২৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:১৬
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শ্বশুরকে অপহরণ করে হত্যা এবং লাশ গুমের ঘটনায় জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত অখিল হালদার মন্টুর লাশ উদ্ধার করে শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত অখিল হালদার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দের আঁক গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় একজন দুধ ব্যবসায়ী। নিহতের মেয়ে জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাকাই গ্রামের কানাই বাড়ৈর ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে দুই বছর আগে বাবা-মায়ের অমতে কৃষ্ণ বাড়ৈকে বিয়ে করেন নিহত অখিল হালদার মন্টুর মেয়ে আঁখি হালদার। প্রথমে আঁখির পরিবার প্রেমের ওই বিয়ে মেনে নেয়নি।
পরবর্তীতে বিয়ে মেনে নিলেও কিছুদিন পর থেকে টাকার জন্য আঁখিকে মারধর করতো স্বামী কৃষ্ণ বাড়ৈ। বিষয়টি পারিবারিকভাবে কয়েকবার সমাধান করা হলেও কৃষ্ণের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
সম্প্রতি কৃষ্ণকে বিদেশ পাঠানোর জন্য তার বাবা কানাই বাড়ৈ ১ লাখ টাকা ছেলের শ্বশুর অখিল হালদারকে দেন। পরে বিদেশ না যাওয়ায় ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকি টাকা দিয়ে কৃষ্ণকে ভ্যান কিনে দেওয়ার কথা হয়।
যা নিয়ে পরবর্তীতে শ্বশুর ও জামাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে বাকি টাকাও ফেরত দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে ভ্যান গাড়ি কেনার জন্য জামাই-শ্বশুর একত্রে বাড়ি থেকে বের হন।
তবে স্থানীয়রা জানান, অখিল হালদার মন্টু বুধবার দুপুরে দুধ বিক্রি করতে গৈলা বাজারে যান। দুধ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে আগৈলঝাড়ার রাজিহার বাজারের ওয়াপদা সড়কে আসলে শ্বশুর মন্টুকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈ। ২০ আগস্ট বাড়িতে না ফেরায় পরের দিন ২১ আগস্ট মন্টুর স্ত্রী বিউটি হালদার আগৈলঝাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অলিউল ইসলাম জানান, সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে প্রাথমিক তদন্তে নামে পুলিশ। আর তদন্তের শুরুতেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ তথ্য-প্রযুক্তির বিভিন্ন আলামতে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মেয়ে জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈকে সন্দেহ হয় পুলিশের।
পরে ২২ আগস্ট তাকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে শ্বশুর মন্টুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। সেইসঙ্গে আটক কৃষ্ণ বাড়ৈই হত্যার পুরো ঘটনা বর্ণনা শেষে যেখানে লাশ গুম করেছে সেখানে নিয়ে যায় এবং তার দেখানো জায়গা রাজিহার ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রামের সড়কের পাশে খালের কচুরিপানার নিচ থেকে শুক্রবার দিবাগত রাতে মন্টুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে মামলায় নিহতের মেয়ে জামাতা কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে শ্বশুরকে হত্যার পর তার ভ্যান ও ৫টি দুধের কলস নিয়ে জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈ মাদারীপুর সদরে গিয়ে বিক্রি করে দেন। যা উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী বিউটি হালদার বলেন, আমার স্বামীর অমতে প্রায় দুই বছর পূর্বে মেয়ে আঁখি হালদার কৃষ্ণ বাড়ৈকে বিয়ে করায় প্রথম থেকেই অশান্তি শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে জামাই আমাদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। যার সূত্র ধরেই তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে।
এদিকে অভিযুক্ত জামাই কৃষ্ণ জানান, শ্বশুরের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষোভের কারণেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় শ্বশুর অখিলকে। অপরদিকে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করা অভিযুক্ত কৃষ্ণের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার-পরিজন। এমনকি ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন অভিযুক্ত কৃষ্ণের স্ত্রী আঁখিও।
এলাকাবাসী জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাভীর দুধ সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে পাইকারি দিতেন নিহত অখিল হালদার। কারো সাথে কখনো কোনো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়নি তার। তবে জামাই মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায় সময়ই খারাপ আচরণ করতো শ্বশুর-শাশুড়ির উপর। এরই ধারাবাহিকতায় এই হত্যাকাণ্ড।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শ্বশুরকে অপহরণ করে হত্যা এবং লাশ গুমের ঘটনায় জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত অখিল হালদার মন্টুর লাশ উদ্ধার করে শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত অখিল হালদার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দের আঁক গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় একজন দুধ ব্যবসায়ী। নিহতের মেয়ে জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাকাই গ্রামের কানাই বাড়ৈর ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে দুই বছর আগে বাবা-মায়ের অমতে কৃষ্ণ বাড়ৈকে বিয়ে করেন নিহত অখিল হালদার মন্টুর মেয়ে আঁখি হালদার। প্রথমে আঁখির পরিবার প্রেমের ওই বিয়ে মেনে নেয়নি।
পরবর্তীতে বিয়ে মেনে নিলেও কিছুদিন পর থেকে টাকার জন্য আঁখিকে মারধর করতো স্বামী কৃষ্ণ বাড়ৈ। বিষয়টি পারিবারিকভাবে কয়েকবার সমাধান করা হলেও কৃষ্ণের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
সম্প্রতি কৃষ্ণকে বিদেশ পাঠানোর জন্য তার বাবা কানাই বাড়ৈ ১ লাখ টাকা ছেলের শ্বশুর অখিল হালদারকে দেন। পরে বিদেশ না যাওয়ায় ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকি টাকা দিয়ে কৃষ্ণকে ভ্যান কিনে দেওয়ার কথা হয়।
যা নিয়ে পরবর্তীতে শ্বশুর ও জামাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে বাকি টাকাও ফেরত দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে ভ্যান গাড়ি কেনার জন্য জামাই-শ্বশুর একত্রে বাড়ি থেকে বের হন।
তবে স্থানীয়রা জানান, অখিল হালদার মন্টু বুধবার দুপুরে দুধ বিক্রি করতে গৈলা বাজারে যান। দুধ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে আগৈলঝাড়ার রাজিহার বাজারের ওয়াপদা সড়কে আসলে শ্বশুর মন্টুকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈ। ২০ আগস্ট বাড়িতে না ফেরায় পরের দিন ২১ আগস্ট মন্টুর স্ত্রী বিউটি হালদার আগৈলঝাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অলিউল ইসলাম জানান, সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে প্রাথমিক তদন্তে নামে পুলিশ। আর তদন্তের শুরুতেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ তথ্য-প্রযুক্তির বিভিন্ন আলামতে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মেয়ে জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈকে সন্দেহ হয় পুলিশের।
পরে ২২ আগস্ট তাকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে শ্বশুর মন্টুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। সেইসঙ্গে আটক কৃষ্ণ বাড়ৈই হত্যার পুরো ঘটনা বর্ণনা শেষে যেখানে লাশ গুম করেছে সেখানে নিয়ে যায় এবং তার দেখানো জায়গা রাজিহার ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রামের সড়কের পাশে খালের কচুরিপানার নিচ থেকে শুক্রবার দিবাগত রাতে মন্টুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে মামলায় নিহতের মেয়ে জামাতা কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে শ্বশুরকে হত্যার পর তার ভ্যান ও ৫টি দুধের কলস নিয়ে জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈ মাদারীপুর সদরে গিয়ে বিক্রি করে দেন। যা উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী বিউটি হালদার বলেন, আমার স্বামীর অমতে প্রায় দুই বছর পূর্বে মেয়ে আঁখি হালদার কৃষ্ণ বাড়ৈকে বিয়ে করায় প্রথম থেকেই অশান্তি শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে জামাই আমাদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। যার সূত্র ধরেই তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে।
এদিকে অভিযুক্ত জামাই কৃষ্ণ জানান, শ্বশুরের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষোভের কারণেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় শ্বশুর অখিলকে। অপরদিকে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করা অভিযুক্ত কৃষ্ণের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার-পরিজন। এমনকি ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন অভিযুক্ত কৃষ্ণের স্ত্রী আঁখিও।
এলাকাবাসী জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাভীর দুধ সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে পাইকারি দিতেন নিহত অখিল হালদার। কারো সাথে কখনো কোনো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়নি তার। তবে জামাই মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায় সময়ই খারাপ আচরণ করতো শ্বশুর-শাশুড়ির উপর। এরই ধারাবাহিকতায় এই হত্যাকাণ্ড।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪১
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.