০৩ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৪৩
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত ও প্রধান উচ্ছেদ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসহ ১৯ কর্মকর্তার ঘুষ-দুর্নীতিসহ অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগ অনুসন্ধানের এরই মধ্যে দুদকের বরিশাল অফিস থেকে ১৮ জন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথিসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তলব করা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ শাখার প্রধান স্বপন কুমার দাস, সার্ভেয়ার তাপস, সার্ভেয়ার নাছির ও মশিউর, সার্ভেয়ার ও আর্কিটেক্ট সাইদুর, জনসংযোগ কর্মকর্তা রোমেল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা লকিতুল্লাহ, সম্পত্তি শাখার কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ, প্লান শাখার কর্মকর্তা লোকমান ও কালটু, সম্পত্তি শাখার মাহাবুবুর রহমান শাকিল, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মশিউর রহমান, বাজার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম, ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেন্ডেন্ট আজিজুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এইচএম কামাল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মুরাদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির এবং সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সচিব মাছুমা আক্তার।
দুদকের তলবকৃত নথিপত্রে মধ্যে রয়েছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত ১৮ ব্যাক্তির নাম, পদবি, কর্মরত শাখার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, এনআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর সম্বলিত নথিপত্রসহ ব্যক্তিগত নথি।
তলবকৃত নথিপত্রের মধ্যে আরও রয়েছে- সার্ভেয়ার তাপস্, সার্ভেয়ার নাছির, সার্ভেয়ার মশিউর, জনসংযোগ কর্মকর্তা রোমেল, প্লান শাখার কালটু, সম্পত্তি শাখার ফিরোজ ও শাকিল, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মশিউর রহমান, বাজার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম ও ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেডেন্টের আজিজুর রহমানের নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র।
অন্যদিকে, সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতের সময় সিটি কর্পোরেশনের দীঘির মালিকানা সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র ও বালু ভরাট সংক্রান্ত কাজের রেকর্ডপত্র, ২০২২ সালে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার ব্যানার তৈরির জন্য বরাদ্দকৃত ১৩ লাখ টাকা, খোকন সেরনিয়াবাতের ফেসবুক পেজের বুস্টিংয়ের বরাদ্দকৃত ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার রেকর্ডপত্র এবং সাবেক মেয়রের ল্যাপটপ, ড্রোন ক্যামেরা, চেয়ার, টেবিল, মনিটর, আইটি মেশিনসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৫০ লাখ টাকা খরচের যাবতীয় রেকর্ডপত্র তলব করে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, তলবকৃত রেকর্ডপত্রের মধ্যে কিছু কিছু নথি দুদকের পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। তবে এখনও অনেক নথি পাওয়া যায়নি। আর অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদক পরিচালক মোজাহার আলী সরদার বলেন, সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। বর্তমানে নথিপত্রের সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। এর বেশি আপাতত কোনো বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদ্য অপসারিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলেমিশে বরিশাল সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিলেন। তাদের যৌথ কারসাজিতে অবৈধ নিয়োগ, প্রতিটি দপ্তরে সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, ঘুষ বাণিজ্য, ব্যাপক অর্থ লোপাটসহ সব ধরনের দুর্নীতি করে সরকার ও জনগণের অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে উচ্ছেদ শাখার প্রধান স্বপন কুমার দাস দুর্নীতির অন্যতম প্রধান সহযোগী হিসাবে কাজ করেছেন। সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ শাখার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করলেও তিনি মূলত পরিসংখ্যানবিদ।
সাবেক মেয়রসহ ঊর্ধ্বতনদের যোগসাজশে বর্জ্য বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী সরকারের সময় ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট বরিশাল সদর উপজেলা ইএনও এবং সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষের আলোচিত ঘটনার এজাহারভুক্ত আসামি স্বপন কুমার দাস। এছাড়া তার বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে স্বপনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ কিংবা মেসেজ দিলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে সার্বিক বিষয়ে জানতে সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা রোমেল বলেন, ‘আমি একটি ব্যক্তিগত বিষয়ে দুদকের চিঠি পেয়েছি। শিগগিরই চাহিদাকৃত নথি সরবরাহ করা হবে। তবে বাকিদের অভিযোগ বা নথির বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো না। কেননা আলাদাভাবে দেওয়া চিঠির তথ্য জানলেও অভিযোগের বিষয় সম্পর্কে আমরা জানা নেই।’
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত ও প্রধান উচ্ছেদ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসহ ১৯ কর্মকর্তার ঘুষ-দুর্নীতিসহ অবৈধ সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগ অনুসন্ধানের এরই মধ্যে দুদকের বরিশাল অফিস থেকে ১৮ জন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথিসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তলব করা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ শাখার প্রধান স্বপন কুমার দাস, সার্ভেয়ার তাপস, সার্ভেয়ার নাছির ও মশিউর, সার্ভেয়ার ও আর্কিটেক্ট সাইদুর, জনসংযোগ কর্মকর্তা রোমেল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা লকিতুল্লাহ, সম্পত্তি শাখার কম্পিউটার অপারেটর ফিরোজ, প্লান শাখার কর্মকর্তা লোকমান ও কালটু, সম্পত্তি শাখার মাহাবুবুর রহমান শাকিল, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মশিউর রহমান, বাজার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম, ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেন্ডেন্ট আজিজুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এইচএম কামাল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মুরাদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির এবং সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সচিব মাছুমা আক্তার।
দুদকের তলবকৃত নথিপত্রে মধ্যে রয়েছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত ১৮ ব্যাক্তির নাম, পদবি, কর্মরত শাখার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, এনআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর সম্বলিত নথিপত্রসহ ব্যক্তিগত নথি।
তলবকৃত নথিপত্রের মধ্যে আরও রয়েছে- সার্ভেয়ার তাপস্, সার্ভেয়ার নাছির, সার্ভেয়ার মশিউর, জনসংযোগ কর্মকর্তা রোমেল, প্লান শাখার কালটু, সম্পত্তি শাখার ফিরোজ ও শাকিল, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মশিউর রহমান, বাজার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম ও ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেডেন্টের আজিজুর রহমানের নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র।
অন্যদিকে, সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতের সময় সিটি কর্পোরেশনের দীঘির মালিকানা সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র ও বালু ভরাট সংক্রান্ত কাজের রেকর্ডপত্র, ২০২২ সালে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার ব্যানার তৈরির জন্য বরাদ্দকৃত ১৩ লাখ টাকা, খোকন সেরনিয়াবাতের ফেসবুক পেজের বুস্টিংয়ের বরাদ্দকৃত ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার রেকর্ডপত্র এবং সাবেক মেয়রের ল্যাপটপ, ড্রোন ক্যামেরা, চেয়ার, টেবিল, মনিটর, আইটি মেশিনসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৫০ লাখ টাকা খরচের যাবতীয় রেকর্ডপত্র তলব করে দুদক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, তলবকৃত রেকর্ডপত্রের মধ্যে কিছু কিছু নথি দুদকের পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। তবে এখনও অনেক নথি পাওয়া যায়নি। আর অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদক পরিচালক মোজাহার আলী সরদার বলেন, সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। বর্তমানে নথিপত্রের সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। এর বেশি আপাতত কোনো বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদ্য অপসারিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলেমিশে বরিশাল সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিলেন। তাদের যৌথ কারসাজিতে অবৈধ নিয়োগ, প্রতিটি দপ্তরে সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, ঘুষ বাণিজ্য, ব্যাপক অর্থ লোপাটসহ সব ধরনের দুর্নীতি করে সরকার ও জনগণের অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে উচ্ছেদ শাখার প্রধান স্বপন কুমার দাস দুর্নীতির অন্যতম প্রধান সহযোগী হিসাবে কাজ করেছেন। সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ শাখার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করলেও তিনি মূলত পরিসংখ্যানবিদ।
সাবেক মেয়রসহ ঊর্ধ্বতনদের যোগসাজশে বর্জ্য বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী সরকারের সময় ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট বরিশাল সদর উপজেলা ইএনও এবং সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষের আলোচিত ঘটনার এজাহারভুক্ত আসামি স্বপন কুমার দাস। এছাড়া তার বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে স্বপনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ কিংবা মেসেজ দিলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে সার্বিক বিষয়ে জানতে সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা রোমেল বলেন, ‘আমি একটি ব্যক্তিগত বিষয়ে দুদকের চিঠি পেয়েছি। শিগগিরই চাহিদাকৃত নথি সরবরাহ করা হবে। তবে বাকিদের অভিযোগ বা নথির বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো না। কেননা আলাদাভাবে দেওয়া চিঠির তথ্য জানলেও অভিযোগের বিষয় সম্পর্কে আমরা জানা নেই।’
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪১
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।
এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।
সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।
একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.