
২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৪৮
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশালের ৬টি আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ঢাকায় তলব করা হয়েছে। আগামী ২৭ অক্টোবর সোমবার এসব নেতার রাজধানীর বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা এসব প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেবেন। ইতোমধ্যেই প্রত্যেক প্রার্থীর ভোটার আইডি কার্ড ও এক কপি ছবি পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তবে গোয়েন্দা সংস্থা ও দলীয় রিপোর্টের ভিত্তিতে এরই মধ্যে জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থীদের নাম প্রাথমিকভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি সূত্রটির। এর মধ্যে কেবল বরিশাল-১ আসনের প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সূত্রটি জানায়, বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে প্রার্থীর মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত। কোনো কোনো আসনে একাধিক প্রার্থীর নাম রয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে চূড়ান্ত করা হবে। এর মধ্যে বরিশালের আসনগুলোর মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থীর খসড়া তালিকা করা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটলে এ তালিকার পরিবর্তন হবে না।
সূত্রটি আরও জানায়, বরিশাল-১ (আগৈলঝাড়া-গৌরনদী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার (অ্যাব)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দীন স্বপন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বরিশাল বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম স্বজল মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বরিশাল বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দীন স্বপন আলোচনায় আছেন। তাদের মধ্যে যে কেউ মনোনয়ন পাবেন বলে দাবি সূত্রটির।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) সংসদীয় আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান প্রয়াত বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল হক জামাল এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস সরফুদ্দীন আহম্মেদ সান্টু। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নির্বাচনে এ আসনে আবারো বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন এস সরফুদ্দীন আহম্মেদ সান্টু। প্রাথমিক খসড়া তালিকায় তার নাম রয়েছে বলে জানা যায়।
এছাড়া আসনটিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, বিএনপি নেতা কর্নেল (অব.) আনোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য দুলাল হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদ মাহমুদ জুয়েল, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক লায়ন আক্তার সেন্টু মনোনয়নপ্রত্যাশী। আগামী সোমবার মনোনয়নপ্রত্যাশী এসব নেতাকে ঢাকায় ডাকা হয়েছে।
বরিশাল-৩ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জয়নাল আবেদীন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে জয়নাল আবেদীনের নাম চূড়ান্ত বলে জানা গেছে। এ আসনে তিনিই মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে দাবি সূত্রটির। এ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সত্তার খান, ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান আসাদ মনোনয়নপ্রত্যাশী।
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) সংসদীয় আসনে ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান। তবে আগামী নির্বাচনে খসড়া প্রার্থীর তালিকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের নাম চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহউদ্দীন ফরহাদ, বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির সদস্য নেতা অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দীন, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল খালেক হাওলাদার, বরিশাল জেলা (উত্তর) বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহ।
বরিশালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত বরিশাল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার এবারও মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। খসড়া তালিকায় তার নাম রয়েছে। এ লক্ষেই সম্প্রতি সরোয়ারের বলয়ের নেতাদের দিয়েই সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী মজিবর রহমান সরোয়ারসহ অন্যদের জেলা মহানগর বিএনপি নেতাদের কেন্দ্রে ডেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া এ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (পদ স্থগিত) এক সময়ের তুখোড় নেত্রী অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক জেলা এিনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাছরিন আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। এসব নেতাকেও ডাকা হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বরিশাল-৬ বাকেরগঞ্জ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বাক আবুল হোসেন খান আবারও এ আসন থেকে মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রাথমিক খসড়া তালিকায় তার নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। তবে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও বরিশাল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান রাজন মনোনয়ন পেতে এখনো প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লায়ন নুরুল ইসলাম খান মাসুদ, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি স্টেট বিএনপির সাবেক সভাপতি সোলায়মান সেরনিয়াবাত নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এদিকে সূত্র জানায়, বরিশাল বিভাগের ২১ আসনের মধ্যে ১৮টিতে প্রার্থী তালিকা ১ থেকে ২ জনের মধ্যে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান জানান, আগামী ২৭ অক্টোবর মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতাদের ঢাকায় ডাকা হয়েছে। দলের জন্য যারা নিবেদিতপ্রাণ তাদের মনোনয়ন দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ইতোমধ্যেই বিভিন্নভাবে তিনি প্রার্থীদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। তবে যারা আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন, দলের সঙ্গে কখনো বেইমানি করেননি, এমন যোগ্য নেতারাই এবার মনোনয়ন পাবেন বলে দাবি করেন তিনি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশালের ৬টি আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ঢাকায় তলব করা হয়েছে। আগামী ২৭ অক্টোবর সোমবার এসব নেতার রাজধানীর বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা এসব প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেবেন। ইতোমধ্যেই প্রত্যেক প্রার্থীর ভোটার আইডি কার্ড ও এক কপি ছবি পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তবে গোয়েন্দা সংস্থা ও দলীয় রিপোর্টের ভিত্তিতে এরই মধ্যে জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থীদের নাম প্রাথমিকভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি সূত্রটির। এর মধ্যে কেবল বরিশাল-১ আসনের প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সূত্রটি জানায়, বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে প্রার্থীর মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত। কোনো কোনো আসনে একাধিক প্রার্থীর নাম রয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে চূড়ান্ত করা হবে। এর মধ্যে বরিশালের আসনগুলোর মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থীর খসড়া তালিকা করা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটলে এ তালিকার পরিবর্তন হবে না।
সূত্রটি আরও জানায়, বরিশাল-১ (আগৈলঝাড়া-গৌরনদী) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার (অ্যাব)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দীন স্বপন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বরিশাল বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম স্বজল মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বরিশাল বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দীন স্বপন আলোচনায় আছেন। তাদের মধ্যে যে কেউ মনোনয়ন পাবেন বলে দাবি সূত্রটির।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) সংসদীয় আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান প্রয়াত বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল হক জামাল এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস সরফুদ্দীন আহম্মেদ সান্টু। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নির্বাচনে এ আসনে আবারো বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন এস সরফুদ্দীন আহম্মেদ সান্টু। প্রাথমিক খসড়া তালিকায় তার নাম রয়েছে বলে জানা যায়।
এছাড়া আসনটিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, বিএনপি নেতা কর্নেল (অব.) আনোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য দুলাল হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদ মাহমুদ জুয়েল, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক লায়ন আক্তার সেন্টু মনোনয়নপ্রত্যাশী। আগামী সোমবার মনোনয়নপ্রত্যাশী এসব নেতাকে ঢাকায় ডাকা হয়েছে।
বরিশাল-৩ আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জয়নাল আবেদীন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে জয়নাল আবেদীনের নাম চূড়ান্ত বলে জানা গেছে। এ আসনে তিনিই মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে দাবি সূত্রটির। এ আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সত্তার খান, ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান আসাদ মনোনয়নপ্রত্যাশী।
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) সংসদীয় আসনে ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান। তবে আগামী নির্বাচনে খসড়া প্রার্থীর তালিকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের নাম চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য মেজবাহউদ্দীন ফরহাদ, বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির সদস্য নেতা অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দীন, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল খালেক হাওলাদার, বরিশাল জেলা (উত্তর) বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহ।
বরিশালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত বরিশাল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার এবারও মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। খসড়া তালিকায় তার নাম রয়েছে। এ লক্ষেই সম্প্রতি সরোয়ারের বলয়ের নেতাদের দিয়েই সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী মজিবর রহমান সরোয়ারসহ অন্যদের জেলা মহানগর বিএনপি নেতাদের কেন্দ্রে ডেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া এ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (পদ স্থগিত) এক সময়ের তুখোড় নেত্রী অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক জেলা এিনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাছরিন আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। এসব নেতাকেও ডাকা হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বরিশাল-৬ বাকেরগঞ্জ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বাক আবুল হোসেন খান আবারও এ আসন থেকে মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রাথমিক খসড়া তালিকায় তার নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। তবে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও বরিশাল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান রাজন মনোনয়ন পেতে এখনো প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লায়ন নুরুল ইসলাম খান মাসুদ, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি স্টেট বিএনপির সাবেক সভাপতি সোলায়মান সেরনিয়াবাত নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী।
এদিকে সূত্র জানায়, বরিশাল বিভাগের ২১ আসনের মধ্যে ১৮টিতে প্রার্থী তালিকা ১ থেকে ২ জনের মধ্যে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান জানান, আগামী ২৭ অক্টোবর মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতাদের ঢাকায় ডাকা হয়েছে। দলের জন্য যারা নিবেদিতপ্রাণ তাদের মনোনয়ন দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ইতোমধ্যেই বিভিন্নভাবে তিনি প্রার্থীদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। তবে যারা আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন, দলের সঙ্গে কখনো বেইমানি করেননি, এমন যোগ্য নেতারাই এবার মনোনয়ন পাবেন বলে দাবি করেন তিনি।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২৯
গণতন্ত্রের ধারায় উত্তরণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়নের পর থেকেই বরিশালের ৬টি আসনে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়ে গেছে। মনোনয়ন পেয়েই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত প্রাথীরা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। রাজনীতির মাঠে শক্ত দল বিএনপির সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করতে কৌশলে এগুচ্ছেন অন্যান্য দল। মনোনয়ন প্রাপ্তদের মধ্যে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী, জামায়াত ও চরমোনাই পীরের সহোদর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
চরমোনাই দরবার শরীফ বরিশাল সদর উপজেলাধীন হওয়ায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর বেশ কর্মী-সমর্থক রয়েছে। এছাড়াও বিগত ইউপি, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এ দলটি। বিশেষ করে মর্যাদাপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত বরিশাল-৫ (সদর) আসনটিতে জয় পেতে সব দলের শীর্ষ নেতারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বরিশাল-৫ (সদর-সিটি করপোরেশন) এ আসনে নানান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ৫ম বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়পারপারনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার। টানা ৩০ বছর বরিশাল বিএনপির রাজত্বে ছিলো মজিবর রহমান সরোয়ার। দীর্ঘ এ সময়ে সরোয়ার বরিশাল জেলা বিএনপির সভাপতি, মহানগর সভাপতি, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম মহাসচিব ছাড়াও উপ-নির্বাচনসহ ৪ বার সংসদ সদস্য হয়ে বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, হুইপ এবং সিটি মেয়র পদেও নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিগত কয়েক বছর রাজনীতির মাঠে তিনি কিছুটা কোনঠাসা থাকলেও মনোনয়ন পাওয়ার পর সকলেই একাট্টা হয়ে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন। বিশেষ করে মহানগর বিএনপির তিন গ্রুপ, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ পদ বঞ্চিতরাও সরোয়ারকে ঘিরে নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণায় সরব রয়েছেন। এ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মুয়াযযম হোসাইন হেলাল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ধানের শীষ প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বাসসকে বলেন, এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করেছি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ। ধানের শীষের সদর উপজেলা ও নগরীতে ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বাসসকে বলেন, দেশবাসী পরিবর্তন চায়। ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে তার প্রমাণ দেবে। এছাড়াও বাসদ নেত্রী বরিশালের সকল পর্যায়ের শ্রমজীবি মানুষের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেয়া ডা. মনিষা চক্রবর্তী প্রার্থী হয়েছেন সদর আসনে। মনিষা চক্রবর্তীও ইতিপূর্বে সিটি, জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে বরিশালে ভোটারদের আলোচনায় রয়েছেন।
বরিশাল সদর ও সিটি কপোরেশনের এই আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৪৩ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৭ জন।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) এ আসনে চতুর্থবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়পারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন। তিনি মনোনয়ন পাওয়ায় উচ্ছাসিত বিএনপির নেতাকর্মীরা।
জহির উদ্দিন স্বপন বাসসকে বলেন, গৌরনদী ও আগৈলঝড়া উপজেলায় দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী আমার হয়ে কাজ করছেন। এজন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই যে, তারা আমাকে দলের প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করেছেন। বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত কিছু মান-অভিমানের ব্যাপার থাকলেও আমি যেহেতু দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী, ফলে আমার সব সহকর্মী মিলেই কথাবার্তা বলে সমাধান করে ফেলেছি।
এ আসনটিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম খান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর প্রার্থী ঘোষণা করেছেন মো. রাসেল সরদার মেহেদীকে। এ আসনের রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ব্যানার, পোস্টার ও সামাজিক যোগাযোক মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে এমপি প্রার্থী হিসেবে তাদের সমর্থকরা জনগণের দৃষ্টি আর্কষনে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গৌরনদী-আগৈলঝাড়া আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৩ হাজার ৮১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৮০৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬১ হাজার ৯ জন।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে তৃতীয়বার মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সরফুদ্দিন আহমেদ (সান্টু)। এ আসনে সান্টু ইতিপূর্বে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থী তালুকদার মো. ইউনুসের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন মাস্টার আবদুল মান্নান। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন। বাসদ নেতা এ্যাড. তরিকুল ইসলাম তারেক এ ৪ জনই এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
উজিরপুর-বানারীপাড়া আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৩ জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ জন।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনটিতে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আসনটিতে প্রথমবারে দলীয় প্রার্থী ঘোষাণা করলেও দ্বিতীয়বার তাকেই মনোনয়ন দেয় দল। ইতমধ্যে উচ্ছাসিত নেতাকর্মীরা তার পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এ্যাডভোটেক জয়নুল আবেদীন বাসসকে বলেন, নির্বাচনী এ আসনটি বিএনপি অধ্যুষিত। সকল ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে জনগণের সাথে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা কাজ করবে।
তিনি বলেন, বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনটিতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা এরই মধ্যে গণসংযোগ জোরদার করেছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ফুয়াদের নিজ বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলাধীন হওয়ায় তিনি বাবুগঞ্জ-মুলাদীতে ইতিপূর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকান্ডে সরব রয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই দলটির বরিশাল মহানগরের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবরকে প্রার্থী ঘোষণা করে। জহির উদ্দিন দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বরিশাল জেলার সভাপতির পদে রয়েছেন।
বাবুগঞ্জ-মুলাদীর এই আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুয় ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৬৩ জন ও নারী ভোটার ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৫৩২ জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ জন।
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। রাজীব মনোনয়ন পাওয়ায় বরিশাল জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলসহ ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জে হওয়ায় তাদের নেতৃত্বে চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। ২০০৮ সালে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় বিএনপির একাংশের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা আমির মাওলানা আব্দুল জব্বার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব চরমোনাই পীরের ছোট ভাই মুফতি সৈয়দ এছহাক আবুল খায়ের নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন অনেক আগে থেকেই।
হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ এ আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৭ হাজার ৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮২ জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ জন।
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) এ আসনে তৃতীয় বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হোসেন খান। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ এর মাওলানা মাহমুদুন্নবী প্রার্থী হয়েছেন।
এই আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৪ জন।
বরিশালের ৬টি আসনে এনসিপির মনোনয়ন চান ১১ জন: জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৬টি আসনের দুটিতে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত না করলেও শাপলা কলি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এনসিপির মনোনয়ন কিনেছেন ১১ জন।
বরিশাল-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন পেয়েছেন মাজহারুল ইসলাম নিপু। তবে বরিশাল-২ আসনে এখনো চূরান্ত না হলেও মনোনয়ন প্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও এনসিপির ঢাকা পল্টন শাখার সদস্য অ্যাড. আলী আকবর তালুকদার ও একই আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সংগঠনের বরিশাল মহানগর শাখার সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এছাড়া বরিশাল-৩ আসনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোক্তার হোসেন, শিক্ষক তানজিল আলম দলটির মনোনয়ন চূরান্ত করেছেন। আর বরিশাল-৪ আসনে এনসিপির বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবু সাঈদ মুসা চূরান্ত মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া বরিশাল-৫ আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নরুল হুদা চৌধুরী দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন। বরিশাল-৬ আসনে একমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম প্রিন্স মনোনয়ন পেয়েছেন।
গণতন্ত্রের ধারায় উত্তরণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়নের পর থেকেই বরিশালের ৬টি আসনে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়ে গেছে। মনোনয়ন পেয়েই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত প্রাথীরা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। রাজনীতির মাঠে শক্ত দল বিএনপির সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করতে কৌশলে এগুচ্ছেন অন্যান্য দল। মনোনয়ন প্রাপ্তদের মধ্যে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী, জামায়াত ও চরমোনাই পীরের সহোদর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
চরমোনাই দরবার শরীফ বরিশাল সদর উপজেলাধীন হওয়ায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর বেশ কর্মী-সমর্থক রয়েছে। এছাড়াও বিগত ইউপি, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এ দলটি। বিশেষ করে মর্যাদাপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত বরিশাল-৫ (সদর) আসনটিতে জয় পেতে সব দলের শীর্ষ নেতারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বরিশাল-৫ (সদর-সিটি করপোরেশন) এ আসনে নানান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ৫ম বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়পারপারনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার। টানা ৩০ বছর বরিশাল বিএনপির রাজত্বে ছিলো মজিবর রহমান সরোয়ার। দীর্ঘ এ সময়ে সরোয়ার বরিশাল জেলা বিএনপির সভাপতি, মহানগর সভাপতি, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম মহাসচিব ছাড়াও উপ-নির্বাচনসহ ৪ বার সংসদ সদস্য হয়ে বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, হুইপ এবং সিটি মেয়র পদেও নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিগত কয়েক বছর রাজনীতির মাঠে তিনি কিছুটা কোনঠাসা থাকলেও মনোনয়ন পাওয়ার পর সকলেই একাট্টা হয়ে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন। বিশেষ করে মহানগর বিএনপির তিন গ্রুপ, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ পদ বঞ্চিতরাও সরোয়ারকে ঘিরে নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণায় সরব রয়েছেন। এ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মুয়াযযম হোসাইন হেলাল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ধানের শীষ প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বাসসকে বলেন, এ আসনে মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করেছি। জনগণ তাই ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ। ধানের শীষের সদর উপজেলা ও নগরীতে ভোট বেশি। সদর উপজেলায় চরমোনাই পীরের বাড়ি হলেও সব সময় ধানের শীষ বেশি ভোট পেয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বাসসকে বলেন, দেশবাসী পরিবর্তন চায়। ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে তার প্রমাণ দেবে। এছাড়াও বাসদ নেত্রী বরিশালের সকল পর্যায়ের শ্রমজীবি মানুষের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেয়া ডা. মনিষা চক্রবর্তী প্রার্থী হয়েছেন সদর আসনে। মনিষা চক্রবর্তীও ইতিপূর্বে সিটি, জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে বরিশালে ভোটারদের আলোচনায় রয়েছেন।
বরিশাল সদর ও সিটি কপোরেশনের এই আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৪৩ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৭ জন।
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) এ আসনে চতুর্থবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়পারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন। তিনি মনোনয়ন পাওয়ায় উচ্ছাসিত বিএনপির নেতাকর্মীরা।
জহির উদ্দিন স্বপন বাসসকে বলেন, গৌরনদী ও আগৈলঝড়া উপজেলায় দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী আমার হয়ে কাজ করছেন। এজন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই যে, তারা আমাকে দলের প্রার্থী হিসেবে গ্রহণ করেছেন। বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত কিছু মান-অভিমানের ব্যাপার থাকলেও আমি যেহেতু দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী, ফলে আমার সব সহকর্মী মিলেই কথাবার্তা বলে সমাধান করে ফেলেছি।
এ আসনটিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম খান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর প্রার্থী ঘোষণা করেছেন মো. রাসেল সরদার মেহেদীকে। এ আসনের রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ব্যানার, পোস্টার ও সামাজিক যোগাযোক মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে এমপি প্রার্থী হিসেবে তাদের সমর্থকরা জনগণের দৃষ্টি আর্কষনে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গৌরনদী-আগৈলঝাড়া আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৩ হাজার ৮১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৮০৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬১ হাজার ৯ জন।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে তৃতীয়বার মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সরফুদ্দিন আহমেদ (সান্টু)। এ আসনে সান্টু ইতিপূর্বে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থী তালুকদার মো. ইউনুসের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন মাস্টার আবদুল মান্নান। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দীন। বাসদ নেতা এ্যাড. তরিকুল ইসলাম তারেক এ ৪ জনই এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
উজিরপুর-বানারীপাড়া আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৩ জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ জন।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনটিতে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আসনটিতে প্রথমবারে দলীয় প্রার্থী ঘোষাণা করলেও দ্বিতীয়বার তাকেই মনোনয়ন দেয় দল। ইতমধ্যে উচ্ছাসিত নেতাকর্মীরা তার পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এ্যাডভোটেক জয়নুল আবেদীন বাসসকে বলেন, নির্বাচনী এ আসনটি বিএনপি অধ্যুষিত। সকল ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে জনগণের সাথে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা কাজ করবে।
তিনি বলেন, বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনটিতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা এরই মধ্যে গণসংযোগ জোরদার করেছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ফুয়াদের নিজ বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলাধীন হওয়ায় তিনি বাবুগঞ্জ-মুলাদীতে ইতিপূর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকান্ডে সরব রয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই দলটির বরিশাল মহানগরের আমির জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবরকে প্রার্থী ঘোষণা করে। জহির উদ্দিন দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন। এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বরিশাল জেলার সভাপতির পদে রয়েছেন।
বাবুগঞ্জ-মুলাদীর এই আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুয় ভোটার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৬৩ জন ও নারী ভোটার ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৫৩২ জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ জন।
বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। রাজীব মনোনয়ন পাওয়ায় বরিশাল জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলসহ ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জে হওয়ায় তাদের নেতৃত্বে চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। ২০০৮ সালে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ। তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় বিএনপির একাংশের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হয়েছেন জেলা আমির মাওলানা আব্দুল জব্বার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব চরমোনাই পীরের ছোট ভাই মুফতি সৈয়দ এছহাক আবুল খায়ের নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন অনেক আগে থেকেই।
হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ এ আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৭ হাজার ৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮২ জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ জন।
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) এ আসনে তৃতীয় বারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবুল হোসেন খান। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ এর মাওলানা মাহমুদুন্নবী প্রার্থী হয়েছেন।
এই আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার জন। আসনটিতে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৪ জন।
বরিশালের ৬টি আসনে এনসিপির মনোনয়ন চান ১১ জন: জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৬টি আসনের দুটিতে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত না করলেও শাপলা কলি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এনসিপির মনোনয়ন কিনেছেন ১১ জন।
বরিশাল-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন পেয়েছেন মাজহারুল ইসলাম নিপু। তবে বরিশাল-২ আসনে এখনো চূরান্ত না হলেও মনোনয়ন প্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও এনসিপির ঢাকা পল্টন শাখার সদস্য অ্যাড. আলী আকবর তালুকদার ও একই আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সংগঠনের বরিশাল মহানগর শাখার সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এছাড়া বরিশাল-৩ আসনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোক্তার হোসেন, শিক্ষক তানজিল আলম দলটির মনোনয়ন চূরান্ত করেছেন। আর বরিশাল-৪ আসনে এনসিপির বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবু সাঈদ মুসা চূরান্ত মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া বরিশাল-৫ আসনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নরুল হুদা চৌধুরী দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন। বরিশাল-৬ আসনে একমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম প্রিন্স মনোনয়ন পেয়েছেন।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১৫
দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আগমনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। একই সাথে আগামীতে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে এর প্রথম ধাপের সূচনা হবে ২৫শে ডিসেম্বর। এদিন তাকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। সারাদেশ থেকে এদিন লাখ লাখ মানুষ অবস্থান করবেন ঢাকা শহরে। শুধু নেতাকর্মীরাই নয় সমর্থকরাও যাবেন একনজর তারেক রহমানকে দেখতে। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে লাখো মানুষ ঢাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আছেন তাদের পাশাপাশি যারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের নেতৃত্বেও লোকসমাগম করা হবে বলে জানাগেছে। একাধিক বিএনপি নেতা জানান, তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে লঞ্চ-বাস সহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন অগ্রীম ভাড়া করা হয়েছে। এখন রীতিমত যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। যে সংখ্যক লোক টার্গেট তার অর্ধেকও হয়তো যেতে পারবেন না যানবাহন সংকটের কারণে। এজন্য অনেকই আগেভাগে ঢাকা অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেশিরভাগ নেতাকর্মী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করার টার্গেট নিয়েছেন। অনেকে আবার ২২ ডিসেম্বরই বরিশাল ছেড়ে রাজধানীতে অবস্থান করার কথা বলেছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবীর বলেন, তারেক রহমান দেশে আসার সাথে সাথে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে। পাশাপাশি দলের মধ্যে ফিরে আসবে শৃঙ্খলা। জাহিদ বলেন আমার নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকা যাবে। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে ২৫ ডিসেম্বর। এতবছর দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে আমি মনে করি এর সবকিছুর অবসান হবে তারেক রহমানের দেশের মাটিতে পা রাখার মধ্য দিয়ে। তাকে বরণ করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা শুধু জেলা দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকেই প্রায় ২০ হাজার লোকের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে আমরা মহানগরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এখানে শুধু দলীয় নেতাকর্মীরাই নয়, সমর্থকরাও ঢাকায় যেতে চাইছেন। তবে তার আগমনকে কেন্দ্র করে যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ২/১দিন আগেই ঢাকায় অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের প্রথম ধাপ রচিত হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর। এদিন কোটি জনতা তারেক রহমানকে বরণ করবেন। বরিশাল থেকে হাজার হাজার মানুষ নিজ উদ্যোগেই দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেখতে যাবেন। পাশাপাশি আমরাও অর্গানাইজ করছি। রহমাতুল্লাহ বলেন, তারেক রহমান যাতে দেশে আসতে না পারে সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ওসমান হাদি কে হত্যা তারই অংশ বলে আমি মনে করি।
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, দীর্ঘবছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। তার এই আগমনের দিন নতুন এক ইতিহাস রচিত হবে। এ দিন লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে ঢাকা শহরে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আগমনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকরাও বেশ উজ্জীবিত।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে আসতেছেন তখন পরিবেশটা বিএনপির পক্ষে। তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড। আপনারা জানেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন, তারেক রহমান প্রায় ১৮ বছর লন্ডনে। কিন্তু তিনি (তারেক রহমান) বিদেশে বসে থাকেননি। লন্ডনে বসেই সকল আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশে^র অনেক বড় বড় নেতা দেশের বাইরে থেকে সংগ্রাম করেছেন। তারেক রহমানও তাদের একজন। তিনি যেদিন আসবেন পুরো ঢাকার শহর ব্লক হয়ে যাবে। তার প্রতি ভালবাসা শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, সারাদেশের মানুষের; সেটার বহি:প্রকাশ ঘটবে ২৫শে ডিসেম্বর।
দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার আগমনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। একই সাথে আগামীতে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে এর প্রথম ধাপের সূচনা হবে ২৫শে ডিসেম্বর। এদিন তাকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। সারাদেশ থেকে এদিন লাখ লাখ মানুষ অবস্থান করবেন ঢাকা শহরে। শুধু নেতাকর্মীরাই নয় সমর্থকরাও যাবেন একনজর তারেক রহমানকে দেখতে। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে লাখো মানুষ ঢাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা আছেন তাদের পাশাপাশি যারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের নেতৃত্বেও লোকসমাগম করা হবে বলে জানাগেছে। একাধিক বিএনপি নেতা জানান, তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে লঞ্চ-বাস সহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন অগ্রীম ভাড়া করা হয়েছে। এখন রীতিমত যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। যে সংখ্যক লোক টার্গেট তার অর্ধেকও হয়তো যেতে পারবেন না যানবাহন সংকটের কারণে। এজন্য অনেকই আগেভাগে ঢাকা অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেশিরভাগ নেতাকর্মী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করার টার্গেট নিয়েছেন। অনেকে আবার ২২ ডিসেম্বরই বরিশাল ছেড়ে রাজধানীতে অবস্থান করার কথা বলেছেন।
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবীর বলেন, তারেক রহমান দেশে আসার সাথে সাথে নতুন অধ্যায় তৈরী হবে। পাশাপাশি দলের মধ্যে ফিরে আসবে শৃঙ্খলা। জাহিদ বলেন আমার নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকা যাবে। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহীন বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে ২৫ ডিসেম্বর। এতবছর দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে আমি মনে করি এর সবকিছুর অবসান হবে তারেক রহমানের দেশের মাটিতে পা রাখার মধ্য দিয়ে। তাকে বরণ করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা শুধু জেলা দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকেই প্রায় ২০ হাজার লোকের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে আমরা মহানগরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এখানে শুধু দলীয় নেতাকর্মীরাই নয়, সমর্থকরাও ঢাকায় যেতে চাইছেন। তবে তার আগমনকে কেন্দ্র করে যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ২/১দিন আগেই ঢাকায় অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের প্রথম ধাপ রচিত হবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর। এদিন কোটি জনতা তারেক রহমানকে বরণ করবেন। বরিশাল থেকে হাজার হাজার মানুষ নিজ উদ্যোগেই দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেখতে যাবেন। পাশাপাশি আমরাও অর্গানাইজ করছি। রহমাতুল্লাহ বলেন, তারেক রহমান যাতে দেশে আসতে না পারে সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ওসমান হাদি কে হত্যা তারই অংশ বলে আমি মনে করি।
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, দীর্ঘবছর পর তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। তার এই আগমনের দিন নতুন এক ইতিহাস রচিত হবে। এ দিন লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে ঢাকা শহরে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আগমনে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকরাও বেশ উজ্জীবিত।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, তারেক রহমান যখন বাংলাদেশে আসতেছেন তখন পরিবেশটা বিএনপির পক্ষে। তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড। আপনারা জানেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন, তারেক রহমান প্রায় ১৮ বছর লন্ডনে। কিন্তু তিনি (তারেক রহমান) বিদেশে বসে থাকেননি। লন্ডনে বসেই সকল আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশে^র অনেক বড় বড় নেতা দেশের বাইরে থেকে সংগ্রাম করেছেন। তারেক রহমানও তাদের একজন। তিনি যেদিন আসবেন পুরো ঢাকার শহর ব্লক হয়ে যাবে। তার প্রতি ভালবাসা শুধু দলীয় নেতাকর্মীদের নয়, সারাদেশের মানুষের; সেটার বহি:প্রকাশ ঘটবে ২৫শে ডিসেম্বর।

২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:০৪
টাকা উত্তোলন ব্যায় বাড়লেও বরিশালে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে গ্রাহক হয়রানি কমছেনা। সাপ্তাহিক ছুটি সহ যেকোন বন্ধের দিনগুলোতে বুথ থেকে টাকা তুলতে নাকাল হচ্ছেন গ্রাহকরা। তারল্য সংকট আড়াল করতে গত বছর আগষ্ট থেকে বিভিন্ন ব্যাংক নানা অজুহাতে এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিতকরণের পাশাপাশি নানাভাবে নিরুৎসাহিত করছে। যা গ্রাহক হয়রানিকে ক্রমশ বৃদ্ধি করে চললেও বিষয়গুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেকটাই নির্বিকার। এমনকি বরিশাল অঞ্চলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ঠিক কতগুলো এটিএম বুথ রয়েছে তাও জানে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরিশাল অফিস।
বিদ্যমান বুথগুলোতে গ্রাহক হয়রানির বিষয়গুলোও কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির কাছে অনেকটাই অবান্তর বলেই মনে হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে যতবারই বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের দায়িত্বশীল মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে,ততবারই নানাভাবে এড়িয়ে গেছেন দয়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের দাপ্তরিক সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি।
তবে একাধিক সূত্রের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের আওতাভুক্ত এলাকায় সরকারি-বেসরকারী ৩৬টি ব্যাংকের সহ¯্রাধিক ফাষ্ট ট্র্যাক সহ এটিএম বুথে প্রতিদিন লক্ষাধিক গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন ও জমা করে থাকেন। কিন্তু গত বছর আগষ্টের পটপরিবর্তনের পরে প্রায় সব ব্যাংকই তাদের এটিএম বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিত করেছে। ইতোপূর্বে বুথগুলো থেকে গ্রাহকদের একবারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হলেও এখন দশ হাজার টাকার বেশী দেয়া হচ্ছেনা । এমনকি নিজ ব্যাংকের বাইরে অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে গ্রাহকদের আগে প্রতিবারের লেনদেনে ২০ হাজার টাকা উত্তোলনে ১৫ টাকা চার্জ ধার্য্য থাকলেও এখন ১০ হাজার টাকা উত্তোলনেই ২০ টাকা চার্জ প্রদান করতে হচ্ছে। কিন্ত সে চার্জ প্রদান করেও এখন বেশীরভাগ ব্যাংকের বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছেন না।
শুধুমাত্র ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথ এবং ফাষ্ট ট্র্যাকের এটিএম ও সিআরএম মেশিন থেকে প্রায় সব ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান করা হলেও সেসব স্থাপনায়ও রাত ৯টার পরে ১টি মেশিন চালু রেখে অন্যগুলোতে গ্রাহকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এমনকি ঈদ সহ যে কোন লম্বা ছুটির সময়ও ব্যাংকটির সব ফাষ্ট ট্র্যাকেই মাত্র ১টি করে সিআরএম মেশিন চালু রেখে অন্যসবগুলো আটকে দেয়া হয়। ডাচ-বাংলার বুথ ও ফাষ্ট ট্র্যাকগুলোতে প্রায় সব ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও সেখানেও ইতোপূর্বের ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকায় সীমিত করা হয়েছে।
ডাচ-বাংলার পরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে’এর এটিএম বুথের সংখ্যা বেশী থাকলেও গত বছর আগষ্ট থেকে সেখানেও অন্য সব ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান বন্ধ রাখা হচ্ছে প্রায়শই। তবে রাষ্ট্রীয় রূপালী ব্যাংকের হাতেগোনা কয়কটি বুথে বেশীরভাগ ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা পরিশোধ করা হলেও অনেক নামিদামী ব্যাংগুলোও এক্ষেত্রে রক্ষনশীল ভূমিকা পালন করায় সাধারন মানুষের দুর্ভোগ সব বর্ণনার বাইরে। এমনকি সীমিত কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে অন্যসব ব্যাংকের এটিএম কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও কোন বুথ থেকেই এককালীন ১০ হাজারের বেশী টাকা প্রদান করা হচ্ছে না।
অপরদিকে অতি সম্প্রতি যে ৫টি রুগ্ন ব্যাংক নিয়ে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক চালু করা হচ্ছে,সেসব ব্যাংকগুলোর সব বুথই ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐসব ব্যাংক গ্রাহকদের দুর্ভোগ এখন সব বর্ণনার বাইরে। ফলে অন্য ব্যাংকের বুথে চাপ বাড়ছে। ডাচ-বাংলা সহ কয়েকটি ব্যাংকের বুথে দিন-রাতই গ্রাহকের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়না। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
টাকা উত্তোলন ব্যায় বাড়লেও বরিশালে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথে গ্রাহক হয়রানি কমছেনা। সাপ্তাহিক ছুটি সহ যেকোন বন্ধের দিনগুলোতে বুথ থেকে টাকা তুলতে নাকাল হচ্ছেন গ্রাহকরা। তারল্য সংকট আড়াল করতে গত বছর আগষ্ট থেকে বিভিন্ন ব্যাংক নানা অজুহাতে এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিতকরণের পাশাপাশি নানাভাবে নিরুৎসাহিত করছে। যা গ্রাহক হয়রানিকে ক্রমশ বৃদ্ধি করে চললেও বিষয়গুলো নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেকটাই নির্বিকার। এমনকি বরিশাল অঞ্চলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ঠিক কতগুলো এটিএম বুথ রয়েছে তাও জানে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বরিশাল অফিস।
বিদ্যমান বুথগুলোতে গ্রাহক হয়রানির বিষয়গুলোও কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির কাছে অনেকটাই অবান্তর বলেই মনে হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে যতবারই বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের দায়িত্বশীল মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে,ততবারই নানাভাবে এড়িয়ে গেছেন দয়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের দাপ্তরিক সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি।
তবে একাধিক সূত্রের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের আওতাভুক্ত এলাকায় সরকারি-বেসরকারী ৩৬টি ব্যাংকের সহ¯্রাধিক ফাষ্ট ট্র্যাক সহ এটিএম বুথে প্রতিদিন লক্ষাধিক গ্রাহক নগদ টাকা উত্তোলন ও জমা করে থাকেন। কিন্তু গত বছর আগষ্টের পটপরিবর্তনের পরে প্রায় সব ব্যাংকই তাদের এটিএম বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান সীমিত করেছে। ইতোপূর্বে বুথগুলো থেকে গ্রাহকদের একবারে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হলেও এখন দশ হাজার টাকার বেশী দেয়া হচ্ছেনা । এমনকি নিজ ব্যাংকের বাইরে অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে গ্রাহকদের আগে প্রতিবারের লেনদেনে ২০ হাজার টাকা উত্তোলনে ১৫ টাকা চার্জ ধার্য্য থাকলেও এখন ১০ হাজার টাকা উত্তোলনেই ২০ টাকা চার্জ প্রদান করতে হচ্ছে। কিন্ত সে চার্জ প্রদান করেও এখন বেশীরভাগ ব্যাংকের বুথ থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছেন না।
শুধুমাত্র ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথ এবং ফাষ্ট ট্র্যাকের এটিএম ও সিআরএম মেশিন থেকে প্রায় সব ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা প্রদান করা হলেও সেসব স্থাপনায়ও রাত ৯টার পরে ১টি মেশিন চালু রেখে অন্যগুলোতে গ্রাহকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এমনকি ঈদ সহ যে কোন লম্বা ছুটির সময়ও ব্যাংকটির সব ফাষ্ট ট্র্যাকেই মাত্র ১টি করে সিআরএম মেশিন চালু রেখে অন্যসবগুলো আটকে দেয়া হয়। ডাচ-বাংলার বুথ ও ফাষ্ট ট্র্যাকগুলোতে প্রায় সব ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও সেখানেও ইতোপূর্বের ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকায় সীমিত করা হয়েছে।
ডাচ-বাংলার পরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে’এর এটিএম বুথের সংখ্যা বেশী থাকলেও গত বছর আগষ্ট থেকে সেখানেও অন্য সব ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান বন্ধ রাখা হচ্ছে প্রায়শই। তবে রাষ্ট্রীয় রূপালী ব্যাংকের হাতেগোনা কয়কটি বুথে বেশীরভাগ ব্যাংকের কার্ডের বিপরিতে টাকা পরিশোধ করা হলেও অনেক নামিদামী ব্যাংগুলোও এক্ষেত্রে রক্ষনশীল ভূমিকা পালন করায় সাধারন মানুষের দুর্ভোগ সব বর্ণনার বাইরে। এমনকি সীমিত কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে অন্যসব ব্যাংকের এটিএম কার্ডের বিপরিতে টাকা প্রদান করা হলেও কোন বুথ থেকেই এককালীন ১০ হাজারের বেশী টাকা প্রদান করা হচ্ছে না।
অপরদিকে অতি সম্প্রতি যে ৫টি রুগ্ন ব্যাংক নিয়ে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক চালু করা হচ্ছে,সেসব ব্যাংকগুলোর সব বুথই ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐসব ব্যাংক গ্রাহকদের দুর্ভোগ এখন সব বর্ণনার বাইরে। ফলে অন্য ব্যাংকের বুথে চাপ বাড়ছে। ডাচ-বাংলা সহ কয়েকটি ব্যাংকের বুথে দিন-রাতই গ্রাহকের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়না। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালকের সাথে আলাপ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.