
০৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২৪
রাজশাহীর তানোরে ভুয়া প্রতিবন্ধী সাজিয়ে বাবা-মা ও স্ত্রীকে কার্ড দিয়ে ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।
উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সময় এটি করেছেন। প্রতিবন্ধী কার্ড গ্রহণকারী জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পলিয়ারাও একই ইউপির সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য।
অভিযোগ উঠেছে, এই দম্পতি শুধু নিজের পরিবারের সদস্য নয়, সুস্থ ও স্বাভাবিক ৩৫ জন নারী-পুরুষকে প্রতিবন্ধী কার্ড প্রদানে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। প্রকৃত দুস্থ এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের বঞ্চিত করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
এ ঘটনায় আট নম্বর ওয়ার্ডের শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা সাদিউর রহমান ভুয়া প্রতিবন্ধী সনদ বাতিল এবং জড়িত দম্পতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সমাজসেবা অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই ইউপি সদস্য দম্পতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর তার বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম এবং স্ত্রী পলিয়ারাকে দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সাজিয়ে ভুয়া সনদ তৈরি করেছেন। অথচ তারা তিনজনই শারীরিকভাবে সুস্থ।
এ ছাড়া অভিযোগে এই তিনজনসহ আরও ১৪ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। অজ্ঞাত হিসাবে রয়েছেন আরও ১০ থেকে ১৫ জন। তারা সবাই জাহাঙ্গীর আলমের আট নম্বর ওয়ার্ড শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, যাদের প্রতিবন্ধী কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা কেউ শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধী নয়। ভুয়া তথ্য দিয়ে সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী কার্ড নিয়েছেন। এরপর তারা সরকার প্রদত্ত প্রতিবন্ধী ভাতা এবং সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম এবং তার স্ত্রী (৭, ৮ ও ৯) নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পলিয়ারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এই অনৈতিক কাজের জন্য এ দম্পতি প্রত্যেকের কাছ থেকে সাত থেকে নয় হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন।
এদিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে শিবরামপুরের সুশীল নামে শারীরিক এক প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার জন্য চার হাজার টাকা দেন। তবে তাকে কার্ড দেননি জাহাঙ্গীর। এ ধরনের প্রতারণার একটি ভিডিও দেখা গেছে। ভিডিওতে ওই আদিবাসী প্রতিবন্ধী তার সঙ্গে প্রতারণার বর্ণনা দিয়েছেন। তবে, পরে তার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জাহাঙ্গীর মেম্বার দাবি করেছেন।
অভিযোগকারী সাদিউর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর বাধাইড় ইউনিয়ন কৃষক লীগের নেতা। আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচির অসংখ্য ছবি এবং ভিডিও রয়েছে। দলীয় দাপটেই তিনি স্ত্রী এবং বাবা-মাকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছেন।
সচ্ছল ব্যক্তিদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে কার্ড দিয়ে দরিদ্র অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের বঞ্চিত করেছেন। এ ছাড়া তার স্ত্রী পলিয়ারা সাত নম্বর ওয়ার্ডের জুমারপাড়া এলাকার একটি পরিবারের চার সদস্যকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার নামে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সুশীলের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আমার মা কয়েকদিন থেকে খুবই অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমার কথা বলার সময় নেই, পরে সাক্ষাতে অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলতে পারবেন বলে গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যান তিনি। এ ছাড়া তার স্ত্রী পলিয়ারাকে ফোন দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে তানোর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হোসেন খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। অভিযোগে যে ১৭ ব্যক্তির নাম উল্লেখ রয়েছে, এর মধ্যে সাতজনের কার্ড আছে। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী এবং বাবা-মা আছেন। বাকি ১০ জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাতজনের ভাতা বন্ধ করে কয়েকদিন আগেই তাদের নোটিশ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাঈমা খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে সমাজসেবা অফিসকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইউপি সদস্য দম্পতির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহীর তানোরে ভুয়া প্রতিবন্ধী সাজিয়ে বাবা-মা ও স্ত্রীকে কার্ড দিয়ে ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।
উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সময় এটি করেছেন। প্রতিবন্ধী কার্ড গ্রহণকারী জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পলিয়ারাও একই ইউপির সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য।
অভিযোগ উঠেছে, এই দম্পতি শুধু নিজের পরিবারের সদস্য নয়, সুস্থ ও স্বাভাবিক ৩৫ জন নারী-পুরুষকে প্রতিবন্ধী কার্ড প্রদানে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। প্রকৃত দুস্থ এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের বঞ্চিত করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
এ ঘটনায় আট নম্বর ওয়ার্ডের শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা সাদিউর রহমান ভুয়া প্রতিবন্ধী সনদ বাতিল এবং জড়িত দম্পতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সমাজসেবা অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই ইউপি সদস্য দম্পতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর তার বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম এবং স্ত্রী পলিয়ারাকে দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সাজিয়ে ভুয়া সনদ তৈরি করেছেন। অথচ তারা তিনজনই শারীরিকভাবে সুস্থ।
এ ছাড়া অভিযোগে এই তিনজনসহ আরও ১৪ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। অজ্ঞাত হিসাবে রয়েছেন আরও ১০ থেকে ১৫ জন। তারা সবাই জাহাঙ্গীর আলমের আট নম্বর ওয়ার্ড শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, যাদের প্রতিবন্ধী কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা কেউ শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধী নয়। ভুয়া তথ্য দিয়ে সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী কার্ড নিয়েছেন। এরপর তারা সরকার প্রদত্ত প্রতিবন্ধী ভাতা এবং সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম এবং তার স্ত্রী (৭, ৮ ও ৯) নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পলিয়ারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এই অনৈতিক কাজের জন্য এ দম্পতি প্রত্যেকের কাছ থেকে সাত থেকে নয় হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন।
এদিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে শিবরামপুরের সুশীল নামে শারীরিক এক প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার জন্য চার হাজার টাকা দেন। তবে তাকে কার্ড দেননি জাহাঙ্গীর। এ ধরনের প্রতারণার একটি ভিডিও দেখা গেছে। ভিডিওতে ওই আদিবাসী প্রতিবন্ধী তার সঙ্গে প্রতারণার বর্ণনা দিয়েছেন। তবে, পরে তার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জাহাঙ্গীর মেম্বার দাবি করেছেন।
অভিযোগকারী সাদিউর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর বাধাইড় ইউনিয়ন কৃষক লীগের নেতা। আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচির অসংখ্য ছবি এবং ভিডিও রয়েছে। দলীয় দাপটেই তিনি স্ত্রী এবং বাবা-মাকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছেন।
সচ্ছল ব্যক্তিদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে কার্ড দিয়ে দরিদ্র অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের বঞ্চিত করেছেন। এ ছাড়া তার স্ত্রী পলিয়ারা সাত নম্বর ওয়ার্ডের জুমারপাড়া এলাকার একটি পরিবারের চার সদস্যকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার নামে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সুশীলের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আমার মা কয়েকদিন থেকে খুবই অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমার কথা বলার সময় নেই, পরে সাক্ষাতে অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলতে পারবেন বলে গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যান তিনি। এ ছাড়া তার স্ত্রী পলিয়ারাকে ফোন দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে তানোর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হোসেন খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। অভিযোগে যে ১৭ ব্যক্তির নাম উল্লেখ রয়েছে, এর মধ্যে সাতজনের কার্ড আছে। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী এবং বাবা-মা আছেন। বাকি ১০ জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাতজনের ভাতা বন্ধ করে কয়েকদিন আগেই তাদের নোটিশ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাঈমা খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে সমাজসেবা অফিসকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইউপি সদস্য দম্পতির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৬
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।
পরশুরামের চিথলিয়ায় যুবদল নেতা কাজী রবিউল হোসেন জিহাদের(৪০) বাড়ি থেকে ২১১ পিস ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিহাদ চিথলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাগলীরকুল গ্রামের কাজী জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজি চালক।
শুক্রবার(৭ নভেম্বর) রাত দুইটায় উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাগলির কুল গ্রামে জিহাদের বাড়িতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পরশুরাম থানা পুলিশ। এ সময় তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে বস্তা ভর্তি ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত থ্রি-পিস গুলো গণনা করে ২১১ পিস বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিল বলেন, যুবদলের কেউ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ভারতীয় থ্রি-পিস উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে পুলিশ।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:৩৮
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় আক্তার হোসেন নামের এক দালালকে আটক করে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দালালকে কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দালাল মো. আক্তার হোসেন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোটআলমপুর গ্রামের মো. রুহুল আমিনের ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আক্তার হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। গত বছরও জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান জরুরি বিভাগে ওই দালালকে দেখে তাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ না মেনে তর্কে জড়িয়ে ডা. মহিবুস সালামের ওপর চড়াও হন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখার জন্য আমরা হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সচেতনতামূলক প্রচারণার বিলবোর্ড টানিয়েছি। দুপুরে জরুরি বিভাগে দালাল আক্তারকে দেখে বের হতে বললে সে না গিয়ে আমার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর আক্রমণ চালায় এবং আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে আক্তার হোসেনকে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে আবার প্রবেশ করলে পুনরায় জেল দেওয়া হবে।’

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২২:১৬
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আট দিনে ১৯৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে।
এই অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য এবং দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়া, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণেও সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.