
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:২১
পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীর বাতির খাল এলাকায় সারি সারি নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল পেতে রেখেছেন একদল অসাধু জেলেরা। শুধু তেঁতুলিয়া নদীর বাতির খাল এলাকা নয়, চন্দ্রদ্বীপের খানকা , নিমদীর চর ও ধুলিয়া পয়েন্টে শত শত নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল পেতে রেখেছেন কতিপয় জেলেরা। এযেনো তেঁতুলিয়া নদী জুড়ে নিষিদ্ধ জালের ছড়াছড়ি।
এসব জালের ফাঁস অত্যন্ত সূক্ষ হওয়ায় নদীর মাছ, রেনু ও ডিম সহ বিভিন্ন জলজ প্রাণি আটকে যায়। জেলেরা মাছ বিক্রি করলেও রেনু ও ডিম ধ্বংস করে ফেলছেন। এতে নদী ভাঙন বৃদ্ধি সহ জীব ও বৈচত্রি হুমকিতে পড়েছেন।
সম্প্রতি কয়েক দফায় সরেজমিনে তেঁতুলিয়া নদী ঘুরে দেখা যায়, বাতির খাল পয়েন্টে নদী প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২৫ থেকে ৩০ অবৈধ বেহুন্দি জাল পেতে রাখা হয়েছে।
নদীর ওপর পাশে দক্ষিণ চরওয়াডেল, চরনিমদী ও ধুলিয়া লঞ্চ পয়েন্ট শতাধিক বেহুনি জাল পেতে রাখা হয়েছে। জোয়ারের সময় সাগর থেকে বিভিন্ন মাছ নদীতে চলে এসে। ভাটার পানিতে এসব মাছ আবার সাগরে নেমে যায়।
সেই সময় একদল অসাধু জেলেরা সূক্ষ ফাঁসের বেহুন্দি জাল নদী জুড়ে পেতে রাখেন। এতে ছোট বড় মাছ সহ মাছের রেনু, ডিম ও বিভিন্ন জলজ প্রাণি আটকে যায়। জেলেরা মাছ সংরক্ষণ করলেও রেনু ডিম ও জলজ প্রাণি গুলো ধ্বংস করে ফেলেন।
আইন মেনে তেঁতুলিয়ায় মাছ শিকার করা জেলেরা জানান, বেহুদি জাল দিয়ে পানি ছাড়া সব আটকে যায়। সকল প্রজাতির মাছ, রেনু পোনা, ডিম , পোকা মাড়ক সহ বিভিন্ন জলজ প্রাণি আটকে মারা পড়ছেন। সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
এসব জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। তবে একদল অসাধু জেলে ও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা প্রশাসন ম্যানেজ করে এ জাল দিয়ে অবাধে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করছেন। মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযানে নামে প্রশাসন।
তবে বেহুন্দি জালের জব্দ বা বন্ধের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেন না। কিছু বেড় জাল, চায়না জাল জব্দ করেই অভিযান শেষ করেন। চন্দ্রদ্বীপের জেলে মো. বাবুল বলেন, আমরা সরকারের আইন মেনে নদী ও সাগরে মাছ ধরি।
কিন্তু একদল নামধারী জেলে শুধু অবৈধ বেহুন্দি জাল, বেড় জাল, কারেন্ট জাল সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ছোট মাছ ধ্বংস করছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে এই জেলে বলেন, প্রতিমাসে নৌ পুলিশকে মাসোয়রা দিয়ে বিনা বাধায় তেঁতুলিয়া নদীর মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করছেন এক শ্রেণির নামধারী জেলেরা। এতে করে দিনদিন তেঁতুলিয়া নদীর মাছ কমে যাচ্ছ।
প্রকৃত জেলেরা আগের মত মাছ পায় না। যে মাছ পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। স্থানীয় আরেক জেলে মো. সেলিম বলেন, কয়েক জন প্রভাবশালী ব্যক্তি এই তেঁতুলিয়া নদীকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছেন। আমরা নিয়ম মেনে নদীতে মাছ ধরতে নামি, কিন্তু নদীতে তো আর মাছ নেই।
সবই ওদের বাঁধা জালে আটকা পড়ে। আমাদের ঘরে চুলা জ্বলে না, অথচ ওরা লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছে। চরমিয়াজান গ্রামের জেলে হাবিব মাঝি বলেন,‘ প্রশাসন সব জানে, কিন্তু কিছুই করে না।
প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই প্রকাশ্য রেনু পোনা ডিম ধ্বংস করা হচ্চে। যে কারণে নদীতে মাছ কমে যাচ্ছে। বাউফলে পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম নেতা এম. এ বাশার বলেন, বাঁধা জাল শুধু মাছের প্রজনন ধ্বংস করছেনা, নদীর পরিবেশ ও জীব বৈচিত্রের ওপর ভয়াবহ বিপর্যয় নামিয়ে আনছে।
এখনো যদি এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তেঁতুলিয়া নদী মাছ শূণ্য হয়ে পড়বে। এবিষয়ে উপজেলা মৎস্য বিভাগের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। অল্প সংখ্যক লোকবল নিয়ে অভিযান চালানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। তার পরেও আমি দুই এক দিনের মধ্যেই অভিযানে নামবো।
কালাইয়া বন্দর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আল মামুন বলেন, আমি ছুটিতে আছি। বর্তমানে ফাড়ির দায়িত্বে যিনি আছেন তার সঙ্গে কথা বলুন। ফাড়ির দায়িত্বে থাকা এস আই আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মাসোয়ারা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। আমরা প্রায়ই অভিযান চালাই। তবে লোকবল সংকটের কারণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।
পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীর বাতির খাল এলাকায় সারি সারি নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল পেতে রেখেছেন একদল অসাধু জেলেরা। শুধু তেঁতুলিয়া নদীর বাতির খাল এলাকা নয়, চন্দ্রদ্বীপের খানকা , নিমদীর চর ও ধুলিয়া পয়েন্টে শত শত নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল পেতে রেখেছেন কতিপয় জেলেরা। এযেনো তেঁতুলিয়া নদী জুড়ে নিষিদ্ধ জালের ছড়াছড়ি।
এসব জালের ফাঁস অত্যন্ত সূক্ষ হওয়ায় নদীর মাছ, রেনু ও ডিম সহ বিভিন্ন জলজ প্রাণি আটকে যায়। জেলেরা মাছ বিক্রি করলেও রেনু ও ডিম ধ্বংস করে ফেলছেন। এতে নদী ভাঙন বৃদ্ধি সহ জীব ও বৈচত্রি হুমকিতে পড়েছেন।
সম্প্রতি কয়েক দফায় সরেজমিনে তেঁতুলিয়া নদী ঘুরে দেখা যায়, বাতির খাল পয়েন্টে নদী প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ২৫ থেকে ৩০ অবৈধ বেহুন্দি জাল পেতে রাখা হয়েছে।
নদীর ওপর পাশে দক্ষিণ চরওয়াডেল, চরনিমদী ও ধুলিয়া লঞ্চ পয়েন্ট শতাধিক বেহুনি জাল পেতে রাখা হয়েছে। জোয়ারের সময় সাগর থেকে বিভিন্ন মাছ নদীতে চলে এসে। ভাটার পানিতে এসব মাছ আবার সাগরে নেমে যায়।
সেই সময় একদল অসাধু জেলেরা সূক্ষ ফাঁসের বেহুন্দি জাল নদী জুড়ে পেতে রাখেন। এতে ছোট বড় মাছ সহ মাছের রেনু, ডিম ও বিভিন্ন জলজ প্রাণি আটকে যায়। জেলেরা মাছ সংরক্ষণ করলেও রেনু ডিম ও জলজ প্রাণি গুলো ধ্বংস করে ফেলেন।
আইন মেনে তেঁতুলিয়ায় মাছ শিকার করা জেলেরা জানান, বেহুদি জাল দিয়ে পানি ছাড়া সব আটকে যায়। সকল প্রজাতির মাছ, রেনু পোনা, ডিম , পোকা মাড়ক সহ বিভিন্ন জলজ প্রাণি আটকে মারা পড়ছেন। সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
এসব জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। তবে একদল অসাধু জেলে ও স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা প্রশাসন ম্যানেজ করে এ জাল দিয়ে অবাধে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করছেন। মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযানে নামে প্রশাসন।
তবে বেহুন্দি জালের জব্দ বা বন্ধের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেন না। কিছু বেড় জাল, চায়না জাল জব্দ করেই অভিযান শেষ করেন। চন্দ্রদ্বীপের জেলে মো. বাবুল বলেন, আমরা সরকারের আইন মেনে নদী ও সাগরে মাছ ধরি।
কিন্তু একদল নামধারী জেলে শুধু অবৈধ বেহুন্দি জাল, বেড় জাল, কারেন্ট জাল সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল দিয়ে ছোট মাছ ধ্বংস করছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে এই জেলে বলেন, প্রতিমাসে নৌ পুলিশকে মাসোয়রা দিয়ে বিনা বাধায় তেঁতুলিয়া নদীর মৎস্য সম্পদ ধ্বংস করছেন এক শ্রেণির নামধারী জেলেরা। এতে করে দিনদিন তেঁতুলিয়া নদীর মাছ কমে যাচ্ছ।
প্রকৃত জেলেরা আগের মত মাছ পায় না। যে মাছ পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। স্থানীয় আরেক জেলে মো. সেলিম বলেন, কয়েক জন প্রভাবশালী ব্যক্তি এই তেঁতুলিয়া নদীকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছেন। আমরা নিয়ম মেনে নদীতে মাছ ধরতে নামি, কিন্তু নদীতে তো আর মাছ নেই।
সবই ওদের বাঁধা জালে আটকা পড়ে। আমাদের ঘরে চুলা জ্বলে না, অথচ ওরা লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছে। চরমিয়াজান গ্রামের জেলে হাবিব মাঝি বলেন,‘ প্রশাসন সব জানে, কিন্তু কিছুই করে না।
প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই প্রকাশ্য রেনু পোনা ডিম ধ্বংস করা হচ্চে। যে কারণে নদীতে মাছ কমে যাচ্ছে। বাউফলে পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম নেতা এম. এ বাশার বলেন, বাঁধা জাল শুধু মাছের প্রজনন ধ্বংস করছেনা, নদীর পরিবেশ ও জীব বৈচিত্রের ওপর ভয়াবহ বিপর্যয় নামিয়ে আনছে।
এখনো যদি এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তেঁতুলিয়া নদী মাছ শূণ্য হয়ে পড়বে। এবিষয়ে উপজেলা মৎস্য বিভাগের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। অল্প সংখ্যক লোকবল নিয়ে অভিযান চালানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে। তার পরেও আমি দুই এক দিনের মধ্যেই অভিযানে নামবো।
কালাইয়া বন্দর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আল মামুন বলেন, আমি ছুটিতে আছি। বর্তমানে ফাড়ির দায়িত্বে যিনি আছেন তার সঙ্গে কথা বলুন। ফাড়ির দায়িত্বে থাকা এস আই আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মাসোয়ারা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। আমরা প্রায়ই অভিযান চালাই। তবে লোকবল সংকটের কারণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:১৬
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৫২
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৭:৩৫

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৬
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জন্য দুই দলের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করছে। তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কপালভেড়া বাজারে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা না করা এবং এখান থেকে গণধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নূর নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গলাচিপা থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, কপালভেড়া বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো পুরোপুরি জানি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। সবাইকে শান্ত ও শৃঙ্খলাপূর্ণ থাকতে হবে।
এর আগেও দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারাও ঘোষণা করা হয়।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জন্য দুই দলের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করছে। তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে বিরোধ থেকে এ সংঘর্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কপালভেড়া বাজারে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা না করা এবং এখান থেকে গণধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নূর নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গলাচিপা থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, কপালভেড়া বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো পুরোপুরি জানি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। সবাইকে শান্ত ও শৃঙ্খলাপূর্ণ থাকতে হবে।
এর আগেও দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারাও ঘোষণা করা হয়।

০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩৬
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ও বিএসসি ইন অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি (অনার্স) দুটি পৃথক ডিগ্রি বাতিল করে ‘বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি’ নামে নতুন এক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
জানা যায়, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি ফওজে আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চে গত বুধবার (৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেওয়া হয়। আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগামী রবিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য রুল জারি করেছেন। আগামী রবিবার রিট খারিজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে যাচ্ছে।
রিট আবেদন করেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আমির হামজা আসিফসহ ক্ষতিগ্রস্ত আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. বদরুদ্দোজা (বাদল)। আদালত প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীদের যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
রিটকারীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ‘পবিপ্রবি আইন, ২০০১’-এর ধারা ২০(ডি) অমান্য করে নতুন ডিগ্রি প্রবর্তন করেছে।
আইনে বলা আছে, নতুন কোনো বিভাগ বা প্রোগ্রাম চালুর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রিট খারিজের জন্য আগামী রবিবার আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।
ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হবে না। দুটি বিভাগের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীই কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে আন্দোলন করেছিল। লিখিত দাবির প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা চাইলে পুরাতন বা নতুন, যে কোনো ডিগ্রি নিতে পারবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ‘কয়েকজন শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থে তিন শিক্ষার্থীকে ভুল বোঝিয়ে রিট করিয়েছেন। পিটিশনাররাও বিষয়টি এখন বুঝে রিট খারিচের জন্য উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন।’
এদিকে, রিট দায়ের করা এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অপর এক শিক্ষার্থীর কথোপকথনের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে। সেখানে রিটকারী শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে রিট করেছি, বিষয়টা ঠিক বুঝিনি।’ তবে সেই বড় ভাইয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক জানান, আদালতের রুল জারির পরও কর্তৃপক্ষ কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশ দেয়নি। ফলে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। তাদের মতে, অধিকাংশ শিক্ষক নতুন ডিগ্রির বিপক্ষে। তবে তারা সরাসরি অবস্থান নিচ্ছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, ‘আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল যে, কেউ চাইলে ডিভিএম বা এএইচ ডিগ্রি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছয় মাস পড়তে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো চাপ দেওয়া হবে না।’
শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের গত ৩ সেপ্টেম্বরে একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৪তম সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রি অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি এবং আদালতের আশ্রয় নেয়। এখন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পুরোনো নিয়মেই আগামী তিন মাস পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে ।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ও বিএসসি ইন অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি (অনার্স) দুটি পৃথক ডিগ্রি বাতিল করে ‘বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রি’ নামে নতুন এক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
জানা যায়, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি ফওজে আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চে গত বুধবার (৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেওয়া হয়। আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগামী রবিবার (৯ নভেম্বর) মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য রুল জারি করেছেন। আগামী রবিবার রিট খারিজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে যাচ্ছে।
রিট আবেদন করেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আমির হামজা আসিফসহ ক্ষতিগ্রস্ত আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. বদরুদ্দোজা (বাদল)। আদালত প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীদের যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
রিটকারীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় ‘পবিপ্রবি আইন, ২০০১’-এর ধারা ২০(ডি) অমান্য করে নতুন ডিগ্রি প্রবর্তন করেছে।
আইনে বলা আছে, নতুন কোনো বিভাগ বা প্রোগ্রাম চালুর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদন নিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রিট খারিজের জন্য আগামী রবিবার আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।
ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হবে না। দুটি বিভাগের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীই কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে আন্দোলন করেছিল। লিখিত দাবির প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা চাইলে পুরাতন বা নতুন, যে কোনো ডিগ্রি নিতে পারবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ‘কয়েকজন শিক্ষক ব্যক্তিগত স্বার্থে তিন শিক্ষার্থীকে ভুল বোঝিয়ে রিট করিয়েছেন। পিটিশনাররাও বিষয়টি এখন বুঝে রিট খারিচের জন্য উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন।’
এদিকে, রিট দায়ের করা এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অপর এক শিক্ষার্থীর কথোপকথনের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে। সেখানে রিটকারী শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে রিট করেছি, বিষয়টা ঠিক বুঝিনি।’ তবে সেই বড় ভাইয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক জানান, আদালতের রুল জারির পরও কর্তৃপক্ষ কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে কোনো লিখিত নির্দেশ দেয়নি। ফলে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। তাদের মতে, অধিকাংশ শিক্ষক নতুন ডিগ্রির বিপক্ষে। তবে তারা সরাসরি অবস্থান নিচ্ছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এসএম হেমায়েত জাহান বলেন, ‘আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল যে, কেউ চাইলে ডিভিএম বা এএইচ ডিগ্রি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছয় মাস পড়তে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো চাপ দেওয়া হবে না।’
শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের গত ৩ সেপ্টেম্বরে একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৪তম সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রি অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি এবং আদালতের আশ্রয় নেয়। এখন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পুরোনো নিয়মেই আগামী তিন মাস পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে ।

০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৫
পটুয়াখালী বাউফলের প্রধান সড়কে চলাচলকারী অবৈধ ট্রলি সিএনজি হোন্ডা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার সময় বাউফল থানার সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ মিলু এ জরিমানা করেন।
ওই সময় ৯জন গাড়িচালককে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ১ মাস করে জেল প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলু বলেন, বেপরোয়া যান চলাচলে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনায় বাউফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চলমান থাকবে। এ ছাড়া আইন অমান্য করে সড়কে পার্কিংরত গাড়িচালকদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালী বাউফলের প্রধান সড়কে চলাচলকারী অবৈধ ট্রলি সিএনজি হোন্ডা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১২টার সময় বাউফল থানার সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সোহাগ মিলু এ জরিমানা করেন।
ওই সময় ৯জন গাড়িচালককে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে ১ মাস করে জেল প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিলু বলেন, বেপরোয়া যান চলাচলে প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনায় বাউফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ অভিযান চলমান থাকবে। এ ছাড়া আইন অমান্য করে সড়কে পার্কিংরত গাড়িচালকদের বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.