https://jamunabankbd.com/

সারাদেশ

বাবা-মা ও স্ত্রীকে ‘প্রতিবন্ধী’ বানিয়ে ভাতা তুলছেন ইউপি সদস্য

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাবা-মা ও স্ত্রীকে ‘প্রতিবন্ধী’ বানিয়ে ভাতা তুলছেন ইউপি সদস্য

রাজশাহীর তানোরে ভুয়া প্রতিবন্ধী সাজিয়ে বাবা-মা ও স্ত্রীকে কার্ড দিয়ে ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।

উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সময় এটি করেছেন। প্রতিবন্ধী কার্ড গ্রহণকারী জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পলিয়ারাও একই ইউপির সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য।

অভিযোগ উঠেছে, এই দম্পতি শুধু নিজের পরিবারের সদস্য নয়, সুস্থ ও স্বাভাবিক ৩৫ জন নারী-পুরুষকে প্রতিবন্ধী কার্ড প্রদানে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। প্রকৃত দুস্থ এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের বঞ্চিত করে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

এ ঘটনায় আট নম্বর ওয়ার্ডের শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা সাদিউর রহমান ভুয়া প্রতিবন্ধী সনদ বাতিল এবং জড়িত দম্পতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সমাজসেবা অধিদপ্তর তদন্ত শুরু করেছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই ইউপি সদস্য দম্পতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর তার বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম এবং স্ত্রী পলিয়ারাকে দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সাজিয়ে ভুয়া সনদ তৈরি করেছেন। অথচ তারা তিনজনই শারীরিকভাবে সুস্থ।

এ ছাড়া অভিযোগে এই তিনজনসহ আরও ১৪ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। অজ্ঞাত হিসাবে রয়েছেন আরও ১০ থেকে ১৫ জন। তারা সবাই জাহাঙ্গীর আলমের আট নম্বর ওয়ার্ড শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, যাদের প্রতিবন্ধী কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা কেউ শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধী নয়। ভুয়া তথ্য দিয়ে সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী কার্ড নিয়েছেন। এরপর তারা সরকার প্রদত্ত প্রতিবন্ধী ভাতা এবং সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন।

এ ঘটনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম এবং তার স্ত্রী (৭, ৮ ও ৯) নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পলিয়ারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এই অনৈতিক কাজের জন্য এ দম্পতি প্রত্যেকের কাছ থেকে সাত থেকে নয় হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন।

এদিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে শিবরামপুরের সুশীল নামে শারীরিক এক প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার জন্য চার হাজার টাকা দেন। তবে তাকে কার্ড দেননি জাহাঙ্গীর। এ ধরনের প্রতারণার একটি ভিডিও দেখা গেছে। ভিডিওতে ওই আদিবাসী প্রতিবন্ধী তার সঙ্গে প্রতারণার বর্ণনা দিয়েছেন। তবে, পরে তার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে জাহাঙ্গীর মেম্বার দাবি করেছেন।

অভিযোগকারী সাদিউর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর বাধাইড় ইউনিয়ন কৃষক লীগের নেতা। আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচির অসংখ্য ছবি এবং ভিডিও রয়েছে। দলীয় দাপটেই তিনি স্ত্রী এবং বাবা-মাকে অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছেন।

সচ্ছল ব্যক্তিদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে কার্ড দিয়ে দরিদ্র অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের বঞ্চিত করেছেন। এ ছাড়া তার স্ত্রী পলিয়ারা সাত নম্বর ওয়ার্ডের জুমারপাড়া এলাকার একটি পরিবারের চার সদস্যকে প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেওয়ার নামে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন।

অভিযোগ সম্পর্কে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সুশীলের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আমার মা কয়েকদিন থেকে খুবই অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমার কথা বলার সময় নেই, পরে সাক্ষাতে অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলতে পারবেন বলে গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যান তিনি। এ ছাড়া তার স্ত্রী পলিয়ারাকে ফোন দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে তানোর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হোসেন খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। অভিযোগে যে ১৭ ব্যক্তির নাম উল্লেখ রয়েছে, এর মধ্যে সাতজনের কার্ড আছে। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী এবং বাবা-মা আছেন। বাকি ১০ জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাতজনের ভাতা বন্ধ করে কয়েকদিন আগেই তাদের নোটিশ করেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাঈমা খান বলেন, বিষয়টি নিয়ে সমাজসেবা অফিসকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইউপি সদস্য দম্পতির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

দেশে ফিরলো ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪ বাংলাদেশি তরুণী

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

দেশে ফিরলো ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪ বাংলাদেশি তরুণী

দালালের খপ্পরে পরে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়া চার তরুণীকে আটক করার পর বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (২৬ ন‌ভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটার কেদার সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

এই চার তরুণী হলেন— পাবনা সদর থানার মালিগাছা গ্রামের আব্দুল আউয়াল মিয়ার মেয়ের আঁখি খাতুন (২০), ব্রাহ্মনবাড়িয়ার মিরপুর থানার বাঞ্চারামপুর গ্রামের হাবিব মিয়ার মেয়ে আদিবা আকতার (২৩),নেত্রকোনার দূর্গাপুর থানার বাওয়ই পাড়ার নাছির উদ্দিনের মেয়ে শিরিনা আকতার (২৬), শরিয়তপুরের নড়িয়া থানার লুংসিং গ্রামের হিরু সরদারের মেয়ে তাসমিয়া আকতার (১৮)।

পতাকা বৈঠক এবং তরুণীদের হস্তান্তরের তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী।

এই চার তরুণী ঢাকার বাড্ডা থানার নুতুন বাজার এলাকায় একটি বাসায় ভারা থাকতেন। তাদের তিনজন একটি বিউটি পার্লারে এবং অপর একজন একটি তৈরি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন।

আঁখি আকতার জানান, তাদের পূর্বপরিচিত জান্নাত নামের এক নারীর প্রলোভনে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর সিলেটের জাফলং সীমান্ত পার হন। সীমান্তের ওপারে তাদের জন্য একটি প্রাইভেট কার অপেক্ষা করছিলো। সেই কারে উঠে তারা আসামের রাজধানী গুয়াহাটি পৌছান। ২৩ নভেম্বর পুলিশ তাদের আটক করে।

আঁখি বলেন, “আমরা উন্নত জীবন আর ভালো কাজ লোভে পড়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলাম। আমরা ভুল করেছিলাম।”

পরে বুধবার (২৬ নভেম্বর) কচাকাটা সীমান্তের মেইন পিলার ১০১৫-এর কাছে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন হাবিলদার শাহজাহান আলী, আর বিএসএফের পক্ষ থেকে ছিলেন ইনস্পেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়ন এর কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চার যুবতীকে বিজিবির জিম্মায় নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় তাদেরকে কচাকাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) লুৎফর রহমান বলেন, “চারজন বাংলাদেশি নারী ভারতে আটক হওয়ার পর ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা কেদার বিওপির বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে তাদের ফেরত পাঠায়। পরে বিজিবি সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের থানায় হস্তান্তর করেছেন। আমরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্বজনরা এসে নিয়ম মেনে জিম্মায় নিয়ে যাবেন।”

প্রাথমিকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু, বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে সংশয়

বরিশালটাইমস

বরিশালটাইমস

২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:২৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

প্রাথমিকে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু, বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে সংশয়

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না করায় এবার ‘লাগাতার’ কর্মবিরতির শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে বার্ষিক পরীক্ষাও বর্জন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।

‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ লাগাতার এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির পাঁচজন আহ্বায়কের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আহ্বায়করা হলেন- মো. আবুল কাশেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি, মু. মাহবুবুর রহমান, মো. আনোয়ার উল্যা।

পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আজ থেকে আমাদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না করে শিক্ষকরা কেউ কাজে যোগ দেবেন না। আমরা মনে করি, এ আন্দোলন প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদার লড়াই। আমরা চাই, সরকার গত ১২ নভেম্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা দ্রুত প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হোক।

দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। কিন্তু সরকার আপাতত আমাদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার আশ্বাস দিয়েছে৷ পরবর্তীতে তা দশম গ্রেডে উন্নীত করা হবে। এছাড়া পদোন্নতি ও স্কেল বিষয়ে আমাদের দুটি দাবি রয়েছে। সেগুলোও পূরণ করতেই হবে।

এর আগে গত ২৫ নভেম্বর থেকে তিনদিনের কর্মবিরতির ডাক দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’। তাদের ডাকা কর্মবিরতি চলছে। এর মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিলো।

এদিকে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। শিক্ষকদের এ কর্মবিরতিতে বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১ কোটি শিশুশিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। আর শিক্ষক রয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সম্প্রতি দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। আর সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেড পাচ্ছেন। এ নিয়ে অসন্তুষ্ট সহকারী শিক্ষকরা।

বাজারে মিলছে কাঁচা আম, কেজি ৫০০

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাজারে মিলছে কাঁচা আম, কেজি ৫০০

বছরের গ্রীষ্ম শুরু হলেই সাধারণত বাজারে কাঁচা আমের দেখা মেলে। তবে এবারে ব্যতিক্রম। শীতের শুরুতেই কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে কাঁচা আম। বাজারে নতুন মৌসুমি ফলের প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি আকর্ষণের কারণে দামও চড়া।

মানভেদে কাঁচা আমের কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত জুন মাসের শুরুতে টেকনাফে কাঁচা আম বাজারে আসে। কিন্তু এবার কয়েক মাস আগেই বাজারে আম পাওয়া যাচ্ছে। সরবরাহ কম ও আগাম মৌসুম হওয়ায় দামে কিছুটা বৃদ্ধি দেখা গেছে।

তাদের মতে, নতুন কোনো ফল বা পণ্য বাজারে এলে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি থাকে। কাঁচা আমের ক্ষেত্রেও তেমনটাই দেখা যাচ্ছে। চাহিদা বেশি থাকলেও সরবরাহ কম হওয়ায় দাম স্বাভাবিকভাবেই বেশি।

টেকনাফের আম ব্যবসায়ী আব্দুল মোনাফ বলেন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে আনা এসব আম আগাম জাতের।

বাড়তি দাম পাওয়ার আশায় আঁটি হওয়ার আগেই আম পাড়ছেন চাষিরা। তিনি বলেন, বৈশাখের পর সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) টেকনাফ পৌরসভার বাজারে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা কাঁচা আম কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। দরদাম করলে কিছু দোকানে ৪৫০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা আম বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এখন যে আম বাজারে আছে, তা সবার জন্য নয়। এক শ্রেণির ক্রেতা শখ করে কিনছেন। বেশির ভাগই মেয়েদের জন্য নিচ্ছেন কেউ স্ত্রী, কেউ বোন বা বান্ধবীর জন্য। এখন বাজারে যে আম এসেছে তা বিশেষভাবে কাঁচা বিক্রির জন্যই চাষ করা হয়েছে। শিগগিরই সব ধরনের কাঁচা আম আসবে এবং দামও কমবে।’

ক্রেতা আব্দুল রায়হান শখ করে আম কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘এত আগে কাঁচা আম দেখে অবাক হয়েছি, তাই ছবি তুলে স্ত্রীকে পাঠালাম। সঙ্গে সঙ্গে সে বলল, দাম যা-ই হোক নিয়ে আসতে। আসলে মেয়েদের আমের প্রতি আকর্ষণ একটু আলাদা।’

তবে সবার পক্ষে এখন এই দাম বহন করা সম্ভব নয়। এনজিওকর্মী রাফিয়া সোলতানা মিম বলেন, ‘আগাম আম দেখে ভালো লাগল। কিন্তু দাম এত বেশি যে এখন কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। যাদের সামর্থ্য আছে তারাই কিনছে। কয়েক দিন পর দাম কমলে খাব।’

কৃষিবিদদের মতে, দেশের মধ্যে টেকনাফই একমাত্র এলাকা যেখানে বিশেষ আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে আগাম আম আসে। তারা জানান, টেকনাফের কয়েকটি গ্রামে এমন জলবায়ু আছে, যা শীতের শুরুতেই আম আসতে সহায়তা করে। তাদের গবেষণায় দেখা যায়, একই জাতের বীজ গাজীপুরে রোপণ করার পরও একই ফলন পাওয়া যায়নি। গাজীপুরে আম স্বাভাবিক মৌসুমেই ধরেছে, তবে টেকনাফে এসেছে আগাম।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, ‘দুই বছর আগে আগাম আম ফলন নিয়ে গবেষণা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, টেকনাফের কিছু এলাকার আবহাওয়ার কারণেই আম আগেভাগে ফল দিতে পারে। অন্যত্র একই ফলন পাওয়া যায় না।’

আগাম কাঁচা আমের আগমনে টেকনাফের বাজারে এখন উৎসবের আমেজ, তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতাই অপেক্ষায় রয়েছেন সরবরাহ বাড়লেই তারা উপভোগ করবেন মৌসুমের প্রথম আমের স্বাদ।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.