০৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২৪
রাজশাহীর তানোরে ভুয়া প্রতিবন্ধী সাজিয়ে বাবা-মা ও স্ত্রীকে কার্ড দিয়ে ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।
উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সময় এটি করেছেন। প্রতিবন্ধী কার্ড গ্রহণকারী জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পলিয়ারাও একই ইউপির সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য।
অভিযোগ উঠেছে, এই দম্পতি শুধু নিজের পরিবারের সদস্য নয়, সুস্থ ও স্বাভাবিক ৩৫ জন নারী-পুরুষকে প্রতিবন্ধী কার্ড প্রদানে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। প্রকৃত দুস্থ এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের বঞ্চিত করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
এ ঘটনায় আট নম্বর ওয়ার্ডের শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা সাদিউর রহমান ভুয়া প্রতিবন্ধী সনদ বাতিল এবং জড়িত দম্পতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সমাজসেবা অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই ইউপি সদস্য দম্পতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর তার বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম এবং স্ত্রী পলিয়ারাকে দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সাজিয়ে ভুয়া সনদ তৈরি করেছেন। অথচ তারা তিনজনই শারীরিকভাবে সুস্থ।
এ ছাড়া অভিযোগে এই তিনজনসহ আরও ১৪ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। অজ্ঞাত হিসাবে রয়েছেন আরও ১০ থেকে ১৫ জন। তারা সবাই জাহাঙ্গীর আলমের আট নম্বর ওয়ার্ড শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, যাদের প্রতিবন্ধী কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা কেউ শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধী নয়। ভুয়া তথ্য দিয়ে সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী কার্ড নিয়েছেন। এরপর তারা সরকার প্রদত্ত প্রতিবন্ধী ভাতা এবং সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম এবং তার স্ত্রী (৭, ৮ ও ৯) নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পলিয়ারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এই অনৈতিক কাজের জন্য এ দম্পতি প্রত্যেকের কাছ থেকে সাত থেকে নয় হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন।
এদিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে শিবরামপুরের সুশীল নামে শারীরিক এক প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার জন্য চার হাজার টাকা দেন। তবে তাকে কার্ড দেননি জাহাঙ্গীর। এ ধরনের প্রতারণার একটি ভিডিও দেখা গেছে। ভিডিওতে ওই আদিবাসী প্রতিবন্ধী তার সঙ্গে প্রতারণার বর্ণনা দিয়েছেন। তবে, পরে তার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জাহাঙ্গীর মেম্বার দাবি করেছেন।
অভিযোগকারী সাদিউর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর বাধাইড় ইউনিয়ন কৃষক লীগের নেতা। আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচির অসংখ্য ছবি এবং ভিডিও রয়েছে। দলীয় দাপটেই তিনি স্ত্রী এবং বাবা-মাকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছেন।
সচ্ছল ব্যক্তিদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে কার্ড দিয়ে দরিদ্র অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের বঞ্চিত করেছেন। এ ছাড়া তার স্ত্রী পলিয়ারা সাত নম্বর ওয়ার্ডের জুমারপাড়া এলাকার একটি পরিবারের চার সদস্যকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার নামে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সুশীলের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আমার মা কয়েকদিন থেকে খুবই অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমার কথা বলার সময় নেই, পরে সাক্ষাতে অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলতে পারবেন বলে গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যান তিনি। এ ছাড়া তার স্ত্রী পলিয়ারাকে ফোন দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে তানোর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হোসেন খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। অভিযোগে যে ১৭ ব্যক্তির নাম উল্লেখ রয়েছে, এর মধ্যে সাতজনের কার্ড আছে। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী এবং বাবা-মা আছেন। বাকি ১০ জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাতজনের ভাতা বন্ধ করে কয়েকদিন আগেই তাদের নোটিশ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাঈমা খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে সমাজসেবা অফিসকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইউপি সদস্য দম্পতির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহীর তানোরে ভুয়া প্রতিবন্ধী সাজিয়ে বাবা-মা ও স্ত্রীকে কার্ড দিয়ে ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।
উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সময় এটি করেছেন। প্রতিবন্ধী কার্ড গ্রহণকারী জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পলিয়ারাও একই ইউপির সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য।
অভিযোগ উঠেছে, এই দম্পতি শুধু নিজের পরিবারের সদস্য নয়, সুস্থ ও স্বাভাবিক ৩৫ জন নারী-পুরুষকে প্রতিবন্ধী কার্ড প্রদানে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। প্রকৃত দুস্থ এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের বঞ্চিত করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
এ ঘটনায় আট নম্বর ওয়ার্ডের শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা সাদিউর রহমান ভুয়া প্রতিবন্ধী সনদ বাতিল এবং জড়িত দম্পতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সমাজসেবা অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই ইউপি সদস্য দম্পতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর তার বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম এবং স্ত্রী পলিয়ারাকে দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সাজিয়ে ভুয়া সনদ তৈরি করেছেন। অথচ তারা তিনজনই শারীরিকভাবে সুস্থ।
এ ছাড়া অভিযোগে এই তিনজনসহ আরও ১৪ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। অজ্ঞাত হিসাবে রয়েছেন আরও ১০ থেকে ১৫ জন। তারা সবাই জাহাঙ্গীর আলমের আট নম্বর ওয়ার্ড শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, যাদের প্রতিবন্ধী কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা কেউ শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধী নয়। ভুয়া তথ্য দিয়ে সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী কার্ড নিয়েছেন। এরপর তারা সরকার প্রদত্ত প্রতিবন্ধী ভাতা এবং সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম এবং তার স্ত্রী (৭, ৮ ও ৯) নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পলিয়ারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এই অনৈতিক কাজের জন্য এ দম্পতি প্রত্যেকের কাছ থেকে সাত থেকে নয় হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন।
এদিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে শিবরামপুরের সুশীল নামে শারীরিক এক প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার জন্য চার হাজার টাকা দেন। তবে তাকে কার্ড দেননি জাহাঙ্গীর। এ ধরনের প্রতারণার একটি ভিডিও দেখা গেছে। ভিডিওতে ওই আদিবাসী প্রতিবন্ধী তার সঙ্গে প্রতারণার বর্ণনা দিয়েছেন। তবে, পরে তার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জাহাঙ্গীর মেম্বার দাবি করেছেন।
অভিযোগকারী সাদিউর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর বাধাইড় ইউনিয়ন কৃষক লীগের নেতা। আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচির অসংখ্য ছবি এবং ভিডিও রয়েছে। দলীয় দাপটেই তিনি স্ত্রী এবং বাবা-মাকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছেন।
সচ্ছল ব্যক্তিদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে কার্ড দিয়ে দরিদ্র অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের বঞ্চিত করেছেন। এ ছাড়া তার স্ত্রী পলিয়ারা সাত নম্বর ওয়ার্ডের জুমারপাড়া এলাকার একটি পরিবারের চার সদস্যকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার নামে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সুশীলের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আমার মা কয়েকদিন থেকে খুবই অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমার কথা বলার সময় নেই, পরে সাক্ষাতে অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলতে পারবেন বলে গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যান তিনি। এ ছাড়া তার স্ত্রী পলিয়ারাকে ফোন দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে তানোর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হোসেন খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। অভিযোগে যে ১৭ ব্যক্তির নাম উল্লেখ রয়েছে, এর মধ্যে সাতজনের কার্ড আছে। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী এবং বাবা-মা আছেন। বাকি ১০ জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাতজনের ভাতা বন্ধ করে কয়েকদিন আগেই তাদের নোটিশ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাঈমা খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে সমাজসেবা অফিসকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইউপি সদস্য দম্পতির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২৩:১৬
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৩০
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:২৫
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:০৮
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:১৪
কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় কথাকাটাকাটির জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে সরোয়ার আলম (২৫) নামে এ যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত সরোয়ার আলম কক্সবাজার পৌরসভার লাইট হাউজ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক এক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সরোয়ারের সাথে তার ফুফাতো ভাই রায়হানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে সরোয়ারের বুকে আঘাত করে।
পরে গুরুতর অবস্থায় সরোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন।
প্রতিবেশী মো. আলম বলেন, শান্ত-ভদ্র স্বভাবের সরোয়ার ছিল সবার প্রিয়। ওর উপার্জনে পরিবারটা চলতো। শুধু এক মুহূর্তের রাগে রায়হান ওকে মেরে ফেলল। এটা আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত সরোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় কথাকাটাকাটির জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে সরোয়ার আলম (২৫) নামে এ যুবক খুন হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত সরোয়ার আলম কক্সবাজার পৌরসভার লাইট হাউজ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক এক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সরোয়ারের সাথে তার ফুফাতো ভাই রায়হানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রায়হান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কাচের গ্লাস ভেঙে সরোয়ারের বুকে আঘাত করে।
পরে গুরুতর অবস্থায় সরোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হঠাৎ এমন মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতন।
প্রতিবেশী মো. আলম বলেন, শান্ত-ভদ্র স্বভাবের সরোয়ার ছিল সবার প্রিয়। ওর উপার্জনে পরিবারটা চলতো। শুধু এক মুহূর্তের রাগে রায়হান ওকে মেরে ফেলল। এটা আমরা বিশ্বাসই করতে পারছি না।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রাণহানি ঘটেছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত সরোয়ারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:০৫
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় আব্দুল কাদের (৫৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাইকান কুঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী শুক্রবার নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।
তবে বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক আব্দুল কাদের কিশোরীটির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি কাবিননামা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে শিক্ষক আব্দুল কাদের ওই কিশোরীকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখেন ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবু হানিফ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় আব্দুল কাদের (৫৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাইকান কুঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী শুক্রবার নিজে বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ছাত্রীকে বিয়ে করেন তিনি।
তবে বয়স কম থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকে শিক্ষক আব্দুল কাদের কিশোরীটির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি কাবিননামা রেজিস্ট্রির জন্য চাপ দিলে শিক্ষক আব্দুল কাদের ওই কিশোরীকে জোর করে বাড়িতে আটকে রাখেন ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আবু হানিফ সরকার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:১৪
খানাখন্দ, কাদা-পানি আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় পুরো টার্মিনাল, ডুবে যায় বড় বড় গর্ত।
প্রতিদিনই বাস, রিকশা, অটোরিকশা থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে এই গর্তে। যাত্রীদের নামতে হচ্ছে কাদা-পানিতে, অনেক সময় পড়তে হচ্ছে আহত হওয়ার ঝুঁকিতেও। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক এবং চালকরা।
২০০৬ সালে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে মাছিমপুর এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ টার্মিনাল নির্মাণ করে। তখন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে পড়ে অপ্রতুল।
প্রতিদিন প্রায় ১৪টি রুটে ৬ শতাধিকের বেশি বাস ও মিনিবাস এখান থেকে ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। কিন্তু ধারণক্ষমতার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে টার্মিনালে।
বাস রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার দুই পাশে সারি সারি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে, এতে যানজট ও চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে নতুন নতুন বাস চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অযাচিত চাপ পড়ছে টার্মিনালের ওপর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্মিনালে ঢোকার মুখেই রয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথায় গর্ত তা বোঝা যায় না। এতে প্রায়ই বাস আটকে যায়। ছোট যানবাহন যেমন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ছে বিপদে। যাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে কেউ নামতে গিয়ে কাদা-পানিতে ভিজে যাচ্ছেন, আবার কেউ খানাখন্দে পড়ে আহত হচ্ছেন।
স্থানীয় যাত্রী সজল শেখ বলেন, পিরোজপুরের বাইরে কোথাও যেতে গেলে এই টার্মিনালে আসতে হয়, কিন্তু অবস্থা এত খারাপ যে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় বাস থেকে নামলেই কাদা-পানিতে নেমে যেতে হয়। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
বাসচালক আবুল হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলা বাস টার্মিনাল এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে বাস রাখার ব্যবস্থা নেই, গর্তে পড়লে ক্রেন দিয়ে বা অন্য বাস দিয়ে টেনে তুলতে হয়। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের টার্মিনালটি ঠিক করে দেওয়া হোক, না হলে এখানে আর বাস রাখা যাবে না।
শ্রমিক মাহাতাব আলী বলেন, এই টার্মিনালে বাস নিয়ে ঢুকতে এবং বের হতে গেলে প্রায়ই বাসের বিভিন্ন সমস্যা হয়। চাকার ক্ষতি হয়, নিচের পাতির ক্ষতি হয়, ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় এগুলো আবার মেরামত করতে অনেক সময় লাগে। ফলে বাস বন্ধ হয়ে গেলে ইনকামও বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবহন মালিক আব্দুস সালাম খান বলেন, টার্মিনাল দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মালিক, যাত্রী ও চালকদের জন্য এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই দ্রুতই এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
১৯ বছর আগে নির্মিত হলেও এ টার্মিনালে এখনো কোনো বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। ফলে এখন এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের একটাই দাবি—দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হোক পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া শুধু খানাখন্দ মেরামত করে সমস্যার সমাধান হবে না। টার্মিনালটিকে আধুনিকায়ন, বাস পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জোন তৈরি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অতিরিক্ত বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প হিসেবে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা দরকার। নইলে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়বে।
পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছি, বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। বর্ষাকালে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পানি পেরিয়ে সড়কে ওঠে। আমরা পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি গর্তগুলো ভরাট করার জন্য। আশা করছি, দ্রুতই কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করবে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, আমরা এ বিষয়ে গত বছরে খুব স্বল্প পরিসরে কিছুটা মেরামত করেছি। পাশাপাশি কয়েকটি প্রজেক্টের জন্য স্কিম প্রেরন করেছি। আশা করি, বরাদ্দ পেলে দ্রুতই এটি মেরামতের কাজ করা হবে।
খানাখন্দ, কাদা-পানি আর অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় পুরো টার্মিনাল, ডুবে যায় বড় বড় গর্ত।
প্রতিদিনই বাস, রিকশা, অটোরিকশা থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল পর্যন্ত আটকে যাচ্ছে এই গর্তে। যাত্রীদের নামতে হচ্ছে কাদা-পানিতে, অনেক সময় পড়তে হচ্ছে আহত হওয়ার ঝুঁকিতেও। ফলে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক এবং চালকরা।
২০০৬ সালে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে মাছিমপুর এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ টার্মিনাল নির্মাণ করে। তখন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে পড়ে অপ্রতুল।
প্রতিদিন প্রায় ১৪টি রুটে ৬ শতাধিকের বেশি বাস ও মিনিবাস এখান থেকে ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে। কিন্তু ধারণক্ষমতার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে টার্মিনালে।
বাস রাখার জায়গা না থাকায় রাস্তার দুই পাশে সারি সারি বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে, এতে যানজট ও চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে নতুন নতুন বাস চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অযাচিত চাপ পড়ছে টার্মিনালের ওপর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টার্মিনালে ঢোকার মুখেই রয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় কোথায় গর্ত তা বোঝা যায় না। এতে প্রায়ই বাস আটকে যায়। ছোট যানবাহন যেমন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল পড়ছে বিপদে। যাত্রীদেরও পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে কেউ নামতে গিয়ে কাদা-পানিতে ভিজে যাচ্ছেন, আবার কেউ খানাখন্দে পড়ে আহত হচ্ছেন।
স্থানীয় যাত্রী সজল শেখ বলেন, পিরোজপুরের বাইরে কোথাও যেতে গেলে এই টার্মিনালে আসতে হয়, কিন্তু অবস্থা এত খারাপ যে ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় বাস থেকে নামলেই কাদা-পানিতে নেমে যেতে হয়। আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
বাসচালক আবুল হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলা বাস টার্মিনাল এখন ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে বাস রাখার ব্যবস্থা নেই, গর্তে পড়লে ক্রেন দিয়ে বা অন্য বাস দিয়ে টেনে তুলতে হয়। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের টার্মিনালটি ঠিক করে দেওয়া হোক, না হলে এখানে আর বাস রাখা যাবে না।
শ্রমিক মাহাতাব আলী বলেন, এই টার্মিনালে বাস নিয়ে ঢুকতে এবং বের হতে গেলে প্রায়ই বাসের বিভিন্ন সমস্যা হয়। চাকার ক্ষতি হয়, নিচের পাতির ক্ষতি হয়, ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় এগুলো আবার মেরামত করতে অনেক সময় লাগে। ফলে বাস বন্ধ হয়ে গেলে ইনকামও বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবহন মালিক আব্দুস সালাম খান বলেন, টার্মিনাল দ্রুত সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মালিক, যাত্রী ও চালকদের জন্য এটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই দ্রুতই এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
১৯ বছর আগে নির্মিত হলেও এ টার্মিনালে এখনো কোনো বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। ফলে এখন এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের একটাই দাবি—দ্রুত সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হোক পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া শুধু খানাখন্দ মেরামত করে সমস্যার সমাধান হবে না। টার্মিনালটিকে আধুনিকায়ন, বাস পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জোন তৈরি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং অতিরিক্ত বাস চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিকল্প হিসেবে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা দরকার। নইলে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়বে।
পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছি, বিশাল বিশাল গর্ত রয়েছে। বর্ষাকালে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পানি পেরিয়ে সড়কে ওঠে। আমরা পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি গর্তগুলো ভরাট করার জন্য। আশা করছি, দ্রুতই কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধান করবে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বণিক বলেন, আমরা এ বিষয়ে গত বছরে খুব স্বল্প পরিসরে কিছুটা মেরামত করেছি। পাশাপাশি কয়েকটি প্রজেক্টের জন্য স্কিম প্রেরন করেছি। আশা করি, বরাদ্দ পেলে দ্রুতই এটি মেরামতের কাজ করা হবে।
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.