
১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:২৩
জীবনের সবচেয়ে নির্মম বাস্তবতা তখনই সামনে আসে, যখন একজন বাবা নিজের অঙ্গ বিক্রির কথা ভাবেন শুধু সন্তানের প্রাণ বাঁচানোর জন্য। এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে মনিরুজ্জামান লিটনের জীবনে।
পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। সারা জীবন জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন শত শত শিক্ষার্থীর মাঝে। কিন্তু আজ নিজেই ডুবে যাচ্ছেন এক অসহায় লড়াইয়ে ছেলের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে।
নীলফামারী সদর উপজেলার চড়চড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান লিটনের বড় ছেলে রাফিউজ্জামান রাসিক পড়াশোনা করছে পঞ্চম শ্রেণিতে। বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল, একদিন ছেলে বড় হয়ে বাবার মতো মানুষের সেবায় কাজ করবে।
কিন্তু সেই আশা এখনো অধরা। রাসিক এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া (এক ধরনের ক্যান্সার) রোগে আক্রান্ত। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলছে তার চিকিৎসা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হবে, যার জন্য প্রয়োজন প্রায় ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকা। বিপুল এই অর্থ একজন স্কুলশিক্ষকের পক্ষে জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব।
২০২০ সালেই রাসিকের শরীরে এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া ধরা পড়ে। তখন থেকেই চিকিৎসা চালাতে চালাতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন লিটন। বর্তমানে ছেলের চিকিৎসা ব্যয় দৈনিক প্রায় দুই হাজার টাকা, অর্থাৎ মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, এমনকি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে এবং নিজের সহায়-সম্পদ বিক্রি করে এতদিন ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বা এ রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার জন্য শেষ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক হৃদয়বিদারক পোস্ট দেন তিনি ‘আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য আমি আমার কিডনি বিক্রি করতে চাই। দয়া করে কেউ সাহায্য করুন।’ এই কয়েকটি লাইনের মধ্যেই যেন এক বাবার বুকফাটা আহাজারি, সমাজের প্রতি নিঃশব্দ আর্তনাদ ফুটে ওঠে।
পোস্টটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই মন্তব্য করেন, একজন বাবার ভালোবাসা কতটা গভীর হলে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন! কেউ সামান্য সাহায্যের হাত বাড়ান, কেউ বা শুধু সহানুভূতি প্রকাশ করেন। কিন্তু লিটনের মুখে তখন একটাই কথা, আমার ছেলে বাঁচুক, আমি না থাকলেও সমস্যা নেই।
ভেজা চোখে মনিরুজ্জামান লিটন জানান তার সংগ্রামের কথা। তিনি বলেন, আমি ২০২০ সাল থেকে আমার ছেলের জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছি। আমি শুধু আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে চাই, আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।
আমার যতটুকু সম্পদ ছিল, সব বিক্রি করে চিকিৎসা করেছি। এখন শুধু আমার বাড়িটাই আছে। সকলের কাছে অনুরোধ, আমার ছেলেকে বাঁচান। নতুবা আমার একটি কিডনি কেউ কিনে নিক, আমি আমার ছেলেকে বাঁচাতে চাই।
ছেলের পাশেই বসে ছিলেন মনিরুজ্জামান লিটনের স্ত্রী রিপা বেগম। তিনি বলেন, আমরা সবাই শুধু আমাদের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করছি। আমার স্বামী কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উনি (স্বামী লিটন) বলেছেন, আমি না থাকলে তুমি ছেলেদের দেখে রেখো।
লিটনের মা ও রাসিকের দাদি মেরিনা বেগম বলেন, আমি আমার নাতিকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতাম। করোনার (Covid-19) সময় ওর একদিন জ্বর আসে। তখন তো কেউ ঘর থেকে বের হতে দিত না, তারপরও আমার ছেলে ওকে রংপুরে নিয়ে যায়।
১০ দিন পর রিপোর্টে জানা যায়, নাতির ক্যান্সার হয়েছে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা করেই যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, আল্লাহ যদি হায়াত দেন, তাহলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। সবকিছু এখন আল্লাহর হাতে।
স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, আমরা জানি লিটন মাস্টার তার ছেলের চিকিৎসার জন্য সবকিছু শেষ করে ফেলেছেন। শুনেছি, এখন তিনি কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একজন বাবা সবসময় চায় তার সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখতে। হয়তো লিটন তার সন্তানের জন্য শেষ চেষ্টা করতে চায়।
রাফিউজ্জামান রাসিক বলেন, আমার বাবা আমার পেছনে সব কিছু শেষ করে দিয়েছেন। আমি সুস্থ হয়ে ডাক্তার হব। আমার মত অবহেলিত মানুষদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিতে চাই, যারা অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারে না। আমি জানি কষ্টটা কেমন। যখন আমার সমস্যা বেশি হয়, শরীরে দাগ পড়ে, শরীর এত দুর্বল লাগে যে বই পড়তেও পারি না, হাঁটতেও পারি না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রশিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকার সকলেই জানে মনিরুজ্জামান লিটন অনেকদিন ধরে ছেলের চিকিৎসার জন্য সব কিছু শেষ করে দিয়েছেন। এখন কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে শুনেছি। সন্তানের জন্য বাবার এমন ত্যাগ খুবই বিরল।
জীবনের সবচেয়ে নির্মম বাস্তবতা তখনই সামনে আসে, যখন একজন বাবা নিজের অঙ্গ বিক্রির কথা ভাবেন শুধু সন্তানের প্রাণ বাঁচানোর জন্য। এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে মনিরুজ্জামান লিটনের জীবনে।
পেশায় তিনি একজন শিক্ষক। সারা জীবন জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন শত শত শিক্ষার্থীর মাঝে। কিন্তু আজ নিজেই ডুবে যাচ্ছেন এক অসহায় লড়াইয়ে ছেলের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে।
নীলফামারী সদর উপজেলার চড়চড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান লিটনের বড় ছেলে রাফিউজ্জামান রাসিক পড়াশোনা করছে পঞ্চম শ্রেণিতে। বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল, একদিন ছেলে বড় হয়ে বাবার মতো মানুষের সেবায় কাজ করবে।
কিন্তু সেই আশা এখনো অধরা। রাসিক এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া (এক ধরনের ক্যান্সার) রোগে আক্রান্ত। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলছে তার চিকিৎসা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হবে, যার জন্য প্রয়োজন প্রায় ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকা। বিপুল এই অর্থ একজন স্কুলশিক্ষকের পক্ষে জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব।
২০২০ সালেই রাসিকের শরীরে এপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া ধরা পড়ে। তখন থেকেই চিকিৎসা চালাতে চালাতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন লিটন। বর্তমানে ছেলের চিকিৎসা ব্যয় দৈনিক প্রায় দুই হাজার টাকা, অর্থাৎ মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, এমনকি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে এবং নিজের সহায়-সম্পদ বিক্রি করে এতদিন ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বা এ রোগের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার জন্য শেষ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক হৃদয়বিদারক পোস্ট দেন তিনি ‘আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য আমি আমার কিডনি বিক্রি করতে চাই। দয়া করে কেউ সাহায্য করুন।’ এই কয়েকটি লাইনের মধ্যেই যেন এক বাবার বুকফাটা আহাজারি, সমাজের প্রতি নিঃশব্দ আর্তনাদ ফুটে ওঠে।
পোস্টটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই মন্তব্য করেন, একজন বাবার ভালোবাসা কতটা গভীর হলে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন! কেউ সামান্য সাহায্যের হাত বাড়ান, কেউ বা শুধু সহানুভূতি প্রকাশ করেন। কিন্তু লিটনের মুখে তখন একটাই কথা, আমার ছেলে বাঁচুক, আমি না থাকলেও সমস্যা নেই।
ভেজা চোখে মনিরুজ্জামান লিটন জানান তার সংগ্রামের কথা। তিনি বলেন, আমি ২০২০ সাল থেকে আমার ছেলের জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছি। আমি শুধু আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে চাই, আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।
আমার যতটুকু সম্পদ ছিল, সব বিক্রি করে চিকিৎসা করেছি। এখন শুধু আমার বাড়িটাই আছে। সকলের কাছে অনুরোধ, আমার ছেলেকে বাঁচান। নতুবা আমার একটি কিডনি কেউ কিনে নিক, আমি আমার ছেলেকে বাঁচাতে চাই।
ছেলের পাশেই বসে ছিলেন মনিরুজ্জামান লিটনের স্ত্রী রিপা বেগম। তিনি বলেন, আমরা সবাই শুধু আমাদের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করছি। আমার স্বামী কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উনি (স্বামী লিটন) বলেছেন, আমি না থাকলে তুমি ছেলেদের দেখে রেখো।
লিটনের মা ও রাসিকের দাদি মেরিনা বেগম বলেন, আমি আমার নাতিকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতাম। করোনার (Covid-19) সময় ওর একদিন জ্বর আসে। তখন তো কেউ ঘর থেকে বের হতে দিত না, তারপরও আমার ছেলে ওকে রংপুরে নিয়ে যায়।
১০ দিন পর রিপোর্টে জানা যায়, নাতির ক্যান্সার হয়েছে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা করেই যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, আল্লাহ যদি হায়াত দেন, তাহলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। সবকিছু এখন আল্লাহর হাতে।
স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, আমরা জানি লিটন মাস্টার তার ছেলের চিকিৎসার জন্য সবকিছু শেষ করে ফেলেছেন। শুনেছি, এখন তিনি কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একজন বাবা সবসময় চায় তার সন্তানদের বাঁচিয়ে রাখতে। হয়তো লিটন তার সন্তানের জন্য শেষ চেষ্টা করতে চায়।
রাফিউজ্জামান রাসিক বলেন, আমার বাবা আমার পেছনে সব কিছু শেষ করে দিয়েছেন। আমি সুস্থ হয়ে ডাক্তার হব। আমার মত অবহেলিত মানুষদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিতে চাই, যারা অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারে না। আমি জানি কষ্টটা কেমন। যখন আমার সমস্যা বেশি হয়, শরীরে দাগ পড়ে, শরীর এত দুর্বল লাগে যে বই পড়তেও পারি না, হাঁটতেও পারি না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রশিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকার সকলেই জানে মনিরুজ্জামান লিটন অনেকদিন ধরে ছেলের চিকিৎসার জন্য সব কিছু শেষ করে দিয়েছেন। এখন কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে শুনেছি। সন্তানের জন্য বাবার এমন ত্যাগ খুবই বিরল।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৮
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.