Bkash

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েল ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার ইহুদি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৯ জুন, ২০২৫ ২৩:৩৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ইসরায়েল ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার ইহুদি

ইরানের লাগাতার হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের নাগরিকসহ সেদেশে অবস্থারত পর্যটকরা। প্রাণ বাাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার মুখে অনেক বিদেশি পর্যটকও ইসরায়েল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় বিদেশি পর্যটকদের দেশে ফেরার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে বিশেষ অনুমতির দাবি জানিয়েছে ইসরায়েলের পর্যটন মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড্ররিত স্টেইনমেটজ বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দানি শাহার এই আহ্বান জানান। 

তিনি লিখেছেন, পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতায় গঠিত বিশেষ অনুমোদন কমিটির অনুমতির ভিত্তিতে এসব পর্যটকদের যেন আকাশপথে নিজ দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়।

ওই বিশেষ কমিটি মূলত জরুরি মানবিক ও চিকিৎসাগত প্রয়োজনের ভিত্তিতে ইসরায়েলি নাগরিকদের দেশে ফেরার অনুরোধ যাচাই-বাছাই করছে।

চিঠিতে দানি শাহার উল্লেখ করেন, ‘এখন পর্যটকেরা গভীর অনিশ্চয়তা ও মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের অনেকেই নির্ধারিত সময়ের বেশি ইসরায়েলে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকের আর্থিক ও ব্যক্তিগত অবস্থাও ক্রমেই সংকটময় হয়ে উঠছে। অনেকেই নিজেদের পরিত্যক্ত ও রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর প্রতি আস্থাহীন বোধ করছেন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা অনুরোধ করছি, দেশে ফেরার (রিপ্যাট্রিয়েশন) বিশেষ ফ্লাইটগুলো যেন ইসরায়েল ত্যাগকারী পর্যটকদের জন্যও ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। যেমনটা বর্তমানে সমুদ্রপথে জাহাজ ও স্থলবন্দরগুলো দিয়ে করা হচ্ছে, যদিও সেগুলো এখন অতিরিক্ত চাপের মুখে রয়েছে।’

দানি শাহারের মতে, বিষয়টি শুধু মানবিক দায়িত্বই নয়, বরং বড় রাজনৈতিক ও ভাবমূর্তির বিষয়ও। তিনি বলেন, ‘এই পর্যটকেরাই ভবিষ্যতে ইসরায়েলের শুভেচ্ছাদূত হয়ে উঠতে পারেন। অন্যদিকে, যদি তারা নিজেদের পরিত্যক্ত মনে করেন, তবে সেটি ইসরায়েলের ভাবমূর্তির জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

এদিকে, মঙ্গলবার পর্যটন মন্ত্রণালয় একটি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর্ম চালু করেছে, যাতে যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলে আটকে পড়া পর্যটকেরা বিশেষ ফ্লাইটের জন্য আবেদন করতে পারেন। মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার পর্যটক এই ফর্মে নাম নিবন্ধন করেছেন এবং দেশে ফেরার অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন।

আরও পড়ুন:

এবার পাকিস্তানকে মোদির কঠোর হুঁশিয়ারি

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১৫ আগস্ট, ২০২৫ ১১:২৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

এবার পাকিস্তানকে মোদির কঠোর হুঁশিয়ারি

সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকির পর ইসলামাবাদকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লাল কেল্লা থেকে দেওেয়া ভাষণে মোদি বলেছেন, ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পানিচুক্তিতে সম্মত নয় বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদী ব্যবস্থার পানি বণ্টনে একটি প্রক্রিয়া নির্ধারণের জন্য সিন্ধু পানিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানির পর এই চুক্তি স্থগিতের কথা জানায় ভারত।

তারই ধারাবাহিকতায় মোদি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেন, পানি ও রক্ত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না। ভারতের অধিকারে থাকা পানি পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগাভাগি করারও বিরোধিতা করেন তিনি।

মোদি আরও বলেন, সিন্ধু পানিচুক্তি ভারতের জনগণের প্রতি অবিচার ছিল। ভারতের নদীগুলো শত্রু দেশকে সেচ দিচ্ছিল, যখন আমাদের কৃষকরা পানি থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন, ভারতের পানির ভাগের ওপর অধিকার কেবল ভারত ও তার কৃষকদের।

কৃষকদের স্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে আপস ভারতের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ‘পারমাণবিক হামলার’ হুমকিরও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি পাকিস্তানের প্রতি একটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারত আর পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। শত্রু (পাকিস্তান) যদি আর কোনো দুঃসাহসিক কাজ করার সাহস করে, তাহলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে।

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১১ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:০৫

প্রিন্ট এন্ড সেভ

রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী, তার বোন ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউতসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বিক্ষোভ থেকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে দিল্লির কেন্দ্রীয় এলাকায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, বহু রাজনীতিবিদ ও কর্মী প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিচ্ছেন। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে এগোনোর চেষ্টা করছেন। পরিস্থিতি আরো নাটকীয় হয়, যখন তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং রাহুল গান্ধী তাকে সাহায্য করেন।

দিনের শুরুতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পুলিশ আগেই পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করে। কিছু বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ঘেরাও করে আটক করা হয়। এই পরিস্থিতির জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভা দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

বিরোধীদের অভিযোগ — নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা পরিবর্তন ও ভোট কারচুপির মাধ্যমে বিজেপিকে জেতাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।

গত বছরের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই অভিযোগ বাড়ছে। কংগ্রেস, শিব সেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) ও এনসিপি (শরদ পওয়ার গোষ্ঠী) অভিযোগ করেছে, ভোটার তালিকায় হেরফের করে বিজেপিকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

উদাহরণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে ফেডারেল নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের ছয় মাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে অস্বাভাবিক হারে নতুন ভোটার যোগ হওয়া। একই ধরনের অভিযোগ কর্নাটকের লোকসভা নির্বাচন নিয়েও উঠেছে। গত সপ্তাহে রাহুল গান্ধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে তথ্য-প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করেন, ভোটার তালিকায় ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে।

গাজায় আল জাজিরার ৫ সাংবাদিককে হত্যা ইসরায়েলের

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

১১ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৫১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

গাজায় আল জাজিরার ৫ সাংবাদিককে হত্যা ইসরায়েলের

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল-শরীফসহ তার আরও চার সহকর্মীকে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গাজায় তারা একটি তাবুতে ছিল। সেখানেই লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। খবর: সিএনএন।

রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় গাজার আল শিফা হাসপাতালের প্রধান গেটে চালানো ইসরায়েলের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছিলেন- আল জাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ কুরেইকেহ, ক্যামেরাম্যান ইব্রাহিম জাহের, মোহাম্মদ নুফাল এবং মোয়ামেন আলিয়া।

ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার আগে আল জাজিরার আরবি ভার্সনের প্রতিনিধি ২৮ বছর বসয়ী আল-শরীফ এক্স পোস্টে বলেন, গাজার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে তীব্রভাবে বোমা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। যা ‘ফায়ার বেল্ট’ নামেও পরিচিত।

তার ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েল ভয়াবহভাবে হামলা চালাচ্ছে। ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ডে বোমা হামলার শব্দ শোনা গেছে। এছাড়া অন্ধাকারাছন্ন আকাশ ইসরায়েলের হামলায় মুহূর্তেই কমলা রং ধারণা করেছে।

এক বিবৃতিতে আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে একে ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আরেকটি প্রকাশ্য ও পরিকল্পিত আঘাত’ বলে অভিহিত করেছে। এতে বলা হয়েছে, এই হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার ভয়াবহ পরিণতি দেখা যাচ্ছে। যেখানে ক্রমাগত বেসামরিক মানুষদের হত্যা, বাধ্যতামূলকভাবে অনাহারে রাখা এবং পুরো জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গাজার অন্যতম সাহসী সাংবাদিক আনাস আল-শরীফ ও তার সহকর্মীদের হত্যা গাজা দখল ও দমন করার আসন্ন পরিকল্পনা ফাঁস করে দেওয়া কণ্ঠস্বরগুলোকে চিরতরে স্তব্ধ করার এক মরিয়া প্রচেষ্টা।’

নিহত হওয়ার কয়েক মিনিট আগে, আল-শরীফ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছিলেন, ‘‘যদি এই উন্মাদনা বন্ধ না হয়, তাহলে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে, এখানকার জনগণের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ হয়ে যাবে হবে এবং ইতিহাস আপনাকে সেই গণহত্যার নীরব সাক্ষী হিসেবে স্মরণ করবে যা আপনি থামাতে চাননি।’’

আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়া জানান, আল-শরীফ যখন হাসপাতালের প্রবেশপথের কাছে অন্যান্য সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি তাঁবুতে ছিলেন, তখন তাকে হত্যা করা হয়। তিনি আরও বলেন, হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে।

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) আল-শরীফকে গাজায় হামাসের একটি সেলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে, যারা ‘‘ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক এবং আইডিএফ সৈন্যদের বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালিয়েছে।’’

আইডিএফ পূর্বে এমন নথি দেখিয়েছিল যা হামাসের সঙ্গে আল-শরীফের সম্পর্কের ‘‘স্পষ্ট প্রমাণ’’ দেখায় বলে দাবি করেছিল। হামলার পর সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘আইডিএফ পূর্বে গোয়েন্দা তথ্য এবং গাজা উপত্যকায় পাওয়া অনেক নথি প্রকাশ করেছিল, যা হামাসের সঙ্গে তার সামরিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে।’’

তবে ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটরের বিশ্লেষক মুহাম্মদ শেহাদা আল জাজিরাকে বলেন, আল-শরীফের সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার ‘কোনো ধরনের প্রমাণ নেই’। তিনি আরও বলেন, ‘সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকাই ছিলো তার প্রতিদিনের রুটিন।’

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.