
১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:৪১
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা হবে কাল। জুলাই–আগস্টের দমন-পীড়নে প্রাণ হারানো মানুষের স্বজন, আহত আর গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সাধারণ মানুষ- সবার দৃষ্টি এখন এই রায়ের দিকেই। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহণ আর আইনি লড়াই শেষে এখন অপেক্ষা শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের।
জাতিসংঘের হিসেবে জুলাই অভ্যুত্থানের দমন পীড়নে প্রাণ গেছে অন্তত ১৪শ নিরীহ মানুষের। ঘাতকের বিচারের অপেক্ষায় দীর্ঘ এক বছরের বেশী সময় অপেক্ষার পর রায় পেতে চলেছে শহীদ পরিবার, আহত এবং গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া এদেশের আপামর জনগণ।
কাগজে-কলমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয় গেল বছরের অক্টোবরে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হবার পর। এরপর অন্তত ৬ মাস সময় নিয়েছে তদন্ত সংস্থা, কী ঘটেছে তার একটা প্রাথমিক প্রতিবেদন দিতে। এই আদালতে জুলাই আগস্ট হত্যাযজ্ঞের আনুষ্ঠানিক চার্জ উপস্থাপন হয় চলতি বছরের জুনে। এবং চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয় জুলাই-য়ে। সে সময়ই এই গণহত্যা মামলার আসামী সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হন, আদালতের ভাষায় "অ্যাপ্রুভার"।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী তামিম বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে আহত এবং নিহতদের শরীর থেকে প্রাপ্ত বুলেট, পিলেট এবং তাদের চিকিৎসা ও মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করে ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছি। শুধু তাই নয়, জুলাইয়ে যে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিলো সেই হেলিকপ্টারের ফ্লাইট শিডিউল ও আমরা জমা দিয়েছি।’
মোটা দাগে এই মামলার ৫৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, প্রমাণ উপাত্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম ৫টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ করতে লড়েছে। এর শুরুতেই আছে ১৪ জুলাই শেখ হাসিনার শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা ও নাতিপুতি সম্বোধনের বিষয়টি। প্রসিকিউশন পক্ষ এই বক্তব্যকে গণহত্যার উস্কানি হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা হবে কাল। জুলাই–আগস্টের দমন-পীড়নে প্রাণ হারানো মানুষের স্বজন, আহত আর গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সাধারণ মানুষ- সবার দৃষ্টি এখন এই রায়ের দিকেই। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহণ আর আইনি লড়াই শেষে এখন অপেক্ষা শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের।
জাতিসংঘের হিসেবে জুলাই অভ্যুত্থানের দমন পীড়নে প্রাণ গেছে অন্তত ১৪শ নিরীহ মানুষের। ঘাতকের বিচারের অপেক্ষায় দীর্ঘ এক বছরের বেশী সময় অপেক্ষার পর রায় পেতে চলেছে শহীদ পরিবার, আহত এবং গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া এদেশের আপামর জনগণ।
কাগজে-কলমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয় গেল বছরের অক্টোবরে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হবার পর। এরপর অন্তত ৬ মাস সময় নিয়েছে তদন্ত সংস্থা, কী ঘটেছে তার একটা প্রাথমিক প্রতিবেদন দিতে। এই আদালতে জুলাই আগস্ট হত্যাযজ্ঞের আনুষ্ঠানিক চার্জ উপস্থাপন হয় চলতি বছরের জুনে। এবং চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয় জুলাই-য়ে। সে সময়ই এই গণহত্যা মামলার আসামী সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হন, আদালতের ভাষায় "অ্যাপ্রুভার"।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী তামিম বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে আহত এবং নিহতদের শরীর থেকে প্রাপ্ত বুলেট, পিলেট এবং তাদের চিকিৎসা ও মৃত্যু সনদ সংগ্রহ করে ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছি। শুধু তাই নয়, জুলাইয়ে যে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিলো সেই হেলিকপ্টারের ফ্লাইট শিডিউল ও আমরা জমা দিয়েছি।’
মোটা দাগে এই মামলার ৫৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, প্রমাণ উপাত্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম ৫টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ করতে লড়েছে। এর শুরুতেই আছে ১৪ জুলাই শেখ হাসিনার শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা ও নাতিপুতি সম্বোধনের বিষয়টি। প্রসিকিউশন পক্ষ এই বক্তব্যকে গণহত্যার উস্কানি হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছেন।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:২৪
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:০৯
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৮

২১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:০৮
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশকে ঘিরে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ভূকম্পবিদরা জানিয়েছেন, দেশটি তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে থাকায় এখানে যে কোনো সময় ৯.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। তাদের মতে, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কম্পন ঘটলে রাজধানী ঢাকার অর্ধেক ভবন পর্যন্ত মাটিতে মিশে যেতে পারে, আর এতে বিপদে পড়বে লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কিন্তু দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এখনো খুব সীমিত। বড় ভূমিকম্প সামলাতে সক্ষমতা বর্তমানে ২০ শতাংশেরও কম—যা পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলছে।
এদিকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে উদ্ধার ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের সতর্কবার্তা আরও স্পষ্ট—উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
তাদের মতে, এখনই সারা দেশে ভবনগুলোর নিরাপত্তা যাচাই, সঠিক নির্মাণবিধি প্রয়োগ এবং নিয়মিত ভূমিকম্প মহড়া চালু না করলে ভবিষ্যৎ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে ভয়াবহ। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করাকে সময়ের দাবি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

২১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:১৬
শুক্রবার অন্যতম পবিত্র দিবস। প্রতি মাসে চার-পাঁচবার এবং বছরে প্রায় বায়ান্নবার পবিত্র এ দিবসটির আগমন হয়। মহান রবের ঘোষিত অনুপম মর্যাদার শ্রেষ্ঠ দিন-রাতগুলোতে ইবাদত করার প্রত্যয় প্রকৃত মুমিন মুসলিমগণকে তিনশ চৌষট্টি দিনের প্রহর গুনতে হলেও সপ্তাহের পালাক্রমে চলমান শুক্রবার তথা জুমাবারের জন্য মাত্র ছয়টি দিন অপেক্ষা করতে হয়। মহান রাব্বুল আলামিন মাত্র ছয় দিনে নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করেন, যা পরিপূর্ণতায় বিকশিত হয় সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবারে। এই মর্মে পবিত্র কুরআনে কয়েকটি আয়াতে মহান রাব্বুল আলামিনের ঘোষণা রয়েছে। প্রখ্যাত তাফসিরবিশারদ আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.)-এর সহিহ বর্ণনায় জানা যায়, ছয় দিনে জগৎ সৃষ্টি হয়েছে তা রোববার থেকে শুরু করে শুক্রবারে শেষ হয়। আবার পৃথিবী ধ্বংস তথা কেয়ামত সংঘটিত হবে ঠিক শুক্রবারে। এই দিনে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে হজরত আদম (আ.) ও মাতা হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনেই তাদের দুজনকে পৃথিবীর দুটি অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। হজরত আদম (আ.)-কে শাস্তি স্বরূপ রাখা হয়েছিল শ্রীলঙ্কায় এবং মাতা হাওয়া (আ.)-কে রাখা হয়েছিল সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে। আবার এই দিনেই তাদের দুজনকে মহান রাব্বুল আলামিন ক্ষমা করে দিয়ে একত্র করে দিয়েছিলেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এ দিন আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিন তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিন সেখান থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে, জুমার দিনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। (মুসলিম : ১৮৬২)
একজন মানুষের জীবদ্দশায় যতবার সূর্যোদয় হবে এবং যতগুলো সকাল ভাগ্যে জুটবে তার ভেতরে সবচেয়ে মহিমাপূর্ণ দিনটি সে পাবে শুক্রবার তথা জুমার দিন। একটি দিন বলতে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়কে বোঝায়। এর অর্থ, সব প্রকার ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল ইবাদতের জন্য এই দিনটি সর্বোৎকৃষ্ট এবং মঙ্গলজনক। আরবি জুমা শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো একত্রিত করা। আগের যুগে এই দিনকে ‘উরুবা’ বলা হতো। জুমার দিনে চার ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি জোহরের পরিবর্তে দুই রাকাত সালাত আদায় করা ফরজ এবং খুতবা পাঠ ও শোনা ওয়াজিব হিসেবে নির্ধারিত করা হয়েছে। জুমার সালাত ফরজ হয় প্রথম হিজরিতে। রাসুলুল্লাহ (সা.) হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে শুক্রবার মদিনা পৌঁছেন এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে জোহরের ওয়াক্ত হলে সেখানেই তিনি জুমার সালাত আদায় করেন। এটাই ইতিহাসের প্রথম জুমার সালাত। জুমার নামাজের বিষয়ে পবিত্র কুরআনে সুরা জুমার ১০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত গমন করো এবং কেনাবেচা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বোঝ। অতঃপর নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত : ৯-১০)
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ১১৪টি সুরার মধ্যে পৃথক ও স্বাতন্ত্র্য একটি সুরা নাজিল করেছেন, যা নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরা জুমা’ নামে। যেমন মহান আল্লাহ মুমিনদের উদ্দেশ্য করে শুক্রবারে আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেনাবেচা বন্ধসহ দুনিয়াবি সব কাজ পরিত্যাগ করে নামাজের জন্য ছুটতে আদেশ করেছেন এবং এও বলেছেন, নামাজ শেষে আবার তোমরা কর্মে ছড়িয়ে পড়ে দিনটিতে আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো। তবে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, মুসলিম সমাজে শয়তানের প্ররোচনায় কিছু মানুষ শুক্রবার দিনটিকে এমনভাবে বিমুখীকরণ করে রেখেছে, যার অন্ত নেই। লক্ষ করলে দেখা যাবে, সপ্তাহের ছুটির দিন হলো শুক্রবার, আর যে কারণে এই দিনে বেচাকেনা সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে। এই উপমহাদেশে পশ্চিমা বণিকরা বেচাকেনার উদ্দেশ্যে এসে শাসনের গোড়াপত্তন করেই শেষ হয়নি, বরং কয়েকশ বছর শাসনের নামে শোষণ করে অমুসলিম কালচারের বীজ বপন করে যায়। সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে কুরআনে যে ব্যাপারে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে, আজকের মুসলিম সমাজ শুক্রবারের জুমার আজান হওয়ার পরেও সেই হাট-বাজারে ব্যস্ত হয়ে থাকে।
এই দিনটি মুসলমানের জন্য বিশেষ মহিমাপূর্ণ, যা মহান আল্লাহ খুশি হয়ে মুসলমানদের দান করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ আমাদের পূর্ববর্তীদের জুমার দিন সম্পর্কে সঠিক পথের সন্ধান দেননি বিরোধে লিপ্ত হওয়ার কারণে। তাই ইহুদিদের জন্য শনিবার এবং খ্রিস্টানদের জন্য রোববার এবং মুসলিমদের জন্য জুমার দিন নির্ধারণ করলেন। তিনি জুমার দিন, শনিবার ও রোববার এভাবে বিন্যাস করলেন যে, ওইসব জাতি কেয়ামাতের দিন আমাদের পশ্চাৎবর্তী হবে। আমরা পৃথিবীবাসীর মধ্যে শেষে আগমনকারী উম্মত এবং কেয়ামতের দিন হব সর্বপ্রথম। যাদের সমগ্র সৃষ্টির সর্বপ্রথম বিচার অনুষ্ঠিত হবে’ (মুসলিম : ১৮৬৭)। ইহুদি ও খ্রিস্টানদের জন্য জুমার দিন বরাদ্দ করলেও তারা বেছে নিয়েছে শনিবার ও রোববার। এই জন্য মহান আল্লাহ স্পষ্টভাবে তাদের জন্য লানত নির্ধারণ করলেন। অতএব যারা মুসলিম হয়েও ইহুদি-খ্রিস্টানদের মতো শুক্রবারের মর্যাদা রক্ষায় গাফিলতি করবে কিংবা ইহুদি-খ্রিস্টানের মতো এই দিনটিকে পরিত্যাগ করবে তারাও তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।
জুমার দিন ভাগ্যবান মুসলমানদের জন্য ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া-দরুদের সুবর্ণ সুযোগ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার কাছে থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তা হলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সব সগিরা গুনাহর জন্য কাফফারা হবে’ (আবু দাউদ : ৩৪৩)। আবু হুরায়রা (রা.) আরও বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের সঙ্গে একদিন শুক্রবারের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন। এরপর রাসুল (সা.) তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন (বুখারি)। ফিকহ শাস্ত্রবিদগণ জুমার দিনে দোয়া কবুলের সময়টা আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের নামাজ পর্যন্ত বলে ব্যাখ্যা করেছেন। সুতরাং এ দিনে যত পারি ইবাদত করি, বেশি বেশি সালাত আদায় করি, জিকির করি, দোয়া-দরুদ পাঠ করি, মহান রবের খুশিতে অন্তরে পরকালের ভয় এনে ইসলাম পরিপন্থী কাজগুলো প্রত্যাখ্যান করি। মহান আল্লাহ সবাইকে তওফিক দিন।
শুক্রবার অন্যতম পবিত্র দিবস। প্রতি মাসে চার-পাঁচবার এবং বছরে প্রায় বায়ান্নবার পবিত্র এ দিবসটির আগমন হয়। মহান রবের ঘোষিত অনুপম মর্যাদার শ্রেষ্ঠ দিন-রাতগুলোতে ইবাদত করার প্রত্যয় প্রকৃত মুমিন মুসলিমগণকে তিনশ চৌষট্টি দিনের প্রহর গুনতে হলেও সপ্তাহের পালাক্রমে চলমান শুক্রবার তথা জুমাবারের জন্য মাত্র ছয়টি দিন অপেক্ষা করতে হয়। মহান রাব্বুল আলামিন মাত্র ছয় দিনে নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃষ্টি করেন, যা পরিপূর্ণতায় বিকশিত হয় সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবারে। এই মর্মে পবিত্র কুরআনে কয়েকটি আয়াতে মহান রাব্বুল আলামিনের ঘোষণা রয়েছে। প্রখ্যাত তাফসিরবিশারদ আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.)-এর সহিহ বর্ণনায় জানা যায়, ছয় দিনে জগৎ সৃষ্টি হয়েছে তা রোববার থেকে শুরু করে শুক্রবারে শেষ হয়। আবার পৃথিবী ধ্বংস তথা কেয়ামত সংঘটিত হবে ঠিক শুক্রবারে। এই দিনে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে হজরত আদম (আ.) ও মাতা হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং এই দিনেই তাদের দুজনকে পৃথিবীর দুটি অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়েছিল। হজরত আদম (আ.)-কে শাস্তি স্বরূপ রাখা হয়েছিল শ্রীলঙ্কায় এবং মাতা হাওয়া (আ.)-কে রাখা হয়েছিল সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে। আবার এই দিনেই তাদের দুজনকে মহান রাব্বুল আলামিন ক্ষমা করে দিয়ে একত্র করে দিয়েছিলেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এ দিন আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এ দিন তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিন সেখান থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে, জুমার দিনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। (মুসলিম : ১৮৬২)
একজন মানুষের জীবদ্দশায় যতবার সূর্যোদয় হবে এবং যতগুলো সকাল ভাগ্যে জুটবে তার ভেতরে সবচেয়ে মহিমাপূর্ণ দিনটি সে পাবে শুক্রবার তথা জুমার দিন। একটি দিন বলতে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়কে বোঝায়। এর অর্থ, সব প্রকার ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল ইবাদতের জন্য এই দিনটি সর্বোৎকৃষ্ট এবং মঙ্গলজনক। আরবি জুমা শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো একত্রিত করা। আগের যুগে এই দিনকে ‘উরুবা’ বলা হতো। জুমার দিনে চার ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি জোহরের পরিবর্তে দুই রাকাত সালাত আদায় করা ফরজ এবং খুতবা পাঠ ও শোনা ওয়াজিব হিসেবে নির্ধারিত করা হয়েছে। জুমার সালাত ফরজ হয় প্রথম হিজরিতে। রাসুলুল্লাহ (সা.) হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে শুক্রবার মদিনা পৌঁছেন এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে জোহরের ওয়াক্ত হলে সেখানেই তিনি জুমার সালাত আদায় করেন। এটাই ইতিহাসের প্রথম জুমার সালাত। জুমার নামাজের বিষয়ে পবিত্র কুরআনে সুরা জুমার ১০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত গমন করো এবং কেনাবেচা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বোঝ। অতঃপর নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত : ৯-১০)
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ১১৪টি সুরার মধ্যে পৃথক ও স্বাতন্ত্র্য একটি সুরা নাজিল করেছেন, যা নামকরণ করা হয়েছে ‘সুরা জুমা’ নামে। যেমন মহান আল্লাহ মুমিনদের উদ্দেশ্য করে শুক্রবারে আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেনাবেচা বন্ধসহ দুনিয়াবি সব কাজ পরিত্যাগ করে নামাজের জন্য ছুটতে আদেশ করেছেন এবং এও বলেছেন, নামাজ শেষে আবার তোমরা কর্মে ছড়িয়ে পড়ে দিনটিতে আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করো। তবে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, মুসলিম সমাজে শয়তানের প্ররোচনায় কিছু মানুষ শুক্রবার দিনটিকে এমনভাবে বিমুখীকরণ করে রেখেছে, যার অন্ত নেই। লক্ষ করলে দেখা যাবে, সপ্তাহের ছুটির দিন হলো শুক্রবার, আর যে কারণে এই দিনে বেচাকেনা সবচেয়ে বেশি জমজমাট থাকে। এই উপমহাদেশে পশ্চিমা বণিকরা বেচাকেনার উদ্দেশ্যে এসে শাসনের গোড়াপত্তন করেই শেষ হয়নি, বরং কয়েকশ বছর শাসনের নামে শোষণ করে অমুসলিম কালচারের বীজ বপন করে যায়। সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে কুরআনে যে ব্যাপারে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে, আজকের মুসলিম সমাজ শুক্রবারের জুমার আজান হওয়ার পরেও সেই হাট-বাজারে ব্যস্ত হয়ে থাকে।
এই দিনটি মুসলমানের জন্য বিশেষ মহিমাপূর্ণ, যা মহান আল্লাহ খুশি হয়ে মুসলমানদের দান করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ আমাদের পূর্ববর্তীদের জুমার দিন সম্পর্কে সঠিক পথের সন্ধান দেননি বিরোধে লিপ্ত হওয়ার কারণে। তাই ইহুদিদের জন্য শনিবার এবং খ্রিস্টানদের জন্য রোববার এবং মুসলিমদের জন্য জুমার দিন নির্ধারণ করলেন। তিনি জুমার দিন, শনিবার ও রোববার এভাবে বিন্যাস করলেন যে, ওইসব জাতি কেয়ামাতের দিন আমাদের পশ্চাৎবর্তী হবে। আমরা পৃথিবীবাসীর মধ্যে শেষে আগমনকারী উম্মত এবং কেয়ামতের দিন হব সর্বপ্রথম। যাদের সমগ্র সৃষ্টির সর্বপ্রথম বিচার অনুষ্ঠিত হবে’ (মুসলিম : ১৮৬৭)। ইহুদি ও খ্রিস্টানদের জন্য জুমার দিন বরাদ্দ করলেও তারা বেছে নিয়েছে শনিবার ও রোববার। এই জন্য মহান আল্লাহ স্পষ্টভাবে তাদের জন্য লানত নির্ধারণ করলেন। অতএব যারা মুসলিম হয়েও ইহুদি-খ্রিস্টানদের মতো শুক্রবারের মর্যাদা রক্ষায় গাফিলতি করবে কিংবা ইহুদি-খ্রিস্টানের মতো এই দিনটিকে পরিত্যাগ করবে তারাও তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।
জুমার দিন ভাগ্যবান মুসলমানদের জন্য ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়া-দরুদের সুবর্ণ সুযোগ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার কাছে থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তা হলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সব সগিরা গুনাহর জন্য কাফফারা হবে’ (আবু দাউদ : ৩৪৩)। আবু হুরায়রা (রা.) আরও বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের সঙ্গে একদিন শুক্রবারের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন। এরপর রাসুল (সা.) তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন (বুখারি)। ফিকহ শাস্ত্রবিদগণ জুমার দিনে দোয়া কবুলের সময়টা আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের নামাজ পর্যন্ত বলে ব্যাখ্যা করেছেন। সুতরাং এ দিনে যত পারি ইবাদত করি, বেশি বেশি সালাত আদায় করি, জিকির করি, দোয়া-দরুদ পাঠ করি, মহান রবের খুশিতে অন্তরে পরকালের ভয় এনে ইসলাম পরিপন্থী কাজগুলো প্রত্যাখ্যান করি। মহান আল্লাহ সবাইকে তওফিক দিন।

২০ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৫৬
সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ- এই রায় দেন। এর ফলে ১৪ বছর আগে বাতিল ঘোষণা করা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরল আবারও। যা কার্যকর হবে চতুর্দশ নির্বাচন থেকে।
পরে ব্রিফিংয়ে আইনজীবীরা বলেন, গত ১১ নভেম্বর শুনানি শেষ হলে আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। বহুল আলোচিত এই আপিলে বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে আপিল শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। টানা ১০ কর্মদিবস শুনানি হয়।
আপিলকারী ও রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরা উচিত। এই সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পরই দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়।
বিএনপির আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে দেশের মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন, গণতন্ত্র রক্ষা হবে। আজ আমরা সংঘাতের রাজনীতি থেকে মুক্ত হলাম।
সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ- এই রায় দেন। এর ফলে ১৪ বছর আগে বাতিল ঘোষণা করা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরল আবারও। যা কার্যকর হবে চতুর্দশ নির্বাচন থেকে।
পরে ব্রিফিংয়ে আইনজীবীরা বলেন, গত ১১ নভেম্বর শুনানি শেষ হলে আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। বহুল আলোচিত এই আপিলে বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে আপিল শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। টানা ১০ কর্মদিবস শুনানি হয়।
আপিলকারী ও রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরা উচিত। এই সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পরই দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়।
বিএনপির আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে দেশের মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন, গণতন্ত্র রক্ষা হবে। আজ আমরা সংঘাতের রাজনীতি থেকে মুক্ত হলাম।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.