলেন, আমার বাবা আমার পেছনে সব কিছু শেষ করে দিয়েছেন। আমি সুস্থ হয়ে ডাক্তার হব। আমার মত অবহেলিত মানুষদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিতে চাই, যারা অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারে না। আমি জানি কষ্টটা কেমন। যখন আমার সমস্যা বেশি হয়, শরীরে দাগ পড়ে, শরীর এত দুর্বল লাগে যে বই পড়তেও পারি না, হাঁটতেও পারি না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রশিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকার সকলেই জানে মনিরুজ্জামান লিটন অনেকদিন ধরে ছেলের চিকিৎসার জন্য সব কিছু শেষ করে দিয়েছেন। এখন কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে শুনেছি। সন্তানের জন্য বাবার এমন ত্যাগ খুবই বিরল।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:১৬
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৩০
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:২৫
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:০৮
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:১৪
কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় কথাকাটাকাটির জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে সরোয়ার আলম (২৫) নামে এ যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত সরোয়ার আলম কক্সবাজার পৌরসভার লাইট হাউজ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক এক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সরোয়ারের সাথে তার ফুফাতো ভাই রায়হানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে সরোয়ারের বুকে আঘাত করে।
পরে গুরুতর অবস্থায় সরোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন।
প্রতিবেশী মো. আলম বলেন, শান্ত-ভদ্র স্বভাবের সরোয়ার ছিল সবার প্রিয়। ওর উপার্জনে পরিবারটা চলতো। শুধু এক মুহূর্তের রাগে রায়হান ওকে মেরে ফেলল। এটা আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত সরোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় কথাকাটাকাটির জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে সরোয়ার আলম (২৫) নামে এ যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত সরোয়ার আলম কক্সবাজার পৌরসভার লাইট হাউজ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক এক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সরোয়ারের সাথে তার ফুফাতো ভাই রায়হানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে সরোয়ারের বুকে আঘাত করে।
পরে গুরুতর অবস্থায় সরোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন।
প্রতিবেশী মো. আলম বলেন, শান্ত-ভদ্র স্বভাবের সরোয়ার ছিল সবার প্রিয়। ওর উপার্জনে পরিবারটা চলতো। শুধু এক মুহূর্তের রাগে রায়হান ওকে মেরে ফেলল। এটা আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত সরোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:০৫
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় আব্দুল কাদের (৫৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাইকান কুঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী শুক্রবার নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।
তবে বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক আব্দুল কাদের কিশোরীটির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি কাবিননামা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে শিক্ষক আব্দুল কাদের ওই কিশোরীকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখেন ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবু হানিফ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় আব্দুল কাদের (৫৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাইকান কুঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী শুক্রবার নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।
তবে বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক আব্দুল কাদের কিশোরীটির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি কাবিননামা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে শিক্ষক আব্দুল কাদের ওই কিশোরীকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখেন ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবু হানিফ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:১৪
খানাখন্দ, কাদা-পানি আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় পুরো টার্মিনাল, ডুবে যায় বড় বড় গর্ত।
প্রতিদিনই বাস, রিকশা, অটোরিকশা থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে এই গর্তে। যাত্রীদের নামতে হচ্ছে কাদা-পানিতে, অনেক সময় পড়তে হচ্ছে আহত হওয়ার ঝুঁকিতেও। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক এবং চালকরা।
২০০৬ সালে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে মাছিমপুর এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ টার্মিনাল নির্মাণ করে। তখন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে পড়ে অপ্রতুল।
প্রতিদিন প্রায় ১৪টি রুটে ৬ শতাধিকের বেশি বাস ও মিনিবাস এখান থেকে ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। কিন্তু ধারণক্ষমতার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে টার্মিনালে।
বাস রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার দুই পাশে সারি সারি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে, এতে যানজট ও চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে নতুন নতুন বাস চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অযাচিত চাপ পড়ছে টার্মিনালের ওপর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্মিনালে ঢোকার মুখেই রয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথায় গর্ত তা বোঝা যায় না। এতে প্রায়ই বাস আটকে যায়। ছোট যানবাহন যেমন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ছে বিপদে। যাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে কেউ নামতে গিয়ে কাদা-পানিতে ভিজে যাচ্ছেন, আবার কেউ খানাখন্দে পড়ে আহত হচ্ছেন।
স্থানীয় যাত্রী সজল শেখ বলেন, পিরোজপুরের বাইরে কোথাও যেতে গেলে এই টার্মিনালে আসতে হয়, কিন্তু অবস্থা এত খারাপ যে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় বাস থেকে নামলেই কাদা-পানিতে নেমে যেতে হয়। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
বাসচালক আবুল হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলা বাস টার্মিনাল এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে বাস রাখার ব্যবস্থা নেই, গর্তে পড়লে ক্রেন দিয়ে বা অন্য বাস দিয়ে টেনে তুলতে হয়। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের টার্মিনালটি ঠিক করে দেওয়া হোক, না হলে এখানে আর বাস রাখা যাবে না।
শ্রমিক মাহাতাব আলী বলেন, এই টার্মিনালে বাস নিয়ে ঢুকতে এবং বের হতে গেলে প্রায়ই বাসের বিভিন্ন সমস্যা হয়। চাকার ক্ষতি হয়, নিচের পাতির ক্ষতি হয়, ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় এগুলো আবার মেরামত করতে অনেক সময় লাগে। ফলে বাস বন্ধ হয়ে গেলে ইনকামও বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবহন মালিক আব্দুস সালাম খান বলেন, টার্মিনাল দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মালিক, যাত্রী ও চালকদের জন্য এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই দ্রুতই এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
১৯ বছর আগে নির্মিত হলেও এ টার্মিনালে এখনো কোনো বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। ফলে এখন এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের একটাই দাবি—দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হোক পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া শুধু খানাখন্দ মেরামত করে সমস্যার সমাধান হবে না। টার্মিনালটিকে আধুনিকায়ন, বাস পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জোন তৈরি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অতিরিক্ত বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প হিসেবে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা দরকার। নইলে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়বে।
পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছি, বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। বর্ষাকালে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পানি পেরিয়ে সড়কে ওঠে। আমরা পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি গর্তগুলো ভরাট করার জন্য। আশা করছি, দ্রুতই কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করবে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, আমরা এ বিষয়ে গত বছরে খুব স্বল্প পরিসরে কিছুটা মেরামত করেছি। পাশাপাশি কয়েকটি প্রজেক্টের জন্য স্কিম প্রেরন করেছি। আশা করি, বরাদ্দ পেলে দ্রুতই এটি মেরামতের কাজ করা হবে।
খানাখন্দ, কাদা-পানি আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় পুরো টার্মিনাল, ডুবে যায় বড় বড় গর্ত।
প্রতিদিনই বাস, রিকশা, অটোরিকশা থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে এই গর্তে। যাত্রীদের নামতে হচ্ছে কাদা-পানিতে, অনেক সময় পড়তে হচ্ছে আহত হওয়ার ঝুঁকিতেও। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক এবং চালকরা।
২০০৬ সালে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে মাছিমপুর এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ টার্মিনাল নির্মাণ করে। তখন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে পড়ে অপ্রতুল।
প্রতিদিন প্রায় ১৪টি রুটে ৬ শতাধিকের বেশি বাস ও মিনিবাস এখান থেকে ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। কিন্তু ধারণক্ষমতার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে টার্মিনালে।
বাস রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার দুই পাশে সারি সারি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে, এতে যানজট ও চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে নতুন নতুন বাস চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অযাচিত চাপ পড়ছে টার্মিনালের ওপর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্মিনালে ঢোকার মুখেই রয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথায় গর্ত তা বোঝা যায় না। এতে প্রায়ই বাস আটকে যায়। ছোট যানবাহন যেমন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ছে বিপদে। যাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে কেউ নামতে গিয়ে কাদা-পানিতে ভিজে যাচ্ছেন, আবার কেউ খানাখন্দে পড়ে আহত হচ্ছেন।
স্থানীয় যাত্রী সজল শেখ বলেন, পিরোজপুরের বাইরে কোথাও যেতে গেলে এই টার্মিনালে আসতে হয়, কিন্তু অবস্থা এত খারাপ যে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় বাস থেকে নামলেই কাদা-পানিতে নেমে যেতে হয়। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
বাসচালক আবুল হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলা বাস টার্মিনাল এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে বাস রাখার ব্যবস্থা নেই, গর্তে পড়লে ক্রেন দিয়ে বা অন্য বাস দিয়ে টেনে তুলতে হয়। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের টার্মিনালটি ঠিক করে দেওয়া হোক, না হলে এখানে আর বাস রাখা যাবে না।
শ্রমিক মাহাতাব আলী বলেন, এই টার্মিনালে বাস নিয়ে ঢুকতে এবং বের হতে গেলে প্রায়ই বাসের বিভিন্ন সমস্যা হয়। চাকার ক্ষতি হয়, নিচের পাতির ক্ষতি হয়, ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় এগুলো আবার মেরামত করতে অনেক সময় লাগে। ফলে বাস বন্ধ হয়ে গেলে ইনকামও বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবহন মালিক আব্দুস সালাম খান বলেন, টার্মিনাল দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মালিক, যাত্রী ও চালকদের জন্য এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই দ্রুতই এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
১৯ বছর আগে নির্মিত হলেও এ টার্মিনালে এখনো কোনো বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। ফলে এখন এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের একটাই দাবি—দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হোক পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া শুধু খানাখন্দ মেরামত করে সমস্যার সমাধান হবে না। টার্মিনালটিকে আধুনিকায়ন, বাস পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জোন তৈরি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অতিরিক্ত বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প হিসেবে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা দরকার। নইলে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়বে।
পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছি, বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। বর্ষাকালে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পানি পেরিয়ে সড়কে ওঠে। আমরা পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি গর্তগুলো ভরাট করার জন্য। আশা করছি, দ্রুতই কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করবে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, আমরা এ বিষয়ে গত বছরে খুব স্বল্প পরিসরে কিছুটা মেরামত করেছি। পাশাপাশি কয়েকটি প্রজেক্টের জন্য স্কিম প্রেরন করেছি। আশা করি, বরাদ্দ পেলে দ্রুতই এটি মেরামতের কাজ করা হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.