৩১ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪৭
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে নিজেকে তুলে ধরার প্রবণতা যেন সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্রনিক সেলফাইটিস নামক এক ধরনের মানসিক সমস্যা ভোগেন অতিরিক্ত সেলফি ওঠানো ব্যক্তিরা।
যেখানে অজস্রবার সেলফি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট না করে যেনো শান্তি পায় না। বিশেষজ্ঞরা একে সেলফি সিনড্রোমের মারাত্মক ধাপ বলছেন। এর ফলে ‘সেলফি এলবো’ নামক সমস্যাও হয় যা কনুইয়ের জয়েন্টে ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি করে।
তবে এসবের চেয়েও ভয়ানক হচ্ছে সেলফি তোলাকে ঘিরে বাড়তে থাকা প্রাণহানি। স্মৃতি ধরে রাখার এই চেষ্টায় বহু মানুষ হারাচ্ছেন নিজের জীবন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য বারবার ল’ ফার্ম গুগল নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ২০১৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
গবেষণা বলছে, বিশ্বজুড়ে সেলফি-সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ভারতে। দেশটিতে গত এক দশকে ২১৭টি সেলফি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১৪ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৫৭ জন।
ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় সহজ প্রবেশাধিকার যেমন রেললাইন, পাহাড়চূড়া, উঁচু ভবন এবং সামাজিক মাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হওয়ার আগ্রহই এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। রাশিয়া রয়েছে তৃতীয় স্থানে, যেখানে প্রাণ গেছে ১৮ জনের। পাকিস্তানে মারা গেছেন ১৬ জন এবং অস্ট্রেলিয়ায় ১৩ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সেলফি তুলতে গিয়ে ছাদ, পাহাড়চূড়া বা উঁচু স্থাপনা থেকে পড়ে যাওয়াই মৃত্যুর প্রধান কারণ, যা মোট মৃত্যুর ৪৬ শতাংশ। সম্প্রতি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে হোটেলের অষ্টম তলা থেকে পড়ে এবং এথেন্সে ঝোড়ো হাওয়ায় গির্জার পাশে সেলফি তুলতে গিয়ে দুজন পর্যটক প্রাণ হারান।
বাংলাদেশেও সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর হার কম না। ট্রেনের ধাক্কা বা পাহাড়ের চূড়া থেকে সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যু ঘটছে অহরহ। এছাড়াও সেলফি আসক্তিতে সামাজিক ও পারিবারিক অনিষ্টতার প্রভাবও বাড়ছে দিনদিন।
সেলফি এখন শুধুই স্মৃতি নয়, এক ভয়ানক আসক্তি। এটা যেখানে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে, সেখানে প্রাণহানির ঘটনাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। নিজেকে তুলে ধরার এই প্রতিযোগিতা আমাদের জীবনকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে এটা ভাববার সময় এখনই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে নিজেকে তুলে ধরার প্রবণতা যেন সীমা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্রনিক সেলফাইটিস নামক এক ধরনের মানসিক সমস্যা ভোগেন অতিরিক্ত সেলফি ওঠানো ব্যক্তিরা।
যেখানে অজস্রবার সেলফি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট না করে যেনো শান্তি পায় না। বিশেষজ্ঞরা একে সেলফি সিনড্রোমের মারাত্মক ধাপ বলছেন। এর ফলে ‘সেলফি এলবো’ নামক সমস্যাও হয় যা কনুইয়ের জয়েন্টে ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি করে।
তবে এসবের চেয়েও ভয়ানক হচ্ছে সেলফি তোলাকে ঘিরে বাড়তে থাকা প্রাণহানি। স্মৃতি ধরে রাখার এই চেষ্টায় বহু মানুষ হারাচ্ছেন নিজের জীবন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য বারবার ল’ ফার্ম গুগল নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ২০১৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
গবেষণা বলছে, বিশ্বজুড়ে সেলফি-সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ভারতে। দেশটিতে গত এক দশকে ২১৭টি সেলফি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১৪ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৫৭ জন।
ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় সহজ প্রবেশাধিকার যেমন রেললাইন, পাহাড়চূড়া, উঁচু ভবন এবং সামাজিক মাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হওয়ার আগ্রহই এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। রাশিয়া রয়েছে তৃতীয় স্থানে, যেখানে প্রাণ গেছে ১৮ জনের। পাকিস্তানে মারা গেছেন ১৬ জন এবং অস্ট্রেলিয়ায় ১৩ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সেলফি তুলতে গিয়ে ছাদ, পাহাড়চূড়া বা উঁচু স্থাপনা থেকে পড়ে যাওয়াই মৃত্যুর প্রধান কারণ, যা মোট মৃত্যুর ৪৬ শতাংশ। সম্প্রতি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে হোটেলের অষ্টম তলা থেকে পড়ে এবং এথেন্সে ঝোড়ো হাওয়ায় গির্জার পাশে সেলফি তুলতে গিয়ে দুজন পর্যটক প্রাণ হারান।
বাংলাদেশেও সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর হার কম না। ট্রেনের ধাক্কা বা পাহাড়ের চূড়া থেকে সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যু ঘটছে অহরহ। এছাড়াও সেলফি আসক্তিতে সামাজিক ও পারিবারিক অনিষ্টতার প্রভাবও বাড়ছে দিনদিন।
সেলফি এখন শুধুই স্মৃতি নয়, এক ভয়ানক আসক্তি। এটা যেখানে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে, সেখানে প্রাণহানির ঘটনাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। নিজেকে তুলে ধরার এই প্রতিযোগিতা আমাদের জীবনকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে এটা ভাববার সময় এখনই।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০১:১২
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:৩৭
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:২৩
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২০:১৫
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:১০
লন্ডনের সোনার বাজারে আসতে যাচ্ছে বড় পরিবর্তন। বিশ্বের অন্যতম বড় স্বর্ণবাজারে এখন ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’ চালুর প্রস্তুতি চলছে। এ উদ্যোগ নিলে বহু শতাব্দীর প্রচলিত সোনার বাণিজ্যে আসতে পারে যুগান্তকারী রূপান্তর।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) প্রস্তাব করেছে, লন্ডনের ভল্টে রাখা ফিজিক্যাল সোনার বারকে ভিত্তি করে ডিজিটাল টোকেন চালু করা হবে। এই টোকেনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পুলেড গোল্ড ইন্টারেস্ট (পিজিআই)’। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রথমবারের মতো ৪০০ আউন্স ওজনের বড় সোনার বারকে ভগ্নাংশ আকারে কিনতে পারবেন। অর্থাৎ ছোট অঙ্কের বিনিয়োগ করেও সোনার মালিকানা পাওয়া যাবে।
ডব্লিউজিসির বাজার কাঠামো ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান মাইক ওসউইন জানিয়েছেন, এ ডিজিটাল স্বর্ণ শুধু বিনিয়োগের জন্য নয়, বরং জামানত হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এতে বাজারে নতুন ব্যবহার বাড়বে এবং অংশগ্রহণও অনেক বাড়বে।
বর্তমানে লন্ডনের স্বর্ণবাজারের পরিমাণ প্রায় ৯৩০ বিলিয়ন ডলার। প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি আউন্স স্বর্ণের লেনদেন হয়। এতদিন বাজার দুটি পদ্ধতিতে চালিত হতো—অ্যালোকেটেড গোল্ড ও আনঅ্যালোকেটেড গোল্ড।
অ্যালোকেটেড গোল্ডে নির্দিষ্ট সোনার বার বা কয়েনের সরাসরি মালিকানা থাকে এবং আনঅ্যালোকেটেড গোল্ডে নির্দিষ্ট বারের মালিকানা নেই, কেবল দাবির ভিত্তিতে সোনা কেনাবেচা হয়। কিন্তু আনঅ্যালোকেটেড পদ্ধতিতে ঝুঁকি হলো—যে প্রতিষ্ঠানের কাছে সোনা রাখা হয়, সেটি দেউলিয়া হলে বিনিয়োগকারীর দাবি ঝুঁকির মুখে পড়ে।
নতুন ডিজিটাল স্বর্ণ এ ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনবে। কারণ টোকেনধারীদের ভল্টে থাকা সোনার আইনি মালিকানা নিশ্চিত করা হবে। ফলে সোনা সহজে জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, যেমনভাবে নগদ অর্থ বা বন্ড ব্যবহার করা হয়।
তবে সবাই এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছে না। বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এজে বেলের পরিচালক রাস মোল্ড মনে করেন, প্রকৃত স্বর্ণপ্রেমীরা ডিজিটাল স্বর্ণকে গুরুত্ব দেবেন না। তাদের কাছে আসল আকর্ষণ হলো—সোনা একটি বাস্তব সম্পদ, যা ধীরে ধীরে সরবরাহ বাড়ায় এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কাজ করে। ডিজিটাল জটিলতায় তারা আগ্রহী নাও হতে পারেন।
তবু বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তির এ সংযোজন ভবিষ্যতের স্বর্ণবাজারকে আরও স্বচ্ছ, সহজ ও বহুমাত্রিক করে তুলবে। প্রথম ধাপে লন্ডনকেন্দ্রিক হলেও, এই উদ্যোগ একসময় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য বাজারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তথ্যসূত্র : সিএনবিসি
লন্ডনের সোনার বাজারে আসতে যাচ্ছে বড় পরিবর্তন। বিশ্বের অন্যতম বড় স্বর্ণবাজারে এখন ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’ চালুর প্রস্তুতি চলছে। এ উদ্যোগ নিলে বহু শতাব্দীর প্রচলিত সোনার বাণিজ্যে আসতে পারে যুগান্তকারী রূপান্তর।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) প্রস্তাব করেছে, লন্ডনের ভল্টে রাখা ফিজিক্যাল সোনার বারকে ভিত্তি করে ডিজিটাল টোকেন চালু করা হবে। এই টোকেনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পুলেড গোল্ড ইন্টারেস্ট (পিজিআই)’। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রথমবারের মতো ৪০০ আউন্স ওজনের বড় সোনার বারকে ভগ্নাংশ আকারে কিনতে পারবেন। অর্থাৎ ছোট অঙ্কের বিনিয়োগ করেও সোনার মালিকানা পাওয়া যাবে।
ডব্লিউজিসির বাজার কাঠামো ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান মাইক ওসউইন জানিয়েছেন, এ ডিজিটাল স্বর্ণ শুধু বিনিয়োগের জন্য নয়, বরং জামানত হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এতে বাজারে নতুন ব্যবহার বাড়বে এবং অংশগ্রহণও অনেক বাড়বে।
বর্তমানে লন্ডনের স্বর্ণবাজারের পরিমাণ প্রায় ৯৩০ বিলিয়ন ডলার। প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি আউন্স স্বর্ণের লেনদেন হয়। এতদিন বাজার দুটি পদ্ধতিতে চালিত হতো—অ্যালোকেটেড গোল্ড ও আনঅ্যালোকেটেড গোল্ড।
অ্যালোকেটেড গোল্ডে নির্দিষ্ট সোনার বার বা কয়েনের সরাসরি মালিকানা থাকে এবং আনঅ্যালোকেটেড গোল্ডে নির্দিষ্ট বারের মালিকানা নেই, কেবল দাবির ভিত্তিতে সোনা কেনাবেচা হয়। কিন্তু আনঅ্যালোকেটেড পদ্ধতিতে ঝুঁকি হলো—যে প্রতিষ্ঠানের কাছে সোনা রাখা হয়, সেটি দেউলিয়া হলে বিনিয়োগকারীর দাবি ঝুঁকির মুখে পড়ে।
নতুন ডিজিটাল স্বর্ণ এ ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনবে। কারণ টোকেনধারীদের ভল্টে থাকা সোনার আইনি মালিকানা নিশ্চিত করা হবে। ফলে সোনা সহজে জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, যেমনভাবে নগদ অর্থ বা বন্ড ব্যবহার করা হয়।
তবে সবাই এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছে না। বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এজে বেলের পরিচালক রাস মোল্ড মনে করেন, প্রকৃত স্বর্ণপ্রেমীরা ডিজিটাল স্বর্ণকে গুরুত্ব দেবেন না। তাদের কাছে আসল আকর্ষণ হলো—সোনা একটি বাস্তব সম্পদ, যা ধীরে ধীরে সরবরাহ বাড়ায় এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কাজ করে। ডিজিটাল জটিলতায় তারা আগ্রহী নাও হতে পারেন।
তবু বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তির এ সংযোজন ভবিষ্যতের স্বর্ণবাজারকে আরও স্বচ্ছ, সহজ ও বহুমাত্রিক করে তুলবে। প্রথম ধাপে লন্ডনকেন্দ্রিক হলেও, এই উদ্যোগ একসময় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য বাজারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তথ্যসূত্র : সিএনবিসি
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:০৬
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে গণগ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। খবর আলজাজিরার।
যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন গ্রুপের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে লন্ডন পুলিশ ৪২৫ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সমাবেশের আয়োজনকারী প্রচারণা গোষ্ঠী ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস জানিয়েছে, লন্ডনে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভে প্রায় ১,৫০০ জন অংশগ্রহণ করেন। সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়েই তারা রাস্তায় নামেন।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করে এবং তাদের মাটিতে ফেলে দেয়। অন্যদিকে তারা প্ল্যাকার্ড ধরে রাখার জন্য গণহারে গ্রেপ্তার করে। ওই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি। আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি’। ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস এক্স-এ সংঘর্ষের ভিডিওসহ একটি পোস্টও করেছে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা প্রেস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বিক্ষোভের সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং গ্রেপ্তারের পর একজন বিক্ষোভকারীর মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা গেছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের প্রথমে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের দিকে পানির বোতল ছুঁড়ে মারেন তারা। এক পর্যায়ে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, একজন পুলিশ অফিসারকে আক্রমণ করা এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন প্রকাশসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য ৪২৫ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পার্লামেন্ট স্কোয়ারে ডিফেন্ড আওয়ার জুরিসের বিক্ষোভে পুলিশ অফিসাররা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। মৌখিক নির্যাতনের পাশাপাশি পুলিশকে ঘুষি, লাথি, থুতু এবং জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভকারীরা।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে গণগ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। খবর আলজাজিরার।
যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন গ্রুপের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে লন্ডন পুলিশ ৪২৫ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সমাবেশের আয়োজনকারী প্রচারণা গোষ্ঠী ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস জানিয়েছে, লন্ডনে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভে প্রায় ১,৫০০ জন অংশগ্রহণ করেন। সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়েই তারা রাস্তায় নামেন।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর নির্মমভাবে আক্রমণ করে এবং তাদের মাটিতে ফেলে দেয়। অন্যদিকে তারা প্ল্যাকার্ড ধরে রাখার জন্য গণহারে গ্রেপ্তার করে। ওই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি। আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি’। ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস এক্স-এ সংঘর্ষের ভিডিওসহ একটি পোস্টও করেছে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা প্রেস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বিক্ষোভের সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং গ্রেপ্তারের পর একজন বিক্ষোভকারীর মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা গেছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের প্রথমে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের দিকে পানির বোতল ছুঁড়ে মারেন তারা। এক পর্যায়ে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, একজন পুলিশ অফিসারকে আক্রমণ করা এবং নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সমর্থন প্রকাশসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য ৪২৫ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পার্লামেন্ট স্কোয়ারে ডিফেন্ড আওয়ার জুরিসের বিক্ষোভে পুলিশ অফিসাররা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। মৌখিক নির্যাতনের পাশাপাশি পুলিশকে ঘুষি, লাথি, থুতু এবং জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভকারীরা।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৫
থাইল্যান্ডের সংসদ রক্ষণশীল বিরোধী দল ভূমজাইথাই পার্টির নেতা অনুতিন চার্নভিরাকুলকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। শুক্রবারের ভোটে জিতে অনুতিন ক্ষমতাসীন ফেউ থাই পার্টির পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। গত মাসে নীতিশাস্ত্র কেলেঙ্কারির কারণে সাংবিধানিক আদালত পেতংতার্নকে বরখাস্ত করেছিল। খবর আলজাজিরার।
উদারপন্থি পিপলস পার্টির সমর্থনে অনুতিন জনপ্রিয় ফেউ থাইয়ের প্রার্থী চাইকাসেম নিতিসিরির বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন। ৫০০ আসনের পার্লামেন্টে বৃহত্তম দলের বিপক্ষে অনুতিনের জয়ের অন্যতম কারণ হলো, তিনি চার মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আহ্বানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে ছোট দলগুলোও তাকে সমর্থন জানায়।
ভোটগ্রহণ এবং গণনা চলাকালীনই তার জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ভূমজাইথাই নেতা ২৪৭টিরও বেশি ভোট পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিনিধি পরিষদের ৪৯২ সক্রিয় সদস্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তিনিই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তার চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হবে। রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক নিয়োগ পাওয়ার পর কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি এবং তার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের আগস্টে পেতংতার্ন দেশটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। থাই রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের সদস্য। মাত্র এক বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি বিরোধীদের রোষানলে পড়েন। রাজনৈতিক উত্তেজনা চলার মধ্যেই ফোনালাপ ফাঁস হয়।
কম্বোডিয়ার প্রাক্তন নেতা হুন সেনের সঙ্গে বিতর্কিত ফোন কলের জন্য নৈতিক অসদাচরণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। এর জেরে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত স্থগিত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে অপসারণ করেছে।
আদালত বেঞ্চ রায় দিয়েছে, ৩৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ জুন মাসে হুন সেনের সঙ্গে তার ফোনালাপের সময় একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় নৈতিক মান লঙ্ঘন করেছেন। যদিও তিনি একটি মারাত্মক সীমান্ত সংঘাতের তীব্রতা রোধ করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। আদালত আরও বলেছে, পেতংতার্ন জাতির স্বার্থের চেয়ে তার ব্যক্তিগত স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন এবং দেশের সুনাম নষ্ট করেছেন।
থাইল্যান্ডের সংসদ রক্ষণশীল বিরোধী দল ভূমজাইথাই পার্টির নেতা অনুতিন চার্নভিরাকুলকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। শুক্রবারের ভোটে জিতে অনুতিন ক্ষমতাসীন ফেউ থাই পার্টির পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। গত মাসে নীতিশাস্ত্র কেলেঙ্কারির কারণে সাংবিধানিক আদালত পেতংতার্নকে বরখাস্ত করেছিল। খবর আলজাজিরার।
উদারপন্থি পিপলস পার্টির সমর্থনে অনুতিন জনপ্রিয় ফেউ থাইয়ের প্রার্থী চাইকাসেম নিতিসিরির বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন। ৫০০ আসনের পার্লামেন্টে বৃহত্তম দলের বিপক্ষে অনুতিনের জয়ের অন্যতম কারণ হলো, তিনি চার মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আহ্বানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে ছোট দলগুলোও তাকে সমর্থন জানায়।
ভোটগ্রহণ এবং গণনা চলাকালীনই তার জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ভূমজাইথাই নেতা ২৪৭টিরও বেশি ভোট পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিনিধি পরিষদের ৪৯২ সক্রিয় সদস্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তিনিই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তার চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হবে। রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক নিয়োগ পাওয়ার পর কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি এবং তার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালের আগস্টে পেতংতার্ন দেশটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। থাই রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের সদস্য। মাত্র এক বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি বিরোধীদের রোষানলে পড়েন। রাজনৈতিক উত্তেজনা চলার মধ্যেই ফোনালাপ ফাঁস হয়।
কম্বোডিয়ার প্রাক্তন নেতা হুন সেনের সঙ্গে বিতর্কিত ফোন কলের জন্য নৈতিক অসদাচরণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। এর জেরে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত স্থগিত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে অপসারণ করেছে।
আদালত বেঞ্চ রায় দিয়েছে, ৩৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ জুন মাসে হুন সেনের সঙ্গে তার ফোনালাপের সময় একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় নৈতিক মান লঙ্ঘন করেছেন। যদিও তিনি একটি মারাত্মক সীমান্ত সংঘাতের তীব্রতা রোধ করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। আদালত আরও বলেছে, পেতংতার্ন জাতির স্বার্থের চেয়ে তার ব্যক্তিগত স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন এবং দেশের সুনাম নষ্ট করেছেন।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.