Bkash

বরিশাল

বরিশালে শ্বশুরকে হত্যার পর লাশ গুম, ঘাতক জামাই গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৩ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:১৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে শ্বশুরকে হত্যার পর লাশ গুম, ঘাতক জামাই গ্রেপ্তার

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শ্বশুরকে অপহরণ করে হত্যা এবং লাশ গুমের ঘটনায় জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত অখিল হালদার মন্টুর লাশ উদ্ধার করে শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত অখিল হালদার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দের আঁক গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় একজন দুধ ব্যবসায়ী। নিহতের মেয়ে জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাকাই গ্রামের কানাই বাড়ৈর ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে দুই বছর আগে বাবা-মায়ের অমতে কৃষ্ণ বাড়ৈকে বিয়ে করেন নিহত অখিল হালদার মন্টুর মেয়ে আঁখি হালদার। প্রথমে আঁখির পরিবার প্রেমের ওই বিয়ে মেনে নেয়নি।

পরবর্তীতে বিয়ে মেনে নিলেও কিছুদিন পর থেকে টাকার জন্য আঁখিকে মারধর করতো স্বামী কৃষ্ণ বাড়ৈ। বিষয়টি পারিবারিকভাবে কয়েকবার সমাধান করা হলেও কৃষ্ণের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

সম্প্রতি কৃষ্ণকে বিদেশ পাঠানোর জন্য তার বাবা কানাই বাড়ৈ ১ লাখ টাকা ছেলের শ্বশুর অখিল হালদারকে দেন। পরে বিদেশ না যাওয়ায় ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকি টাকা দিয়ে কৃষ্ণকে ভ্যান কিনে দেওয়ার কথা হয়।

যা নিয়ে পরবর্তীতে শ্বশুর ও জামাইয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে বাকি টাকাও ফেরত দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে ভ্যান গাড়ি কেনার জন্য জামাই-শ্বশুর একত্রে বাড়ি থেকে বের হন।

তবে স্থানীয়রা জানান, অখিল হালদার মন্টু বুধবার দুপুরে দুধ বিক্রি করতে গৈলা বাজারে যান। দুধ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে আগৈলঝাড়ার রাজিহার বাজারের ওয়াপদা সড়কে আসলে শ্বশুর মন্টুকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈ। ২০ আগস্ট বাড়িতে না ফেরায় পরের দিন ২১ আগস্ট মন্টুর স্ত্রী বিউটি হালদার আগৈলঝাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. অলিউল ইসলাম জানান, সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে প্রাথমিক তদন্তে নামে পুলিশ। আর তদন্তের শুরুতেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ তথ্য-প্রযুক্তির বিভিন্ন আলামতে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মেয়ে জামাতা কৃষ্ণ বাড়ৈকে সন্দেহ হয় পুলিশের।  

পরে ২২ আগস্ট তাকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে শ্বশুর মন্টুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। সেইসঙ্গে আটক কৃষ্ণ বাড়ৈই হত্যার পুরো ঘটনা বর্ণনা শেষে যেখানে লাশ গুম করেছে সেখানে নিয়ে যায় এবং তার দেখানো জায়গা রাজিহার ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রামের সড়কের পাশে খালের কচুরিপানার নিচ থেকে শুক্রবার দিবাগত রাতে মন্টুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

ওসি বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে মামলায় নিহতের মেয়ে জামাতা কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে শ্বশুরকে হত্যার পর তার ভ্যান ও ৫টি দুধের কলস নিয়ে জামাই কৃষ্ণ বাড়ৈ মাদারীপুর সদরে গিয়ে বিক্রি করে দেন। যা উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী বিউটি হালদার বলেন, আমার স্বামীর অমতে প্রায় দুই বছর পূর্বে মেয়ে আঁখি হালদার কৃষ্ণ বাড়ৈকে বিয়ে করায় প্রথম থেকেই অশান্তি শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে জামাই আমাদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল। যার সূত্র ধরেই তাকে অপহরণ করে হত্যা করেছে।

এদিকে অভিযুক্ত জামাই কৃষ্ণ জানান, শ্বশুরের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষোভের কারণেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় শ্বশুর অখিলকে। অপরদিকে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করা অভিযুক্ত কৃষ্ণের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার-পরিজন। এমনকি ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন অভিযুক্ত কৃষ্ণের স্ত্রী আঁখিও।

এলাকাবাসী জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাভীর দুধ সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে পাইকারি দিতেন নিহত অখিল হালদার। কারো সাথে কখনো কোনো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়নি তার। তবে জামাই মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায় সময়ই খারাপ আচরণ করতো শ্বশুর-শাশুড়ির উপর। এরই ধারাবাহিকতায় এই হত্যাকাণ্ড।

আরও পড়ুন:

বরিশালে রাতের আঁধারে সরকারি গাছ কাটার সময় জব্দ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:২৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে রাতের আঁধারে সরকারি গাছ কাটার সময় জব্দ

রাতের আঁধারে সরকারি রাস্তার পাশের লাখ টাকা মূল্যের একাধিক গাছ কেটে নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেছে।

বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন গাছ কাটার শ্রমিকদের নিয়ে এসব গাছ কাটছিলেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার টরকী বন্দরের ছাগলহাট সংলগ্ন হাজী বাবুল হোসেনের বাড়ির সামনের সরকারি সড়কের পাশের বিভিন্ন প্রজাতের সাতটি গাছ লোকজন নিয়ে কাটতে থাকেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন।

স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটা বন্ধসহ কর্তনকৃত গাছ জব্দ করেন। বাড়ির মালিক হাজী বাবুল হোসেন বলেন, গাছগুলো উপড়ে আমার বাড়ির ক্ষতি হতে পারে ভেবে গাছগুলো কেটে নেয়ার জন্য অতিসম্প্রতি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে কেবা কারা গাছ কাটছে তা আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি।

পরে জানতে পারি, আমার আত্মীয় রোকনুজ্জামান রোকন লোকজন নিয়ে গাছ কাটছে। তিনি (রোকন) নাকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরি বলেন, আমার কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। যার যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবেদনপত্রটি উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, অনুমতি ছাড়া রাতের আধাঁরে গাছ কাটার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, রাতে ইউএনও স্যারের ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ ও কর্তনকৃত গাছের অংশ জব্দ করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ঘটনায় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আমার নিকট আত্মীয় হাজী বাবুল হোসেন গাছ কাটার জন্য আবেদন করেছেন। আমি ভেবেছি তিনি অনুমতি পেয়েছেন। যেকারণেই শ্রমিক নিয়ে গাছগুলো কাটা হচ্ছিলো।

পরবর্তীতে ইউএনও স্যারের নির্দেশে থানা পুলিশ বাঁধা দেয়ার পর থেকে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। এখন ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা সেই অনুযায়ী অগ্রসর হবো।

সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন ঢাকা বার কাউন্সিলের সেকশন অফিসার অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন

রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া

রাহাদ সুমন, বানারীপাড়া

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৪৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন ঢাকা বার কাউন্সিলের সেকশন অফিসার অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন

ঢাকা বার কাউন্সিলের সেকশন অফিসার ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর হোসেন (৫২) আর নেই। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন ( ইন্না.....রাজিউন)।

সম্প্রতি তার দাঁত তোলার পরে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে টনসিলে সমস্যা হওয়াসহ তিনি ডায়বেটিস রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি মা,স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

মরহুম অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠী ইউনিয়নের উদয়কাঠী গ্রামের প্রয়াত পল্লী চিকিৎসক মো. জয়নুল আবেদীনের ছেলে। ওই দিন (শনিবার) বাদ আসর ঢাকার মধ্য বাড্ডা আদর্শনগর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে পূর্ব বাড্ডা গোরস্থানে তার মরদেহ চির নিন্দ্রায় শায়িত করা হয়।

 এদিকে সদালপী,মিষ্টভাষী, হাসোজ্জ্বল মেধাবী আইনজীবী আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ,সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

বরিশালে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকের ওপর হামলা, তিনজন গ্রেপ্তার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকের ওপর হামলা, তিনজন গ্রেপ্তার

বরিশালের বাকেরগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বাকেরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি মো. ইমরান খান সালাম। ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিকেলে উপজেলা চত্বরের কৃষি অফিসের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওএমএস (খোলা বাজারে চাল বিক্রি) ডিলার রুহুল নিকারী সরকারি নিয়ম মেনে চাল বিতরণ না করে গোপনে তা বাজারজাত করে আসছিলেন।

এই অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিতে সাংবাদিক ইমরান খান সালামের ওপর হামলা চালায় এবং তাকে বেধড়ক মারধর করে। এসময় স্থানীয় লোকজন আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে রুহুল নিকারী, সবুজ নিকারী ও আবুবক্কর নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে সকল হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.