
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ২২:১৪
অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ক্রোড়পতি বনে যাওয়া সৌরভ কুমার সাহা নিজেকে রক্ষায় মিডিয়াপাড়ায় দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা তার দুর্নীতির আদ্যপান্ত তুলে ধরলে তিনি চাকরি বাঁচাতে স্থানীয় সংবাদপত্রকে ব্যবহার করতে চাইছেন। অর্থের বিনিময়ে পত্রিকায় সংবাদসংক্রান্ত প্রতিবাদ ছাপিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন। বিআরটিএর মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সৌরভ কুমার সাহার বড়সড় দুর্নীতি প্রকাশ এবং টাকার বান্ডিল নিয়ে মিডিয়াপাড়ায় তার দৌঁড়াদৌঁড়ি নিয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নানা কানাঘুষা হচ্ছে।
বরিশালের স্থানীয় একাধিক পত্রিকার সাংবাদিক জানান, শনিবার সৌরভ সাহার সংবাদটি জাতীয় দৈনিকে আসার পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যোগাযোগ করেন। এবং টাকা নিয়ে ওই সংবাদসংক্রান্ত একটি প্রতিবাদ দেওয়ার আর্জি রাখেন। এমন একটি আবদার বরিশালটাইমস কর্তৃপক্ষের কাছে এসেছে। সুতরাং তিনি যে নিজেকে রক্ষায় টাকার বান্ডিল নিয়ে মিডিয়া মিশনে নেমেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
স্থানীয় মিডিয়া ম্যানেজে দৌঁড়ঝাপ সম্পর্কে জানতে সৌরভের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
সৌরভ কুমার সাহা চাকরিতে যোগদানের পরে প্রথম কর্মস্থল ছিল নোয়াখালী। এবং সেখানে খুলে যায় তার ভাগ্য। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। অবৈধপথে উপার্জন করেছেন দুহাত ভরে। তিনি নামে-বেনামে অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা সৌরভের বাবা ছিলেন পত্রিকার হকার। তার সামান্য আয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে টানাটানির মধ্যে চলত সংসার। আওয়ামী পরিবারের সদস্য হওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার বেয়াই সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সুপারিশে ২০১৪ সালে বিআরটিএ অফিসে চাকরি পান সৌরভ । গত ১১ বছরে তিনি বাবা, শ্বশুর, শ্যালকসহ বিভিন্নজনের নামে-বেনামে অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। কিনেছেন ১০টি বাস, চারটি প্রাইভেট কার। আছে বেশ কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও। ফরিদপুরে সৌরভের ভগ্নিপতি এসব অটোরিকশা দেখাশোনা করেন। এছাড়া নিজের চলাচলের জন্য কিনেছেন অর্ধকোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল পাজেরো গাড়ি।
সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি আরও জানায়, আওয়ামী পরিবারের সন্তান ও ফরিদপুরের বাসিন্দা হওয়ায় অল্পদিনেই পদোন্নতি পান সৌরভ। মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে বিআরটিএর পরিদর্শক হয়ে ঢাকার উত্তরা, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় চাকরি করেন। সর্বশেষ মাদারীপুর থেকে ২০২৩ সালের শুরুতে বরিশাল বিআরটিএর ইন্সপেক্টর পদে যোগ দেন। গত ১১ বছরে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন থেকে ঘুস-বাণিজ্যের মাধ্যমে দুহাত ভরে কামিয়েছেন অঢেল অর্থ। আর অবৈধ এ অর্থ দিয়ে নিজের নামে কিছুই করেননি সুচতুর সৌরভ। আত্মীয়স্বজনসহ নামে-বেনামে কিনেছেন ১০টি বাস, প্রাইভেট কার, সিএনজি, জমিসহ অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ। শুধু তাই নয়, বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মা কৃষ্ণা রানী সাহাকে বানিয়েছিলেন ফরিদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর। পরে সৌরভের পিতা বিজয় কৃষ্ণ সাহা ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের আর্থিক সহায়তা করা শুরু করেন।
পত্রিকাটির অনুসন্ধানে জানা গেছে, সৌরভের বেতন ২৬-২৭ হাজার টাকা হলেও মাসে অবৈধভাবে কামান ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। বরিশাল বিআরটিএর অধীনে প্রতি মাসে লাইসেন্স দিতে ছয় থেকে আটটি বোর্ড বসে। প্রতি বোর্ডে লিখিত, ভাইভা ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় ১৮০-২০০ জন অংশ নেন। বোর্ডে হাতেগোনা কয়েকজনকে পাস করানো হয়। পরে বিআরটিএর চিহ্নিত দালাল ও সৌরভের ব্যক্তিগত ড্রাইভার রিয়াজ খান, আলাউদ্দীন, জাকির, আসাদুল, হৃদয়সহ ২০-২৫ জন পরীক্ষায় ফেল করা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা পাস করানোর জন্য তিন-চার হাজার টাকার চুক্তি করেন। এর মধ্যে লাইসেন্সপ্রতি সৌরভকে দিতে হয় আড়াই হাজার টাকা। বাকি টাকা পান দালালরা।
সূত্র জানায়, ওই পরীক্ষায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকার কথা। কোনো কোনো সময় ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত না থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে পরীক্ষার কাজ শেষ করেন। ফলে বিআরটিএ কর্মকর্তা সৌরভ খুব সহজেই নিজের করা তালিকায় ম্যাজিস্ট্রেটের সই করিয়ে নেন। এ পাস বাণিজ্যে বিআরটিএর পরিদর্শক সৌরভ সাহা ও ট্রাফিক পরিদর্শকের যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, অন্যদের ম্যানেজ করে প্রতি বোর্ড থেকে পাঁচ-ছয় লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করেন সৌরভ। এভাবে মাসে তার অবৈধ আয় দাঁড়ায় ৩০-৩৫ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, সিএনজি অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফাইলপ্রতি ৪০-৫০ হাজার টাকা নেন সৌরভ। প্রতিটি ট্রাকের রেজিস্ট্রেশনের জন্য ঘুস নেন পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন শোরুমের মোটরসাইকেলের ফাইলপ্রতি নেন এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। এছাড়া বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার ও সিএনজির ফিটনেস থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন। সৌরভের এমন ঘুসবাণিজ্যের বিষয়টি সম্প্রতি ধরা পড়ে।
সূত্র জানায়, গত বছর বিআরটিএর প্রধান কার্যালয় থেকে সিএনজির টাইপ অনুমোদনের আগেই ১৯১টি সিএনজির রেজিস্ট্রেশন করেন সৌরভ। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি সিএনজি থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে ঘুস নিয়েছেন । বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চলতি বছরের জানুয়ারিতে বরিশালের দুদক কর্মকর্তা রাজকুমার সাহা বাদী হয়ে সৌরভকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় বিআরটিএর সহকারী পরিচালক রোকনুজ্জামান, ঢাকার তেজগাঁও এলাকার ‘রানার অটো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলামকে আসামি করা হয়। মামলায় বলা হয়, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাভবান হওয়ার জন্য অসৎ উদ্দেশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তারা। ওই মামলায় সৌরভ গ্রেপ্তার হলেও রহস্যজনক কারণে জামিন হয়।
সূত্র জানায়, বরিশালের নতুনবাজার এলাকায় আধুনিক এক ভবনে ২৭ হাজার টাকার ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। অফিসে যাওয়ার জন্য রয়েছে দামি প্রাইভেট কার। এ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তার পিতা বিজয় সাহার নামে। তবে গাড়ির কাগজে রয়েছে সৌরভের ফোন নম্বর। নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় রয়েছে সৌরভের ‘হাওলাদার পরিবহন’-এর বাস কাউন্টার। মাদারীপুরের টেকেরহাটের হিরো হাওলাদার ও মনির হাওলাদারের কাছ থেকে চার বছর আগে ‘হাওলাদার পরিবহন’-এর ব্যানার (রুট) কিনে নেন সৌরভ । তিনি এটি তার বাবা ও শ্বশুরের নামে কিনেছেন বলে জানান হিরো হাওলাদার। টাকা-পয়সা লেনদেন থেকে শুরু করে সবকিছুই সৌরভ করেন বলেও জানান হিরো হাওলাদার।
হাওলাদার পরিবহনের মাদারীপুরের মোস্তফাপুর স্ট্যান্ডের চেকার জাহাঙ্গীর জানান, চার বছর আগে সৌরভ সাহা হাওলাদার পরিবহন কিনেছেন বাবা এবং শ্বশুরের নামে। হাওলাদার পরিবহনে সৌরভের পাঁচটি, আশিক পরিবহনের ব্যানারে চারটি এবং ফরিদপুর বাস মালিক সমিতিতে একটি বাস রয়েছে। এ বাসগুলোর মধ্যে ঢাকা রুটে চারটি এবং বরিশাল-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-খুলনা-গোপালগঞ্জ রুটে ১০টি বাস রয়েছে তার। এর মধ্যে ছয়মাস আগে দুটি নতুন বাস কিনেছেন বলে জানা গেছে।
হাওলাদার পরিবহনের সহকারী ম্যানেজার প্রদীপ কুমার বাড়ৈ জানান, হাওলাদার পরিবহনের মালিক বরিশাল বিআরটিএর ইন্সপেক্টর সৌরভ সাহা। হাওলাদার কাউন্টারটি মূলত রিয়াজ খান দেখাশোনা করে থাকেন। হাওলাদার পরিবহনে রিয়াজের নামে রেজিস্ট্রেশন করা একটি বাস রয়েছে। বরিশাল ইফাদ মটরস থেকে কিস্তিতে গাড়িটি নামানো হয়। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গাড়িটির প্রকৃত মালিক সৌরভ। ব্যক্তিগত গাড়িচালক ও বিআরটিএ অফিসের দালাল রিয়াজের মাধ্যমেই তিনি অধিকাংশ ঘুষ বাণিজ্য করে থাকেন। অধিক বিশ্বস্ত হওয়ায় এ গাড়িটি তার নামেই রেজিস্ট্রেশন করেন সৌরভ। একইভাবে সৌরভ বরিশাল ইফাদ মোটরস থেকে তিনটি গাড়ি কিনেছেন বলে জানা গেছে। এ গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন ইফাদ মটরসের নামে। কিস্তিতে গাড়ি কেনায় কোম্পানির নামেই এগুলোর রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে বলে জানান ইফাদ মটরসের বিআরটিএ প্রতিনিধি মো. সাইফুল গাজী। এমনকি এসব গাড়ির রেজিস্ট্রেশনে সাইফুল গাজীর মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। এ গাড়িগুলোর কিস্তি রিয়াজ খানের মাধ্যমে সৌরভ পরিশোধ করেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে গাড়ির মালিকানার বিষয়টি জানার জন্য ইফাদ মটরসে একাধিকবার যোগযোগ করা হলেও বরিশাল অফিসে মালিকানার কোনো তথ্য নেই বলে বারবার জানিয়ে দেওয়া হয় এ প্রতিবেদককে। সৌরভ সম্প্রতি দুটি পুরোনো গাড়ি বিক্রি করে নতুন তিনটি গাড়ির চেচিস, ইঞ্জিন কিনেছেন । শিগগিরই নতুন তিনটি বাস তার গাড়িবহরে যোগ হবে।
গাড়িভাড়া নেওয়ার কথা জানিয়ে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করেন সৌরভের ম্যানেজার রিয়াজ খানের সঙ্গে। এ সময় রিয়াজ খান এ প্রতিবেদকের কাছে সৌরভের ১০টি বাস থাকার কথা এবং নতুন তিনটি চেচিস ইঞ্জিন কেনার কথা অকপটে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বাসের মালিক বিজয় সাহা ও তার ছেলে সৌরভ সাহা কখনোই ভাড়ার বিষয়ে কারো সঙ্গে কথা বলেন না। বলেন, ‘সবকিছুই আমিই দেখাশুনা করি’।
এদিকে ঘুসবাণিজ্যের অন্যতম মাধ্যম লাইসেন্সের জন্য মাঠ পরীক্ষার নামে কী হচ্ছে, তা দেখার জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার নথুল্লাবাদ বিআরটিসি বাস কাউন্টারে উপস্থিত হন এ প্রতিবেদক। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাঠের পরীক্ষা শুরু হয়। সেখানে সরাসরি ৬১ জনকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এদের মধ্যে তিনজনকে মাঠের পরীক্ষায় কৃতকার্য দেখানো হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকার কথা থাকলেও ব্যস্ততার জন্য তিনি থাকতে পারেননি। কেবল ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কেএম রহমান এবং বিআরটিএর ইন্সপেক্টর সৌরভ সাহা নিচ্ছিলেন মোটরসাইকেল লাইসেন্স-প্রত্যাশীদের পরীক্ষা। মোটরসাইকেলের মাঠের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর চার চাকার যানবাহনের মাঠের পরীক্ষা শুরু হয় বেলা ৩টার দিকে। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার) আব্দুল্লাহ হেল মাফি বিআরটিসি কাউন্টারের পরীক্ষার মাঠে প্রবেশ করেন। তবে হাতেগোনা ছয়-সাতজন লাইসেন্সপ্রত্যাশী মাঠের পরীক্ষায় অংশ নেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ হেল মাফি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার কাছে যেগুলো পাসের যোগ্য মনে হয়েছে, তাদের পাস করানো হয়েছে।’ তবে কত জন পাস করেছে, তা তিনি জানাতে পারেননি। একই সঙ্গে মোটরসাইকেলের পরীক্ষা চলাকালে তার না থাকার বিষয়ে বলেন, ব্যস্ত ছিলেন, তাই আসতে দেরি হয়েছে।
সৌরভ কুমার সাহার অনিয়ম-দুর্নীতি, ১০টি গাড়ি ও চারটি প্রাইভেট কার থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি পত্রিকাটিকে বলেন, তার বাবার নামে একটি বাস আছে। এটি ফরিদপুর বাস মালিক সমিতির অধীনে চলাচল করছে। এছাড়া তার পিতার রেন্ট-এ কার ব্যবসা রয়েছে। তিনি যে প্রাইভেটকার ব্যবহার করেন, সেটি তার বাবার নামে। হাওলাদার পরিবহন তাদের নয় এবং এ পরিবহনে তার কোনো বাস নেই। এমনকি আশিক পরিবহনেও বাস থাকার কথা অস্বীকার করেন। এছাড়া তার নামে অন্য কোনো বাস বা প্রাইভেট কার থাকার কথা অস্বীকার করেন তিনি। আর আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের নামে-বেনামে গাড়ি কেনা বা সম্পদ গড়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।
অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ক্রোড়পতি বনে যাওয়া সৌরভ কুমার সাহা নিজেকে রক্ষায় মিডিয়াপাড়ায় দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা তার দুর্নীতির আদ্যপান্ত তুলে ধরলে তিনি চাকরি বাঁচাতে স্থানীয় সংবাদপত্রকে ব্যবহার করতে চাইছেন। অর্থের বিনিময়ে পত্রিকায় সংবাদসংক্রান্ত প্রতিবাদ ছাপিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন। বিআরটিএর মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সৌরভ কুমার সাহার বড়সড় দুর্নীতি প্রকাশ এবং টাকার বান্ডিল নিয়ে মিডিয়াপাড়ায় তার দৌঁড়াদৌঁড়ি নিয়ে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নানা কানাঘুষা হচ্ছে।
বরিশালের স্থানীয় একাধিক পত্রিকার সাংবাদিক জানান, শনিবার সৌরভ সাহার সংবাদটি জাতীয় দৈনিকে আসার পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যোগাযোগ করেন। এবং টাকা নিয়ে ওই সংবাদসংক্রান্ত একটি প্রতিবাদ দেওয়ার আর্জি রাখেন। এমন একটি আবদার বরিশালটাইমস কর্তৃপক্ষের কাছে এসেছে। সুতরাং তিনি যে নিজেকে রক্ষায় টাকার বান্ডিল নিয়ে মিডিয়া মিশনে নেমেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
স্থানীয় মিডিয়া ম্যানেজে দৌঁড়ঝাপ সম্পর্কে জানতে সৌরভের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
সৌরভ কুমার সাহা চাকরিতে যোগদানের পরে প্রথম কর্মস্থল ছিল নোয়াখালী। এবং সেখানে খুলে যায় তার ভাগ্য। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। অবৈধপথে উপার্জন করেছেন দুহাত ভরে। তিনি নামে-বেনামে অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা সৌরভের বাবা ছিলেন পত্রিকার হকার। তার সামান্য আয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে টানাটানির মধ্যে চলত সংসার। আওয়ামী পরিবারের সদস্য হওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার বেয়াই সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সুপারিশে ২০১৪ সালে বিআরটিএ অফিসে চাকরি পান সৌরভ । গত ১১ বছরে তিনি বাবা, শ্বশুর, শ্যালকসহ বিভিন্নজনের নামে-বেনামে অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। কিনেছেন ১০টি বাস, চারটি প্রাইভেট কার। আছে বেশ কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও। ফরিদপুরে সৌরভের ভগ্নিপতি এসব অটোরিকশা দেখাশোনা করেন। এছাড়া নিজের চলাচলের জন্য কিনেছেন অর্ধকোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল পাজেরো গাড়ি।
সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি আরও জানায়, আওয়ামী পরিবারের সন্তান ও ফরিদপুরের বাসিন্দা হওয়ায় অল্পদিনেই পদোন্নতি পান সৌরভ। মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে বিআরটিএর পরিদর্শক হয়ে ঢাকার উত্তরা, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় চাকরি করেন। সর্বশেষ মাদারীপুর থেকে ২০২৩ সালের শুরুতে বরিশাল বিআরটিএর ইন্সপেক্টর পদে যোগ দেন। গত ১১ বছরে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন থেকে ঘুস-বাণিজ্যের মাধ্যমে দুহাত ভরে কামিয়েছেন অঢেল অর্থ। আর অবৈধ এ অর্থ দিয়ে নিজের নামে কিছুই করেননি সুচতুর সৌরভ। আত্মীয়স্বজনসহ নামে-বেনামে কিনেছেন ১০টি বাস, প্রাইভেট কার, সিএনজি, জমিসহ অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ। শুধু তাই নয়, বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মা কৃষ্ণা রানী সাহাকে বানিয়েছিলেন ফরিদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর। পরে সৌরভের পিতা বিজয় কৃষ্ণ সাহা ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের আর্থিক সহায়তা করা শুরু করেন।
পত্রিকাটির অনুসন্ধানে জানা গেছে, সৌরভের বেতন ২৬-২৭ হাজার টাকা হলেও মাসে অবৈধভাবে কামান ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। বরিশাল বিআরটিএর অধীনে প্রতি মাসে লাইসেন্স দিতে ছয় থেকে আটটি বোর্ড বসে। প্রতি বোর্ডে লিখিত, ভাইভা ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় ১৮০-২০০ জন অংশ নেন। বোর্ডে হাতেগোনা কয়েকজনকে পাস করানো হয়। পরে বিআরটিএর চিহ্নিত দালাল ও সৌরভের ব্যক্তিগত ড্রাইভার রিয়াজ খান, আলাউদ্দীন, জাকির, আসাদুল, হৃদয়সহ ২০-২৫ জন পরীক্ষায় ফেল করা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা পাস করানোর জন্য তিন-চার হাজার টাকার চুক্তি করেন। এর মধ্যে লাইসেন্সপ্রতি সৌরভকে দিতে হয় আড়াই হাজার টাকা। বাকি টাকা পান দালালরা।
সূত্র জানায়, ওই পরীক্ষায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকার কথা। কোনো কোনো সময় ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত না থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে পরীক্ষার কাজ শেষ করেন। ফলে বিআরটিএ কর্মকর্তা সৌরভ খুব সহজেই নিজের করা তালিকায় ম্যাজিস্ট্রেটের সই করিয়ে নেন। এ পাস বাণিজ্যে বিআরটিএর পরিদর্শক সৌরভ সাহা ও ট্রাফিক পরিদর্শকের যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, অন্যদের ম্যানেজ করে প্রতি বোর্ড থেকে পাঁচ-ছয় লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করেন সৌরভ। এভাবে মাসে তার অবৈধ আয় দাঁড়ায় ৩০-৩৫ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, সিএনজি অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফাইলপ্রতি ৪০-৫০ হাজার টাকা নেন সৌরভ। প্রতিটি ট্রাকের রেজিস্ট্রেশনের জন্য ঘুস নেন পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন শোরুমের মোটরসাইকেলের ফাইলপ্রতি নেন এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা। এছাড়া বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার ও সিএনজির ফিটনেস থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন। সৌরভের এমন ঘুসবাণিজ্যের বিষয়টি সম্প্রতি ধরা পড়ে।
সূত্র জানায়, গত বছর বিআরটিএর প্রধান কার্যালয় থেকে সিএনজির টাইপ অনুমোদনের আগেই ১৯১টি সিএনজির রেজিস্ট্রেশন করেন সৌরভ। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি সিএনজি থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে ঘুস নিয়েছেন । বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চলতি বছরের জানুয়ারিতে বরিশালের দুদক কর্মকর্তা রাজকুমার সাহা বাদী হয়ে সৌরভকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় বিআরটিএর সহকারী পরিচালক রোকনুজ্জামান, ঢাকার তেজগাঁও এলাকার ‘রানার অটো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলামকে আসামি করা হয়। মামলায় বলা হয়, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাভবান হওয়ার জন্য অসৎ উদ্দেশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তারা। ওই মামলায় সৌরভ গ্রেপ্তার হলেও রহস্যজনক কারণে জামিন হয়।
সূত্র জানায়, বরিশালের নতুনবাজার এলাকায় আধুনিক এক ভবনে ২৭ হাজার টাকার ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। অফিসে যাওয়ার জন্য রয়েছে দামি প্রাইভেট কার। এ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তার পিতা বিজয় সাহার নামে। তবে গাড়ির কাগজে রয়েছে সৌরভের ফোন নম্বর। নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় রয়েছে সৌরভের ‘হাওলাদার পরিবহন’-এর বাস কাউন্টার। মাদারীপুরের টেকেরহাটের হিরো হাওলাদার ও মনির হাওলাদারের কাছ থেকে চার বছর আগে ‘হাওলাদার পরিবহন’-এর ব্যানার (রুট) কিনে নেন সৌরভ । তিনি এটি তার বাবা ও শ্বশুরের নামে কিনেছেন বলে জানান হিরো হাওলাদার। টাকা-পয়সা লেনদেন থেকে শুরু করে সবকিছুই সৌরভ করেন বলেও জানান হিরো হাওলাদার।
হাওলাদার পরিবহনের মাদারীপুরের মোস্তফাপুর স্ট্যান্ডের চেকার জাহাঙ্গীর জানান, চার বছর আগে সৌরভ সাহা হাওলাদার পরিবহন কিনেছেন বাবা এবং শ্বশুরের নামে। হাওলাদার পরিবহনে সৌরভের পাঁচটি, আশিক পরিবহনের ব্যানারে চারটি এবং ফরিদপুর বাস মালিক সমিতিতে একটি বাস রয়েছে। এ বাসগুলোর মধ্যে ঢাকা রুটে চারটি এবং বরিশাল-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-খুলনা-গোপালগঞ্জ রুটে ১০টি বাস রয়েছে তার। এর মধ্যে ছয়মাস আগে দুটি নতুন বাস কিনেছেন বলে জানা গেছে।
হাওলাদার পরিবহনের সহকারী ম্যানেজার প্রদীপ কুমার বাড়ৈ জানান, হাওলাদার পরিবহনের মালিক বরিশাল বিআরটিএর ইন্সপেক্টর সৌরভ সাহা। হাওলাদার কাউন্টারটি মূলত রিয়াজ খান দেখাশোনা করে থাকেন। হাওলাদার পরিবহনে রিয়াজের নামে রেজিস্ট্রেশন করা একটি বাস রয়েছে। বরিশাল ইফাদ মটরস থেকে কিস্তিতে গাড়িটি নামানো হয়। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গাড়িটির প্রকৃত মালিক সৌরভ। ব্যক্তিগত গাড়িচালক ও বিআরটিএ অফিসের দালাল রিয়াজের মাধ্যমেই তিনি অধিকাংশ ঘুষ বাণিজ্য করে থাকেন। অধিক বিশ্বস্ত হওয়ায় এ গাড়িটি তার নামেই রেজিস্ট্রেশন করেন সৌরভ। একইভাবে সৌরভ বরিশাল ইফাদ মোটরস থেকে তিনটি গাড়ি কিনেছেন বলে জানা গেছে। এ গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন ইফাদ মটরসের নামে। কিস্তিতে গাড়ি কেনায় কোম্পানির নামেই এগুলোর রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে বলে জানান ইফাদ মটরসের বিআরটিএ প্রতিনিধি মো. সাইফুল গাজী। এমনকি এসব গাড়ির রেজিস্ট্রেশনে সাইফুল গাজীর মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। এ গাড়িগুলোর কিস্তি রিয়াজ খানের মাধ্যমে সৌরভ পরিশোধ করেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে গাড়ির মালিকানার বিষয়টি জানার জন্য ইফাদ মটরসে একাধিকবার যোগযোগ করা হলেও বরিশাল অফিসে মালিকানার কোনো তথ্য নেই বলে বারবার জানিয়ে দেওয়া হয় এ প্রতিবেদককে। সৌরভ সম্প্রতি দুটি পুরোনো গাড়ি বিক্রি করে নতুন তিনটি গাড়ির চেচিস, ইঞ্জিন কিনেছেন । শিগগিরই নতুন তিনটি বাস তার গাড়িবহরে যোগ হবে।
গাড়িভাড়া নেওয়ার কথা জানিয়ে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করেন সৌরভের ম্যানেজার রিয়াজ খানের সঙ্গে। এ সময় রিয়াজ খান এ প্রতিবেদকের কাছে সৌরভের ১০টি বাস থাকার কথা এবং নতুন তিনটি চেচিস ইঞ্জিন কেনার কথা অকপটে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বাসের মালিক বিজয় সাহা ও তার ছেলে সৌরভ সাহা কখনোই ভাড়ার বিষয়ে কারো সঙ্গে কথা বলেন না। বলেন, ‘সবকিছুই আমিই দেখাশুনা করি’।
এদিকে ঘুসবাণিজ্যের অন্যতম মাধ্যম লাইসেন্সের জন্য মাঠ পরীক্ষার নামে কী হচ্ছে, তা দেখার জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার নথুল্লাবাদ বিআরটিসি বাস কাউন্টারে উপস্থিত হন এ প্রতিবেদক। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাঠের পরীক্ষা শুরু হয়। সেখানে সরাসরি ৬১ জনকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এদের মধ্যে তিনজনকে মাঠের পরীক্ষায় কৃতকার্য দেখানো হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকার কথা থাকলেও ব্যস্ততার জন্য তিনি থাকতে পারেননি। কেবল ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কেএম রহমান এবং বিআরটিএর ইন্সপেক্টর সৌরভ সাহা নিচ্ছিলেন মোটরসাইকেল লাইসেন্স-প্রত্যাশীদের পরীক্ষা। মোটরসাইকেলের মাঠের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর চার চাকার যানবাহনের মাঠের পরীক্ষা শুরু হয় বেলা ৩টার দিকে। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার) আব্দুল্লাহ হেল মাফি বিআরটিসি কাউন্টারের পরীক্ষার মাঠে প্রবেশ করেন। তবে হাতেগোনা ছয়-সাতজন লাইসেন্সপ্রত্যাশী মাঠের পরীক্ষায় অংশ নেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ হেল মাফি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার কাছে যেগুলো পাসের যোগ্য মনে হয়েছে, তাদের পাস করানো হয়েছে।’ তবে কত জন পাস করেছে, তা তিনি জানাতে পারেননি। একই সঙ্গে মোটরসাইকেলের পরীক্ষা চলাকালে তার না থাকার বিষয়ে বলেন, ব্যস্ত ছিলেন, তাই আসতে দেরি হয়েছে।
সৌরভ কুমার সাহার অনিয়ম-দুর্নীতি, ১০টি গাড়ি ও চারটি প্রাইভেট কার থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি পত্রিকাটিকে বলেন, তার বাবার নামে একটি বাস আছে। এটি ফরিদপুর বাস মালিক সমিতির অধীনে চলাচল করছে। এছাড়া তার পিতার রেন্ট-এ কার ব্যবসা রয়েছে। তিনি যে প্রাইভেটকার ব্যবহার করেন, সেটি তার বাবার নামে। হাওলাদার পরিবহন তাদের নয় এবং এ পরিবহনে তার কোনো বাস নেই। এমনকি আশিক পরিবহনেও বাস থাকার কথা অস্বীকার করেন। এছাড়া তার নামে অন্য কোনো বাস বা প্রাইভেট কার থাকার কথা অস্বীকার করেন তিনি। আর আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের নামে-বেনামে গাড়ি কেনা বা সম্পদ গড়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নোটিস। চাপের মুখে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা প্রার্থনা।
আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন বরিশাল বিএনপি নেতা সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত এই নেতা গত ৫ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জে বিএনপির একাংশ আয়োজিত বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইনজীবীদের টাউট-বাটপার বলে অভিহিত করেন। এনিয়ে পত্র-পত্রিকায় নেতিবাচক লেখালেখিসহ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের সেই বক্তব্যের ভিডিওটি সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিতর্ক। আইনজীবীদের নিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়ে ০৬ নভেম্বর তাকে চিঠি দিয়ে তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান রাখে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এতে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে বিএনপি নেতা মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) সকালে বরিশালে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করাসহ আইনজীবী সমাজের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পরিস্থিতি সামাল দেন।
বরিশাল-০৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ আসছে ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু এই আসনে এবার বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ রাজিব আহসানকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের অনুসারী।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল ৩ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এই আসনে বিএনপি এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনীত না করলেও উভয় নেতার কর্মী-সমর্থকেরা পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশ করে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠ সরগরম করে রেখেছে। এমন বাস্তবতায় গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জের কেদারপুরে স্থানীয় বিএনপির একাংশ আয়োজিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমানের সাথে সেখানে অংশ নেন বরিশাল ৪ আসনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সেলিমা রহমানের আগে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বরিশাল ৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। বক্তব্যে রাখতে গিয়ে একপর্যায়ে তিনি বাবুগঞ্জ-মুলাদী আসনে বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে ইঙ্গিত করে বলেন, আইনজীবীরা টাউট-বাটপার! আইনজীবীদের নিয়ে বিএনপি নেতার এই বেফাঁস মন্তব্যের ভিডিও দলীয় ঘরনার প্রতিপক্ষ অর্থাৎ জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কমেন্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন।
সূত্র জানিয়েছে, সাবেক এমপি ফরহাদের এই বেসামাল মন্তব্যের ভিডিওটিকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক জয়নুল আবেদীন। এক্ষেত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাদের দিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদকে চাপে ফেলে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সাবেক এমপি ফরহাদের ভিডিওটি ভাইরাল এবং তাকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নোটিস করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে তিনি মনস্তাত্বিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এবং একদিন বাদে শুক্রবার বরিশাল প্রেসক্লাবে তিনি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করা ব্যাখ্যা খন্ডন করার পাশাপাশি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এসময় বিএনপি নেতাকে কিছুটা বিমর্ষ দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করেন। এবং সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে শব্দচয়নে ভুলের কারণে তিনি আইনজীবী সম্প্রদায় সম্পর্কে একটি মন্তব্য করে ফেলেন, যা পরবর্তীতে তার কাছেও অনুতাপের কারণ হয়। এবং তিনি উপলব্ধি করেন, এটি তার পক্ষ থেকে একটি ভুল ছিল।
আইনজীবী পেশাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখেন জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের আইন-আদালত ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং মর্যাদাপূর্ণ। তার বক্তব্যে কারও মনে কষ্ট বা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়ে থাকলে, তিনি সমস্ত আইনজীবী সমাজের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশসহ ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি, আইনজীবী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ বিভিন্নস্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের আনুষ্ঠানিক এই ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিও শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সেলিমা রহমানকে শত্রুভাবাপন্ন জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি ট্রল করে যাচ্ছেন। এনিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তার কর্মী-সমর্থকেরা বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করছেন না।
সাবেক এমপি মেজবাহর সমর্থক মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার বাসিন্দা একাধিক বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, জয়নুল আবেদীনের লোকজন বিষয়টি নিয়ে বেশি মাত্রায় বাড়াবাড়ি করছেন। তাদের ভাষায়, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বিএনপির একজন ত্যাগি নেতা, তিনি ওয়ান ইলেভেনের শাসনামলে নবম জাতীয় সংবাদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে ভোট করে জয়ী হয়েছিলেন। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি একাধিক মামলা, এমনকি হামলার শিকারও হয়েছিলেন।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নোটিস। চাপের মুখে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা প্রার্থনা।
আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন বরিশাল বিএনপি নেতা সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত এই নেতা গত ৫ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জে বিএনপির একাংশ আয়োজিত বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইনজীবীদের টাউট-বাটপার বলে অভিহিত করেন। এনিয়ে পত্র-পত্রিকায় নেতিবাচক লেখালেখিসহ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের সেই বক্তব্যের ভিডিওটি সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিতর্ক। আইনজীবীদের নিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়ে ০৬ নভেম্বর তাকে চিঠি দিয়ে তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান রাখে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এতে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে বিএনপি নেতা মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) সকালে বরিশালে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করাসহ আইনজীবী সমাজের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পরিস্থিতি সামাল দেন।
বরিশাল-০৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ আসছে ত্রয়োদশ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু এই আসনে এবার বিএনপি স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ রাজিব আহসানকে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের অনুসারী।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল ৩ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এই আসনে বিএনপি এখন পর্যন্ত কাউকে মনোনীত না করলেও উভয় নেতার কর্মী-সমর্থকেরা পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশ করে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠ সরগরম করে রেখেছে। এমন বাস্তবতায় গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জের কেদারপুরে স্থানীয় বিএনপির একাংশ আয়োজিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমানের সাথে সেখানে অংশ নেন বরিশাল ৪ আসনে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সেলিমা রহমানের আগে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বরিশাল ৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। বক্তব্যে রাখতে গিয়ে একপর্যায়ে তিনি বাবুগঞ্জ-মুলাদী আসনে বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে ইঙ্গিত করে বলেন, আইনজীবীরা টাউট-বাটপার! আইনজীবীদের নিয়ে বিএনপি নেতার এই বেফাঁস মন্তব্যের ভিডিও দলীয় ঘরনার প্রতিপক্ষ অর্থাৎ জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কমেন্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন।
সূত্র জানিয়েছে, সাবেক এমপি ফরহাদের এই বেসামাল মন্তব্যের ভিডিওটিকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক জয়নুল আবেদীন। এক্ষেত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাদের দিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদকে চাপে ফেলে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সাবেক এমপি ফরহাদের ভিডিওটি ভাইরাল এবং তাকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নোটিস করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে তিনি মনস্তাত্বিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এবং একদিন বাদে শুক্রবার বরিশাল প্রেসক্লাবে তিনি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে আইনজীবীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করা ব্যাখ্যা খন্ডন করার পাশাপাশি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এসময় বিএনপি নেতাকে কিছুটা বিমর্ষ দেখা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বলেন, ‘গত ৫ নভেম্বর বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করেন। এবং সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে শব্দচয়নে ভুলের কারণে তিনি আইনজীবী সম্প্রদায় সম্পর্কে একটি মন্তব্য করে ফেলেন, যা পরবর্তীতে তার কাছেও অনুতাপের কারণ হয়। এবং তিনি উপলব্ধি করেন, এটি তার পক্ষ থেকে একটি ভুল ছিল।
আইনজীবী পেশাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখেন জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের আইন-আদালত ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং মর্যাদাপূর্ণ। তার বক্তব্যে কারও মনে কষ্ট বা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়ে থাকলে, তিনি সমস্ত আইনজীবী সমাজের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশসহ ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি, আইনজীবী ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ বিভিন্নস্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের আনুষ্ঠানিক এই ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিও শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সেলিমা রহমানকে শত্রুভাবাপন্ন জয়নুল আবেদীনের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি ট্রল করে যাচ্ছেন। এনিয়ে মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদের কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তার কর্মী-সমর্থকেরা বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করছেন না।
সাবেক এমপি মেজবাহর সমর্থক মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলার বাসিন্দা একাধিক বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, জয়নুল আবেদীনের লোকজন বিষয়টি নিয়ে বেশি মাত্রায় বাড়াবাড়ি করছেন। তাদের ভাষায়, মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বিএনপির একজন ত্যাগি নেতা, তিনি ওয়ান ইলেভেনের শাসনামলে নবম জাতীয় সংবাদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসন থেকে ধানের শীষ নিয়ে ভোট করে জয়ী হয়েছিলেন। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি একাধিক মামলা, এমনকি হামলার শিকারও হয়েছিলেন।’

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৯
অক্টোবর মাসে প্রায় ৪ হাজার ডেঙ্গু রোগী বরিশালের সরকারি হাসপাতালে ভর্তির পরে, চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে আরও প্রায় ১ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে মারা গেছেন আরও ১ জন। সরকারি হাসপাতালগুলোতে গত মাসে ৮ জনসহ এ পর্যন্ত ডেঙ্গুর মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে ৪২ জনের নাম। শুক্রবারও দুপুর পর্যন্ত বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় সাড়ে ৪শ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে গত কয়েক মাসে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন সাড়ে ১৮ হাজার ডেঙ্গু রোগী।
অথচ নভেম্বর শুরু হলেও বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতির পরিবর্তে আরও অবনতি ঘটছে। হাসপাতালের বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কত, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, “মানুষ তার শরীর ও মনের অত্যন্ত দুর্বলতম ও নাজুক পর্যায় ছাড়া সরকারি হাসপাতালের কাছে যান না।” ফলে সরকারি হাসপাতালসমূহে ভর্তির অন্তত ১০ গুণ রোগী এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অক্টোবরের মধ্যভাগ থেকেই বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর ভিড় নতুন করে বাড়তে শুরু করে। অক্টোবর মাসজুড়ে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা প্রায় ৪ হাজারে পৌঁছে। সেপ্টেম্বর মাসেও ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা প্রায় একই ছিল। কিন্তু নভেম্বরের প্রথম ৭ দিনের পরিসংখ্যানও পরিস্থিতির উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৬৭ জন রোগীকে ঘরে ফেরত পাঠানোর পরেও হাসপাতালসমূহে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৩১ জন। এর মধ্যে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ৮০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। বরিশালের জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্য হাসপাতালগুলোতেও আরও ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ফলে চলতি মাসে বরিশাল অঞ্চলে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা বিগত মাসগুলোর তুলনায় বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকগণ। অথচ বিগত বছরগুলোতে আগস্টের পরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা কমতে দেখা গেছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে চলতি বছরের সর্বাধিক সংখ্যক, প্রায় ৪ হাজার ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হলেও অক্টোবর শুরু থেকে পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে শুরু করে। যা মধ্য অক্টোবরেই আরও নাজুক আকার ধারণ করে এবং এখনো অব্যাহত রয়েছে। সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরেও অধিকসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে আসার পরে নভেম্বরেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন না চিকিৎসকগণ।
তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সরকারি হাসপাতালের আরও কয়েক গুণ ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ঘরে বসেই চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। ফলে প্রকৃত ডেঙ্গু রোগীর পরিসংখ্যান জানার কোনো সুযোগ নেই।
স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল বারবারই বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং বিভিন্ন পৌরসভাসহ সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এডিস মশা নিধনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিলেও সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরের পরে নভেম্বরেও বরিশাল অঞ্চলে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে।
অক্টোবর মাসে প্রায় ৪ হাজার ডেঙ্গু রোগী বরিশালের সরকারি হাসপাতালে ভর্তির পরে, চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে আরও প্রায় ১ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে মারা গেছেন আরও ১ জন। সরকারি হাসপাতালগুলোতে গত মাসে ৮ জনসহ এ পর্যন্ত ডেঙ্গুর মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে ৪২ জনের নাম। শুক্রবারও দুপুর পর্যন্ত বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রায় সাড়ে ৪শ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে গত কয়েক মাসে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন সাড়ে ১৮ হাজার ডেঙ্গু রোগী।
অথচ নভেম্বর শুরু হলেও বরিশালে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতির পরিবর্তে আরও অবনতি ঘটছে। হাসপাতালের বাইরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কত, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, “মানুষ তার শরীর ও মনের অত্যন্ত দুর্বলতম ও নাজুক পর্যায় ছাড়া সরকারি হাসপাতালের কাছে যান না।” ফলে সরকারি হাসপাতালসমূহে ভর্তির অন্তত ১০ গুণ রোগী এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অক্টোবরের মধ্যভাগ থেকেই বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর ভিড় নতুন করে বাড়তে শুরু করে। অক্টোবর মাসজুড়ে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা প্রায় ৪ হাজারে পৌঁছে। সেপ্টেম্বর মাসেও ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা প্রায় একই ছিল। কিন্তু নভেম্বরের প্রথম ৭ দিনের পরিসংখ্যানও পরিস্থিতির উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৬৭ জন রোগীকে ঘরে ফেরত পাঠানোর পরেও হাসপাতালসমূহে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৩১ জন। এর মধ্যে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ৮০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। বরিশালের জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্য হাসপাতালগুলোতেও আরও ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ফলে চলতি মাসে বরিশাল অঞ্চলে শুধু সরকারি হাসপাতালেই ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা বিগত মাসগুলোর তুলনায় বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকগণ। অথচ বিগত বছরগুলোতে আগস্টের পরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাটা কমতে দেখা গেছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে চলতি বছরের সর্বাধিক সংখ্যক, প্রায় ৪ হাজার ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হলেও অক্টোবর শুরু থেকে পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে শুরু করে। যা মধ্য অক্টোবরেই আরও নাজুক আকার ধারণ করে এবং এখনো অব্যাহত রয়েছে। সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরেও অধিকসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে আসার পরে নভেম্বরেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন না চিকিৎসকগণ।
তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সরকারি হাসপাতালের আরও কয়েক গুণ ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ঘরে বসেই চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। ফলে প্রকৃত ডেঙ্গু রোগীর পরিসংখ্যান জানার কোনো সুযোগ নেই।
স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল বারবারই বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং বিভিন্ন পৌরসভাসহ সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে এডিস মশা নিধনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিলেও সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবরের পরে নভেম্বরেও বরিশাল অঞ্চলে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে।

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৭
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি হোটেল রেস্তোরার সামনে অসুস্থ রোগাক্রান্ত কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। যা জনজীবনে রোগ জীবাণু রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এসব কুকুর দমনের পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোন তৎপরতা।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বন্দর, বাস স্ট্যান্ড, চৌমাথা, কালিগঞ্জ বাজার, বোয়ালিয়া এলাকায় এসব অসুস্থ কুকুরের আনাগোনা চোখে পড়ার মত। বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেলের সামনে এদের বিচারণ লক্ষ্য করা যায়।
অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত এসব কুকুরের মাধ্যমে জনজীবনে রোগ ছড়ানো সহ স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে, কারণ এদের সংস্পর্শ বা কামড়ে জলাতঙ্কসহ বিভিন্ন ঘাতক ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তাঘাটে দল বেঁধে এসব কুকুর চলাফেরা করার ফলে মানুষের ব্যবহার যোগ্য কোন জিনিসে অনায়াসে সংস্পর্শ হতে পারে। ফলে সংক্রমিত হতে পারে রোগ জীবাণু।
বর্তমানে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কয়েকটি অসুস্থ কুকুর লক্ষ্য করা গেছে, যাদের শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের স্পটে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে, যার বিশ্রী গন্ধে হাঁটাচলা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এসব অসুস্থ কুকুর হোটেল রেস্তোরাঁ র সামনে অবস্থান করে খাবারের পরিবেশকে মানহীন করে তুলছে।
বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার সুশীল সমাজের দাবি জনগণের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বিবেচনা করে বেওয়ারিশ কুকুর দমনে পৌর কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা।
এসব রোগাক্রান্ত কুকুরের শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে যার দুর্গন্ধে পরিবেশ ভারী হয়ে যাচ্ছে। গন্ধে তাদের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া দুষ্কর। এসব কুকুর দমনে পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোন তৎপরতা।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলি হোটেল রেস্তোরার সামনে অসুস্থ রোগাক্রান্ত কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। যা জনজীবনে রোগ জীবাণু রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এসব কুকুর দমনের পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোন তৎপরতা।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বন্দর, বাস স্ট্যান্ড, চৌমাথা, কালিগঞ্জ বাজার, বোয়ালিয়া এলাকায় এসব অসুস্থ কুকুরের আনাগোনা চোখে পড়ার মত। বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেলের সামনে এদের বিচারণ লক্ষ্য করা যায়।
অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত এসব কুকুরের মাধ্যমে জনজীবনে রোগ ছড়ানো সহ স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে, কারণ এদের সংস্পর্শ বা কামড়ে জলাতঙ্কসহ বিভিন্ন ঘাতক ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তাঘাটে দল বেঁধে এসব কুকুর চলাফেরা করার ফলে মানুষের ব্যবহার যোগ্য কোন জিনিসে অনায়াসে সংস্পর্শ হতে পারে। ফলে সংক্রমিত হতে পারে রোগ জীবাণু।
বর্তমানে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেশ কয়েকটি অসুস্থ কুকুর লক্ষ্য করা গেছে, যাদের শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের স্পটে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে, যার বিশ্রী গন্ধে হাঁটাচলা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এসব অসুস্থ কুকুর হোটেল রেস্তোরাঁ র সামনে অবস্থান করে খাবারের পরিবেশকে মানহীন করে তুলছে।
বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার সুশীল সমাজের দাবি জনগণের স্বাস্থ্যগত সমস্যা বিবেচনা করে বেওয়ারিশ কুকুর দমনে পৌর কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা।
এসব রোগাক্রান্ত কুকুরের শরীরের বিভিন্ন অংশে পচন ধরে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে যার দুর্গন্ধে পরিবেশ ভারী হয়ে যাচ্ছে। গন্ধে তাদের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া দুষ্কর। এসব কুকুর দমনে পৌর কর্তৃপক্ষের নেই কোন তৎপরতা।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.