
১২ জুন, ২০২৫ ১২:১৪
ঈদের ছুটি শেষে লঞ্চ ও বাসে যাত্রী চাপ বেড়ে যাওয়ায় কাউন্টারে মিলছে না টিকিট। অধিকাংশ বাস কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকেও টিকিট কিনতে ব্যর্থ হচ্ছে যাত্রীরা। তাই বাধ্য হয়ে দেড় থেকে দুই গুণেরও বেশি টাকায় দালালদের কাছ টিকিট কিনতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
এ কারণে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। তবে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টার্মিনালগুলোতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
বুধবার (১২ জুন) বরিশাল নৌবন্দর ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে সরেজমিনে দেখা গেছে। তথ্য মতে, যাত্রী সামাল দিতে প্রতিদিন ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ভায়া ও সরাসরি মিলিয়ে অর্ধ ডজন বিলাসবহুল নৌযান যাত্রী পরিবহণ করছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, এ রুটের লঞ্চে এক হাজার টাকার সিঙ্গেল কেবিন ১২শ ও ২ হাজার টাকার ডাবল কেবিন হয়েছে ২৪০০ টাকায় বিক্রি করলেও তা পাচ্ছে না সাধারণ যাত্রীরা। কারণ এসব টিকিট আগেই দখলে নিয়েছে কালোবাজারিরা।
ফলে কাউন্টার বা নৌবন্দরে গিয়েও মিলছে টিকিট। তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীদের দেড় বা দুইগুণ বেশি দামে সেই টিকিট কিনতে হচ্ছে নৌবন্দরে থাকা দালাল চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে। লেদু, ইমাম, বসির, খোকনসহ ডজনখানেক ব্যক্তি টিকিট কালোবাজারি করে থাকেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এছাড়া এবারের ঈদযাত্রায় যাত্রী হয়রানির অভিযোগে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কোস্টগার্ড।
এদিকে ঢাকা-বরিশাল সড়ক পথে অধিকাংশ বাসের অগ্রিম সকল টিকিট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে গেছে। ফলে সাধারণ যাত্রীরা ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট কিনতে ব্যর্থ হয়েছে। কাউন্টারেও মিলছে না টিকিট।
পরে সাড়ে ৫শ টাকার টিকিট এক হাজার থেকে ১২শ টাকায় দালালদের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে যাত্রীদের। ফলে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বরিশাল কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল নথুল্লাবাদে কাশেম ও মান্নানের নামে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ রয়েছে।
চালাল চক্রের সদস্যরা অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময় বিভিন্ন কৌশলে তা দখলে নিয়ে নেয়। এর সঙ্গে লঞ্চ ও বাসের কাউন্টারের এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারীরাও জড়িত বলে জানা গেছে। তবে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ও বাস কর্তৃপক্ষের দাবি, যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে তারা নিয়মানুযায়ী ভাড়া আদায় করছে।
বাসযাত্রী ইমতিয়াজ অমিত বলেন, ১৪ তারিখ ঢাকা যাওয়ার জন্য টিকিট কিনতে একটি বাস কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি। তখন বিক্রির জন্য টিকিট উন্মুক্ত করার পর দুটি সিট অবিক্রীত দেখতে পাই। তখন ওই একটি সিট কিনতে চেষ্টা করেও পারিনি। পরে স্বাভাবিক সময়ের সাড়ে ৫শ টাকার বাসের টিকিট দালালদের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে ১২০০ টাকায়।
লঞ্চ যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, লঞ্চের কাউন্টারে ঘুরেও কেবিনের একটি টিকিট কিনতে পারিনি। পরে লঞ্চঘাটে থাকা একজন দালালের কাছ থেকে দ্বিগুণ দামে কেবিনের টিকিট কিনতে হয়েছে। আর যাত্রী হয়রানিও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি তার।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার বলেন, আমি বিষয়টি অবগত নই। দালালদের ধরতে অভিযান চালানো হবে। তাছাড়া আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেব।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের উপ-পরিচালক সেলিম রেজা জানান, দালালদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। যাত্রী হয়রানিসহ যেকোনো অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বরিশাল নগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ ও বাসটার্মিনালে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধসহ শতভাগ যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ। এর অংশ হিসেবে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সদস্যরাও রয়েছেন। স্থায়ীভাবে এ সংকট দূর করতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর কর্মকর্তাসহ জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা কামনা করেন তিনি।
ঈদের ছুটি শেষে লঞ্চ ও বাসে যাত্রী চাপ বেড়ে যাওয়ায় কাউন্টারে মিলছে না টিকিট। অধিকাংশ বাস কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকেও টিকিট কিনতে ব্যর্থ হচ্ছে যাত্রীরা। তাই বাধ্য হয়ে দেড় থেকে দুই গুণেরও বেশি টাকায় দালালদের কাছ টিকিট কিনতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
এ কারণে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। তবে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টার্মিনালগুলোতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
বুধবার (১২ জুন) বরিশাল নৌবন্দর ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে সরেজমিনে দেখা গেছে। তথ্য মতে, যাত্রী সামাল দিতে প্রতিদিন ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ভায়া ও সরাসরি মিলিয়ে অর্ধ ডজন বিলাসবহুল নৌযান যাত্রী পরিবহণ করছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, এ রুটের লঞ্চে এক হাজার টাকার সিঙ্গেল কেবিন ১২শ ও ২ হাজার টাকার ডাবল কেবিন হয়েছে ২৪০০ টাকায় বিক্রি করলেও তা পাচ্ছে না সাধারণ যাত্রীরা। কারণ এসব টিকিট আগেই দখলে নিয়েছে কালোবাজারিরা।
ফলে কাউন্টার বা নৌবন্দরে গিয়েও মিলছে টিকিট। তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীদের দেড় বা দুইগুণ বেশি দামে সেই টিকিট কিনতে হচ্ছে নৌবন্দরে থাকা দালাল চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে। লেদু, ইমাম, বসির, খোকনসহ ডজনখানেক ব্যক্তি টিকিট কালোবাজারি করে থাকেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এছাড়া এবারের ঈদযাত্রায় যাত্রী হয়রানির অভিযোগে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কোস্টগার্ড।
এদিকে ঢাকা-বরিশাল সড়ক পথে অধিকাংশ বাসের অগ্রিম সকল টিকিট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে গেছে। ফলে সাধারণ যাত্রীরা ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট কিনতে ব্যর্থ হয়েছে। কাউন্টারেও মিলছে না টিকিট।
পরে সাড়ে ৫শ টাকার টিকিট এক হাজার থেকে ১২শ টাকায় দালালদের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে যাত্রীদের। ফলে সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বরিশাল কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল নথুল্লাবাদে কাশেম ও মান্নানের নামে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ রয়েছে।
চালাল চক্রের সদস্যরা অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময় বিভিন্ন কৌশলে তা দখলে নিয়ে নেয়। এর সঙ্গে লঞ্চ ও বাসের কাউন্টারের এক শ্রেণির অসাধু কর্মচারীরাও জড়িত বলে জানা গেছে। তবে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ও বাস কর্তৃপক্ষের দাবি, যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে তারা নিয়মানুযায়ী ভাড়া আদায় করছে।
বাসযাত্রী ইমতিয়াজ অমিত বলেন, ১৪ তারিখ ঢাকা যাওয়ার জন্য টিকিট কিনতে একটি বাস কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি। তখন বিক্রির জন্য টিকিট উন্মুক্ত করার পর দুটি সিট অবিক্রীত দেখতে পাই। তখন ওই একটি সিট কিনতে চেষ্টা করেও পারিনি। পরে স্বাভাবিক সময়ের সাড়ে ৫শ টাকার বাসের টিকিট দালালদের কাছ থেকে কিনতে হয়েছে ১২০০ টাকায়।
লঞ্চ যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, লঞ্চের কাউন্টারে ঘুরেও কেবিনের একটি টিকিট কিনতে পারিনি। পরে লঞ্চঘাটে থাকা একজন দালালের কাছ থেকে দ্বিগুণ দামে কেবিনের টিকিট কিনতে হয়েছে। আর যাত্রী হয়রানিও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি তার।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার বলেন, আমি বিষয়টি অবগত নই। দালালদের ধরতে অভিযান চালানো হবে। তাছাড়া আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেব।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের উপ-পরিচালক সেলিম রেজা জানান, দালালদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। যাত্রী হয়রানিসহ যেকোনো অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বরিশাল নগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, লঞ্চ ও বাসটার্মিনালে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধসহ শতভাগ যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ। এর অংশ হিসেবে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সদস্যরাও রয়েছেন। স্থায়ীভাবে এ সংকট দূর করতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর কর্মকর্তাসহ জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা কামনা করেন তিনি।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:৪৬
জাটকা ইলিশ রক্ষা অভিযানে মাছের সাথে বাস জব্দ করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা না করায় পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে তীব্র ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রায় শতাধিক যাত্রীকে সড়কে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের পটুয়াখালী ব্রিজ টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায়। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে ঢাকা গামী চারটি বাস থেকে আনুমানিক ৫১০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় পরিবহনগুলোকেও আটক করা হয়। পরিবহনে থাকা যাত্রীদের ঢাকা যাত্রার বিকল্প ব্যবস্থা না করার ফলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে।
অভিযোগ উঠেছে, অভিযান চলাকালে পরিবহন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হলেও তাদের বিকল্প পরিবহন বা গন্তব্যে পৌঁছানোর কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি যাত্রীদের দেওয়া ভাড়ার টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
যাত্রীরা জানান, হঠাৎ করেই গাড়ি থামিয়ে সবাইকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাদের কথা না শুনেই সংশ্লিষ্টরা গাড়ি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী প্রায় শতাধিক যাত্রী। উপায় না পেয়ে তারা পটুয়াখালী-কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওজাতুন জান্নাতের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, জাটকা ইলিশ রক্ষা ও আইন প্রয়োগের স্বার্থেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী যাত্রীরা অভিযানের সময় মানবিক বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।
জাটকা ইলিশ রক্ষা অভিযানে মাছের সাথে বাস জব্দ করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা না করায় পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কে তীব্র ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রায় শতাধিক যাত্রীকে সড়কে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের পটুয়াখালী ব্রিজ টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায়। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযানে ঢাকা গামী চারটি বাস থেকে আনুমানিক ৫১০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় পরিবহনগুলোকেও আটক করা হয়। পরিবহনে থাকা যাত্রীদের ঢাকা যাত্রার বিকল্প ব্যবস্থা না করার ফলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে।
অভিযোগ উঠেছে, অভিযান চলাকালে পরিবহন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হলেও তাদের বিকল্প পরিবহন বা গন্তব্যে পৌঁছানোর কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি যাত্রীদের দেওয়া ভাড়ার টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
যাত্রীরা জানান, হঠাৎ করেই গাড়ি থামিয়ে সবাইকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাদের কথা না শুনেই সংশ্লিষ্টরা গাড়ি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী প্রায় শতাধিক যাত্রী। উপায় না পেয়ে তারা পটুয়াখালী-কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওজাতুন জান্নাতের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, জাটকা ইলিশ রক্ষা ও আইন প্রয়োগের স্বার্থেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী যাত্রীরা অভিযানের সময় মানবিক বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৬
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বরিশাল বিএনপির বিভাজিত দুটি গ্রুপ সংঘাতে জড়িয়েছে। রোববার অপরাহ্নে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে স্মৃতিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনের কর্মী-সমর্থকদের সাথে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সংঘাত হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও হাতাহাতির বেশকিছু ভিডিওচিত্র দুপুরের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মহানগর বিএনপি নেত্রী নাসরিন কজন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শহীদ বেদির সম্মুখে তর্কে লিপ্ত হন। এসময় তার চারদিকে বরিশাল সদর আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এবং তাদের মধ্যেকার একজন বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক উত্তেজিত সকলকে সরিয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সরোয়ার অনুসারী বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। এবং শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে তারা বের হচ্ছিলেন, এমন সময় বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন তার কর্মী-অনুসারীদের নিয়ে ফুলসমেত সেখানে প্রবেশ করছিলেন। তখন দুটি গ্রুপকে তর্কবিতর্ক এবং হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
জানা গেছে, এই সংঘাতের কিছুক্ষণ আগেই শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার। তার সাথে ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিনসহ জেলা ও মহানগর বরিশাল বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব।
বিএনপি নেত্রী নাসরিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানতে প্রবেশ করার প্রাক্কালে মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেকের নেতৃত্বে লোকজন নিয়ে তার ওপর হামলা করা হয়। এতে তার কজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন এবং ফুলের চাক ভেঙে যায়। এই ঘটনায় তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
তবে বিএনপি নেত্রীর ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তরিকুল ইসলাম তারেক। এই ছাত্রনেতার দাবি, তিনি মজিবর রহমান সরোয়ারের সাথে শ্রদ্ধা জানতে শহীদ বেদিতে গিয়েছিলেন। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নেতা সরোয়ারসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এর কয়েক মিনিটের মাথায় বিএনপি নেত্রী নাসরিন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বেদিতে প্রবেশ করেন। তখন তার কর্মীদের সাথে নাসরিন অনুসারীদের হাতাহাতি হলে তিনি ভূমিকা রেখে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
খোদ শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানতে গিয়ে সংঘাতের এই ঘটনায় বিভাজিত দুটি গ্রুপ সংঘাতে জড়ানোর বিষয়টিকে অপ্রত্যাশিত বলে অভিহিত করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন। তিনি বরিশালটাইমসকে বলেন, কর্মীদের মধ্যেকার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে শীর্ষস্থানীয় নেতারা একত্রে বসে বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
তবে এই সংঘাতের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত নন বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। এই বর্ষীয়াণ নেতা বরিশালটাইমসকে বলেন, ঘটনার পরে বিভিন্ন মাধ্যম খন্ড খন্ড তথ্য তাকে অবহিত করেছে। পরবর্তীতে পুরো ঘটনা জেনে দলীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থাগ্রহণে হাইকমান্ডকে অবহিত করা হবে।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বরিশাল বিএনপির বিভাজিত দুটি গ্রুপ সংঘাতে জড়িয়েছে। রোববার অপরাহ্নে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে স্মৃতিসৌধের বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনের কর্মী-সমর্থকদের সাথে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সংঘাত হয়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও হাতাহাতির বেশকিছু ভিডিওচিত্র দুপুরের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মহানগর বিএনপি নেত্রী নাসরিন কজন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শহীদ বেদির সম্মুখে তর্কে লিপ্ত হন। এসময় তার চারদিকে বরিশাল সদর আসনের এমপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এবং তাদের মধ্যেকার একজন বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক উত্তেজিত সকলকে সরিয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সরোয়ার অনুসারী বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। এবং শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে তারা বের হচ্ছিলেন, এমন সময় বরিশাল মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন তার কর্মী-অনুসারীদের নিয়ে ফুলসমেত সেখানে প্রবেশ করছিলেন। তখন দুটি গ্রুপকে তর্কবিতর্ক এবং হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
জানা গেছে, এই সংঘাতের কিছুক্ষণ আগেই শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার। তার সাথে ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিনসহ জেলা ও মহানগর বরিশাল বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব।
বিএনপি নেত্রী নাসরিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানতে প্রবেশ করার প্রাক্কালে মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেকের নেতৃত্বে লোকজন নিয়ে তার ওপর হামলা করা হয়। এতে তার কজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন এবং ফুলের চাক ভেঙে যায়। এই ঘটনায় তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
তবে বিএনপি নেত্রীর ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তরিকুল ইসলাম তারেক। এই ছাত্রনেতার দাবি, তিনি মজিবর রহমান সরোয়ারের সাথে শ্রদ্ধা জানতে শহীদ বেদিতে গিয়েছিলেন। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নেতা সরোয়ারসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এর কয়েক মিনিটের মাথায় বিএনপি নেত্রী নাসরিন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বেদিতে প্রবেশ করেন। তখন তার কর্মীদের সাথে নাসরিন অনুসারীদের হাতাহাতি হলে তিনি ভূমিকা রেখে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
খোদ শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানতে গিয়ে সংঘাতের এই ঘটনায় বিভাজিত দুটি গ্রুপ সংঘাতে জড়ানোর বিষয়টিকে অপ্রত্যাশিত বলে অভিহিত করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন। তিনি বরিশালটাইমসকে বলেন, কর্মীদের মধ্যেকার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে শীর্ষস্থানীয় নেতারা একত্রে বসে বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
তবে এই সংঘাতের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত নন বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল সদর আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। এই বর্ষীয়াণ নেতা বরিশালটাইমসকে বলেন, ঘটনার পরে বিভিন্ন মাধ্যম খন্ড খন্ড তথ্য তাকে অবহিত করেছে। পরবর্তীতে পুরো ঘটনা জেনে দলীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থাগ্রহণে হাইকমান্ডকে অবহিত করা হবে।’

১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:৫৭
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা এলাকার মোল্লার বাজারের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধার মরদেহ এবং দুজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনই একই পরিবারের সদস্য।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বৃদ্ধার মরদেহসহ অচেতন দুজনকে উদ্ধার করে।
মৃত অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) ওই বাড়ির মালিক মরণ সাহার মা। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার সংলগ্ন ওই বাড়িতে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তার মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন প্রতিবেশীরা। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা এলাকার মোল্লার বাজারের নিকটবর্তী একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধার মরদেহ এবং দুজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনই একই পরিবারের সদস্য।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে বৃদ্ধার মরদেহসহ অচেতন দুজনকে উদ্ধার করে।
মৃত অঞ্জলি রানী সাহা (৯০) ওই বাড়ির মালিক মরণ সাহার মা। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা মরণ সাহাকে (৫৫) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে এবং তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী সাহাকে (৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোল্লার বাজার সংলগ্ন ওই বাড়িতে বসবাস করেন প্রশান্ত কুমার ওরফে মরণ সাহা, তার মা অঞ্জলি সাহা এবং স্ত্রী সন্ধ্যা রানী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুপুর পর্যন্ত তাদের কাউকে বাইরে দেখা না যাওয়ায় এবং ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন প্রতিবেশীরা। এ সময় ঘরের মেঝেতে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে অঞ্জলি সাহাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় ঘরের মালপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়েছিল।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রশান্ত সাহাকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা রানীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মরণ সাহার স্ত্রী সন্ধ্যা রানীর অবস্থা অনেকটা ভালো। তবে মরণ সাহা বেশি অসুস্থ ও অজ্ঞান থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কারা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে এবং ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.