
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১৯:০৭
ব্যবসায়ী আশরাফুল হক (৪২) হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জরেজুল ইসলাম (৩৯) ও শামীমা আক্তারকে (৩৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব। তাদের গ্রেফতারের তথ্য ও হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে শনিবার (১৫ নভেম্বর) পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছে দুই বাহিনী। সেখানে দুই আসামির জবানবন্দিতে দুই রকম তথ্য পাওয়ার কথা জানা গেছে।
র্যাব বলছে, আশরাফুলকে ফাঁদে ফেলে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরে তাকে হত্যা করা হয়। আর পুলিশ বলছে, ত্রিভুজ প্রেমের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
সকাল ১০টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন। আসামি শামীমার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তার (শামীমা) সঙ্গে জরেজুলের এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আশরাফুলকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছিলেন জরেজুল।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, আশরাফুলকে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান শামীমা। পরে আশরাফুল ও শামীমার ভিডিও ধারণ করা হয়। এই ভিডিও দেখিয়েই টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়। ধারণকৃত ভিডিওটি শামীমার মোবাইল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, ১২ নভেম্বর দুপুরে আশরাফুল পুরোপুরি অচেতন হয়ে পড়লে জরেজুল তাঁকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন, মুখে স্কচটেপ লাগান। এরপর হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে আশরাফুলের মৃত্যু হয়।
১৩ নভেম্বর সকালে মরদেহ গুম করতে পাশের বাজার থেকে দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম ও অন্যান্য সরঞ্জাম আনা হয়। পরে জরেজুল চাপাতি দিয়ে লাশ টুকরা টুকরা করে দুটি ড্রামে ভরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় হাইকোর্ট এলাকায় রেখে যান।
আশরাফুলের রক্তমাখা সাদা রঙের পাঞ্জাবি-পায়জামা, হত্যায় ব্যবহৃত দড়ি ও স্কচটেপ উদ্ধার করেছে র্যাব।
এদিকে বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। সেখানে তিনি আরেক আসামি জরেজুল ইসলামের বরাতে হত্যার বর্ণনা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার মূল আসামি জরেজুল ইসলাম মালয়েশিয়াপ্রবাসী। সেখানে থাকা অবস্থায় একটি অ্যাপসের মাধ্যমে শামীমা আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও হয়।
জরেজুল প্রায় দেড় মাস আগে দেশে আসেন। দেশে আসার পরও শামীমা ও জরেজুলের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মুঠোফোনে কথাবার্তা হতো। জরেজুলের স্ত্রী এটা জেনে যান। তখন জরেজুলের স্ত্রী জরেজুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আশরাফুল ইসলামের সহায়তা চান এবং আশরাফুল ইসলামকে শামীমার নম্বর দেন। পরে আশরাফুল শামীমার প্রেমে পড়ে যান। ভিডিও কলে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ হতো।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এরই মধ্যে ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে জরেজুলকে জাপান পাঠানোর কথা বলেন শামীমা, যার মধ্যে ৭ লাখ টাকা তিনি দেবেন বলেও জানান। শামীমার কাছ থেকে টাকা ও জাপান যাওয়ার কাজ শুরুর জন্য ১১ নভেম্বর তিনি ও আশরাফুল রংপুর থেকে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় আসার পর শনির আখড়ায় তারা তিনজন বাসা ভাড়া নেন।
পরে আশরাফুল ও শামীমার সম্পর্কের কথা জানতে পারেন জরেজুল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। একপর্যায়ে শামীমা চিৎকার করলে আশরাফুলের হাত বেঁধে জরেজুল হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। পরে আশরাফুলের মুখের ভেতরে ওড়না ঢুকিয়ে স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পর আশরাফুল মারা যান। পরে তারা মরদেহ টুকরা করে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে হাইকোর্ট এলাকায় ফেলে দিয়ে আসেন।
ব্যবসায়ী আশরাফুল হক (৪২) হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জরেজুল ইসলাম (৩৯) ও শামীমা আক্তারকে (৩৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব। তাদের গ্রেফতারের তথ্য ও হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে শনিবার (১৫ নভেম্বর) পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছে দুই বাহিনী। সেখানে দুই আসামির জবানবন্দিতে দুই রকম তথ্য পাওয়ার কথা জানা গেছে।
র্যাব বলছে, আশরাফুলকে ফাঁদে ফেলে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরে তাকে হত্যা করা হয়। আর পুলিশ বলছে, ত্রিভুজ প্রেমের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
সকাল ১০টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন। আসামি শামীমার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তার (শামীমা) সঙ্গে জরেজুলের এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আশরাফুলকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছিলেন জরেজুল।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, আশরাফুলকে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান শামীমা। পরে আশরাফুল ও শামীমার ভিডিও ধারণ করা হয়। এই ভিডিও দেখিয়েই টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়। ধারণকৃত ভিডিওটি শামীমার মোবাইল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, ১২ নভেম্বর দুপুরে আশরাফুল পুরোপুরি অচেতন হয়ে পড়লে জরেজুল তাঁকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন, মুখে স্কচটেপ লাগান। এরপর হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে আশরাফুলের মৃত্যু হয়।
১৩ নভেম্বর সকালে মরদেহ গুম করতে পাশের বাজার থেকে দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম ও অন্যান্য সরঞ্জাম আনা হয়। পরে জরেজুল চাপাতি দিয়ে লাশ টুকরা টুকরা করে দুটি ড্রামে ভরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় হাইকোর্ট এলাকায় রেখে যান।
আশরাফুলের রক্তমাখা সাদা রঙের পাঞ্জাবি-পায়জামা, হত্যায় ব্যবহৃত দড়ি ও স্কচটেপ উদ্ধার করেছে র্যাব।
এদিকে বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। সেখানে তিনি আরেক আসামি জরেজুল ইসলামের বরাতে হত্যার বর্ণনা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার মূল আসামি জরেজুল ইসলাম মালয়েশিয়াপ্রবাসী। সেখানে থাকা অবস্থায় একটি অ্যাপসের মাধ্যমে শামীমা আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও হয়।
জরেজুল প্রায় দেড় মাস আগে দেশে আসেন। দেশে আসার পরও শামীমা ও জরেজুলের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মুঠোফোনে কথাবার্তা হতো। জরেজুলের স্ত্রী এটা জেনে যান। তখন জরেজুলের স্ত্রী জরেজুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আশরাফুল ইসলামের সহায়তা চান এবং আশরাফুল ইসলামকে শামীমার নম্বর দেন। পরে আশরাফুল শামীমার প্রেমে পড়ে যান। ভিডিও কলে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ হতো।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এরই মধ্যে ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে জরেজুলকে জাপান পাঠানোর কথা বলেন শামীমা, যার মধ্যে ৭ লাখ টাকা তিনি দেবেন বলেও জানান। শামীমার কাছ থেকে টাকা ও জাপান যাওয়ার কাজ শুরুর জন্য ১১ নভেম্বর তিনি ও আশরাফুল রংপুর থেকে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় আসার পর শনির আখড়ায় তারা তিনজন বাসা ভাড়া নেন।
পরে আশরাফুল ও শামীমার সম্পর্কের কথা জানতে পারেন জরেজুল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। একপর্যায়ে শামীমা চিৎকার করলে আশরাফুলের হাত বেঁধে জরেজুল হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। পরে আশরাফুলের মুখের ভেতরে ওড়না ঢুকিয়ে স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পর আশরাফুল মারা যান। পরে তারা মরদেহ টুকরা করে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে হাইকোর্ট এলাকায় ফেলে দিয়ে আসেন।

২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৩২
লক্ষ্মীপুরে দরজায় তালা লাগিয়ে বেলাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতার বসতঘরের চারপাশে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত শিশু আয়েশা আক্তার (৭) দগ্ধ হয়ে মারা গেছে।
আগুনে ব্যবসায়ী বেলালসহ তার আরো দুই মেয়ে বিথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তার দগ্ধ হয়। এর মধ্যে বিথি ও স্মৃতিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। বেলালকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের সূতারগোপ্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী বেলাল ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সুতার গোপ্তা বাজারে সার ও কীটনাশকের ব্যবসায়ী। তার বাড়ি বাজারের পশ্চিম পাশে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, রাতে বেলাল তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় বাহির থেকে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুহূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ হন বেলাল হোসেন ও তার অপর দুই মেয়ে। পরে স্থানীয়রা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিথি ও স্মৃতিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুইজনের শরীরের অধিকাংশই পুড়ে গেছে।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই সময় নিহত এক শিশু ও অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা যায়। আরো তিনজন অগ্নিদগ্ধ হন। আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি কি পরিকল্পিত নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুরে দরজায় তালা লাগিয়ে বেলাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতার বসতঘরের চারপাশে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত শিশু আয়েশা আক্তার (৭) দগ্ধ হয়ে মারা গেছে।
আগুনে ব্যবসায়ী বেলালসহ তার আরো দুই মেয়ে বিথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তার দগ্ধ হয়। এর মধ্যে বিথি ও স্মৃতিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। বেলালকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের সূতারগোপ্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী বেলাল ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সুতার গোপ্তা বাজারে সার ও কীটনাশকের ব্যবসায়ী। তার বাড়ি বাজারের পশ্চিম পাশে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, রাতে বেলাল তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় বাহির থেকে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুহূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ হন বেলাল হোসেন ও তার অপর দুই মেয়ে। পরে স্থানীয়রা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিথি ও স্মৃতিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুইজনের শরীরের অধিকাংশই পুড়ে গেছে।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রনজিত কুমার দাস জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই সময় নিহত এক শিশু ও অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা যায়। আরো তিনজন অগ্নিদগ্ধ হন। আগুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি কি পরিকল্পিত নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৫৭
ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ বাসার ছাদ থেকে পড়ে কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। নিহত কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর বাঘমারা আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজুর ভাই কাজি শিপলু বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কোতয়ালি থানা পুলিশ আমার ভাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। পুলিশ আমাদের বাসায় এসে গেট খুলতে বলে। পরে আমার ভাই রাজু বিষয়টি টের গ্রেপ্তার এড়াতে দোতলার ছাদ থেকে লাফ দিলে পড়ার সময় ব্যালকনিতে মাথায় আঘাত লাগে। এতে রাজু গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ চলে গেলে আশপাশের লোকজন রাজুকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজুকে আইসিইউতে রাখেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
রাজুর স্ত্রী সাথী জানান, বিগত ৮/১০ বছর ধরে রাজু রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। তিনি রাজনীতি থেকে সরে আসেন। তার নামে কোনো মামলাও নেই। বিগত ৫ আগস্টের পর তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলেন।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বলেন, ‘পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসাবে কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজুর বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই বাসার কলাপসিবল গেটে পুলিশ নক করে। তবে কেউ গেট না খোলায় পুলিশ ফিরে আসে। পরে সেখানে কী হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’
ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার এড়াতে নিজ বাসার ছাদ থেকে পড়ে কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। নিহত কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর বাঘমারা আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজুর ভাই কাজি শিপলু বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কোতয়ালি থানা পুলিশ আমার ভাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। পুলিশ আমাদের বাসায় এসে গেট খুলতে বলে। পরে আমার ভাই রাজু বিষয়টি টের গ্রেপ্তার এড়াতে দোতলার ছাদ থেকে লাফ দিলে পড়ার সময় ব্যালকনিতে মাথায় আঘাত লাগে। এতে রাজু গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ চলে গেলে আশপাশের লোকজন রাজুকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজুকে আইসিইউতে রাখেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
রাজুর স্ত্রী সাথী জানান, বিগত ৮/১০ বছর ধরে রাজু রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। তিনি রাজনীতি থেকে সরে আসেন। তার নামে কোনো মামলাও নেই। বিগত ৫ আগস্টের পর তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলেন।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বলেন, ‘পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসাবে কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজুর বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই বাসার কলাপসিবল গেটে পুলিশ নক করে। তবে কেউ গেট না খোলায় পুলিশ ফিরে আসে। পরে সেখানে কী হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৪৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফেসবুকে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে উল্লাস প্রকাশের অভিযোগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাঁশখালী পৌরসভার সৈয়দ বাহারুল্লাহপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আবদুল জব্বার বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও পৌরসভা শ্রমিক লীগের সভাপতি। তিনি বাঁশখালী পৌরসভার সৈয়দ বাহারুল্লাহপাড়ার মৃত গণী মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আবদুল জব্বার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাঁশখালীর রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণ ছাত্র-জনতার মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় ছাত্র-জনতা তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ সাইফুল্লাহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবদুল জব্বার কেবল এই ফেসবুক পোস্টের কারণেই বিতর্কের মুখে পড়েননি, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফেসবুকে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে উল্লাস প্রকাশের অভিযোগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাঁশখালী পৌরসভার সৈয়দ বাহারুল্লাহপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আবদুল জব্বার বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও পৌরসভা শ্রমিক লীগের সভাপতি। তিনি বাঁশখালী পৌরসভার সৈয়দ বাহারুল্লাহপাড়ার মৃত গণী মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আবদুল জব্বার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাঁশখালীর রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণ ছাত্র-জনতার মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় ছাত্র-জনতা তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ সাইফুল্লাহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবদুল জব্বার কেবল এই ফেসবুক পোস্টের কারণেই বিতর্কের মুখে পড়েননি, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩:১১
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৫
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৩২
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:২০