dreamliferupatolibarisal

বরিশাল

শান্ত বরিশালকে অশান্ত করতে মরিয়া আ’লীগ নেতা কালাম মোল্লা (!)

হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল

হাসিবুল ইসলাম, বরিশাল

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:১১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

শান্ত বরিশালকে অশান্ত করতে মরিয়া আ’লীগ নেতা কালাম মোল্লা (!)

থানার কাছে বাসায় বসে দিনভর পরিকল্পনা, লোক ভাড়া করে রাতে মশালমিছিল। গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছাড়া কর্মীরা ক্ষুব্ধ।

শহরের উত্তর-পশ্চিমাংশের ত্রাস আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন আজাদ ওরফে কালাম মোল্লা শান্ত বরিশালকে অশান্ত করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত এই রাজনৈতিক নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করানোসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি শহরের নথুল্লাবাদে তার নির্দেশেই সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে মশালমিছিল করে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা। রোববার রাতের সেই মিছিলে ছাত্র-জনতা হামলা চালিয়ে সেখান থেকে ৪ জনকে ধরে পুলিশ সোপর্দ করে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর থানা পুলিশ চিরুনি অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের আরও দুজন নেতাকে গ্রেপ্তার করলেও আলোচিত কালাম মোল্লা রয়েছেন ধরাছোয়ার বাইরে।

বরিশাল সিটির ৩০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কালাম মোল্লার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, ধর্ষণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যাকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। বিতর্কিত এই ব্যক্তিকে তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব এড়িয়ে চললেও তিনি শহরের উত্তর-পশ্চিমাংশে ব্যাপক ত্রাস চালিয়েছেন। তবে এসব ঘটনাবলীতে তার কারাগারে যাওয়ার উদাহরণও আছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলে রাজনৈতিক সন্ত্রাস কালাম মোল্লা একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়ে গ্রেপ্তার এবং জনরোষের ভয়ে নিজেকে কিছুদিন গোপন রেখেছিলেন। কয়েক মাস পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তিনি এলাকায় ফিরে এসে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করেন এবং স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে তার সুসম্পর্কও দেখা যায়। তাছাড়া পুলিশও তাকে গ্রেপ্তার করতে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকটা নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলেন থানাসংলগ্ন বাড়িতে। তবে এই সন্ত্রাসী যে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে মহাসড়কে মশালমিছিল করে পুলিশকে দৌড়ের ওপর রাখার মত পরিস্থিতি তৈরি করবে তা অনেকেই অনুমান করতে পারেনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সন্ত্রাসী কালাম মোল্লা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কাশিপুর টু রহমতপুর-বাবুগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছেন। মানুষকে জিম্মি করে জমি ক্রয় করাসহ চাঁদাবাজি এবং ধর্ষণের মত গুরুতর অভিযোগ আছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে গেলেও কয়েক মাস ধরে বিমানবন্দর থানাসংলগ্ন বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ১০/১২ দিন ধরে বাড়িটিতে অধিক মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। কিন্তু পার্শ্ববর্তী থানা পুলিশকে সেখানে কখনও হানা দিতে দেখা যায়নি।

সূত্র জানায়, রোববার যেদিন নথুল্লাবাদে আওয়ামী লীগের মশালমিছিল হয়, সেদিন দিনভর কালাম মোল্লা নিজ বাড়িতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক করেন। এবং সেই বৈঠকে মশালমিছিল করার জন্য তিনি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ন সার্বিক সহযোগিতাসহ অর্থায়ন করার সিদ্ধান্ত দেন। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে রোববার রাত ১০টার দিকে বরিশাল ফেরি বিভাগের অফিস সম্মুখ থেকে মশালমিছিল বের করা হয়, যেখানে টাকা দিয়ে ভাড়া করে আনা লোকও ছিল।

কালাম মোল্লার এই মশালমিছিলের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেছেন পলাতক শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তবে এই মিছিল দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীদের রাতের ঘুম হারামও করে দিয়েছে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাধিক কর্মী অভিযোগ করেন, তাদের নামে রাজনৈতিক মামলা থাকলেও এতদিন নিরাপদে বাসায় ছিলেন। গত রোববার রাতে কালাম মোল্লার নেতৃত্বে মশালমিছিল হওয়ার পরে পুলিশ অনেকের বাসাবাড়িতে একাধিকবার হানা দিয়েছে, এতে নতুন করে গ্রেপ্তার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে রোববারের পরে চিরুনি অভিযান চালিয়ে পলাশ এবং হুমায়ন কবির নামের দুই আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করলে আতঙ্ক আরও বৃদ্ধি পায়।

বিমানবন্দর থানা পুলিশের ওসি আল মামুন উল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, নথুল্লাবাদে মশালমিছিল করার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে, এতে কালাম মোল্লার নামও রয়েছে। তিনিসহ সকল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এর আগে একাধিক মামলার আসামি কালাম মোল্লা থানাসংলগ্ন বাড়িতে অবস্থান করছিলেন এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, এই ধরনের তথ্য নেই।

এই বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার বিকেলে কালাম মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক সন্ত্রাস কালাম মোল্লা রোববারের ওই ঘটনার পরে ফের আত্মগোপনে চলে গেছেন। এবং সেখান থেকেই তিনি সবকিছুর খোঁজ-খবর রাখছেন। তার ঘনিষ্ট একজন বরিশালটাইমসের কাছে এই তথ্য স্বীকার করে জানান, কালাম মোল্লা নিজের শক্তি জানান দিতে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন একটি মোক্ষম সময়ের। সেই সুবর্ণ সুযোগটি গত রোববার রাতে পেয়েই তিনি জনবহুল নথুল্লাবাদে মিছিল করে আলোচনায় এসেছেন, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য পীড়াদায়ক।

আলোচিত এই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা। তারা বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা শান্ত বরিশালকে অশান্ত করতে চাইছেন, যা দণ্ডণীয় অপরাধ। তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসা জরুরি।’

বরিশালে ডেঙ্গু আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:৪১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালে ডেঙ্গু আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুলতান খান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল। মৃত সুলতান খান পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার বাসিন্দা।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরগুনা হাসপাতালে ৫৪ জন, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, বরিশাল জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ২৯ জন, ভোলায় ৫ জন, পিরোজপুরে ১৭ জন ও ঝালকাঠিতে ২ জন। বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের দুই মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ হাজার ৮৯২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ হাজার ৪১৬ জন।

এছাড়া চলতি বছর গোটা বিভাগে ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ জন, বরগুনায় ১৪ ও পটুয়াখালীকে ১ জন।

মেঘনায় অভিযানে আটক ১১ জেলের জেল-জরিমানা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:০২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

মেঘনায় অভিযানে আটক ১১ জেলের জেল-জরিমানা

বরিশালের হিজলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের সময় ১১ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) হিজলার মেঘনা নদীতে কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করে। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম জানান, অভিযানে আটক ১১ জনের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইলিয়াস সিকদার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচজনকে আট দিন করে কারাদণ্ড দেন।

এছাড়া বাকিদের মধ্যে একজনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও চারজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বয়স কম থাকায় এক কিশোরকে মুচলেকার মাধ্যমে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বরিশালের সেই ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার কাজ শুরু

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:২২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বরিশালের সেই ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার কাজ শুরু

বরিশাল শহরের ঝুঁকিপূর্ণ সেই ৩৪টি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। শুক্রবার সকালে শহরের সদর রোডের তিনতলা দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পূর্বে এই ভবনসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বসবাসরতদের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে বলে সিটি প্রশাসন ঘোষণা করে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে ভবনগুলো অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেপরে এনিয়ে দৈনির রূপালী বাংলাদেশসহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় লেখালেখিও হয়।

সূত্র জানায়, কীর্তনখোলার তীরের শহর বরিশালের ৫৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ৩৫টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসি। ২০১৩ সালের জরিপে এসব ভবনকে বেহাল ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে। এই ভবনের বেশিরভাগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় বেশ কয়েকবার ভাঙার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয় সিটি কর্পোরেশন। এবং ভবনগুলো যে আইনগতভাবে ভাঙতে না পারে তার জন্য আদালতে মামলাও করা হয়। পরবর্তীতে আইনি জটিলতা এড়াতে বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশন তৎপরতা দেখায়নি বা নিশ্চুপ হয়ে যায়।

জানা গেছে, সদর রোডসংলগ্ন বহুতল ভবন দুটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই কাজী মফিজুল ইসলাম কামাল অবৈধভাকে দখল করে রেখেছিলেন। এই কাজী কামলা বরিশাল-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ শ্যালক। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বরিশালে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন। সদর রোডে ভবন দুটির নিচের দোকান দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নিজে দখল করে রাখেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে আছেন।

একটি ভবনের মালিক নজরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, তাঁর চাচা উলফাত হাজি এবং শুককুর হাজি ১৯৬০ সালে একটি ভবন ও ৩০ বছর আগে আরেকটি ভবন সদর রোডে নির্মাণ করেন। ২০১৩ সালে একটি পাকা ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং পাশের ভবন ঘেঁষে হেলে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৩ সালে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। কিন্তু প্রভাবশালী ভাড়াটেরা জোর করে দখলে রাখায় ওই সময় ভাঙার ভবন ভাঙা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরে ভবন ভাঙার জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সিটি করপোরেশনে জমা দেন নজরুল ইসলাম। তারপর ভবনটি শুক্রবার সকাল থেকে ভবনটি অপসারণে কাজ শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস। এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উলফাত এবং শাকুর ম্যানশন নামের ওই দুটি ভবন ইতিপূর্বে ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটেরা আদালতে গেছেন। আমরা কোর্টের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় পেয়েছি। এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে সেখানে নোটিস দিয়েছিলাম, কিন্তু তারপরও ভাড়াটেরা দখল ছাড়েননি। শুক্রবার সকালে তাদের চূড়ান্তভাবে চলে যাওয়ার নোটিস দিয়ে ভবন ভাঙা শুরু হয়। আশা করছি, সাত দিনের মধ্যে ভবন দুটি ভেঙে ফেলা সম্ভব।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী জানান, নগরের কাউনিয়া এলাকার জানুকি সিংহ রোডের মতি লস্করের বাড়ি, পূর্ব বগুড়া রোড কাজি অফিসের পেছনে রবীন্দ্রনাথ সেনের ভবন, আগরপুর রোডে মহিলা কলেজসংলগ্ন মনু মিয়ার ভবন এবং সদর রোডসংলগ্ন ফজলুল হক অ্যাভিনিউর হোটেল বাহাদুর ভবনসহ ৩৪টি ভবনই পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অনুমোদনহীন এমন কিছু ভবনও রয়েছে।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.